Tag: অবৈধ ইটভাটা

  • বন্ধ করা হবে সাড়ে ৩ হাজার অবৈধ ইটভাটা

    বন্ধ করা হবে সাড়ে ৩ হাজার অবৈধ ইটভাটা

    পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, ইটভাটাজনিত বায়ুদূষণ রোধে আর কোনো নতুন ইটভাটার ছাড়পত্র দেওয়া হবে না। পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন ৩ হাজার ৪৯১টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হবে। অবৈধভাবে পার্বত্য এলাকায় নির্মিত সব ইটভাটা স্থানান্তর করা হবে।

    বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিবিএমওএ)-এর নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

    সভায় পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদন, ইটভাটার আধুনিকায়ন ও কার্বন নির্গমন কমানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

    সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ইটভাটার পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শুধু ভবন নির্মাণই যথেষ্ট নয়, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, বায়ুদূষণের কারণে মানুষের গড় আয়ু ৫-৭ বছর কমে যাচ্ছে। তাই, লাইসেন্স ও ছাড়পত্র ছাড়া কোনো ইটভাটা পরিচালনা করা যাবে না।

    বিবিএমওএ-এর নেতারা ইটভাটা শিল্পের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণের প্রস্তাব দেন। ইটভাটায় সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার উৎসাহিত করতে সরকারের সহযোগিতা কামনা ও উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেন।

    সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান-সহ কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতারা বক্তব্য রাখেন।

    এর আগে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সভায় বিভিন্ন কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দেন।

  • বাঁশখালীতে অবৈধ ইটভাটায় জেলা প্রশাসনের অভিযান, ১ লাখ টাকা জরিমানা

    বাঁশখালীতে অবৈধ ইটভাটায় জেলা প্রশাসনের অভিযান, ১ লাখ টাকা জরিমানা

    চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের লটমনি গ্রামে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন।

    আজ ১৫ অক্টোবর রোববার পরিচালিত অভিযানে দীর্ঘদিন যাবত আইন অমান্য করে পাহাড়ের পাদদেশে পাহাড়ের গাছ ও মাটি কেটে ব্যবসা পরিচালনা করার অপরাধে ‘মেসার্স ওয়ান ষ্টার ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং’ নামক ইটভাটাকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। একইসাথে ‘মেসার্স চৌধুরী ব্রিকস ওয়ার্কস’ নামক একটি ইটভাটা ভেঙে গুড়িঁয়ে দেয়া হয়।

    অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আশরাফ উদ্দিন। অভিযানকালে জেলা পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জানান, যারা আইন অমান্য করে পাহাড় ও গাছপালা কেটে ইটভাটা ব্যবসা পরিচালনা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে এ অভিযান চলমান থাকবে।

  • রাঙ্গুনিয়ায় অর্ধশত অবৈধ ইটভাটা

    রাঙ্গুনিয়ায় অর্ধশত অবৈধ ইটভাটা

    পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে রাঙ্গুনিয়ার রাণীরহাটে অর্ধশত ইটভাটা। লোক লাগিয়ে অবৈধভাবে মাটির টপ সয়েল ও বনের কাঠ কেটে নিয়ে যাচ্ছে ব্রিক ফিল্ড মালিকরা।

    জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করেও এ ধরণের অপরাধ দমন করা যাচ্ছে না। কয়লার দাম বেশী হওয়ায় বনের কাঠ জ্বলাতে বাধ্য হচ্ছে ফিল্ড মালিকরা এমন অভিযোগ সরকারের বিরুদ্ধে।

    দেখভাল করার কেউ না থাকায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়া উপজেলার রাণীর হাট এলাকায় ফসলী জমি কেটে পুকুর বানিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ব্রিকফিল্ড মালিকদের বিরুদ্ধে।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, কোন উর্বর জমির টপসয়েল বিক্রি করলেও জেলা প্রশাসন কিছুই বলছে না। আবার কাহারো জমি রাতের আঁধারেও কেটে নিয়ে যাচ্ছে ব্রিক ফিল্ড মালিকের লোকজন।

    আরো অভিযোগ রয়েছে, এনবিসি ব্রিকস, এআরবি ব্রিকস ও এমএমবি ব্রিকসসহ অর্ধশত ব্রিক ফিল্ড বিনা ছাড়পত্রে কাজ করলেও পরিবেশ অধিদফতর কিছুই বলছে না।

    বনবিভাগের গাছ-কাঠ দেদারসে ব্যবহার হলেও দেখার কেউ নেই। ব্রিকফিল্ডে সরকার জিকজাক মেশিন স্থাপনের কথা বললেও রাঙ্গুনিয়ার ক্ষেত্রে তা পরিবেশের কাগজে কলমে রয়ে গেছে।

    অভিযোগ উঠেছে, জমির টপসয়েল কেটে ব্রিকফিল্ডে মাটির যোগান দেওয়া হচ্ছে। রাতের আঁধারে বনবিভাগের কাঠ আসে ব্রিকফিল্ডের লাকড়ির যোগান দিতে। পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই এখন চলছে রাঙ্গুনিয়ার রাণীর হাট এলাকার প্রায় অর্ধশত ব্রিকফিল্ড। ছাড়পত্র নবায়নের জন্য পরিবেশ অধিদপতরে জমা দিলেও কি কারণে নবায়ন হচ্ছে না এ বিষয়ে ব্রিকফিল্ড মালিকরা মুখ খুলতে নারাজ।

    জমির টপসয়েল কেটে ব্রিকফিল্ড পরিচালনার বিরুদ্ধে কি পরিমাণ অভিযান হচ্ছে এমন প্রসঙ্গে রাঙ্গুনিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গণি ওসমানি বলেন, গুমাইবিল রক্ষায় আমরা খুব বেশী তৎপর। কারণ এটি খাদ্যভান্ডার। এর আশপাশ এলাকায় কোন ধরনের মাটি কাটার কোন সুযোগ নেই। তবে কেরাণীর হাট এলাকায় যেসব ব্রিকফিল্ড রয়েছে সেখানেও যাহাতে জমির টপসয়েল ব্যবহার না হয় সে বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে নিষেধ করা আছে। এরপরও কিছু অসাধু সরকারী বন্ধের দিনে ও রাতের আঁধারে কাটলেও সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা আদায়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

    উর্বর জমির টপসয়েল কেটে নেওয়া প্রসঙ্গে রাঙ্গুনিয়ার সহকারী কমিশনার ভূমি জামশেদুল আলম বলেন, জমির টপসয়েল কেটে নেওয়ার অপরাধে কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে। জমির মাটি নিয়ে পুকুর কেটে নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ যদি এমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে তাহলে অপরাধীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    ব্রিকফিল্ডে বনবিভাগের কাঠ ব্যবহার হচ্ছে এমন প্রসঙ্গে রাঙ্গুনিয়া রাণীর হাট রেঞ্জের ফরেস্ট কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিভিন্ন অভিযানে উদ্ধারকৃত কাঠ নিলামে বিক্রি করা হয়। গত এক মাসে কোন নিলাম হয়নি। মাত্র দেড়মাস আগে কক্সবাজার থেকে এই রেঞ্জে বদলী হয়ে এসেছি।

    ব্রিকফিল্ডে কাঠের ও মাটির যোগান কোথা থেকে দেওয়া হয় ব্রিকফিল্ড মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এমন প্রশ্নে সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম বলেন, ব্রিকফিল্ড মালিকরা কিভাবে মাটির যোগান দিবে বা কাঠের যোগান দিবে তা আমাদের জানার বিষয় নয়।

    এ প্রসঙ্গে এমএমবি ব্রিকস এর কর্ণধার জনৈক ইকবাল বলেন, ইটভাটিতে কয়লা ব্যবহার করার কথা বলেছে সরকার। কিন্তু কয়লার দাম অনেক বেশি। ফলে আমরা বনের কাঠ ব্যবহার করি। যা আশপাশের বাগান থেকে আমাদের কাছে বিক্রি করে।

    পরিবেশের ছাড়পত্র রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নবায়নের জন্য জমা দিয়েছি কিন্তু এ বছর এখনো নবায়ন হয়নি।

    পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়া এআরবি ব্রিকফিল্ড চলছে এমন প্রশ্নে ব্রিকফিল্ডের মালিক জনৈক মিজান বলেন, পরিবেশ ছাড়পত্র নবায়ন করে দিচ্ছে না। নবায়নের জন্য পরিবেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ইটভাটিতে কাঠের যোগান সরকারী ফরেস্ট থেকে হচ্ছে এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ফরেস্টের কোন কাঠ ব্যবহার করিনা। রাঙ্গামাটি এলাকায় বেশকিছু বাগান আছে। ওইসব বাগান থেকে কাঠের যোগান দেওয়া হয়।

    এনবিসি ব্রিক ফিল্ডের ম্যানেজার জনৈক মফিজ বলেন, জ্বালানী কাঠের যোগান সমিতির অফিস থেকে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। ফরেস্টের কোন কাঠ এই ফিল্ডে ব্যবহার করা হয় না। ফিল্ডের নবায়ন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন আমি মাত্র কয়েকমাস আগে এখানে ম্যানেজার পদে নিয়োগ পেয়েছি। আমি এর চেয়ে বেশি কিছু জানিনা। কিছুক্ষণ পর এনবিসি ব্রিক ফিল্ডের মালিক হাসান কোম্পানীর মোবাইলে ফোন করা হলে মুঠো ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

    রাঙ্গুনীয়ার ঘাগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি উপ—সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আকরাম হোসেনের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, রাঙ্গুনিয়ার ইসলামপুর ইউনিয়নের এন বি সি ব্রিক ফিল্ডের মালিক হাসান কোম্পানী ওই এলাকার বেশিরভাগ জমির মাটি কেটে নিয়ে গেছেন। জমিতে প্রায় ১৫ ফুটেরও বেশি মাটি কাটার ফলে গভীর কূয়ার সৃষ্টি হয়েছে। গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারীর এই প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে মাত্রাতিরিক্ত মাটি কর্তনের ফলে পার্শ্ববর্তী ভূমিতে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে।

  • মিরসরাইয়ে ইটভাটা মালিক সমিতির সা:সম্পাদককে লাখ টাকা জরিমানা

    মিরসরাইয়ে ইটভাটা মালিক সমিতির সা:সম্পাদককে লাখ টাকা জরিমানা

    মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি::চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবৈধভাবে রাতের আধারে পাহাড় কাটার দায়ে ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাহের হোসেন চৌধুরী সোহেল পরিচালিত এফবিবিআই ব্রিক ফিল্ডকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার মিরসরাই সদর ৯নং ইউনিয়নের তালবাড়িয়া রেললাইন এলাকায় এ অভিযান হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন অভিযানটি পরিচালনা করেন।

    জানা গেছে, মিরসরাই সদর ইউনিয়নের তালবাড়িয়া এলাকার রেললাইনের উত্তর পাশে অবৈধ ভাবে পাহাড়ের মাটি কেটে জামালের দোকান এলকায় এফবিবিআই ব্রিক ফিল্ডে নেওয়া হচ্ছিল। ইটভাটাটি মিরসরাই ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: মোজাহের হোসেন চৌধুরী হোসেল পরিচালনা করেন বলে জানা যায়। অবৈধ মাটিকাটার অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করে হাতেনাতে প্রমান পাওয়ায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন ওই ব্রিকফিল্ড কে। সাথে সাথে মাটি নিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরিকৃত রাস্তাটিও বন্ধ করেন ।

    এব্যাপারে জানতে মোজাহের হোসেন চৌধুরীর ফোন নাম্বারে বার বার ফোন করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম খোকা জানান, কোন ইটভাটা মালিক যদি আইন অমান্য করে অবৈধভামে মাটি কাটে তার দায়ভার ইটভাটা মালিক সমিতি নিবেনা।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন জানান, অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে এফবিবি আই ব্রিক ফিল্ডকে মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

  • রাউজানে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে দ্বিতীয়দিনের অভিযানে ৯ লাখ টাকা জরিমানা

    রাউজানে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে দ্বিতীয়দিনের অভিযানে ৯ লাখ টাকা জরিমানা

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাউজানে উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে টানা দ্বিতীয়দিনের অভিযানে চারটি অবৈধ ইটভাটায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন।

    ৫ জুনিয়ারি (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডস্থ আইলীখীল, ওহায়েদের খীল এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।

    অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারজান হোসাইন, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ।

    এ সসময় পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলার উপ পরিচালক জমির উদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফজারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। র‌্যাব ৭, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অভিযানে সহযোগিতা করেন।

    অভিযানে মামুন ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, এরপর ডাবুয়া ইউনিয়নের মেলুয়া এলাকার মক্কা ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা, রোস্তম শাহ ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়া সাইরা ব্রিকসের চিমনি ফুটোসহ কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। প্রথমদিনের অভিযানে তিনটি ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়া হয়।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারজান হোসাইন বলেন, অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    ২৪ ঘণ্টা/নেজাম

  • রাউজানের তিন অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর

    রাউজানের তিন অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাউজানে অভিযান চালিয়ে পরিবেশের ছাড়পত্র বিহীন তিনটি অবৈধ ইট ভাটা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    সোমবার (৪জানুয়ারী) রাউজান পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতর।

    সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চলমান অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরজাহান আক্তার সাথী ও পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন। অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক নুরুল্লাহ নূরী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ পরিচালক জমির উদ্দিন ও সহকারী পরিচালক আফজারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। র‌্যাব ৭ ও পুলিশ বাহিনীর সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী অভিযানে সহযোগিতা করেন।

    অভিযানে গুড়িয়ে দেওয়া অবৈধ ইটভাটাগুলো হচ্ছে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের চারাবটতল এলাকার হাজী মো. লোকমানের মালিকানাধীন জিবিআই, রাজীব চৌধুরী রাজুর মালিকানাধীন এইট জিরো এইট ও সৈয়দ হোসেন কোম্পানির মালিকানাধীন বিবিসি ব্রিকস।

    পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক জমির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, অবৈধ ইট ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। রাউজানে অর্ধশতাধিক অবৈধ ইটভাটা রয়েছে।

    অভিযানের সময় ইটভাটাগুলোর চিমনি, চুল্লি ও কয়েকলক্ষ কাঁচা ইট গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
    এ সময় ইটভাটার কিছু শ্রমিক জানান, একেকটি ইটের ভাটায় দেড়শ থেকে দুই শতাধিক শ্রমিকের রুটি রোজগার জড়িত। ইট ভাটাগুলো গুড়িয়ে দেওয়ায় তারা বিপাকে পড়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/নেজাম

  • লোহাগাড়ায় সাত অবৈধ ইটভাটাকে ৬ লক্ষ টাকা জরিমানা

    লোহাগাড়ায় সাত অবৈধ ইটভাটাকে ৬ লক্ষ টাকা জরিমানা

    লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অবৈধ ইটভাটায় ফের অভিযান চালিয়ে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় সাত অবৈধ ইটভাটা মালিককে বিভিন্ন অভিযোগে ৬ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: আহসান হাবীব জিতু। এ সময় সাথে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী, লোহাগাড়া থানার এসআই অজয় দেব শীল, চুনতি ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা শরফুদ্দিন খাঁন সাদি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের সিএ সমির চক্রবর্তী।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আহসান হাবীব জিতু জানান, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবং সরকারিভাবে নিষিদ্ধ বিভিন্ন কার্যক্রম বন্ধে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

    নির্দেশনা অমান্য করে ইটভাটা পরিচালনা, ইটভাটা প্রস্তুত আইন ২০১০ এর ধারামতে উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের বশির কোম্পানীর মালিকানাধীন এলবিএম ব্রিকসকে ১ লক্ষ টাকা, আইয়ুব মেম্বারের মালিকানাধীন এবিএম ব্রিকসকে ৫০ হাজার টাকা, নুরুল কবির সওদাগরের মালিকানাধীন এনকে ব্রিকসকে ১ লক্ষ টাকা, নুরুল ইসলাম কোম্পানীর মালিকানাধীন এসবিএল ব্রিকসকে ৫০ হাজার টাকা, আধুনগরের পদ্মাবিলে শাহাব উদ্দিন কোম্পানীর মালিকানাধীন কিউবিএম ব্রিকসকে ১ লক্ষ টাকা, লোহাগাড়া উপজেলা সদরের সৈয়দ আহমদ মাস্টারের মালিকানাধীন এলবিসি ব্রিকসকে ১ লক্ষ টাকা, খাইর আহমদের মালিকানাধীন কেএনবি ব্রিকসকে ১ লক্ষ টাকাসহ মোট ৭টি ইটভাটাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৭ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এ. কে. আজাদ

  • লোহাগাড়ায় আরও তিনটি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করলো প্রশাসন

    লোহাগাড়ায় আরও তিনটি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করলো প্রশাসন

    লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : হাইকোর্টের নির্দেশের পর চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় দ্বিতীয় দিনের মত আজ মঙ্গলবারও অভিযান চালিয়ে আরও তিনটি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এ সময় মেসার্স এস.বি.এন ব্রিকস প্রতিষ্ঠানকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।

    জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদফতর, পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র‌্যাব) ও ফায়ার সার্ভিসের সমন্বয়ে মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে শুরু করে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, চট্টগ্রাম জেলার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী।
    আজ মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের তিনটি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। গুঁড়িয়ে দেওয়া ইটভাটাগুলো হলো- মেসার্স এস.এম.বি ব্রিকস, মেসার্স এস.বি.এন ব্রিকস, মেসার্স সি.বি.এম ব্রিকস।

    অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন বলেন, লোহাগাড়া উপজেলা থেকে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছি আমরা। সোমবার চারটি ইটভাটা উচ্ছেদ করে গুঁড়িয়ে দিয়েছি এবং আজ মঙ্গলবার চরম্বার ৩টি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছি। লোহাগাড়া উপজেলায় অর্ধ শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। এসবের মধ্যে ৫-৬টি ইটভাটার বৈধতা রয়েছে। অবৈধ ইটভাটাগুলো আমরা একে একে উচ্ছেদ করবো পর্যায়ক্রমে। উচ্ছেদ অভিযান পুরো চট্টগ্রামে চলবে।

    চট্টগ্রাম জেলার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী জানান, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। আজকেও (মঙ্গলবার) লোহাগাড়ার চরম্বার তিনটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চলমান অভিযান অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আমরা বদ্ধপরিকর। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য উপজেলায়ও উচ্ছেদ অভিযান চলবে।

    জানা যায়, চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১৪ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে সাত দিনের সময় দেন। আদালতের আদেশে একইসঙ্গে বৈধ ইটাভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার ও কৃষিজমি বা পাহাড়ের মাটি কেটে ব্যবহারকারীদের তালিকাও দাখিল করতে বলা হয়েছে।

    গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে ২৯ নভেম্বর রিট করা হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।

    উল্লেখ্য, সোমবার দিনব্যাপী লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ, কলাউজান ও চুনতি এলাকায় চারটি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এ. কে. আজাদ

  • উচ্চ আদালতের নির্দেশ : লোহাগাড়ায় গুঁড়িয়ে দিল অবৈধ তিন ইটভাটা

    উচ্চ আদালতের নির্দেশ : লোহাগাড়ায় গুঁড়িয়ে দিল অবৈধ তিন ইটভাটা

    লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় অবৈধ তিন ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে পরিবেশ অধিদপ্তর ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে এ তিন ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

    আজ সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের বার আউলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সংলগ্ন এলাকায় শাহেদের মালিকানাধীন বিএবি, কলাউজান ইউনিয়নের পশ্চিম কলাউজানের মালিপাড়া এলাকায় সরওয়ার কোম্পানির মালিকানাধীন কেবিকে ও আইয়ুব কোম্পানির মালিকানাধীন পিএসবি সহ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

    অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী, চট্টগ্রাম জেলার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জমির উদ্দিন ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ওমর ফারুক।
    অভিযানে ফায়ার সার্ভিস, র‍্যাব-৭ ও চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সার্বিক সহযোগীতা করেন।

    পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর লোহাগাড়া উপজেলার সকল অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা পেয়েছি । ১ম দিনের অভিযানে পদুয়ায় ১ টি ও কলাউজানে ২টি ইটভাটাসহ মোট তিনটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে লোহাগাড়ার আরো ৪১ টি অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়া হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এ. কে. আজাদ