Tag: বিপিএল

  • দেশে বিদেশে বিপিএলের উন্মাদনা ছড়িয়ে দিতে নতুন উদ্যোগ

    দেশে বিদেশে বিপিএলের উন্মাদনা ছড়িয়ে দিতে নতুন উদ্যোগ

    আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্দা উঠবে বিপিএলের এবারের আসরের। ৭ দলের টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। আসন্ন বিপিএল ঘিরে বড় পরিসরে পরিকল্পনা সাজিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

    বিপিএলকে ভিন্ন মাত্রা দিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও যুক্ত রয়েছেন বলে জানালেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম।

    বিসিবির প্রকাশিত ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘এবারের বিপিএলকে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা আছে। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস নিজেই এর সাথে যুক্ত রয়েছেন, এটা আমাদের জন্য দারুণ একটা সুখবর। আমাদের ক্রীড়া উপদেষ্টা অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে বিপিএলের সাথে জড়িত। বিপিএলের যে শক্তি, আমাদের দেশে এমন উপলক্ষ্য খুব বেশি আসে না যেটাকে নিয়ে সবাই কানেক্টেড থাকি। বিপিএল তেমন এক উপলক্ষ্য। সেই শক্তিটাকে কাজে লাগানোর একটা প্রয়াস আমাদের আছে, সেটাই এসেছে আমাদের প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে।’

    বিপিএলকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হবে উৎসবমুখর পরিবেশ দাবি ফাহিমের, ‘বিপিএলকে যেন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারি। শুধু খেলা না, খেলার বাইরেও আরও অনেক ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। এটুকু বলতে পারি, প্রত্যেক জেলা-উপজেলা মিলে মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম, হতে পারে খেলার আয়োজন, মেলার আয়োজন, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম; যতদিন বিপিএল চলবে সব সাধারণ মানুষ বিপিএলের সাথে কানেক্টেড থাকবে। ব্র্যান্ডিংয়ের প্রয়াস থাকবে, সারা পৃথিবী জুড়ে প্রচারিত হবে, দেখবে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে।’

    ফাহিম আরও বলেন, ‘আমাদের তরুণ সমাজ যে যুদ্ধ করেছে এবং বিজয়ী হয়েছে সেটাও এখানে উঠে আসবে। সত্যিটা পুরো বিপিএলে আমরা দেখানোর চেষ্টা করব।‘

  • জ্যাকের ঝড়ের পর মঈনের হ্যাটট্রিকে আটকে গেল চট্টগ্রাম

    জ্যাকের ঝড়ের পর মঈনের হ্যাটট্রিকে আটকে গেল চট্টগ্রাম

    কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দেওয়া বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ লড়াই করলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে কুমিল্লার পাহাড় পাড়ি দেওয়া সম্ভব হয়নি। মঈন আলির হ্যাটট্রিকে চট্টগ্রাম থেমেছে ১৬৬ রানে। ফলে ৭৩ রানের বড় জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে কুমিল্লা।

    মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান সংগ্রহ করেছে কুমিল্লা। যা বিপিএল ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড। এর আগে ২০১৯ সালের বিপিএলে রংপুর রাইডার্সও ২৩৯ রান করেছিল। ভিক্টোরিয়ান্সদের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০৭ রান করেছেন জ্যাক। ফিফটি পেয়েছেন লিটন ও মঈন আলী।

    জবাবে খেলতে নেমে ১৬ ওভার ৩ বলে ১৬৬ রানে অলআউট হয়েছে চট্টগ্রাম। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৪ বলে ৪১ রান করেছেন তানজিদ তামিম। তাছাড়া ৩৬ রান করে করেছেন সৈকত আলী ও জশ ব্রাউন। কুমিল্লার হয়ে হ্যাটট্রিকসহ ২৩ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন মঈন।

    ২৪০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল চট্টগ্রাম। দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও জশ ব্রাউনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৮০ রান তুলে চট্টগ্রাম। ২৪ বলে ৪১ রান করে তামিম ফিরলে ভাঙ্গে এই জুটি। আরেক ওপেনার ব্রাউন করেছেন ৩৬ রান।

    এই দুজনের বিদায়ের পর পথ হারায় দল। মিডল অর্ডারে সৈকত আলী ছাড়া আর কেউই বলার মতো কোনো রান করতে পারেনি। সৈকতের ১১ বলে ৩৬ রানের ইনিংস কেবলই ব্যবধান কমিয়েছে। ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারেনি। কুমিল্লার হয়ে ২৩ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার করে সেরা বোলার মঈন।

    এর আগে কুমিল্লার ইনিংসের প্রথম ওভারে দুর্দান্ত বোলিংয়ে মেইডেন পেয়েছিলেন নিহাদুজ্জামান। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন কুমিল্লার ব্যাটাররা। বিশেষ করে লিটন এদিন ঝোড়ো শুরু করেন। ২৬ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক।

    ৩১ বলে ৬০ রান করে লিটন সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৮৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটার গোল্ডেন ডাক খেয়েছেন। চারে নেমে দ্রুত ফিরেছেন ব্রুক গেস্টও।

    ২৫ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারালেও তাদের রান রেটে প্রভাব পড়েনি। কারণ অপর প্রান্তে আক্রমণাত্মক ছিলেন জ্যাক। চতুর্থ উইকেট জুটিতে মঈন আলীকে সঙ্গে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ১২৮ রানের জুটি গড়েন জ্যাক। শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে অপরাজিত ১০৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন এই ওপেনার। আর মঈন অপরাজিত ছিলেন ২৪ বলে ৫৩ রান করে।

    চট্টগ্রামের প্রায় সব বোলারই এদিন খরুচে ছিলেন। বিশেষ করে আল আমিন হোসেন দুই হাতে রান বিলিয়েছেন। ৪ ওভারে ৬৯ রান দিয়েছেন এই পেসার। ৪৯ রানে ২ উইকেট শিকার করে দলের সেরা বোলার শহিদুল ইসলাম।

  • বিপিএল থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন মাশরাফি

    বিপিএল থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন মাশরাফি

    বিপিএল থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বহু বিতর্ক আর প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার পর চলতি আসর থেকে সাময়িক বিরতিতে যাচ্ছে সিলেট স্ট্রাইকার্স অধিনায়ক। দল থেকে সরে গিয়ে আপাতত জাতীয় সংসদে হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন সাবেক টাইগার অধিনায়ক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হুইপের দায়িত্ব পেয়েছেন মাশরাফি।

    এদিকে মাশরাফির অনুপস্থিতির এই সময়ে দলের সহ-অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। দলের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই সংবাদ জানানো হয়েছে।

    তবে পুরো আসরের জন্যই মাশরাফিকে ছাড়তে হচ্ছে না সিলেটের। দলটির প্রত্যাশা নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের পর সুযোগ পেলে আবারও দলের সঙ্গে যুক্ত হবেন তিনি। বিজ্ঞপ্তিতে দলের পক্ষ থেকে মাশরাফির এতদিনের নেতৃত্বের জন্য ধন্যবাদ বার্তাও দেওয়া হয়েছে।

    চলতি বিপিএলে অবশ্য শুরু থেকেই চাপের মাঝে আছেন মাশরাফি। নিজে পারফর্ম করছেন নিজের ছায়া হয়ে। বোলিংয়ে রানআপ কমিয়ে হয়েছেন অফ-স্পিনার। ব্যাটার হিসেবে রানিংয়ে ব্যাপক আকারে ভুগছেন। আবার তার দলও ভুগছে। পাঁচ ম্যাচের মধ্যে সবকটিতেই দেখতে হয়েছে হারের মুখ। মাশরাফি এরমাঝে জাতীয় সংসদের হুইপ নির্বাচিত হয়েছেন। সবমিলিয়ে দলকে যিনি একসুতোয় বেঁধে রাখার কারিগর, তিনিই হয়ত আছেন খানিকটা চাপের মাঝে।

    ব্রডকাস্টিং পার্টনারের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মাশরাফিরই সাবেক সতীর্থ মোহাম্মদ আশরাফুল প্রশ্ন তুলেছিলেন মাশরাফির ফিটনেস নিয়ে। তিনি সত্যিই খেলার মত অবস্থায় আছেন কিনা বা নিজ থেকে খেলতে আগ্রহী কিনা সেসব নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। মাশরাফি নিজেও জানিয়েছেন, ফিট না হয়ে খেলা আদর্শ না। কিন্তু সিলেট দলের ম্যানেজার স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজ মালিকপক্ষের চাওয়াতেই ম্যাশ নামছেন মাঠে।

    আবার গতকাল থেকে সংসদের অধিবেশন শুরু হলেও মাশরাফি ছিলেন খেলার মাঠে। সবমিলিয়ে এই বিদায়টা কিছুটা প্রত্যাশিতই ছিল সবার জন্যে। মাশরাফিকে নিয়ে ধুঁকতে থাকা সিলেট, তাকে ছাড়া কেমন করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

  • সিলেটকে হারিয়ে শীর্ষে চট্টগ্রাম

    সিলেটকে হারিয়ে শীর্ষে চট্টগ্রাম

    বিপিএলের নবম আসরের রানার্স-আপ দল সিলেট স্ট্রাইকার্স। এবারের আসরে তারা একের পর এক ম্যাচ হেরেই চলেছে। ঘরের মাঠে গিয়েও বদলাচ্ছে না তাদের ভাগ্য। এবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে ৮ উইকেটে পরাজয়ের স্বাদ নিয়েছে তারা।

    ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে নেমে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সিলেট অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোত্র্তজা। ব্যাটারদের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় স্কোরবোর্ডে জমা করে কেবল ১৩৭ রান। হ্যারি টেক্টরের ৪৫ রানের ইনিংসের পর সিলেটকে টেনে নিয়ে গেছেন রায়ান বার্ল ও আরিফুল হক।

    সহজ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। প্রথম ৩ ওভারে আভিষ্কা ফার্নান্দো ও তানজিদ হাসান তামিমের উদ্বোধনী জুটির রান যখন ২৩, তখন বল হাতে নিয়ে আসা হয় তানজিম সাকিবকে। ঘরের ছেলের হাত ধরেই সিলেট স্ট্রাইকার্স পায় প্রথম ব্রেকথ্রু। শর্ট বলে পরাস্ত হয়ে ক্যাচ আউট হন ১৭ রানে থাকা আভিষ্কা। এরপর টম ব্রুসকে নিয়ে দাপট দেখিয়ে দলকে জয়ের পথ সহজ করে দিয়ে যান তামিম।

    দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এই দুই ব্যাটার মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করে দিয়ে যান ৮৯ রান, তাও আবার ৬৫ বলে। ৩৯ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে তানজিদ হাসান তামিম উইকেট হারান পরের বলেই।

    এবারই প্রথম বিপিএল খেলতে আসা কিউই ব্যাটার টম ব্রুস ব্যাট হাতে ছিলেন অনবদ্য। বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ৪১ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করা ব্রুস ১৪ বল আগেই দলকে জিতিয়েছেন ৮ উইকেটে।

  • তৃতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় জয়

    তৃতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় জয়

    নাজিবুল্লাহ জাদরান শরিফুল ইসলামের পায়ের ওপরের বল লেগ সাইডে ফ্লিক করে দুই রান নেওয়ার জন্য দৌড় দিলেন। সঙ্গী শুভাগত হোমও দিলেন সাড়া। বল ফেরত আসার আগে দুজন ঠিকঠাক প্রান্তও বদল করে নিলেন।

    ওই ২ রানে দুর্দান্ত ঢাকার দেওয়া ১৩৭ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ৬ উইকেটের জয়ে এক ম্যাচ পর বিজয়ের হাসি হেসেছে চট্টগ্রাম। তবে ম্যাচটা কোনোভাবে না জিতলে কনকাসনসাব নিয়ে বিতর্ক উসকে দিত বলেই খবর।

    মিরপুর শের-ই-বাংলায় চট্টগ্রামের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত ঢাকা শুরুতেই ধাক্কা খায়। পেসার আল-আমিনের শর্ট বল দানুশকা গুনাথিকালার মাথায় আঘাত করে। পর্যবেক্ষণের জন্য তাকে মাঠ থেকে উঠিয়ে নেয় ঢাকা। কিন্তু তার পরিবর্তে ঢাকা মাঠে নামায় লাসিথ ক্রুসপুল্লেকে।

    ঢাকার দেওয়া ১৫ জনের স্কোয়াডে ছিল না তার নাম। অথচ কনকাসন সাব হয়ে মাঠে নামেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যান। যিনি দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন ৩১ বলে। তার ৩ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে দুর্দান্ত ঢাকা মামুলি সংগ্রহ পায়। কিন্তু কনকাসন সাব নিয়ে ম্যাচে ছড়ায় বিতর্ক।

    ১৫ জনের স্কোয়াডের বাইরের খেলোয়াড়কে মাঠে নামানোর সুযোগ আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। এ নিয়ে ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি, ম্যাচের পর কথা বলার কথা জানান। এরপর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।

    ঢাকার ইনিংস মূলত একাই টানেন ক্রুসপুল্লে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান আসে ইরফান শুক্কুরের ব্যাট থেকে। শেষ দিকে কেবল তাসকিন আহমেদ তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান। বাকিরা থেমে যান সিঙ্গেল ডিজিটে।

    বল হাতে পেসার আল-আমিন হোসেন ১৫ রানে ২ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামের সেরা বোলার। এছাড়া ২ উইকেট পেয়েছেন বিলাল খানও।

    লক্ষ্য তাড়ায় তানজিদ হাসানের ৪৯ রানে ভালোভাবেই জবাব দেয় চট্টগ্রাম। কিন্তু ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারেননি তিনি। ৪০ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ রানের ইনিংসটি খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন বাঁহাতি ওপেনার। তবে শেষ দিকে ঝড় তুলে জয় নিশ্চিত করেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। ১৯ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩২ রান করেন তিনি।

    শরিফুল বল হাতে ২ উইকেট পেলেও রান দিয়েছেন ৪০টি। তাসকিন ও উসমান কাদির নেন ১টি করে উইকেট।

    মিরপুরে দিনের ম্যাচে লাগাতার লো স্কোরি হচ্ছে। এর আগে প্রথম দুই দিনে রান হয়নি। প্রথম দিন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স করেছিল ১৪৩ রান। দ্বিতীয় দিন রংপুরের রান ছিল ১৩৪। আজ হলো ১৩৬।

  • সিলেটকে উড়িয়ে চট্টগ্রামের শুভসূচনা

    সিলেটকে উড়িয়ে চট্টগ্রামের শুভসূচনা

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স হারের স্বাদ দিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে। রোমাঞ্চকর ম্যাচে চট্টগ্রাম পেয়েছে ৭ উইকেটের জয়।

    ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম। সিলেটের হয়ে ইনিংস সূচনা করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ মিঠুন। শান্তকে রানের জন্য লড়াই করতে হলেও তুলনামূলক স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন মিঠুন।

    ৩০ বলে ৭টি চারে ৩৬ রান করে শান্ত বিদায় নিলে দলীয় ৬৭ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। দলীয় ৯৫ রানে বিদায় নেন মিঠুনও। তার আগে ২৮ বলের মোকাবেলায় ৪০ রান করার পথে হাঁকান ৪টি চার ও ২টি ছক্কা, স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪২.৮৫।

    তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন জাকির হাসান ও হ্যারি টেক্টর। জাকিরের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সিলেট পায় বড় সংগ্রহের ভিত।

    টি-২০ ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ অর্ধশতক তুলে নেওয়ার দিনে জাকির ছিলেন বেশ সাবলীল।

    ইনিংসের শেষ অবধি ৪২ বলে ৬৮ রান করে অপরাজিত থাকেন জাকির। একটি ছক্কার সাথে চারের বৃষ্টি সাজানো জাকিরের উইলো চার হাঁকিয়েছে মোট ৭টি। এছাড়া ২০ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন হ্যারি টেক্টর। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে সিলেটের পুঁজি ১৭৭ রান।

    জবাব দিতে নেমে শুরুতেই তানজিদ হাসান তামিমকে হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রাম। অভিষকা ফার্নান্দো দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করলেও ২৩ বলে ৩৯ রান করে বিদায় নেন তিনিও।

    মাশরাফি বিন মুর্তজা ২৫০ দিন পর বল হাতে নিয়েই শিকার করেন ইমরানউজ্জামানকে।

    ৫৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো চট্টগ্রাম অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ায় চতুর্থ উইকেটে। শাহাদাত হোসেন দিপু ও নাজিবউল্লাহ জাদরানের অবিচ্ছিন্ন ১২১ রানের পার্টনারশিপে ৯ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় চট্টগ্রাম। দিপু ৩৯ বলে ৫৭ ও জাদরান ৩০ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত থাকেন।

  • বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলবেন তামিম

    বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলবেন তামিম

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের (বিপিএল) সামনের আসরে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলবেন তামিম ইকবাল। আইকন ক্রিকেটার হিসেবে দেশসেরা ওপেনারকে দলে ভিড়িয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

    বিপিএলে সর্বশেষ দুই মৌসুমে ফরচুন বরিশালের আইকন ক্রিকেটার এবং অধিনায়ক হিসেবে খেলেছেন সাকিব আল হাসান। তবে এবার বরিশাল ছেড়ে রংপুর রাইডার্সে নাম লিখিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

    সাকিবকে হারিয়ে তামিমের দিকে হাত বাড়িয়েছে বরিশাল। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে এক বছরের চুক্তি হয়েছে দেশসেরা ওপেনারের।

    আগামী বছরের শুরুতে বিপিএলের আসর মাঠে গড়ানোর কথা। তবে ওই সময় জাতীয় নির্বাচন থাকবে বলে এখনও দিন তারিখ নির্দিষ্ট করা যায়নি।

  • সিলেটকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা

    সিলেটকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা

    শিরোপা জিততে হলে করতে হবে ১৭৬ রান। ফাইনালের মঞ্চে এমন স্কোর চ্যালেঞ্জিংই। লিটন সে লক্ষ্যে ভালো করলেও ইমরুল কায়েস ও সুনিল নারিনের দ্রুত বিদায়ে শঙ্কার কালো মেঘ ছিল কুমিল্লার আকাশে। তবে জনসন চার্লস ও মঈন আলির ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে শেষটা প্রবল প্রশান্তির কুমিল্লার। মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্সকে সাত উইকেটে উড়িয়ে বিপিএলে ফের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

    বিপিএলে কুমিল্লার এটি টানা দ্বিতীয়, সব মিলিয়ে রেকর্ড সর্বোচ্চ চতুর্থ শিরোপা। অন্যদিকে প্রথমবারের মতো ফাইনালে এলেও শিরোপা অস্পর্শ থাকল সিলেটের। বিপিএল ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো কোনো ফাইনালে হারলেন অধিনায়ক মাশরাফিও।

    মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার আগে ব্যাট করতে নেমে সাত উইকেটে ১৭৫ রান করে সিলেট। জবাবে চার বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় কুমিল্লা, ১৭৬/৩।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ২৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় কুমিল্লা। ৫ বলে ১০ রান করা সুনিল নারিন রুবেলের শিকার। টিকতে পারেননি ইমরুল কায়েস। লিন্ডের বলে পেরেরার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২ রান করা কুমিল্লা অধিনায়ক।

    এরপর জনসন চার্লসের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে তোলেন ওপেনার লিটন দাস। এই জুটিতে আসে ৫৭ বলে ৭০ রান। লিটনকে ফিরিয়ে এই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন রুবেল হোসেন। ৩৯ বলে সাত চার ও এক ছক্কায় ৫৫ রানের দারুণ ইনিংস খেলে ফেরেন লিটন।

    লিটনের বিদায়ের পর কুমিল্লাকে কক্ষপথে রাখেন দুই বিদেশি জনসন চার্লস ও মঈন আলি। বিশেষ করে চার্লসের খুনে ব্যাটিংয়ে হেসেখেলে জেতে কুমিল্লা। ৫২ বলে সাত চার ও পাঁচ ছক্কায় ৭৯ রানে অপরাজিত থাকেন চার্লস। ১৭ বলে মঈন অপরাজিত থাকেন ২৫ রানে।

    এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সিলেট। তানভীরের বলে শূন্য রানে বোল্ড ওপেনার তৌহিদ হৃদয়। রাসেলের বলে ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ দেন সিলেট অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা (৪ বলে ১ রান)।

    তৃতীয় উইকেট জুটিতে কুমিল্লার বোলারদের শাসন করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। এই জুটি দলকে নিয়ে যান ১০৫ রান পর্যন্ত। দারুণ খেলতে থাকা শান্ত বিদায় নেন মঈন আলির বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে। যাওয়ার আগে করে যান ৪৫ বলে ৬৪ রানের ইনিংস।

    ৯টি চারের পাশাপাশি তিন হাঁকান এক ছক্কাও। এই ইনিংসের সুবাদে বিপিএলে এক আসরে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে পাঁচশ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।

    এরপর ফিফটির দেখা পান অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও। ৩৫ বলে তিনি স্পর্শ করেন পঞ্চাশ। শেষের দিকে ১১ বলে ১৩ রান করে ফেরেন রায়ান বার্ল। নারিনের বলে গোল্ডেন ডাক মারেন লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা। ৬ বলে ৯ রান করে মুস্তাফিজের শিকার জর্জ লিন্ডে। ৪৮ বলে ৭৪ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মুশফিকুর রহিম। বল হাতে কুমিল্লার হয়ে মুস্তাফিজুর দুটি, রাসেল, তানভীর, নারিন, মঈন একটি করে উইকেট নেন।

  • রংপুরকে বিদায় করে ফাইনালে সিলেট

    রংপুরকে বিদায় করে ফাইনালে সিলেট

    ফাইনালের আগে আরেক ফাইনাল। মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই বাংলায় দ্বিতীয় এলিমিনেটরের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ১৯ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিপিএলের ফাইনালে সিলেট স্ট্রাইকার্স।

    বিপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মুর্তজার ছোঁয়ায় এ যেন বদলে যাওয়া এক সিলেট। আগের আসরগুলোতে যেখানে তলানিতে ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি, এবার মাশরাফি নামক এক জাদুকরের স্পর্শে বাইশগজে দ্যুতি ছড়াচ্ছে তারা। আসরের শুরু থেকেই দারুণ দাপট দেখিয়েছে সিলেট। এবার প্রথমবারের মতো নিশ্চিত হলো ফাইনালও।

    আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি শিরোপার লড়াইয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে লড়বে মাশরাফি বাহিনী।

    এর আগে প্রথম ইনিংসে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ব্যাট হাতে দারুণ শুরুই করেছিল সিলেট। শুরুতে শান্ত এবং তৌহিদ হৃদয় ভালো শুরু এনে দেন দলকে। তবে দলীয় ৬৫ রানে হাসান মাহমুদের শিকারে পরিণত হয়ে ব্যক্তিগত ২৫ রান করে বিদায় নেন হৃদয়। তখনো ব্যাট হাতে অবিচল শান্ত।

    তিনে নামা মাশরাফি মুর্তজা এদিন শুরু থেকেই আগ্রাসী হয়ে ব্যাট করতে থাকেন। ৪০ রানে থাকা অবস্থায় লেগ বিফোরের ফাঁদে ফিরে যান শান্তও। এরপরই আবার সিলেট শিবিরে আঘাত ডোয়াইন ব্রাভোর, ২৮ রানে থাকা অবস্থায় মাশরাফিকে প্যাভিলিয়নে পাঠান এই পেসার।

    এছাড়া দলের হয়ে বড় রান পাননি জাকির হাসান, মুশফিকুর রহিম কিংবা রায়ার বার্লরা। ১৪২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর জর্জ লিন্ডেকে নিয়ে লড়াই করতে থাকেন থিসারা পেরেরা। শেষ পর্যন্ত এই দুই ব্যাটারের ৩৬ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহ পায় সিলেট। পেরেরা ২১ রানে থাকা অবস্থায় রান আউটে কাটা পড়েন। তবে শেষ পর্যন্ত লিন্ডে অপরাজিত থাকেন করেন ২১ রান। দলের রান গিয়ে দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৮২ রান।

    সিলেটের দেওয়া ১৮৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে শেষ ১৮ বলে ৩৩ রানের লক্ষ্য ছিল রংপুরের। ক্রিজে ছিলেন দুই থিতু হয়ে যাওয়া ব্যাটার রনি তালুকদার ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। জয়ের পাল্লা ভারি ছিল রংপুরেরই। তবে প্রতিপক্ষের নাটাই যখন মাশরাফির হাতে, কিছু ঝলকের অপেক্ষায় ছিলেন সিলেট সমর্থকরা।

    ১৮তম ওভারে মাশরাফি বল তুলে দিলেন তরুণ তানজিম সাকিবকে। আস্থার প্রতিদান দিতেও ভুললেন না। একই ওভারে রনি ও সোহানকে সাজঘরে ফিরিয়ে কার্যত ম্যাচটা তখনই বের করে ফেলেছেন। এরপর ক্রিজে নেমে ব্যর্থ হয়েছেন ব্রাভো ও শেখ মেহেদীরা। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শেষ ১৮ বলে রংপুর তুলতে পেরেছে কেবল ১৩ রান। মাশরাফির বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্ব ও বোলারদের কল্যানে সিলেট ১৯ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

  • সিলেটকে হারিয়ে সবার আগে ফাইনালে কুমিল্লা

    সিলেটকে হারিয়ে সবার আগে ফাইনালে কুমিল্লা

    ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে বড় লক্ষ্য দাঁড় করাতে পারেনি সিলেট স্ট্রাইকার্স। বোলাররা চেষ্টা করলেও পেরে উঠেননি। তাই শেষ পর্যন্ত হেরে যেতে হয়ে সিলেটকে। তাদের দেওয়া মামুলি লক্ষ্য সহজেই টপকে গেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ২০ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা।

    সুনীল নারিন উদ্বোধনীতে নেমে করেছিলেন মারকুটে ব্যাটিং। আর শেষে হাল ধরেছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। তাদের ব্যাটিং অবদানে জয়ের খুব কাছে চলে গিয়েছিল কুমিল্লা। ১৭তম ওভারের ৫ম বলে রুবেলকে ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত আন্দ্রে রাসেল।

    তাতে আসরের প্রথম কোয়ালিফাইয়ার ম্যাচে সিলেট হেরেছে কুমিল্লার কাছে। লিগ পর্বে দুই দলের দেখায় শেষ ম্যাচটিও হেরেছিল সিলেট।

    আজ টস হেরে প্রথমে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারও খেলতে পারেনি সিলেট। ১৭.১ ওভারে ১২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় মাশরাফী বাহিনী। মাত্র ১২৬ রানের লক্ষ্য পেয়ে শুরুতে লিটন দাসের সঙ্গে সুনীল নারিন ভালো জুটি গড়েন। লিটন ধুঁকতে থাকলেও ধুন্ধুমার ব্যাট চালাতে থাকেন নারিন। ১৮ বলে ৪ ছক্কা ও ৩ চারে করেন ৩৯ রান।

    তবে নারিনের আগে ১০ বলে ৭ রান করে ফিরে যান লিটন দাস। জনসন চার্লস ও ইমরুল কায়েসও বেশিক্ষণ টিকে থাকেননি। তবে মোসাদ্দেক হোসেন মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন। তার সঙ্গে নেমে মঈন আলি ১৩ বলে ২১ রান করে আউট হয়ে যান।

    শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন ও আন্দ্রে রাসেল। মোসাদ্দেক তিন চারে ২৭ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে রাসেল ১০ বলে দুই ছক্কায় ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।

  • বিশাল জয়ে শীর্ষ দুয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

    বিশাল জয়ে শীর্ষ দুয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

    প্রথমে ব্যাটাররা এনে দিলেন চ্যালেঞ্জিং স্কোর, সেই ভিতে দাঁড়িয়ে বোলাররা হয়ে উঠলেন বিধ্বংসী। মুস্তাফিজুর রহমান, তানভীর ইসলাম আর সুনিল নারাইন ব্যাটারদের আতঙ্ক হয়ে উঠেছিলেন। দুর্দান্ত টিম পারফরম্যান্সে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৭০ রানের বড় জয় পেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এই জয়ে তারা পয়েন্ট টেবিলের ২ নম্বর দল হিসেবে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করে ফেলল। শীর্ষে আছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।

    রান তাড়ায় নেমে দলীয় ১২ রানেই প্রথম উইকেট হারায় রংপুর। তানভীর ইসলামের বলে ক্যাচ দেন নাঈম শেখ (৬)। দলীয় ২০ রানে সুনিল নারাইন বোল্ড করে দেন রনি তালুকদারকে (১৩ বলে ১৩)। টপ অর্ডারে একমাত্র রহমানুল্লাহ গুরবাজ ২২ বলে ১ চার ২ ছক্কায় ২৯ রান করেন। তাকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর তানভীরের বলে টম ক্যাডমোর (১), আন্দ্রে রাসেলের বলে অধিনায়ক নুরুল (৭) এবং মুস্তাফিজের বলে শামীম হোসেন পাটোয়ারী (১১) দ্রুত ফিরে গেলে বিপদে পড়ে যায় রংপুর রাইডার্স।

    ১১ ওভারে ৭৪ রানে নেই ৬ উইকেট। সুনিল নারাইনের দ্বিতীয় শিকার আজমতুল্লাহ করেন ১১ রান। ১৭ ওভারে ১০৭ রানে অল আউট হয়ে যায় রংপুর রাইডার্স। কুমিল্লা পায় ৭০ রানের বড় জয়। ৩ ওভারে ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। ২টি করে উইকেট নেন তানভীর ইসলাম এবং সুনিল নারাইন।

    এর আগে মিরপুর শেরেবাংলায় আজ শুক্রবার দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১৭৭ রান তোলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। লিটন দাস আর মোহাম্মদ রিজওয়ান উপহার দেন ৪৩ রানের ওপেনিং জুটি। উইকেটের পেছনে দারুণ ডাইভে ২১ বলে ২ চার ১ ছক্কায় ২৪ রান করা রিজওয়ানের ক্যাচ নিয়ে এই জুটি ভাঙেন রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। উইকেটে এসেই জোড়া বাউন্ডারিতে ঝড়ের ইঙ্গিত দিলেও সুনিল নারাইন ফেরেন ৮ রানে। বিধ্বংসী মেজাজে থাকা লিটন দাস খেলেন ৩৩ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৪৭ রানের ইনিংস।

    এরপর অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের (১৯) আউটে সাময়িক চাপে পড়লেও জাকের আলী আর খুশদিল শাহর দারুণ জুটিতে দ্রুতই সেই চাপ কেটে যায়। ইনিংসের শেষ ওভারে পঞ্চম বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২৩ বলে ৩ ছক্কায় ৩৪ রান করা জাকের। ভাঙে ৭২ রানের দারুণ এক জুটি। এক বলের জন্য মাঠে নেমে আন্দ্রে রাসেল বলটি ব্যাটে লাগাতে পারেননি। ২০ বলে ২ চার ৩ ছক্কায় ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন খুশদিল। ২০ ওভারে কুমিল্লার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৭৭ রান। রংপুরের হয়ে আজমুল্লাহ নিয়েছেন ৩৪ রানে ২ উইকেট।

  • ঘরের মাঠে খুলনার কাছে সিলেটের লজ্জার হার

    ঘরের মাঠে খুলনার কাছে সিলেটের লজ্জার হার

    ঘরের মাঠে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের যাত্রাটা সুখের হলো না সিলেট স্ট্রাইকার্সের। এ দিন ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতায় বড় হারের লজ্জায় পড়তে হয় দারুণ ছন্দে থাকা মাশরাফীর দলকে। সিলেটকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে খুলনা টাইগার্স।

    আজ শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ৯২ রান করে টেবিল টপাররা। জবাবে ২৬ বল বাকি থাকতে ১৫.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ৯৩ রান করে খুলনা।

    সিলেটের স্বপ্ল পুঁজিতে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি রংপুরকে। উদ্বোধনী জুটিতে ২৭ রান করেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও রনি তালুকদার। ব্যক্তিগত ১৮ রানে নাঈম আউট হলেও শেষ অবধি অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে রনি। ৩৭ বলে ৩৭ রান করেন রনি। শেষ দিকে ১৩ বলে ১৮ রান করে তাকে সঙ্গ দেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজ।

    এর আগে, ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় সিলেট। দলীয় মাত্র ১৮ রানে সাজঘরে ফেরেন সিলেটের ৭ ব্যাটার। তৌহিদ হৃদয়, জাকির হাসান, মুশফিকুর রহিম আউট হন শূন্য রানে। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া সিলেটকে চরম লজ্জা থেকে রক্ষা করেন অধিনায়ক মাশরাফী ও তানজিম হাসান সাকিব।

    দুজনের মিলে ৪২ বলে গড়েন ৪৮ রানের জুটি। ২১ বল খেলে ২ ছক্কায় ২১ রান করেন মাশরাফী। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ বলে তানজিম করেন ৪১ রান। রংপুরের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও ওমরজাই। এ ছাড়া মেহেদী দুটি ও হারিস রউফ নেন একটি উইকেট।