Tag: অবৈধ দখলদার

  • চসিকের জায়গা, রাস্তা ও ফুটপাতে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স-মেয়র

    চসিকের জায়গা, রাস্তা ও ফুটপাতে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স-মেয়র

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর রাস্তা, ফুটপাত ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জায়গার উপর কাঁচা বাজার, হকার বসানোর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থানের কথা উল্লেখ করলেন চসিক মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন রাস্তা, ফুটপাত ও ড্রেনের উপরে ইট, বালি, কংকর লৌহজাত দ্রব্য, নির্মাণ সামগ্রী, অস্থায়ী দোকান ও দোকান পাটের মালামাল এবং কাঁচা বাজার বসিয়ে সর্বসাধারণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা কোনক্রমে বরদাস্ত করা হবে না।

    এইসব কর্মকান্ড পরিবেশ দুষণ এবং নগরীর সৌন্দর্যহানির সামিল। যা নাগরিক স্বার্থের পরিপন্থি ও বে-আইনী। এ ধরনের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

    অভিযান চলাকালে রাস্তা,ফুটপাত ও চসিক এর জায়গার উপর কোন ধরনের স্থাপনা পাওয়া গেলে মালামাল জব্দ ও জেল-জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়েছে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

    তিনি মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত ৫ম পরিষদের ৫৪তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারির কথা জানিয়ে দেন।

    চসিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে অনুষ্ঠিত এই সভায় চসিক প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, চসিক প্রধান নির্বাহী মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ন জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতারসহ চসিক বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগন এবং নগরীর সরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

    সভা সঞ্চালনায় ছিলেন চসিক সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী। সভাপতির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই ঐতিহাসিক লালদিঘী ময়দানে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও দুর্নীতির বিরোধী সুশৃংখল মহা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

    সমাবেশে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও দুর্নীতির বিরোধী গঠিত কমিটি সদস্য ও নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে এ সমাবেশে যোগদান করবেন।

    নগরীর সর্বসাধারন মাদক,সন্ত্রাস,জঙ্গীবাদ ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ তা এই সমাবেশের মাধ্যমে প্রমান করতে চায় চসিক। সভায় সিটি মেয়র ‘মেয়র হেলথ কেয়ার কার্ড’ প্রদানের কথা উল্লেখ করে এখনো যারা তালিকা জমা দেননি, তাদেরকে আগামী ৩০ জানুয়ারি ২০২০ এর মধ্যে জমাদানের জন্য আহ্বান জানান।

    নগর উন্নয়নে ওয়ার্ড ভিত্তিক উন্নয়নের ফিরিস্তি জনবহুল এলাকায় টাঙ্গিয়ে দেয়া এবং ভিডিওচিত্র প্রদর্শনের উপর গুরুত্বারোপ করে সিটি মেয়র বলেন, এই কার্যক্রমের মাধ্যমে ওয়ার্ডের সামগ্রিক উন্নয়ন চিত্র সম্পর্কে নগরবাসী জানবে এবং দেখবে। এতে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরের জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পাবে।

    নগরীর হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও কমিউনিটি সেন্টারের বর্জ্য অপসারনের কথা উল্লেখ করে সিটি মেয়র বলেন, যত্রতত্র ময়লা ফেলে নগর পরিবেশকে কোনক্রমেই ব্যাহত করতে দেয়া যাবে না। তাই নগরীর হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও কমিউনিটি সেন্টারের মালিকদের নিয়ে বৈঠকের পরামর্শ দেন তিনি।চসিক সাধারণ সভায় নেতৃবৃন্দরা

    মেয়র চসিকের কর্মকান্ডের জবাবদিহীতার কথা উল্লেখ করে বলেন, চসিকের গ্রাউন্ড লেভেলে জনবল কমে গেছে। অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে সকলকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে হবে। তাই মাঠ পর্যায়ের সুপারভাইজার সঠিকভাবে কাজ তদারকি করছে কিনা তা দেখভালের দায়িত্ব উপসহকারী প্রকৌশলীদের। আর উপসহকারী প্রকৌশলীরা মাঠ পর্যায়ের কাজ সঠিকভাবে তদারকি করছে কিনা তার দেখভাল নির্বাহী প্রকৌশলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর। তাই নিজেদের মধ্যে সমন্বয়টা নিভিড়ভাবে করতে হবে।

    এ প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন, উন্নয়ন কাজে জড়িত ঠিকাদারদের করুণা দেখার কোন সুযোগ নেই। তাদের কাছ থেকে কার্যাদেশ মতে শতভাগ কাজ আদায় করতে হবে। কাজের গুনগত মানের ক্ষেত্রে কোন ধরণের আপোষ করা যাবে না।

    মুজিববর্ষ ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে মশকমুক্ত, পরিচ্ছন্ন, সবুজনগরী বিনির্মান সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনার আলোকে চসিকের উদ্যোগে নগরীর ফুটপাত, গোলচত্বর ও সড়ক সমূহের সবুজায়ন, সৌন্দর্যবর্ধনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিয়মিত ভাবে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে এ নগরের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ অব্যাহত রাখতে হবে।

    এ প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীকে উপলক্ষ্য করে যত্রতত্র জাতির পিতা ছবি, ম্যূরাল ও ভাস্কার্য স্থাপন করা যাবে না। এ ব্যাপারে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তদারকি করার আহ্বান জানান মেয়র।

    আন্তর্জাতিক মাতৃদিবস ভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত ২০ দিন ব্যাপী একুশে বই মেলা আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে নগরীর আউটার স্টেডিয়াম জিমনেসিয়াম চত্বরে আয়োজন, নগরীতে অবস্থিত বিভিন্ন বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর মূল্য পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যালোচনা সহ বিবিধ বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    অনুষ্ঠিত সভায় অর্থ ও সংস্থাপন, শিক্ষা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্যরক্ষা, নগর অবকাঠামো নির্মাণ ও সংরক্ষণ,আইন শৃংখলা বিষয়ক, সমাজ কল্যাণ ও কমিউনিটি,বাজার মূল্য পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ, হিসাব নিরীক্ষা ও রক্ষণ বিষয়ক যোগাযোগ, নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন, পরিবেশ উন্নয়ন সম্পর্কিত, দারিদ্র হ্রাসকরণ ও বস্তি উন্নয়ন,পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ, পানি ও বিদ্যুৎ ষ্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানগণ স্ব স্ব কমিটির কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন এবং আলোচনান্তে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভার শুরুতে সম্প্রতি নগরীতে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

  • আকবরশাহতে রেলের জমির অবৈধ দখল উচ্ছেদে অভিযান চলছে

    আকবরশাহতে রেলের জমির অবৈধ দখল উচ্ছেদে অভিযান চলছে

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি উদ্ধারে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে রেলওয়ে ভূসম্পত্তি বিভাগ। সোমবার সকাল ১০টা থেকে চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ এলাকা থেকে শুরু হয় এ উচ্ছেদ অভিযান।

    রেলওয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল করিমের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানটি বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে।

    রেলওয়ে সুত্র জানিয়েছে আকবর শাহ বাজার কলোনি ও তার পিছনে রেলওয়ের জায়গা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলে রেখেছে একটি চক্র। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অধীন এসব অবৈধ দখলদারদের সরে যাওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলের জমি উদ্ধারে অভিযান ২

    নোটিশের কোন কর্ণপাত না করায় সোমবার সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে রেলওয়ে ভূসম্পত্তি বিভাগ। এসময় অবৈধ দখলদাররা জড়ো হয়ে কিছু কাগজপত্র সঙ্গে আনেন। তবে এসব কাগজপত্রে বৈধতার কোন সংশ্লিষ্টতা না পেয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন। তবে অবৈধ কয়েকজন দখলদার অভিযোগ করে বলছে নোটিশ প্রদান না করেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে।

    এসময় আকবর শাহ থানা পুলিশের পাশাপাশি রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট আশাবুল ইসলাম ও সহকারী কমান্ডেন্ট সত্যজিৎ দাসের নেতৃত্বে বাহিনীর ১৫ সদস্য অংশ নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে সহায়তা করেন।

    অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া রেলওয়ে ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুবুল করিম বলেন, রেলওয়ের অবৈধ স্থাপনার উচ্ছেদ ঠেকাতে একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারা সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে টাকার বিনিময়ে কিছু কাগজপত্র দেন। যার কোন বৈধতা পাওয়া যায়নি। রেলের জমি উদ্ধারে অভিযান

    তিনি বলেন, অভিযান চলছে। দুপুর ১টা পর্যন্ত তিন ঘন্টার অভিযানে অবৈধ বসত ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মিলে ২৫ থেকে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

    আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত এবং রেলের অবৈধ সম্পদগুলো উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।

  • সীতাকুণ্ডে মহাসড়কে ফুটপাত : দখলদার মুক্ত করলো পুলিশ

    সীতাকুণ্ডে মহাসড়কে ফুটপাত : দখলদার মুক্ত করলো পুলিশ

    ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফুটপাত থেকে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দখলদার মুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশ।

    রোববার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আউয়াল এর নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য উপজেলার বার আউলিয়া থেকে ভাটিয়ারী পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন।

    এসময় মহাসড়কের দু’পাশের ফুটপাতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা বিভিন্ন দোকানপাট, রাস্তার পাশে রাখা পুরাতন জাহাজ ভাঙ্গা মালামাল উচ্ছেদ করা হয়েছে, এছাড়া মহাসড়কের পাশে ফুটপাট দখল করে রাখা জাহাজের বিভিন্ন মালামাল সরিয়ে নিতে ব্যবসায়ীদেরকে তিন দিনের সময় দেওয়া হয়।

    বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল আউয়াল ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে কিছু ব্যবসায়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দু’পাশের ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা করে আসছে। এতে মহাসড়কে যান চলাচলে যানজট সৃষ্টিসহ মহাসড়কে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছিল।

    কিছু ব্যাবসায়ী মহাসড়কের ফুটপাটে বিভিন্ন মালামাল রেখে দখল করার কারণে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী এবং জনসাধারণের চলাচলে ব্যাঘাট সৃষ্টি হচ্ছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এসব অবৈধ দখলদার ব্যবসায়ীদের দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান করে মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

    অভিযান পরিচালনার সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বার আউলিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম, শেখ মো. কাওসার, এএসআই রেজাউল, দেলোয়ার, রশিদ, জসিম, সার্জেন্ট মাহমুদুন্নবী। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট থানার বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য অভিযানে উপস্থিত থেকে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে ভুমিকা রাখেন।