Tag: রাষ্ট্রপতি

  • ‘সোনার বাংলা’ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার তাগিদ

    ‘সোনার বাংলা’ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার তাগিদ

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, সমগ্র বিশ্বই এখন কঠিন সময় পার করছে। করোনা অতিমারী মোকাবিলা করে বাংলাদেশের অর্থনীতির গতিশীলতা থাকলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দেশের অগ্রযাত্রাকে কিছুটা শ্লথ করে দিয়েছে। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদ সম্পূণরূপে নির্মূলের মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ-প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আরো ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    বিকেলে জাতীয় সংসদে বছরের প্রথম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান। রীতি অনুযায়ী জাতীয় সংসদে বছরের প্রথম অধিবেশনেই ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি।

    রাষ্ট্রপ্রধান দেশের অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে মুক্তিযুদ্ধেও চেতনা আর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, আত্মমর্যাদাশীল ‘সোনার বাংলা’ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার তাগিদ দেন।

    রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়ন, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্য তুলে ধরেন।

    রাষ্ট্রপতি হামিদ মেট্রোরেল চালু, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল এবং নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মানসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন, করোনা মোকাবিলা, বাস্তুুচ্যূত রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্য প্রদান এবং জলবায়ুর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরীতা নয়’-এ নীতির কথা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।

    তিনি বলেন, এর ওপর ভিত্তি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন গতিশীল এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারকরণ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শ্রমবাজার সম্প্রসারণে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

    বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্য প্রদান, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ুর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

    চলমান বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতির প্রভাবের কথা বলতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সমগ্র বিশ্বই পার করছে এক কঠিন সময়। তিনি বলেন, করোনা অতিমারি আমরা সফলভাবে মোকাবিলা করে অর্থনীতির গতিশীলতা বজায় রাখতে সক্ষম হলেও রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ চলমান এই অগ্রযাত্রাকে শ্লথ করেছে।

    রাষ্ট্রপতি জানান, তারপরও ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেট ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

    রাষ্ট্রপতি সংসদকে জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক দুই-পাঁচ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মাথাপিছু জাতীয় আয় পূর্ববর্তী অর্থবছর থেকে ২৩৩ মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

    ‘পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার এবং বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক চার-চার বিলিয়ন ডলারে,’ তিনি যুক্ত করেন।

    বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্র ও পাট খাতের অবদান গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে ১ দশমিক এক-তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং তৈরি পোশাকখাত থেকে ৪২ দশমিক ছয়-এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে।

    আবদুল হামিদ বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির অস্থিতিশীলতা সত্ত্বেও দেশের খাদ্য নিরাপত্তা সুরক্ষিত রয়েছে এবং বর্তমানে দেশে খাদ্যশস্য মজুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক এক-চার লক্ষ মেট্রিক টন, যা সন্তোষজনক।

    ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে ৬০ বছরের উর্ধ্বে দেশের সকল নাগরিকের জন্য পেনশন ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, রাষ্ট্রপতি জানান।

    রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, সরকারের যুগোপযোগী ও নারীবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণের ফলে বাংলার নারীরা দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে।

    শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতির প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রপতি বলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের নিট ভর্তি হার ৯০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৯৭ দশমিক চার-দুই শতাংশে উন্নীত হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় ‘ঝরে পড়ার হার’ ৪৯ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ১৪ দশমিক এক-পাঁচ শতাংশে নেমে এসেছে।

    সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন সহকারি শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যা স্বাধীনতার পর এক আদেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক, তিনি জানান।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে এবং ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২’ উৎক্ষেপণের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

    তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরে

  • বাধা সত্ত্বেও আমরা উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি: রাষ্ট্রপতি

    বাধা সত্ত্বেও আমরা উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি: রাষ্ট্রপতি

    বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে আছে মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সক্রিয় অংশীদার হতে সরকার সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ এই অঞ্চলের একটি দ্রুত বর্ধনশীল উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি। বেশকিছু বাধা সত্ত্বেও আমরা কয়েক বছর ধরে উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।

    মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স (এনডিসি) ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের (এএফডব্লিউসি) গ্র্যাজুয়েটরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।

    গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি আশা করি এই সম্মানজনক কোর্সটি আপনাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সহায়তা করবে। এনডিসিতে অবস্থানকালে আপনারা অত্যন্ত মূল্যবান পেশাগত জ্ঞান অর্জন করেছেন এবং এখান থেকে আপনাদের জ্ঞানভাণ্ডারে ব্যাপক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা যুক্ত হয়েছে।

    তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে দিক্ষিত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী, যোগ্য ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ অসামান্য আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অর্জন করেছে।

    বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাসী উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, আমি গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও পেশাগত উৎকর্ষতার মাধ্যমে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা বিশ্বশান্তি ও ঐক্য বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ জাতির পিতার বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করে বিশ্বের সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন ও বজায় রাখতে সদাতৎপর।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, এই পরিবর্তিত বিশ্বে জাতীয় উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আর এজন্য রাষ্ট্রীয়, প্রশাসন ও জাতীয় নিরাপত্তায় নিযুক্ত কর্মকর্তাদের জন্য একই সঙ্গে অর্থনৈতিক মুক্তি, জাতীয় উন্নয়ন ও জাতীয় নিরাপত্তার জ্ঞান অর্জন ও প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    তিনি বলেন, এখানে অবস্থানকালে এই গ্র্যাজুয়েটদের হৃদয়ে বাংলাদেশের প্রতি মমতা ও এ দেশকে মূল্যায়নের বোধ সৃষ্টি হয়েছে। তা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে আমাদের শুভেচ্ছা রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করতে সহায়ক হবে।

    এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ১৭টি দেশের ৩২ নাগরিক এসব কোর্সে অংশ নেন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন- ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল আকবর হোসেন, উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা প্রমুখ।

     

  • দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি

    দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি

    স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চোখের চিকিৎসার জন্য জার্মানি ও যুক্তরাজ্যে ২০ দিনের সফর শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

    বঙ্গভবন প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

    এতে বলা হয়, বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনী প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, পররাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপিসহ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।

    এর আগে গত ২৯ অক্টোবর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চোখের চিকিৎসার জন্য জার্মানির রাজধানী বার্লিনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন রাষ্ট্রপতি। সেখান থেকে ৬ নভেম্বর লন্ডনে পৌঁছান তিনি।

    গত ১৩ নভেম্বর দেশে ফেরার কথা থাকলেও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তারিখ পরিবর্তন করা হয়।

    ৭৮ বছর বয়সী রাষ্ট্রপতি হামিদ দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় ভুগছেন। তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকার থাকাকালীন লন্ডন ও বার্লিনে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতেন।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বার্লিন থেকে লন্ডনে পৌঁছেছেন

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বার্লিন থেকে লন্ডনে পৌঁছেছেন

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জার্মানির বার্লিন থেকে শনিবার (৫ নভেম্বর) রাতে লন্ডনে পৌঁছেছেন। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার আশেকুন নবী চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্রপতি বার্লিন থেকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় (স্থানীয় সময়) লন্ডনে এসে পৌঁছান।

    যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান। রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রাশিদা খানমও এ সময় সঙ্গে ছিলেন বলে জানান তিনি।

    এরআগে রাষ্ট্রপ্রধান নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চোখের চিকিৎসার জন্য জার্মানি ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সফরে ২৯ অক্টোবর ভোররাতে ঢাকা ত্যাগ করেন।

    রাষ্ট্রপতি দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় ভুগছেন। তিনি জাতীয় সংসদের (সংসদ) স্পিকার থাকাকালীন লন্ডন ও জার্মানিতে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতেন।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • স্বাস্থ্য পরীক্ষায় জার্মান ও যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতির ঢাকা ত্যাগ

    স্বাস্থ্য পরীক্ষায় জার্মান ও যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতির ঢাকা ত্যাগ

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চোখের চিকিৎসার জন্য জার্মানি ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সফরে আজ শনিবার ভোররাতে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
    রাষ্ট্রপতি ও তাঁর স্ত্রী রাশিদা খানমসহ সফর সঙ্গীদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি নিয়মিত বিমান (কিউওয়াই ৬৩৯) আজ রাত ৩টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এইচএসআইএ) ত্যাগ করেন।

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, ডিপ্লোমেটিক কোরের ডীন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত মরক্কোর রাষ্ট্রদূত মাজিদ হালিম, ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রয়েস্টারসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানান।

    রাষ্ট্রপতি জার্মানির একটি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং লন্ডনের একটি চক্ষু হাসপাতালে চোখ পরীক্ষা করাবেন।
    ৭৮ বছর বয়সী রাষ্ট্রপতি দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় ভুগছেন।
    তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকার থাকাকালীন লন্ডন ও জার্মানিতে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতেন।

    আগামী ১৩ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির লন্ডন থেকে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

     

  • রবিবার শপথ নেবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    রবিবার শপথ নেবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে আগামী ২৫ জুলাই (রবিবার) সকাল ১০টা ১৪ মিনিটে শপথ নেবেন দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের পক্ষে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি জানানো হয়েছে।

    এতে জানানো হয়, শপথগ্রহণের পর সকাল ১০টা ২৩ মিনিটে নতুন রাষ্ট্রপতি বক্তব্য রাখবেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

    ইতিহাস গড়ে দ্রৌপদী গত ২১ জুলাই ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী যশবন্ত সিনহাকে বিপুল ব্যবধানে হারান তিনি।

    ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দ্রৌপদী মুর্মুকে শুভেচ্ছা জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    টুইটারে করা এক পোস্টে মোদি লিখেন- ‘ইতিহাস রচিত হলো ভারতে। এই জয়ের জন্য তাকে অনেক অভিনন্দন।’

    বিজেপি মনোনীত রাষ্ট্রপতি মুর্মু সাঁওতাল সম্প্রদায়ের। এর আগে তিনি ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    এন-কে

  • ভারত পাচ্ছে ১৫তম রাষ্ট্রপতি

    ভারত পাচ্ছে ১৫তম রাষ্ট্রপতি

    ভারতের পরবর্তী প্রথম নাগরিক অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি কে হচ্ছেন- তা জানা যাবে বৃহস্পতিবারই। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু কিংবা বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহার মধ্যেই কেউ একজন হতে চলেছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দের উত্তরসূরি।

    বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) ভারতের স্থানীয় সময় ১১টায় শুরু হবে ভোট গণনা। ভোট গণনা শেষে আজই ঘোষণা হবে নতুন রাষ্ট্রপতি’র নাম।

    দলগত ভাবে যশবন্ত সিন্‌‌হাকে সমর্থন জানালেও কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি এবং এনসিপির বেশ কয়েক জন বিধায়ক ভোট দিয়েছেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে। আর এই ক্রস ভোটিং-এর জল্পনা চলছে সোমবার থেকেই।

    এই পরিস্থিতিতে দ্রৌপদীর প্রাপ্ত ভোটের অঙ্ক নিয়ে জল্পনা রয়েছে। তবে ভোটের পরেই বিজেপির দাবি করেছে, বিরোধী শিবিরে ভাঙনের অঙ্কে প্রত্যাশা পেরিয়ে জয় পাবেন দ্রৌপদী।

    এরপর ২৫ জুলাই শপথ গ্রহণ করবেন নতুন প্রেসিডেন্ট। আর আগামী ৬ আগস্ট হবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন।

    এর আগে সোমবার হয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ভোট পড়েছে ৯৮.৯ শতাংশ। ১৬তম রাষ্ট্রপতি ভোটে বিজয়ী প্রার্থী হবেন দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি।

    কারণ, ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ পর পর দু’বার (১৯৫২ এবং ১৯৫৭) নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন।

    এন-কে

  • রাষ্ট্রপতির সাথে আ.লীগের সংলাপ ১৭ জানুয়ারি

    রাষ্ট্রপতির সাথে আ.লীগের সংলাপ ১৭ জানুয়ারি

    নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংলাপ আগামী ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। রবিবার (৯ জানুয়ারি) বঙ্গভবনের প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    প্রেস উইং জানায়, ওই দিন বিকাল চারটায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে ইসি গঠন নিয়ে আলোচনা করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

    উল্লেখ্য, গত ২০ ডিসেম্বর সংলাপ শুরুর পর এখনও পর্যন্ত ৩২টি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

    গত দুইবারের মতো এবারও সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের উদ্যোগ নিয়ে ২০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি সংলাপ শুরু করেন।

    বিএনপি আগের দুইবার সংলাপে গেলেও এবার রাষ্ট্রপতির এই উদ্যোগে সাড়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর বাইরে আরও কয়েকটি দল আমন্ত্রণ পেলেও সংলাপে অংশ নেয়নি। এছাড়াও দু-একটি দল সংলাপে যাবে না বলে আগাম ঘোষণা দিয়েছে।

    সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন নিয়োগে আইন প্রণয়ন না হওয়ায় বিকল্প হিসেবে সার্চ কমিটি গঠন করে নিয়োগ দিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি।

    কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। তার মধ্যেই রাষ্ট্রপতিকে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। নতুন ইসির পরিচালনায় আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

  • করোনা টিকা নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

    করোনা টিকা নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

    করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বুধবার বিকালে তিনি টিকার প্রথম ডোজ নেন।রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

    এর আগে গত ৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা করোনাভাইরাসের টিকা নেন।

    গত ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে প্রথমবারের মতো করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়। পরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।

    ইতোমধ্যেই অনেক বিশেষ ব্যক্তি ও মন্ত্রীরাও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন।

    দেশব্যাপী এক হাজার পাঁচটি কেন্দ্রে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে।

  • জনগণের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে বিমান বাহনীকে রাষ্ট্রপতির নির্দেশ

    জনগণের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে বিমান বাহনীকে রাষ্ট্রপতির নির্দেশ

    রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ দেশের সেবা এবং জনগণের কল্যাণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য আজ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বিএএফ) সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন।

    তিনি বিমান বাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এ দেশের সন্তান হিসেবে, আপনারাও দেশের মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার সমান অংশীদার। তাই পেশাদারিত্বের নিপুণতা বজায় রাখার পাশাপাশি জনগণের প্রয়োজনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আপনাদেরকে কাজ করতে হবে।’

    সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি আজ বিকেলে গণভবন থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বরিশাল রাডার ইউনিট এবং হেলিকপ্টার সিমুলেটর ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।

    বরিশালে বিমান বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির পক্ষে চিফ অব এয়ার স্টাফ চিফ মার্শাল মশিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত বরিশাল রাডার ইউনিট এবং হেলিকপ্টার সিমুলেটর ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ফলক উন্মোচন করেন।

    তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, পরিশ্রম ও সততার কোন বিকল্প নেই। সুদৃঢ় মনোবল, কঠোর পরিশ্রম, সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার ও দেশপ্রেমই আপনাদেরকে পেশাগত জীবনে উৎকর্ষের শিখরে পৌঁছে দিতে পারে।

    আব্দুল হামিদ বলেন, পূর্বসূরিদের আত্মত্যাগের স্বার্থকতা আসবে আপনাদের একনিষ্ঠ দেশপ্রেম ও কর্তব্যনিষ্ঠার মাধ্যমে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়ন তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ এখন সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে সশস্ত্র বাহিনীর পরিসর ও আকারও ধীরে ধীরে বর্ধিত হচ্ছে।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমান বাহিনীকে একটি অত্যাধুনিক ও চৌকস বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নতুন নতুন বিমান ঘাঁটি স্থাপন এবং যুদ্ধ বিমান, পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার, এয়ার ডিফেন্স রাডার, ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য যুদ্ধ উপকরণ সংযোজন করে চলেছেন।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, হেলিকপ্টার সিমুলেটর ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।

    বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে উল্লেখ করে হামিদ বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন বিমান বাহিনীর সদস্যরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে এদেশের জনগণের পক্ষে প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের এই সাহসিকতাপূর্ণ অবদান চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।’

    রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘একটি দক্ষ ও চৌকস সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা ছিল তাঁর (বঙ্গবন্ধু) লক্ষ্য।’ আর এ কারণেই তিনি স্বাধীনতার পর যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশে আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও একটি আধুনিক সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং ১৯৭৪ সালে ‘জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি’ প্রণয়ন করেন।

    রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বর্তমান সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে একটি কার্যকরী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ও ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ প্রণয়ন করেছে যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একটি আধুনিক, শক্তিশালী ও পেশাগত বিমান বাহিনীর স্বপ্ন দেখেছিলেন। আর এ লক্ষ্যে, তাঁর শাসনকালের অতি অল্প সময়ের মধ্যেই বিমান বাহিনীতে সে সময়ের অত্যাধুনিক মিগ-২১ সুপারসনিক ফাইটার বিমানসহ পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার ও এয়ার ডিফেন্স রাডার যুক্ত হয়।’

    আব্দুল হামিদ বলেন, বরিশাল রাডার ইউনিট স্থাপন বরিশাল অঞ্চলে আকাশসীমা পর্যবেক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এগুলো সমুদ্র ও উপকূলীয় অর্থনৈতিক কর্মকা-, উদ্ধার-তৎপরতা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে ত্রাণ-কার্যক্রমে সহায়ক হবে বলে তিনি আশা করেন।

  • সেনা অভিযানে মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি ও অং সান সু চি আটক

    সেনা অভিযানে মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি ও অং সান সু চি আটক

    মিয়ানমারে সামরিক অভিযানে দেশটির রাষ্ট্রপতি উইন মিনত, ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চিসহ শাসক দলের শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

    সোমবার ভোরে সেনাবাহিনীর অভিযানে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের মুখপাত্র মায়ো নিউনত।

    তিনি জানান, সোমবার ভোরে অং সান সু চি, রাষ্ট্রপতি উইন মিনত এবং অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের আটক করা হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, আমি জনগণকে উত্তেজিত প্রতিক্রিয়া না দেখানোর আহ্বান জানাই।

    তারা যেন আইন অনুসারে প্রতিক্রিয়া জানায়।
    দেশটির সামরিক বাহিনী গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তোলে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই সেনাবাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করেছে।

    অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নভেম্বরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়েছে।

    তবে সেই নির্বাচনে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলের ভোটারদের ভোট বঞ্চিত করার সমালোচনা করেছিল মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।
    অন্যদিকে সেনাবাহিনী সমর্থিত বিরোধী জোট নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তোলে। তাদের দাবি ৮.৬ মিলিয়ন ভোট জালিয়াতির ঘটনা ঘটে সেই নির্বাচনে।

  • মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে আরো বেশি অবদান রাখার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে আরো বেশি অবদান রাখার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো বেশি অবদান রেখে দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়ার আহবান জানিয়েছেন। আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার এক বাণীতে এ আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় দিবস। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধশেষে ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা বহু প্রতীক্ষিত বিজয় অর্জন করি। বিজয়ের এই আনন্দঘন মুহূর্তে আমি দেশবাসী ও প্রবাসে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন।’

    রাষ্ট্রপতি বলেন, মহাকালের ইতিহাসে স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এ অর্জন জাতিকে এনে দিয়েছে একটি সার্বভৌম দেশ, স্বাধীন জাতিসত্তা, পবিত্র সংবিধান, নিজস্ব মানচিত্র ও লাল-সবুজ পতাকা। তবে তা একদিনে অর্জিত হয়নি। এ অর্জনের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ শোষণ-বঞ্চনার ইতিহাস, রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস।

    তিনি বলেন, ৫২-এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার যে বীজ উপ্ত হয়েছিল দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে তা পূর্ণতা পায়। তাঁরই নেতৃত্বে ও দিকনির্দেশনায় পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের এই দিনে অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়।

    রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধাবনতচিত্তে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন।

    মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতাকে, যাঁরা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

    রাষ্ট্রপতি আরো শ্রদ্ধা জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, বিদেশি বন্ধু, যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের জনগণকে, যাঁরা মহান বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। জাতি তাঁদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।

    তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি। পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে সদ্য স্বাধীন দেশে ফিরে জাতির পিতা সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। ডাক দিয়েছিলেন কৃষি বিপ্লবের। আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন দুর্নীতি, কালোবাজারি, মুনাফাখোর, লুটেরাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাসহ তার পরিবারের আপনজনদের নৃশংস হত্যাকান্ডের ফলে উন্নয়নের সেই গতি থমকে দাঁড়ায়। রুদ্ধ হয় গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা। উত্থান ঘটে স্বৈরশাসন ও অগণতান্ত্রিক সরকারের। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দেশে আজ গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত।

    আবদুল হামিদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজকে পরিপূর্ণতা দানের লক্ষ্যে সরকার ‘ভিশন ২০২১’, ‘ভিশন ২০৪১’ এবং শতবর্ষ মেয়াদি ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ গ্রহণ করেছে। এসব পরিকল্পনার লক্ষ্য হলো জাতিসংঘ ‘টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট ২০৩০’ অর্জনসহ ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা। সরকারের গৃহীত জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি গ্রহণের ফলে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিগত বছরগুলোতে ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রয়েছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বেড়েছে মাথাপিছু আয়, গড় আয়ুষ্কাল।

    তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি পেয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু এখন সমাপ্তির পথে। বাস্তবায়িত হচ্ছে মেট্রোরেল, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, কর্ণফুলী বহুমুখী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো মেগাপ্রকল্প। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আজ অভিজাত স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য। উন্নয়নের এ ধারাকে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন।

    তিনি বলেন, সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’, জাতির পিতা ঘোষিত এ মূলমন্ত্রকে ধারণ করে দেশের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্বশান্তিতে বিশ্বাসী। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত ও নির্যাতিত লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী। তিনি এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মিয়ানমারসহ জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানান