Tag: অবরুদ্ধ

  • প্রশাসনিক ভবন অবরুদ্ধ করে প্রতীকী ক্লাস, ক্লাসরুম দাবি শিক্ষার্থীদের

    প্রশাসনিক ভবন অবরুদ্ধ করে প্রতীকী ক্লাস, ক্লাসরুম দাবি শিক্ষার্থীদের

    কুবি প্রতিনিধি: শ্রেণিকক্ষ সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার শ্রেণিকক্ষ সংকটে মাঠে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ। আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রশাসনিক ভবন অবরুদ্ধ করে প্রতীকী ক্লাস নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

    আজ সোমবার (২ মার্চ) সকাল ৮.৩০ টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় তারা। অবস্থানের এক পর্যায় শিক্ষার্থীরা প্রতীকী ক্লাস নেয়।

    আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত একটি কক্ষে আমাদের ক্লাস পরীক্ষা সব চলে আসছে।আমাদের কোনো ল্যাব না থাকায় আমরা প্র‍্যাক্টিক্যাল কাজগুলো হাতে কলমে শেখার সুযোগ পাচ্ছিনা।

    এরই সুবাদে গত সপ্তাহে প্রশাসন বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে কয়েকটি রুম বরাদ্দ দিলে ওই অনুষদের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সেটি ফিরিয়ে নেয়। এখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক সপ্তাহ সময় চাইছে যেটি আমরা মেনে নিতে পারছি না।

    এর আগে উপাচার্য তার কার্যালয়ে যেতে নিলে বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি জানিয়ে সমাধান চায়। উপাচার্য সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিলেও শিক্ষার্থীরা আজকের মধ্যে সমাধান চেয়ে আন্দোলন শুরু করেন।

    শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ঘটনায় উপাচার্য সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিন এবং বিভাগীয় প্রধানকে নিয়ে আলোচনায় বসেছেন।

  • এমপিও ভুক্তির তালিকায় না থাকায় সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবরুদ্ধ

    এমপিও ভুক্তির তালিকায় না থাকায় সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবরুদ্ধ

    নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে তাঁর কার্যালয়ে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন প্রতিষ্ঠানের বিক্ষুদ্ধ শিক্ষক-কর্মচারীরা।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষিত শিক্ষা প্র্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির তালিকায় প্রতিষ্ঠানটির নাম না থাকায় ২৪ অক্টোবর বৃস্পতিবার সকালে এ ঘটনাটি ঘটায় বিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষক-কর্মচারীরা।

    খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালা খুলে তাকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন।

    এমপিওভুক্তি থেকে বঞ্চিত শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের কুন্দল এলাকায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে গত ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটির নিম্ন মাধ্যমিক শাখা (৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণী) এমপিওভূক্ত হয়। এরপর বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক শাখা (নবম-দশম শ্রেণী) এমপিওভূক্তির জন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ সকল শর্ত পূরণ করে ও নিয়মকানুন মেনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে।

    আবেদনের পর বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভূক্তি হবে এমন আশা নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন।

    গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভূক্তির ঘোষণা দেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত এমপিওভূক্তির তালিকায় সৈয়দপুর শহরের বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম না থাকায় বিদ্যালয়ের এমপিওভূক্তির অপেক্ষায় থাকা শিক্ষক-কর্মচারীরা হতাশায় পড়ে এবং বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন।

    প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার যথারীতি শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসেন। কিন্তু বিক্ষুদ্ধ শিক্ষক-শিক্ষিকারা ক্লাসে না গিয়ে বিদ্যালয়ের অফিসে অবস্থান নেন। এর এক পর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারী প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র রায়ের কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়ে তাকে তিন ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।

    এ খবর অল্প সময়ের মধ্যে গোটা সৈয়দপুর শহরে ছড়িয়ে পড়লে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম রাশেদুজ্জামান রাশেদ বিদ্যালয়ে ছুঁটে যান। তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেও অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হন। পরে ঘটনাটি সৈয়দপুর থানা পুলিশকে অবগত করা হলে পুলিশ বিদ্যালয়ে পৌঁছে তালা খুলে প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র রায়কে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে।

    বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র রায় বলেন, বিদ্যালয়টি এমপিওভূক্তকরণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সকল শর্তপূরণ পূর্বক যথাযথভাবে আবেদন করা হয়। আর এমপিওভূক্তি করার এখতিয়ার সম্পূর্ণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। এতে আমার কোন রকম গাফিলাতি কিংবা অবহেলা নেই। কিন্তু তারপরও শিক্ষক-কর্মচারীরা ভূল বুঝে অহেতুক আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন।

  • আবরার হত্যার ৪০ ঘন্টা পর ক্যাম্পাসে এসে অবরুদ্ধ ভিসি

    আবরার হত্যার ৪০ ঘন্টা পর ক্যাম্পাসে এসে অবরুদ্ধ ভিসি

    আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় ক্যাম্পাস যখন উত্তাল তখন দেখা নেই বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ভিসির সঙ্গে কথা বলার দাবি জানানো হচ্ছিল বারবার। এমনকি ভিসিকে ক্যাম্পাসে আসার আলটিমেটামও দেন আন্দোলনকারীরা। সেই আলটিমেটামে ঘটনার প্রায় ৪০ ঘণ্টা পর ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন ভিসি। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা তাকে নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

    মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে ক্যাম্পাসে আসেন বুয়েট ভিসি। প্রথমে তিনি প্রভোস্টদের নিয়ে বৈঠক করেন। পরে সন্ধ্যা ছয়টার পর তিনি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সামনে আসেন। এ সময় তিনি নীতিগতভাবে শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা দিলেও শিক্ষার্থীরা সুনির্দিষ্টভাবে দাবিগুলো পড়ে বাস্তবায়নের ঘোষণা চান। এতে সম্মত না হওয়ায় ভিসিকে নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

    রবিবার রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নৃশংস পিটুনিতে মারা যান দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। গতকাল থেকেই বুয়েট শিক্ষার্থীরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।

    তারা সাত দফা দাবি জানান। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করতে হবে, আবাসিক হলগুলোতে র‌্যাগের নামে এবং ভিন্নমত দমানোর নামে নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে, মামলার খরচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে, এর আগের ঘটনাগুলোর বিচার করতে হবে, ১১ অক্টোবরের মধ্যে শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহার করতে হবে এবং ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।

    সন্ধ্যার পর আন্দোলনকালীদের সামনে এসে মাইক হাতে নিয়ে ভিসি বলেন, ‘তোমরা যে দাবিগুলো জানিয়েছ আমি সেগুলো দেখেছি। আমি তোমাদের কোনো দাবি রিজেক্ট করছি না। এ ব্যাপারে কথাবার্তা বলেছি। নীতিগতভাবে তোমাদের সবগুলো দাবি মেনে নিয়েছি। অসুবিধা থাকলে দূর করতে হবে। সবগুলো অবশ্য আমার হাতে নেই।’

    শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমরা অধৈর্য হয়ো না, অপেক্ষা করো, আমি তোমাদের জন্য আছি।’

    এ সময় শিক্ষার্থীরা ভিসির কাছে তাদের সাত দফা দাবি পাঠ করে বাস্তবায়নের ঘোষণা চান। ভিসি জানান, এই পরিবেশে এটা সম্ভব নয়। এর জন্য কিছু সময় লাগবে। সবগুলো তার আওতার ভেতরেও না। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হৈ চৈ শুরু করলে ভিসি চলে যেতে চান। তবে শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে ভিসি সেখানেই আটকে যান। এক পর্যায়ে ভিসির জন্য একটি চেয়ার নিয়ে আসেন শিক্ষার্থীরা। পরে অনেকক্ষণ বাকবিতণ্ডার পর ভিসি নিজ কার্যালয়ে চলে যান আর বাইরে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত তারা ভিসিকে যেতে দেবেন না।

    ঘটনার পর ক্যাম্পাসে না আসা প্রসঙ্গে ভিসি জানান, তিনি এটা নিয়েই কাজ করছিলেন। সরকারের উচ্চ মহলের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ হয়েছে। যদিও ভিসি অসুস্থ বলে প্রচার ছিল। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও জানিয়েছিলেন বুয়েট ভিসি অসুস্থ। সুস্থ হলেই আসবেন।

    এর আগে বিকাল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাঁচ প্রতিনিধির সঙ্গে বসতে চান ভিসি সাইফুল ইসলাম। কিন্তু পাঁচ প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য উপাচার্যের দেওয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর তিনি ক্যাম্পাসে আসতে বাধ্য হন।