Tag: অপহরণ

  • উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা তরুণীকে অপহরণ

    উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা তরুণীকে অপহরণ

    খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গাজী এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন এক তরুণী।

    গতকার শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১১টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন তিনি। তবে রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে হাসপাতাল থেকে ওই তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    ওসিসির কো-অর্ডিনেটর ডা. সুমন রায় জানান, ডুমুরিয়ার ২৮ বছরের এক তরুণী শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে খুমেক হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। পরে তাকে ওসিসিতে রেফার্ড করা হয়। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।

    ওই তরুণী বলেন, ‘মধুগ্রাম কলেজে পড়ার সময় উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সে দীর্ঘদিন আমার সঙ্গে অনৈতিক ব্যবহার করেছে। কিন্তু পরে বিয়ের কথা বললেই সে টালবাহানা করছে। আজও সে (শনিবার রাতে) আমার সঙ্গে অনৈতিক ব্যবহার করেছে।

    ওই তরুণীর ভাই অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান শনিবার রাতে মোবাইল করে তার বোনকে শাহপুর এলাকায় চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অফিসে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনেকদিন ধরে তার বোনকে ধর্ষণ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। ওই দিন তার বোন চেয়ারম্যানকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে তিনি তাকে তাড়িয়ে দেন। তিনি ডুমুরিয়া থানায় গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

    তবে সাংবাদিকদের কছে অভিযোগ অস্বীকার করে ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ বলেন, এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।

    ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত সাহা বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। ফলে সত্যমিথ্যা কিছুই বলতে পারছি না। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

    তবে বাংলাদেশ মানবধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম জানান, রবিবার বিকেলে ধর্ষণের অভিযুক্ত তরুণীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওয়ান—স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এসময় ডুমুরিয়ার ৩নং রুদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামানকে আটক করে জনতা। ওই চেয়ারম্যান উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদেও চাচাতো ভাই।

    তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা স্বীকার করে নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনা জানার সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

     

  • রুমায় ৪ শ্রমিককে অপহরণ করেছে কেএনএফ

    রুমায় ৪ শ্রমিককে অপহরণ করেছে কেএনএফ

    বান্দরবানের রুমা থেকে চার নির্মাণ শ্রমিককে অস্ত্রের মুখে অপহরণের অভিযোগ উঠে‌ছে কু‌কি‌চিন ন‌্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৯ জুন) ভোরে রুমার বগালেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটলেও শনিবার সকালে বিষয়‌টি জানাজানি হয়।

    অপহৃতরা শ্রমিকরা হলেন- ইদ্রিস, আওয়াল, জসিম ও রিপন বড়ুয়া।

    পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার ভোরে রুমা উপজেলার বগালেক এলাকা থেকে অস্ত্র দেখিয়ে চার শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে যায় কেএনএফের সন্ত্রাসীরা। পরে বিকালে জসিম ও রিপন বড়ুয়াকে ছেড়ে দিলেও ইদ্রিস ও আওয়ালকে তারা আটক করে রাখে।

    এ বিষয়ে রুমা থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘দুই নির্মাণ শ্রমিককে অপহরণের খবর শুনেছি, তবে এখনও কোনও অভিযোগ আসেনি।’

    রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছৈয়দ মাহবুবুল হক বলেন, ‘শুক্রবার ভোরে রাস্তার নির্মাণ কাজের চার শ্রমিককে কেএনএফ অপহরণ করে নিয়ে যায়। বিকালে দুই জনকে ছেড়ে দিলেও বাকী দুজন এখনও তাদের কাছে রয়েছে।’

    এর আগে গত ১৭ মার্চ নির্মাণ কাজের ঠিকাদার সার্জেন্ট আনোয়ারকে অপহরণ করে নিয়ে যায় কেএনএফ এর সদস্যরা। ১৫ দিন পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

     

  • মিরসরাইয়ে স্কুল ছাত্রী অপহরণের অভিযোগে আটক ১

    মিরসরাইয়ে স্কুল ছাত্রী অপহরণের অভিযোগে আটক ১

    মিরসরাই প্রতিনিধি: মিরসরাইয়ে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টাকালে রিয়াজুল ইসলাম (২৪) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত আসামী ভোলা জেলার লালমোহন থানার মো: আলী আজগর এর ছেলে।

    রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনায় মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানায় মামলা (নাম্বার ২২) দায়ের করেন ছাত্রীর মা।

    জানা গেছে, মিরসরাই উপজেলার দূর্গাপুর নগেন্দ্র চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্রী নিলুফা বেগম (ছদ্মনাম) স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে কৌশলে অপহরণ করার ছেষ্টা করেন রিয়াজুল ইসলাম (২৪)। স্কুল ছাত্রীকে কুমিল্লা কোটবাড়িয়া নেয়ার কথা বলে ঢাকাগামি সৌদিয়া পরিবহনের টিকিট কাটেন তিনি। মেয়েটির পরনে স্কুল ড্রেস ও কাঁধে স্কুল ব্যাগ দেখে স্থানিয়দের সন্দেহ হলে কাউন্টারের সহায়তায় তাকে আটক করে জোরারগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়। খবর পেয়ে কিশোরীর মা তার মেয়েকে উদ্ধার করে পরবর্তীতে বাদি হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

    দূর্গাপুর নগেন্দ্র চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন জানান, স্কুুল থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় পথে অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে রিয়াজুল ইসলাম। পরে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তদের আটক করে থানা হেফাজতে দেয়া হয়।

    জোরারগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খাইরুল আলম জানান, সোমবার দুপুরে ভিকটিম এর জবানবন্দি নেওয়ার জন্য বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার এজাহার এবং ভিকটিম এর দেওয়া জবানবন্দি অনুযায়ী তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আসামীকে চালান দেওয়া হয়েছে।

  • ৮ বাংলাদেশিকে অপহরণ করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা, মুক্তিপণ দাবি

    ৮ বাংলাদেশিকে অপহরণ করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা, মুক্তিপণ দাবি

    কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের ছড়ার খালে শখের বসে মাছ ধরতে গিয়ে কক্সবাজার সরকারি কলেজে পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থীসহ ৮ জনকে অপহরণ করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।

    রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকায় এ অপহরণের ঘটনা ঘটে।

    অপহরণের প্রায় ২৪ ঘণ্টা পার হলেও সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত কাউকে জীবিত বা মৃত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

    অপহৃত তরুণরা হলেন- জাহাজপুরা এলাকার রশিদ আহমেদের পুত্র আবছার উদ্দিন(২৪), ছৈয়দ আমিরের পুত্র নুরুল মোস্তাফা, করিম উল্লাহ, নুর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ উল্লাহ, সেলিম উল্লাহ, রিদুওয়ান ও নুরুল হক।

    অপহৃতদের পরিবার জানায়, অপহরণকারীরা জনপ্রতি ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে, নয়তো প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।

    এ ঘটনায় পরিবারের মাঝে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

    বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রোববার বিকেলে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা ৮ জনকে অপহরণ করেছে এবং পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ চেয়ে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এখনও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
    টেকনাফ মডেল থানার ওসি তদন্ত নাসির উদ্দীন মজুমদার জানান, অপহরণের খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি টিম তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

    উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বাহারছড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কয়েকজনকে অপহরণ করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।তাদের হাত থেকে মুক্তি পেতে লাখ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে প্রাণে ফিরেছে তারা। পরিবারগুলো তাদের আত্মীয়-স্বজনদের উদ্ধারে জমিজমা, গরু-ছাগল এমনকি বাড়ি ঘর বিক্রি করে মুক্তিপণের টাকা প্রদান করে কোনরকম প্রাণে ফিরিয়ে আনে বলে জানায় ভোক্তভোগীরা।এ ছাড়া বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহতও হয়েছেন।

  • শিশু আয়াতকে হত্যার পর ৬ টুকরা, যুবক গ্রেফতার

    শিশু আয়াতকে হত্যার পর ৬ টুকরা, যুবক গ্রেফতার

    চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকা থেকে নিখোঁজ ৭ বছর বয়সী শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতকে হত্যা করা হয়েছে শ্বাসরোধ করে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জানিয়েছে এ তথ্য।

    পিবিআই বলছে, আবির আলী নামের আয়াতদের বাসার সাবেক ভাড়াটিয়াকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে এ তথ্য। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১১টার দিকে ইপিজেড থানার আকমল আলী সড়ক থেকে তাকে আটক করা হয়।

    পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা জানিয়েছেন, মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহরণ করা হয় শিশু আয়াতকে। পরে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ছয় টুকরো করে ফেলে দেওয়া হয় কর্ণফুলী নদীতে।

    গত ১৫ নভেম্বর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা নয়াহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পাশের মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আয়াত। ওইদিন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার বাবা সোহেল রানা।

    পিবিআই পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা বলেন, শিশু আয়াত নিখোঁজের পর আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে আবির আলী নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আবির শিশু আয়াতকে মুক্তিপণ দাবির উদ্দেশ্যে অপহরণ করে বলে জানায়। তবে শিশু আয়াত চিৎকার করতে থাকলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আবির। পরে আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে মরদেহ ছয় টুকরো করে। এরপর মরদেহের খণ্ডিত অংশগুলো দুটি ব্যাগে ভর্তি করে বেড়িবাঁধ এলাকায় নদীতে ফেলে দেয়।

    শিশু আয়াতকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত বটি ও অ্যান্টিকাটার উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

    ইপিজেড থানার ওসি আবদুল করিম শুক্রবার দুপুরে বলেন, শিশু আয়াত নিখোঁজের বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল। আয়াতকে অপহরণ করে হত্যা করেছে এক পাষণ্ড। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আসামি পিবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছে।

  • মিরসরাইয়ে ১৩ বছরের কিশোরী অপহরণ! মামলা নেয়নি থানা

    মিরসরাইয়ে ১৩ বছরের কিশোরী অপহরণ! মামলা নেয়নি থানা

    মিরসরাইয়ে ফারহানা (ছদ্মনাম) নামে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। কিশোরী স্থানিয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

    স্থানীয় বখাটে ফিরোজ খান প্রকাশ মাসুম (২০) তাকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থীর পরিবার। রবিবার (১৫ মে) সকাল ৯টায় উপজেলার ১০ নং মিঠানালা ইউনিয়নের পশ্চিম মিঠানালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফিরোজ খান মাসুম একল এলাকার মাহফুজুর রহমানের ছেলে।

    কিশোরীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, বখাটে ফিরোজ খান তার অবুঝ কন্যাকে বিভিন্ন সময় উত্তক্ত করতো। গত ২৩ এপ্রিল রাত ৯টায় ফারহানা কিশোরী প্রাকৃতিক ডাকে সাড়ে দিতে ঘর থেকে বের হলে ফিরোজ খান তার মুখ চেপে ধরে বাড়ির পাশ্ববর্তী বাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ও মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে।

    ধর্ষণের অভিযোগে কিশোরীর পিতা ফারুক হোসেন অভিযুক্ত ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে মামলা করতে মিরসরাই থানার শরণাপন্ন হলে পুলিশ মামলা না নিয়ে আদালতের সরণাপন্ন হতে পরামর্শ দেয়।

    পরবর্তীতে গত ২৮ এপ্রিল কিশোরীর মা চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর আদালতে ফিরোজ উদ্দিন প্রকাশ (মাসুম) কে আসামী করে মামলা (নং-১৩৪/২০২২) দায়ের করেন। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    কিশোরীর মা জানান, আদালতে মামলা করার পর ফিরোজ আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। শনিবার (১৪ মে) রাতে সে আমাদের বাড়িতে গিয়ে তার সাথে ফারহানাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়। অন্যথায় তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকী দেয়।

    এরপর রবিবার (১৫ মে) আমার অবুঝ মেয়েকে বাড়িতে কোথাও খুঁজে পাইনি। এঘটনায় মিরসরাই থানায় মামলা করতে আসলে পুলিশ অদৃশ্য কারণে মামলা না নিয়ে নিঁখোজ ডায়েরী (নং-৬২৫) নেয়। মেয়েকে খুঁজে দিতে ও বখাটে ফিরোজ খানের শাস্তির জন্য তিনি আইনশৃঙ্খালা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন।

    মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন বলেন, একজন মহিলা এই ধরনের একটি অভিযোগ নিয়ে এসেছেন বলে শুনেছি। যে টুকু জেনেছি ওটা প্রেম জনিত ঘটনা। তবে বিস্তারিত আমি এখনো জানিনা। বিষয়টি বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় মামলা রুজু পূর্বক উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

    ২৪ ঘন্টা/আশরাফ উদ্দিন/রাজীব

  • ঢাবির সাবেক অধ্যাপককে অপহরণ করে হত্যা

    ঢাবির সাবেক অধ্যাপককে অপহরণ করে হত্যা

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক সাইদা খালেককে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে।

    শুক্রবার সাভার থেকে তার মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভুঁইয়া।

    তবে কী কারণে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি।

    অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভুঁইয়া বলেন, ‘সাভার থেকে তিনি তিন দিন আগে অপহরণ হয়েছিলেন। সাভারের হাউজিং প্রকল্পের পাশে তিনি ভাড়া বাসায় থাকতেন। সাভার থেকেই আজ ওনার লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছে। বর্তমানে সেখানে আমাদের আবাসন প্রকল্পের সভাপতি পদে আছেন।’

    নিজামুল হক ভুঁইয়া বলেন, ‘অধ্যাপক সাইদা খালেক ছয় বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরে যান। তার বয়স বর্তমানে ৭১।’

    ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের হাউজিং প্রকল্পের সভাপতি ও ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শিকদার মনোয়ার মোরশেদ বলেন, ‘এটি অপহরণ না। এটি একটি মার্ডার কেস। আসামিকে পুলিশ ধরেছে। তাকে ঢাকা নিয়ে আসা হয়েছে। আপনি কাশিমপুর থানার পুলিশের সঙ্গে কথা বললে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন।’

  • সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ছিনিয়ে নিয়েছে ৭ লক্ষ টাকা

    সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ছিনিয়ে নিয়েছে ৭ লক্ষ টাকা

    কামরুল ইসলাম দুলু : সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ৭ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে এঘটনা ঘটে। রাতে আহত অবস্থায় উক্ত ব্যবসায়ী ও তার সঙ্গে থাকা এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে পুলিশ বার আউলিয়াস্থ হাফিজ জুট মিলসের গেটের সন্নিকটে মহাসড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে।

    জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে সীবিচের চরপড়া মোড় এলাকার মৃত নেকবর আলীর পুত্র জসিম উদ্দিন (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী রমজান আলী(৩৫) নামের এক ইলেকট্টিক মিস্ত্রিকে সাথে নিয়ে আগ্রাবাদ মোগলটুলী থেকে পুরাতন জাহাজের ইলেকট্রিক মেশিন ক্রয় করতে উপজেলার ভাটিয়ারীতে আসেন। এসময় কৌশলে এক মহিলা ও কয়েকজন যুবক তাদেরকে একটি কালো রঙের মাইক্রোতে তুলে নিয়ে যায়।

    এদিকে রাত পৌনে ১২ টার দিকে উপজেলার বার আউলিয়ার হাফিজজুট মিলসের পাশে মহাসড়কের নতুন রাস্তায় একটি নির্জনস্থানে দুইটি লোক পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি এসময় ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান।

    খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই জাহাঙ্গীর ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে আহতাবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। এসময় তারা জানায় ছিনতাইকারীরা তাদের কাছে থাকা টাকা, মোবাইল সেট কেড়ে নিয়ে গাড়িতে করে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরানোর পর রাস্তার পাশে নির্জন স্থানে ফেলে দেয়।

    এব্যাপারে ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিনের পুত্র ইসমাম শাহরিয়ার বলেন, আমার বাবা মঙ্গলবার ইলেকট্টিকের মেশিন কিনতে ভাটিয়ারীতে যায়। বিকালে তার সাথে আমার ফোনে কথাও হয়। ৪টার পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়, আমরা মনে করেছিলাম, চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ায় ফোন বন্ধ। বাবার সাথে একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রিও ছিল। রাত ১২ টার দিকে এক পুলিশ আমাকে ফোন করে বলেন, আমার বাবা রাস্তার পাশে পড়ে আছেন। তখন আমাকে বলেছেন হাসপাতালে যেতে। এটি একটি পূর্ব পরিকল্পিত ছিনতাইয়ের ঘটনা। মাইক্রোবাসে ৬ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল ছিল। তারা আমার বাবার কাছ থেকে নগদ ৭ লক্ষ টাকা, মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। তাদের দুইজনকে গাড়িতে মারধর করে এবং নেশা জাতীয় ট্যাবলেট খাওয়ানোর পর গাড়ি এদিক ঐদিক ঘুড়িয়ে তার পর হাফিজ জুট মিলের কাছে, মহাসড়কের পাশে নির্জন জায়গাতে ফেলে দেয়। বর্তমানে আমার বাবাসহ দুইজন চমেক হাসপাতালের ৩ তলায় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। তবে এখনও ঠিকমত সংঙ্গা ফিরে আসেনি। আমরা থানায় মামলা করবো।

    এব্যাপারে জানতে রাতেই কথা হয় সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই জাহাঙ্গীর এর সাথে, তিনি জানান, গতরাতে ৯৯৯ নম্বরের ফোনের কল পেয়ে আমি দ্রুত হাফিজজুট মিলসের কাছে মহাসড়কের পাশ থেকে আহতাবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করি। এতো রাতে কোন এম্বুলেন্স না পাওয়ায় কুমিরা ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করে তাদের গাড়ি এনে দুইজনকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করি।

  • সীতাকুণ্ডে অপহরণের ৪ বছর পর মাটি খুঁড়ে কঙ্কাল উদ্ধার

    সীতাকুণ্ডে অপহরণের ৪ বছর পর মাটি খুঁড়ে কঙ্কাল উদ্ধার

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে অপহরণের ৪ বছর পর সালাউদ্দিন নামের এক যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে সিআইডি।

    আজ শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকাল ৫ টার সময় উপজেলার ছোট কুমিরা ইউনিয়নের পাহাড়ের চিপায় ত্রিপুরাপাড়া থেকে আসামীর স্বীকারোক্তি মোতাবেক মাটি খুঁড়ে কঙ্কাল উদ্ধার করে।

    জানা যায়, ২০১৬ সালে তার বউয়ের সাথে পরকীয়ার জেরে সালাউদ্দিনকে গুম করে পাহাড় পাদদেশে নিয়ে খুন করে আলাউদ্দিন মাটিতে পুঁতে ফেলে। এঘটনায় তখন সীতাকুণ্ড মডেল থানায় মামলার দায়ের হলে আসামী গ্রেফতার হয়। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর আসামী জামিনে বের হয়ে আসে। তখন মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।

    এঘটনায় আসামী আলমগীরকে সিআইডি গ্রেফতার করে বাড়ি থেকে। তার স্বীকারোক্তি মতে আজ তাকে নিয়ে পাহাড়ে গেলে মাটি খুঁড়ে কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।

    সালাউদ্দিন কুমিরা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের দীঘিরপার এলাকার নুরুল ইসলামের পুত্র। আলমগীর ঐ এলাকার নুর আলম মেম্বারের পুত্র।

    কঙ্কাল উদ্ধারের সময় সিআইডির সাথে ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাশেদুল ইসলাম ও কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন চৌধুরী।

    ২৪ ঘণ্টা/দুলু

  • ফেসবুকে বন্ধুত্ব করে বন্ধুকে অপহরণ/মুক্তিপণের চেষ্টা, গ্রেফতার ৩

    ফেসবুকে বন্ধুত্ব করে বন্ধুকে অপহরণ/মুক্তিপণের চেষ্টা, গ্রেফতার ৩

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম : রুবেল ও সাহেদ দুজনই ফেসবুক বন্ধু। মো. রুবেল সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি এলাকার একটি স্টিল কোম্পানীতে বাবুর্চির কাজ করে অন্যদিকে চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার বাসিন্দা মো. সাহেদ।

    বন্ধুত্ব বেশ চলছিলো। দুজনের মধ্যে আলাপ চারিতায় সাহেদ রুবেলকে জানাই তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজার তামাককুণ্ডি লেইনে। সে চট্টগ্রামেই থাকে। সীতাকুণ্ড থেকে চট্টগ্রাম আসলে রুবেল যেন তার সাথে দেখা করে।

    গতকাল ১ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) রুবেল শহরে আসে। তার কাজ শেষে বিকেলে মিউনিসিপ্যাল স্কুলের সামনে এসে সাহেদকে ফোন দেয় রুবেল। ফোন পেয়ে সাহেদ তার আরো ২ সহযোগীসহ রুবেলের সামনে আসে। তবে বন্ধু হিসেবে নয়, সাহেদ আসে ছিনতাইকারী ও অপহরণকারী রুপে।

    তিনজন মিলে রুবেলকে ছোরার ভয় দেখিয়ে নিয়ে যায় তামাকুমন্ডি লেইনস্থ আব্দুল লতিফ মার্কেট প্রকাশ লবণ মার্কেটের ৭ম তলায় ৭১৩ নং রুমে। তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল সেট ও নগদ ১৬শ’ টাকা। শুধু তাই নয়, রুবেলকে একটি রুমে বেঁধে রেখে তার বোনের স্বামীর মুঠোফোনে রুবেলের ফোন থেকেই ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে চাওয়া হয় ৫০ হাজার টাকা।

    ফেসবুকের বন্ধুত্বের আড়ালে ভয়ংকর এ ছিনতাইকারী ও অপহরণকারী গ্রুপটির মুখোশ উন্মোচন করেন নগরীর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তামাকুমন্ডি লেইন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    গ্রেফতারকৃত তিন অপরাধী হলেন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানা এলাকার বাসিন্দা শুয়ার বাপের বাড়ীর আব্দুর রহিমের ছেলে মো. সাহেদ (১৮), হাটহাজারী উপজেলার চিপাতলি সিকদার বাড়ির মো. মিয়ার ছেলে মো. রুবেল (৩৫) ও চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া দিঘীর পাড়ের আব্দুল হামিদের ছেলে গোলাম মোস্তফা (২৪)।

    আজ বুধবার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ফেসবুকে বন্ধুত্ব করে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়-চেষ্টার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    এসব মুখোশধারী অপরাধীদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, রুবেলের সাহসিকতা ও ব্যবসায়িদের সহযোগীতায় আজ মুখোশধারী এ তিন অপরাধীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। রুবেল অপরাধীদের হাত থেকে পালিয়ে ওই মার্কেটের একটি শাড়ির দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেন এবং ঘটনার বিস্তারিত তাদের খুলে বলেন।

    ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে ওই তিন অপরাধীকে আটক করে ৯৯৯ তে ফোন করে পুলিশের কাছে আইনী সহায়তা চান। পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তিন অপরাধীকে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রুবেল নিজে বাদী হয়ে আটক তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানায় ওসি মহসীন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • খাগড়াছড়িতে পল্লী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার,অপহরণের পর হত্যার অভিযোগ

    খাগড়াছড়িতে পল্লী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার,অপহরণের পর হত্যার অভিযোগ

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় নুর মোহাম্মদ টিপু নামে এক পল্লী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করেছে মাটিরাঙা থানা পুলিশ। তাঁকে শুক্রবার ভোররাতে আলুটিলা ১০ নম্বর এলাকা থেকে অজ্ঞাত তিন যুবক ডেকে নিয়ে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।

    অপহৃত নুর মোহাম্মদ টিপুর স্ত্রী জোহরা আক্তার জানান, ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে তিন জন যুবক এসে এক প্রসূতি রোগীর জরুরী চিকিৎসার কথা বলেন। টিপু যেতে অস্বীকৃতি জানালেও অনেক অনুরোধ করে করে তাকে নিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় শেষে ফিরে না আসায় মুঠোফোনে কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়।

    মাটিরাঙ্গা থানার ওসি তদন্ত শাহ নূর জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধিগ্ধ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাপমারা (খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়ক সংলগ্ন) এলাকা থেকে শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে অপহৃত টিপু’র মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও কোন অভিযোগ করা হয়নি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/প্রদীপ

  • লোহাগাড়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ,থানায় অভিযোগ

    লোহাগাড়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ,থানায় অভিযোগ

    লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় হান্নানা আক্তার বেলি (১৮) নামের মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক ছাত্রীকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    রবিবার (১২ জুলাই) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের পেঠানের পাড়ার নিজ বাড়ি থেকে তাকে অপহরণ করা হয় বলে জানা গেছে। সে ওই এলাকার দিনমজুর ফজল করিমের মেয়ে ও আধুনগর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলীম ১ম বর্ষের ছাত্রী ।

    এ ঘটনায় রবিবার রাতেই ছাত্রীটির বাবা ফজল করিম লোহাগাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নং- ৩৯০, তারিখ-১২/০৭/২০) দায়ের করেছেন।

    ছাত্রীটির বাবা ফজল করিম জানান, মাদ্রাসায় পড়ুয়া আমার মেয়ে বেলিকে রবিবার রাত ৮টার দিকে কে বা কারা অপহরণের পর রাত ৮ টা ২০ মিনিটে আমার বাড়ির মোবাইল নাম্বারে জনৈক ব্যাক্তি মোবাইল নাম্বার (০১৭৪২৫৭৩৩২২) থেকে ফোন করে জানায় “বেলিকে আমরা তুলে নিয়ে এসেছি, কোথাও খোঁজাখুজি করবি না, বাড়াবাড়ি করলে তাকে মেরে ফেলবো।” এর পর ফোনের লাইনটি কেটে দেন এবং মোবাইলটি বন্ধ করে দেন। তারপরও থানায় অভিযোগ করে আমরা বসে নেই, সবদিকে খোঁজ-খবর নিচ্ছি বললেন বেলীর অসহায় বাবা ফজল করিম।

    জানা যায়, উপজেলার আমিরাবাদ এলাকার ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলামের সাথে গত ৮ মে হান্নানা আক্তার বেলির ধর্মীয় বিধানমতে বিবাহের ঠিক ফর্দ চুড়ান্ত হয়। দেশে চলমান প্রাণঘাতী করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আনুষ্ঠানিকভাবে বেলীকে স্বামীর ঘরে নিয়ে যাওয়ার কথা চুড়ান্ত রয়েছে।

    বেলীর স্বামী ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম জানান, বেলির সাথে বিগত দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কের পর পারিবারিকভাবে গত ৮মে ধর্মীয় বিধানমতে আমাদের বিয়ের ঠিক ফর্দ চুড়ান্ত হয়। দেশের চলমান এ করোনা পরিস্থিতিতে বিবাহের আনুষ্ঠানিক আয়োজন সম্পন্ন না হওয়ায় তাকে ঘরে তুলে নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে পারিবারিকভাবে আমাদের যাওয়া-আসা রয়েছে। আজও (রবিবার) সকালে আম-কাঁঠাল নিয়ে আমি আর ভাবী বেলীর বাড়ীতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ কেন আজ তাকে অপহরণ করা হলো ঠিক বুঝতে পারছি না। এ ব্যাপারে লোহাগাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে।

    জানতে চাইলে লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ বলেন, জিডি করার পর থেকেই নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধারের তৎপরতা চালাচ্ছে পুলিশ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/আজাদ