Tag: রাষ্ট্রপতি

  • গণতন্ত্র বিপন্নকারী অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানোর আহবান রাষ্ট্রপতির

    গণতন্ত্র বিপন্নকারী অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানোর আহবান রাষ্ট্রপতির

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গণতন্ত্রকে বিপন্ন করে তোলে এমন যেকোনো অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

    আজ জাতীয় সংসদের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ‘বিশেষ অধিবেশনে’ ভাষণদানকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

    দলমত নির্বিশেষে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘আসুন, সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে প্রিয় মাতৃভূমি থেকে সংঘাত-সংঘর্ষ এবং যেকোনো উগ্রবাদ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড হতে দূরে থেকে কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনে শামিল হই।’

    রাষ্ট্রপতি হিসেবে জাতীয় সংসদে দেয়া তাঁর শেষ ভাষণে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে বিপন্নকারী যেকোনো অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।’

    রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. আবদুল হামিদের দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে আগামী ২৪ এপ্রিল। পরপর দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন তিনি। নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিবেন নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

    জাতীয় সংসদকে গণতন্ত্র চর্চার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সরকারি ও বিরোধী উভয়পক্ষের সংসদ সদস্যদেরকে হিংসা-বিদ্বেষ, ব্যক্তিগত এবং দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াসে গঠনমূলক, কার্যকর ও সক্রিয় অংশগ্রহণের তাগিদ দেন।

    স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ অধিবেশনে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদও উপস্থিত ছিলেন।

    নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং বর্তমান রাষ্ট্র্রপতি আবদুল হামিদের সহধর্মিনী রাশিদা খানম অধিবেশন প্রত্যক্ষ করেন।

    সংসদে দেয়া ১৬ পৃষ্ঠার বক্তব্যে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, পৃথিবীর মানচিত্রে একটি আত্মমর্যাদাশীল, দেশপ্রেমিক জাতি হিসেবে আমাদের পরিচয়কে আমাদের ঐকান্তিকতা, সততা ও কর্মনিষ্ঠা দিয়ে সমুন্নত রাখতে হবে।

    তিনি মনে করেন, দেশের উন্নয়নে আমাদের চিন্তা, কর্মপদ্ধতি ও কৌশল ভিন্ন হতে পারে কিন্তু হিংসা-বিভেদ নয়, স্বার্থের সংঘাত নয় – আমাদের মধ্যে সুগভীর ঐক্য থাকবে জাতীয় স্বার্থ ও দেশপ্রেমের প্রশ্নে।

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “ক্ষমতায় যাওয়া বা পরিবর্তন আনার একমাত্র উপায় নির্বাচন।”

    আবদুল হামিদ বলেন, আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও হিংসার রাজনীতি কখনো দেশ, সমাজ ও অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর হতে পারে না, বরং তা রাজনৈতিক পরিবেশকে তমসাচ্ছন্ন করে তোলে।

    সংঘাত ভুলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে এসে গণতন্ত্রকে বিকশিত হতে সকলের সহায়তার অতি গুরুত্ব আরোপ করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

    তিনি সকলকেই রাজনীতি থেকে হিংসা-হানাহানি অবসানের মাধ্যমে একটি সহিষ্ণু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখার আহ্বান জানান।

    প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও মহান সংবিধানের আলোকে বাংলাদেশের জনগণ নিরপেক্ষভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চার ইতিহাসকে আরো সমৃদ্ধ ও বেগবান করবে বলে রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

    দীর্ঘ ৫০ বছরের সংসদীয় কার্যক্রম উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ও দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে ৭ এপ্রিল একটি ঐতিহাসিক ও অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭৩ সালের এই দিনে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছিল।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় সংসদের ইতিহাস নতুন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য এই বিশেষ অধিবেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

    তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, সংসদ সদস্যগণ তাঁদের বক্তব্যে সংসদের ইতিহাসের পাশাপাশি সংসদ পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুর রীতিনীতি, কর্মকৌশল এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকেও দেশবাসী ও বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরবেন।

    বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তুলে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বিগত দেড় দশকে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে। গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও সুদৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সকল যোগ্যতা অর্জন করেছে।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ও যোগ্য নেতৃত্বে বিগত দেড় দশকে দেশের প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বেই দেশের গণতন্ত্র আজ নিরাপদ ও সুরক্ষিত”।

    তিনি সংসদকে জানান, বর্তমানে জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত প্রতিনিধি ব্যতীত অন্য কোনো গোষ্ঠী বা অসাংবিধানিক শক্তির রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণের সুযোগ নেই।

     

  • স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন রাষ্ট্রপতি

    স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আজ বিকেলে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে।

    আট দিনের এই সফরে রাষ্ট্রপ্রধানের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল আই সেন্টারে চোখের চিকিৎসা করার কথা রয়েছে।

    মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, কূটনৈতিক কোরের ডিন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে তাঁকে বিদায় জানান।

    সফরে রাষ্ট্রপতির পত্নী রাশিদা খানম এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আবদুল হামিদের সঙ্গে রয়েছেন।

    কর্মসূচি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির ৫ এপ্রিল দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

     

  • রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে রিট চেম্বার আদালতে খারিজ

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে রিট চেম্বার আদালতে খারিজ

    মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

    মঙ্গলবার (২১ মার্চ) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুল আলম। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ খান।

    এর আগে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।

    গত ১৫ মার্চ মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা দুটি রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমেন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

    গত ১৪ মার্চ মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন দুটি শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চে পাঠান প্রধান বিচারপতি।

    তার আগে গত ১২ মার্চ মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট শুনতে বিব্রতবোধ করেন হাইকোর্ট। এ সময় রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠান আদালত।

    বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিব্রত প্রকাশ করেন।

    বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি আহমেদ সোহেল বলেন, আমি পাঁচ বছর দুদকের আইনজীবী ছিলাম। যেহেতু এই রিট আবেদনে দুদকের প্রশ্ন জড়িত এ কারণে রিট আবেদনটি শুনতে বিব্রত বোধ করছি। এরপর রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন আদালত।

  • নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে নরেন্দ্র মোদির অভিনন্দন

    নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে নরেন্দ্র মোদির অভিনন্দন

    বাংলাদেশের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার সুস্বাস্থ্য ও সাফল্য কামনা করেন নরেন্দ্র মোদি।

    রোববার (৫ মার্চ) পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, মো. সাহাবুদ্দিনের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অবদান এবং বিচারক হিসেবে অভিজ্ঞতা দেশের সর্বোচ্চ পদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ।

    তিনি আরও বলেন, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে দু’দেশের জনগণের কল্যাণে বহুমুখী অংশীদারিত্ব বাড়াতে ভারত দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলেও উল্লেখ করা হয় এ অভিনন্দন বার্তায়।

    রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের দূরদর্শী নেতৃত্বে দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

     

  • রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে পুতিনের অভিনন্দন

    রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে পুতিনের অভিনন্দন

    বাংলাদেশের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার দূতাবাস এই তথ্য জানিয়েছে।

    এক বার্তায় ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন গ্রহণ করুন। আমাদের দুই দেশ ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখছে। আমি আশা করি, আপনার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন খাতে দুই দেশের গঠনমূলক সহযোগিতা আরও জোড়ালো হবে।

    পুতিন বাংলাদেশের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতির সুস্বাস্থ্য, সাফল্য ও সার্বিক মঙ্গল কামনা করেন।

    গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিন। মো. আবদুল হামিদের উত্তরসূরি হিসেবে তিনি হবেন বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি। তিনি এই পদের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন আগামী ২৩ এপ্রিল বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর।

  • অতিথি হয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী

    অতিথি হয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী

    অতিথি হয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের কিশোরগঞ্জের বাড়িতে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাষ্ট্রপতির বাড়িতে যান তিনি। সেখানে জোহরের নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একই টেবিলে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা।

    এর আগে বেলা ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে মিঠামইনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে পৌঁছানোর পর মিঠামইন সদরে ঘোড়াউত্রা নদীর তীরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন করেন তিনি।

    জানা গেছে, সেনানিবাস উদ্বোধনের পর সেখানে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। পরে দুপুরে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে তার পৈতৃক বাড়িতে যান তিনি।

    এর আগে রাষ্ট্রপ‌তির বড় ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌ‌ফিক জানিয়েছিলেন, দীর্ঘ দুই যুগ পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিঠামইন যাচ্ছেন। ১৯৯৮ সালে যখন সেখানে যান, তখনকার হাওর আর বর্তমান সরকারের উন্নয়নের পর এখনকার হাওরের পার্থক্য স্বচক্ষে দেখার জন্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর এ সফর।

    তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর এ সফর আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। দলীয় সভাপতির এ সফরকে কেন্দ্র করে হাওরাঞ্চলে উৎসমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এখানকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরার জন্য জনসভার আয়োজন করা হয়েছে এবং এ জনসভাকে জনসমুদ্রে রূপ দেওয়ার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

  • নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অমর একুশের চেতনা অনুপ্রেরণার অবিরাম উৎস : রাষ্ট্রপতি

    নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অমর একুশের চেতনা অনুপ্রেরণার অবিরাম উৎস : রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অমর একুশের চেতনা আজ অনুপ্রেরণার অবিরাম উৎস।

    তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, নিজ ভাষার উন্নয়ন ও সংরক্ষণের পাশাপাশি বহুভাষিক শিক্ষার মাধ্যমে টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন ইতিবাচক অবদান রাখবে।

    আগামীকাল (২১ ফেব্রুয়ারি) ‘মহান শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে আজ সোমবার দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এই আশা প্রকাশ করেন।

    আবদুল হামিদ বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অমর একুশের চেতনা আজ অনুপ্রেরণার অবিরাম উৎস। তবে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির যথাযথ চর্চা ও সংরক্ষণে আমাদের আরো যত্নবান হতে হবে।’

    তিনি বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে আজ আমরা গ্লোবাল ভিলেজের বাসিন্দা। তাই উন্নত বিশ্বের সাথে সমানতালে এগিয়ে যেতে বর্তমান প্রজন্মকে বাংলার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃত বিভিন্ন ভাষার ওপর প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে হবে।’

    রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় জীবনে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষার দাবিতে গঠিত ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ এর নেতৃত্ব দেন এবং কারাবরণ করেন। স্মরণ করি তৎকালীন গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্তসহ সকল ভাষা সংগ্রামীকে, যাঁদের দূরদৃষ্টি, অসীম ত্যাগ, সাহসিকতা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। বাঙালি পায় মাতৃভাষার অধিকার।

    আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে বাংলাসহ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী জনগণ ও জাতিগোষ্ঠীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ ২১ ফেব্রুয়ারি, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। স্মৃতিবিজড়িত এই দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি মাতৃভাষা বাংলার অধিকার আদায়ে জীবন উৎসর্গকারী ভাষা শহীদ রফিক, সালাম, বরকত, জববার, শফিউরসহ নাম না জানা শহীদদের।’

    আবদুল হামিদ বলেন, ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ব্রিটিশ শাসিত ভারত ভেঙে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের জন্ম হয়। হাজার কিলোমিটার দূরত্বের ব্যবধানে অবস্থিত পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের ভাষা ও সংস্কৃতি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করা হলে বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে।

    তিনি বলেন, মূলত ভাষা আন্দোলন ছিলো আমাদের মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিজস্ব জাতিসত্তা, স্বকীয়তা ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষারও আন্দোলন। আমাদের স্বাধিকার, মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে অমর একুশের অবিনাশী চেতনাই যুগিয়েছে অফুরন্ত গ্রেরণা ও অসীম সাহস। ফেব্রুয়ারির রক্তঝরা পথ বেয়েই অর্জিত হয় মাতৃভাষা বাংলার স্বীকৃতি এবং সে ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে আসে বাঙালির চিরকাঙ্খিত স্বাধীনতা, যার নেতৃত্ব দিয়েছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৯৯ সালে কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশীর প্রাথমিক উদ্যোগ এবং সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বতঃস্ফূর্ত আগ্রহ ও ঐকান্তিক চেষ্টায় জাতিসংঘ কর্তৃক ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এটি জাতি হিসেবে আমাদের একটি অন্যতম গৌরবময় অর্জন। মাতৃভাষা এবং নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে এ দিবসটি উদ্যাপন একটি অনন্য উদ্যোগ।

    মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষ্যে তিনি আশা প্রকাশ করেন, মহান একুশের চেতনাকে ধারণ করে পৃথিবীর নানা ভাষাভাষী ও সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্মানবোধ জাগ্রত হবে, গড়ে ওঠবে একটি বৈষম্যহীন বর্ণিল বিশ্ব।

  • জনগণের আস্থা অর্জনে জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    জনগণের আস্থা অর্জনে জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    জনগণের আস্থা অর্জনে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।

    তিনি আজ সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে ‘রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অডিটোরিয়ামে’ জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে এক মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান।

    রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মূল কাজ জনগণের কল্যাণে কাজ করা এবং এজন্য জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।

    স্থানীয় উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে আবদুল হামিদ বলেন, “শুধু উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করলেই হবে না, জনগণ যেন উন্নয়নের সুফল পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।”

    সংসদ সদস্য মোঃ আফজাল হোসেন ও রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক, রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    রাষ্ট্রপতি হামিদ তিন দিনের সফরে আজ বিকেলে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন পৌঁছান।

    তিনি আগামীকাল ইটনা উপজেলার একটি সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন এবং শুক্রবার মিঠামইন ক্যান্টনমেন্ট ও আরো কয়েকটি উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিদর্শন করবেন।

    শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে।

  • বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি হামিদের সাথে প্রধানমন্ত্রী, নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ

    বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি হামিদের সাথে প্রধানমন্ত্রী, নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ

    রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সাথে আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত মোঃ সাহাবুদ্দিন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

    সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি হামিদের সহধর্মিনী রাশিদা খানম, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট কন্যা শেখ রেহানা, নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোঃ শাহাবুদ্দিন, তার সহধর্মিনী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে পৌছালে তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপ্রধান হামিদ ও তার সহধর্মিনী। এ সময় আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় মোঃ সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানান এবং তারা পরস্পর কুশল বিনিময় করেন ও স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন।সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। রীতি অনুযায়ী বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকেও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

    গত রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি পদে জেলা ও দায়রা জজ, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার এবং ইসলামি ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাহাবুদ্দিনকে (৭৪) মনোনয়ন দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায়, সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তাঁকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। রবিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে, সিইসি ঐ ঘোষণা দেন।
    সোমবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ইসি সচিবালয়। ওইদিনই ইসলামি ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি।

    ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীকে দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়, কারণ সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী অন্য কোনো রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য কোনো নাম প্রস্তাব করেনি। সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে।

    বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৩ এপ্রিল। পরদিন ২৪ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের অভিষেক হওয়ার কথা রয়েছে।

  • রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন আবদুল হামিদের

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন আবদুল হামিদের

    বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় মো. সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

    সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আবদুল হামিদ নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে ফোন করে এই অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

    তিনি জানান, আবদুল হামিদ নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। ফোনালাপে তারা পরস্পর কুশল বিনিময় করেন।

    দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের নামে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার বিকেলে জারি করা এই গেজেটে সই করেছেন ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।

    এর আগে সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের নাম ঘোষণা করেন। তিনি বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

    দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি থাকবেন মো. সাহাবুদ্দিন।

    বর্তমান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ আগামী ২৩ এপ্রিল অবসরে যাবেন। পরদিন ২৪ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করতে পারেন মো. সাহাবুদ্দিন।

  • রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

    রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

    দলীয় সূত্র বলছে, বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের প্রার্থী দেয়ার সম্ভাবনা নেই। এর ফলে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে মনোনয়ন নিয়ে যিনি ইসিতে যাবেন, তিনিই এ পদে নির্বাচিত হবেন।

    রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদের ‍সদস্য সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তিনিই হতে যাচ্ছেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি।

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন রোববার সকালে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এ পদের জন্য তার নাম জমা দেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

    দলীয় সূত্র বলছে, বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের প্রার্থী দেয়ার সম্ভাবনা নেই। এর ফলে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে মনোনয়ন নিয়ে যিনি ইসিতে যাবেন, তিনিই এ পদে নির্বাচিত হবেন।

    রাষ্ট্রপতি পদে একজন প্রার্থী হলে নির্বাচনের জন্য সংসদের সভা বা ভোটের প্রয়োজন হয় না।

    সাহাবুদ্দিন চুপ্পু অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনারও।

    রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিতে নির্বাচন ভবনে যায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলটির প্রতিনিধি দল। বেলা পৌনে ১১টায় দলটির নেতারা আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে পৌঁছান।

    ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে অন্যদের মধ্যে ছিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

    এর আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্বাচনী কর্তা ও সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সকাল সোয়া ১০টায় তার দপ্তরে পৌঁছান।

    রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য এই পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সেই অনুযায়ী, তার ৫ বছরের মেয়াদ আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হবে।

    একাধিক প্রার্থী হওয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট হয়েছিল ১৯৯১ সালে। এরপর থেকে প্রতিবারই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ পদে ক্ষমতাসীন দল মনোনীত প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে আসছেন।

  • ক্ষমতার অপপ্রয়োগ যাতে না হয় ডিসিদেরকে তা নিশ্চিত করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

    ক্ষমতার অপপ্রয়োগ যাতে না হয় ডিসিদেরকে তা নিশ্চিত করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

    রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ সরকারের বহুমুখী কার্যক্রম সমন্বয় ও তত্ত্বাবধানকারী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ যাতে না হয় তা নিশ্চিত করার জেলা প্রশাসকদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন।

    রাষ্ট্রপতি আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩’ এর তৃতীয় দিনে জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ্য এ নির্দেশনা দেন।

    রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, “নিজে দুর্নীতিমুক্ত থাকবেন . . . এবং অন্যরাও যাতে দুর্নীতির সুযোগ না পায় সেদিকেও খেয়াল রাখবেন”।

    দুর্নীতিকে দেশের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় অন্তরায় উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, দুর্নীতির কারণে টেকসই উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তাই মাঠ প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, “আশা করি আপনারা কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব ও ক্ষমতার পার্থক্য সচেতনভাবে বজায় রাখবেন।”
    জনকল্যাণে ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে ডিসিদেরকে তাদের মেধা ও দক্ষতা ব্যবহার করার ও নির্দেশনা দেন আবদুল হামিদ।

    রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, জেলা প্রশাসকরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে দেশাত্মবোধ ও একাগ্রতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে যাবেন, ।

    বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা করেন, ২০৩০-এর মধ্যেই বাংলাদেশ এসডিজির সকল লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে “আধুনিক ও স্মার্ট বাংলাদেশে” পরিণত হবে।

    জেলা প্রশাসনের কর্ণধার ও সেবক হিসেবে জনগণের দোরগোঁড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দেয়ার অর্পিত এ গুরুদায়িত্ব আরও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করার আহ্বান জানান তিনি।

    রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সম্মানিত সদস্যদের কাছ থেকে প্রাপ্ত মূল্যবান পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নে ডিসিদেরকে আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দেন রাষ্ট্রপতি।

    হামিদ বলেন, “জনগণের সেবা দেয়া আপনাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য . . . এটাকে দয়া বা অনুগ্রহ মনে করার কিছু নেই।”
    করোনাকালে ও পরবর্তীতে করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন আর্থিক ও প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য জেলা প্রশাসকদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

    রাষ্ট্রপতি চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে খাদ্যদ্রব্য, ভোজ্য তেল ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিসহ জাতীয় জীবনে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদেরকে সব সময়ই জনগণের পাশে থাকার নির্দেশনা দেন।

    রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, “বৈশ্বিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে সরকারি সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার, ব্যয় সংকোচন এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে আপনাদের আরো যতœশীল হওয়ার অনুরোধ করছি।”

    পরিবেশবান্ধব গ্রামোন্নয়নে আবাসন, শিক্ষা, কৃষি নির্ভর শিল্পের প্রসার, চিকিৎসা সেবা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানীয় জল ও পয়:নিষ্কাশনের ব্যবস্থার মাধ্যমে উপজেলা সদরে ও বর্ধিষ্ণু শিল্পকেন্দ্রগুলোকে আধুনিক শহর-উপশহর হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারি উদ্যোগের সাথে বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয় ঘটাতে জেলা প্রশাসকদেরকেও কার্যকরী ভূমিকা রাখার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।

    ভূমি ব্যবস্থাপনার সাথে জনগণের সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে তিনি দক্ষ, আধুনিক, জনকল্যাণমুখী ও টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং ভূমি সংক্রান্ত জনবান্ধব ডিজিটাইজ সেবা নিশ্চিতকরণে ডিসিদের আরো বেশি কৌশলী ও তৎপর হওয়ার তাগিদ দেন।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, এসব ব্যাপারে জেলা প্রশাসকদেরকে আরো কঠোর হতে হবে। তিনি বলেন, “এসি ল্যান্ডসহ তৃণমূল পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে।”
    জেলা ই-সার্ভিস সেন্টার, পৌর ডিজিটাল সেন্টার ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি সেবাকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে ডিসিদের কার্যকরী ভূমিকা রাখার পরামর্শ দেন রাষ্ট্রপতি।

    দুর্যোগপ্রবণ বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সামাজিক বনায়ন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন, জলাভূমির উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের চলমান কর্মসূচির বাস্তবায়নে ডিসিদেরকে আরও সক্রিয় হওয়ার কথা বলেন রাষ্ট্রপতি হামিদ ।

    তিনি আরো বলেন, অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে বন, নদী ও পাহাড় রক্ষা করতে হবে।

    যুব সমাজের মেধা, সৃজনশীলতা ও প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে সরকার যুব সমাজকে সুসংগঠিত ও উৎপাদনমুখী করতে ‘ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি’সহ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ বাস্তবায়নে কার্যকর অবদান রাখার পরামর্শ দেন রাষ্ট্রপতি হামিদ।

    তিনি মাদকদ্রব্য যাতে যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে না দেয় সে দিকেও জেলা প্রশাসকদেরকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথ পরিক্রমায় একটি উন্নত, আধুনিক ও তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক “স্মার্ট বাংলাদেশ” বিনির্মাণে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো: মাহবুব হোসেন, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    পরে রাষ্ট্রপতি বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ফটো সেশন ও চা-পানে অংশ নেন।