Tag: অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ

  • রিজেন্ট হাসপাতালকাণ্ড: স্বাস্থ্যের মহাপরিচালককে শোকজ

    রিজেন্ট হাসপাতালকাণ্ড: স্বাস্থ্যের মহাপরিচালককে শোকজ

    করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতিতে অভিযুক্ত রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সই হয়েছে-স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই চিঠির বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতর কর্মকর্তা বলতে কী বোঝানো হয়েছে এবং রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের আগে কী কী বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়েছে তা জানাতে বলা হয়েছে।

    রবিবার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়। স্বাস্থ্য সচিব মো. আব্দুল মান্নান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, কোনো হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির পূর্বে তা সরেজমিনে পরিদর্শন, হাসপাতাল পরিচালনার অনুমতি, পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, জনবল ও ল্যাব ফ্যাসিলিটিজ ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে উপযুক্ততা বিবেচিত হলেই কোভিড পরীক্ষা/চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চুক্তি সম্পন্ন করার সুযোগ রয়েছে। রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির পূর্বে কী কী বিষয় বিবেচনা করা হয়েছিল, চুক্তি করার পর উদ্ধৃত শর্তসমূহ প্রতিপালনে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা বলতে কী বোঝানো হয়েছে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা আগামী তিন কার্যাদিবসের মধ্যে প্রদান করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    গতকাল শনিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দাবি করেছে, কোভিড-১৯ চিকিৎসায় রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি গ্রুপের প্রতারণার শিকার হয়েছে।

    অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. মো জাহাঙ্গীর কবিরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রিজেন্ট হাসপাতালকে লাইসেন্স নবায়নের শর্ত দিয়েই কোভিড চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠান মালিক শাহেদ করিমের সাথে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা আবুল কালাম আজাদের পূর্ব পরিচয় ছিল না। একই রকম ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে জেকেজি নামে আরেক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কেও।

    অধিদপ্তরের দাবি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রতিষ্ঠান দুটির সাথে চুক্তি করা হয়। বলা হয়, গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের চরিত্র হননের চেষ্টা হচ্ছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা তিন বছরের বেশি স্থায়ী হবে : স্বাস্থ্য মহাপরিচালক

    করোনা তিন বছরের বেশি স্থায়ী হবে : স্বাস্থ্য মহাপরিচালক

    বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের কিছুকাল পরই করোনা সংক্রমণের উচ্চ হার কমে আসতে পারে। করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করলে অনেক লুকায়িত ও মৃদু কেসও শনাক্ত হবে। সেক্ষেত্রে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা পরিবর্তন দৃষ্টিগোচর নাও হতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতায় এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি এক, দুই বা তিন মাসে শেষ হচ্ছে না। এটি দুই থেকে তিন বছর বা তার চেয়েও বেশিদিন স্থায়ী হবে।

    বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দুপুরে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত নিয়মিত অনলাইস স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।

    আবুল কালাম আজাদ বলেন, বেশ কিছুদিন পর আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আপনারা জানেন আমিও কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছিলাম। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছি। সুস্থ হয়ে আবার অফিসে যোগ দিয়েছি এবং কাজ করছি। দেশের করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনারা জানেন। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে শীর্ষ রাজনীতিবিদ, ডাক্তার, নার্স, সাংবাদিক, পুলিশসহ অনেককে হারিয়েছি।

    বাংলাদেশ ঘনবসতি এবং জনবহুল একটি দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস অত্যন্ত ছোঁয়াচে। এ কারণে অসতর্কভাবে চলাফেরা এবং স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে না চললে এদেশে সংক্রমণের হার মোকাবিলা করা কঠিন। দীর্ঘদিন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রেখে কর্মহীনতা, আয় রোজগার বন্ধ হওয়া এবং অন্যান্য সামাজিক, অর্থনৈতিক কারণেও ব্যাপক অপুষ্টি দেখা দিতে পারে।

    ‘বিশ্বব্যাপী অর্জিত অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু সময় পর বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের উচ্চহার কমে আসতে পারে। কিন্তু করোনার পরীক্ষা সংখ্যা বৃদ্ধি করলে লুকায়িত এবং মৃত কেসও শনাক্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা পরিবর্তন, দৃষ্টিগোচর নাও হতে পারে।’

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা এবং গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি এক, দুই বা তিন মাসে শেষ হচ্ছে না। এটি দুই থেকে তিন বছর বা তার চেয়েও বেশি সময় স্থায়ী হবে। যদিও সংক্রমণের মাত্রা উচ্চহার নাও থাকতে পারে। সে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপলব্ধি করেন। এ মুহূর্তে তিনিই সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততম ব্যক্তি। করোনা শুধুমাত্র স্বাস্থ্যগত বিষয় না। এটা সামাজিক, অর্থনৈতিক, যোগাযোগ, ধর্ম, বাণিজ্য অর্থাৎ জীবনের সব উপজীব্যকে ঘিরে। কিন্তু তিনি স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে অধিকতর জোরালো নজর দিয়েছেন।

    তিনি আরও বলেন, কোভিড পরীক্ষার কাজ সরকারি, বেসরকারিভাবে সম্প্রসারিত হবে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় জেলা পর্যায় পর্যন্ত আরপিসিআর পরীক্ষা যত দ্রুত সম্ভব সম্প্রসারিত হবে। আরও নতুন নতুন, সহজে করা যায় এমন কোভিড পরীক্ষা চালু হবে। উপজেলা হাসপাতাল পর্যন্ত এ ধরনের পরীক্ষা চালু করার প্রচেষ্টা নেওয়া হবে।

    সব জেলা হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা সম্প্রসারণের কাজ চলছে জানিয়ে ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলা হাসপাতাল পর্যন্ত সব সরকারি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। পরীক্ষার কিট বা পিপিই এর যেন কোনো অভাব না হয়ে সেজন্য সুপরিকল্পিতভাবে সংগ্রহ এবং সরবরাহ এর পদ্ধতি নেওয়া হচ্ছে। সরকারি, বেসরকারি সব হাসপাতালে কোভিড, নন-কোভিড রোগীদের ভালোভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতালের বিষয়ে মূল্য নির্ধারণ, তদারকি এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি, বেসরকারি খাত যেন যৌথভাবে দায়িত্বে গুরুদায়িত্ব পালন করে সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। জোনিংয়ের ক্ষেত্রে যখন যা প্রয়োজন তা করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আইসোলেশনে

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আইসোলেশনে

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। ঢাকা ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের মতো উপসর্গ নিয়ে নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।

    মহাপরিচালক নিজেই গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ডা. আজাদ জানান, করোনার বিষয়টি নিশ্চিত হতে তাঁর নমুনা পরীক্ষার প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে করোনাভাইরাসের মতো উপসর্গ নিয়ে নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি।

    ইতিমধ্যেই তাঁর পরিবারের একজন সদস্যের নমুনা পরীক্ষার ফলে পজিটিভ এসেছে বলে জানান তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর