Tag: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • ফজলুল কবির চৌধুরীর নাম প্রত্যাহার করার আবেদন

    ফজলুল কবির চৌধুরীর নাম প্রত্যাহার করার আবেদন

    নেজাম ‍উদ্দিন রানা, রাউজান : স্থগিত করা রাজাকারের তালিকা থেকে রাজনীতিক একেএম ফজলুল কবির চৌধুরীর নাম প্রত্যাহার করে নিতে আবেদন করেছেন রাউজানের মুক্তিযোদ্ধারা।

    উপজেলার প্রায় দেড় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার স্বাক্ষর করা আবেদনপত্র বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হকের হাতে এ আবেদনপত্র তুলে দেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের নেতারা।

    মুক্তিযোদ্ধাদের সই করা এ আবেদন উল্লেখ করা হয়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন চলাকালীন সময়ে নিরীহ বাঙালীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা প্রদান করেন এ কে এম ফজলুল কবির চৌধুরী।

    আবেদনপত্র প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক পুলিশ সুপার ও মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ফরিদ, মুক্তিযোদ্ধা সুনীল চক্রবর্তী, মুক্তিযোদ্ধা সাধন পালিত, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউসুফ খান, মুক্তিযোদ্ধা যীশু দাশ প্রমুখ।

  • ৬০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে রাজাকারের তালিকা করতে

    ৬০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে রাজাকারের তালিকা করতে

    মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় যে তালিকা প্রকাশ করেছে তা রাজাকার, আলবদর, আলশামসের তালিকা নয় বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    বুধবার সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটি কোনো রাজাকারের তালিকা নয়। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে রাজাকার, আলবদর, আল শামসের তালিকা দেয়া হয়নি; দালাল আইনে অভিযুক্তদের তালিকা দেয়া হয়েছে। নোট দেয়া সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সবার নাম প্রকাশ করেছে। সুতরাং এর পুরো দায় ওই মন্ত্রণালয়ের।’

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটি হচ্ছে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৩ সালের দালাল আইনে যাদের নামে মামলা হয়েছে তাদের নামের তালিকা। অনেকে শত্রুতা বসতও অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। সেই নামগুলোও এই তালিকায় আছে। এর মধ্যে ৯৯৬ জনকে বিভিন্ন অভিযোগ থেকে খালাসও দেওয়া হয়। আমরা খালাসপ্রাপ্তদের নামের ওই তালিকাটিও নোট হিসেবে যুক্ত করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে পাঠিয়েছিলাম।’

    এমন একটি ঘটনায় মর্মাহত হয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি অবশ্যই মানসিকভাবে আহত হয়েছি। এ ধরনের ভুল কতখানি সহনীয় তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি করা হবে।’

    এই তালিকা করার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ৬০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেটা কোথায় খরচ হয়েছে- প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। কারণ তিনি একজন সিনিয়র মন্ত্রী।’

    ১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে। তবে ওই তালিকায় গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধাদের নামও রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগ নেতাদের নামও রয়েছে। এমনকি খোদ আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর নামও রাজাকারের তালিকায় আসে। তালিকাটি প্রকাশ হওয়ার পরই দেশব্যাপী তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে। সবশেষ বিতর্কিত এই তালিকা স্থগিত করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

  • ব্যস্ততার কারণে দুই সন্ত্রী ভারত যাননি:কাদের

    ব্যস্ততার কারণে দুই সন্ত্রী ভারত যাননি:কাদের

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.আব্দুল মোমেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রাষ্ট্রীয় ব্যস্ততার কারণে ভারত সফরে যাননি বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে প্রত্যাগত প্রবাসী আওয়ামী ফোরামের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফর বাতিল বা বয়কটের কোনো বিষয় নয়। বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আমাদের দুয়ারে সমাগত। তাই তারা রাষ্ট্রীয় ব্যস্ততার কারণে এ সফরে না-ও যেতে পারেন। তবে পরে যাবেন।

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সফর চিরতরে বাতিল হয়নি। আমাদের সঙ্গে ভারতের গঠনমূলক বন্ধুত্ব রয়েছে। কোনো বিষয়ে সমস্যা তৈরি হলে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।

    ভারতের জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সেতুমন্ত্রী বলেন, ভারত স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। দেশটির পার্লামেন্টে একটি আইন পাস হয়েছে, সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে আমাদের মন্তব্য করা সমীচীন নয়। তবে যে বিষয়গুলো আমাদের অ্যাফেক্ট করে বা প্রতিক্রিয়াটা আমাদের কাছে আসে বা আমরা অ্যাফেক্টেড হই, অব্যশই আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রয়েছে, সেখান থেকে এরই মধ্যে এ বিষয়ে বক্তব্য এসেছে।

    মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু এটুকু বলব, পঁচাত্তরের পর শেখ হাসিনার সরকারই একমাত্র সংখ্যালঘুবান্ধব সরকার। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল উদাহরণ। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে হয়তো একটা-দুটো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। আমরা এ দুর্বৃত্তায়নের চক্র ভেঙে দিতে চাই।’

    বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও তার পূর্বনির্ধারিত ভারত সফর বাতিল করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিন দিনের সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নয়াদিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। আর শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারতের মেঘালয়ে যাওয়ার কথা ছিল।

    ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় সোমবার (৯ ডিসেম্বর) নাগরিকত্ব বিল পাস হয়। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার তাদের রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব বিলটি পাস করে।

  • স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ভারত সফরে যাচ্ছেন না

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ভারত সফরে যাচ্ছেন না

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ভারত সফর স্থগিত করেছেন। আগামীকাল তার ভারত সফরে যাওয়ার কথা ছিল

    আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর স্থগিতের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

    শরীফ মাহমুদ অপু বলেন, আগামীকাল শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি যাচ্ছেন না। পরে সুবিধাজনক সময়ে ভারতে যাবেন তিনি।

    জানা গেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভারতের মেঘালয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। তার আমন্ত্রণে শুক্রবার সেখানে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি স্থগিত করেন কামাল।

    এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতের নয়া দিল্লিতে যাওয়ার কথা ছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের। তার বদলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ভারত সফরে গেছেন। রাষ্ট্রীয় অন্য কাজ থাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত সফর বাতিল করেছেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে।

    অন্যদিকে, ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি দাবি করেছে, ভারতের নাগরিক সংশোধনী বিল (সিএবি) পাস হওয়ার পর দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সৃষ্ট সহিংসতার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ভারত সফর বাতিল করেছেন।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘আমায় বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে হবে। আমার প্রতিমন্ত্রী দেশের বাইরে মাদ্রিদে আছেন। পররাষ্ট্র সচিব হেগ-এ। দেশে চাহিদা বাড়তে থাকায় আমি ভারত সফর বাতিল করেছি। জানুয়ারিতে দিল্লি যাব। আর যে অনুষ্ঠানে আমার যাওয়ার কথা ছিল, সেখানে আমি ডিজি-কে পাঠাচ্ছি।’

  • মহেশখালীতে ৯৬ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ : প্রতিজন পাবে ৫০ হাজার টাকা অনুদান

    মহেশখালীতে ৯৬ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ : প্রতিজন পাবে ৫০ হাজার টাকা অনুদান

    কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের মহেশখালীতে ১২ জলদস্যু বাহিনীর ৯৬ সদস্য আত্মসমর্পণ করেছেন। শনিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র ও গুলি জমা দিয়ে তারা আত্মসমর্পণ করেনমহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে কক্সবাজার জেলা পুলিশ এ আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আশরাফুল আবসার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

    অনুষ্ঠানে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশায় আত্মসমর্পণকারী ৯৬ জলদস্যুকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়।

    কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, একটি বেসরকারি টেলিভিশনের মাধ্যমে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকার জলদস্যু বাহিনীগুলো আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাদের এ আগ্রহের প্রতি সাড়া দিয়ে সরকার জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দিতেই আজকের এ অনুষ্ঠনের আয়োজন করেছে।

    জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আত্মসমর্পণকারীদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে। তবে সন্ত্রাস ও দস্যুতার পথ পরিহার করে স্বভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য পুলিশ প্রশাসন ও সরকারের তরফ থেকে গতবারের মতো তাদেরকে সর্বোচ্চ আইনি সহায়তাসহ সার্বিক সহায়তা করা হবে।

    মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, এ আত্মসমর্পণের পর মহেশখালী সম্পূর্ণ সন্ত্রাসমুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

  • পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

    পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের আশ্বাসে বাস-ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন। ফলে আজ থেকে সড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল করবে।

    বুধবার দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে ধানমণ্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

    বৈঠকে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম ও বিআরটিএ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

    আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মঘট আহ্বানকারী ট্রাক-কভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতাদের মধ্যে বৈঠকে ছিলেন রুস্তম আলী খান, তাজুল ইসলাম, মকবুল আহমেদসহ অন্তত ১০ জন।

    বাস মালিক সমিতির নেতা খন্দকার এনায়েত উল্লাহও ছিলেন বৈঠকে।

    রাত ১২টা ৫০ মিনিটে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা তাদের ৯ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করেছি। লাইসেন্স, ফিটনেস সনদ আপডেটের জন্য তাদের ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। তারা আইন সংশোধনের যে দাবি জানিয়েছেন সেটা বিবেচনার জন্য সুপারিশ আকারে আমরা যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। তারা এগুলো বিবেচনা করে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করবে।

    এর আগে রাত সোয়া ৯টার পর নতুন সড়ক আইন সংশোধনসহ ৯ দফা দাবিতে কর্মবিরতিতে থাকা বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

    এর আগে মঙ্গলবার বিকালে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কর্মকর্তারা। ওই বৈঠকেও আইন কার্যকর না করার দাবি জানান পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা।

    গত ১ নভেম্বর নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর করে সরকার। তবে নতুন আইনে মামলা ও শাস্তি দেয়ার কার্যক্রম মৌখিকভাবে দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

    গত বৃহস্পতিবার সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে। রোববার সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, ওইদিন থেকেই আইন কার্যকর শুরু হয়েছে। এরপর থেকেই ঘোষিত-অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট ডাকতে শুরু করে পরিবহন সংগঠনগুলো।

  • মহেশখালীর চিহ্নিত অস্ত্রের কারিগর ও কূখ্যাত জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ শনিবার

    মহেশখালীর চিহ্নিত অস্ত্রের কারিগর ও কূখ্যাত জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ শনিবার

    রাজীব সেন প্রিন্স : কক্সবাজার জেলার সবচেয়ে বেশী অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসাবে পরিচিত মহেশখালী উপজেলার কালামারছরা ইউনিয়ন। খুন, রাহাজানি, দস্যুতা, অপহরণসহ এমন কোন অপরাধ নেই যা এখানে ঘটছে না। তবে এসব জগণ্য অপরাধের সাথে জড়িত অনেকেই এখন ফিরতে চাই স্বাভাবিক জীবনে।

    সরকারের সঠিক ব্যবস্থাপনা ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত সম্ভব হলে এরা জগন্য অপরাধকর্ম থেকে নিজেদের শুধরে সাধারণ মানুষের মতোই জীবিকা নির্বাহ করতে আগ্রহী। আর তাদের এ আগ্রহকে পুঁজি করে ভয়ংকর এসব অপরাধীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে, এদের একাংশকে সরকারি সহায়তার আশ্বাস দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে রাজি করিয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আনন্দ টিভি’র বিশেষ প্রতিনিধি ও কক্সবাজারের পেকুয়ার উজানটিয়ার বাসিন্দা এম.এম আকরাম হোসাইন।

    তার মধ্যস্থতায় এর আগেও ২ দফায় বহু অপরাধী অস্ত্রসস্ত্র সরকারি কোষাগারে জমা করে আত্মসমর্পণ করেছেন। আগামী শনিবার ২৩ নভেম্বর ফের শতাধিক অস্ত্রের কারিগর ও জলদস্যু তাদের অপরাধকর্মে ব্যবহৃত প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ, ধারালো ভয়ংকর অস্ত্র, অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জামসহ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়েছেন আকরামের মধ্যস্থতায়।

    ইতিমধ্যে আত্মসমর্পণের স্থানটিও নির্ধারণ করেছে প্রশাসন। মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান। স্থানটি পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেনসহ উর্ধ্বতন কর্মকতারা।

    গত সোমবার মাঠ পরিদর্শনকালে এসপি এ. বি.এম মাসুদ হোসেন আগত অতিথিদের নিরাপত্তা, অভ্যর্থনা, প্রটোকল, জলদস্যুদের জমায়েত, তাদের অস্ত্র জমা করা, যাতায়াত সুবিধা, প্যান্ডেল ও মঞ্চ তৈরি, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান ইত্যাদি সার্বিক বিষয় মাথায় রেখে রেকি ও ম্যাপ তৈরি করে অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক ব্যবস্থাসমেত পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ২০ নভেম্বর বুধবার থেকে প্যান্ডেল ও মঞ্চ তৈরি সহ আনুষঙ্গিক কাজ শুরু হয়েছে।

    আনন্দ টিভি’র বিশেষ প্রতিনিধি এম.এম আকরাম হোসাইন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, সমাজের নানা অপরাধকর্ম থেকে অপরাধীদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে তিনি এ ঝুকিপূর্ণ কাজে তিনি হাত দিয়েছেন। সরকারের প্রশাসনের আশ্বাসে তা অনেকটা এগিয়ে নিয়েছে।

    মহেশখালীর চিহ্নিত অস্ত্রের কারিগর ও কূখ্যাত বেশ ক’টি জলদস্যু বাহিনীর সর্দার ও বাহিনীর সদস্যরা স্বদলবলে আত্মসমর্পণ করার সম্মতি জ্ঞাপন করেন। প্রাথমিক অবস্থায় আগ্রহী শতাধিক হলেও অনেকে এখনো আত্মসমর্পণের জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ করছে বলে জানিয়েছেন এ সংবাদকর্মী।

    সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। এছাড়াও বাংলাদেশ পুলিশের আইজি ড. জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) বিশেষ অতিথি, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার) পিপিএম, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, স্থানীয় অন্যান্য সংসদ সদস্যগণ, কোস্টগার্ডের প্রতিনিধিসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকতারা আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।

    আনন্দ টিভি চট্টগ্রাম ব্যুরোর ক্যামেরা পারসন রিটন মজুমদার ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান সফল করতে ও জলদস্যু ও অস্ত্রের কারিগরদের তাদের আস্তানা থেকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আনতে আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যস্থতাকারী আনন্দ টিভি’র বিশেষ প্রতিনিধি এম.এম আকরাম হোসাইন বিরাট ঝুঁকি নিয়ে এখনও দিনরাত মহেশখালী উপকূল ও সাগরে অবস্থান করছেন।

    প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা যায়, আত্মসমর্পণকারীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে তাদেরকে প্রনোদনা দেওয়া হবে। আত্মসমর্পণকারীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হবে। তবে এ মামলা থেকে আত্মসমর্পণকারীরা সহজে মুক্তি পেতে মামলা পরিচালনায় রাষ্ট্রপক্ষ তাদেরকে সহযোগিতা করবে।

    উল্লেখ্য, মহেশখালীতে জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের ঘটনাটি হবে কক্সবাজারের জন্য ২য় পদক্ষেপ। এর আগে ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর মহেশখালীতে অনুরূপভাবে ৪৩ জন সশস্ত্র জলদস্যু আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেছিলো। সেখানে ৪৩ জনের মধ্যে বর্তমান আনন্দ টিভি’র বিশেষ প্রতিনিধি এম.এম আকরাম হোসাইনের একক মধ্যস্থতায় ৩৭ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছিলো।

    এছাড়া চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারী ১০২ জন ইয়াবাকারবারী টেকনাফে চ্যানেল ২৪ টিভি’র তৎকালীন সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার এম.এম আকরাম হোসাইনের একক মধ্যস্থতায় দেশে প্রথম মাদক কারবারি আত্মসমর্পণ করেছিলো। সেদিনের মাদক কারবারী আত্মসমর্পণ করা ছিলো এ দেশের জন্য একটা রেকর্ড।

  • ভোলার ঘটনায় জড়িতদের খোঁজা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    ভোলার ঘটনায় জড়িতদের খোঁজা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    ভোলার বোরহানউদ্দিনের ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    রোববার (২৭ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ১৮ তম প্রতিষ্ঠাদিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

    আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ভোলার বোরহানউদ্দিনে ফেসবুক কন্টেন্টের জেরে অপ্রীতিকর ঘটনায় তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় জড়িত হ্যাকার হোক আর যেই হোক তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’

    তিনি বলেন, ‘বোরহানউদ্দিনের ঘটনায় তদন্ত চলছে, ইতোমধ্যে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। কে ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের সবাইকে একে একে সকলের সামনে নিয়ে আসা হবে।’

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘এই ঘটনায় ফেসবুক হ্যাকিংয়ে যে ঘটনা সেটা নিয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার কাজ করছে। এটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার আগে আমরা কিছু বলতে পারব না।’

    তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে, বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে এ অপপ্রেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে কেউ আমাদের পথ রোধ করতে পারবেনা। বোরহানউদ্দিনের ঘটনায় ফেসবুক হ্যাকের বিষয়টি পুলিশ হেডকোয়ার্টার তদন্ত করছে, তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।’

    এর আগে অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ক্রমেই বাড়ানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের এমন কোন দাবি নেই, যা প্রধানমন্ত্রী না করেছেন। ভবিষ্যতেও সকল দাবি দাওয়া পর্যায়ক্রমে মেনে নেওয়া হবে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। বর্তমান সরকার সে স্বপ্ন সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব শুধু বাংলাদেশে নয় এখন সারাবিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। শেখ হাসিনাই পারবেন বাংলাদেশ বদলে দিতে।’

  • জনগণের সহযোগিতায় পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    জনগণের সহযোগিতায় পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বাংলাদেশে আমরা প্রতিদিন কোন না কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে যাচ্ছি। আপনাদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। মিথ্যা কথা, গুজব বা ভুল তথ্যে জনগণ যাতে বিভ্রান্ত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কমিউনিটি পুলিশ এর সদস্যগণ কাজ করবেন।

    আজ (২৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়াম রাজারবাগে কমিউনিটি পুলিশিং ডে- ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    যেকোন তথ্য জানলে তা যাচাই করে দেখার আহবান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভালো ও খারাপ দিক রয়েছে। আমরা খারাপ দিক দেখেছি রামু, নাসিরনগরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এবং সাম্প্রতিক সময়ে দেখেছি ভোলায়। এসমস্ত গুজব প্রতিরোধে কমিউনিটি পুলিশকে কাজ করতে হবে। কমিউনিটি পুলিশ বিশ্বব্যাপী বিস্তিৃত। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমাদের কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা আমরা সাজিয়েছি। পুলিশের সকলে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করছে। এজন্য দেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। আমরা এখন বীরদর্পে বলতে পারি আমরা পেরেছি। এই রাজারবাগ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের বীর সদস্যরা। আমি সব জায়গায় এখন বলি একযুগ আগে যে পুলিশ আপনারা দেখেছেন বর্তমান পুলিশ এক নয়। দেশ প্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ পুলিশ দেশের জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

    পুলিশকে কমিউনিটি বা জনগণের সাথে মিশে গিয়ে কাজ করতে হবে বলে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। একটি টেকসই উন্নয়নের জন্য দরকার টেকসই নিরাপত্তা। কমিউনিটি পুলিশিংয়ে জনসাধারণ দায়িত্ব পালন করছেন বলে শান্তির বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হচ্ছে। ঢাকা শহরের জনগণের তথ্য সংগ্রহ করে একত্রে রাখাটা অনেক কঠিন। এই কঠিন কাজটা অনেক দক্ষতার সাথে যে যার অবস্থান থেকে করেছেন। এজন্য তাদের মূল্যায়ন করাটা জরুরী। সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ দমনে বিট পুলিশিং গুরুত্বপূর্ণ। বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে বিট অফিসার পাড়া মহল্লায় জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে সরকার কি চায়, পুলিশ কি চায়। আমাদের দেশকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সেভাবে কাজ করা আমাদের লক্ষ্য। আমরা যাতে জোড় গলায় বলতে পারি বাংলাদেশে জঙ্গি-সন্ত্রাস মুক্ত করতে পেরেছি। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি। আপনাদের সহযোগিতায় মাদককে নিয়ন্ত্রণে আনবো ইনশাআল্লাহ।

    পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (এ এন্ড ও) ড. মোঃ মইনুর রহমান চৌধুরী বিপিএম (বার) বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং একটি গ্লোবাল কনসেপ্ট। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম রয়েছে। তাবে বাংলাদেশের কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমটা একটু ভিন্ন। জনগণ ও পুলিশের একাত্মতায় সোনার বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবে। বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের ২ লক্ষ ১২ হাজার সদস্য কর্মরত রয়েছে। জাতিসংঘের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী একটি দেশের ৪০০ জন জনগণের সেবাই একজন পুলিশ। সেখানে আমাদের দেশে প্রতি ৮০০ জনের সেবায় একজন পুলিশ কাজ করছে। এজন্য পুলিশি সেবায় জনগণের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    কমিউনিটি পুলিশিং ডে উদযাপন উপলক্ষে আগতদের উদ্দেশ্যে সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, মানুষকে যদি আমরা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে খেলাধুলায় অন্তর্ভূক্ত না করতে পারি, আমাদের সন্তানদের মাঠে নিতে না পারি, তাদের সুকুমার বৃত্তিগুলো গড়ে উঠার সুযোগ করে না দিই, তাহলে আমাদের সন্তানদের সঠিক পথে রাখতে পারবো না। আপনি যদি নিজের নিরাপত্তা ও সন্তানের নিরাপত্তা চান এবং একটি বাসযোগ্য সমাজ তৈরি করতে চান, তাহলে আপনি এককভাবে কখনও করতে পারবেন না। পুলিশও এককভাবে কখনও করতে পারবে না। নিজের সন্তানের নিরাপত্তার জন্য ও সন্তান যাতে একটি সুন্দর সমাজ ও পরিবেশে বসবাস করতে পারে সেটির জন্য পুলিশের সাথে মিলে কাজ করুন। সমাজের যে বিষয়গুলো আমরা ঘৃণা করি, সমাজের সবাই মিলে আসুন তাদের বিরুদ্ধে সচেষ্ট হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলি। আমার সন্তান আপনার সন্তান কেউই মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদসহ সমাজের নানাবিধ অপরাধজনক কাজের প্রভাব থেকে এককভাবে মুক্ত থাকতে পারবে না। যদি না আমরা সবাই মিলে এমন একটি সমাজ তৈরি করি যেখানে তার মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মক্ষেত্র তৈরি হবে। আমরা যদি মনে করি এটি শুধু মাত্র পুলিশের কাজ তাহলে এটা কখনও সম্ভব হবে না।

    যাঁরা আমাদের সাথে কাজ করতে চান তারা এক পা এগিয়ে আসুন আমরা সবাই মিলে আপনার দিকে দশ কদম এগিয়ে যাবো বলে জানিয়ে কমিশনার আরো বলেন, আমি বাদশা আপনি আমার প্রজা এই মনোভাব নিয়ে ডিএমপিতে কেউ চাকরি করতে পারবে না। এই মহানগরের প্রতিটি মানুষের যে সম্মান, শ্রদ্ধা ও সুন্দর আচরণ পাওয়ার কথা সেই আচরণটি যদি কোন পর্যায় থেকে না পান তাহলে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা অনুরোধ করবো আমাদের সমস্ত ভালো কাজের সাথে থাকেন, ভালো উদ্যোগকে সমর্থন করেন এবং পুলিশের কোন বিচ্যুতি চোখে পড়লে আমাদের জানাবেন আমরা সংশোধনের চেষ্টা করবো এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। এই শহর ও দেশটা আমাদের। আমরা দায়িত্ববোধ ও মানুষের সেবা করার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে এসেছি।

    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস) কৃষ্ণপদ রায় ,গোলাম আশরাফ তালুকদার সভাপতি শাহজাহানপুর থানা কমিউনিটি পুলিশ ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন শিল্পী গোষ্ঠির সভাপতি ড. এনামুল হক। এসময় কমিউনিটি পুলিশিংয়ে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ঢাকা মহানগরীর জনগণের মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশ সদস্য, পুলিশ সদস্যদের মধ্য হতে শ্রেষ্ঠ সিপিও এবং বিট পুলিশিং অফিসারদের পুরস্কৃত করেন প্রধান অতিথিসহ বিশেষ অতিথিবৃন্দ।

    এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে পুলিশের সঙ্গে কাজ করি, মাদক-জঙ্গি-সন্ত্রাস মুক্ত দেশে গড়ি এই শ্লোগানে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে রাজারাবাগ এসে শেষ হয়। র‌্যালীতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী। এসময় র‌্যালীতে ডিএমপি কমিশনারসহ ডিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিনিধিসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, পুলিশের সঙ্গে কাজ করি, মাদক-জঙ্গি-সন্ত্রাস মুক্ত দেশে গড়ি এই মূল প্রতিপাদ্য বিষয় দিয়ে বাংলাদেশ জুড়ে উদযাপিত হচ্ছে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০১৯।

  • শিশুরাই আলোকিত ও শান্তির বিশ্ব গড়ে তুলবে:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    শিশুরাই আলোকিত ও শান্তির বিশ্ব গড়ে তুলবে:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যতে আলোকিত ও শান্তির বিশ্ব গড়ে তুলবে। আজকে আমার সামনে যারা বসে রয়েছে, তারা সবাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। তারাই ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। তাদের ভবিষ্যৎ কীভাবে আরও সুন্দর করা যায়, সেই চেষ্টাই আমরা করে যাচ্ছি।

    আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ফার্মগেটের আইডিয়াল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে গেছেন, শুধু আমরাই নয়, পুরো বিশ্ব বিস্মিত হয়ে গেছে।’

    তিনি আরও বলেন,‘ আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘আজকের শিশু আনবে আলো, বিশ্বটাকে বাসবে ভালো’। আমাদের শিশুরা অবশ্যই আলোকিত ও শান্তির বিশ্ব গড়ে তুলবে। আমরা সেই দৃশ্য দেখতে চাই। আমরা কোনো হানাহানির দৃশ্য দেখতে চাই না। আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে দেখতে চাই।’

  • সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সারা দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। ভোলার ঘটনা নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

    শুক্রবার উত্তরার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) মাঠে অ্যাম্বাসি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    দুই দিনব্যাপী এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে ১৩টি বিদেশি দূতাবাসসহ ১৬টি দল।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি সুন্দর দেশ। এখানে কোনো সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ নেই। সব রাষ্ট্রদূতরা অনুভব করেন বাংলাদেশ একটি শান্তির দেশ।

  • শুদ্ধি অভিযান চলবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    শুদ্ধি অভিযান চলবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    যেখানে অনিয়ম-দুর্নীতি পাওয়া যাবে সেখানেই শুদ্ধি অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

    তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে কেউ যেন দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদে জড়াতে সাহস না পারে সেজন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    শনিবার দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার এগিয়ে চলছে’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই অভিযান কন্টিনিউ (অব্যাহত) করতেই হবে। আমি শুদ্ধি অভিযান বলব না, আমি বলব দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান। দুর্নীতিবাজ, দখলবাজরা দুর্নীতি, দখলের চিন্তা যতদিন করবে; ততদিন এই অভিযান চলবে

    সহযোগী সংগঠন যুবলীগের নেতাদের চাঁদাবাজি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার অসন্তোষ প্রকাশ পাওয়ার পর জুয়ার আখড়া বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান শুরু হয়।

    দেশের চলমান শুদ্ধি অভিযান চলমান থাকবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন-যেখানে কোনো অসঙ্গতি দেখেছেন, সেটা কে বা কার দল বা কাদের দল সেটা তিনি দেখেননি। অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। দেশের দুর্নীতি বন্ধে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী কতগুলি বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদ দমন করেছেন। তিনি দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চান। যার ভিত্তিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। উন্নত বাংলাদেশ গড়তে দুর্নীতি সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে। যাতে কেউ ভবিষ্যতে দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদে জড়াতে সাহস না পায়।’

    আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘যেখানেই অনিয়ম হবে, দুর্নীতি হবে, আইন অমান্য হবে সেখানেই অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা কোনো এলাকা কিংবা বিষয়কে টার্গেট করছি না।’

    ‘আপনারা দেখছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী টেন্ডারবাজি, অনিয়মকারী কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না। আমরা অবশ্যই টেন্ডারবাজ, দুর্নীতিবাজ এবং অনিয়মকারীদের কন্ট্রোলে নিয়ে আসব। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস তিনি দূর করবেন। তিনি কিন্তু তাই করেছেন। দেশের মানুষ এখন জঙ্গিবাদকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় না। তাই জনগণকে সঙ্গে নিয়েই জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ কে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

    আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘এখন মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। আমরা সেটি বাস্তবায়নে কাজ করছি। তাই আমরা নতুন প্রজন্মের কাছে আহ্বান রাখব তারা যেন এই কাজটি (মাদক গ্রহণ) না করে। আমরা চাইনা আমাদের নতুন প্রজন্ম একটি ভুলের মধ্য দিয়ে হারিয়ে না যায়। আমরা চাই আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি সেটি যেন তরুণ প্রজন্ম বাস্তবায়ন করতে পারে।’

    সুশাসনের কারণে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ আমরা যখন নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের ক্ষমতায় আসি তখন দেশে পূজামণ্ডপ ছিল ৯ হাজার বা ১০ হাজারের মতো। বর্তমানে সে সংখ্যা ৩২ হাজারের কাছাকাছি। শুধু পূজামণ্ডপ নয়, দেশে এমন কোনো জেলা নাই যেখানে বৌদ্ধ ধর্মের কোনো প্যাগোডা নেই। ঠিক সেভাবেই সব ধর্মের প্রতিনিধিরা নির্বিঘ্নে এ বাংলাদেশে থাকছেন। কে মুসলিম, কে হিন্দু, কে বৌদ্ধ, কে খ্রিষ্টান, কে পাহাড়ি, কে নৃ-গোষ্ঠী আমরা তা দেখছি না। আমাদের কাছে সবাই বাঙ্গালি। সবাই মিলেমিশে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই।’

    দ্রুত আবরার হত্যার চার্জশিট

    অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর হাতে নিহত বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়েও কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আবরার হত্যার চার্জশিট দ্রুত দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আবরার হত্যার ঘটনা দুঃখজনক। এই ঘটনায় আমরা বিস্মিত। এই হত্যার চার্জশিট অতি দ্রুত সময়ে প্রস্তুতের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘আবরার হত্যার ঘটনায় আমরা বিস্মিত হয়েছি। মেধাবী ছাত্র না হলে বুয়েটে কেউ চান্স পায় না। সেই মেধাবী ছাত্রগুলো এভাবে খুন করল। তাদের মত মেধাবীদের মস্তিষ্ক এতটা বিকৃত হবে এটা আমাদের ধারণাই ছিল না। আমরা সত্যিই দুঃখিত। তবে আমরা শুধু দুঃখ প্রকাশ করে থেমে থাকেনি। আমরা সঙ্গে সঙ্গে সেই অপরাধীদের ধরেছি। সেই সঙ্গে নির্দেশ দিয়েছি এ ঘটনায় অতিদ্রুত যাতে নির্ভুল একটা চার্জশিট প্রস্তুত করা হয় এবং অতিদ্রুত যেন এ ঘটনায় ন্যায্যবিচার পায় আমরা সে আশা করছি। ইতোমধ্যে সে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’