Tag: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • ‘বাংলাদেশে সহিংসতামুক্ত নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র’

    ‘বাংলাদেশে সহিংসতামুক্ত নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র’

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মার্কিন প্রতিনিধি দল আমাদের সবকিছুতেই সন্তুষ্ট। তারা বলেছেন, বাংলাদেশে আসন্ন সংসদ নির্বাচন ‘ফেয়ার ও ভায়োলেন্স-ফ্রি’ দেখতে চান। আমরা বলেছি সংবিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে ভোটগ্রহণ হবে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। নির্বাচন কমিশন যেভাবে নির্দেশনা দেবে তারা সেভাবে কাজ করবে।

    বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বেসামরিক নিরাপত্তাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমাদের খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তারা সন্তুষ্ট। গতকাল (বুধবার) দুই দলের (আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ) যে বড় একটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ছিল সেটা নিয়েও তারা প্রশংসা করেছেন।

    তিনি বলেন, আমাদের ল’ এনফোর্সমেন্ট সবই তৈরি আছে। এছাড়া ল’ এনফোর্সমেন্ট ফোর্সের স্পেশাল কিছু বাহিনীকে তারা যে সহযোগিতা করেছে, প্রশিক্ষণ দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে সে বিষয়েও মনে করিয়ে দিয়েছি। এটিই ছিল আজকের আলোচনার মূল সারমর্ম।

    তিনি আরও বলেন, আমাদের সঙ্গে তাদের রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সমস্যা কত তাড়াতাড়ি সমাধান করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ জনগোষ্ঠীর সুবিধা নিয়ে মানবপাচারকারীরা এদের নিয়ে যে একপ্রকার খেলা করছে তা যেন করতে না পারে সেটা নিয়ে তারা উদ্বেগ জানিয়েছেন। আমরা তাদের জানিয়েছি বাংলাদেশ এখন মানবপাচার রোধে টায়ার থ্রি থেকে টায়ার টুতে চলে এসেছে। এটা তাদেরই মূল্যায়ন। এ বিষয়েও তারা প্রশংসা করেছেন।

    আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমাদের দেশে আমেরিকান হাই পাওয়ার একটা টিম এসেছে (উজরা জেয়া, ডোনাল্ড লু এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ আরও কয়েকজন)। আমাদের এখানে আসার আগে তারা আইনমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তারা সেসব বিষয় আমাদের জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী যে তার ভিশনারি লিডারশিপে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এতে তারা বেশ সন্তুষ্ট।

    মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের বলেছি যে, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় প্রস্তুত আছে। তারা বেশ ভালোভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাদেরকে আপনারা ভালো প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। সেই প্রশিক্ষণে তারা উজ্জীবিত রয়েছে। আমরা মনে করি তারা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে পারবে। ইতোমধ্যে দেশে অনেকগুলো শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আমি প্রতিনিধি দলের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি। রোহিঙ্গা সংকটে তারা সবসময় আমাদের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন। তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে তারা কোনো অবজারভেশন দেননি।

    বিএনপির এক দফা নিয়ে কথা হয়েছে কি না এ প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব নিয়ে তাদের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন এখানে তারা কোনো রাজনৈতিক দলকে উৎসাহিত করতে আসেননি। তারা কোনো দলকে সমর্থন করেন না। তারা এসেছেন এখানে যাতে একটি ফেয়ার, ফ্রি এবং ভায়োলেন্স ফ্রি নির্বাচন হয় এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে, এর বাইরে কিছু নয়। এর বাইরে তারা কিছুই বলেননি। তারা বারবার বলে গিয়েছেন কোনো ব্যক্তি বা দলকে তারা সমর্থন দেওয়ার জন্য বাংলাদেশে আসেননি।

  • তথ্য ফাঁসের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    তথ্য ফাঁসের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, নাগরিক তথ্য ফাঁসের সঙ্গে যদি কেউ জড়িত থাকে বা সহায়তা করে, তবে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

    তিনি বলেন, এ বিষয় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করার মতো কোনো উপাদান এখনো হাতে পায়নি। আমাদের সাইবার ইউনিট এ বিষয়ে কাজ করছে। আগে দেখতে হবে কি ফাঁস হয়েছে। সেগুলো বের করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে।

    রোববার (৯ জুলাই) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিরাপত্তা বিষয়ক আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়।

    এনআইডি সার্ভার থেকে বেশ কিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে। কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এনআইডি আমাদের অধীনে এলেও আমরা এখনো তার কার্যক্রম শুরু করিনি। বর্তমানে তা নির্বাচন কমিশনের হাতে রয়েছে। আইনি জটিলতা শেষ করে আমরা হাতে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু করতে চাই। তবে এই ফাঁস হওয়ার ঘটনার কথা আমরা শুনেছি, বিস্তারিত জেনে আপনাদের জানাতে পারব। এ মুহূর্তে আমাদের কাছে বিস্তারিত তথ্য নেই। আপনি যেমন শুনেছেন, আমরাও ঠিক সেরকমভাবে শুনেছি। আরেকটু না জেনে জবাব দেওয়ার মতো তথ্য আমার কাছে নেই।

    ডিজিটাল নিরাপত্তায় যদি কোনো ফাঁক-ফোকর থাকে কিংবা কেউ দায়ী থাকেন, সে ক্ষেত্রে আপনারা কী ধরনের ব্যবস্থা নেবেন? জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, আগে আমাকে শনাক্ত করতে হবে যে ঘটনা কী ঘটেছে। কতখানি ফাঁস হয়েছে, সেগুলো তো আমাদের অবশ্যই জানতে হবে। তারপর যদি দেখি, কেউ এটা করেছে বা সহায়তা করেছে, তাহলে অবশ্যই আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সেই জায়গায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কখনো কাউকে ছাড় দেয় না, সেটি আপনারা দেখেছেন। আগে পুরো বিস্তারিত জেনে, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ শুরু করেছে কি না; জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুরু করার মতো উপাদান এখনো আমাদের হাতে আসেনি। তবে আমরা প্রস্তুত আছি। আমাদের সাইবার ইউনিটগুলো এরইমধ্যে কাজ করেছে। আমরা আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছি।

    এ তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনায় সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবনার কিছু আছে কি না? -এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আগে দেখতে হবে আমাদের সুরক্ষার কী আছে। অবশ্যই সেই অনুসারে ব্যবস্থা নেব। সেখানে কোনো ফাঁকফোকর থাকবে না।

  • মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে

    মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী জনগোষ্ঠী যারা রয়েছে, তারাই মাঝে মাঝে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ঢুকছে এবং হত্যার ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। এসব বিছিন্নতাবাদীরা যাতে সীমান্তে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য আমরা বর্ডার ফোর্সকে আরও শক্তিশালী করছি।

    শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর নটরডেম কলেজে উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

    মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের কিছু সীমান্ত এলাকা অরক্ষিত রয়েছে, যেসব এলাকায় কোনো যাতায়াত নেই। নাফ নদীতে এমন কয়েকটি চরের মতো জায়গাও রয়েছে, যেখানে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের নো ম্যানস ল্যান্ড রয়েছে। সেখানে তারা অভয়ারণ্য তৈরি করেছে৷ সেখানে তারা অহরহ যাতায়াত করছে। আমরা সেই জায়গাগুলোর জন্য নিরাপত্তা বাড়াচ্ছি।

    আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমরা দুটি হেলিকপ্টার কিনেছি, সারা বর্ডারে সেন্সর লাগাচ্ছি। এ ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছি। যে সমস্যাই সামনে আসছে, সেটা মাথায় নিয়ে সমাধান করছি। আপনারা দেখেছেন, আমাদের একজন সৈনিককেও তারা হত্যা করেছে।

    মিয়ানমারে প্রায় ৩০টি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী রয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সম্পর্কে আপনারা জানেন, সেখানে শুধু আরাকান আর্মিদের বিছিন্নতাবাদী নেই, বরং সেখানে কুকি-চিনসহ প্রায় ৩০টি গোষ্ঠী সব সময় সংঘর্ষে লিপ্ত। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সেখান থেকেই আসছে। সেখান থেকে আসার কারণে হয়ত এখানে (রোহিঙ্গা ক্যাম্পে) তাদের দু’চারজন অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যেই সংঘর্ষ হয়ে থাকতে পারে। এখানে কে নেতৃত্ব দেবে, সেটা নিয়েই সংঘর্ষ হচ্ছে। আজকের ঘটনাটি (রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে পাঁচ জন নিহত) আমাদের আরও বিস্তারিত জানতে হবে। ঘটনাটি ঘটেছে, এটা সত্য। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে আমরা আরও তথ্য জানতে পারব।

    আইসিসির প্রধান কৌশলী করিম খান রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পরদিনই পাঁচ রোহিঙ্গা হত্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা মনে করি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যত তাড়াতাড়ি তাদের দেশে ফেরত যায় ততই তাদের দেশের জন্য এবং আমাদের দেশের জন্য মঙ্গল। রোহিঙ্গারা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে এখানে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের একটি কেন্দ্রস্থলে পরিণত হতে পারে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে বিশ্ব ফোরামকে আহ্বান জানাতে চাই। এদের যত তাড়াতাড়ি তাদের নিজ দেশে ফেরানো যায় ততই মঙ্গল।

  • নির্বাচন আসলেই ষড়যন্ত্রকারীরা এক হয়ে যায় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    নির্বাচন আসলেই ষড়যন্ত্রকারীরা এক হয়ে যায় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আমরা সব সময় দেখে আসছি ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বাচন আসলেই এক হয়ে যায় আরেকটা নতুন ষড়যন্ত্রের জন্য। শেখ হাসিনা শুধু আমাদের নেতা নয়, তিনি বিশ্বনন্দিত নেতা। তিনি কারও রক্তচক্ষু কিংবা ধমকে মাথা নত করেন না বা ঘাবড়ে যান না। তিনি সব সময় মাথা উঁচু করে চলতে শিখেছেন এবং আমাদের মাথা উঁচু করে চলতে শেখার প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন।

    শনিবার (১০ জুন) দুপুরে ঢাকার ধামরাইয়ের বন্যা-কুশুরা পুলিশ ক্যাম্প উদ্বোধন উপলক্ষ্যে মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় একদম শেষ মুহূর্তে আমাদের বাধাগ্রস্ত করার জন্য প্রচেষ্টা হয়েছিল। সেদিন যে বন্ধুরা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল তারা হলো আমাদের প্রকৃত বন্ধু। আমাদের শুরুতে যারা রক্ত চক্ষু দেখিয়েছিলেন, তারা আজ নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরির প্রচেষ্টায় রয়েছেন।

    আসাদুজ্জামান খান বলেন, যারা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তারা আজকে একত্রিত হয়ে দুঃস্বপ্ন দেখছেন আবারও নাকি ক্ষমতায় আসবেন। কী করে আসবেন? মানুষের ভোট পেতে হবে তো। যেখানে জনগণ এক কথায় বলছেন শেখ হাসিনার বিকল্প শুধুমাত্র শেখ হাসিনা। তাহলে কীভাবে আসবেন, ভোটেই তো আসবেন না আপনারা। তারা ভোট বিশ্বাস করেন না, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাদের যদি কেউ গদিটা পাইয়ে দেয় সেই ধরনের ষড়যন্ত্র তারা করে চলেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জনগণের শক্তিকে বিশ্বাস করেন। তাই কোনো অপশক্তি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ানোর সক্ষমতা রাখে না।

    তিনি আরও বলেন, এদেশের মানুষও উন্মুখ হয়ে বসে আছে, নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমাদের নির্বাচন কমিশন শিগগিরই নির্বাচনের ডাক দেবে। সেই সময় আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মার্কাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আমাদের আলোকিত বাংলাদেশের যাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।

    জামায়াত সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেটে জামায়াত সব সময় তাদের অনুষ্ঠানাদি করত। জামায়াতকে এবার বলে দেওয়া হয়েছে ওই জায়গায় অনুষ্ঠান করলে একটা তীব্র যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য তারা যেন অন্য কোনো ভেন্যু বেছে নেয়। তারা ভেন্যু পরিবর্তন করে অন্য জায়গায় গিয়েছেন।

    আসাদুজ্জামান খান বলেন, কিছু কিছু লোক বলছেন আমরা বিদ্যুৎ পাই না। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা তৈরি করেছি। আমাদের এখন ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি করার সক্ষমতা রয়েছে। আমাদের যেটা চাহিদা সেটা আমরা দিয়েছি। সারা বাংলাদেশে আমরা বিদ্যুতায়ন করেছি। এখন বিদ্যুতের ঘাটতি কেন প্রশ্ন আসতে পারে। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন এটার মধ্যে আমাদের হাত নেই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আমাদের বিদ্যুৎ তৈরির উপাদানগুলোর পরিবহন ব্যয় তিন-চারগুণ বেড়েছে। এলএমজির দাম তিন-চারগুণ বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন জুনের শেষে বিদ্যুতের ঘাটতি থাকবে না।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কিন্তু অন্ধকার দিনের কথা ভুলি নাই। আমাদের যদি দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকতো তাহলে ছয় ঘণ্টা থাকত না। কোনো গ্রামে বিদ্যুৎ যায় নাই। এখন কিন্তু দুর্গম চরসহ সব জায়গায় বিদ্যুৎ আমরা দিয়েছি। সেখানে বসে ইন্টারনেটে ছেলেমেয়েরা ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, গোটা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করছে। এটাই তো আমাদের বাংলাদেশের। সেই জায়গাতেই খেয়াল করে আমি আপনাদেরকে বলবো এটা একটা সাময়িক সমস্যা। অবশ্যই যে বিদ্যুৎ আমরা ঘরে ঘরে দিয়েছি সেটা অব্যাহত থাকবে।

    তিনি বলেন, আমাদের দ্রব্যমূল্যের দাম অবশ্যই কিছু বেড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি। ভর্তুকি দিতে দিতে আমাদের অর্থনীতিতে একটু চাপ পড়েছে। তারপরও আমাদের কোনোটারই কমতি নেই। আমরা আজকে সাত লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী সব কিছুই করে দেখিয়েছেন। আমরা আগামীতেও দেখিয়ে দেব যে আমরা পারি। বাঙালি জাতি মাথা নত করার জাতি নয়, বাঙালি সব সময় মাথা উঁচু করে চলবে এটাই হলো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ।

    ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

  • সংলাপের বিকল্প নেই, আলোচনা করে সংকট সমাধানে বিশ্বাসী আ.লীগ

    সংলাপের বিকল্প নেই, আলোচনা করে সংকট সমাধানে বিশ্বাসী আ.লীগ

    রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপের বিকল্প নেই মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, রাজনৈতিক যেকোনো সমস্যা সমাধানে আলোচনা প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ দল হিসেবে সব দলকে নিয়ে আলোচনা করে সমাধানে বিশ্বাসী।

    বুধবার (৭ জুন) দুপুরে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৩ অর্জন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

    আসাদুজ্জামান খান বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের একটি জনপ্রিয় দল। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণের ক্ষমতায় চলতে হবে। জনগণের ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে হলে সবার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তাই আলোচনার বিকল্প কিছু নেই।

    ‘সংলাপ চলমান থাকবে। সংলাপের বিকল্প নেই। আমরা মনে করি, সবকিছুই সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।’- বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    নির্বাচন ইস্যুতে বিদেশি কূটনৈতিকদের তৎপরতা নিয়ে কোনো মন্তব্য না করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যবেক্ষণ করবে। রাষ্ট্রদূতরা তাদের বিধিনিষেধ মেনে কাজ করবেন।

    জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচির নিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, জামায়াত যেহেতু নিবন্ধিত দল না, সেহেতু কর্মসূচিতে তারা কোনো নাশকতা করবে কি না পুলিশ তা খতিয়ে দেখবে।

  • ভারত হচ্ছে বাংলাদেশের সত্যিকারের বন্ধু: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    ভারত হচ্ছে বাংলাদেশের সত্যিকারের বন্ধু: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সত্যিকারের বন্ধু তার বন্ধুর বিপদে কখনো ফেলে যায় না। ভারত হচ্ছে বাংলাদেশের সত্যিকারের বন্ধু। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের যখন চরম দুঃসময়, ঠিক তখনই বন্ধুত্বের হাত বাড়ায় ভারত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই বন্ধুত্বের গভীরতা বাড়ছে। যতদিন ভারত-বাংলাদেশ দেশ দুটি থাকবে, ততদিন আমাদের এই অকৃত্রিম বন্ধুত্ব অটুট থাকবে।

    মঙ্গলবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণের লক্ষ্যে ঢাকার গুলশানে ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল একথা বলেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন দুর্লভ ছবি, মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণের চিত্র, মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন গ্রন্থের সমাহার এবং প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রয়েছে। এটা দুই দেশের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরবে। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ও ভারতীয় বাহিনীর বৃহত্তর বিজয়গাঁথা সম্পর্কে জানতে পারবেন তারা।

    ‘আমি মনে করি একই ধরনের সাংস্কৃতিক আবহে বসবাসকারী দুই দেশের মানুষের মধ্যে হৃদয়ের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। অতীতে পূর্বপুরুষদের পারস্পরিক সহযোগিতা আর ইতিহাসকে ধারণ করে ভবিষ্যতে উদ্ভূত যে কোনো সমস্যা দুই দেশের নতুন প্রজন্ম সমন্বিত সমাধানের পথ পাবে।’

    কামাল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের এসব জীবন্ত ইতিহাস সংরক্ষণে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার এই উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পূর্ব ও পশ্চিম রণাঙ্গণে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে সাড়ে তিন হাজারের বেশি সেনা শহীদ হন। আহত হন ১০ হাজারের মতো সদস্য। যাদের রক্ত এই স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে মিশে আছে।

    তিনি বলেন, আমি সেইসব বীর সেনাদের স্মরণ করছি। বাংলাদেশের মানুষ সব সময় তাদের স্মরণ করে। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রায় এক কোটি শরণার্থী আশ্রয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সমর প্রশিক্ষণ দেয় ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমর্থন আদায়ে প্রচেষ্টা চালায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বন্ধুরাষ্ট্র ভারত অসামান্য অবদান রাখে।

    মন্ত্রী আরও বলেন, আমি মনে করি ভারতীয় হাইকমিশন যে ‘লিবারেশন ওয়ার গ্যালারি’ স্থাপনের মহৎ উদ্যোগ নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের গৌরবের ইতিহাস। বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশের মানুষের ইতিহাস। এ বীরত্বগাঁথা সম্পর্কে দুই দেশের নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে।

    এর আগে হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের জন্যই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। দুদেশের বন্ধুত্ব ও সংহতির চেতনা অটুট। যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারতের সমর্থনকে নির্দেশ করে।

    বক্তব্য শেষে ঢাকায় প্রণয় ভার্মা ও আসাদুজ্জামান কামাল গ্যালারির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরে পুরো গ্যালারি ঘুরে দেখেন।

    অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।

  • চাইলে কূটনীতিকদের টাকার বিনিময়ে সড়কে নিরাপত্তা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    চাইলে কূটনীতিকদের টাকার বিনিময়ে সড়কে নিরাপত্তা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    বিদেশি কূটনীতিকরা চাইলে টাকার বিনিময়ে চৌকস আনসার রেজিমেন্ট গার্ডের মাধ্যমে সড়কে চলাচলে নিরাপত্তা নিতে পারেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    বুধবার (১৭ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান। সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদার এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নে গঠিত কমিটির ১১১ দফা সুপারিশমালা বাস্তবায়নের জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের সভা শেষে এ কথা জানান তিনি।

    যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বাংলাদেশে নিযুক্ত কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রত্যাহার করেছে সরকার। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘যখন দেশে জঙ্গির উত্থান হয়েছিল, আমাদের এখানে অগ্নি-সন্ত্রাসের একটা রাজত্ব হয়েছিল। তখন চারটি দূতাবাসকে রোড প্রোটেকশন দিতাম। এটা লিখিতভাবে দেওয়া হয়নি। তারাও আমাদের অনুরোধ করেনি। আমরাই তাদের দিয়েছিলাম, যাতে তারা কোনো রকম অসুবিধায় না পড়ে। আমরা চারটি দূতাবাসের বাইরে কাউকে দেইনি।’

    তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি সেই পরিস্থিতি এখন নেই। যেহেতু সেই পরিস্থিতি নেই। সেজস্য এ রোড প্রোটেকশনটা উঠিয়ে নিয়েছি। এরপরও যদি কোনো রাষ্ট্রদূত মনে করেন তাদের প্রয়োজন হবে তাহলে আমরা নতুন করে আনসার গার্ড রেজিমেন্ট তৈরি করেছি, তারাই সেই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। এটা অন-পেমেন্ট (অর্থ দিয়ে) দিতে হবে। খরচটা দূতাবাসকে দিতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী আমরা সেই ব্যবস্থা করবো। এ রকমই সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

    কোনো দূতাবাস এভাবে নিরাপত্তা নিতে আবেদন করেছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো মাত্র জানালাম, যার যার প্রয়োজন হবে জানাবে। সব দূতাবাসে নিরাপত্তার জন্য পুলিশের নিরাপত্তা রয়েছে। যে চার রাষ্ট্রদূতের কথা বললাম, তাদের গানম্যানও রয়েছে। সব ধরনের প্রোটেকশন রয়েছে। শুধু আমরা সড়কে যে নিরাপত্তা দিতাম, এটা শুধু প্রত্যাহার করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

    ‘তারা যদি রোড প্রোটেকশনটা চান, সেটার ব্যবস্থা আমরা করব’ বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    মন্ত্রীদের নিরাপত্তা কমানোর কথাও বলা হচ্ছে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কমাবো না আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যে গার্ড রেজিমেন্ট তৈরি করেছি, আমরা সবাইকে গার্ড রেজিমেন্টের সিকিউরিটিতে নিয়ে আসবো। আমরা পর্যায়ক্রমে মন্ত্রী ও ভিআইপিদের এ আনসার গার্ড রেজিমেন্ট দেবো।’

    বান্দরবানে দুজন সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আর্মি বা বিজিবি এ বিষয়ে আপনাদের জানিয়ে দেবে। এটা আইএসপিআর থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’

  • পরোয়ানা থাকলে পুলিশ ধরবেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    পরোয়ানা থাকলে পুলিশ ধরবেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, তাদের খুঁজে বের করে পুলিশ ধরবেই। এটি পুলিশের নিয়মিত কার্যক্রম।

    বুধবার (১০ মে) দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    নির্বাচনকে সামনে রেখে ধরপাকড় শুরু হয়েছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা রয়েছে, যারা অন্যায় করেন তাদেরকে খুঁজে বের করে ধরবে।

    এটিই পুলিশের নিয়মিত কার্যক্রম। যাদের ধরা হচ্ছে যদি আপনারা দু-একজনের নাম বলেন তাহলে আমি বলে দিতে পারবো তাদের বিরুদ্ধে কতগুলো পরোয়ানা ছিল।

    মির্জা ফখরুল যেটা বলেছেন সেটা সত্য নয়। যাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট রয়েছে, সুনির্দিষ্ট মামলা রয়েছে শুধু তাদেরকে ধরা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

    আমি লিস্টগুলো মাঝে মাঝে দেখি। আমি এমনও দেখেছি একেকজনের বিরুদ্ধে ২০-৩০ টি করে মামলায় পরোয়ানা ইস্যু হয়ে রয়েছে। এসব বহু পুরোনো ওয়ারেন্ট। তাদের বহুবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা আদালতে গিয়ে সারেন্ডার করে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেন নাই।

    নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশকে সাজানো হচ্ছে, বদলি করা হচ্ছে-এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পুলিশ এখন অত্যন্ত দক্ষ, অত্যন্ত অভিজ্ঞ। পুলিশ যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম। নির্বাচনের জন্য পুলিশকে সাজানো-গোছানোর প্রশ্নই আসে না।

  • সুনির্দিষ্ট অভিযোগে মাহি গ্রেফতার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সুনির্দিষ্ট অভিযোগে মাহি গ্রেফতার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    শনিবার (১৮ মার্চ) তেজগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠান যোগদান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

    তিনি বলেন, আমি শুনেছি গাজীপুরের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফেসবুক লাইভে এসে মাহি কিছু বক্তব্য দিয়েছেন। এজন্য মামলা হয়েছে। আমি সব কিছু জানি না, শুনেছি। এটা ভালো করে জেনে বলতে পারবো।

    মাহির অভিযোগ ছিল, তার স্বামীর শো-রুম ভাঙচুর ও দখলের অভিযোগ করেছেন পুলিশের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ তদন্ত করা হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যখন একটা অভিযোগ আসে তখন তদন্ত করতে হয়। তদন্তে সব কিছু বেরিয়ে আসবে। মাহির বক্তব্য সঠিক কি না, কিংবা পুলিশ যেটা করেছে সেটি সঠিক কি না তদন্তেই বেরিয়ে আসবে।

    এর আগে দুপুর ১২টার দিকে মাহিয়া মাহিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফেরার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    এরই মধ্যে মাহিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও মারামারির মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এ আদেশ দেন।

    এদিকে পুলিশ খুনের মামলার আসামি দুবাইয়ের সোনা ব্যবসায়ী আরাভ খানের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাকে (আরাভ খান) ধরতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। দেশে ফেরাতে সব রকম চেষ্টা চলছে।

  • কেন এই বিস্ফোরণ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সিদ্ধান্ত : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    কেন এই বিস্ফোরণ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সিদ্ধান্ত : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, রাজধানীর গুলিস্তান সিদ্দিকবাজারে ভবনে বিস্ফোরণের কারণ জানতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তা শেষ হলে সিদ্ধান্ত দেওয়া যাবে কেন বিস্ফোরণ হয়েছে।

    আজ বুধবার (৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকার সিদ্দিক বাজার নর্থ সাউথ রোডে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, বিস্ফোরণের পর ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ইমারতে পরিণত হয়েছে। ভবনের বেজমেন্ট ও নিচতলা যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যথেষ্ট সতর্কতা নিয়ে পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ করছে, তাদেরকে পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থা সহযোগিতা করছে।

    ভবন বা ইমারত নির্মাণের ফায়ার সার্ভিসের অনুমতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের ভবন নির্মাণের আগে আমরা সব সময় বলে থাকি ফায়ার সার্ভিসে অনুমতি নেওয়ার জন্য। ফায়ার সার্ভিসের অনুমতি নিয়ে ভবন নির্মাণ করলে, এ ধরনের ঘটনা দুর্ঘটনা কমে যেত।

    এর আগে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের কাছে সিদ্দিকবাজারের নর্থ-সাউথ রোডে ১৮০/১ হোল্ডিংয়ের সাততলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে।

    যে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার তিনতলা পর্যন্ত পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে স্যানিটারি ও গৃহস্থালি সামগ্রীর বেশ কয়েকটি দোকান ছিল। বিস্ফোরণে ভবনটির দেয়াল ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ভেতরের জিনিসপত্র ছিটকে বাইরে পড়ে যায়। ভবনের উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশের কয়েকটি ভবনও।

    বিস্ফোরণের পরই উদ্ধারকাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থল থেকে আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার কাজ করেছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রাও উদ্ধারকাজ করেছেন।
    এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হন শতাধিক মানুষ, যাদের মধ্যে ৭০ জনকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন ১০ জন, যাদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

  • পালাতক জঙ্গিদের ধরার চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    পালাতক জঙ্গিদের ধরার চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের ধরা যাচ্ছে না তা নয়, আমরা অনেক জঙ্গিকে ধরেছি। অনেক জঙ্গিকে খুঁজে বের করেছি। যারা পালিয়েছে তাদের ধরার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। নিশ্চয় আমরা ধরে ফেলব।’

    বুধবার (১ মার্চ) পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৩ উপলক্ষে সকাল ১০টায় পুলিশ স্টাফ কলেজে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

    জঙ্গি উত্থান ও তৎপরতা রোধে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যখনই যে ইনফরমেশন পাচ্ছি, সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা কিন্তু জঙ্গিদের মূলোৎপাটন করে নিঃশেষ করে দিতে পারিনি। তবে আমরা সবকিছু কন্ট্রোলে (নিয়ন্ত্রণ) নিয়ে এসেছি। আমাদের নিরাপত্তা সংস্থা বিশেষ করে পুলিশ, র‍্যাব ভালো কাজ করছে বলেই সবকিছু কন্ট্রোলে আছে। আন্তর্জাতিকভাবে সারা বিশ্বে যেভাবে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল, আমাদের দেশকে সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশকে অকার্যকর করার চেষ্টা হয়েছিল। তবে সবকিছু আমরা কন্ট্রোলে নিয়ে এসেছি।’

    সামনে নির্বাচন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি গরম হচ্ছে, উত্তপ্ত পরিস্থিতি মোকাবিলা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন এলে সব দলই তৎপর হয়। সব দলই তাদের নির্বাচনী প্রচারণা, ব্যানার ফেস্টুন প্রচার ও নিজস্ব কর্মসূচি প্রচার করে। এটাই আমরা যুগ যুগ ধরে দেখে আসছি। নির্বাচন এলে সবার মধ্যে উৎসুক দৃষ্টি থাকে।

    সেই সময় সব রাজনৈতিক দল তাদের মতামত, চিন্তা নিয়ে কাজ করে। সামনে নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়নি। সবাই কাজ করছে। আমার মনে হয় নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’

    দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় মৃত পুলিশ সদস্যদের স্মরণে প্রতিবছর ১ মার্চ পুলিশ মেমোরিয়াল ডে পালন করছে বাহিনীটি। তবে কর্তব্যরত অবস্থায় মারা যাওয়া পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ পেতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। ডিসিদের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কারণে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতায় বিলম্ব হচ্ছে। এ ব্যাপারে এসপিদের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা গত বছর বলেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইজিপিকে উত্তর দেওয়ার অনুরোধ জানান।

    আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছি। বিবেচনায় আছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পাব।’

  • সরকার বিরোধী দলকে কোনো কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সরকার বিরোধী দলকে কোনো কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সরকার বিরোধী দলকে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠান শেষে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের কোনো কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। দল যখনই সমাবেশ করতে চাচ্ছে আমরা বা ডিএমপি কমিশনার তাদেরকে অনুমতি দিয়ে দিচ্ছেন।’

    তিনি বলেন, ‘আমরা এটুকুই বলি, জনগণের দুর্ভোগ যেন না বাড়ে, রাস্তাঘাট বন্ধ করতে পারবে না, ভাঙচুর করতে পারবে না রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলো শান্তিপূর্ণভাবে পালন করবেন যাতে জনগণের দুর্ভোগ না হয়।’

    এর বাইরে কোনো বাধা দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে সাংবাদিকদেরকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) ইচ্ছামত প্রোপাগান্ডা করছে। যা সত্যি নয় তাকে আরও রংচং দিয়ে এমনভাবে প্রচার করছেন যা আপনারাই ভালো করে জানেন।’

    প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রচার এবং সমাবেশ করার জন্য কোনো রাজনৈতিক দলকেই বাধা দেননি’ বলে উল্লেখ করেন আসাদুজ্জামান খান।

    রোহিঙ্গা শিবিরে এপিবিএন রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়া হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প আমাদের জন্য বিষফোঁড়া হবে কোনো এক সময়। এই রোহিঙ্গারা তাদের সবকিছু ফেলে এখানে চলে আসছে। যেকোনো প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে তারা যে কোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারে এটা আমরা সব সময় বলেছি। এই রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের ভেতরে থেকে ইয়াবার ব্যবসা করে। তারা নিজেরা নিজেরা গোলাগুলি করছে মারামারি করছেন প্রতিদিনই মারামারি করছে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আমাদের ডিজিএফআইয়ের এক কর্মকর্তাকে তারা মেরে ফেলেছে নৃশংসভাবে তারা হত্যা করেছে। গতকালও গোলাগুলি হয়েছে। বাড়িঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে।’

    ‘রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিভিন্ন গ্রুপ ও ছাত্র কাঁটাতারের বেড়া কেটে এখান থেকে বের হয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা নিয়ে আসছে’ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে আমাদের এপিবিএন কাজ করছে। রুটিন ওয়ার্ক করার জন্য এপিবিএন সেখানে আছে। এপিবিএন নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের প্রতিবেদনে যেসব কথা বলেছে, এগুলো আমার মনে হয় তথ্যভিত্তিক নয়।’

    তাদের আরও বেশি করে দেখে এসে এ সব প্রতিবেদন করা উচিত বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।