Tag: রাষ্ট্রপতি

  • শিল্পাচার্য জয়নুলের শিল্পকর্ম আগামী প্রজন্মকে সৃজনশীল কাজে অনুপ্রেরণা যোগাবে : রাষ্ট্রপতি

    শিল্পাচার্য জয়নুলের শিল্পকর্ম আগামী প্রজন্মকে সৃজনশীল কাজে অনুপ্রেরণা যোগাবে : রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের শিল্পকর্ম আগামী প্রজন্মকে সৃজনশীল কাজে নিরন্তর অনুপ্রেরণা যোগাবে। তিনি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।

    আগামীকাল রোববার (২৮মে) শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, গ্রামবাংলার নৈসর্গিক সৌন্দর্য, সাধারণ মানুষের সহজ-সরল জীবনযাত্রা, মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও সংগ্রামই ছিল শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের চিত্রকর্মের মূল উপজীব্য। তাঁর কর্মে প্রতিভাত হয়েছে প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে নর-নারীর শ্রম ও সংগ্রাম এবং তাদের ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ।

    মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, তিনি (শিল্পাচার্য) ইউরোপীয় স্টাইলে চিত্রাঙ্কনের ওপর লেখাপড়া করলেও প্রাচ্য বা পাশ্চাত্যের অঙ্কনধারা তাঁকে আকৃষ্ট করতে পারেনি। অতিমাত্রায় রীতি নির্ভরতার পরিবর্তে তিনি (জয়নুল) বাস্তবতার প্রতি আকৃষ্ট হন।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৩৮ সালে সর্বভারতীয় চিত্রকলা প্রদর্শনীতে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন তাঁর অঙ্কিত জলরঙের ছবির জন্য স্বর্ণপদক লাভ করেন। বরেণ্য এই শিল্পীর কল্পনার রেখা ও তুলিতে ভাস্বর হয়ে উঠেছে ১৯৪৩ সালের ‘দুর্ভিক্ষের রেখাচিত্র’, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে ‘নবান্ন’, ১৯৭০ সালে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে লাখো উপকূলবাসীর মৃত্যুতে ‘মনপুরা’র মতো হৃদয়স্পর্শী চিত্র।

    তিনি বলেন, বরেণ্য এই শিল্পীর কালজয়ী শিল্পকর্ম দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও বিপুল প্রশংসা কুড়িয়েছে ও স্বীকৃতি লাভ করেছে। অসাধারণ শিল্প-মানসিকতা ও কল্পনাশক্তির জন্য জয়নুল আবেদিন শিল্পাচার্য উপাধিতে ভূষিত হন।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, শিল্পাচার্য জয়নুলের উদ্যোগে ১৯৪৮ সালে ঢাকা আর্ট কলেজ (বর্তমানে চারুকলা ইনস্টিটিউট) প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতা এবং শিল্পাচার্য জয়নুলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৫ সালে সোনারগাঁওয়ে লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। ময়মনসিংহে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা গ্যালারি। মোঃ সাহাবুদ্দিন মনে করেন, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের শিল্পকর্ম আগামী প্রজন্মকে সৃজনশীল কাজে নিরন্তর অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং শিল্পাঙ্গনে তাঁর অনবদ্য অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।

    রাস্ট্রপতি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

     

  • বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

    বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

    রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে- তাঁর সাম্প্রতিক জাপান, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর।’

    সরকার প্রধান রাষ্ট্রপতিকে তাঁর সাম্প্রতিক (২৫ এপ্রিল থেকে ০৯ মে পর্যন্ত) ত্রিদেশীয় সফরের সম্পর্কে অবহিত করেন।

    রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সফল সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।

    প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের ফলে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্য বিনিয়োগসহ দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত হবে, রাষ্ট্রপ্রধান আশা করেন।

    সাক্ষাৎকালে, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তাঁর লেখা বই ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন।

    বঙ্গভবনের মুখপাত্র আরও জানান, বৈঠকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী একে অপরের স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন।

    এ সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বঙ্গভবনে পৌঁছান ।

    রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন এবং তাঁর সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীও রাষ্ট্রপ্রধানকে ফুলের তোড়া উপহার দেন।

    বৈঠকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট সচিবগণসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সঠিক ওজন ও পরিমাপের গুরুত্ব অপরিসীম : রাষ্ট্রপতি

    দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সঠিক ওজন ও পরিমাপের গুরুত্ব অপরিসীম : রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, জনগণের জন্য দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সঠিক ওজন ও পরিমাপের গুরুত্ব অপরিসীম।

    তিনি ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।

    বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আগামীকাল শনিবার (২০মে) বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) উদ্যোগে ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমি এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই’।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘নিরাপদ ও সুষম খাদ্য সুস্থ মানবদেহের জন্য অপরিহার্য, যা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং পণ্য ও সেবার মান বজায় রাখতে সঠিক ওজন ও পরিমাপের গুরুত্ব অপরিসীম। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিমাপ বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সঠিক পরিমাপ ব্যতীত টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।’

    মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, পরিমিতি জ্ঞান ও পরিমাপ বিষয়ক জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস’ পালন একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘পরিমাপ বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থার সহায়ক’ যথার্থ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশে শিল্পায়নের ক্ষেত্রে মানসম্মত পণ্য উৎপাদন ও সেবা প্রদান নিশ্চিতের পাশাপাশি শিল্পায়ন ও দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সেবার সকল ক্ষেত্রে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিত করার জন্য গতানুগতিক পদ্ধতিকে ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে উন্মুক্ত তথ্য প্রাপ্তি সহজলভ্য করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সঠিক পরিমাপের আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে শিল্প, কল-কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণসহ আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি সহজতর হচ্ছে, যা দেশের অর্থনীতিকে আরো সমৃদ্ধ করছে।

    তিনি পণ্য ও সেবার মান প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সকল ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণকে কাঙ্খিত সেবা প্রদানে জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে বিএসটিআই’কে আরো দক্ষ, জবাবদিহিমূলক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করারও আহ্বান জানান।

    রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা করেন, দেশকে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

    তিনি ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

  • অনির্বাচিত সরকারের সুযোগ নেই, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে : রাষ্ট্রপতি

    অনির্বাচিত সরকারের সুযোগ নেই, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে : রাষ্ট্রপতি

    অনির্বাচিত সরকারের সুযোগ নেই, সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন কমিশন নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এছাড়া আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যমতে আসতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

    বুধবার (১৭ মে) দুপুরে পাবনার ডায়াবেটিক সমিতি পরিদর্শনে এসে এক সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন বেলা পৌনে ১২টার দিকে পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ রোডস্থ ডায়াবেটিক সমিতিতে প্রবেশ করেন। প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সমিতির চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা। এসময় রাষ্ট্রপতি সমিতি প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, অনির্বাচিত সরকারের বিধান আদালত বাতিল করেছে। সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন কমিশন নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে। রাজনীতির নামে কেউ হানাহানি সৃষ্টি করবেন না।

    পাবনা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এমপি, পাবনা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. মনোয়ারুল আজিজ।

    বক্তারা রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে পাবনা ডায়াবেটিক হাসপাতালের উন্নয়নে তার অতীত অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতি পাবনার অন্যতম স্মৃতিময় আড্ডাস্থল পাবনা ডায়াবেটিক সমিতি পরিদর্শন করেন। এসময় রাষ্ট্রপতি সমিতির চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

    প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী অবস্থানের পর দুপুর ২টা টার সমিতি থেকে বের হয়ে সার্কিট হাউজে বিশ্রামে রয়েছেন। চার দিনের সফরের তৃতীয় দিন বুধবার বিকেল ৪টায় পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু কর্ণার, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল উদ্বোধন এবং আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। ৫টার দিকে জুবলি ট্যাঙ্কের বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বিনোদন পার্ক পরিদর্শন করবেন।

    এর আগে সোমবার (১৫ মে) সকাল ১২টা ৮ মিনিটে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে নিজ জেলা পাবনায় এসে পৌঁছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর পাবনা সার্কিট হাউজে উপস্থিত হয়ে গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর দুপুর দেড়টায় জেলা পরিষদ বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরের নাম ফলক উদ্বোধন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দুইটার দিকে পাবনা সদর আরিফপুর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাতে অংশ নেন। এরপর তিনি স্কয়ার বাগানবাড়িতে পারিবারিক সমাধিস্থলে উপস্থিতি, পুষ্প অর্পণ এবং প্রার্থনায় অংশ নিয়ে প্রথম দিনের কার্যক্রম শেষ করে সার্কিট হাউজে অবস্থান করেন।

    সফরের দ্বিতীয় দিনে বেলা ১১টার দিকে পাবনার বিসিক শিল্পনগরীতে স্কয়ার সায়েন্স অ্যান্ড লাইফ প্ল্যান্ট উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি। পরে দুপুর ১২টার দিকে পাবনা প্রেসক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। বিকেলে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে ঢাকা-পাবনা ট্রেন চলাচলের ঘোষণা দিয়ে রাজনৈতিক জীবন ও জাতীয় ইস্যুতে বক্তব্য রাখেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি।

    রাষ্ট্রপতির প্রটোকল অফিসার নবিরুল ইসলাম সাক্ষরিত সফরসূচি অনুযায়ী জানা গেছে, ১৮ মে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় সার্কিট হাউজে গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবেন।

  • আমি ভেসে আসিনি, রাজপথ থেকেই বঙ্গভবনে গিয়েছি : রাষ্ট্রপতি

    আমি ভেসে আসিনি, রাজপথ থেকেই বঙ্গভবনে গিয়েছি : রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, আমি ভেসে আসিনি, একেবারে রাজপথ থেকেই বঙ্গভবনে গিয়েছি। পাবনার রাজপথ থেকে বঙ্গভবনে গিয়েছি। আমি বঙ্গবন্ধুর ছোঁয়া পেয়েছি। কারাগারে যেতে হয়েছে। চরম অত্যাচারিত হয়েছি। রাতের আঁধারে তুলে নেওয়া হয়েছে। হাতকড়া পরানো হয়েছে। ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়েছে। রাজপথে সক্রিয় হয়ে আমি বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাকশালের পাবনার জয়েন্ট সেক্রেটারি হয়েছিলাম।

    মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকেলে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে মাঠে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

    আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গত ১৪ বছরের নানা অগ্রগতি ও পূর্বের অবস্থা মূল্যায়ন করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধ্বংস করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক চেতনা আবার ফিরে এসেছে।

    তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারকে রাজনৈতিকভাবে পরাস্ত করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। অনেক মন্ত্রী আমার কাছে এসে বিশ্ব ব্যাংকের দাবি মেনে নিতে বলেছিলেন। কিন্তু আমি রাজি হইনি। এটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। কিন্তু আমি শক্ত হাতে মোকাবিলা করেছি।

    এ সময় রাষ্ট্রপতি আগামী সেপ্টেম্বরে পাবনা-ঢাকা রুটে সরাসরি ট্রেন চালু করার ঘোষণা দেন‌। সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন। ধাপে ধাপে পাবনাবাসীর সকল দাবি পূরণের আশ্বাস দেন রাষ্ট্রপতি।

    সাহাবুদ্দিন বলেন, আমার আগমন ঘিরে পাবনায় যে এইভাবে আয়োজন হবে তা কল্পনাও করিনি। পাবনাবাসীর এই উচ্ছ্বাসের ঋণ আমি কীভাবে শোধ করবো? আমি চির কৃতজ্ঞ। এই আয়োজন আমি জীবনেও ভুলবো না। পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের স্মৃতিবিজড়িত এই ঐতিহাসিক মাঠে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আপনাদের এতো ভালোভাসা ও সম্মান পেয়ে আমি আবেগাপ্লুত আনন্দিত। ঢাকার বাহিরে প্রথম সফরেই নিজ জন্মস্থান পাবনায় আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

    তিনি বলেন, স্বাধীনতা বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন। এর পেছনে রয়েছে অনেক সংগ্রামের ইতিহাস। যার নেতৃত্বে ছিলেন জাতির পিতা, পিতার নেতৃত্বে জাতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আজ আমি রাষ্ট্রপতি হয়েছি। আপনারা কেউ চাকরি করছেন, কেউ ব্যবসা করছেন। সবাই স্বাধীনভাবে নিজ নিজ পেশা বেছে নিতে পেরেছেন। নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই আমাদের সবার দায়িত্ব হবে বঙ্গবন্ধু যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সারাজীবন জেল জুলুম ও অমানবিক অত্যাচার-নির্ধারণ সহ্য করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন তা পূরণে নিরলস প্রয়াস চালানো।

    তিনি বলেন, জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আমি এই পাবনা শহরে প্রতিরোধ মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। ১৯৭৫ সালের ২০ আগস্ট আমাকে গ্রেপ্তার করে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেনা ক্যাম্পে আমাকেসহ আরও অনেককে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে টানা তিন মাস চলে অসহ্য-অমানবিক নির্যাতন। তারপর তিন বছর কারাভোগের পর ১৯৭৮ সালে আমি মুক্তি পাই। তারপর আমি বিচারক হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেই। এ সময় আমি সাধ্যমত দেশের জন্য কাজ করেছি। আমি জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছি। পরবর্তীতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছি। দুর্নীতি দমন কমিশনে দায়িত্ব পালনকালে বিশ্ব ব্যাংক কর্তৃক পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বভার আমাকে দেওয়া হয়েছিল। এটা ছিল এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। আমার দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কানাডার আদালতে বিশ্ব ব্যাংকের সেই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এই চাপ মোকাবিলায় আমার প্রতি পাবনাবাসীসহ দেশবাসীর দোয়া ছিল বলেই এই কঠিন কাজ আমি সফলভাবে শেষ করতে পেরেছি।

    সাহাবুদ্দিন বলেন, দেশের রাষ্ট্রপতি হব এটা কখনো ভাবিনি। কিন্তু ভাগ্য আজ আমাকে রাষ্ট্রপতির পদে বসিয়েছে। আপনাদের দোয়া আর ভালোবাসা ছিল বলেই আমি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আপনাদের ভালোবাসাকে সঙ্গী করেই রাষ্ট্রপতি পদের দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই। এজন্য আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা চাই।

    বীর মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু, পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাস, পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অঞ্জন চৌধুরী, সদস্য সচিব-১ অধ্যাপক শিবজিত নাগ, সদস্য সচিব-২ আব্দুল মতিন খান এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।

  • সব সময় ত্যাগের রাজনীতি করেছি, ভোগের নয়: রাষ্ট্রপতি

    সব সময় ত্যাগের রাজনীতি করেছি, ভোগের নয়: রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার সাংবাদিকতা জীবনের বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, অনেক গৌরবোজ্জ্বল দিন এই প্রেস ক্লাবে অতিবাহিত করেছি। বিভিন্ন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। ৭০ থেকে ৭৫ জনকে চাকরি দিয়েছি, কিন্তু কোনো প্রতিদান নেইনি।

    তিনি আরও বলেন, আমি সবসময় ত্যাগের রাজনীতি করেছি, কোনো ভোগের রাজনীতি করিনি।

    মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে পাবনা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

    মো. সাহাবুদ্দিন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন গত ২৪ এপ্রিল। রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজ জেলা পাবনায় এটাই তার প্রথম সফর। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি পাবনা প্রেস ক্লাব চত্বরে পৌঁছলে সাংবাদিক নেতারা ফুল দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান। পাবনা প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য মো. সাহাবুদ্দিন।

    সত্তরের দশকে ছাত্র রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে অনেক গুণী সাংবাদিক এবং বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, অনেক মতবাদ দেখেছি কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি মুজিব আদর্শ বা মুজিববাদের ওপর বিশ্বাস করেই। তখন কোনো মতবাদই কাজে লাগেনি। একমাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তাধারা কাজে লেগেছে। তার নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছি এবং দেশ স্বাধীন করেছি।

    এসময় দল-মত নির্বিশেষে সব সাংবাদিকের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা কামনা করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, কোনো সমাজ ব্যবস্থা ধার করে চলে না। সমাজ ব্যবস্থা চলবে দেশের মানুষ কী চায় (তার ওপর ভিত্তি করে)। মানুষের ইচ্ছার ওপর দিয়ে সমাজ ব্যবস্থা করে গড়ে তুলতে হবে।

    মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন পাবনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান। এতে বক্তব্য রাখেন মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ শিবজিত নাগ, সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ প্রমুখ।

    এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পাবনার বিসিক শিল্প নগরীতে স্কয়ার লাইফসাইন্স লিমিটেডের ফলক উন্মোচন করেন। রাষ্ট্র প্রধানসহ তার সংশ্লিষ্ট সচিবরা সেখানে এক দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

    রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চারদিনের পাবনা সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ সকালে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) শিল্পনগরী পরিদর্শন করেন। রাষ্ট্রপতি সেখানে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান স্যামুয়েল এস. চৌধুরী। পরে রাষ্ট্রপতি স্কয়ার লাইফসাইন্সেস লিমিটেডের উৎপাদন এলাকা পরিদর্শন করেন।

     

  • চার দিনের সফরে পাবনায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি

    চার দিনের সফরে পাবনায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি

    চারদিনের সফরে নিজ জেলা পাবনায় পৌঁছেছেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

    সোমবার দুপুর ১২টা ৮ মিনিটে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে পাবনা শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছান তিনি। এরপর পাবনা সার্কিট হাউজে উপস্থিত হয়ে গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন।

    পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    রাষ্ট্রপতির প্রটোকল অফিসার নবিরুল ইসলাম সাক্ষরিত সফরসূচি অনু্যায়ী জানা গেছে, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে জেলা পরিষদ বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরের নাম ফলক উদ্বোধন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন রাষ্ট্রপতি। এরপর ১টা ৪৫ মিনিটে পাবনা সদর আরিফপুর কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে বাবা-মায়ের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাতে অংশ নেবেন। এরপর বেলা ২ টায় স্কয়ার বাগানবাড়িতে পারিবারিক সমাধিস্থলে উপস্থিতি, পুষ্প অর্পণ এবং প্রার্থনায় অংশ নেবেন।

    পরদিন ১৬ মে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পাবনা বিসিক শিল্পনগরীতে স্কয়ার সাইন্স এন্ড লাইফ প্ল্যান্ট উদ্বোধন করবেন। বেলা ১১টায় পাবনা প্রেসক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। বেলা ৩টায় পাবনা সরকারি অ্যাডওয়ার্ড কলেজ মাঠে নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।

    ১৭ মে বুধবার বেলা ১১টায় পাবনা ডায়াবেটিক সমতি পরিদর্শন। বিকেল ৪টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের যাদুঘর, বঙ্গবন্ধু কর্ণার, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল উদ্বোধন এবং আইনজীবীদের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন। এছাড়া বিকেলে ৫টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বিনোদন পার্ক পরিদর্শন করবেন। ১৮ মে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় সার্কিট হাউজে গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে ১১টক ৪০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবেন।

    পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) আকবর আলী মুন্সী বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির পাবনা সফরকে কেন্দ্র করে সর্বোস্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

    পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির পাবনা সফর ঘিরে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তার পাবনা সফর যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

  • দেশের মানুষকে ভালোবেসে রাজনীতি করার আহ্বান বিদায়ী রাষ্ট্রপতির

    দেশের মানুষকে ভালোবেসে রাজনীতি করার আহ্বান বিদায়ী রাষ্ট্রপতির

    দেশের মানুষকে ভালোবেসে রাজনীতি করতে রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সোমবার (২৪ এপ্রিল) বঙ্গভবনে তার বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আগে প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

    তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের দেশের মানুষকে ভালোবেসে রাজনীতি করা উচিত। তাহলেই রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসবে’।

    বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের মানুষকে ভালোবেসেই তিনি সারা জীবন রাজনীতি করে গেছেন। মানুষের ভালোবাসায় তিনি সিক্ত হয়েছেন।

    নিজেকে উপমহাদেশের রেকর্ড সৃষ্টিকারী রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করে বলেন, টানা দুই মেয়াদে ১০ বছর মানুষের ভালোবাসায় তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও ভারপ্রাপ্ত এবং চলতি দায়িত্ব হিসেবে আরও ৪১ দিন তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে ছিলেন।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে তিনি আর কোনও রাজনীতিতে যুক্ত হবেন না। তিনি বলেন, দেশের মানুষ আমাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছেন। মানুষের সেই সম্মান তিনি অটুট রাখতে চান।

    সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি অবসর জীবন বই পড়ে ও লেখালেখি করে কাটাবেন। তবে নতুন করে আর কোনও রাজনীতিতে জড়াবেন না।

  • ৫২ বছরে এই প্রথম কোন রাষ্ট্রপতিকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানালো বঙ্গভবন

    ৫২ বছরে এই প্রথম কোন রাষ্ট্রপতিকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানালো বঙ্গভবন

    রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদকে আজ বিদায় জানালো বঙ্গভবন। বাংলাদেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোন রাষ্ট্রপ্রধানকে রাষ্ট্রীয় বিদায় জানালো বঙ্গভবন।

    আবদুল হামিদ আজ নতুন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের কাছে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। তিনি বাংলাদেশের একমাত্র ব্যক্তি যিনি টানা দুই মেয়াদে ১০ বছর ৪১ দিন রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

    বাংলাদেশের গত ৫২ বছরের ইতিহাসে এর আগে বঙ্গভবনে এমন কোনো বিদায় অনুষ্ঠান হয়নি। কারণ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আগে এ ধরনের অনুষ্ঠান করার মতো মসৃণ পরিবেশ তৈরি হয়নি।

    বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের প্রবীণ রাজনীতিবিদ আবদুল হামিদ প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান তখন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ২০১৩ সালের ২০ মার্চ তিনি ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হন।

    পরে ২০১৩ সালের এপ্রিলে তিনি ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেন। ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেন।

    আজ সকাল ১১টায় বঙ্গভবনের ঐতিহাসিক দরবার হলে শপথ নেন নতুন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। পরে তিনি তার গুলশানের বাসায় যান।

    সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রীয় প্রটোকল দিয়ে গুলশান থেকে রাত ৮টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে পরদিন নতুন রাষ্ট্রপতিকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেয়া হবে।

    এদিকে শপথ অনুষ্ঠানের পরপরই বিদায়ী রাষ্ট্রপতি হামিদ তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিকুঞ্জে নিজ বাসভবনে চলে যান।

    আবদুল হামিদকে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) তত্ত্বাবধানে একটি মোটর শোভাযাত্রায় তাঁর নিকুঞ্জের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।

    বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি চৌকস দল বিদায়ী রাষ্ট্রপতিকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।

    বিদায় অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি ব্যান্ড দল অংশ নেয়।

    দুই দলে বিভক্ত বঙ্গভবনের কর্মকর্তারা গাড়ির দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বঙ্গভবনের প্রধান ফটক থেকে বাহিরের গেটের ফোয়ারা পর্যন্ত খোলা জিপে ফুলের পাপড়ি ছুঁড়ে আবদুল হামিদকে বিদায় জানান তারা।

    সেখান থেকে বেলা ০১:৪৫ টার দিকে তাঁকে শেষবারের মতো মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে নিকুঞ্জের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়।

    মোঃ আবদুল হামিদ ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার কামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন।

    ১৯৫৯ সালে তৎকালীন ছাত্রফ্রন্ট ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৬৯ সালের শেষ দিকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন।

    আবদুল হামিদ নবম জাতীয় সংসদে স্পিকার নির্বাচিত হন এবং ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

    প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য আবদুল হামিদ এর আগে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সাতবার সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন।

    আজ দুপুরের পর থেকে আবদুল হামিদ ও তাঁর পরিবার তাদের নাগরিক জীবনে ফিরে গেলেন।

    এটিই হতে পারে পুরো মোটর শোভাযাত্রায় হামিদের শেষ যাত্রা এবং এর পর তাঁকে আবার ট্রাফিক লাইট এবং মোড়ে থামার অভ্যাস করতে হবে।

  • ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন মো. সাহাবুদ্দিন

    ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন মো. সাহাবুদ্দিন

    রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন মো. সাহাবুদ্দিন। বাংলাদেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে সোমবার (২৪ এপ্রিল) দায়িত্ব গ্রহণ করলেন তিনি। বঙ্গবভনের দরবার হলে সকাল ১১টার দিকে শপথ পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

    শপথ পাঠ করার পর বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ফুল দিয়ে নতুন রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানান। এসময় আগত অতিথিরা করতালি দিয়ে নতুন রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানান। পরে শপথ নথিতে সই করেন নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ কয়েকশ বিশিষ্ট অতিথি এ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সংসদ সদস্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনীতিক, সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

    মুক্তিযোদ্ধা ও মাঠপর্যায়ের রাজনীতিবিদ মো. সাহাবুদ্দিন ২১তম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হলেন। প্রথা অনুযায়ী শপথগ্রহণের পরপরই মো. সাহাবুদ্দিন এবং মো. আবদুল হামিদ আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ার বদল করেন।

    আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পরে নতুন রাষ্ট্রপতিতে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ অন্যান্যরা অভিনন্দন জানান।

    নতুন রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ও ছেলে আরশাদ আদনান রনিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

    এদিকে মো. আবদুল হামিদকে দুপুরে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোনও রাষ্ট্রপতিতে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। সংর্ধনার পরে মো. আবদুল হামিদ নিকুঞ্জে নিজ বাসভবনে যাবেন। তিনি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা পাবেন।

    রাষ্ট্রপতির সচিব মো. জয়নাল আবেদীন আগেই জানিয়েছেন, আজ সন্ধ্যায় নতুন রাষ্ট্রপতি আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গভবনে উঠবেন। তবে আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে পরদিন সকালে নতুন রাষ্ট্রপতিকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হবে।

    এর আগে ৭৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

    ছাত্রলীগ নেতা থেকে বঙ্গভবনে মো. সাহাবুদ্দিন

    মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনা শহরের শিবরামপুরের জুবিলী ট্যাংক পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম চুপ্পু। পিতা শরফুদ্দিন আনছারী, মাতা খায়রুন্নেসা।

    তিনি ১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরে এলএলবি ও বিসিএস (বিচার) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

    তিনি পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, পাবনা জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। জেলা বাকশালের যুগ্ম-সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

    সাহাবুদ্দিন ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তুরের নির্বাচন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

    তিনি পাবনা জেলায় আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেন। ওই সময় সামরিক স্বৈরশাসকদের রোষানলে তিন বছর জেল খাটেন এবং অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন।

    মো. সাহাবুদ্দিন দৈনিক বাংলার বাণীতে সাংবাদিকতাও করেছেন। তার অনেক কলাম বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়েছে।

    কর্মজীবনে তিনি জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

    সাহাবুদ্দিন পর পর দুবার বিসিএস (বিচার) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন। চাকরি থেকে অবসরের পর হাইকোর্টে আইন পেশায় নিযুক্ত হন।

    তিনি ২০০১ সালের নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দুদক কমিশনার হিসেবে সাহাবুদ্দিন পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিরুদ্ধে ওঠা তথাকথিত দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দৃঢ়তার পরিচয় দেন।

    সাবেক এই ছাত্রনেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

  • আজ শেষ হচ্ছে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেয়াদকাল

    আজ শেষ হচ্ছে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেয়াদকাল

    আজ রোববার (২৩ এপ্রিল) শেষ হচ্ছে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কর্মকালিন মেয়াদকাল। সোমবার (২৪ এপ্রিল) দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিবেন মো. সাহাবুদ্দিন।

    আগামীকাল নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে শপথ পাঠ করাবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যসহ বিশিষ্টজনেরা।

    বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন কাটিয়ে আসা কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামের সন্তান মো. আবদুল হামিদ প্রথম দফায় ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের ২০ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। এরপর ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বার ২১ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত মো. জিল্লুর রহমান বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকার সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি এবং জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর বেশ কিছুদিন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্বও পালন করেন।

    উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালে ময়মনসিংহ-১৮ আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এরপর আর তাকে পেছনে তাকাতে হয়নি। কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকা থেকে সাতবার আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

    একজন সফল রাজনীতিবিদ হিসেবে রাষ্ট্রের এক নম্বর ব্যক্তি হয়ে বঙ্গভবন ছাড়ছেন তিনি। তবে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে অবসরে গেলেও আইন অনুযায়ী অবসর ভাতা, চিকিৎসাসুবিধাসহ অন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা পাবেন তিনি।

  • সামর্থ্যবানদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    সামর্থ্যবানদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিশ্বের বিত্তশালী ও সামর্থ্যবান ব্যক্তিবর্গকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

    আজ সকালে ঈদের নামাজ আদায়ের পর বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশবাসীকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানানোর সময় রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।

    রাষ্ট্র প্রধান বলেন, ‘দেশের বিত্তশালী ও সামর্থ্যবানদেরকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে হবে। তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

    ইসলামের মহান শিক্ষাকে ধারণ করে মানবসেবায় নিজেদের নিয়োজিত করার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের মুখে হাসি ফোটাতে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

    রাষ্ট্র প্রধান ধনী-গরিব নির্বিশেষে ঈদের আনন্দ সকলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাভাব বিরাজ করছে।

    তিনি বলেন ‘বাংলাদেশও এই ক্ষতিকর প্রভাবের বাইরে নয়। এমতাবস্থায় বিত্তশালীদেরকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে হবে।’

    রাষ্ট্রপতি বলেন, এই ঈদ-উল-ফিতরে সবার অঙ্গীকার হলো ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে সবার মুখে হাসি ফোটানো।

    বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আজ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষবারের মতো জনগণের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।

    কারণ, তিনি আগামী ২৪ এপ্রিল সকাল ১১টায় নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিনের কাছে তাঁর কার্যালয়ের দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন এক শপথ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।

    মুসলমানদের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি তাঁর সহধর্মিণী রাশিদা খানমসহ পরিবারের সদস্যরা আজ সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সর্বস্তরের জনসাধারণের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

    ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, এমপি এবং সংশ্লিষ্ট সচিবগণ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে ছিলেন।

    জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী,মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, বিচারক, সিনিয়র রাজনীতিবিদ, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, বিদেশি কূটনীতিক এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।