Tag: বিপিএল

  • সিলেটের টানা তৃতীয় জয়, টানা দ্বিতীয় হার কুমিল্লার

    সিলেটের টানা তৃতীয় জয়, টানা দ্বিতীয় হার কুমিল্লার

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে দুরন্ত ছন্দে রয়েছে সিলেট সিক্সার্স। সোমবার বিপিএলের ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে মাশরাফি ব্রিগেড। অন্যদিকে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা হজম করল টানা দ্বিতীয় হার।

    মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৪৯ রান করে কুমিল্লা। জবাবে সিলেট ৫ উইকেটের জয় পায় ১৪ বল হাতে রেখে। টানা তিন জয়ে পূর্ণ ছয় পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে সিলেট সিক্সার্স। অন্যদিকে টানা দুই হারে ষষ্ঠ স্থানে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

    লক্ষ্যে খেলতে নামা সিলেট শুরুতে মোহাম্মদ হ্যারিসের উইকেট হারালেও জয় পেতে তেমন বেগ পেতে হয়নি দলটির। মুশফিক, জাকির ও তৌহিদের ব্যাটে ঠিকই তুলে নেয় দারুণ জয়। ৩৭ বলে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন তৌহিদ হৃদয়। চার ছক্কার পাশাপাশি তিনি হাঁকান তিনটি চার। মুশফিকুর রহিম ২৮ রানে থাকেন অপরাজিত। জাকির হোসেন ২০, নাজমুল হোসেন শান্ত ১৯ রান করেন।

    এর আগে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লার হয়ে ৪৩ বলে সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন জাকের আলী। তিন ছক্কার পাশাপাশি দুটি চার হাঁকান তিনি। ৩৯ বলে তিন চারে ৩৭ রান করেন ওপেনার ডেভিড মালান।

    আরেক ওপেনার লিটন দাস ব্যর্থ। ৪ বলে দুই চারে তিনি করেন ৮ রান। অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও (২) পারেননি জ্বলে উঠতে। ১২ বলে ২০ রান করেন সৈকত আলী। লোয়ার অর্ডারে মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ নবী, আবু হায়দার ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের রান।

    বল হাতে সিলেটের হয়ে থিসারা পেরেরা ও মোহাম্মদ আমির দুটি করে উইকেট নেন। অধিনায়ক মাশরাফি ও ইমাদ ওয়াসিম পান একটি করে উইকেট।

  • রান উৎসবের ম্যাচে বরিশালকে উড়িয়ে দিল সিলেট

    রান উৎসবের ম্যাচে বরিশালকে উড়িয়ে দিল সিলেট

    সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই মিরপুর শেরেবাংলায় দেখা দিল রান উৎসব। ফরচুন বরিশালের ১৯৪ রান ১ ওভার হাতে রেখেই টপকে গেল সিলেট স্ট্রাইকার্স। ৬ উইকেটের দারুণ জয়ে শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ন রাখল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। অন্যদিকে বৃথা গেল সাকিব আল হাসানের বিধ্বংসী ফিফটি। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে সিলেটের জয় নিশ্চিত করলেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে যাওয়া মুশফিকুর রহিম আর লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা।

    বড় স্কোর তাড়ায় নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই রান আউট হন কলিন আকারম্যান (১)। দুর্দান্ত থ্রো করেন খালেদ আহমেদ। এরপরই দ্বিতীয় উইকেটে ৬৭ বলে ১০১ রানের দারুন জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত আর তৌহিদ হৃদয়। ৩৯ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় ৪৮ করে সঙ্গীর সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান শান্ত। এরপর মিরাজকে বাউন্ডারি মেরে ৩০ বলে ফিফটি তুলে নেন তৌহিদ হৃদয়। উইকেটে এসেই দারুণ সব শট খেলতে থাকেন জাকির হাসান। একবার অবশ্য সহজ ক্যাচ দিয়ে বেঁচেও যান। ৩৪ বলে ৫৫ রান করে তৌহিদ হৃদয় এলবিডাব্লিউ হয়ে যান। শিকারি করিম জানাত।

    এই আফগান পেসারকে পরপর দুটি বাউন্ডারি মেরে শুরু করেন মুশফিক। জয়ের সুবাস পেতে থাকে সিলেট। ১৭তম ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে প্রতিরোধ গড়েন পেসার খালেদ আহমেদ। জয়ের জন্য শেষ তিন ওভারে সিলেটের প্রয়োজন পড়ে ২৭ রানের। ডিসিলভার করা প্রথম বলে ছক্কা মারেন জাকির। পরের বলটি উড়িয়ে মারতে গিয়ে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে থামে তার ১৮ বলে ৪টি চার এবং ৩টি ছক্কায় ৪৩ রানের ইনিংস। মুশফিকুর রহিম আর থিসারা পেরেরা বিধ্বংসী ব্যাটে ১ ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স।

    এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৯৪ রানের বিশাল স্কোর গড়ে ফরচুন বরিশাল। চতুরাঙ্গা ডি সিলভা এবং এনামুল হক ৭.২ ওভারে ৬৭ রান তুলে ফেলেন। পাওয়ারপ্লেতে আসে বিনা উইকেটে ৫৪ রান। অবশেষে ২১ বলে ২৯ করা এনামুলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। পরের ওভারে ইমাদ ওয়াসিমের বলে মুশফিকের গ্লাভসে ধরা পড়েন ২৫ বলে ৩৬ করা অপর ওপেনার চতুরাঙ্গা। তবু কমেনি বরিশালের রানের গতি। বিধ্বংসী মেজাজে থাকা সাকিবের ব্যাটে ভর করে ১০ ওভারে আসে ৯১ রান। দ্বিতীয় স্পেলে এসেই ইফতেখারকে (১৩) ফেরান মাশরাফি। এরপর জমে ওঠে সাকিব-মাহমুদউল্লাহ জুটি।

    মোহাম্মদ আমিরের বলে ইমাদ ওয়াসিম সহজ ক্যাচ ছাড়ায় ব্যক্তিগত ৩৩ রানে জীবন পান সাকিব। ১৯ বলে ৩০ রানের জুটি ভাঙে মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে। ১২ বলে ১৯ রান করে থিসারা পেরেরার শিকার হন মাহমুদউল্লাহ। এরপর ২৬ বলে ফিফটি তুলে নেন সাকিব। অন্য প্রান্তে ম্লান হায়দার আলী ৬ বলে ৩ রান করে বোল্ড হয়ে যান। মাশরাফির করা শেষ ওভারের প্রথম বলে দারুণ এক ক্যাচে সাকিবকে থামান মোহাম্মদ আমির। সাকিব খেলেছেন ৩২ বলে ৬৭ রানের ইনিংস। যাতে ছিল ৭ চার এবং ৪ ছক্কা। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯৪ তোলে বরিশাল। ৪ ওভারে ৪৮ রানে ৩ উইকেট নেন মাশরাফি।

  • লো স্কোরিং ম্যাচে শেষ ওভারে খুলনাকে হারালো ঢাকা

    লো স্কোরিং ম্যাচে শেষ ওভারে খুলনাকে হারালো ঢাকা

    লক্ষ্য মাত্র ১১৪ রানের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেটাকে মামুলি লক্ষ্যই বলা যায়। তবে খুলনা টাইগার্সের ছুড়ে দেওয়া এই লক্ষ্য তাড়া করতেও ঢাকা ডমিনেটর্সের খেলা লাগলো শেষ ওভার পর্যন্ত। ৬ উইকেট আর ৫ বল হাতে রেখে জিতলো নাসির হোসেনের দল।

    রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ঢাকা। আহমেদ শেহজাদ হাতে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন ৪ করে। সৌম্য সরকারও ১৩ বলে ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। ২৮ বলে ২২ করে আউট হন দিলশান মুনাবিরা, মোহাম্মদ মিঠুন করেন ১৪ বলে ৮।

    তবে লক্ষ্য ছোট ছিল। এরপর নাসির হোসেন আর উসমান গনি ধরে খেলে দলকে ১০০ পর্যন্ত নিয়ে যান। তাদের ৩৩ বলে ৩৪ রানের জুটিটি ভাঙে উসমান (১৫ বলে ১৪) মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিলে।

    তবে নাসির দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ শেষ করেই মাঠ ছেড়েছেন। ৩৬ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন ঢাকা ডমিনেটর্স অধিনায়ক।

    এর আগে তামিম ইকবাল, শারজিল খান, আজম খান, সাব্বির রহমানদের মতো হার্ডহিটারদের নিয়ে গড়া খুলনা টাইগার্স ৮ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারলো মাত্র ১১৩ রান।

    মিরপুর শেরে বাংলায় টস জিতে খুলনাকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান ঢাকা অধিনায়ক নাসির হোসেন। শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে খুলনা। পাওয়ার প্লের মধ্যে ২৮ রান তুলতে হারায় ৩ উইকেট। শারজিল খান (৭), মুনিম শাহরিয়ার (৪), তামিম ইকবাল (৮)-টপঅর্ডারের তিন ব্যাটারই সাজঘরে ফেরেন দুই অংক ছোঁয়ার আগে।

    আজম খান শুরুটা করেছিলেন মারকুটে। তবে ১২ বলে ১৮ করে থামতে হয়েছে তাকেও। অধিনায়ক ইয়াসির আলি ধরে খেলে ২৫ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় করেন ২৪ রান।

    মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ইনিংস ছিল আরও ধীরগতির। ২৮ বল খেলে এই অলরাউন্ডার করেন ১৯ রান। শেষদিকে সাব্বির রহমান ১১ বলে অপরাজিত ১১ (কোনো বাউন্ডারি ছাড়া) আর ওয়াহাব রিয়াজ ৩ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১০ রান করলে ১১৩ রানের পুঁজি পায় খুলনা।

    ঢাকা ডমিনেটর্সের পেসার আল আমিন হোসেন ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় নেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার আরাফাত সানি আর নাসির হোসেনের। তাসকিন উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দেন মাত্র ১৪ রান।

  • রংপুরের কাছে পাত্তাই পেলো না কুমিল্লা

    রংপুরের কাছে পাত্তাই পেলো না কুমিল্লা

    মিরপুর শেরে বাংলায় ১৭৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫ বল বাকি থাকতেই ১৪২ রানে গুটিয়ে গেলো ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নুরুল হাসান সোহানের রংপুর রাইডার্স পেলো ৩৪ রানের সহজ জয়।

    এক অধিনায়ক ইমরুল ছাড়া কেউই বলার মত লড়াই করতে পারেননি। ইমরুল ২৩ বলে ৩৫ করে আউট হন। ১৫ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে রান তাড়া থেকে ছিটকে পড়ে কুমিল্লা।

    লিটন দাস ১২ বলে ১০, ডেভিড মালান ৯ বলে ১৭, মোসাদ্দেক হোসেন ২৫ বলে ১৫, মোহাম্মদ নাবি ৪ বলে ৫ আর খুশদিল শাহর (৩ বলে ১) মত বড় তারকারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে সাজঘরে ফেরেন।

    হাসান মাহমুদ ২০ রানে নেন ৩টি উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার রবিউল হক আর সিকান্দার রাজার।

    এর আগে ১৯ বলে ফিফটি করেন রনি তালুকদার। ৫ উইকেটে ১৭৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় রংপুর রাইডার্স।

    রনির ফিফটিটি বিপিএলে কোনো বাংলাদেশি ব্যাটারের দ্রুততম। সবমিলিয়ে বিপিএলে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ডটি অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুনিল নারিনের, ১৩ বলে।

    মিরপুরে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমেছিল রংপুর। রনি তালুকদার শুরু থেকেই ছিলেন মারমুখী। উদ্বোধনী জুটিতে ৮৪ রান তোলেন তিনি নাইম শেখকে সঙ্গে নিয়ে। অবশেষে নবম ওভারে খুশদিল শাহর শিকার হন রনি। দুইশর ওপর স্ট্রাইকরেটে ৩১ বলে গড়া তার ৬৭ রানের ইনিংসে ছিল ১১টি বাউন্ডারি আর একটি ছক্কার মার।

    তবে আরেক ওপেনার নাইম শেখ অবশ্য টি-টোয়েন্টির মতো খেলতে পারেননি। ৩৪ বলে ২৯ করে আউট হন তিনি। এরপর শোয়েব মালিক ২৬ বলে ৩৩, সিকান্দার রাজা ১০ বলে ১২, নুরুল হাসান সোহান ১১ বলে একটি করে চার-ছক্কায় করেন ১৯ রান।

    মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে একটি উইকেট (বেনি হাওয়েলকে ফিরতি ক্যাচ) নিলেও খরচ করেন ৩১ রান।

  • চট্টগ্রামকে উড়িয়ে সিলেটের বিপিএল মিশন শুরু

    চট্টগ্রামকে উড়িয়ে সিলেটের বিপিএল মিশন শুরু

    লো স্কোরিং ম্যাচ। জয় পেতে তেমন বেগ পেতে হলো না মাশরাফির সিলেট সিক্সার্সের। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে একপ্রকার উড়িয়ে বিপিএল মিশন শুরু করেছে সিলেট।

    শুক্রবার মিরপুরে বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রামকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট সিক্সার্স। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ৮৯ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে ৪৫ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় সিলেট।

    লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১২ রানে প্রথম উইকেট হারায় সিলেট। মৃত্যুঞ্জয়ের বলে উসমান খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার কলিন আকারম্যান। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হোসেন দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান।

    দলীয় ৭৫ রানে বিদায় নেন জাকির। ২১ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ২৭ রান করেন তিনি। জয়ের জন্য বাকি কাজটুকু সারেন শান্ত ও মুশফিক মিলে। ৪১ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন শান্ত। ৮ বলে এক চারে ৬ রানে নট আউট মুশফিকুর রহিম।

    এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চট্টগ্রাম। শুরুটা হয় জাকির হাসানের সরাসরি থ্রো-তে ওপেনার মেহেদি মারুফের রান আউটের মধ্য দিয়ে।

    ১৪ বলে ১১ রান করা আরেক ওপেনার ডারউইশ রাসুলিকে সাজঘরে ফেরান মোহাম্মদ আমির। দলীয় ২২ রানে চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোমকে বিদায় করেন রেজাউর রহমান রাজা।

    এরপর ২২ রানের জুটি গড়েন আল আমিন জুনিয়র ও আফিফ হোসেন। আল আমিনকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন ডাচ তারকা কলিন অ্যাকারম্যান।

    এরপর রাজা উসমান খান এবং উম্মুক্ত চাদকে বিদায় করলে দলীয় ৬২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রাম। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৮৯ রানে থামে চট্টগ্রামের ইনিংস। সিলেটের রেজাউর রহমান রাজা ১৪ রানে নেন ৪ উইকেট। এ ছাড়া মোহাম্মদ আমির নেন ২ উইকেট।

    বুড়ো বয়সেও বল হাতে ঝলক দেখান মাশরাফি। ৪ ওভারে দেন মাত্র ১৮ রান। উইকেট পান একটি। বাকি এক উইকেট নেন কলিন আকারম্যান।

  • বিপিএলের সাত ফ্রাঞ্চাইজির নাম ঘোষনা

    বিপিএলের সাত ফ্রাঞ্চাইজির নাম ঘোষনা

    সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে চূড়ান্ত হলো বিপিএলের মোট ৭টি ফ্র্যাঞ্চাইজি।

    আগামী বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য বিপিএলে কারা সেই সাত ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানায় থাকবে, সেগুলোও চূড়ান্ত হয়ে গেছে।

    বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলে আবেদন করা আগ্রহী ৯ করপোরেট হাউজ থেকে সাতটি ফ্রাঞ্চাইজি চূড়ান্ত করেছে। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাদের নামও প্রকাশও করা হয়েছে।

    বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়। তবে, ওই সাত ফ্রাঞ্চাইজির মধ্যে নেই দেশের এক নম্বর তারকা সাকিব আল হাসানের মোনার্ক পদ্মার নাম।

    প্রসঙ্গত বিপিএলের পরিচিত ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে এবার নেই বেক্সিমকো ও জেমকন গ্রুপ। ক্রিকেট অনুরাগীরা বেক্সিমকোকে ঢাকার আর জেমকন গ্রুপকে খুলনার ফ্রাঞ্চাইজি হিসেবে চেনেন-জানেন।

    কিন্তু এবার তারা দল নিতে আগ্রহী হয়নি। তবে, প্রতিষ্ঠিত ফ্রাঞ্চাইজিদের মধ্যে কুমিল্লা লিজেন্ডস (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স) আর বসুন্ধরা গ্রুপ (টগি স্পোর্টস নামে) ঠিকই আছে। এছাড়া আগে বরিশালের মালিকানায় থাকা ফরচুন বরিশালও দল পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে।

    ২৪ঘণ্টা/বিআর

  • বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী মুস্তাফিজ

    বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী মুস্তাফিজ

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) এর সপ্তম আসরে সবার চাইতে কম ম্যাচ খেলেও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলার হয়েছেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান।

    আসরের শুরুর দিকে আলো ছড়াতে না পারলেও যতই সময় গড়িয়েছে, ততই নিজেকে ফিরে পেয়েছেন মোস্তাফিজ। ১২ ম্যাচে এই বাঁহাতির সংগ্রহ ২০ উইকেট। গড় ১৫.৬০। ওভারপ্রতি দিয়েছেন ৭.০১ রান।

    দুই নম্বরে আছেন বিপিএলের ইতিহাসের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়া পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার আমির। তার গড় ১৭.৭৫। ওভারপ্রতি দিয়েছেন ৭.০৫ রান। উইকেট সংখ্যা ২০।

    তিনে থাকা রুবেলের ১৩ ম্যাচে উইকেট সংখ্যাও ২০টি। বিপিএলে নিয়মিত ভালো করা এই পেসার উইকেট শিকার করেছেন ১৭.৮৫ গড়ে। ইকোনমি ৭.৮৫।

    ১৪ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছেন পেস দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার ফ্রাইলিঙ্ক। তার গড় ১৯.৬০। ইকোনমি ৭.৩৯।

    পাঁচে আছেন আরেক খুলনার পেসার শহীদুল ইসলাম। ১৩ ম্যাচে ঝুলিতে ভরেছেন ১৯ উইকেট। গড় ২০.৮০ আর ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৮.০৮।

    ১৮ উইকেট নিয়ে ষষ্ঠতে আছেন চট্টগ্রামের তরুণ বাঁহাতি পেসার মেহেদী হাসান রানা। ১০ ম্যাচে ১৫.৮৩ গড় ও ৭.৫০ ইকোনমি তার।

  • এবারও বিপিএলের সেরা রান সংগ্রাহক রাইলি রুশো

    এবারও বিপিএলের সেরা রান সংগ্রাহক রাইলি রুশো

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরের মতো সপ্তম আসরেও টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের মালিক হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো। আগের আসরে বিপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫৫৮ রানের রেকর্ডের পর এবারের আসরে ৪৯৫ রান করে সবার শীর্ষে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন তিনি।

    রান সংগ্রাহকের দুইয়ে থাকা মুশফিকের রান রুশোর পিছেই। ৪ রান দুরে থেকে ৪৯১ রান নিয়ে বিপিএল শেষ করেছেন মুশফিক। এই রানে এক বিপিএলে স্বদেশী তামিমকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশীদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড গড়েছেন তিনি।

    এছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছেন মালান ও ইমরুল কায়েস। কুমিল্লার হয়ে খেলা মালান ১১ ম্যাচে করেন ৪৪৪ রান এবং চট্টগ্রামের হয়ে খেলা ইমরুল ১২ ম্যাচে করেন ৪৩৭ রান।

  • রুশো ঝড়ে খুলনার সহজ জয়

    রুশো ঝড়ে খুলনার সহজ জয়

    বিপিএলের চলমান আসরে একেবারে বিপরীতমুখী অবস্থান খুলনা টাইগার্স ও রংপুর রেঞ্জার্সের। নিজেদের খেলা ৩ ম্যাচের তিনটাতেই জয় তুলে নিয়েছে খুলনা। অপরদিকে পরাজয়ের বৃত্ত ভেঙে বের হতে পারছে না রংপুর। আজ খুলনার বিপক্ষে ৮ উইকেটে হারের মধ্য দিয়ে টানা ৪ ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল দলটি।

    এদিন দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে আগে ব্যাট করে খুলনার সামনে ১৩৮ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে রংপুর। জবাবে ব্যাট করতে নেমে যথারীতি ব্যর্থ টাইগার্স ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। ফিরেছেন মোটে ১ রান করে। এরপর নতুন ব্যাটসম্যান রাইলি রুশোকে নিয়ে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঝড় তোলেন আরেক ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। কম যাননি রুশোও। দুই ব্যাটসম্যানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৮১ রান তোলে খুলনা।

    তবে ইনিংসের সপ্তম ওভারে গুরবাজকে সাজঘরের পথ ধরান মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। আউট হওয়ার আগে ২২ বলে ৩৭ রান করেন তিনি। গুরবাজ আউট হলেও মাত্র ২৩ বলে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন রুশো। পরে মুশফিককে সাথে নিয়ে দলকে আর কোন বিপদ হতে না দিয়ে ম্যাচ জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন তিনি।

    খুলনার ৮ উইকেটে পাওয়া বিশাল জয়ে রুশো অপরাজিত ছিলেন ৬৬ রান নিয়ে। অধিনায়ক মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। এর ম্যাচ হারের ফলে সিলেট থান্ডারের মত টানা ৪ ম্যাচ হারের স্বাদ পেল রংপুর রেঞ্জার্স।

    এর আগে শুরুতে টস হেরে ব্যাট করতে নামে রংপুর। দলের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদ ও নাইম শেখ। তবে গত ম্যাচে নিজ ব্যাটে ঝড় তুললেও আজ মোহাম্মদ আমিরের বলে মাত্র ১১ রান করে আউট হয়েছেন শাহজাদ। টুর্নামেন্ট জুড়ে ধারাবাহিকতা ধরে রাখা নাইম গত ম্যাচে ৮ রান করে রান আউট হলেও আজ আবার ঝড় তুলেছিলেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৪৯ রান।

    মাঝে পেসার শফিউল ইসলাম ক্যামেরুল ডেলপোর্টকে ৪ ও নাদিফ চৌধুরীকে ০ রানে সাজঘরে ফিরালে বড় রানের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় রংপুরের। শেষদিকে ফজলে রাব্বির ৪২ রানের সাথে লুইস গ্রেগরির অপরাজিত ২২ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানের পুঁজি পায় রংপুর রেঞ্জার্স। খুলনার টাইগার্সের হয়ে শফিউল ৩ এবং আমির ও শহিদুল ইসলাম নেন ২টি করে উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    রংপুর রেঞ্জার্স: ১৩৭/৯ (২০ ওভার)
    নাইম ৪৯, রাব্বি ৪২, গ্রেগরি ২২*, শফিউল ৩/২১, আমির ২/২৪, শহিদুল ২/৩২।

    খুলনা টাইগার্স: ১৩৮/২ (১২.৩ ওভার)
    রুশো ৬৬*, গুরবার ৩৭, মুশফিক ১৭*; মুস্তাফিজ ১/১৮, মুগ্ধ ১/২৮।

    ফল: খুলনা ৮ উইকেটে জয়ী।

  • চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স’র জার্সি উন্মোচন : কাল উদ্বোধনী ম্যাচে প্রতিপক্ষ সিলেট থান্ডার্স

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স’র জার্সি উন্মোচন : কাল উদ্বোধনী ম্যাচে প্রতিপক্ষ সিলেট থান্ডার্স

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। খেলার ঘন্টা : আজ রাত পেরুলেই আগামীকাল মাঠে গড়াচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেট উৎসব বঙ্গবন্ধু বিপিএল। সাত দলের অংশগ্রহণে শুরু হচ্ছে এবারের বিপিএল। অংশগ্রহনকারী দলগুলোর মধ্যে সবার আগে জার্সি উন্মোচন করলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে জার্সি ও ক্রিকেটারদের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান করে চ্যালেঞ্জার্স। এ জার্সি পড়েই আগামীকাল ১১ ডিসেম্বর মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এবারের আসরের উদ্বোধনী দিনের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে চিটাগং চ্যালেঞ্জার্সের খেলোয়াড়রা।

    আখতার গ্রুপের মালিকানাধীন দলটি নিজেদের ব্র্যান্ডিংয়ে জার্সি জড়িয়ে এবারের বিপিএলে প্রথম প্রতিপক্ষ সিলেট থান্ডার্স’র মুখোমুখি হবে। মাহমুদুল্লাহর ইনজুরিতে প্রথম দুই ম্যাচে চট্টগ্রামকে নেতৃত্ব দেবেন ইমরুল কায়েস।

    জার্সি উন্মোচনের সময় উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম রিফাতুজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান সাজনিন খান, একমির পরিচালক ফাহিম সিনহা, টিম ডিরেক্টর ও বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুসসহ দলের ক্রিকেটাররা। বিদেশি ক্রিকেটার রায়াদ এমরিদ, রায়ান বার্ল, অভিস্কা ফার্নান্দোসহ আরো অনেক ক্রিকেটার এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    করাচিতে দিবা রাত্রির টেস্টে বাংলাদেশ খেলবে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে চট্টগ্রাম টিম ডিরেক্টর ও বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস জানান, পাকিস্তান সিরিজই এখনও নিশ্চিত নয়।

    বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচের দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের প্রতিপক্ষ থাকছে রংপুর রেঞ্জার্স।

  • চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে ক্রিস গেইল

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে ক্রিস গেইল

    বিদেশি খেলোয়াড় কোটায় প্রথমে লটারিতে ডাকের সুযোগ পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সেই সুযোগে তারা ক্রিস গেইলকে দলে ভেড়ায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই তারকা বিপিএলের পেছনের আসরগুলোতে সফল পারফর্মার। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যান মানা হয় তাকে। রেকর্ডই তার পক্ষে সেই কথা বলছে।

    বিদেশি খেলোয়াড় কোটায় রাজশাহী বেছে নেয় ইংলিশ অলরাউন্ডার রবি বোপারাকে। রংপুর প্রথম সুযোগে আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীকে দলে টানে। কুমিল্লা বেছে নেয় শ্রীলঙ্কার কুশাল জেনিত পেরেইরাকে। খুলনা তাদের পুরনো মিত্র দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশোকে দলে টানে। ঢাকা প্লাটুন শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার তিশারা পেরেইরার নাম ঘোষণা করে। সিলেট বিদেশি কোটার প্রথম রাউন্ডের লটারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শারপিন রদারফোর্ড ও আফগানিস্তানের শফিকুল্লাহ সাফাতকে দলে নেয়।

    এই রাউন্ডের ফিরতি পর্বের লটারিতে ঢাকা বেছে নেয় ইংল্যান্ডের লরি ইভান্সকে। খুলনা দলে ভেড়ায় গেল মৌসুমে বিপিএল কাঁপানো দক্ষিণ আফ্রিকান রবি ফ্রাইলিঙ্ককে।

    আফগানিস্তানের অফস্পিনার মুজিবুর রহমানকে দলে নেয় কুমিল্লা। রংপুর ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা সাঁই হোপকে দলে টানে। রাজশাহী আফগানিস্তানের মারকুটো ওপেনার হযরতউল্লাহ যাযাইকে দলে নেয়। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দলের পেস বোলিং শক্তি বাড়াতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট বোলার কেসরিক উইলিয়ামসকে দলের নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়।

  • আকতার গ্রুপ বিপিএলে চট্টগ্রামের স্পন্সরশীপ স্বত্ব কিনেছে

    আকতার গ্রুপ বিপিএলে চট্টগ্রামের স্পন্সরশীপ স্বত্ব কিনেছে

    আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ব্যাট-বলের লড়াই, মাঠে গড়াবে বিপিএলের সপ্তম আসর। প্রথমবারের মতো বিপিএলে স্পন্সরশীপ স্বত্ব কিনলো আকতার গ্রুপ।

    দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে দর্শকপ্রিয় ঘরোয়া আসর বিপিএলের পরবর্তী আসরে চট্টগ্রাম বিভাগের স্পন্সরশীপ স্বত্ব কিনে নিয়েছে আকতার গ্রুপ। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি এ তথ্য জানিয়েছে।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর সম্মানার্থে এবারের বিপিএলের নামকরণ করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু বিপিএল’।

    ক্রিকেট বিশ্বে অন্যতম এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া ক্রিকেটের আসরে আবারও ভক্তরা মেতে উঠবে ক্রিকেট উন্মাদনায়।

    আগামী ডিসেম্বরে শুরু হতে যাওয়া ভিন্নধর্মী এ আয়োজনে প্রথমবারের মতো স্বত্বাধিকারী হওয়া আকতার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম রিফাতুজ্জামান বলেন, দর্শকপ্রিয় খেলা ক্রিকেটের অগ্রযাত্রার সঙ্গী হতে পেরে আমরা আনন্দিত।

    বিপিএলের মতো বড় আসর একদিকে যেমন ক্রিকেটকে অনন্য উচ্চতা নিয়ে গেছে সেইসঙ্গে ক্রিকেটের গঠনমূলক উন্নয়ন ও খেলোয়াড় তৈরিতে ভূমিকা রেখে চলেছে।

    বিপিএলের উৎসবমুখর পরিবেশ দেশের মানুষকে আনন্দের এক সূতায় গেঁথে নেয়। তরুণদের খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে সুস্থ জীবনযাপনে উৎসাহী করে তুলে।

    তিনি বলেন, এমন বড় মাপের আসর ক্রিকেটের জন্য তো বটেই; বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি।

    প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একটি পূর্ণাঙ্গ দল তৈরির প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যে দলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সৈয়দ ইয়াসির আলম।

    এছাড়া খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, ফিজিও নিয়োগসহ আনুষঙ্গিক সব প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। নিয়ম ও সময় মেনে সব ধরণের কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে চলতে থাকবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।