সকালে জীবিত বাবাকে নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিতে যায় পরীক্ষার্থী তিন্নি দাশ। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ৪র্থ দিনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণও করেন এ পরীক্ষার্থী।
বুধবার দুপুর ১টায় পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি ফেরার উদ্দ্যেশে বাবাকে নিয়ে দুপুর দেড়টায় শাটল ট্রেনে উঠে তিন্নি। তখনও সে জানতো না বাবার সাথে কাটানো এটাই তার শেষ মুহুর্ত্ব।
শাটল ট্রেনেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে বাবা মৃণাল দাশ। দ্রুত ট্রেন থেকে নামিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে। ততক্ষনে তিন্নির বাবা মৃণাল দাশ চলে যায় না ফেরার দেশে। মেয়ের স্বপ্ন পুরণ করতে এসে নিজেই পারি জমিয়েছেন স্বর্গরাজ্যে। মৃত্যু কালে তিনি ২ মেয়ে ও ১সন্তান রেখে গেছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চলছে শোকের মাতম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মেয়েকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিতে অভিভাবক হিসেবে সকালে ক্যাম্পাসে নিয়ে যায় মেয়ের বাবা মৃণাল দাশ। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ক্যাম্পাসের আশে পাশে মেয়ের অপেক্ষায় ছিলেন।
পরীক্ষা শেষে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফেরার উদ্দ্যেশে শাটল ট্রেনে উঠলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ওই অভিভাবককে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের প্রধান ডাক্তার মোহাম্মদ আবু তৈয়ব পরীক্ষার্থীর অভিভাবকের মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেন। তিনি ধারণা করছেন, হিট স্ট্রোকে তার পিতার মৃত্যু হয়েছে। নিহত মৃণাল দাশের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে জানালেন এ চিকিৎসক।
হিট স্ট্রোকে নিহত মৃণাল দাশের গ্রামের বাড়ি সাতকানিয়ার আমিলাইশ ইউনিয়নে এবং চট্টগ্রাম নগরীর এনায়েত বাজারের রেওলয়ে কলোনির বাসিন্দা বলে জানা গেছে।