Tag: অতিবৃষ্টি

  • ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আতঙ্ক কাটার পর অতিবৃষ্টিতে উৎকন্ঠায় রাউজানের আমন চাষীরা

    ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আতঙ্ক কাটার পর অতিবৃষ্টিতে উৎকন্ঠায় রাউজানের আমন চাষীরা

    ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ নিয়ে গত কয়েকদিন আতঙ্কে কেটেছে রাউজানের আমন চাষীদের। মহা বিপদ সংকেত কাটিয়ে আপাতত ঘূর্ণিঝড় আতঙ্ক কাটলেও এবার নতুন করে দুশ্চিন্তায় ভুগছে চাষীরা।

    রোববার সকালে হালকা বৃষ্টিপাত শুরুর পর দুপুরের পর থেকে টানা ভারী বৃষ্টিপাতের সাথে কপাঁলে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে রাউজানের চাষীদের।

    ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। দুপুরের পর থেকে অতিবৃষ্টিতেই যেন মলিন হতে চলেছে কৃষকের হাসিমুখ।

    অথচ চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলনে রাউজানের আমন চাষীরা ছিল বেশ হাসিখুশি। রাউজান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, চলতি আমন মৌসুমে ১১ হাজার ২৭৬ হেক্টর আমনের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে উপজেলায় আমনের চাষাবাদ হয়েছে ১১ হাজার ৪৮০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০৪ হেক্টর বেশী চাষাবাদ হয়েছে চলতি মৌসুমে। এরমধ্যে উপশী জাতের ১১ হাজার ২১০, হাইব্রিড জাতের ৮০ হেক্টর, ও স্থানীয় জাতের ১৯০ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ করেছে কৃষকরা। চলতি মৌসুমে প্রায় ৫০হাজার মেক্টিকটন শুকনা ধান উৎপাদনের আশাবাদও ব্যক্ত করেছিলেন কৃষি কর্মকর্তারা।

    সরেজমিনে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, মাঠে হলদে বর্ণের আমনের ক্ষেতে আমন ধান কাটা শেষে রোদে শোকানোর জন্য রেখে দিয়েছেন কৃষকরা। অনেকেই জমিতে ধান মাড়াই করে শুকনো ধান ঘরে তোলার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেও অতিবৃষ্টির ফলে কৃষি জমিতে পানি জমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

    পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের কৃষক রফিক বলেন, বাম্পার ফলন হওয়ায় এবার খুব খুশি হয়েছিলাম। জমিতে ধান কেটে মাড়াই করে ধান ঘরে তুলবো বলে ভাবছিলাম। কিন্তু রোববারের অতিবৃষ্টিতে আমাদের দূর্ভোাগ যেন বেড়ে গেছে। এখন ভেজা ধান গুলো বাড়িতে এনেই মাড়াই করতে হবে। কামলাদের দৈনিক মজুরি অবিবেশী হওয়ায় কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা।

    শুধু কৃষক রফিক নয়, এমন দুশ্চিন্তায় ভুগছেন অনেকেই। সোমবার রোদের দেখা না মিললে সে দুশ্চিন্তা যে আরো কয়েকগুণ বাড়বে তা বলার অবকাশ রাখেনা।