Tag: বাংলাদেশ

  • রোহিঙ্গা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এ অঞ্চলে নিরাপত্তার হুমকি : প্রধানমন্ত্রী

    রোহিঙ্গা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এ অঞ্চলে নিরাপত্তার হুমকি : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক শুধু বাংলাদেশের নয় এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।

    তিনি বলেন, ‘এ হুমকির গুরুত্ব অনুধাবন করে আমি বিশ্ব সম্প্রদায়কে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাাচ্ছি।’

    আজ সোমবার সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) ও ভারতের অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) যৌথভাবে এ ডায়ালগের আয়োজন করেছে।

    ‘প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও ইন্দো-প্যাসিফিক’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শুরু হওয়া এ ডায়লগে বিভিন্ন দেশের ১৫০ জনেরও বেশি আলোচক অংশ নিবেন।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ওআরএফ প্রেসিডেন্ট সমির সরণ। তার আগে বিআইআইএসএস মহাপরিচালক একেএম আব্দুর রহমান স্বাগত বক্তব্য দেন।

  • দিপক চাহারের রেকর্ড বোলিংয়ে সিরিজ ভারতের

    দিপক চাহারের রেকর্ড বোলিংয়ে সিরিজ ভারতের

    নাগপুরে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে নাইমের ৮১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের পরেও হারতে হয় বাংলাদেশকে। ভারতের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৬২ করে শ্রেয়াস আইয়ার। বল হাতে হ্যাটট্রিক করেন দিপাক চাহার।

    ভারতের দেওয়া ১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। লিটন ভালো শুরুর আশ্বাস দিলেও চাহারের বলে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। তার বিদায়ের পরেই প্রথমবলে আউট হন সৌম্য। দ্রুত দুই উইকেট পড়লে শুরুতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পাওয়ার-প্লের শেষ ওভারে চাহালের ওভারে রানের দলের রান বাড়ান তরুণ ওপেনার নাইম।

    তারপর থেকেই রানের সংগ্রহ বাড়াতে থাকেন নাইম ও মিঠুন মিলে। নাইম দেখা পান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথম ফিফটি। দুই ব্যাটসম্যানের দায়িত্বশীল ব্যাটিং দলকে জয়ের আশা দেখাতে থাকে। তবে দলীয় ১১০ রানে চাহারের বলে ২৭ রান করে আউট হন মিঠুন। সেই সাথে ভাঙে ৯৮ রানের জুটিও। মিঠুনের বিদায়ের পরেই দুবের প্রথম বলেই বোল্ড হন মুশফিক।

    তার বিদায়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তখনও দলকে জেতার আশা দেখাতে থাকেন নাইম। তবে দলীয় ১২৬ রানে ব্যক্তিগত ৪৮ বলে ৮১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন নাইম। পরের বলেই দুবের বলে আউট হন আফিফও। তখনই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় অনেকটা। মাহমুদউল্লাহ যেন কিছু করতে পারলেন না। চাহালকে ডাউন দ্য উইকেটে মারতে এসে বোল্ড হন তিনি।

    তার বিদায়ের পর ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় বাংলাদেশ। শেষদিকে হ্যাটট্রিক করেন দিপাক চাহার। সাত রানে তুলে নেন ছয় উইকেট। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৪৪ রানে।

    এর আগে টস হেরে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মাহমুদউল্লাহ। এবারও শুরুতে রোহিতকে ফেরান শফিউল। ধাওয়ান ফিরে যান ব্যক্তিগত ১৯ করে। ৩৫ রানে দুই উইকেট পড়লে সেখান থেকে দলকে ম্যাচে ফেরান শ্রেয়াস আইয়ার ও লোকেশ রাহুল। শুন্য রানে শ্রেয়াসের ক্যাচ ফেলে দেন আমিনুল। সেটির খেসারত দিতে হয় দলকে।

    জীবন পেয়ে সেই সুযোগের সঠিক ব্যবহার করেছেন তিনি। জীবন পেয়ে ফিফটি হাঁকিয়েছেন তিনি। সেই সাথে ফিফটি হাঁকিয়েছেন রাহুলও। ৫২ রান করে আল-আমিনের বলে আউট হন রাহুল। শ্রেয়াসের ৬২ রানের উপর ভর করে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে ভারত। বল হাতে দুইটি করে উইকেট লাভ করেন সৌম্য ও শফিউল।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    ভারত ১৭৪-৫ (ওভার ২০)

    শ্রেয়াস ৬২, রাহুল ৫২: সৌম্য ২-২৯

    বাংলাদেশ ১৪৪ (ওভার ১৯.২)

    নাইম ৮১, মিঠুন ২৭: চাহার ৬-৭

    (ফলাফল: ৩০ রানে জয়ী এবং ২-১ সিরিজ জিতল ভারত)

  • টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

    টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

    সিরিজ জয়ের মিশনে নাগপুরে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

    একাদশে এক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক হোসেনের বদলে মোহাম্মদ মিথুনকে একাদশে অন্তর্ভুক্ত করেছে বাংলাদেশ।

    ভারত একাদশেও এসেছে এক পরিবর্তন। ক্রুনাল পান্ডিয়ার বদলে মনীশ পান্ডেকে একাদশে অন্তর্ভুক্ত করেছে ভারত।

    ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আইয়ের, রিশাব পান্ত (উইকেটরক্ষক), মনেশ পান্ডে, শিবম দুবে, ওয়াশিংটন সুন্দর, যুযবেন্দ্র চাহাল, দিপক চাহার ও খলীল আহমেদ।

    বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, মোহাম্মদ নাইম, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), মোহাম্মদ মিথুন, আফিফ হোসেন ধ্রুব, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, শফিউল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও আল-আমিন হোসেন।

     

  • আজ বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

    আজ বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

    ভারত সফরের আগে নানা নাটকীয়তার অবসানের পর এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচেও অপেক্ষা করছে রোমাঞ্চ। ১-১’এ সমতায় থাকা বাংলাদেশ ও স্বাগতিক ভারত মরিয়া শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেওয়া।

    এর আগে দু’দল কখনোই আন্তর্জাতিক টি২০’তে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি হয়নি।

    আগেরগুলোতে ছিল টি২০ বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপ ও নিদাহাস ট্রফি। শক্তি ও অভিজ্ঞতায় ভারত এগিয়ে থাকলেও দুই দেশের মধ্যকার সর্বপ্রথম টি২০ সিরিজ নিজেদের করে নিতে চাইবে টাইগাররা।

    রোববারের বিগ ম্যাচকে সামনে রেখে প্রস্তুত হচ্ছে নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ড। দিল্লীতে প্রথম টি২০’তে পিচ স্পিনারদের সাহায্য করলেও রাজকোটে দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচের পিচ ছিল ব্যাটসম্যানদের স্বর্গ। শেষ ম্যাচে আবারও স্পিনাররাই পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন। প্রথম ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও থাকছে মন্থর গতির পিচ। আর তাই এই ম্যাচেও ‘মহাগুরুত্বপূর্ণ’ হতে যাচ্ছে টস।

    প্রথম ম্যাচে পিচের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়ে চমক দেখায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। তবে পরের ম্যাচে পর্যাপ্ত রান না করতে পারায় হেরে যায় বাংলাদেশ। ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার ব্যাটে চড়ে সমতা আনে স্বাগতিকরা।

    শেষ ম্যাচে একটি পরিবর্তনের আভাস ভারতের। দুই ম্যাচে ৮১ রান দেওয়া পেসার খলিল আহমেদকে থাকতে হচ্ছে সাইডবেঞ্চে। তার জায়গায় খেলার জোর সম্ভাবনা আরেক পেসার শার্দুল ঠাকুরের।

    বাংলাদেশ দলেও আসতে পারে পরিবর্তন। আগের দুই ম্যাচে মূল স্পিনার ছিলেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। দুই ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে ছড়িয়েছেন আলোও। তার সঙ্গী হতে পারেন দুই বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানী ও তাইজুল ইসলামের একজন। সেক্ষেত্রে বাদ পড়তে পারেন শফিউল ইসলাম।

    সম্ভাব্য একাদশ-

    ভারতঃ রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আইয়ের, রিশব পান্ত (উইকেট-রক্ষক), শিবম দুবে, ক্রুনাল পান্ডিয়া, ওয়াশিংটন সুন্দর, দীপক চাহার, শার্দুল ঠাকুর, যুযবেন্দ্র চাহাল

    বাংলাদেশঃ লিটন দাস, মোহাম্মদ নাইম শেখ, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম (উইকেট-রক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, তাইজুল ইসলাম/আরাফাত সানী, আল-আমিন হোসেন, শফিউল ইসলাম

  • রোহিত ঝড়ে বাংলাদেশের বড় পরাজয়

    রোহিত ঝড়ে বাংলাদেশের বড় পরাজয়

    ‘মাহা’ সাইক্লোন এর কোনো প্রভাব না দেখা গেলেও, ব্যাট হাতে সাইক্লোন চালিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তার ব্যাটে ভর করে আট উইকেটের জয় পেয়েছে ভারত। তিন ম্যাচের সিরিজে এখন ১-১ এ সমতা।

    টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। ইনিংসের সূচনা করতে নামা মোহাম্মদ নাঈম এবং লিটন দাস দারুণ মোকাবেলা করছিলেন ভারতের বোলিং। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে খলিল আহমেদের বলে টানা তিন বাউন্ডারি হাঁকান নাঈম। অপর প্রান্ত থেকেও দারুণ ব্যাটিং করছিলেন লিটন।

    পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে আনা হয় যুযবেন্দ্র চাহালকে। ওভারের তৃতীয় বলে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে ব্যাটে বলে সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হন লিটন। স্টাম্পিংয়ের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন রিশাভ পান্ট। বল স্টাম্প পার করার আগেই তিনি ধরে ফেললে দেওয়া হয় নো বল। ফ্রি হিট ও পরের বলে দুই বাউন্ডারি হাঁকান লিটন। পাওয়ারপ্লে শেষে বিনা উইকেটে ৫৪ রান তুলে বাংলাদেশ। দুই ওপেনারের দারুণ ব্যাটিংয়ে বড় স্কোরের পথেই হাঁটছিল বাংলাদেশ।

    ওয়াশিংটন সুন্দরের করা পরের ওভারে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জীবন পান লিটন। সহজ ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি রোহিত। তবে পরের ওভারেই বিদায় নেন লিটন। টানা দুই জীবন পাওয়ার পর রান আউট হন তিনি। চাহালের দারুণ ডেলিভারি আঘাত হাতে তার প্যাডে। পান্টের আবেদনের সময় রানের জন্য দৌড় দেন তিনই। অথচ বল ছিল উইকেটের খানিক সামনে। পান্ট এসে সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প ভেঙে রান আউট করেন লিটনকে। দুইবার জীবন পেয়ে লিটন করেন ২১ বলে ২৯। ভাঙে ৬০ রানের ওপেনিং জুটি।

    শুরুটা ভালো করেছিলেন সৌম্য সরকার। এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মোহাম্মদ নাঈম। একাদশতম ওভারে সুন্দরের বলে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে আসেন নাঈম। ৩১ বলে ৩৬ রান করেন তিনি। সেখান থেকেই যেন পথ হারানোর শুরু।

    ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সৌম্য সরকার আভাস দিয়েছিলেন বড় ইনিংসের। কিন্তু পরের ওভারে জোড়া আঘাত আনেন চাহাল। ওলটপালট করে দেন সবকিছু। গত ম্যাচের নায়ক মুশফিকুর রহিম ৪ রান করে বিদায় নেন ডিপ মিডউইকেটে থাকা পান্ডিয়ার হাতে। শেষ বলে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি সৌম্য। আগের ভুল অল্পের জন্য করেননি পান্ট। স্টাম্পিং করতে সফল হন তিনি। ১০৩ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে যায় বাংলাদেশের।

    এরপর আফিফ হোসেনকে নিয়ে ২৫ রান যোগ করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে রানের গতি ধীরে ধীরে কমতে থাকে। বড় স্কোরের সম্ভাবনা মিলিয়ে যায়। ইনিংসের ১৭ তম ওভারে খলিল আহমেদের বলে তুলে মারতে গিয়ে বিদায় নেন আফিফ হোসেন। ৮ বলে করেন ৬ রান। ঐ ওভারে তিন চার মেরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলকে ১৭০ রানের আশেপাশে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখান। কিন্তু পরের দুই ওভারে চাহাল আর চাহার দেন মাত্র ৪ রান করে। ১৯ তম ওভারে চাহারের স্লোয়ার ডেলিভারিতে ডুবের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিয়ায় নেন রিয়াদ। ২১ বলে ৩০ রান করেন তিনি। শেষ ওভারে আমিনুল ইসলামের ব্যাট থেকে আসে একটি চার, রান হয় নয়। শেষ ৩ ওভারে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ভারত, রান হয় মাত্র ১৭।

    বাংলাদেশ করে ৬ উইকেটে ১৫৩। রাজকোটের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে সেই লক্ষ্য খুব একটা কঠিন ছিল না ভারতের জন্য।

    শুরু থেকেই বিধ্বংসী ছিলেন রোহিত শর্মা। অন্য প্রান্তে শিখর ধাওয়ান খেলছিলেন ঠান্ডা মাথায়। বাউন্ডারির ফোয়ারা ছিল রোহিতের ব্যাটে। বোলিং আক্রমণের তিন পেসারকেই রোহিতের সামনে মনে হয়েছে নখদন্তহীন। পাওয়ারপ্লে তে ভারতের করা ৬৩ রানের ৪৬ রানই ছিল রোহিতের ব্যাটে।

    এরপর আমিনুলের ওপর চড়াও হন ধাওয়ান। এ দুই ওপেনারকে কোনোভাবেই আটকাতে পারছিলেন না বাংলাদেশের বোলাররা। আফিফের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে অর্ধশতক পূরণ করেন রোহিত। সবচেয়ে বড় ঝড় যায় ইনিংসের দশম ওভার করতে আসা মোসাদ্দেক হোসেনের ওপর। তার প্রথম তিন বলে তিনটি ছক্কা মারেন রোহিত। প্রথম ১০ ওভারেই রান হয়ে যায় বিনা উইকেটে ১১৩। রোহিত-ধাওয়ানের ব্যাট থেকে আসে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে চতুর্থবারের মতো শতরানের জুটি।

    ১১৮ রানের মাথায় আমিনুলের বলে বোল্ড হন ধাওয়ান। ২৭ বলে ৩১ রান করেন তিনি। নিজের পরের ওভার এসে রোহিতের উইকেট নেন আমিনুল। ৮৫ রান করে বিদায় নেন রোহিত। তার ইনিংসে ছিল ৬ চার আর ৬ ছক্কা। এরপর বাকি কাজ সারেন শ্রেয়াস আইয়ার (২৪*) এবং লোকেশ রাহুল (৮*)। ২৬ বলহাতে রেখেই জিতে যায় ভারত।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    বাংলাদেশ ১৫৩/৬, ২০ ওভার
    নাঈম ৩৬, সৌম্য ৩০, রিয়াদ ৩০
    চাহাল ২/২৮, চাহার ১/২৫, সুন্দর ১/২৫

    ভারত ১৫৪/২, ১৫.৪ ওভার
    রোহিত ৮৫, ধাওয়ান ৩১, আইয়ার ২৪*
    আমিনুল ২/২৯

  • সিরিজ জয়ের মিশনে আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

    সিরিজ জয়ের মিশনে আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

    বাংলাদেশের সাথে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে রাজকোটের মাঠে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাগতিক ভারত। প্রথমে ব্যাটিং করবে বাংলাদেশ।

    বাংলাদেশ সময় সন্ধ্য ৭:৩০ মিনিটি খেলা শুরু হবে।

    অপরিবর্তীত একাদশ নিয়ে মাঠে নামছে উভয় দল।

    ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আইয়ের, রিশাব পান্ত (উইকেটরক্ষক), ক্রুনাল পান্ডিয়া, শিবম দুবে, ওয়াশিংটন সুন্দর, যুযবেন্দ্র চাহাল, দিপক চাহার ও খলীল আহমেদ।

    বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, মোহাম্মদ নাইম, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন ধ্রুব, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মোসাদ্দেক হোসেন, শফিউল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও আল-আমিন হোসেন।

  • প্রধানমন্ত্রীর জন্য সৌরভের ৫০ পদের ভোজ

    প্রধানমন্ত্রীর জন্য সৌরভের ৫০ পদের ভোজ

    বাংলাদেশ-ভারত কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথমবারের মতো দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলতে নামবে। আগামী ২২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ফ্লাড লাইটের আলোতে বাংলাদেশ-ভারত এর সিরিজের শেষ টেস্ট ম্যাচ। ঐতিহাসিক এই টেস্ট ম্যাচকে নিয়ে জাকজমকপূর্ণ আয়োজন করবে বিসিসিআই নতুুন সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। যেখানে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আর তাইতো হরেকরকম ভোজের আয়োজন করবে বিসিসিআই এর সভাপতি দাদাগিরির দাদা সৌরভ গাঙ্গুলী।

    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজনকে বর্ণাঢ্য ও স্মরণীয় করে রাখতে ইডেন টেস্টের প্রথমদিন রাজকীয় মধ্যাহ্নভোজ আয়োজন করতে যাচ্ছে সিএবি। ম্যাচের প্রথমদিন টসের আগে থেকে শুরু করে কয়েক ঘণ্টা ইডেনে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। আর এ সময়ের মাঝেই প্রায় ৫০ পদের রাজকীয় মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হবে তার জন্য।

    কী থাকবে সেই মধ্যাহ্নভোজে? ভারতীয় দৈনিক এই সময়ের প্রতিবেদন মতে, গঙ্গার ইলিশ, পাবদা সর্ষে, ভেটকি পাতুরি, ডাব চিংড়ি- মাছের এই পদগুলো ছাড়াও দুই বাংলার প্রথামাফিক সবরকম জনপ্রিয় পদই থাকবে অতিথি আপ্যায়নে। যার মধ্যে থাকছে শুক্তো, আলু পোস্ত, ফুলকপির রোস্ট, ছানার ডালনাসহ অন্তত ৫০’র বেশি পদ।

    এছাড়া ভাত, রুটি, পোলাও, পায়েস, চাটনির মতো পদগুলি তো থাকছেই। যেসব অতিথির মাছ পছন্দ নয়, তাদের জন্য থাকবে মুরগি ও খাসির হরেকরকম পদ। মঙ্গলবার সিএবি কর্তাদের সঙ্গে এ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে শহরের এক পাঁচ তারকা হোটেলের। মধ্যাহ্নভোজের চূড়ান্ত মেন্যু অবশ্য ঠিক করবেন বিসিসিআইয়ের নতুন সভাপতি ও সিএবির সাবেক প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলি।

    শুধু মধ্যাহ্নভোজ দিয়েই থামছে না শেখ হাসিনাকে আপ্যায়নের আয়োজন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মানের বিশেষ পোশাক প্রস্তুতকারককে দিয়ে ডিজাইনার শাড়ি ও শাল বানাচ্ছে সিএবি। এছাড়া বাংলার ঐতিহ্য মেনে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও দেওয়া হবে বিশ্ব বাংলার নানা উপহার।

  • টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

    টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

    ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নয়াদিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচটি।

    প্রথমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে পূর্নাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আর ঐতিহাসিক এই সফরে নেই টাইগার দুই পাণ্ডব সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। খেলছেন না তরুন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ম্যাচে টাইগারদের আরো এক প্রতিপক্ষ দিল্লির দুষণ।

    ৩ পেসার ও ১ স্পিনার নিয়ে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। আজকের ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হচ্ছে মোহাম্মদ নাইমের।

    ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আইয়ের, রিশাব পান্ত (উইকেটরক্ষক), ক্রুনাল পান্ডিয়া, শিবম দুবে, ওয়াশিংটন সুন্দর, যুযবেন্দ্র চাহাল, দিপক চাহার ও খলীল আহমেদ।

    বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, মোহাম্মদ নাইম, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মোসাদ্দেক হোসেন, শফিউল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও আল-আমিন হোসেন।

  • আগামী ডি-এইট সম্মেলন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে

    আগামী ডি-এইট সম্মেলন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে

    বাংলাদেশ আগামী এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে ৮টি বৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্রের সংগঠন ডি-এইট-এর ১০ম সম্মেলনের আয়োজন করবে।

    ডি-এইট-এর মহাসচিব রাষ্ট্রদূত জাফর কু শারি আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে একথা উল্লেখ করেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    তিনি বলেন, ‘ডি-এইট-এর আগামী ঢাকা সম্মেলনে বাংলাদেশকে জোটের পরবর্তী চেয়ারম্যান করা হবে যা কাকতালীয়ভাবে ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের সঙ্গে মিলে গেছে ।’

    ডি-এইট মহাসচিব সংগঠনের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

    তিনি বলেন, ঢাকা সম্মেলনে ২০৩০ সালের এজেন্ডার সঙ্গে সংগতি রেখে নতুন উদ্যোগ ও ধারনা গ্রহণ করা হবে।

    রাষ্ট্রদূত জাফর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।

    ‘বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের জন্য অনুকরণীয় উন্নয়নের একটি মডেল হতে পারে,’ বলেন তিনি।

    তিনি ডি-এইট সদস্য দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দেরও দাবি জানান।

    শেখ হাসিনা এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া প্রদান করে বলেন, ‘বর্তমানে আমরা একশ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। সেখান থেকে ডি-এইট সদস্য দেশগুলোর জন্য ভূমি বরাদ্দ দেয়া যেতে পারে।’
    মহাসচিবকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে সংগঠনটিকে দৃশ্যমান করণে এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলায় উদ্ভাবনী ধারনা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য ধন্যবাদ জানান।

    তিনি বলেন, ‘আমরা আরো উন্নয়নের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারি।’
    প্রধানমন্ত্রী এবং মহাসচিব উভয়েই ডি-এইট সদস্য দেশগুলোর মধ্যে কানেকটিভিটি সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

    ডি-এইট সদস্যভূক্ত দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং তুরস্ক।

    প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

  • দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ সাকিব

    দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ সাকিব

    অবশেষে গুঞ্জনটাই সত্যি হলো। জুয়াড়ির কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েও সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে না জানানোয় সাকিব আল হাসানকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।

    আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টে বলা আছে, বাজিকরদের কাছ থেকে ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেলে সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাতে হবে। না হয় আইসিসির দুর্নীতি দমন সংস্থা- আকসুকে অবহিত করতে হবে। সে খবর নিজে লুকিয়ে রাখলে সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে। সাকিব তার কোনোটাই করেননি।

    সাকিব মূলত এক বছর নিষিদ্ধ থাকবেন। পরবর্তী এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞায় থাকবেন। ওই এক বছরে সাকিব পুনরায় একই অভিযোগে অভিযুক্ত হলে সাকিবকে আবার শাস্তি দেবে আইসিসি।

    আজ থেকেই সাকিবের নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি। অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝপথে ফিরতে পারবেন সাকিব।

    আইসিসির ওয়েবসাইটে সাকিবের নিষেধাজ্ঞার এই সিদ্ধান্তটি জানানো হয়েছে। ম্যাচ ফিক্সিং-এর প্রস্তাব পাওয়ার পর সেটা গোপন করার অভিযোগে তাকে এই সাজা দেওয়া হয়েছে।

    আইসিসি বলছে, আগামী এক বছর তিনি খেলতে পারবেন না, কিন্তু তিনি যদি সাজার সব শর্ত মেনে চলেন তাহলে তিনি ২০২০ সালের ২৯শে অক্টোবর থেকে মাঠে ফিরে আসতে পারবেন।

    ২০১৮ সালে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ ও ২০১৮ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দুর্নীতির প্রস্তাব দেয়া হয় সাকিব আল হাসানকে।

    সাকিব সেটা যথাযথ কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ আইসিসির এ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে জানায়নি।

    ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে এবং ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ বনাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের একটি ম্যাচে সাকিব দুর্নীতির প্রস্তাব পান।

    আইসিসির বিবৃতি অনুযায়ী ২০২০ সালের ২৯শে অক্টোবর পর্যন্ত তার নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

    এরপর তার স্থগিত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে যেখানে সাকিবকে সন্তুষ্ট করতে হবে যে তিনি আর অপরাধের পুনরাবৃত্তি করবেন না।

    আইসিসির দেয়া বিবৃতিতে সাকিব আল হাসান বলেন, “আমি খুব দুঃখিত, আমার নিষেধাজ্ঞার জন্য। আমি খেলাটি ভালোবাসি, তবে আমার বিরুদ্ধে আনা দায় আমি মেনে নিয়েছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইসিসির যে অবস্থান সেখানে আমি আমার দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে পারিনি।”

    অ্যালেক্স মার্শাল, যিনি আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার, তিনি বলেন, ” সাকিব অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটার, সে অনেক প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন, এটা তার দায়িত্ব ছিল এই প্রস্তাবগুলো রিপোর্ট করা।”

    আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার আশা করছেন, সাকিব আর এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাবেন না এবং ভবিষ্যতে আইসিসির দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করবেন।

  • ঢাকা-বাকু সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর

    ঢাকা-বাকু সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর

    বাংলাদেশ এবং আজারবাইজানের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারে আজ দু’দেশের মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আজারবাইজান প্রেসিডেন্ট ইলহাম এলিয়েভের মধ্যে এখানে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে অনুষ্ঠিত এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়।

    বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এবং আজারবাইজানের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী ড. আবুলফাস গারায়েভ স্ব স্ব দেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম এলিয়েভ চুক্তি স্বাক্ষরকালে উপস্থিত ছিলেন।

  • বাংলাদেশ পর্যটন খাত বিশ্বমানে পরিণত হওয়ার পথে-মেয়র

    বাংলাদেশ পর্যটন খাত বিশ্বমানে পরিণত হওয়ার পথে-মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ পর্যটন খাত বিশ্বমানে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে চলছে। এখাতে যারা বিনিয়োগ করছেন তাদের জন্য সুদিন অপেক্ষা করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর পেনিনসুলা হোটেলে ১১তম তিনব্যাপি আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার ট্রার্ভেল মার্ট-২০১৯ উদ্বোধনকালে সিটি মেয়র একথা বলেন।

    সিটি মেয়র আরো বলেন, অতীতে আমাদের পর্যটনখাত উন্নয়নে যারা দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন,তারাই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। ফলে দেশের পর্যটনখাত উন্নয়নে প্রচুর সম্ভাবনা থাকা সত্বেও সেই ভাবে এগিয়ে যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যটনখাতের উন্নয়নে অত্যাধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। সেজন্য পর্যটনশিল্পের বিকাশে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এর মধ্যে দিয়ে এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পর্যটনের বিকাশ দারুণ সহায়কের ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

    তিনি বলেন চট্টগ্রাম নগরীকে বিশ্বমানের শহর গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে চসিক। এতে চট্টগ্রামে দৃশ্যমান পরিবর্তন হচ্ছে। সড়ক,আইল্যান্ড,মিডিয়ান,মিড-আইল্যান্ডএর সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলমান রয়েছে। নগরীর সব সেবা সংস্থার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সমন্বয়ের চেষ্টা করছি। এই সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে জনদুর্ভোগ কমে আসবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    সিটি মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা উপলব্ধি করেই পাক্ষিক দি বাংলাদেশ মনিটর এখানে ট্যুরিজম ফেয়ার করছে। তজ্জন্য সিটি মেয়র ট্যুরিজম ফেয়ার উদ্যোক্তদের ধন্যবাদ জানান। এই প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন, সম্ভাবনাময় দেশ বাংলাদেশ। এ অফুরান সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে নাগরিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

    চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়িতে দেখার অনেক কিছু আছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বলা হয় এই চট্টগ্রামকে। তাই এয়ারলাইন্সগুলোকে চট্টগ্রামের পর্যটন শিল্পের বিকাশে যথাযর্থ দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে হবে। কানেকটিভিটি যত দ্রুততর করা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

    সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম ট্যুরিজম ক্যাপিটাল দ্য বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম, এয়ার এরাবিয়ার কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মুবিন রশীদ ও ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

    অনুষ্ঠানে মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের অপার পর্যটন সম্ভাবনা দেশ বিদেশের পর্যটকদের মধ্যে তুলে ধরার লক্ষ্যে দি বাংলাদেশ মনিটর ২০০৯ সালে প্রথম এই মেলার আয়োজন করে। উত্তরোত্তর মেলার পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তিনি অদুর ভবিষ্যতে চিটাগাং ট্রাভেল মার্ট এতদ্বঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন ইভেন্ট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    আগামী ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত এই মেলা চলবে। পরে মেয়র ফিতা কেটে তিনব্যাপি আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার উদ্বোধন করেন।