Tag: অবৈধ ইটভাটা ধ্বংস

  • রাউজানে হালদা পাড়ের একটি অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন

    রাউজানে হালদা পাড়ের একটি অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাউজানে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের তৃতীয় ধাপে আরো একটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে চিমনি ও কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়েছে।

    ১০ মার্চ (বুধবার) দুপুরে রাউজানের ১২ নং উরকিরচর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সাকর্দা এলাকায় জাহেদুল ইসলামের মালিকানাধীন এ আলী ব্রিকসে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন এর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

    এ সময় হালদা পাড়ে গড়ে উঠা এই অবৈধ ইটভাটার চিমনি ও পোড়ানোর জন্য প্রস্তুত করে রাখা কাঁচা ইট বুলডোজার দ্বারা ধ্বংস করা হয়।

    উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অতীশ দর্শী চাকমা, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক শেখ মোজাহিদ উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে র‌্যাব-৭, রাউজানা থানা পুলিশ, ফায়ার স্টেশন, আনসার বাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করেন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    ২৪ ঘণ্টা/নেজাম

  • কুমিল্লায় অবৈধ ইটভাটা ধ্বংস করলো জেলা প্রশাসন

    কুমিল্লায় অবৈধ ইটভাটা ধ্বংস করলো জেলা প্রশাসন

    মাহফুজ বাবু : অনুমোদনহীন সনাতন পদ্ধতিতে তৈরি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে সাড়াশি অভিযান শুরু করেছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর।

    এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম দিন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের কালখারপাড় মোড়ে জিয়াউর রহমান টিটুর মালিকানাধীন এনএসবি ব্রিকসে অভিযান পরিচালিত হয়।

    কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন প্রকার অনুমতি না থাকায় ইটভাটাটি গুড়িয়ে দেয়া হয়।

    পরিবেশ অধিদপ্তর কর্মকর্তারা জানায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী ১২০ফিট তথা সনাতন পদ্ধতির সকল ধরনের ইটভাটার কার্যক্রম ২০১১সাল থেকে স্থগিত করেছে সরকার। সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে কুমিল্লা সদরের কালখারপাড় এনএসবি ব্রিকস নামের এ ইটভাটাটি কোন প্রকার অনুমতি ব্যাতীতই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। বারবার তাগদা ও নোটিশ দেয়ার পরও কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বুধবার সকাল ১০টায় ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় এক্সেভেটর দিয়ে ইটভাটাটি গুড়িয়ে দেয়া হয়। এসময় জলন্ত ভাটায় পানি দিয়ে চুল্লিগুলো নেভানো হয়।

    এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী ইসলাম ও অমিত দত্ত জানান, অবৈধ কার্যক্রমের অভিযোগে ইটভাটাটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

    পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক শওকত আরা কলি বলেন, সনাতন চুল্লি পরিবেশের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর, কুমিল্লার সবগুলো ইটভাটাই জিগজাগ প্রকৃতির চুল্লিতে চলছে। একমাত্র এনএসবি ইট ভাটাটি সনাতন পদ্ধতির। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরে কোন প্রকার অনুমতি না থাকায় একাধিকবার নোটিশ দিয়ে ও কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় ইটভাটাটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।

    অভিযানে সহযোগিতা করেন জেলা প্রশাসন ফায়ার সার্ভিস, র‌্যাব ১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার একাধিক টিম।

    এসময় জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম, আমির হোসেনসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।