আলীউর রহমান : কর্ণফুলী নদীর মাঝখানে অবৈধ বরফকল তৈরি ও গুদাম নির্মান করেছে সোনালী যান্ত্রিক মৎসজীবি সমবায় সমিতি।কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর মাঝ পিলার বরাবর নদীর মাঝখানে উক্ত স্থাপনা নির্মান করা হয়।
হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা, জেলা প্রশাসন, ভূমি অফিসের নোটিশ কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে করোনার সুযোগে বরফকলটি চালু করতে সম্প্রতি নতুন করে কাজ শুরু করা হয়।
জানা যায়, কর্ণফুলী নদীর শাখা রাজাখালী ও চাক্তাই খালের মোহনার ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ২৬৩ বর্গফুট জেলা প্রশাসনের খাস জায়গা বন্দরের দাবী করে যান্ত্রিক মৎসজীবি সমবায় সমিতি নামের সংগঠনের নামে মাছের আড়ৎ স্থাপন করা হয়।
অবৈধভাবে গড়ে উঠা মাছের আড়ৎ সংলগ্ন কর্ণফুলী নদী দখল করে ২০০০ বর্গফুটের একটি বরফ কল আরো ২০০০ বর্গফুটের একটি গুদাম স্থাপন করা হয়।
অবৈধ বরফকলটির নির্মান কাজ বন্ধ করতে পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, রিট আবেদনকারী এডভোকেট মনজিল মোর্শেদ চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার, সিডিএ চেয়ারম্যান, বন্দর চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
পরিবেশ অধিদপ্তর পরিচালক বরাবরে হাইকোর্টের রিট মামলার রেফারেন্সসহ উক্ত স্থাপনা বন্ধে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়ে ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল পত্র দেয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরীর পরিচালক ২৩ এপ্রিল ২০১৮ সালে সোনালী যান্ত্রিক মৎসজীবি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদককে পরিবেশ অনুমতি ব্যতিত জলাশয় ভরাট করার অপরাধে পরদিন ২৪ এপ্রিল শুনানীতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়। পরবর্তীতে রহস্যজনক কারণে উক্ত পত্র এবং নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।
প্রশাসনের নিরবতার সুযোগে বরফ কলের পাশে তিন হাজার বর্গফুটের আরেকটি গুদাম তৈরি করা হয়। মৎস বন্দর বরফ কল ও গুদাম স্থাপনার কারণে ঐ এলাকায় ৯০০ ফুট দীর্ঘ কর্ণফুলী নদী ৫০০ ফুট হয়ে খাল হয়ে গেছে।
এই বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরীর পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি দুই একদিনের মধ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সোনালী যান্ত্রিক মৎসজীবি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক সরকার বাবুল বলেন, এইমাত্র আড়ৎ থেকে ফিরলাম। এক ঘন্টা পরে আপনার সাথে এই বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলবো।
২৪ ঘণ্টা/এম আর