Tag: রাষ্ট্রপতি

  • যুবকদের শ্রমবাজার উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে: রাষ্ট্রপতি

    যুবকদের শ্রমবাজার উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে: রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, যুবকদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশ ও বিদেশের শ্রমবাজারের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে শুক্রবার এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতিসংঘের আহ্বানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও জাতীয় উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস ২০২৩’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।

    তিনি বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সুখী ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সমৃদ্ধ সোনার বাংলা নির্মাণে তিনি যুবদের কর্মদক্ষতা বাড়ানো এবং কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন।

    তিনি বলেন, বিশ্বায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষতার পথ ধরে বিশ্ব আজ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল পেতে ই-কমার্স, ক্লাউড কম্পিউটিং, রোবোটিক্স, ব্লকচেইন, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স, ন্যানো প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। প্রেক্ষিতে যুবদের বর্তমান ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় পেশায় প্রশিক্ষণ প্রদান করে দেশ ও বিদেশের শ্রমবাজারের উপযোগী করে গড়ে তোলা প্রয়োজন।

    মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও জনমিতিক লভ্যাংশের সুবিধা গ্রহণের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ নিশ্চিতকরণ, আধুনিক কারিকুলাম প্রণয়ন, সনদায়ন এবং বিদেশে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।

    তিনি বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সম্পর্কে যুবদের অবহিতকরণ, শ্রমবাজারের চাহিদা ও পরিবর্তনের সঙ্গে দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশীজনদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিতকরণ এবং দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সম্পর্কে বিদ্যমান সামাজিক নেতিবাচক ধারণা দূরীকরণে বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস ২০২৩ উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

    রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস ২০২৩’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

  • জনসংখ্যা সভ্যতা ও অগ্রগতির ধারক-বাহক : রাষ্ট্রপতি

    জনসংখ্যা সভ্যতা ও অগ্রগতির ধারক-বাহক : রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সভ্যতা ও অগ্রগতির ধারক-বাহক জনসংখ্যা, রাষ্ট্রের একটি মূল উপাদান।

    ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, “স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৩’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘জেন্ডার সমতাই শক্তি : নারী ও কন্যাশিশুর মুক্ত উচ্চারণে হোক পৃথিবীর অবারিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন’ যা দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার নিরিখে যুগোপযোগী ও যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।”

    তিনি বলেন, পরিকল্পিত ও পরিমিত জনসংখ্যা যেকোনো দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের আয়তন, অবস্থান, জনসংখ্যা, প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ, আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনায় পরিকল্পিত পরিবার গঠনের বিকল্প নেই। জনসংখ্যাকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রেখে বিদ্যমান সম্পদের পরিবেশবান্ধব ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। জনসংখ্যাকে পরিণত করতে হবে জনসম্পদে। টেকসই উন্নয়নে পরিকল্পিত ও দক্ষ জনসংখ্যার গুরুত্ব অপরিসীম।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে নারী ও পুরুষের সমঅধিকারের কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশে জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। জাতীয় উন্নয়নে নারীদের অধিক হারে সম্পৃক্ত করতে হবে। এছাড়া জেন্ডার সমতা অর্থাৎ নারী ও পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।’

    তিনি বলেন, গর্ভবতী নারীর নিরাপদ প্রসবসহ প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত এবং কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রাধিকার দিতে হবে। পরিবার পরিকল্পনার মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার রোধ করে দারিদ্র্য বিমোচনসহ শিক্ষা ও কর্মসংস্থান বাড়াতে মনোযোগী হতে হবে। তাই পরিকল্পিত পরিবার গঠনে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে সক্ষম দম্পতিদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং তাদের কাছে পরিবার পরিকল্পনা সেবা সঠিক সময়ে পৌঁছে দিতে হবে।

    মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, নারী-পুরুষ সমতা এবং নারী ও কন্যাশিশুর অসীম সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে নারীর ক্ষমতায়ন ত্বরান্বিত হবে, দেশ এগিয়ে যাবে। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারলে আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরসহ বিভিন্ন জনমিতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবো বলে আমি মনে করি। কাঙ্ক্ষিত এই লক্ষ্যার্জনে তিনি সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আরও সক্রিয় ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

    রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষ্যে নেওয়া সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

  • ‘পিজিআর প্রতিষ্ঠা বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী চিন্তার বহিঃপ্রকাশ’

    ‘পিজিআর প্রতিষ্ঠা বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী চিন্তার বহিঃপ্রকাশ’

    রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, দায়িত্বের পরিধি বৃদ্ধি, সাংগঠনিক কাঠামোর পরিবর্তন এবং প্রেসিডেন্ট গার্ড সদস্যদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় রেজিমেন্ট একটি সুশৃঙ্খল, পূর্ণাঙ্গ ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। পিজিআর প্রতিষ্ঠা বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী চিন্তা-চেতনা একটি বহিঃপ্রকাশ।

    মঙ্গলবার (৪ জুলাই) প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে এই ঐতিহ্যবাহী রেজিমেন্টের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন গ্রহণ করুন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগের বিনিময় প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট বর্তমান পর্যায়ে এসেছে, তাদের প্রতিও রইল আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা।’

    তিনি বলেন, ‘গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বিনম্র চিত্তে স্মরণ করছি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঘাতকদের বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে নিহত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলতুন্নেসা মুজিবসহ পরিবারের শহীদ সদস্যদের। সশস্ত্র চিত্তে স্মরণ করছি, মুক্তিযুদ্ধে আত্ম উৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করছি, জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন ও বিদেশি বন্ধুসহ সব স্তরের জনগণকে। যারা আমাদের অধিকার আদায় ও মুক্তি সংগ্রামে অসামান্য অবদান রেখেছে। সহযোগিতা জানিয়ে আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছেন।’

    তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের সব খাতের উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন, সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ও গুরুত্ব আরোপ করেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেন। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অক্ষুণ্ন রাখতে বঙ্গবন্ধু দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন বাহিনীর উন্নয়ন ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্য একটি বিশেষায়িত রেজিমেন্ট হিসেবে ১৯৭৫ সালের ৫ জুলাই প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেন।

    ‘বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে দেশের মতো আমাদের দেশেও জীবনযাত্রা এবং জীবনব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে আপনারা আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিব শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানেও নিষ্ঠার দক্ষতা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন। গৌরবময় দুটি অনুষ্ঠানে আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশের অনেক রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা যোগ দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুবর্ণ জয় মুজিব শতবর্ষের উদযাপনকে মহিমান্বিত করেছেন। বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বলতার অনন্য আসনে উন্নীত করেছেন আপনারা। এসব অনুষ্ঠান আয়োজনে অন্যান্য সংগঠনের পাশাপাশি আপনাদেরও রয়েছে প্রশংসনীয় অবদান। করোনা মহামারিকালে বিদেশি অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আপনাদের প্রচেষ্টা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও প্রশংসিত হয়েছে।’

    ‘আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব একদিকে যেমন গৌরবময়, তেমনি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর। আপনাদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে ভিআইপিদের অর্থাৎ অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সর্বাত্মক সমন্বিত নিশ্চিত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তবে নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে এই ভিআইপিদের জনসংযোগের বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। মনে রাখতে হবে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে নয়, বরং জনসম্পৃক্ততার অব্যাহত রেখে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা আপনাদের কৃতিত্ব।’

    মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বিশ্বায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান যুগে এই ভিআইপিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে, আপনাদের ও তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুগ উপযোগী প্রশিক্ষণ ও কৌশল মতো উৎকর্ষ অর্জন করতে হবে। পিজিআরের প্রতিটি সদস্যকে হতে হবে আরও চৌকস ও দক্ষ। পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারেন। দায়িত্বের গুরুত্ব ও পরিধি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের সাংগঠনিক কাঠামো বৃদ্ধি করা হয়েছে। সাহিত্যের ব্যাপকতা বিবেচনা করে এই রেজিমেন্টকে আরও সুসংহত করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমি আশা করব, আপনারা চেইন অব কমান্ডের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থাশীল থেকে আপনাদের ওপর অর্পিত যেকোনো দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন। পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের মান ও সক্রিয়তা বজায় রেখে রেজিমেন্টের অর্জিত গৌরব সমন্বিত রাখবেন।’

    ‘নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেওয়াই গার্ডসের লক্ষ্য। এ মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে আপনাদের দায়িত্ববোধ পেশাগত উৎকর্ষ, দেশপ্রেম ও নিষ্ঠার জন্য প্রশংসিত। একাগ্রতা, শৃঙ্খলা বোধ এবং সর্বোপরি কর্তব্যের প্রতি সচেতনতা ও দক্ষতা আপনাদের অন্যদের থেকে স্বাতন্ত্র্য করে তুলবে। আমি আশা করি, আপনাদের দীপ্ত ও কর্তব্য নিষ্ঠা এবং সার্বক্ষণিক সতর্কতা বাহিনীর ভবিষ্যৎ পথ চলাকে আরও গৌরবময় করে তুলবে।’

    ‘প্রেসিডেন্ট গার্ডস অব রেজিমেন্ট আমাদের গর্বের সেনাবাহিনী নিয়ে গঠিত একটি বিশেষায়িত অংশ। যেখানে আমি আমাদের চৌকস সেনাবাহিনীর প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। আমাদের গর্বিত সেনাবাহিনীর সুনাম আজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুবিধিত। আমাদের সেনাবাহিনী জাতীয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিষ্ঠা ও সফলতার সঙ্গে পালন করতে সক্ষম হবে, এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।’

    রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আপনারা মনে রাখবেন- দেশ ও জাতি আপনাদের ওপর যে মহান দায়িত্ব অর্পণ করেছে, সে দায়িত্ব পালনে যেকোনো আত্মত্যাগ জাতির ইতিহাসে আপনাদের চিরস্মরণীয় করে রাখবে। আমি এই রেজিমেন্টের সব শহীদ ও প্রয়াত সৈনিকদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। সুযোগ্য নেতৃত্ব, সঠিক দিকনির্দেশনা পেশাগত দক্ষতা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা আপনাদের প্রিয় রেজিমেন্টকে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাবে। ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ কামনা করি, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে আমার এই প্রার্থনা মহান আল্লাহ যেন আপনাদের সহায় হন।’

  • হজ পালন শেষে দেশে ফিরলেন রাষ্ট্রপতি

    হজ পালন শেষে দেশে ফিরলেন রাষ্ট্রপতি

    সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ সফর সঙ্গীরা।

    রোববার (৩ জুলাই) রাত ১টা ৪৭ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাদের বহনকারী বিমানটি।

    এসময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, কূটনৈতিক কোরের ডিন, তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং সামরিক ও বেসামরিক-সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে স্বাগত জানান।

    এর আগে সৌদি সরকারের রাজকীয় মেহমান হিসেবে হজ পালনের জন্য ১০ দিনের সফরে দেশটিতে যান রাষ্ট্রপতি ও তার পরিবারের সদস্যরা।

    রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতার শেষ দিনে গত শুক্রবার রাতে মদিনা পৌঁছেন। সেখান থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে (বিজি-৩৩৮) রোববার ঢাকায় অবতরণ করেন তিনি।

  • হজ পালনে সৌদি আরব পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি

    হজ পালনে সৌদি আরব পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন আজ বিকেলে সৌদি সরকারের রাজকীয় অতিথি হিসেবে পবিত্র হজ পালনের জন্য ১০ দিনের সফরে সৌদি আরবের জেদ্দায় পৌঁছেছেন।

    বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট (ফ্লাইট নং: বিজি ৩৩১), রাষ্ট্রপতি, তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা এবং সফরসঙ্গীদের নিয়ে সন্ধ্যা ৬টায় (কেএসএ সময়) জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে পরিচিত কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (কেআইএ) অবতরণ করে।

    জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছলে মো: সাহাবুদ্দিনকে মক্কা অঞ্চলের ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স বদর বিন সুলতান বিন আবদুল আজিজ, কেএসএ-তে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারি এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।

    সেখান থেকে ভিভিআইপি প্রতিনিধিদলকে রাজকীয় অতিথি হিসাবে পবিত্র মক্কার সাফা রয়্যাল প্যালেসে আবাসস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। এখান থেকে রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী এবং সফরসঙ্গী দলের অন্য সদস্যদের হজ পালন করার কথা রয়েছে।

    রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বঙ্গভবনের সচিব এবং সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রয়েছেন।
    রাষ্ট্রপতি বিমানে হজ কাফেলার হজযাত্রী ও তার সফরসঙ্গী দলের সদস্যদের খোঁজখবর নেন।

    এর আগে রাষ্ট্রপ্রধান দুপুর আড়াইটার দিকে হযরত শাহজালাল (র.) অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর (হিসা) থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কূটনৈতিক কোরের ডিন, বাংলাদেশে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত, নৌবাহিনী প্রধান, বিমানবাহিনী প্রধান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, সেনাপ্রধানের প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট বেসামরিক ও সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে তাকে বিদায় জানান।

    হজের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ১লা জুলাই মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা জিয়ারত করতে মদিনায় যাবেন। সৌদি আরবে তার ১০ দিনের সফর শেষ করে রাষ্ট্রপতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে (ফ্লাইট নম্বর: বিজি ৩৩৮) ২ জুলাই মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।

  • হজ পালনে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতির ঢাকা ত্যাগ

    হজ পালনে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতির ঢাকা ত্যাগ

    রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সৌদি সরকারের রাজকীয় অতিথি হিসাবে পবিত্র হজ পালনে ১০ দিনের সফরে আজ সৌদি আরবের (কেএসএ) উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।

    বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি উড়োজাহাজ (ফ্লাইট নং: বিজি ৩৩১), রাষ্ট্রপতি, তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা এবং সফরসঙ্গীদের নিয়ে দুপুর ২.৩০ মিনিটে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (হিসা) ত্যাগ করে।
    রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বঙ্গভবনের সচিবগণ এবং সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রয়েছেন।

    মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, কূটনৈতিক কোরের ডিন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানান।

    বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছালে মক্কা অঞ্চলের ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স বদর বিন সুলতান বিন আবদুল আজিজ, সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারি এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে স্বাগত জানাবেন।

    কর্মসূচী অনুযায়ী রাষ্ট্রপ্রধান সেখানে আল সাফা রয়্যাল প্যালেসে অবস্থান করবেন।

    হজের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ১ জুলাই মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারতের জন্য মদিনায় যাবেন।

    হজ ও জিয়ারতসহ সৌদি আরবে ১০ দিনের সফর শেষ করে, রাষ্ট্রপতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি বিমানে (ফ্লাইট নম্বর: বিজি ৩৩৮) ২ জুলাই মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।

  • ন্যায় বিচার নিশ্চিতে বিচার বিভাগকে তৎপর হতে পরামর্শ রাষ্ট্রপতির

    ন্যায় বিচার নিশ্চিতে বিচার বিভাগকে তৎপর হতে পরামর্শ রাষ্ট্রপতির

    জনগণ যাতে স্বল্প সময়ে ন্যায়বিচার পায় সে লক্ষ্যে বিচার বিভাগকে আরো বেশি তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এর নেতৃত্বে সাত সদস্যের এক প্রতিনিধি দল “বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২” পেশ করার সময় তিনি এ আহ্বান জানান।

    রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদিন ব্রিফিংয়ে জানান, রাষ্ট্রপ্রধান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলাকারীদের ভোগান্তি কমানোর লক্ষ্যে বিচারাধীন মামলাগুলি হ্রাস করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করার সর্বাত্মক প্রয়াস চালানোর পরামর্শ দেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশের বিচার বিভাগ নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

    সাক্ষাৎকালে প্রধান বিচারপতি প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক এবং সুপ্রিম কোর্টের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। এ সময় তিনি নিম্ন ও উচ্চ আদালতের বিচার স্বল্পতা ও অবকাঠামো সমস্যার কথাও তুলে ধরেন। বিচার বিভাগ যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে কাজ সম্পাদন করতে পারে, সেই লক্ষ্যে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের ও আশ্বাস দেন তিনি ।

    রাষ্ট্রপতি দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

    রাষ্ট্রপতির সচিবগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

     

  • যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের তেল, গ্যাসসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের তেল, গ্যাসসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে তেল, গ্যাস সহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।

    বাংলাদেশে নবনিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক আজ সকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে তার পরিচয় পত্র পেশকালে তিনি এ আহ্বান জানান। হাইকমিশনার বঙ্গভবনে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।

    যুক্তরাজ্যের নতুন হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “ব্রিটেন বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও কারিগরি উন্নয়নে যুক্তরাজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে প্রথমেই যুক্তরাজ্যে পদার্পণ করলে তাঁকে ব্যাপক সম্মান দেয়ায় রাষ্ট্রপতি তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও বৃটেনের জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

    রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, সেই থেকেই বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের একসাথে পথ চলা শুরু এবং কালের পরিক্রমায় এই সম্পর্ক আজ দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত।

    রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি যুক্তরাজ্যের নতুন রাজাকে অভিনন্দন জানান।

    হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাজ্যের অংশীদারিত্ব মজবুত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই অব্যাহত উন্নয়নে তার দেশ সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। হাই কমিশনার দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।

    এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বডুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

  • মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে গণমাধ্যমের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান

    মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে গণমাধ্যমের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান

    মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।

    টেলিভিশন চ্যানেল মালিক সমিতি (অ্যাটকো) এর ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।

    রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নকে প্রাধান্য দিন। নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে গণমাধ্যমকে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে।”

    রাষ্ট্রপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে না পারলে আমাদের সব অর্জন বৃথা হয়ে যাবে।

    তিনি বলেন, “বিগত পাঁচ দশকের অধিককালে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এই সময়ে স্বাধীনতা বিরোধীরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করার অনেক চেষ্টা চালিয়েছে।”

    দেশের তৃণমূল পর্যায়ে গণমাধ্যমের ব্যাপক উপস্থিতির উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, গণমাধ্যম যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।

    স্বাধীনতা বিরোধীচক্র যাতে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাসকে কোনভাবেই বিকৃত করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে তিনি সে লক্ষ্যে গণমাধ্যমকে আরো তৎপর হওয়ার তাগিদ দেন।

    তিনি বলেন, “গণমাধ্যম অবশ্যই সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করবে। সাথে সাথে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কার্যক্রমকে তুলে ধরতে হবে।”

    দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশে কাজ করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, কেউ যাতে ছদ্মাবরণে ও চতুরতার সাথে আমাদের ইতিহাসকে বিকৃতি করতে না পারে সেজন্য এই টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

    তিনি বলেন, “সামনে দ্বাদশ নির্বাচন। গণতন্ত্র, উন্নয়ন এবং মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসীদের জন্য এটি একটি এসিড টেস্ট। তাই গণমাধ্যমকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।”

    রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশ ও জনগণের জন্য কারা অপরিহার্য এবং কোন ধারার জনপ্রতিনিধি আবশ্যক তা ঠিক করতে এবং জনমত তৈরিতে গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।

    প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং রাষ্ট্রপতির সচিবগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও অ্যাটকোর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী এবং ডিবিসি নিউজের চেয়ারম্যান ও অ্যাটকোর সহ-সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল চৌধুরী ১১-সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

    অ্যাটকো সভাপতি সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

    প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- সংগঠনের সহ-সভাপতি ও ইনডিপেনডেন্ট টিভির পরিচালক আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান, অ্যাটকো পরিচালক-বৈশাখী টিভির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন, বাংলাভিশনের চেয়ারম্যান আবদুল হক, আরটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির বাবলু, সময় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়ের, নাগরিক টিভির পরিচালক নাভিদুল হক, ইটিভির ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ, চ্যানেল আই এর পরিচালক জহিরুদ্দিন মাহমুদ মামুন এবং এনটিভির পরিচালক মোঃ আশফাক উদ্দিন আহমেদ।

  • তুরস্ক গেলেন রাষ্ট্রপতি

    তুরস্ক গেলেন রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তুরস্কের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ছয় দিনের এক সরকারি সফরে আজ রাতে আঙ্কারার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।

    রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, তুরস্ক সরকারের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি আঙ্কারার প্রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্সে আগামী ৩ জুন বিকেল ৫টায় (তুরস্কের স্থানীয় সময়) শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

    বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি উড়োজাহাজ (ফ্লাইট নং- বিজি ২০৭) রাষ্ট্রপতি, তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে গতকাল রাত ১১টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আঙ্কারা এসেনবোগা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, কূটনৈতিক কোরের ডীন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান, সংশ্লিষ্ট সচিবসহ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা বিমান বন্দরে রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানান।

    বঙ্গভবনের দেওয়া সূচি অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি সফরকালে আঙ্কারার কানকায়া প্রাসাদে রাষ্ট্রপতি এরদোয়ান আয়োজিত একটি আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে অংশ নেবেন। উচ্চ পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে কয়েকটি কর্মসূচিতে তাঁর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

    তুরস্ক সফরকালে রাষ্ট্রপতি আঙ্কারায় ‘শেরাটন আঙ্কারা হোটেলে’ অবস্থান করবেন।

    আগামী ৬ জুন সন্ধ্যায় একটি ভিভিআইপি উড়োজাহাজে (ফ্লাইট নং বিজি ২০৮) দেশে ফেরার কথা রয়েছে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের।

  • দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের পেশা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

    দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের পেশা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

    রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (ভিডিপি) সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বাড়াতে বিভিন্ন পেশা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

    আজ দুপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংগে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ নির্দেশ দেন।

    পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। রাষ্ট্রপতি আশা করেন যে, সমাজে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে গ্রামে-গঞ্জে নিয়োজিত আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা ইতিবাচক অবদান রাখবেন।

    “সামাজিক স্থিতিশীলতা উন্নয়নের পূর্বশর্ত। এই বাহিনী দেশের অভ্যন্তরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অন্যান্য পেশাগত বাহিনীকে সহযোগিতা করে আসছে,” বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    রাষ্ট্রপ্রধান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা পরবর্তীতে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আনসার ও ভিডিপি-র ভূমিকার প্রশংসা করেন।

    আনসার ও ভিডিপির প্রধান বাহিনীর সদস্যদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গৃহীত নানা পদক্ষেপসহ সার্বিক কর্মকান্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

    রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

     

  • পুলিশকে আরো জনবান্ধব হওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

    পুলিশকে আরো জনবান্ধব হওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

    রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে তাদের কার্যক্রমে আরো জনবান্ধব হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

    বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন আজ দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

    বৈঠক শেষে প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন রাষ্ট্রপতির বরাত দিয়ে জানান, “পুলিশ সদস্যদের কাজ যাতে জনবান্ধব হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।”

    রাষ্ট্রপতি বলেন, পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে কাজ করতে হবে। জনস্বার্থে বিভিন্ন মামলার নিষ্পত্তিতে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেন তিনি।

    রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের ফলে সাইবার ক্রাইম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাইবার ক্রাইম মোকাবেলায় পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে প্রযুক্তি জ্ঞানে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে”।

    রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে ভবিষ্যতেও এই তৎপরতা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন।

    পুলিশ মহাপরিদর্শক বাংলাদেশ পুলিশের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

    রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বডুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।