Tag: রাষ্ট্রপতি

  • টেকসই উন্নয়নে দক্ষ জনসংখ্যার গুরুত্ব অপরিসীম : রাষ্ট্রপতি

    টেকসই উন্নয়নে দক্ষ জনসংখ্যার গুরুত্ব অপরিসীম : রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, জনসংখ্যা রাষ্ট্রের অন্যতম মূল উপাদান। টেকসই উন্নয়নে পরিকল্পিত ও দক্ষ জনসংখ্যার গুরুত্ব অপরিসীম। জনসংখ্যাকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রেখে বিদ্যমান সম্পদের পরিবেশবান্ধব ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হবে।

    ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে আজ বুধবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

    উল্লেখ্য, ১১ জুলাই ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৪’ উদযাপিত হবে।

    রাষ্ট্রপতি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৪’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

    মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে সরকার অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, এসডিজি-২০৩০ এবং রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের এসকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং পরিকল্পিত ও পরিমিত জনসংখ্যা নিশ্চিত করতে যথাযথ নীতি ও কর্মকৌশল নির্ধারণে নির্ভরযোগ্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক তথ্য-উপাত্তের বিকল্প নেই।

    রাষ্ট্রপতি কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে উপযুক্ত কর্মক্ষেত্রে নিয়োগেও নির্ভুল জনসংখ্যাগত পরিসংখ্যান খুবই জরুরি উল্লেখ করে বলেন, একটি সুখী-সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে প্রাপ্ত উপাত্তের সর্বোচ্চ ব্যবহারের পাশাপাশি উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।

    দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্ত ব্যবহার করি, সাম্যের ভিত্তিতে সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’, যা দেশের ও বিশ্বের আর্থসামাজিক অবস্থার নিরিখে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

    মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, সবার জন্য সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়তে সকলের সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্তশক্তি ব্যবহার করে সকলের চাহিদা অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, মা-শিশু স্বাস্থ্য এবং কৈশোরকালীন স্বাস্থ্য, প্রজনন স্বাস্থ্য, বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবা পৌঁছে দিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রীর সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট পোর্টাল, ই-টুলকিট, সুখী পরিবার কলসেন্টার, ই-এমআইএস ইত্যাদি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্তের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রপতি একটি উন্নত, সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে কার্যকর অবদান রাখার আহ্বান জানান।

    তিনি ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

  • মুসলিম ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে হিজরি সন: রাষ্ট্রপতি

    মুসলিম ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে হিজরি সন: রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, মুসলিম ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে হিজরি সন। তাই হিজরি নববর্ষ মুসলিম জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    ‘হিজরি (আরবি) নববর্ষ’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

    আজ ৮ জুলাই ‘হিজরি (আরবি) নববর্ষ’। রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলিম ভাই-বোনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে বলেন, ইসলামের প্রচার ও প্রসারে হিজরি সনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। ৬২২ খ্রিষ্টাব্দের ১২ সেপ্টেম্বর মহান আল্লাহর নির্দেশে হযরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কা হতে মদিনায় হিজরত করেন। মুসলিম জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ৬২২ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ বা ১৫ জুলাইয়ের সূর্যাস্তের সময়কে হিজরি সন শুরুর সময় হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।

    মোঃ সাহাবুদ্দিন উল্লেখ করেন, হিজরি সাল ৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তৎকালীন মুসলিম বিশ্বের শাসক ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর ফারুকের (রা.) শাসন আমলে হিজরি সন গণনা শুরু হয়। হিজরি সন গণনার সাথে জড়িয়ে আছে বিশ্ব মুসলিমের তাহজিব-তামাদ্দুন। ইসলামের বিভিন্ন বিধিবিধান, রোজা, হজ, ঈদ, শবে বরাত, শবে কদর বিভিন্ন ইসলামিক আচার অনুষ্ঠান হিজরি সন অনুযায়ী পালন করা হয়।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল থেকে এদেশের সকল ধর্মের মানুষ নিজস্ব ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে পালন করে আসছে, যা আমাদের সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল নিদর্শন। সেই ধারাবাহিকতায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী ১৪৪৬ হিজরি নববর্ষ বরণ করা হবে- এটাই সকলের প্রত্যাশা।

    মহান আল্লাহর কাছে রাষ্ট্রপতির এটাই প্রার্থনা- ‘নতুন হিজরি বছরটি সকলের জন্য মঙ্গল, কল্যাণ এবং শান্তিময় হোক’।

  • ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

    ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

    ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

    ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। তি‌নি বলেন, অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। তাকে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি (ভারতের রাষ্ট্রপতি) প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং এমন একজন স্ট্রং লেডি, যিনি পরপর চারবার এবং পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন, সেজন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কাজ করছেন, সেটির সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।

    হাছান মাহমুদ বলেন, আমি তাকে বলেছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুদিন আগে বলেছেন, জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে কেন একজন মহিলাকে দেখতে পাই না? দেখতে চাই। তিনি (ভারতের রাষ্ট্রপতি) সেটির সঙ্গেও ঐকমত্য পোষণ করেছেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির সঙ্গে ভারত সবসময় ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে বলে জানিয়েছেন।

  • জয় হয়েছে জনগণের, জয় হয়েছে গণতন্ত্রের : রাষ্ট্রপতি

    জয় হয়েছে জনগণের, জয় হয়েছে গণতন্ত্রের : রাষ্ট্রপতি

    অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করায় নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সফলভাবে নির্বাচন পরিচালনার মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক শক্তি আরও সুদৃঢ় হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় হয়েছে দেশের জনগণের, জয় হয়েছে গণতন্ত্রের।

    মঙ্গলবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণের শুরুতে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

    নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জনগণের রায় মেনে নিয়ে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দেশের গণতন্ত্রের জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন অত্যন্ত যুগান্তকারী ঘটনা, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় হয়েছে দেশের জনগণের, জয় হয়েছে গণতন্ত্রের।

    তিনি বলেন, নির্বাচন ঘিরে একটি মহল সহিংসতা ও সংঘাত সৃষ্টি করে গণতন্ত্রের শান্ত-স্নিগ্ধ যাত্রাপথে বাধা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল। তাদের গণতন্ত্র বিরোধী ও সহিংস কর্মকাণ্ড সাময়িকভাবে জনগণকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রাখলেও ভোটারদের ভোটদান থেকে বিরত রাখতে পারেনি। সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ও সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্যই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সব পদক্ষেপ সার্থক হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলো সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছে। আমি আশা করি— ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো সহিংসতা ও নৈরাজ্যের পথ পরিহার করে সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জনগণ ও গণতন্ত্রের কল্যাণে অহিংস পন্থায় গঠনমূলক কর্মসূচি পালন করবে। সরকারও এক্ষেত্রে সংযত আচরণ করবে- এটাই সবার প্রত্যাশা।

    ১৯৭৫-এর ১৫ই আগস্টের বর্বর হত্যাকাণ্ড ইতিহাসে সবচেয়ে বেদনাদায়ক অধ্যায় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন।

    মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী দেশে যে নৃশংস সহিংসতা হয়েছিল তা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। এর মাধ্যমে আমাদের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনসহ পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থেকে মুক্তি পেয়েছি।

    গণতন্ত্র ও উন্নয়নের নিষ্কণ্টক পথচলার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো উদার ও গঠনমূলক মনোভাব নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াবে এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।

  • ভোটে সেনা মোতায়েনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি

    ভোটে সেনা মোতায়েনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। তবে কবে থেকে সেনা মোতায়েন হবে তা আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

    রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ সময় তিনি এ অনুমোদন দেন বলে জানান ইসি সচিব।

    ইসি সচিব বলেন, বেলা ১১টায় সিইসি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এর বিষয়বস্তু ছিল ভোটে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার লক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সহায়তাগ্রহণ সম্পর্কিত অনুরোধ। সংবিধানের ১২০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সিইসি সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতির কাছে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য অনুরোধ করেছেন। রাষ্ট্রপতি বিষয়টি শুনেছেন, আশ্বাস দিয়েছেন যে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে শিগগির সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন।

    সময়সীমা ১৩ দিনই বহাল থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সময় কখন কীভাবে নিয়োজিত হবে, তাদের টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন কী হবে সেটা সশস্ত্র বাহিনীর বিভাগে সঙ্গে ইসি পত্রালাপাপের মাধ্যমে চূড়ান্ত করবে।

    তিনি আরও বলেন, একটা আলোচনা হয়েছিল অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে নিয়োজিত থাকবে তার সঙ্গে সমন্বয় করে যাতে তারা দায়িত্ব পালন করতে পারে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট সময়টি পরে জানানো হবে। ১৩ দিন চূড়ান্ত না। আমরা আলোচনা করে ঠিক করে নেবো।

  • শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী সার্বভৌমত্ব রক্ষার পূর্বশর্ত: রাষ্ট্রপতি

    শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী সার্বভৌমত্ব রক্ষার পূর্বশর্ত: রাষ্ট্রপতি

    একটি শক্তিশালী, আধুনিক ও প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার অন্যতম পূর্বশর্ত বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

    তিনি বলেন, ‘সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করেছে। এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনীতে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম, যা নিঃসন্দেহে সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক, দক্ষ ও গতিশীল করবে। সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে নেতৃত্বের প্রতি গভীর আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ, পেশাগত দক্ষতা এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

    মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সোমবার দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় সশস্ত্র বাহিনী দিবস- ২০২৩ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

    সশস্ত্র বাহিনী দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘যার নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সাতজন বীরশ্রেষ্ঠকে, যারা মাতৃভূমির জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে দেশ ও দেশের বাইরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর বীর সদস্যদের। তাদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করি। সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধাহত সদস্য ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

    তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনী জাতির গর্ব ও আস্থার প্রতীক। মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর তিন বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করে। তিন বাহিনীর সম্মিলিত এই প্রয়াস আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করে। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামের ইতিহাসে ২১ নভেম্বর এক স্মরণীয় দিন। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও বীরত্বগাথা জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।’

    রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতাসহ জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সশস্ত্র বাহিনী প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও মহামারি মোকাবিলায়ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। কেবল দেশেই নয়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে পেশাগত দক্ষতা, সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করে চলেছেন।’

    মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা রাষ্ট্র ও নেতৃত্বের প্রতি পরিপূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে সশস্ত্র বাহিনীর গৌরব সমুন্নত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন- এ প্রত্যাশা করেন রাষ্ট্রপতি। এসময় তিনি সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং বাহিনীসমূহের সব সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

  • রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী

    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী

    রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার পর বঙ্গভবনে যান প্রধানমন্ত্রী।

    এটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। আসন্ন নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে দুই নেতার কথা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে তিনি সরকারি গাড়িতে করে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

    এর আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এসময় নির্বাচন বানচালে অগ্নিসন্ত্রাসের পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে নিজের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ হুঁশিয়ারি দেন শেখ হাসিনা।

  • রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী

    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী

    রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গভবনে যান তিনি। বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখার সময় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে অবস্থান করছিলেন।

    এর আগে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। পরে গোপালগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন ফরম নেন তিনি।

  • ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে : রাষ্ট্রপতি

    ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে : রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ও ক্ষতির প্রভাব থেকে জনগণকে রক্ষা করতে ডায়াবেটিসের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

    মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে একথা বলেন তিনি।

    বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ডায়াবেটিস স্বাস্থ্যের একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সারাজীবন সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যায়। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কিডনি জটিলতা, অন্ধত্ব, মাড়ির রোগ এবং অঙ্গ বিচ্ছেদের মতো মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

    মো. সাহাবুদ্দিন জানান, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকায় বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতেই এ রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে হবে এবং ডায়াবেটিস থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

    এ প্রেক্ষাপটে এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকি জানুন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন’ যথার্থ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, নগরায়ণের প্রভাবে ‘আমাদের জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে’। একই সঙ্গে কায়িক পরিশ্রমের অভাবে ডায়াবেটিসের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছেই। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জনগণকে রক্ষা করতে ডায়াবেটিসের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির পাশাপাশি গণমাধ্যম, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে।

    তিনি ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

  • বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

    বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

    রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতি ও তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা ফুল দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

    রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, ‘সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।’ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তার সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর, বিশেষ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগদান সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। তিনি ৯-১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনের বিষয়েও রাষ্ট্রপ্রধানকে জানান।

    রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সফল সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।

    সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন।

    সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

  • বাজার সম্প্রসারণে পণ্যের মান ধরে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ রাষ্ট্রপতির

    বাজার সম্প্রসারণে পণ্যের মান ধরে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ রাষ্ট্রপতির

    রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, পণ্য বা সেবার বাজার সম্প্রসারণে ‘মান’ এর গুরুত্ব সর্বাধিক। আজ ‘বিশ্ব মান দিবস’ উপললক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)-এর উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ৫৪তম ‘বিশ্ব মান দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। ”

    রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বায়নের যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য ও সেবা উৎপাদনের বিকল্প নেই। যেকোনো পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় তথা বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে ‘মান’ আস্থার প্রতীক হিসেবে কাজ করে।

    তিনি বলেন, পণ্য উৎপাদন, বিপণন ও সেবা প্রদানসহ সকল ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করা অপরিহার্য। এ প্রেক্ষিতে দেশীয় শিল্পোদ্যোক্তা, আমদানিকারক-রপ্তানিকারকগণ মানসম্মত পণ্য উৎপাদন, বিক্রয় ও বিতরণের মাধ্যমে জনগণকে কাক্সিক্ষত সেবা প্রদানে অধিকতর মনোযোগী হবেন বলে আমার বিশ্বাস। পণ্য ও সেবার মান প্রণয়ন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের মাধ্যমে জনগণকে কাক্সিক্ষত সেবা প্রদানে জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে বিএসটিআই’র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জনগণের আস্থা পূরণে বিএসটিআইকে আরো দক্ষ, স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। এ প্রেক্ষাপটে দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে- মান’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। ’

    মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমি আশা করি, জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএসটিআই জনস্বার্থে পণ্য ও সেবার নির্ধারিত মান বজায় রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবে। জাতীয় ও বৈশ্বিক মান বজায় রেখে বিএসটিআই গুণগত পণ্য ও সেবা প্রদান করে দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করবে বলে আমার বিশ্বাস। ’

    রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব মান দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

  • দুর্নীতি-অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: রাষ্ট্রপতি

    দুর্নীতি-অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: রাষ্ট্রপতি

    দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।

    মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান তিনি।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আপনাদের দুর্নীতি এবং অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে. . . যেকোনো পরিস্থিতিতে সরকার সবসময় আপনাদের পাশে থাকবে। উৎসাহ যোগাবে।’

    মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, দেশের শিল্পোন্নয়নে বিদ্যমান সকল সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যেই ‘উন্নত বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, ইতোমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে সনাতনী থেকে ডিজিটাল কর্মসূচিতে পদার্পণের ছোঁয়া পরিলক্ষিত হয়েছে এবং ডিজিটাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট কর্মসূচিতে পদার্পণে বেশি সময় লাগবে না।

    মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের স্লোগান হবে টেকসই শিল্পায়ন স্মার্ট বাংলাদেশের দর্শন।’

    দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণে অবদান রাখারও তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি।

    দেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিদ্যমান উল্লেখ করে মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, শিল্পখাতের দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছে।

    তিনি উল্লেখ করেন, ‘কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু-ব্যবসায়ীর অতি মুনাফালোভী মনোভাব ও রাতারাতি বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলছে এবং এতে জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে। অল্প কিছু মানুষের অপকর্মের দায়ভার গোটা ব্যবসায়ী সমাজের হতে পারে না।

    শ্রমিকদের কল্যাণের পাশাপাশি দুস্থ মানবতার সেবায় দেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।

    শ্রমিকদের নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতি হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, কিছু দুষ্টচক্র দু-একজনকে বেছে নেয় এবং এদেরকে মানবাধিকারের কথা বলে দেশ-বিরোধী চক্রান্ত করায়।

    শিল্প-কারখানায় শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা ও অধিকার প্রদানকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন তিনি।

    অনুষ্ঠানে ৬টি ক্যাটাগরিতে- ভারী, মাঝারি, ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও কুটির এবং উচ্চ প্রযুক্তির শিল্প ইউনিটের মালিকসহ ১২ শিল্পোদ্যোক্তাকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শিল্প পুরস্কার ২০২২’ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

    বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড প্রথম, জাবের এন্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড এবং বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড এবং মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অধিকার করে নিতা কোম্পানি লিমিটেড এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নোমান টেরি টাওয়েল মিলস লিমিটেড।

    ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে হযরত আমানত শাহ স্পিনিং মিলস লিমিটেড প্রথম, বসুমতি ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড দ্বিতীয় এবং টেকনো মিডিয়া লিমিটেড তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

    এছাড়া মাইক্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ক্যাটাগরিতে গ্রীন জেনেসিস ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এবং কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে শামসুন্নাহার টেক্সটাইল মিলস নির্বাচিত হয়েছে।

    ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে এবং সুপার স্টার ইলেকট্রিক্যাল এক্সেসরিজ লিমিটেড ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, শিল্প উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠানের জন্য এই পুরস্কার একটি অনন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, যা তাদেরকে টেকসই শিল্পায়নে বিনিয়োগ ও নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে উৎসাহ এবং প্রেরণা যোগাবে।
    মোঃ সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন যে, তাদেরকে (পুরস্কার প্রাপ্তদের) অনুসরণ করে অন্যান্য ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও রপ্তানিকারকগণ আগামী দিনে দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে উৎসাহিত ও উদ্যোগী হবেন।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা চলছে। তাই বাংলাদেশ সরকার বৈশ্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে এবং দেশের রপ্তানি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

    দেশের উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির বর্তমান অবস্থায় বাংলাদেশের রপ্তানি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে কী প্রভাব পড়তে পারে- তা চিহ্নিত করতে হবে এবং ঝুঁকি ও সম্ভাবনা বিবেচনা করে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে যেতে হবে।

    তথ্যপ্রযুক্তি ও নতুন নতুন উদ্ভাবনের ফলে ক্রমবর্ধমান ব্যবসা-বাণিজ্যে দ্রুত পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, চাহিদা, সরবরাহ ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে আপনাদেরকেও পদক্ষেপ নিতে হবে।’

    ব্যবসায়ীদের ধ্যান-ধারণায় তথ্যপ্রযুক্তিতে জ্ঞান-সম্পন্ন আধুনিক হওয়ার ও উপদেশ দেন রাষ্ট্রপতি। এর পাশাপাশি পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য তাগিদ দেন তিনি।

    শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ডে ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়্যারম্যান এসএম নুরুল আলম রেজভী এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।

    অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কিত একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। রাষ্ট্রপতি নিজ আসনে বসে তা অবলোকন করেন।