Tag: বিভাগীয় কমিশনার

  • চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠান

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠান

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ তোফায়েল ইসলামের বদলীজনিত বিদায় ও নবাগত বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীনের (অতিরিক্ত সচিব) বরণ উপলক্ষে গতকাল ১ ডিসেম্বর রোববার রাতে সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    শুরুতে বিভাগীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজিত অনুষ্ঠনে দুই কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

    এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নূরী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) শারমির জাহান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম ও জেলা পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খানসহ বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।

    অনুষ্ঠানে নবাগত চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন তাঁর বক্তব্যে বিভাগের সার্বিক উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

    অনুষ্ঠানে বিদায়ী বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলামের তাঁর বক্তব্যে চট্টগ্রামে কর্মকালীন সময় নানা স্মৃতিময় ঘটনা তুলে ধরেন। পাশাপাশি সহযোগিতার জন্য বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরকে ধন্যবাদ প্রদান করেন।

  • চট্টগ্রামের নতুন বিভাগীয় কমিশনার ড. জিয়াউদ্দীন

    চট্টগ্রামের নতুন বিভাগীয় কমিশনার ড. জিয়াউদ্দীন

    চট্টগ্রাম এর বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে পদায়িত হয়েছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব ড. মো. জিয়াউদ্দিন।

    মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিভাগে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব ড. মো. জিয়াউদ্দীন, সিলেট বিভাগে অতিরিক্ত সচিব খান মো. রেজা-উন-নবী, খুলনা বিভাগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব ফিরোজ সরকার এবং রাজশাহী বিভাগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খোন্দকার আজিম আহমেদকে বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

  • স্মাট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করতে হবে : বিভাগীয় কমিশনার

    স্মাট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করতে হবে : বিভাগীয় কমিশনার

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম বলেছেন, বর্তমান সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলছে। বিনামূল্যের পরিবার পরিকল্পনা সেবায় চট্টগ্রাম জেলার স্মার্ট মনিটরিং কার্যক্রম দেশের সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মাট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চট্টগ্রামসহ সর্বত্র স্মার্ট পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করতে হবে। মাতৃ মৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার শূণ্যের কোঠায় নামিতে আনতে শতভাগ প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারী সেবা নিশ্চিত করতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা সেবাকেন্দ্র গুলোকে জনগণের আস্থার স্থল হিসেবে পরিচিত করতে হবে।

    আজ ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নগরীর কর্ণেলহাট ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় আয়োজিত পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের (৯-১৪ ডিসেম্বর) এবারের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে-“নিরাপদ মাতৃত্ব পরিকল্পিত পরিবার, স্মার্ট বাংলাদেশ হোক আমাদের অঙ্গীকার”। অনুষ্ঠানের শুরুতে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার। সভা শেষে ফিতা কেটে কর্ণেলহাট ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন তিনি।

    অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বাল্যবিবাহ ফৌজদারী অপরাধ ও এটি রোধে জরিমানার বিধান রয়েছে। উন্নত জাতি গঠনে বাল্যবিবাহ রোধ করে প্রত্যেক মা, সন্তান ও পরিবারকে সুস্থ রাখতে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। জাতিসংঘ ও এনজিও সংস্থাগুলো সরকারকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করছে। রুগ্ন মা ও সন্তানেরা উন্নত দেশ গঠনে নেতৃত্ব দিতে পারবেনা, আমরা বাল্যবিবাহমুক্ত স্মাট বাংলাদেশ গড়তে চাই। এ লক্ষ্যে ১৮ বছরের আগে বিয়ে ও ২০ বছরের আগে সন্তান নয়। গত নভেম্বর মাসে নগরীর কর্ণেলহাট ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ৫১টি প্রাতিষ্ঠানিক নরমাল ডেলিভারীর প্রশংসাসহ প্রাতিষ্ঠানিক নরমাল ডেলিভারীর সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন বিভাগীয় কমিশনার।

    তিনি আরও বলেন, অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ে। সরকার এ বিষয় যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে পরিবার পরিকল্পনা সেবাকে মানুষের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। দেশের সকল হাসপাতাল, মা-শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারীর বিষয়ে অগ্রাধিকার দেয়ার কারণে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমেছে। মানুষের গড় আয়ু ৪৬/৪৭ বছর থেকে ৭২ বছরে উন্নীত হয়েছে। এর ধারাবাহিকতা ধরে রেখে পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য এবং কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও আন্তরিক হতে হবে।

    পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক গোলাম মোঃ আজমের সভাপতিত্বে ও পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম জেলার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম ও সহকারী পরিচালক (সিসি) ডা. ছেহেলী নারগিস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কর্ণেলহাট ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. শিরীণ আকতার রুহিনা। পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের বিভিন্ন স্তরে কর্মরত চিকিৎসক ও কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

    পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক গোলাম মোঃ আজম জানান, স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে এ অধিদপ্তর তথা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয় বদ্ধপরিকর। এরই আলোকে ২৪/৭ ঘন্টা সেবা প্রদানে সুখী পরিবার ১৬৭৬৭ কল সেন্টারসহ প্রত্যেকটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের জন্য চালু রয়েছে জরুরী হটলাইন সার্ভিস সেবা। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে বা যে কোন শিশু নির্যাতন প্রতরোধে প্রয়োজনীয় তথ্য ও সহায়তার জন্য ১০৯ ডায়েল করলেই মিলবে প্রয়োজনীয় তথ্যসেবা।

  • চট্টগ্রামের নতুন বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম

    চট্টগ্রামের নতুন বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম

    চট্টগ্রাম বিভাগের নতুন বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. তোফায়েল ইসলাম। তিনি মৌলভীবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক।

    সোমবার (১০ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে নতুন এই বিভাগীয় কমিশনারের নিয়োগের কথা জানানো হয়েছে।

    রাষ্ট্রপতির আদেশে ওই প্রজ্ঞাপনে সই করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি।

    এদিকে, একই দিনে পাঁচজনকে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নিয়োগ দিয়েছে সরকার। স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. জসিম উদ্দিন ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সৈয়দা ফারহানা কাউনাইনকে সিলেট, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব সরোজ কুমার নাথ ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্মসচিব মো. হেলাল হোসেনকে খুলনা এবং নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজকে চট্টগ্রাম বিভাগে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

    এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই-৩) প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরকে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।

    এছাড়াও গতকাল রোববার (৯ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) উম্মে সালমা তানজিয়াকে এবং বরিশালে বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শওকত আলীকে।

  • চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকগণের মধ্যে কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকগণের মধ্যে কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর

    চট্টগ্রাম বিভাগগের বিভাগীয় কমিশনার ও বিভাগের জেলা প্রশাসকগণের মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৩-২৪ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত হয়।

    বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোঃ আনোয়ার পাশা। উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান (চট্টগ্রাম), ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি (বান্দরবান), মোহাম্মদ শামীম আলম (কুমিল্লা), মোঃ শাহগীর আলম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মোঃ কামরুল হাসান (চাঁদপুর), দেওয়ান মাহবুবুর রহমান (নোয়াখালী), মোঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ (রক্ষ্মীপুর), আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান (ফেনী), মুহম্মদ শাহীন ইমরান (কক্সবাজার), মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (রাঙামাটি) ও মোঃ সহিদুজ্জামান (খাগড়াছড়ি পার্বত্য)। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

    অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান এনডিসি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বিগত ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণসহ সরকারী সকল সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তিনি দিন বদলের সনদের কথা বলেছেন। তাঁর নেতৃত্বে আমরা ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছে গিয়েছি। আগামী ২০২৩ সালে এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ অত্যন্ত জরুরী। এজন্য নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

    বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে হবে। দেশে আগে কি ছিল, আর এখন কি হয়েছে, শেখ হাসিনার মূলনীতি, গ্রাম-শহরে উন্নতি, আমার গ্রাম, আমার শহর। অর্থ্যাৎ গ্রামকে শহর বানাবো না, আমাদের আশপাশে যা কিছু আছে তা নিয়ে শহরের আদলে গ্রামকে সাজাবো-এটাই এপিএ’র মূল বিষয়। আগে অফিসে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা ফাইলে সই করতে হতো, কখন ডাকযোগে চিঠি আসবে, পিয়ন এসে দিয়ে যাবে-আমরা আগে অপেক্ষায় থাকতাম, আর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর প্রযুক্তির মাধ্যমে সকল ধরণের ম্যাসেজ মুহুর্তের মধ্যেই আদান-প্রদান হচ্ছে। মূলতঃ সকল সেবা এখন হাতের মুঠোয়।

  • অনুমোদন ছাড়া পশুর হাট বসানো যাবে না: বিভাগীয় কমিশনার

    অনুমোদন ছাড়া পশুর হাট বসানো যাবে না: বিভাগীয় কমিশনার

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান এনডিসি বলেছেন, সমন্বিত উদ্যোগের কারণে বিভাগের প্রত্যেক জেলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আসন্ন পবিত্র ঈদ-ইল আযহাকে সামনে রেখে মলম পার্টি ও জাল নোট চক্র যাতে সক্রিয় হতে না পারে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। যানজট নিরসনসহ জনভোগান্তি রোধে অনুমোদন ছাড়া কোথাও পশুর হাট বসানো যাবে না। কোরবানীর পশুবাহী কোন গাড়ি মূল সড়কে দাঁড়াতে পারবে না। পশুর হাটে ইজারাদার কর্তৃক সিসি ক্যামেরা ও জাল নোট সনাক্তকরণ মেশিন বসাতে হবে। পশু কোরবানি পরবর্তী বর্জ্য সঠিকভাবে অপসারণ করতে হবে এবং চামড়ার পচন রোধে গরুর মালিককেই নিজ দায়িত্বে লবনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে আমরা জনগণের সেবা করবো, আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখবো, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে একসাথে কাজ করবো।

    আজ ১৯ জুন সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত চোরাচালান নিরোধ আঞ্চলিক টাস্কফোর্স সভা, বিভাগীয় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা, বেসরকারী পর্যায়ে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র সমূহ মনিটরিং সংক্রান্ত বিভাগীয় কমিটির সভা, বিনিয়োগ ও ব্যবসা উন্নয়ন সহায়তা কমিটির সভা, বিভাগীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স সভা, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাগণের সাথে সমন্বয় সভা, বিভাগীয় রাজস্ব সম্মেলন ও জেলা প্রশাসকগণের মাসিক সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় পৃথক পৃথক সভার আয়োজন করেন। সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও বিভাগের জেলা প্রশাসকগণের মধ্যে ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৩-২৪’ স্বাক্ষরিত হয়। সভার পক্ষ থেকে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেনকে ফুল দিয়ে বদলীজনিত বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। একই সাথে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের অধীন ৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর হাতে শুদ্ধাচার পুরস্কার (২০২২-২০২৩)-হিসেবে ফুল, ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন বিভাগীয় কমিশনার।

    শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হচ্ছে-অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম আলম, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মোঃ জামাল উদ্দিন ও অফিস সহায়ক মোঃ রফিকুল ইসলাম। শুদ্ধাচার পুরস্কার তারা প্রত্যেকে এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ পাবেন।

    বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে হবে। সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে আসা মাদক, অস্ত্রের চোরাচালান ও তেল পাচার রোধে সড়ক পথের পাশাপাশি নৌপথে টহল অব্যাহত রাখাসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটতে পারবে না। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে কঠোর নজরদারী দিতে হবে। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিবাদ ও চোরাচালানসহ অন্যান্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন থাকবে জিরো টলারেন্স। মিয়ানমারের কোনো নাগরিক বা রোহিঙ্গাও যাতে নতুন করে এদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবিসহ সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে।সরকারে দেয়া নির্দেশনা অমান্য করা যাবে না। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

    পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের বিদায়ী ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে টিমওয়ার্কের বিকল্প নেই। সংশ্লিষ্ট সকলে মিলে এক সাথে কাজ করেছি বলেই অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পবিত্র ঈদ-উল আযহাকে সামনে রেখে সড়কে যানজট নিরসন ও ছিনতাইসহ নানা অপরাধ রোধে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। সকলের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। মাদক রোধে পুলিশের পক্ষ থেকে থাকবে জিরো টলারেন্স। অস্ত্র উদ্ধার, চোরাচালান রোধ, জঙ্গি-সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পৃথক সভাগুলোতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোঃ আনোয়ার পাশা, সিএমপি’র অতিরিক্ত পুরিশ কমিশনার (প্রশাসন) এম.এ মাসুদ, বিজিবি’র চট্টগ্রাম রিজিয়নের কমান্ডার লেঃ কর্ণেল এস.এম শফিকুর রহমান, বিডা’র পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন, চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান (চট্টগ্রাম), ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি (বান্দরবান), মোহাম্মদ শামীম আলম (কুমিল্লা), মোঃ শাহগীর আলম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মোঃ কামরুল হাসান (চাঁদপুর), দেওয়ান মাহবুবুর রহমান (নোয়াখালী), মোঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ (লক্ষ্মীপুর), আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান (ফেনী), মুহম্মদ শাহীন ইমরান (কক্সবাজার), মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (রাঙামাটি), মোঃ সহিদুজ্জামান (খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান পাটওয়ারী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুল মান্নান, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) শাহিনা সুলতানা প্রমূখ। পৃথক সভাগুলোতে বিভাগের বিভিন্ন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, পুলিশের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ জরুরী: বিভাগীয় কমিশনার

    স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ জরুরী: বিভাগীয় কমিশনার

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান এনডিসি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বিগত ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণসহ সরকারী সকল সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তিনি দিন বদলের সনদের কথা বলেছেন। তাঁর নেতৃত্বে আমরা ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছে গিয়েছি। আগামী ২০২৩ সালে এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ অত্যন্ত জরুরী। এজন্য নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

    আজ ১৭ জুন শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নগরীর আইস ফ্যাক্টরী রোডস্থ পিটিআই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় কর্মশালার আয়োজন করেন। বিভাগের ১১ জেলার একজন করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্মশালায় অংশ নেন।

    বিভাগীয় কমিশনার বলেন, দেশে আগে কি ছিল, আর এখন কি হয়েছে, শেখ হাসিনার মূলনীতি, গ্রাম-শহরে উন্নতি, আমার গ্রাম, আমার শহর। অর্থ্যাৎ গ্রামকে শহর বানাবো না, আমাদের আশপাশে যা কিছু আছে তা নিয়ে শহরের আদলে গ্রামকে সাজাবো-এটাই এপিএ’র মূল বিষয়। আগে অফিসে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা ফাইলে সই করতে হতো, কখন ডাকযোগে চিঠি আসবে, পিয়ন এসে দিয়ে যাবে-আমরা আগে অপেক্ষায় থাকতাম, আর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর প্রযুক্তির মাধ্যমে সকল ধরণের ম্যাসেজ মুহুর্তের মধ্যেই আদান-প্রদান হচ্ছে। মূলতঃ সকল সেবা এখন হাতের মুঠোয়।

    তিনি আরও বলেন, সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০টি সূচক এপিএ-তে অর্ন্তভূক্ত করা যেতে পারে। জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদেরকে নিজের সততা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে সরকারী সেবা সহজ থেকে আরও সহজতর করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরবসময় চারটি ‘ব’ অনুসরণ করতে হবে। যেমন-ব্যবহার, বিচরণ, বচন ও বসন অর্থ্যাৎ ব্যবহার ঠিক রাখতে হবে, যেখানে সেখানে বিচরণ করা যাবেনা, বচন খারাপ করা যাবে না, বসন বা পোষাক পরিমার্জিত থাকতে হবে।

    অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও পিএস টু বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আরিফুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখার যুগ্ম সচিব মোঃ হামিদুল হক, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখার উপ-সচিব মোঃ খোরশেদ আলম খান ও মাঠ প্রশাসন শৃঙ্খলা অধিশাখার উপ-সচিব এ.এস.এম ফেরদৌস।

  • মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে কিন্তু মুক্তির যুদ্ধ এখনো চলমান: বিভাগীয় কমিশনার

    মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে কিন্তু মুক্তির যুদ্ধ এখনো চলমান: বিভাগীয় কমিশনার

    স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আজ ১৭ মার্চ শুক্রবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করেন।

    সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অপর্র্ণ করার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। এসময় বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান এনডিসি, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) একেএম সরোয়ার কামাল, বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মোঃ আবু সাইদ, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের এসপি মোঃ সুলাইমান, রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ মজিবুর রহমান পাটওয়ারী, জেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ আজম, জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ আবুল কালাম, পিবিআই, ট্যুরিস্ট পুলিশ, আর.আর.এফ কমান্ড্যান্ট (এসপি), সিআইডি, নৌ-পুলিশ, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা শিশু একাডেমি, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, আনসার-ভিডিপি, এলজিইডি, বিআরটিএ, খাদ্য বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সরকার-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান।

    সকাল ১০টায় শিশুদের নিয়ে কেক কেটে ও বেলুন উড়িয়ে জাতির পিতার ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান এনডিসিসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাগণ।

    সকাল সোয়া ১০টা থেকে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও আবৃত্তি শিল্পী এডভোকেট মিলি চৌধুরীর সঞ্চালনায় শিল্পকলা একাডেমির অনিরুদ্ধ মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান এনডিসি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার এস.এম. শফিউল্লাহ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমেদ, জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল। অনুষ্ঠানে এতে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং মুক্তিযোদ্ধাসহ অসংখ্য ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।

    আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার জেলা শিল্পকলা ও শিশু একাডেমিতে আয়োজিত চিত্রাংকন, হাতের লেখা, নৃত্য ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গানের প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

    এছাড়াও জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের তত্ত¡াবধানে ডিসি হিল, সিআরবি, টাইগারপাস মোড় ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ সম্পর্কিত ডকুমেন্টারী প্রদর্শন ও ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সমূহ আলোকসজ্জাকরণ করা হয়। জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সুবিধাজনক সময়ে মহানগরীর ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিশুর স্বাস্থ্য সচেতনতা, পুষ্টি ও খাদ্য সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর বিভিন্ন পুস্তক ও ছবি প্রর্দশন করা হয় এবং বিভিন্ন মসজিদ ও ধর্মীয় উপসনালয়ে মিলাদ মাহফিল, দোয়া প্রার্থনা করা হয়। এছাড়া সমাজসেবা কার্যালয় ও শিশু একাডেমিতে শিশু সদন, শিশু পরিবার ও শিশু বিকাশ কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।

    আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান এনডিসি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে কিন্তু মুক্তির যুদ্ধ এখনো চলমান। আমাদের দেশে এমন কিছু মানুষ আছে যারা দেশের উন্নতি সহ্য করতে পারছেনা। তারা বিভিন্ন সময় গুজব ছড়িয়ে হোক বা অন্যান্য অপকর্মের মধ্যে দিয়ে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করার জন্য তৎপর হয়ে আছে। তাদের সফল হতে দেয়া যাবে না। বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে বুকে ধারণ করে কঠোর হাতে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

    তিনি বলেন, বাঙালি জাতির শোষন থেকে মুক্তির আন্দোলনে ৩টি বিষয় জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। জাতীয় সংগীত, ৭ই মার্চের ভাষণ ও জয় বাংলা শ্লোগান। এই ৩টি বিষয় যুগে যুগে বাঙালির সকল উন্নয়নে ভুমিকা রাখবে।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণে আছে ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’ এখানে মুক্তি কথাটির নানা অর্থ রয়েছে। এর একটি অর্থ হল অর্থনৈতিক মুক্তি। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বঙ্গবন্ধুর ১৮ মিনিটের ভাষণে দেশের মুক্তিকামী মানুষ আন্দোলনের শক্তি, উৎসাহ খুজে পায় যা পরবর্তীতে দেশের আপামর জনগনকে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিল।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্ত ফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৮’র সামরিক শাসন, ৬৬’র ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণ অভ্যুত্থান ও ৭০’র সাধারণ নির্বাচনসহ বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ে পরিচালিত প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব দেন। এজন্য তাঁকে বহুবার কারাবরণ করতে হয়েছে। শিকার হতে হয়েছে অমানসিক নির্যাতনের। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে বজ্রকণ্ঠে তিনি যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন তাঁ ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। ঐতিহাসিক ভাষণের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

    পাকিস্তানি শাসনামলের শোষণ ও লাঞ্চনা-বঞ্চনার ইতিহাস কিভাবে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে উজ্জীবিত বাঙালি বিজয়ের ইতিহাসে রূপান্তর করে তা তার বক্তৃতায় উঠে আসে। মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি আলোকপাত করেন ডিআইজি।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আলোকিত হয়ে দেশকে ভালোবাসার জন্য আহবান জানান।

    সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, জাতির জনকের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

  • ‘জাতীয় সংগীত, ৭ মার্চের ভাষণ ও জয় বাংলা শ্লোগান’ জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিল: বিভাগীয় কমিশনার

    ‘জাতীয় সংগীত, ৭ মার্চের ভাষণ ও জয় বাংলা শ্লোগান’ জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিল: বিভাগীয় কমিশনার

    ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ ৭ মার্চ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দিন ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। সকাল ৯টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অপর্র্ণ করার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।

    এসময় বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান এনডিসি, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) একেএম সরোয়ার কামাল, বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মোঃ আবু সাইদ, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের এসপি মোঃ সুলাইমান, রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ মজিবুর রহমান পাটওয়ারী, জেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আবুল কালাম, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা শিশু একাডেমি, আর.আর.এফ কমান্ড্যান্ট (এসপি), চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, আনসার-ভিডিপিসহ বিভিন্ন সরকার-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান।

    সকাল সাড়ে ৯টায় বেলুন উড়িয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান এনডিসিসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা।

    সকাল ১০টা থেকে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও আবৃত্তি শিল্পী এডভোকেট মিলি চৌধুরীর সঞ্চালনায় শিল্পকলা একাডেমির অনিরুদ্ধ মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান এনডিসি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার এস.এম. শফিউল্লাহ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমেদ, জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল।

    আলোচনা সভা শেষে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা ও শিশু একাডেমিতে আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ, আবৃত্তি, দেশাত্ববোধক গান, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে ‘মুজিব আমার পিতা’ শীর্ষক চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

    এছাড়াও জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের তত্ত্বাবধানে ডিসি হিল, সিআরবি, টাইগারপাস মোড় ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র, আলোকচিত্র ও ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার করা হয়।

    আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান এনডিসি বলেন, বাঙালি জাতির শোষন থেকে মুক্তির আন্দোলনে ৩টি বিষয় জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। জাতীয় সংগীত, ৭ই মার্চের ভাষণ ও জয় বাংলা শ্লোগান। এই ৩টি বিষয় যুগে যুগে বাঙালির সকল উন্নয়নে ভুমিকা রাখবে।

    তিনি বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণে আছে ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’ এখানে মুক্তি কথাটির নানা অর্থ রয়েছে। এর একটি অর্থ হল অর্থনৈতিক মুক্তি। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

    শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, তোমাদের প্রতি আমার বার্তা হল ’স্বার্থক জীবন হবে যদি থাকে চার, বিদ্যা ধর্ম স্বাস্থ্য আর সত্য ব্যবহার’। এখন সময় হলো জীবন গড়ার। তাই মোবাইল, মিথ্যা, মাদক ও মুখস্ত বিদ্যা থেকে দুরে সরে জীবনে সৎপথে থেকে উন্নতি করাকে একমাত্র আদর্শ হিসেবে নিতে হবে।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর ১৮ মিনিটের ভাষণে দেশের মুক্তিকামী মানুষ আন্দোলনের শক্তি, উৎসাহ খুজে পায় যা পরবর্তীতে দেশের আপামর জনগনকে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিল।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন তার সুদীর্ঘ বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ প্রচারের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি আলোকপাত করেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করা পর্যন্ত বাঙালির গৌরবের ইতিহাস তুলে ধরেন। পাকিস্তানি শাসনামলের বঞ্চনার ইতিহাস কিভাবে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে উজ্জীবিত বাঙালি বিজয়ের ইতিহাসে রূপান্তর করে তা তার বক্তৃতায় উঠে আসে।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমেদ মহান মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণায় ৭ই মার্চের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আলোকিত হয়ে দেশকে ভালোবাসার জন্য আহবান জানান।

    সভাপতির বক্তব্যে ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এখানে মুক্তি বলতে তিনি বুঝিয়েছিলেন ‘ফ্রিডম ফ্রম প্রোভার্টি, ‘ফ্রিডম ফ্রম হাংগ্রি’। জাতির জনকের সেই স্বপ্ন পূরণে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। স্বাধীনতার নেপথ্যের সকল তথ্য এক এক করে তুলে ধরার জন্য অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা স্মরণ করে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

    অন্যান্য বক্তারা বলেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ রাজনীতির কবি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর কাব্যমালার অনন্য নিদর্শন। ৭ মার্চের ভাষণ শুধু ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতিকেই অনুপ্রাণিত করেছিল তা নয়, বরং এই ভাষণ যুগে যুগে সকল অবহেলিত, বঞ্চিত ও স্বাধীনতাকামী জাতি-গোষ্ঠীকে অনুপ্রেরণা জোগাতে থাকবে। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো এই ভাষণকে বৈশ্বিক দলিল (মেমোরী অব দ্যা ওয়ার্ল্ড রেজিষ্টার-এ অর্ন্তভূক্তিকরণ) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও এই ভাষণের তাৎপর্য ও গুরুত্ব অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ প্রদত্ত ভাষণের দিনটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ জাতীয় দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।

  • স্বাধীন দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান চির অম্লান হয়ে থাকবে: বিভাগীয় কমিশনার

    স্বাধীন দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান চির অম্লান হয়ে থাকবে: বিভাগীয় কমিশনার

    বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) রেক্টর হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত (সচিব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আশরাফ উদ্দিন বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশের অতন্দ্র প্রহরী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবনবাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়ার কারণে আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম লাল সবুজের বাংলাদেশ পেয়েছি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পেছনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অবিস্মরণীয়। এ দেশ স্বাধীন না হলে আমারা আজ এ পর্যায়ে আসতে পারতাম না। তাই স্বাধীন বাংলাদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান চির অম্লান হয়ে থাকবে।

    আজ ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা ইউনিট কমান্ড কর্তৃক বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আয়োজিত পদোন্নতিজনিত যৌথ বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, চাকুরী জীবনে যখন যে অবস্থানে থেকেছি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করেছি, ভবিষ্যতেও করে যাবো। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ কখনো শোধ করা যাবেনা, অনুভব করা যায়। তাঁদের নিকট থেকে সংবর্ধনা গ্রহণের বিষয়টি সারাজীবনের জন্য অনন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এ সম্মান সর্বোচ্চ সম্মান ও ভবিষ্যতে কর্মজীবনে আরো বেশি সাহস যুগাবে। যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখার পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অন্তরের অন্তস্থলে ধারণ করবো। তিনি নিজের ও পরিবারের জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সম্মাননা ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে বিভাগীয় কমিশনারকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করেন।

    এই সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল দুলু, মহানগর ও জেলা সংসদের পক্ষে সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম আলাউদ্দিন, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা বোরহান উদ্দিন, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধাআহমদ হোসেন, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক দিলীপ কান্তি দাশ, চান্দগাঁও থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, পাঁচলাইশ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ মিয়া, পাহাড়তলী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী জাফর আহমদ, আকবর শাহ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সেলিম উল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাকিন বিল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবপ্রসাদ গোলদার প্রমুখ।

    অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ বলেন, চট্টগ্রামে কর্মকালীন সময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক কল্যাণে কাজ করেছেন সরকারের সচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আশরাফ উদ্দিন। আগামীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনীদের সরকারী চাকরীতে নিয়োগের বিষয়ে বিদায়ী এই কর্মকর্তার কাছে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

  • পুষ্টি খাতে বাংলাদেশের অর্জন সত্যিই প্রশংসনীয়ঃ বিভাগীয় কমিশনার

    পুষ্টি খাতে বাংলাদেশের অর্জন সত্যিই প্রশংসনীয়ঃ বিভাগীয় কমিশনার

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আশরাফ উদ্দিন বলেছেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এখন দরকার গুণগত মান বাড়ানো, যা পুষ্টি নিশ্চিত করবে। পুষ্টি খাতে বাংলাদেশের অর্জন সত্যিই প্রশংসনীয়। অপুষ্টি নিরাময়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ সহজতর হয়। এর ফলে ক্ষুধা নিবারণ ও স্বাস্থ্যগত উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। পুষ্টিমান বাড়াতে অনেক এলাকায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিফিন দেওয়ার মতো চমৎকার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। পুষ্টিবান জাতি গঠনে আমাদেরকে অনেক কাজ করতে হবে। খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থার সঙ্গে ভোক্তাদের এমনভাবে সমন্বয় ঘটাতে হবে যেন নিরাপদ ও মানসম্পন্ন খাদ্য সবার জন্য সুলভ করা যায়। এ জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ আমরা নীতিনির্ধারণী পর্যায়েও কাজ করছি। সকলের সমন্বিত উদ্যোগে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা গেলে পুষ্টিবান জাতি গঠন সম্ভব।

    আজ ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় বহুখাত ভিত্তিক রিসোর্স টিমের (ডিএমআরটি) প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণে রিসোর্স পার্সনদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় প্রোগ্রামের আয়োজন করেন।

    তিনি বলেন, দূষিত পানি বা দুর্বল স্যানিটেশন ব্যবস্থা মস্তিস্কের স্বাভাবিক বিকাশে বাধা তৈরি করে। এসবের প্রভাব একজন ব্যক্তির ওপর দীর্ঘমেয়াদি। নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করা না গেলে ক্যান্সারসহ জঠিল রোগীর সংখ্য বাড়বে। অপুষ্টির মূল কারণ সঠিক পরিমাণ ও সঠিক পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্য খেতে না পাওয়া। ক্ষুধা নিবারণের হার ও ভাত গ্রহণের মাত্রা কাঙ্খিত পর্যায়ে উন্নীত হচ্ছে, তবে মানুষের খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে বৈচিত্র্য আনা জরুরি। খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে ডিম, দুধ, ফলমূল ও ডালজাতীয় শস্য গ্রহণের মাত্রা বাড়াতে হবে।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের (বিএনএনসি) মহাপরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, আমরা সরকারি-বেসরকারি খাতসহ সুশীল সমাজের সঙ্গে কাজ করছি যেন সব মানুষের খাদ্যব্যবস্থার মধ্যে নিরাপদ ও পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্য গ্রহণের নিশ্চয়তা অর্জিত হয়। এ জন্য আমরা ভোক্তার দিকেও নজর দিচ্ছি। কেননা, দুর্বল বা পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণহীন খাদ্যাভ্যাস কেবল ব্যক্তির সীমিত আয়ের কারণেই গড়ে ওঠে না। এ ব্যাপারে ব্যক্তির অজ্ঞানতা বা অসচেতনতাও অনেকাংশে দায়ী। বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ (বিএনএনসি) ২২টি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করে, যেগুলো পুষ্টি কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত। গর্ভবতী নারীদের পুষ্টি ও মনো-সামাজিক বিকাশের দিকে নজর দিতে হবে। এর মাধ্যমে শিশুদের মস্তিষ্কের সার্বিক গঠন নিশ্চিত করা যাবে। পাশাপাশি বাল্যবিবাহ রোধে সর্বত্র জনমত সৃষ্টি করতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, কর্মক্ষেত্রের খাদ্যব্যবস্থায় পুষ্টির ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ। তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতে দেখেছি, এ ধরনের ব্যবস্থা নিলে কর্মীদের মধ্যে রক্তশূন্যতা পূরণে ভালো ফল পাওয়া যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কর্মক্ষেত্রে পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্য বা কোথাও কোথাও কোনো ধরনের খাদ্যব্যবস্থাই নেই। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের বিষয়ে যত্নশীল হলে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে অপুষ্টির ব্যাপারে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে। তবে আমাদের অপুষ্টি, অতিপুষ্টি ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো আরও যে সব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলোও মোকাবিলা করতে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

    ডা. শাহরিয়ার কবীর আরও বলেন, অপুষ্টি কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভালো করছে। এ ধারাকে আরও বেগবান করতে বহুখাতভিত্তিক পদ্ধতিতে এগিয়ে যেতে হবে। এ রকম একটি বহুখাতভিত্তিক পদ্ধতির জন্য বিএনএনসির সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাজ করছে। কেবল প্রত্যক্ষ পুষ্টি পদ্ধতিতে নয়, বরং পুষ্টি সংবেদনশীল পরোক্ষ পদ্ধতির ওপর জোর দিতে হবে। স্থানীয়, জাতীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের গণমাধ্যম থেকেও সমর্থন প্রয়োজন। তারা আমাদের সঠিক বার্তা প্রচারে ও জনগণকে সংবেদনশীল করতে সহায়তা করব।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিরা বলেন, পুষ্টিতথ্য শিশুদের পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত জরুরী। দেশের ৪ কোটি ২৭ লাখ শিশুকে প্রতিবছর নতুন বই দেওয়া হয়। বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদের ১০ শতাংশ জায়গাতেও যদি এসব পুষ্টি তথ্য রঙিন কার্টুনের মতো দৃষ্টিনন্দন উপায়ে তুলে ধরা যায় তাহলে ভালো ফল দেবে। খাদ্য সুরক্ষার পাশাপাশি আমাদের এটিও স্বীকার করতে হবে যে অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াই সত্যিকার অর্থেই জটিল কাজ। একটি বহুখাতভিত্তিক পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ইতোমধ্যে অপুষ্টি হ্রাস করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশ ভালো অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    বক্তারা আরও বলেন, পুষ্টি নীতিমালা ও এর বাস্তবায়নের জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা রয়েছে। এমন গুটিকয়েক দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য পুষ্টিকেও একটি নিয়ামক হিসেবে দেখার এখনই সময়। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন অংশীজন, যেমন সরকার, নীতিনির্ধারক, মন্ত্রণালয়, সুশীল সমাজ, উন্নয়ন অংশীদার ও দাতাগোষ্ঠীদের এখন আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা দরকার। বেসরকারি খাতের একটি বড় সম্ভাবনা রয়েছে। পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নয়নে আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। আর খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হলে আমাদের পানিসম্পদের উন্নয়ন ঘটাতে হবে।

    বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকার খাদ্য ও পুষ্টি খাতের আইন ও নীতিমালাগুলো বাস্তবায়নে অত্যন্ত আগ্রহী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দূরদর্শী নেতা জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। খাদ্য ও পুষ্টি খাতে সরকারের অঙ্গীকার প্রণীত আইন ও নীতিগুলোর মধ্যেই দৃশ্যমান। এর সবই এসডিজি লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় পুষ্টিমান ও খাদ্য সুরক্ষা উন্নত করার কথা থাকবে। উন্নয়নশীল দেশ হতে হলে আমাদের দৃঢ় ও কার্যক্ষম জনবল দরকার হবে। আর পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নয়ন না ঘটলে তা বাস্তবায়িত হবে না।

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও চমেক হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার দৃষ্টি শর্মার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আশরাফ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের (বিএনএনসি) মহাপরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, ইউনিসেফ’র চীফ অব ফিল্ড অফিস মাধুরী ব্যানার্জী, বিএনএনসি’র পরিচালক ডা. তাহেরুল ইসলাম খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সুমন বড়ুয়া।

    পুষ্টি পরিস্থিতি ও বহুখাত ভিত্তিক ন্যুনতম পুষ্টি প্যাকেজ বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস’র ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মোঃ ফজলে রাব্বি, বিএনএনসি’র উপ-পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আক্তার ইমাম ও সহকারী পরিচালক ডা. নাজিয়া আন্দালিব।

    ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক ড. গাজী গোলাম মাওলা, প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালক মাধবী বড়ুয়া, কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী, নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) অজিত দেব, নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন) সালমা ফেরদৌস প্রমূখ। সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের এডিসি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবার পরিকল্পনা, মহিলা বিষয়ক, কৃষি, খাদ্য, সমাজসেবা, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, প্রাথমিক শিক্ষা, তথ্য অফিস ও যুব উন্নয়নসহ বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তরা ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে অংশ নেন।

  • শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধূলার কোনও বিকল্প নেইঃ বিভাগীয় কমিশনার

    শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধূলার কোনও বিকল্প নেইঃ বিভাগীয় কমিশনার

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আশরাফ উদ্দিন বলেছেন, শিশুদের শারীরিক-মানসিক বিকাশ ও মেধামননে খেলাধূলার কোনও বিকল্প নেই। আজকের খেলোয়ারেরাই একদিন আর্ন্তজাতিক ক্রীড়াবিদ হবে। আনন্দ-বিনোদন ছাড়া কারও জীবন পরিপূর্ণ হয় না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থেকে সমাজের অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া শিশুদের সার্বিক কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারের নির্দেশনায় এসব পিছিয়ে থাকা শিশুদেরকে পড়ালেখা ও আনন্দ-বিনোদনের পাশাপাশি স্বাবলম্বী করতে সমাজসেবা অধিদফতর ব্যাপক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে চলেছেন। সমাজের অসহায় মানুষের কষ্ট লাঘবে বর্তমান সরকার বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী, বেদে ও তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী হিজড়া ভাতাসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রেখেছেন।

    আজ রোববার (২৯ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম এম.এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সমাজসেবার বিভাগীয় আন্তঃ প্রাতিষ্ঠানিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২২ এর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। জাতীয় সংগীতের সুরে সুরে জাতীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। এর পর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিভাগীয় আন্তঃ প্রাতিষ্ঠানিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আশরাফ উদ্দিন। তিনি কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন।

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক নুসরাত সুলতানার (উপ-সচিব) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ মাহমুদ উল্লাহ মারূফ। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোস্তফা ওেমাস্তাকুর রহিম খান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ ওয়াহিদুল আলম (চট্টগ্রাম), ফরিদুল আলম (কক্সবাজার), মিল্টন মুহুরী (বান্দরবান), মোঃ ওমর ফারুক (রাঙ্গামাটি), মোঃ মনিরুল ইসলাম (খাগড়াছড়ি), মোঃ নজরুল ইসলাম পাটোয়ারি (নোয়াখালী), সাইফুল ইসলাম চৌধুরী (ফেনী), নুরুল ইসলাম পাটোয়ারি (লক্ষীপুর), জেড.এম মিজানুর রহমান (কুমিল্লা), আবদুল কাইয়ুম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), রজত শুভ্র সরকার (চাঁদপুর) ও বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহী নেওয়াজ প্রমূখ।

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবার কার্যালয়ের অধীন ১১ জেলার ১৮টি প্রতিষ্ঠান, সরকারী শিশু পরিবার, পিএইচটি সেন্টার, সম্মিলিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও ছোটমনি নিবাসের ৬৩৩ জন নিবাসী আন্তঃ প্রাতিষ্ঠানিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেন।

    বিভাগীয় কমিশনার বলেন, জাতির পিতা ক্রীড়াপ্রেমী ছিলেন। তিনি খেলাধুলা খুব পছন্দ করতেন। ২০’র দশকে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতেও খেলার কথা উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া শিশুদের মনোবল বৃদ্ধির পাশাপাশি নির্মল আনন্দ বয়ে আনবে ও পারস্পরিক সহমর্মিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।