Tag: অবৈধভাবে

  • চট্টগ্রামে অবৈধভাবে ব্যবসার জন্য আনা ৬০টি মোবাইলসহ আটক এক

    চট্টগ্রামে অবৈধভাবে ব্যবসার জন্য আনা ৬০টি মোবাইলসহ আটক এক

    চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকায় অবৈধ চোরাচালানের মাধ্যমে মোবাইল ফোন আনার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর)।

    বুধবার (৯ ডিসেম্বর) তাকে বহদ্দারহাটের বখতেয়ার মার্কেটের মেডিকেয়ার ইকুইপমেন্টেএন্ড জিকেড নামক দোকান থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তির নাম- মো.বাবুল মিয়া (৪০)। তিনি বোয়ালখারী উপজেলার পোপাদিয়া গ্রামের খুইল্লা মিয়ার ছেলে।

    গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (উত্তর) মঈনুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বাবুল মিয়াকে আটক করা হয়। এসময় তার দেখানো মতে দোকানটির ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে ৬০ পিস মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এই মোবাইল গুলোর প্রত্যেকটিতে একই আইএমইআই পাওয়া। নিয়মানুসারে প্রত্যেকটি মোবাইলে আলাদ স্বতন্ত্র আইএমইআই থাকার কথা। বিদেশ হতে অবৈধ চোরাচালানের মাধ্যমে আনার কারণে আইএমইআই তারতাম্য দেখা যায়। তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করার পর তাকে চান্দগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • হাটহাজারীতে অবৈধভাবে দখলে থাকা সরকারি ১০ শতক জমি উদ্ধার

    হাটহাজারীতে অবৈধভাবে দখলে থাকা সরকারি ১০ শতক জমি উদ্ধার

    হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের মদনহাট এলাকায় নিজেদের দখলে রাখা সরকারি ভুমি ছেড়ে দিতে বার বার নোটিশ দেওয়ার পরও কর্ণপাত হয়নি অবৈধ দখলদারদের। অবশেষে অভিযান চালিয়ে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে উপজেলা প্রশাসন।

    আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেড় ঘন্টার উচ্ছেদ অভিযানে উদ্ধার করা হয় প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা মূল্যের ১০ শতক সরকারি জমি। উচ্ছেদ করা হয় ১১টি পাকা ভবন ও আধা পাকা স্থাপনা।

    এসব অভিযানের নেতৃত্ব দেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন। অভিযানে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সম্রাট খীসা, চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শামিম, হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ ও পরিষদের সদস্যরা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করেন।

    জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মদনহাট ইউনিয়ন পরিষদ এবং চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের পাশে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে সরকারি জায়গা দখল করে রেখেছিল কতিপয় ব্যবসায়ী। যার ফলে সড়কটিতে স্বাভাবিকভাবে যান চলাচলের সমস্যা হচ্ছিল।

    সমস্যার নানা দিক তুলে ধরে একাধিক ভুক্তভোগী বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনকে অবগত করলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে বার বার নোটিশ দিলেও তারা কর্ণপাত করেনি। অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার অভিযানের মাধ্যমে এসব সরকারি জায়গা উদ্ধার করে প্রশাসন।

    অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, স্থানীয় একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবৈধ দখলদারদের সরকারি জায়গাটি ছেড়ে দিতে ফতেপুর চেয়ারম্যান এবং উপজেলা প্রশাসন বার বার নোটিশ দিয়েছে।

    কিন্তু তারা ছাড়েনি। অবশেষে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা মূ্ল্যের ১০ শতক সরকারি জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। জায়গাটি উদ্ধারের ফলে সাধারণ যাত্রীদের চলাচল নির্বিঘ্ন হবে এবং পরিষদের সামনে একটি বহুতল ভবন (কাঁচাবাজার) নির্মিত হবে।

    ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, দখলকার যেই হোক কাউকে ছাড় দেবেনা প্রশাসন। পর্যায়ক্রমে অবৈধভাবে দখলে থাকা সকল সরকারি জায়গা উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করবে প্রশাসন।