Tag: বাংলাদেশ

  • বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হতাশ করে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়

    বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হতাশ করে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়

    নানা অলিগলি পেরিয়ে টি-টোয়েন্টিতে আবারো নতুন শুরুর দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। এসেছেন নতুন কোচ, বিপিএলে ভালো করে সুযোগ পেয়েছেন একঝাঁক নতুন মুখ। তাদের পরীক্ষা দিতে হয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে। তবে এতসব চ্যালেঞ্জ প্রথম ম্যাচেই টপকে গেল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে আজই প্রথমবার ইংল্যান্ডকে হারানোর আনন্দ পেল সাকিব আল হাসানের দল। বল হাতে হাসান মাহমুদদের মিতব্যয়ী বোলিংয়ের পর শান্ত ও সাকিবের ব্যাটে ভর করে ৬ উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে গেল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হতাশ করে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়

    টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এছাড়া সাকিব অপরাজিত থাকেন ৩৪ রানে।

    চট্টগ্রামের সাগরিকা পাড়ে দর্শক ছিল না শেষ ওয়ানডেতে, তবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। গ্যালারি ভর্তি দর্শকদের সাসনে সাকিবের দল প্রথমবার হারাল ইংল্যান্ডকে। মাঠজুড়ে শুধু একটাই চিৎকার, একটাই হুংকার ‘বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশ’।

    বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ইংল্যান্ডের দেওয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ভঙ্গিতে খেলতে থাকে বাংলাদেশ দল। প্রায় ৮ বছর পর দলে ফেরা রনি তালুকদার দেখালেন ফুরিয়ে যাননি তিনি। তবে আগ্রাসী ইনিংস খেললেও পারেননি ইনিংস দীর্ঘ করতে। ১৪ বলে ২১ রান করে বিদায় নেন টাইগার এই ওপেনার। এরপরই দুঃস্বপ্নের ওয়ানডে সিরিজ কাটানো লিটনও প্রত্যাবর্তনের বার্তা দিয়ে ফিরে যান ১২ রান করে।

    এরপরের গল্পটা শুধু শান্ত আর হৃদয়ের। জোফরা আর্চার, স্যাম কারান, আদিল রশিদ কাউকেই ছাড় দেননি শান্ত। মার্ক উডের ৪ বলে ৪ টা চারই হাঁকিয়ে বসে বাঁহাতি এই ব্যাটার। অন্যপ্রান্তে শান্তকে সঙ্গ দিয়ে চলছিলেন অভিষিক্ত হৃদয়। ২৭ বলে শান্ত তুলে নেন অর্ধ-শতক। তবে এরপরের বলেই ১৭ বলে ২৪ রান করে ফিরে যান হৃদয়।

    অর্ধ-শতক করে শান্তও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৫১ রানে থাকা অবস্থায় উডের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন টাইগার এই ব্যাটার। বাকি গল্পটা আফিফ হোসেনকে নিয়ে শেষ করেছেন সাকিব। এই দুই ব্যাটারের ৪৬ রানের জুটিতে ভর করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। আফিফ থাকেন ১৩ রানে অরপরাজিত। ইংলিশদের হয়ে ১ টি করে উইকেট সংগ্রহ করেছেন জোফরা আর্চার, মঈন আলি, আদিল রশিদ এবং মার্ক উড।

    দিনের শুরুতে অবশ্য টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় ইংলিশরা। ইংলিশ দুই ওপেনার ফিল সল্ট এবং জস বাটলার মিলে গড়েন ৮০ রানের জুটি। তবে ৩৮ রানে সল্ট ফিরলেও ইনিংসের শেষ দিকে গিয়ে ৬৭ রান করে ফেরেন বাটলার। এছাড়া বেন ডাকেট করেন ২০ রান।

    টাইগারদের হয়ে দারুণ বল করা হাসান মাহমুদের বল খেলতে বেশ বেগ পেতে হয় ইংলিশ বোলারদের। এছাড়া ডেথ ওভারে তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান করেছেন নজরকাড়া বোলিং। যে কারণে শেষ ৫ ওভারে ইংলিশরা তাদের স্কোর বোর্ডে সংগ্রহ করে মোটে ৩০ রান।

    শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ইংলিশরা সংগ্রহ করে ১৫৬ রান। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট সংগ্রহ করেছেন হাসান মাহমুদ। এছাড়া ১ টি করে উইকেট সংগ্রহ করেছেন তাসকিন, সাকিব, নাসুম এবং মুস্তাফিজুর।

  • সাকিব ম্যাজিকে বাংলাদেশের ইংল্যান্ড বধ

    সাকিব ম্যাজিকে বাংলাদেশের ইংল্যান্ড বধ

    সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে এসে অবশেষে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৫০ রানে হারিয়ে রোমাঞ্চকর এক জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে দলের জয়ে একদম সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব আল হাসান।

    চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। ব্যাটিংটা ভালো-মন্দের মিশেলে হয়েছে টাইগারদের। ফিফটি হাঁকিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসান। শেষদিকে ৭১ বলে ৭৫ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলেন সাকিব। শেষমেশ ২৪৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

    ২৪৭ রানের মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিল ইংল্যান্ড। ওপেনার ফিল সল্টই বেশি মারমুখি ছিলেন। আরেক ওপেনার আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জেসন রয় আগাচ্ছিলেন কিছুটা ধীরগতিতে। দুজনের জুটি পার করে ফেলে ৫০ রান। সল্টকে ফিরিয়ে দিয়ে ইংলিশদেরকে প্রথম আঘাতটা দেন সাকিব। ২৫ বলে ৩৫ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে দলের দলের ৫৪ রানের মাথায় আউট হয়ে যান সল্ট।

    সল্টের আউটের পর ইংলিশদের রানের গতি কিছুটা কমে যায়। পরের ওভারেই ডেভিড মালানকে আউট করে দেন সিরিজে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা এবাদত হোসেন চৌধুরী। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরের পথ ধরেন মালান।

    পরের ওভারে আরও একটি উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এবার আউট হন জেসন রয়, ফিরিয়েছেন সেই সাকিব। টানা ৩ ওভারে ইংল্যান্ডের ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচটা বেশ জমিয়ে তোলে বাংলাদেশ।

    সেই চাপ থেকে ইংলিশদের উদ্ধার করার চেষ্টা করেন স্যাম কারান এবং জেমস ভিন্স। দুজনে মিলে স্কোরবোর্ডে রান তুলছিলেন তবে কিছুটা ধীরগতিতে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৪৯ রান যোগ করেন ভিন্স এবং কারান। ভিন্স কিছুটা সাবলীল থাকলেও অনেকটাই নড়বড়ে ছিলেন কারান। দলের ১০৪ রানের মাথায় কারানকে ফিরিয়ে দেন মিরাজ। এর কিছুক্ষণ ৪৪ বলে ৩৮ রান করে আউট হন ভিন্স, উইকেটশিকারী এবারও সেই সাকিব। পরের ওভারেই মঈন আলীকে ফিরিয়ে দেন এবাদত। ১৩০ রানের মধ্যে হুট করেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। ইংলিশদের একের পর এক উইকেট তুলে ম্যাচটাকে আবারও জমিয়ে তোলেন টাইগার বোলাররা।

    এরপর ক্রিস ওকসকে সাথে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন অধিনায়ক জস বাটলার। বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন বাটলার। তবে ২৪ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে দলের ১৫৮ রানের মাথায় ইংলিশদের বড় ভরসা বাটলারও আউট হয়ে যান। বাটলারকে ফিরিয়ে দেন তাইজুল ইসলাম। আর তাতেই যেন ম্যাচ হেলে পড়তে শুরু করে বাংলাদেশের দিকে।

    পরে ইংল্যান্ডের বাকি ব্যাটাররা মিলে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন ম্যাচ বের করার। তবে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। বেশ তাড়াতাড়িই বাকি উইকেটগুলো হারিয়ে ১৯৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। সাদা বলের ক্রিকেটের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ৫০ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।

    বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন সাকিব আল হাসান। মাত্র ৩৫ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন এবাদত এবং তাইজুল। এছাড়া ১টি করে উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং মুস্তাফিজুর রহমান। দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন বোলাররা। আর বোলারদের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ফলে বেশ সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।

    এই জয়ের ফলে সিরিজে প্রথম জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচ জেতার কারণে ওয়ানডে সিরিজটা ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড। ওয়ানডে শেষে এবার টি-টোয়েন্টির লড়াইয়ে মাঠে নামবে দুই দল। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়াবে আগামী ৯ মার্চ, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ম্যাচ শুরু হবে বেলা ৩টায়।

  • বড় হারে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ খোয়ালো টাইগাররা

    বড় হারে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ খোয়ালো টাইগাররা

    রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। পরে সাকিব-তামিম মিলে চাপ সামলে নিলেও দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারেননি। মিরপুরে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে ১৩২ রানের বড় ব্যবধানে হারল টাইগাররা। তাতেই এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতল ইংল্যান্ড।

    ৩২৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে স্যাম কুরানের করা প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শূন্য রানেই ফিরে যান ওপেনার লিটন কুমার দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর তৃতীয় ওভারে বল করতে এসে আরও একটি তুলে নেন কুরান। ব্যাট হাতে ৫ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম।

    মাত্র ৯ রানে ৩ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এ সময় দুজন মিলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। অতপর সেই জুটি ভাঙেন ইংলিশ স্পিনার মঈন আলী। ব্যক্তিগত ৩৫ রানে জেমস ভিন্সের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।

    এদিকে সাকিব তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। ৬৯ বলে ৫৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ৩২ রানে মাহমুদউল্লাহ ও ২৩ রানে আফিফ হোসেন সাজঘরে ফেরেন। আর তাসকিনের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। এছাড়া মিরাজ ৭ ও মোস্তাফিজ শূন্যরানে আউট হন। ১ রানে অপরাজিত থাকেন তাইজুল। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৯৪ রানে।

    এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশি দলনেতা তামিম ইকবাল খান। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় সফরকারীরা। তাসকিন আহমেদের করা বলে ৭ রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার ফিল সল্ট। দ্বিতীয় উইকেটে খেলতে নেমে ১১ রান করেন ডেভিড মালান। ভিন্স আউট হন ৫ রানে।

    চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলনেতা জস বাটলারকে সঙ্গে নিয়ে দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকেন ওপেনার জেসন রয়। এ সময় দুজন মিলে তোলেন ১০৯ রান। তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় ইংলিশরা। জেসন রয় তুলে নেন ব্যক্তিগত শতরানের ইনিংস। এরপর সাকিব আল হাসানের করা বলে ব্যক্তিগত ১৩২ রানে আউট হন রয়।

    এরপর মঈন আলীকে নিয়ে দলীয় স্কোর বড় করতে থাকেন দলনেতা জস বাটলার। তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতকের। শতকের পথেই ছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরে তাকে সাজঘরে ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৬৪ বলে ৭৬ রান করেন মিরাজ। আর মাত্র ৩৫ বলে ৪২ রান করেন মঈন আলী।

    এদিকে আদিল রশিদকে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন স্যাম কারেন। ১৯ বলে ৩৩ রানে স্যাম কারেন ও ৫ বলে ৬ রানে আদিল রশিদ অপরাজিত থাকেন।

  • মালানের কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ

    মালানের কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ

    ডেভিড মালানের কাছেই হার টাইগারদের। ইনিংসের শুরু থেকে একের পর এক উইকেট শিকার করে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন তাইজুল, সাকিব, তাসকিনরা।

    কিন্তু উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া ডেভিড মালানের মনসংযোগ ক্রিকেট থেকে ফেরানো যায়নি। তিনি দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে ত্রাতার ভূমিকা পালন করেন।

    ঠাণ্ডা মাথায় ভালো লেন্থের বলগুলো দেখেশুনে মোকাবেলা করার পাশাপাশি খারাপ বলগুলো বাউন্ডারিতে পরিণত করার মধ্য দিয়ে ইংল্যান্ডকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মালান। তার অনবদ্য সেঞ্চুরিতেই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জয় দিয়ে শুরু করে ইংল্যান্ড।

    ক্যারিয়ারের ১৬তম ওয়ানডেতে চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন মালান। গত ১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সেঞ্চুরি করেন মালান। সেই ম্যাচে জস বাটলার ও মালানের জোড়া সেঞ্চুরিতে ২-১ ম্যাচে সিরিজ নিশ্চিত করে ইংলিশরা। সেই সেঞ্চুরির পর আজ খেলতে নেমে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি হাঁকালেন ৩৫ বছর বয়সী এই তারকা ব্যাটসম্যান।

    বাংলাদেশের বিপক্ষে ২১০ রানের টার্গেট তাড়ায় মালান একাই করেন ১১৪ রান। তার ইনিংসটি ১৪৫ বলে ৭টি চার আর ৪টি ছক্কায় সাজানো।

    বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে যায় টাইগাররা। যে কারণে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি বাংলাদেশ।

    ৪৭.২ ওভারে ২০৯ রানেই অলআউট হয় তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলটি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ৮২ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে এ রান করেন। এছাড়া ৪৮ বলে ৩১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩২ বলে ২৩ রান করেন ওপেনার তামিম ইকবাল। ১২ বলে ৮ রানে ফেরেন সাকিব।

  • অনূর্ধ্ব-২০ সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

    অনূর্ধ্ব-২০ সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

    ভুটানি রেফারির ম্যাচ শেষের বাঁশি। কমলাপুর স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে দর্শকের উল্লাস। ডাগআউট থেকে কোচিং স্টাফরা ছুটছেন মাঠে। শামসুন্নাহাররাও ছুটছেন মাঠজুড়ে। নারীদের অনূর্ধ্ব-২০ সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে বাংলাদেশ।

    গত বছরের সেপ্টেম্বরে কাঠমান্ডুতে নারী ফুটবলের জাতীয় দল স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হয়েছিল। সেই টুর্নামেন্টের পর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশকে পরাজিত করে নেপাল চ্যাম্পিয়ন হয়। পাঁচ মাসের মধ্যে সাফ পর্যায়ে বাংলাদেশ-নেপালের তৃতীয় শিরোপা লড়াই হয় আজ। অ-১৫ পর্যায়ে ব্যর্থ হলেও অ-২০ টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলার মেয়েরা।

    নারী ফুটবলে বাংলাদেশ দল দক্ষিণ এশিয়ার বড় নাম। সেটি এখন প্রতিষ্ঠিতও। ২০১৭ সাল থেকে সাফের বয়স ভিত্তিক নারী টুর্নামেন্টের সবকটিতেই ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় নারীদের বয়স ভিত্তিক পর্যায়ে চতুর্থ শিরোপা।

    কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম বাংলাদেশের নারী ফুটবলের জন্য পয়মন্ত ভেন্যু। বয়স ভিত্তিক সাফে এটি নারীদের তৃতীয় শিরোপা জয়ের ভেন্যু। এবারের অ-২০ টুর্নামেন্টে শুরুটা হয়েছিল নেপালকে হারিয়ে। ফাইনালে সেই নেপালের বিপক্ষেেই ৩-০ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ।

    প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আরও এক গোল করে বাংলাদেশ। ৮৬ মিনিটে শাহেদা আক্তার রিপা বক্সের একটু সামনে থেকে দুর্দান্ত ফ্রি কিক নেন। ক্রসবারের সামনে থাকা উন্নতি খাতুন টোকা দিয়ে বল জালে পাঠান।

    ম্যাচের মূল টার্নিং পয়েন্ট ছিল প্রথমার্ধের শেষ পাঁচ মিনিট। ঐ পাঁচ মিনিটে বাংলাদেশ দুই গোল পায়। ৪২ মিনিটে শাহেদা আক্তার রিপা ও ইনজুরি সময়ে অধিনায়ক শামসুন্নাহার গোল করেন।

    প্রথমার্ধের ৩৬ মিনিটের দিকে একটি ভালো আক্রমণ করেছিল নেপাল। বাম প্রান্ত থেকে আসা বল বক্সের মধ্যে বিপজ্জনক জায়গায় পেয়ে যান আমিশা কারকির। তবে তার শট পোস্টের একটু পাশ দিয়ে চলে যাওয়ায় রক্ষা পায় বাংলাদেশ।

    দ্বিতীয়ার্ধে নেপাল গোল পরিশোধের অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।

    আগের তিন ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপনা চাকমা তিনটি সেভ করেন।

    আজ অবশ্য শুরু থেকেই আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের একের পর এক আক্রমণ রুখে দেয় নেপাল। তবে ৪২ মিনিটে এসে আর রক্ষা হয়নি। গোল পেয়ে যান শাহেদা আক্তার রিপা।

    বাংলাদেশের সংঘবদ্ধ আক্রমণ ক্লিয়ার করতে গিয়ে নেপালের ডিফেন্ডার কুমারী তামাং রিপার পায়ে বল তুলে দেন। বক্সের মধ্যে বল পেয়ে রিপা আড়াআড়ি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন।

    মিনিট তিনেক পর বাংলাদেশকে আরেকবার আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দেন অধিনায়ক শামসুন্নাহার। আফিদার বাড়ানো বল নেপালী ডিফেন্ডাররা ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি। বাংলাদেশের অধিনায়ক বল পেয়েই জোরালো শটে গোল করেন।

    প্রথমার্ধের শেষদিকে পাওয়া দুই গোল বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাসী করে এবং নেপালকে মানসিকভাবে পিছিয়ে দেয়। যেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সফরকারীরা। বিপরীতে প্রতিপক্ষের জালে আরেক গোল দিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে শামসুন্নাহাররা।

  • তুরস্কে যাচ্ছে বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দল

    তুরস্কে যাচ্ছে বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দল

    তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনায় মানবিক সহায়তা পাঠাবে বাংলাদেশ। একটি জরুরি চিকিৎসা সহায়তাকারী দল ও একটি উদ্ধারকারী দল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

    এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, তুরস্কে কি ধরনের সহায়তা দরকার তা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ। তাদের প্রয়োজনীয়তার প্রেক্ষিতে জরুরি দুটি দল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। দেশটিতে বিপুল সংখ্যক আহত জনগণকে চিকিৎসা সহায়তা দিতে একটি মেডিকলে টিম পাঠানোর হবে। এই দলে কারা থাকবেন, কী কী সরঞ্জাম, উপকরণ ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানো হবে, তা ঠিক করা নিয়ে কাজ চলছে। এ ছাড়াও তুরস্কে ভূমিকম্পের ঘটনায় উদ্ধারকাজে সহায়তা দিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের ১০ সদস্যের একটি টিমও পাঠানো হচ্ছে। উদ্ধারকারী দলটি আজ রাতে বা আগামীকাল বুধবার তুরস্ক পাঠানো হতে পারে।

    গতকাল সোমবার ভোরে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে বিপুল হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির কারণে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। দুই দেশে মৃত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮০০। এ সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

  • গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ

    গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ

    গণতন্ত্র সূচকে ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান দুই ধাপ এগিয়েছে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) শুক্রবার ‘গণতন্ত্র সূচক ২০২২’ প্রকাশ করেছে। ১৬৭টি দেশ ও অঞ্চল নিয়ে এই সূচক তৈরি করা হয়েছে।

    পাঁচটি মানদণ্ডে একটি দেশের গণতন্ত্র পরিস্থিতি বিচার করে ইআইইউ যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে ২০২২ সালে ১৬৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে ৭৩ নম্বরে।

    ২০২১ সালে এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৭ টি দেশের মধ্যে ৭৫ নম্বরে। সেবার বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫ দশমিক ৯৯।

    সবার শীর্ষে আছে নরওয়ে। দেশটির স্কোর ৯ দশমিক ৮১। দ্বিতীয় অবস্থানে ৯ দশমিক ৬১ স্কোর নিয়ে আছে নিউজিল্যান্ড, তৃতীয় অবস্থানে ৯ দশমিক ৫২ স্কোর নিয়ে আছে আইসল্যান্ড। সুইডেন ও ফিনল্যান্ড যথাক্রমে ৯ দশমিক ৩৯ ও ৯ দশমিক ২৯ স্কোর নিয়ে চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে আছে।

    এই সূচকে ভারত ও পাকিস্তানের অবস্থানএবার যথাক্রমে ৪৬ ও ৬০। ভারতের সঙ্গে শ্রীলঙ্কাও রয়েছে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের শ্রেণিতে। বাংলাদেশের সঙ্গে একই শ্রেণিতে রয়েছে নেপাল (১০১) ও পাকিস্তান (১০৭)।

  • জাতিসংঘ শান্তিবিনির্মাণ কমিশনের সহসভাপতি বাংলাদেশ

    জাতিসংঘ শান্তিবিনির্মাণ কমিশনের সহসভাপতি বাংলাদেশ

    জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত সর্বসম্মতিক্রমে ২০২৩ সালের জন্য জাতিসংঘ শান্তিবিনির্মাণ কমিশনের (পিবিসি) সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২০২২ সালে কমিশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শুক্রবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ সংবাদ জানানো হয়।

    সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কমিশনের সদস্যরা ২০২৩ সালের জন্য ক্রোয়েশিয়াকে সভাপতি এবং বাংলাদেশ ও জার্মানিকে সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন। গতকাল নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে রাষ্ট্রদূত মুহিত আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রোয়েশিয়ার নিকট কমিশনের সভাপতির পদ হস্তান্তর করেন।

    সরকারি তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত কমিশনে সভাপতির দায়িত্ব পালনের সময় বাংলাদেশের প্রতি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিশ্বের সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বশান্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। মুহিত আগামীতে কমিশনের কাজে বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

  • দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশের প্রধান কোচ হলেন হাথুরুসিংহে

    দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশের প্রধান কোচ হলেন হাথুরুসিংহে

    বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে লঙ্কান এই কোচকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নিতে চাওয়া হাথুরুসিংহে দুই বছরের জন্য বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

    রাসেল ডমিঙ্গো দায়িত্ব ছাড়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের পদে চান্দিকা হাথুরুসিংহের নামটি সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছিল। কয়েকদিনের ব্যবধানে সেটাই সত্যি হলো। বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে লঙ্কান এই কোচকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নিতে যাওয়া হাথুরুসিংহে দুই বছরের জন্য বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার এক বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে বিসিবি।

    পরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, তিন ফরম্যাটের দায়িত্বেই থাকবেন হাথুরুসিংহে। ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশে নতুন মিশন শুরু হচ্ছে তার। এর আগে লঙ্কান এই কোচ ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেন। তিন বছর পর হঠাৎ করে নিজেই প্রধান কোচের পদ ছাড়েন তিনি। তার দায়িত্ব ছাড়ার ধরনও ভালো ছিল না। বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকার সফর চলাকালীন সেখান থেকেই পদত্যাগপত্র পাঠান হাথুরুসিংহে, দায়িত্ব নেন শ্রীলঙ্কা দলের।

    হাথুরুসিংহের অমনভাবে দায়িত্ব ছাড়ার ব্যাপারটি অবশ্য বিসিবি মনে রাখেনি। তাই প্রধান কোচের সন্ধানে থাকা বিসিবি সবার আগে যোগাযোগ করে হাথুরুসিংহের সঙ্গে। লঙ্কান এই কোচও দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশে ফেরার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখান, এগোতে থাকে আলোচনা। মঙ্গলবার তিনি নিউ সাউথ ওয়েলসের সহকারী পদ থেকে অব্যাহতি নেন। আর এদিনই প্রধান কোচ হিসেবে তার নাম ঘোষণা করলো ‍বিসিবি।

    দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশের দায়িত্ব নিতে মুখিয়ে আছেন হাথুরুসিংহে। বিসিবির পাঠানো বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আবারও বাংলাদেশের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ পাওয়াটা গর্বের। আমি যখনই বাংলাদেশে গিয়েছিল, সেখান মানুষের সৌহার্দ্য ও সংস্কৃতি আমার খুব ভালো লেগেছে। আমি ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করতে এবং তাদের সাফল্য উপভোগ করতে মুখিয়ে আছি।’

    রাসেল ডমিঙ্গোর স্থলাভিষিক্ত হওয়া হাথুরুসিংহেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘চান্দিকার অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশ ক্রিকেটের সম্পর্কে জ্ঞান তার নিজের জন্য সুবিধার হবে। যা খেলোয়াড়দের উপকৃত করবে। তিনি একজন পরীক্ষিত কৌশলী এবং আগের দফায় জাতীয় দলে তার প্রভাব আমরা দেখেছি।’

    প্রথম মেয়াদে কোচ হিসেবে সফল ছিলেন হাথুরুসিংহে। তার অধীনে প্রথমবারের মতো পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। দারুণ ছন্দে থাকা বাংলাদেশ ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে, যা ছিল প্রথম। লঙ্কান এই কোচের আমলেই ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট জেতে বাংলাদেশ।

    হাথুরুসিংহের তত্ত্বাবধানে তিন বছরে বাংলাদেশ ২১টি টেস্ট ম্যাচ খেলে জিতেছে ৬টিতে। হার মানতে হয় ১১ ম্যাচে, ড্র হয় ৪টি ম্যাচ। তার কোচিংয়ের সময়কালে ৫১ ওয়ানডের মধ্যে ২৫টিতে জেতে বাংলাদেশ, হর ২৩ ম্যাচে। টি-টোয়েন্টিতে ২৯ ম্যাচে ১০ জয়ের বিপরীতে আছে ১৯ হার।

  • যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

    যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

    টুর্নামেন্ট শুরুর প্রথম দুই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে আগেই অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের সুপার সিক্স নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দল। সবশেষ আজ বুধবার বেনোনিত যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে হ্যাটট্রিক জয় পূরণ করল বাংলাদেশের মেয়েরা। শেষ ম্যাচে এদিন যুক্তরাষ্ট্রকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

    যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া স্বল্প লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ২১ রানেই বিদায় নেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার আফিয়া প্রত্যাশা ও সুমাইয়া আক্তার। সাময়িক বিপর্যয় বেশ সামাল দেন স্বর্ণা আক্তার এবং দিলারা আক্তার। স্বর্ণা ২২ রানে ও দিলারা ১৭ করে বিদায় নেন। এই দুই ব্যাটার টানা বিদায় নিলে আবারো চাপে পড়ে বাংলাদেশ দল।

    তবে দিলারা বিশ্বাস (১০) ও পরে মিষ্টি সাহাকে নিয়ে বাকি পথে নিরাপদেই পাড়ি দেন রাবেয়া। দুজনে অবিচ্ছিন্ন থেকে মাঠ ছাড়েন। ২৪ বলে ১৮* রান আসে রাবেয়ার ব্যাট থেকে। আর মিষ্টি অপরাজিত থাকেন ১৪ রানে।

    এর আগে টস হেরে বোলিংয়ে নেমে যুক্তরাষ্ট্রকে অল্প রানেই আটকে দেয় বাংলাদেশ। শুরুতেই লাসিয়া মুল্লাপুদিকে (৫) সাজঘরে ফেরান দিশা বিশ্বাস। এরপর ৫৭ রানের জুটি গড়েন দিশা ধিংগ্রা ও স্নিগ্ধা পল। তবে ৩৯ বলে ২০ রান করে রানআউট হন ধ্রিংলা। স্নিগ্ধা আউট হন ৩৭ বলে ২৬ রান করে।

    ধ্রিংলা ও স্নিগ্ধার বিদায়ের পর গীতিকা কোদালি ও ইসানি ভাঘেলার জুটিতে একশ’ ছাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। শেষ বলে ১৬ রানে মারুফা আক্তারের শিকার হন অধিনায়ক গীতিকা। ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন ইসানি।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর-

    যুক্তরাষ্ট্র- ২০ ওভারে ১০৩/৪ (স্নিগ্ধা ২৬, ধিংগ্রা ২০; দিশা ১৩/২, মারুফা ১৭/১)
    বাংলাদেশ- ১৭.৩ ওভারে ১০৪/৫ (স্বর্ণা ২২, রাবেয়া ১৮*; আদিতিবা ১৫/২)
    ফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী

  • সামরিক শক্তিধর দেশের তালিকায় ৪০তম বাংলাদেশ

    সামরিক শক্তিধর দেশের তালিকায় ৪০তম বাংলাদেশ

    বিশ্বে সামরিক শক্তিতে ১৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪০তম। চলতি বছর (২০২৩) সামরিক শক্তির এ র‍্যাংকিং প্রকাশ করেছে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার (জিএফপি)।

    গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার মার্কিন গোয়েন্দা দপ্তর সিআইএয়ে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ তালিকা প্রকাশ করেছে। একটি দেশের সশস্ত্র বাহিনীর আকার, অর্থনৈতিক অবস্থা, লজিস্টিক সক্ষমতা ও ভৌগোলিক অবস্থানের মতো ৬০টির বেশি বিষয় বিচার–বিশ্লেষণ করে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

    জিএফপি ইনডেক্স অনুযায়ী, সামরিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে। শক্তিমত্তার সূচকে বাংলাদেশের স্কোর শূন্য দশমিক ৫৮৭১। আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। এ অঞ্চলে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমার। পিছিয়ে শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটান।

    সামরিক শক্তিমত্তা সূচকের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির স্কোর শূন্য দশমিক ০৭১২। তালিকায় শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে রয়েছে— যথাক্রমে রাশিয়া, চীন, ভারত, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, জাপান, ফ্রান্স ও ইতালি। তালিকায় তলানিতে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভুটান। শক্তিমত্তার সূচকে দেশটির স্কোর ৬ দশমিক ২০১৭।

  • শিরোপাধারী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশের মেয়েদের বিশ্বকাপ শুরু

    শিরোপাধারী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশের মেয়েদের বিশ্বকাপ শুরু

    দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ইতিহাস গড়ে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে খুদে টাইগ্রেসরা।

    বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট ইতিহাসে এর আগে কখনো অস্ট্রেলিয়ার কোনো নারী দলকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় জয়ে শুভ সূচনা করল বাংলাদেশের নারীরা।

    শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে আসরের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার নারী দলের মুখোমুখি হয় টাইগ্রেসরা। ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৩০ রান করে অজিরা।

    জবাবে দুই ওভার হাতে রেখে জয় তুলে নেয় টাইগ্রেসরা। ম্যাচে অজি দলের বিপক্ষে ১৮ ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান করে ফেলে বাংলাদেশের মেয়েরা।

    এদিন টস হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে দিশা ও মারুফাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থামে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রানে। টাইগ্রেসদের হয়ে জোড়া উইকেট নেন অধিনায়ক দিশা বিশ্বাস ও মারুফা আক্তার। এছাড়া একটি উইকেট নেন করেছেন রাবেয়া খাতুন।

    জবাবে ব্যাট করতে শুরুতেই গোল্ডেন ডাক হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান টাইগ্রেস ওপেনার মিষ্টি সাহা। তবে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে দুর্দান্তভাবে লড়াইয়ে ফেরে বাঘিনীরা। আফিয়া ও দিলারা জুটি দলকে শক্ত ভীত গড়ে দেন। দলীয় ৬৬ রানে আউট হওয়ার আগে ৪২ বলে ৪০ রান করেন দিলারা।

    পরে ক্রিজে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি আফিয়া প্রত্যাশাও। ২২ বলে ২৪ রান করেন তিনি। তবে জুটির বিদায়ের পর স্বর্ণা-সুমাইয়ার অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাঘিনীরা।

    প্রসঙ্গত, গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের অন্য দুই প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ও যুক্তরাষ্ট্র। ১৬ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কা এবং ১৮ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগ্রেসরা।