Tag: অতিষ্ঠ

  • ডুবে যাওয়া জাহাজের পচা ডাল সৈকতে স্তুপ করেছে কিছু লোক, তীব্র গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

    ডুবে যাওয়া জাহাজের পচা ডাল সৈকতে স্তুপ করেছে কিছু লোক, তীব্র গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

    চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের চর পাড়া অংশে ভেঙ্গে যাওয়া জাহাজ এমভি নিউ গোলাম রহমান লাইটার হতে কিছু লোক পানিতে নষ্ট হয়ে যাওয়া বুট/চনা সংগ্রহ করে সাগর তীরে স্তুপ করেছে।

    পানি পচা বুট/চনার তীব্র গন্ধ সংশ্লিষ্ট এলাায় বায়ু দুষনে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। এই গন্ধ জনস্বাস্থ্যের জন্যে ব্যাপক ক্ষতিকর বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

    এলাকার সচেতন জনগণ আশংকা করছেন যে,যদি এই পচা চনা/বুট কোন অসাধু, লোভী ব্যবসায়ীর হাত হয়ে মনুষ্যের খাদ্য হিসাবে বাজার যাত হয়, তবে ব্যাপক জনগোষ্ঠী স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে।

    সেই জাহাজ:এমভি গোলাম রহমান।
    ছবি: সালেহ জহুর

    এই বিষয়ে মহসিন কলেজের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. ইদ্রিচ আলী বলেন, এগুলো শুকিয়ে পশু খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। তবে আমাদের দেশে অতীতে এই রকম ডুবে যাওয়া জাহাজের ডাল শুকিয়ে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি ভোক্তা অধিকার কতৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে যথাযথ তদারকি করার আহবান জানান তিনি

    রোববার (২১ জুন) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের (ডব্লিউটিসি) নির্বাহী পরিচালক মাহবুব রশীদ।

    চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানিয়েছে, ‘এমভি নিউ গোলাম রহমান’ নামে লাইটার জাহাজটি বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ মাদার ভেসেল থেকে ৮৫০ টন ডাল খালাস করে খুলনা যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আকস্মিকভাবে জাহাজের তলা ফেটে গেলে জাহাজটিকে পতেঙ্গা উপকূলে জরুরি বিচিং করা হয়। তবে দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজটির নাবিকরা এখন নিরাপদে আছেন। ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/এ আর

  • করোনা আতংকের মধ্যে বেড়েছে গরমের তীব্রতা, অতিষ্ঠ জনজীবন/আরো ৩-৪ দিন থাকবে তাপদাহ

    করোনা আতংকের মধ্যে বেড়েছে গরমের তীব্রতা, অতিষ্ঠ জনজীবন/আরো ৩-৪ দিন থাকবে তাপদাহ

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। রাজীব সেন প্রিন্স : চট্টগ্রামে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমন দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত দুদিনে চট্টগ্রাম জেলায় শতাধিক করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এই মুহূর্তে সবাই যখন করোনা ভাইরাস নিয়ে উদ্বিগ্ন ঠিক তখনই ফেঁপে উঠেছে প্রকৃতি।

    রমজানের শুরুতে বৃষ্টির দরুণ তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও গত কয়েক দিন ধরে দেখা দিল তীব্র তাপপ্রবাহ। এ কদিনে বৈশাখের তীব্র খরতাপ বেড়েই চলেছে। এতে হাঁসফাঁস করছে চট্টগ্রামবাসীর জীবন।

    করোনা মহামারির কারণে এমনিতেই বন্ধ রয়েছে নগরের প্রায় শপিংমল ও দোকান পাঠ। তার উপর রমজানে মাস হওয়াতে বাইরের আবস্থা ভয়াবহ, রোদের তাপ, আর গরমে শ্রমজীবি মানুষদের যেন নিস্তার নেই। ঘেমে নেয়ে একাকার, যেন নাভিশ্বাস উঠছে চট্টগ্রামবাসীর।

    সূর্যের প্রচণ্ড উত্তাপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। রমজান মাস হওয়াতে রাস্তার পাশের সরবত বিক্রেতাদেরও এখন দেখা মিলছে না।

    ফলে জীবিকার তাগিদে করোনার মাঝেও যেসব শ্রমজীবিরা রোদের তেজ উপেক্ষা করে ঘর থেকে রাস্তায় বের হয়েছেন তারাই পড়েছেন সীমাহীন দুর্ভোগে।

    এদিকে চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস বলছে গরমের এ তাপদাহ আরো ৩-৪ দিন স্থায়ীত্ব হবে।

    চট্টগ্রাম আবহাওয়া আফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন, গত ক’দিন ধরে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপমাত্রা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা দেখছেন না জানিয়ে তিনি গরমের তীব্র তাপদাহ আরো ৩-৪ দিন অব্যাহত থাকতে পারে এমনটাই জানিয়েছেন।

    আবহাওয়া অফিসের সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে গরমের তীব্রতা  অব্যাহত থাকলেও এর মধ্যে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল গতকাল রবিবার। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

    এছাড়া, গত শনিবার ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গত শুক্রবার ৩৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস  তাপমাত্রা ছিল। এ অবস্থায় আগামী ১৮-২০ তারিখের মধ্যে সমুদ্রে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস।

    গরমের এ তীব্র তাপদাহে জনজীবনের অবস্থা জানতে সরেজমিনে নগরীর ব্যস্ততম কয়েকটি সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, করোনার প্রভাব ও সরকারি বিধি নিষেধ পালন করতে নগরীর অধিকাংশ মানুষ এমনিতেই ঘরে অবস্থান করছে ফলত রাস্তাঘাট এক প্রকার ফাঁকা।

    যানবাহন বলতে কয়েকটি স্থানে হালকা কিছু রিকশা দেখা গেলেও তীব্র তাপদাহতে চালকের শারিরীক দুর্বলতায় ঘুরছে না সেগুলোর চাকাও। রিকশা ফেলে সামান্য স্বস্তির আসায় রাস্তার একপাশে ছায়াতলে বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে রিকশা চালকদের।

    নগরীর পাথরঘাটার বাসিন্দা ব্যবসায়ি কাজল জানিয়েছে, এমনিতে করোনা আতংকে ঘরে থাকতে থাকতে বোর লাগছে তার উপর গরম। গত কয়েকদিন ধরে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জীবন। নেই বাতাস, নেই বৃষ্টি, ঘরের বৈদ্যুতিক পাখার বাতাস যেন লু-হাওয়া।

    তীব্র গরমে চট্টগ্রাম জুড়ে ডায়রিয়া, জ্বর ও সর্দি-কাশির প্রকোপ বাড়তে পারে মানুষের। সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে গরমে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। রোগমুক্ত থাকতে কিছু নির্দেশনা দেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি।

    তিনি বলেন, গরমের এ তাপদাহতে বাইরের খাবার বর্জন করে ঘরে নিরাপদে থেকে বেশি বেশি ফলমূল ও ঘন ঘন পানি পান করতে হবে। তেলের ভাজা-পোড়া খাবার খাওয়া যাবে না। তাছাড়া আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে জ্বর, সর্দি-কাশি এসব হতে পারে।

    এতে আতঙ্কিত না হয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের মোবাইলে পরামর্শ নিতে পারে। তবে জ্বর সর্দি-কাঁশি তিন চার দিনের বেশি থাকলে আমাদের ফ্লু কর্নারে যোগাযোগ করে করোনা টেস্টের পরামর্শ দেন জেলা সিভিল সার্জন।

    গতকাল রবিবার আবহওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। দক্ষিণ/ দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে হতে ঘণ্টায় ১২-১৮ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।

    ফলে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সে সাথে রাত ও দিনের সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২৪ ঘণ্টা/ রাজীব সেন প্রিন্স

  • প্রতারক জ্যোতিষীর আতঙ্কে সীতাকুণ্ডে অতিষ্ঠ ৯২ পরিবার,সংবাদ সম্মেলন

    প্রতারক জ্যোতিষীর আতঙ্কে সীতাকুণ্ডে অতিষ্ঠ ৯২ পরিবার,সংবাদ সম্মেলন

    সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: সীতাকুণ্ডে গৌরাঙ্গ আচার্য রাঠুর নামের এক জ্যোতিষী প্রতারক ও দুষ্কৃতিকারীর অত্যাচার থেকে পরিত্রান পেতে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলার ৮নং বহরপুর,বারৈয়ারঢালা ইউনিয়ন এর ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

    বুধবার (১১ডিসেম্বর) সকালে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে সংবাদ সন্মেলনে গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এলাকার সর্দার মাখন শীল।

    লিখিত বক্তব্যে মাখম শীল বলেন, অশিক্ষিত গৌরাঙ্গ আচার্য (প্রকাশ) রাঠু মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিবে বলে সহজ সরল মানুষকে গুপ্তধন পাওয়ার আশায় আংটিসহ নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে সর্বস্বান্ত করছে। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে এলাকার মানুষ এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের উপর নানা রকম অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মামলার ভয় দেখায় সে। বহরপুর কালি মন্দিরে সর্বজনীন পূজাকালীন সময়ে প্রশাসনের নাম দিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে পূজা বন্ধ করে দিয়ে আসছে। গ্রামের মানুষ তার বিরুদ্ধে কিছু বললে মামলা জড়ায়ে দিবে বলে হুমকি প্রদান করে।

    গৌরাঙ্গ আচার্য্য রাটু

    তার বিরুদ্ধে টিএনও ও পুলিশ সুপার, সীতাকুণ্ড থানায় একাধিক মামলা ও জিডি এবং কোটে সিআর মামলা রহিয়াছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত পরিবারের ভাই ও বৌদি দের সাথে মারামারি-হাতাহাতি লেগে থাকে তার যেকোনো কথায় পরিবারের পুরুষ মহিলাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে সে।

    এছাড়া যেকোনো সময় পুলিশি হয়রানির প্রদান করছে এবং সে ফোন করা মাত্রই পুলিশ গিয়ে নিরীহ মানুষদের হয়রানি করে আসছে। তার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ সনাতনধর্মী এলাকার ৯২ টি পরিবার।

    দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ জগদ্ধাত্রী পূজা পড়াকালীন সে পূজা অর্চনা করতে নানা রকম বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করে আসছে বলে জানায় এলাকাবাসী। তাই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা পুলিশ প্রশাসনের নিকট বিশেষ অনুরোধ জানান।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমাজের সর্দার মাখন লাল শীল, রাঠুর ভাই নিতাই আচার্য্য, লক্ষিরানী ভট্টাচার্য্য, রত্নাশীল ভাচার্য্য, অঞ্জলিরাণী আচার্য্য, শম্ভু শর্মা।

  • সীতাকুণ্ডের সাবেক এক মেম্বারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ৫ পরিবার,সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

    সীতাকুণ্ডের সাবেক এক মেম্বারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ৫ পরিবার,সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

    সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকার সাবেক মেম্বার ও স্থানীয় কেশবপুর গ্রামের মৃত রাজা মিয়ার ছেলে জসীম উদ্দিনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ভিটে মাটি হারানোর আতংকে আছে একই এলাকার ৫ পরিবার।

    এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বের) মঙ্গলবার দুপুর ২টায় সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগিরা।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঐ এলাকার সিরাজ মিয়ার স্ত্রী শাহানাজ আক্তার। তিনি লিখিত বক্তব্য বলেন তারা ৫ পরিবার ১৯৯১ সালে স্থানীয় মুন্সিমিয়ার দখলে থাকা সওজের জায়গা সত্ব কিনে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে সওজের কাছ থেকে লিজ নেন তারা।

    ২০১৩ সালে তাদের পার্শ্ববর্তী জমির আলী নামক এক ব্যক্তির জায়গা কিনে স্কেল স্থাপন করেন জসীম মেম্বার। এরপর থেকে শাহানাজসহ আশপাশের পরিবারের উপর অত্যাচার শুরু করেন তিনি।

    সর্বশেষ গত ২৬ আগষ্ট নিজের জায়গা ভরাট করতে গিয়ে জসীম এমনভাবে বালি ফেলেন যে ১০ ফুট উচ্চতার ঐ বালির স্তুপ থেকে পার্শ্ববর্তী আবু জাফর, মৃত আবুল বশর, কুদ্দুস আলী, শাহানাজ আক্তারদের ঘরে বালি ও পানি ঢুকে পরিবারগুলো খুবই কস্টে দিনতিপাত করছে।

    এসব ঘটনার প্রতিবাদ করলে জসীম উল্টো হুমকি দিচ্ছেন তাদের এবং নানাভাবে ঘরের উপর ইট, লোহার পাতসহ নানান সরঞ্জাম ছুড়ে অত্যাচার করছে।

    সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন রেহেনা বেগম, সখিনা বেগম, সাহাব উদ্দিন, ফাতেমা বেগম ।