Tag: অভিযোগ

  • পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা

    পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা

    জামালপুর পৌর শহরে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছেন।

    শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকালে জামালপুর পৌর শহরের পূর্ব নয়াপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে মুসলিমা বেগম (৩০) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মুসলিমা বেগম পৌর শহরের পূর্ব নয়াপাড়া এলাকার মোকছেদ আলীর মেয়ে।

    জানা গেছে, এক বছর আগে জেলার মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া কমলার মোড় এলাকার আলম মিয়ার ছেলে রুবেলের (৩৫) সঙ্গে বিয়ে হয় মুসলিমা বেগমের। মো. রুবেল দ্বিতীয় স্বামী ছিলেন নিহত মুসলিমার। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।

    পুলিশ ও নিহত নারীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। প্রায়ই দুজনের মধ্যে ঝগড়া লাগতো। ৬ মাস আগে ওই নারীকে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছিল তার স্বামী রুবেল। গত বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে দুজনের ঝগড়া লাগে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে রুবেল তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। ঘরের বিছানার ওপর লাশ ফেলে রাতেই তিনি পালিয়ে যান। সকালে পরিবারের সদস্যরা ঘরে গিয়ে লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে জানায়। গিয়ে ওই নারীর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

    জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম খান আরটিভি নিউজকে জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে।

  • সিইসিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকে ১০ আইনজীবীর অভিযোগ

    সিইসিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকে ১০ আইনজীবীর অভিযোগ

    প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) ইসির ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভুয়া বিলের মাধ্যমে অর্থ লোপাটের বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী।

    বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরসহ সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী অভিযোগ দাখিল করেন। শিশির মনির বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণের নামে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা ব্যতীত ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা খরচসহ সরকারি অর্থের ক্ষতি করা হয়েছে।

  • সার্সন রোডে ডেভেলপার কোম্পানীর চুক্তিবদ্ধ জায়গা অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ

    সার্সন রোডে ডেভেলপার কোম্পানীর চুক্তিবদ্ধ জায়গা অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ

    চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানাধীন সার্সন রোডে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য ডেভেলপমেন্ট কোম্পানীর সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া একটি জয়াগার সীমান প্রচীর রাতের অন্ধকারে ভেঙ্গে দিয়ে জায়গাটি অবৈধভাবে দখলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে।

    এ ঘটনায় মঙ্গলবার কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছে জে. এস কন্সট্রাকশন লিমিটেড এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ। জিডি নং-১৬১৮।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোতোয়ালী থানাধীন সার্সন রোডের উত্তর আসকারদীঘির পড়ের ডা: ফউজুল আজিমের ছেলে মেজবাউদ্দৌলা তার মালিকানাধীন জায়গায় বহুভবন নির্মাণের জন্য ১০৮৭১ ও ১০৯৭২ নং দলিলমূলে চুক্তিবদ্ধ হয় জে. এস কন্সট্রাকশন লিমিটিডে এর সাথে।

    পরবর্তীতে জে. এস কন্সট্রাকশন লি: ভবন নির্মানের জন্য সিডিএ কর্তৃক অনুমতির জন্য আবেদন করে। কিন্তু এই বিষয়ে মেজাবউদ্দৌলার ভাই মৃত মঈনুদ্দৌলা’র ওয়ারিশ ফয়সাল আজিম উক্ত বিষয়ে সিডিএ বরাবর অনাপত্তিপত্র দাখিল করে ও আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করে। আদালত জে. এস কন্সট্রাকশনের পক্ষে রায় দিলে মামলাটি নিস্পত্তি হয় ও জায়গাটিতে জে এস কন্সট্রাকশন ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে কোন বাঁধা নেই বলে আদালত রায় দেয়।

    জানা যায়, তফসিলভুক্ত জায়গাটিতে যৌথ বিল্ডিং নির্মাণ হবে বিধায় সিডিএ কর্তৃক বিশষজ্ঞ প্রকৌশলী দিয়ে ডিজাইন ও চুয়েট কর্তৃক ভেনটিং করার জন্য জে. এস কন্সট্রাকশন লিমিটেডকে আদেশ দেয়।

    পরবর্তীতে চুয়েট কর্তৃক ডিজাইন ২৩/০৬/২০১ ইং তারিখে সিডিএ’তে দাখিল করে জে এস কন্সট্রাকশন লিমিটেড।

    এরপর গত ০৮/০৮/২০১৯ ইং তারিখে এক শুনানিতে সিডিএ কর্তৃপক্ষ তফসিলভুক্ত জায়গাটির বিল্ডিং অপসারণের আদেশ দিলে জে. এস কন্সট্রাকশন বিল্ডিংটি অপাসারণ করে ২৫/১০/২০২০ ইং তারিখে সিডিএ’তে প্রতিবেদন দাখিল করে জায়গাটি দখলে নেয়।

    এবিষয়ে জানতে চাইলে জে এস কন্সট্রাকশন লি: এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ বলেন, আমরা সকল আইনি জটিলতা নিরসন করে সিডিএ কর্তৃপক্ষের সকল শর্ত মেনে জায়গাটি দখল নিয়েছিলাম। কিন্তু মহামারী করোনার কারণে সিডিএ থেকে নকশা সংগ্রহ করে নির্মাণ কাজ শুরু হতে দেরি হচ্ছিল। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার রাতের অন্ধকারে একটি প্রভাবশালী মহল আমাদের তফসিলভুক্ত জায়গার সীমানা প্রচীর ভেঙ্গে দিয়ে জায়গাটি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করছে। আমরা এই বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।

    তিনি আরো বলেন, আমরা জানতে পেরেছি একটি প্রভাবশালী মহল আমার চুক্তিদাতার সাথে জোগসাজসে এই জায়গাটি বেআইনিভাবে দখলের চেষ্টা করছে।

    তিনি বলেন, চুক্তিদাতা যদি জায়গাটি অন্যত্র বিক্রি করে দিতে চায় তাহলে আগে আমার সাথে হওয়া চুক্তিপত্র ও পাওয়ার অব অ্যাটর্নির বিষয়ে একটি সমাধান করে তারপারই বিক্রি বা জায়গাটি তাদের দখলে নিতে পারে। কোন আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া এভাবে রাতের অন্ধকারে সীমান প্রচীর ভেঙ্গে দেওয়া আইনের পরিপস্থী।

    ২৪ ঘণ্টা/আবরার

  • চান্দগাঁওয়ে এক নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ : আটক ৮

    চান্দগাঁওয়ে এক নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ : আটক ৮

    ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় এক নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৮ জনকে আটক করেছে চান্দগাঁও থানা পুলিশ।
    শুক্রবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে চান্দগাঁও থানার মৌলভী পুকুর পাড় এলাকায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। পরে ওই তরুণীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নেয়ার পর খবর পেয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। পালাক্রমে ধর্ষণের সাথে জড়িত ৮ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
    আটককৃতরা হলেন গনধর্ষন ঘটনার মূল আসামী জাহাঙ্গীর (৩৮), মোঃ ইউসুফ (৩২), মোঃ রিপন (২৭), মোঃ সুজন (২৪), দেবু বড়ুয়া প্রকাশ জোবায়ের হোসেন (৩১), মো. শাহেদ (২৪), রিন্টু দত্ত প্রকাশ বিপ্লব (৩০) ও মনোয়ারা বেগম প্রকাশ লেবুর মা (৫৫)।
    চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)’র উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৮ জনকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
    তিনি বলেন ভুক্তভোগী ওই নারী গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাঙ্গুনিয়া থেকে সিএনজি অটোরিকশায় করে শহরে চকবাজারের বাসায় ফিরছিলেন।
    পথে মৌলভী পুকুর পাড়ে অটোরিকশা থামিয়ে ৮ জনের একটি দল তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। রাতে নির্জন স্থানে ওই নারীকে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ৮-১০ জনের দলটি।
    খবর পেয়ে শুক্রবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। বিস্তারিত আরো তথ্য বিকেল ৫টায় সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
    ২৪ ঘণ্টা/এন এম রানা
  • রোগীর সাথে ডাক্তার, নার্স এবং ওয়ার্ড বয়দের দুর্ব্যবহার/ টাকা ছাড়া অক্সিজেন না দেয়ার অভিযোগ স্বজনদের

    রোগীর সাথে ডাক্তার, নার্স এবং ওয়ার্ড বয়দের দুর্ব্যবহার/ টাকা ছাড়া অক্সিজেন না দেয়ার অভিযোগ স্বজনদের

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। বরিশাল ডেস্ক : শাহিন ও শাকিল। তারা দুজনই চট্টগ্রাম নগরীর বাসিন্দা এবং করোনায় আক্রান্ত। উন্নত চিকিৎসা ও ভাল সেবা পাওয়ার লক্ষ্যে গত ৫ দিন ধরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে শাহিন। এর আরো ৮ দিন আগে আক্রান্ত হয়ে একই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন চট্টগ্রামের অপর বাসিন্দা শাকিল।

    তবে আক্রান্ত দুই রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে রোগীদের সাথে অহরহ দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করেছে। তাদের দাবি চিকিৎসাকালে দু’জনই চিকিৎসা সংক্রান্ত সহযোগিতা চাইতে গিয়ে ডাক্তার, নার্স এবং ওয়ার্ড বয়দের দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন।

    নার্স এবং ওয়ার্ডবয়দের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগই বেশি। টাকা না দিলে অক্সিজেন দেন না ওয়ার্ডবয়রা এমন অভিযোগ করেছে অপর এক রোগীর স্বজনও। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে সুশীল সমাজ।

    ভুক্তভোগী এক নারী নাম প্রকাশ না করার সর্তে বলেন, ‘চোখের সামনে অক্সিজেনের অভাবে আমার স্বামী ছটফট করছিল। অনেকে বলছে, টাকা দেন তাইলে পাবেন। যতক্ষণ আমি টাকা না দিছি অক্সিজেন পাইনি। পরে আমার টাকা দিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিতে হয়েছে।

    শাকিল আহম্মেদ অপর একজন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যতটুকু সেবা পাওয়ার কথা তা পাইনি, পেয়েছি দুর্ব্যবহার।’ অভিযোগগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ বলে মনে করেন বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শাহ সাজেদা। তিনি বলেন, ‘রোগী ও তার স্বজনের সাথে খারাপ ব্যবহার করাটা কাম্য নয়। বিষয়টির তদন্ত হওয়া দরকার এবং আমরা এর বিচার দাবি করছি।

    এদিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তাদের হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রোগীদের নিরবিচ্ছিন্ন সেবা প্রদানে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

    তিনি বলেন, করোনা ওয়ার্ডে তিন শিফটে ১১ জন ডাক্তার, ৩০ জন নার্স এবং ৯ জন ওয়ার্ডবয় কর্মরত থাকেন। হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৯শরও বেশি রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৬ শতাধিক রোগী সুস্থ হয়ে ফিরেছেন।

    এরপরও কয়েকজন রোগীর স্বজনদের সাথে আমাদের দু একজন স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে সেবার কাজটি আন্তরিকভাবে করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। সূত্র : সময় টিভি

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • সীতাকুণ্ডে ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উপর হামলা করে দেড় লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

    সীতাকুণ্ডে ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উপর হামলা করে দেড় লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি:সীতাকুণ্ডে গারো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উপর হামলা চালিয়ে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।

    সীতাকুণ্ড উপজেলার ৭ নং কুমিরা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।

    আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সকাল ৮ টার সময় গারো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উপর হামলা চালিয়ে ১ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে সীতাকুণ্ড মডলে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে
    উপজেলাধীন কুমিরা এলাকা রহমতপুর (মহলাপাড়া) ৭ নং ওয়ার্ডে পাহাড়ি গারো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ইউলিয়াম গারো।

    তিনি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, সকাল ৮টার সময় কুমিরা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ রফিকসহ ৬/৭ জন মিলে আমাদের গ্রামে গিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এসময় নারীদেরকেও লাঞ্চিত করে। ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর করে।

    ইউলিয়াম গারো আরো বলেন, আমাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন স্থানীয় একটি অক্সিজেন ফ্যাক্টরীতে চাকুরী করে, তারা গতকাল বেতন পেয়েছে। এসময় হামলাকারীরা ঘরে থাকা আমার ৩০ হাজার টাকা, মিতালী গারোর ৩০ হাজার টাকা,বেদনা গারোর ৭০ হাজার টাকা,অনিঞ্জিলের ১৫ হাজার টাকা, রতন গারোর ১৫ হাজার টাকা এবং ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল তারা নিয়ে যায়। তারা ৮টি পরিবারের ঘরে হামলা করে মোট ১লাখ ৫১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রফিক জানান, ওই এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে মাদক ব্যবসা চলে আসছে বলে আমি স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ পেয়েছি। তারই প্রেক্ষিতে সকালে আমি এবং আমার কয়েকজন সহকারী মিলে সেখানে তদন্ত করতে যাই এবং মাদক বিক্রয়ের ৩০ হাজার টাকা এক মহিলার কাছ থেকে আমি নিয়ে নিই। কিছুক্ষণ পর টাকাগুলো আবার তাদেরকে ফেরত দেওয়া হয়।

    অভিযোগগুলো অস্বীকার করে ইউপি সদস্য উল্টো তার উপর
    ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ মাহবুব আলম বলেন এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/দুলু

  • ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ থানায় মামলা, আটক-৩

    ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ থানায় মামলা, আটক-৩

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নাইম ইসলাম রাজু (২২) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। নাইম ইসলাম রাজু ঠাকুরগাঁও রোড বালিয়াডাঙ্গী মোড় এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে।

    এ ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নাইম ইসলাম রাজুকে প্রধান আসামী করে মোট ৯ জন সহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় ৭/৯(১)/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল এর ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

    এ মামলার ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত আসামীরা হলেন, নাইম ইসলাম রাজুর বাবা নজরুল ইসলাম, তার মা মোছা: নাসিমা বেগম, ও তার খালু কামাল হোসেন।

    মামলার অন্তর্ভূক্ত আসামীরা হলেন, নাঈম ইসলাম রাজু(২২), নাজমুল ড্রাইভার (৩০), সবুজ(২৫), সুমন(২৫), বাবু- ওরফে বড় বাবু(৩২), মাহমুদুল্লাহ্ ওরফে ছোট বাবু, মোছা: নাসিমা বেগম(৪৫), আ: হান্নান কাজী, নজরুল ইসলাম(৫২)।

    মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জুন শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার সময় ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের উত্তর-পশ্চিম দিকে ফার্মে থাকা ওই স্কুল ছাত্রীর বড় বোনের বাসা থেকে নিজ বাড়িতে আসছিলো। ওই স্কুল ছাত্রী সুগার মিল কালি মন্দীরের সামনে পাকা রাস্তার উপর আসলে সেখানে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাকে ঘেরাও করে ধরে প্রধান আসামী নাঈম ইসলাম রাজু সহ তার সহযোগিরা। সেখানে ওই স্কুর ছাত্রীকে ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে মোটর সাইকেল যোগে স্থানীয় ওয়াপদা কোলনির একটি বাড়িতে নিয়ে যায় ।

    এজাহারে আরও বলা হয়, সেখানে রাত ১০ টার দিকে মামলার অন্যতম আসামী আ: হান্নান কাজীর পরামর্শে অজ্ঞাত কয়েকজনের উপস্থিতিতে মামলার অন্তর্ভূক্ত আসামী হান্নান কাজীর দুই ছেলে বাবু ওরফে বড় বাবু ও মাহমুদুল্লাহ্ ওরফে ছোট বাবু ওই স্কুল ছাত্রীকে জীবন নাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একশত টাকা মূল্য মানের দুই পাতা অলিখিত নন্জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের উপরে দুইটি এবং নীল পাতা সম্বলিত রেজিষ্টার বইয়ে একটি সাক্ষর জোর পূর্বক ভাবে করিয়ে নেন। এজাহারে আরও বলা হয়, সেখান থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে মামলার প্রধান আসামী সহ তার সহযোগিরা মোটর সাইকেল যোগে রুহিয়ার সেনিহারী গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ওই স্কুল ছাত্রীকে জোড় পূর্বক ধর্ষন করে মামলার প্রধান আসামী নাঈম ইসলাম রাজু। সেখান থেকে ওই স্কুল ছাত্রী মুঠোফোনে তার মাকে জানালে সেখানে তার মা স্থানীয় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে আসে। বাসায় নিয়ে আসার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে এবং সদর থানায় মামলা দায়ের করে। এর আগে স্কুল যাওয়ার পথে প্রায় ওই স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত করতো নাইম ইসলাম রাজু এমনটিও বলা আছে এজাহারে।

    মঙ্গলবার বিকালে ওই স্কুল ছাত্রীর সাথে হাসপাতালে কথা বলতে গেলে তার সে শারীরিকভাবে অসুস্থ থকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। পরদিন তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসলে বেলা ১২ টার দিকে তার সাথে তার বাড়িতে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি এবং তার পরিবারের কোন সদস্য কথা বলতে রাজি হয়নি।এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত মামলার প্রধান আসামী নাইম ইসলাম রাজু পলাতক থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।মামলার আরেক আসামী, নাইম ইসলাম রাজুর বড় ভাই নাজমুল ইসলাম বলেন, মামলার এজাহারে যা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই স্কুল ছাত্রী অনেক আগে থেকে আমার ভাইয়ের পিছনে ঘুরতো এবং তাকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করতো। এ নিয়ে কয়েকবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মিলে বিচার শালিশ ও করেছে। দুই পক্ষের পরিবার সেটা জানে। আমি মনে করেছিলাম আমার ভাইয়ের সাথে হয়তোবা ওই মেয়ের কোন সম্পর্ক আছে। মেয়ে নাবালিকা হওয়ায় আমরা বিয়ে দিতে পারিনি। আমি ওই মেয়েকে বুঝিয়েছি লেখা পড়া শেষ করে প্রাপ্ত বয়স্ক হলে বিয়ে নিয়ে ভাবা যাবে। তিনি আরও বলেন, কোন রকম কোন অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি, ওই মেয়ে নিজে এসেছে এবং আমার ভাইকে ফাঁদে ফেলেছে। এ ধরণের মিথ্যা অভিযোগ কেনো করেছে তাদের আসল উদ্দ্যেশ্য কি বুঝতে পারছিনা আমরা। আমাদের হয়রানি করতেই এমন মামলা করা হয়েছে।এ বিষয়ে আ: হান্নান কাজী জানান, আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা। আমি কিভাবে মামলার আসামী হলাম বুঝতে পারছিনা। আমার নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। কারন আমি এমন কোন বিয়েই তো দেইনি। আর কিছু জানিও না। এ ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমি যদি কাউকে বিয়ে দিতাম আইনের বিধান উপেক্ষা করে তাহলে না হয় আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ মানা যেতো। আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করা না হলে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আপনার দুই ছেলে এই মামলার আসামী এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমন মামলা উদ্দেশ্য জনিত ও মিথ্যা।এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। ১ নং আসামী সহ বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অবহ্যাত রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/গৌতম

  • বোয়ালখালী এসএমসির ভোটার তালিকাতে নাম না আসায় অভিযোগ

    বোয়ালখালী এসএমসির ভোটার তালিকাতে নাম না আসায় অভিযোগ

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। বোয়ালখালী প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম সারোয়াতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক নির্বাচন ৩০ মার্চ।

    গত ১১ মার্চ উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শাহেদা বেগম নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেন।

    তবে এ নিয়ে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় মো. হাফিজুর রহমান নামের এক অভিভাবকের নাম না আসায় গত ১৫ মার্চ তিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

    মো. হাফিজুর রহমান বলেন, আমার ছেলে এসএম তৌফিকুর রহমান গত ৪ জানুয়ারি প্রাক-প্রাথমিক ভর্তি হয়েছে। ভর্তি রেজিস্ট্রার অনুযায়ী অভিভাবকদের নাম ভোটার তালিকায় আসার কথা থাকলেও তা আসেনি।

    এছাড়া বিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর পিতা-মাতা উভয়ে ভোটার হওয়ার নিয়ম থাকলেও প্রধান শিক্ষক শুধুমাত্র একজন করে ভোটার তালিকায় রেখেছেন।

    ভোটার তালিকায় আমার ছেলের সাথে একই সময়ে ভর্তি হওয়ায় অন্যান্য শিক্ষার্থীর অভিভাবকের নাম ভোটার তালিকায় এসেছে। অথচ প্রধান শিক্ষক ইচ্ছাকৃতভাবে এ অনিয়ম তৈরি করেছেন ভোটার তালিকায়।

    বিধিমালা অনুসরণ না করে তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে এ কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন হাফিজুর রহমান।

    এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিফাত ফাতেমা জানান, হাফিজুর রহমানের ছেলে ভর্তি হয়েছে ৪ জানুয়ারি। যারা ভোটার হয়েছেন তারা ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ।

    তার ছেলের ৫ বছর পূর্ণ হয়নি, নিয়মানুযায়ী ৫ বছর না হলে প্রাক-প্রাথমিকে ভর্তি হওয়া যায় না। এরপরও তিনি প্রভাব খাটিয়ে তার ছেলেকে ভর্তি করিয়েছেন।

    উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শাহেদা বেগম বলেন, অভিযোগ এখনো হাতে পাইনি। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ২৪ ঘন্টা/পূজন সেন/ আর এস পি..

  • চট্টগ্রামের ফতেয়াবাদে শতবর্ষী পুকুর ভরাটের অভিযোগ!

    চট্টগ্রামের ফতেয়াবাদে শতবর্ষী পুকুর ভরাটের অভিযোগ!

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম হাটহাজারী থানার চেীধুরীহাট এলাকায় শতবর্ষী একটি পুকুর ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে বলা হয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো অনুমতি ছাড়াই পরিবেশ আইন অমান্য করে দুই থেকে আড়াই শতাধিক পরিবারের ব্যবহারযোগ্য পুকুরটি রাতের আঁধারে ভরাট করা হচ্ছে।

    কয়েক মাস আগে এই পুকুর ভরাটের কাজ শুরু করে। কিন্তু বর্তমানে নিষেধাজ্ঞা না মেনে এখন প্রতিরাতেই বিশাল আকৃতির এই পুকুরটি ভরাট করে সমতল ভূমিতে পরিণত করে চলেছে একটি সিন্ডিকেট।

    জানা যায়, ফতেয়াবাদ চেীধুরীহাটের পূর্বদিকে ক্ষেত্রপাল বাড়ী সংলগ্ন পুকুরটি দীর্ঘদিন যাবত এলাকার মানুষ গোসল ও নানান নিত্য ব্যবহারিক কাজে পানির প্রয়োজনীয়তা মিঠিয়ে আসছিলো। আইনের তোয়াক্কা না করে পুকুরটি রাতের অন্ধকারে ভরাট করে ফেলছে।

    স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, শতবর্ষী এই পুকুরটি এলাকার দীর্ঘদিন যাবত ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু পুকুরের ক্রয়কৃত মালিকগণ আইন না মেনে এই পুকুরটি ভরাট করে ফেলেছেন।

    স্থানীয় অধিবাসী নারায়ণ ধর জানান দুই থেকে আড়াই শতাধিক পরিবার এ পুকুরের পানি ব্যবহার করে। এ ছাড়াও এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সময় এ পুকুরের পানি ব্যবহৃত হয়।’

    তিনি বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ কমিশনার ও স্থানীয় ভূমি কার্যালয়ে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে সরেজমিন তদন্ত করে পুকুর ভরাট কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়ার আশ্বাস দেন পরিবেশ অধিদপ্তর।

    ‘পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও ভূমি কর্মকর্তার নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও রাতের আঁধারে পুকুর ভরাটের কাজ চলে আসছে এবং স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাতে ট্রাকে করে বালি ফেলে পুকুরটি ভরাট করার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

    এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনা করে পুকুর ভরাটের সত্যতা পাওয়ায় সিন্ডেকেটকে পরিবেশ অধিদপ্তরে কৈফিয়ত দেওয়ার জন্য তলব করা হবে বলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে সাংবাদিকদের জানানো হয়।

    পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের মহানগর পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক সাংবাদিকদের জানান, জলাশয় আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুরও ভরাট করা যাবে না। পুকুর ভরাটকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    এ বিষয়ে পুকুরের ক্রয়কৃত মালিক সুবল ধরের মুঠোফোনে (01819….58) যোগাযোগ করা হলেও তার সংযোগ পাওয়া যায়নি।

  • মিরসরাই আলোচিত সুমি হত্যা : বাদির অজান্তেই এজাহার এ নেই আসামীদের নাম

    মিরসরাই আলোচিত সুমি হত্যা : বাদির অজান্তেই এজাহার এ নেই আসামীদের নাম

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। মিরসরাই প্রতিনিধি : মিরসরাইয়ের আলোচিত নাহিদা আক্তার সুমি হত্যাকাণ্ডের মূল ঘটনাকে আড়াল করে আসামিদের এজাহার থেকে বাদ দিয়ে তড়িগড়ি করে মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

    ঘটনার ১০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও হত্যা মামলার মূল আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় হতাশ সুমির পরিবার। মেয়ে হারানোর শোকে মা পারভীন আক্তার পপি পাগলপ্রায়, মেয়ের শোকে প্রবাস থেকে ছুটে এসেছেন বাবা নুরুল আফসার। সুমির লাশ দাপনের পর পরিবার জানতে পারে এ ঘটনায় জোরারগঞ্জ থানায় পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে।

    যেখানে ঘটনার সাথে মামলার বিবরণের কোন মিল নেই। প্রকৃত ঘটনাকে ভীন্নখাতে প্রবাহিত করে জড়িত অন্য আসামীদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

    জানা গেছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারী উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ছত্তরুয়া গ্রামের সুনুু মিয়া সওদাগর বাড়ীর প্রবাসী নুরুল আফসারের কন্যা নাহিদা আক্তার সুমিকে হত্যা করে স্বামী মীর হোসেন প্রকাশ ফারুকসহ তার পরিবারের সদস্যরা।

    এ ঘটনায় জোরারগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলায় (নং-৪) হত্যাকান্ডে জড়িত ৭ জনের বিরুদ্ধে সুমির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ আনা হলেও থানা পুলিশ তাদের মনগড়া এজাহার লিখে তাতে শুধুমাত্র স্বামী মীর হোসেন ফারুককে আসামী করে।

    এসময় থানা পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বাকি ৬ জনকে বাদ দিয়ে সুমির ময়না তদন্তের কথা বলে মামলায় সুমির মা পারভীন আক্তার পপিকে বাদী করে স্বাক্ষর নিয়ে নেন। এই ঘটনায় পুলিশের প্রতি ক্ষুদ্ধ সুমির পরিবার।

    সুমির পরিবারের দাবী এজাহারে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তার শশুর আক্তার মিয়া, জেঠা শশুর সামছুদ্দিন মেম্বার, শাশুড়ী নুর খাতুন, গাড়ী চালক মুক্তার হোসেন, বাসার মালিক নিজাম উদ্দিন ও তার স্ত্রী কাজল জড়িত থাকলেও তাদের বাদ দিয়ে শুধুমাত্র স্বামী মীর হোসেন ফারুককে আসামী করে এবং সুমির বিরুদ্ধে গাড়ী চালক মুক্তার হোসেনের সাথে পরকিয়ার অভিযোগ এনে পুলিশ একটি এজাহার লিখে তাতে পারভীন আক্তারের স্বাক্ষর নিয়ে মামলা দায়ের করেন।

    এতে দীর্ঘদিন ধরে স্বামী মীর হোসেন ফারুকের হাতে সুমি নির্যাতনের ঘটনাকে আড়াল করে হত্যাকান্ডাকে ধামাচাপা দেওয়া হয়।

    আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মিরসরাই প্রেসকাবে সংবাদ সম্মেলনে নাহিদা আক্তার সুমির মা পারভীন আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ২০১৩ সালের ২০ মে হিঙ্গুলী ইউনিয়নের পূর্ব হিঙ্গুলী গ্রামের চিনকীরহাট এলাকার আক্তার মিয়ার ছেলে মীর হোসেন প্রকাশ ফারুক কোম্পানীর সাথে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে আমার মেয়ের বিয়ে হয়।

    বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে ৫ পদের ফার্নিচার দিই। বিয়ের পর কিছু দিন তাদের সংসার সুখে কাটলেও বিগত চার বছর যাবৎ আরো যৌতুকের দাবীতে স্বামী মীর হোসেন ফারুক ও তার বাবা মা আমার মেয়েকে শারিরীক অত্যাচার নির্যাতন করতো। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সময় তার স্বামীকে আমি প্রায় ৬ লাখ টাকা দিয়েছি। টাকা দেওয়ার পর কিছুদিন ভালো থাকলেও পরে আবার তারা নির্যাতন করতো।

    নির্যাতনের জন্য একাধিকবার গ্রাম্য শালিষও হয়। ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল জোরারগঞ্জ থানায় আমার মেয়ে বাদী হয়ে স্বামী মীর হোসেন ফারুক, শশুর মোঃ আক্তার মিয়া, শাশুড়ি নুর খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে থানায় বৈঠক হয়।

    বৈঠকে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ভবিষ্যতে আর নির্যাতন করবেন না এ মর্মে পুলিশ বিবাদীদের থেকে মুছলেখা নিয়ে সুখের সংসার করবে মর্মে আমার মেয়েকে নিয়ে যায়। কিন্তু কিছুতেই ফারুকে নির্যাতনের মাত্রা কমেনি। বরং দিনদিন তার নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়তে থাকে।

    সর্বশেষ গত ১ ফেব্রুয়ারী পুনরায় ১ লাখ টাকা আনার জন্য আমার মেয়েকে মারধর করে আমার কাছে পাঠিয়ে দেয়। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৪টায় সুমিকে আর মারধর করবেনা এবং টাকা দাবী করবেনা বলে আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে তাকে ভাড়া বাসায় নিয়ে আসে। পরেরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টার সময় স্বামী মীর হোসেন ফারুক আমাকে ফোন দিয়ে বলে তোমার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে তার লাশ নিয়ে যাও।

    এটি শোনার পর আমি দ্রুত সময়ে তাদের ভাড়া বাসায় যায়। সেখানে গিয়ে দেখি সুমিকে মেরে বাসার সামনে ফারুকের প্রাইভেট কারের পেছনের সীটে সুমির লাশকে সোজা করে বসিয়ে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে গ্রামবাসীর সহায়তা তার লাশ আমরা বাড়ীতে নিয়ে যাই।

    খবর পেয়ে দুপুর ২টায় জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ ময়নাতদনেন্তর জন্য লাশ নিয়ে যায়। একই দিন রাত ৮টার সময় লাশের ময়নাতদন্ত ও জিডি করার কথা বলে ওসি (তদন্ত) মোঃ মাকসুদ আলম আমার থেকে একটি কাগজে স্বাক্ষর নেন। মেয়ের শোকে ওই সময় আমার কোন স্বজ্ঞান ছিলো না। পরবর্তীতে পত্রিকায় জানতে পারি আমার মেয়েকে খুনের ঘটনায় আমাকে বাদী করে জোরারগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    সন্তানহারা সুমির মা পারভীন আক্তার অশ্রুসিক্ত নয়নে প্রশাসনের কাছে মেয়ে হত্যার উপযুক্ত বিচার চেয়ে প্রকৃত ঘটনা উল্লেখ করে পুনারায় মামলা নিয়ে আসামীদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। যেনো যৌতুকের জন্য নির্মম নির্যাতনের স্বীকার হয়ে আর কোন মায়ের বুক খালি না হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নাদিয়া আক্তার সুমির বাবা মোঃ নুরুল আফসার, ফুফা মোঃ মুসা মিয়া, খালা আছমা পারভীন আক্তার, খালু আবুল হাশেম মেম্বার।

    মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ রায়হান উদ্দিন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, মামলার এজাহারের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমাকে শুধু মামলাটি তদন্ত করতে দেওয়া হয়েছি। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ফেলে কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা জানা যাবে।

    জোরারগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মাকসুদ আলম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, মামলার বাদীকে সহায়তা করার জন্য থানায় এজাহার লেখা হয়েছিলো। তাতে বাদীর বক্তব্যের বাইরে কোন কিছু লেখা হয় নাই। তাছাড়া এজাহারটি অফিসার ইনচার্জ পর্যালোচনা করে মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

    জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, বাদীর দেওয়া এজাহারের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে। এজাহারে পুলিশের নিজস্ব বক্তব্য সংযোজনের কোন সুযোগ নেই। পুলিশের তদন্ত শেষে ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন হবে।

  • অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত বোয়ালখালী

    অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত বোয়ালখালী

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : ঘনিয়ে আসছে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচন। বৃষ্টি ও শীত উপেক্ষা করে প্রচার প্রচারণায় মেতে আছেন প্রার্থীরা। এ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র অভিযোগ- পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বোয়ালখালী। এতে সংঘাত-সংঘর্ষের আশংকা করছেন সাধারণ ভোটাররা। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠুৃ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।

    শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও শীতে বোয়ালখালী উপজেলার জন জীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। সমান তালে আওয়ামী লীগ বিএনপি’র অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে ভোটের আমেজ ম্রিয়মান হয়ে পড়েছে। থমথমে এ পরিস্থিতিতে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় রয়েছেন এলাকাবাসী।

    গত বছরের ৭ নভেম্বর এ আসনের সাংসদ মঈন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৩ জানুয়ারি। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোছলেম উদ্দীন আহমদ (নৌকা), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ান (ধানের শীষ), বিএনএফ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ (টেলিভিশন), ইসলামিক ফ্রণ্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ আহমদ (চেয়ার), ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত (কুঁড়েঘর) এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক (আপেল) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

    এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোছলেম উদ্দীন আহমদকে পেয়ে উজ্জ্বীবিত দলীয় নেতাকর্মীরা। প্রচার প্রচারণায় মেতে আছেন তারা। বিএনপিও দলীয় প্রার্থী আবু সুফিয়ানকে বিজয়ী করতে গণসংযোগে নামেন। এছাড়া অন্যান্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় খুব বেশি সাড়া না জাগালেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র পাল্টাপাল্টি অভিযোগে আতংকিত এলাকাবাসী। সর্বত্র আলোচনা চলছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার।

    শুরু থেকে শাসক দলের বিরুদ্ধে নিবার্চনী প্রচার-প্রচারণায় বাধা প্রদান, পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা, গাড়ি ভাংচুর ও হামলার অভিযোগ আনছেন বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান। এছাড়া সরকার দলীয় সাংসদ, মেয়র ও এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ আনেন তিনি।

    একই সাথে বিএনপির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোছলেম উদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন নৌকার পক্ষে সাধারণ মানুষের জনজোয়ার দেখে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা অপপ্রচার চালিয়ে ভোটারদের বিভ্রান্ত করছেন। তারা গুজব ছড়িয়ে আতংক সৃষ্টি করে সুন্দর নির্বাচনী পরিবেশ বানচালের চেষ্ঠা করছেন।

    উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোকারম বলেন, একের পর এক গুজব ছড়িয়ে ভোটের সুষ্ট পরিবেশকে বিনষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছেন বিএনপি। ৩ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে বোয়ালখালীতে বহিরাগত লোকজন এনে একটি এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে গুজব ছড়ায়। ওইদিন রাতের আধাঁরে পৌরসভার কয়েকটি স্থানে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে থাকা পোস্টার-ব্যানার ও নৌকার আদলে তৈরী প্রতীকে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    পৌরসভা বিএনপি’র সভাপতি ও পৌর মেয়র হাজি আবুল কালাম আবু বলেন, প্রতিদ্ধন্দ্বি প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে শংকায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। প্রচারণায় বাধা, পোষ্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলাসহ হামলার ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা।

    বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, ধানের শীষের গণজোয়ার দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগ। ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এ গণজোয়ার রুখে দেওয়া যাবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো এবং এলাকাবাসীর আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাবো।

    ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচনে মুখ্য হলেন ভোটাররা। তারা ভোট দিয়েই তাদের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে চান। কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা বা সংঘাত-সংঘর্ষ চান না। ভোটের সুষ্ঠ পরিবেশ যেন বজায় রাখতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান তাঁরা।

    বোয়ালখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী জানান, নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা নিজ নিজ সমর্থনে জমজমাট প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এখনো পর্যন্ত ঘটেনি। পুলিশ সর্তক রয়েছে জানিয়ে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুন বলেন এখনো পর্যন্ত সুনিদিষ্ট কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে। আতংকিত হওয়ার কোন কারণ নেই। কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্ঠা করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • বোয়ালখালীতে ধানের শীষ প্রার্থীকে অবরুদ্ধ ও কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ বিএনপির

    বোয়ালখালীতে ধানের শীষ প্রার্থীকে অবরুদ্ধ ও কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ বিএনপির

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। বোয়ালখালী প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচনে বোয়ালখালীতে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চাইতে গিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের হাতে অবরুদ্ধের শিকার হয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ানসহ কর্মী-সমর্থকরা।

    ঘণ্টাব্যাপী বোয়ালখালী উপজেলার একটি এলাকায় অবরুদ্ধ করে প্রচার প্রচারণায় বাধা প্রদানসহ কর্মী সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিএনপি। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

    শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে বোয়ালখালী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের নবাব আলী সওদাগর বাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বোয়ালখালী পৌরসভার বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র হাজী আবুল কালাম আবু।

    হাজী আবুল কালাম আবু বলেন, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোস্তাক আহমদ খানসহ নবাব আলী সওদাগর বাড়ি এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় গেলে আওয়ামী লীগের লোকজন লাটিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় আমরা মানুষের বাড়ি ঘরে আশ্রয় নিই।

    দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ থাকার পর এলাকবাসীর সহযোগিতায় ওই এলাকা ত্যাগ করি। নির্বাচনী প্রচারণায় যাওয়া বিএনপির কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষদের মারধর করে আহত করেছে তারা।

    স্থানীয়রা জানায়, সকালে বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ঘরে ঘরে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করতে আসলে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থকরা তাদের ঘিরে ফেলে এবং অবরুদ্ধ করে রাখেন।বোয়ালখালীতে

    প্রচারণা না চালিয়ে এলাকা ত্যাগ করার জন্য বলেন। এ সময় ধানের শীষের কয়েকজন কর্মী সমর্থককে চড় থাপ্পরও মারেন। পরবর্তীতে তারা প্রচারণা না চালিয়ে চলে যান। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির সহ দফতর সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস আলী জানিয়েছেন শুক্রবার সকাল ১০ টায় বোয়ালখালী পৌরসভার পশ্চিম গোমদন্ডীর মনচুর আওলিয়ার মাজার জেয়ারত শেষে গণসংযোগ শুরু করতেই সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। হামলায় ৫ জন আহত হয়েছে। ৩ টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করেছে।

    তিনি বলেন, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বোরহান, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল তালুকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোনাফ ও পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি কাজী রাসেলের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জনের সন্ত্রাসী এই হামলায় অংশ নেন। হামলায় আহতরা হলেন উপজেলা যুবদলের সিঃ যুগ্ম আহবায়ক রবিউল ইসলাম ইকবাল, পূর্ব গোমদন্ডী ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ ইদ্রিস, যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম, মনু, ছাত্রদল নেতা রিয়াদ সহ আরো কয়েকজন।

    শফিকুল ইসলাম সহ ২/৩ জন বোয়ালখালী মেডিকেল চিকিৎসা নিচ্ছে। হামলার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করে বু সুফিয়ানের নেতৃত্বে হাজার হাজার নারী পুরুষ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

    বিএনপির প্রার্থীসহ কর্মী সমর্থকদের অবরুদ্ধ করে রাখার খবরে পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুন ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) একরামুল ছিদ্দিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

    বোয়ালখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী জানান, এই ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি দুইটি এলাকায় দুই প্রার্থী নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের নিয়মিত টহল জোরদার রয়েছে।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুন বলেন, বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগ পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।

    উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পৌর প্যানেল মেয়র এসএম মিজানুর রহমান বলেন, নির্বাচনী শান্ত ও সুন্দর পরিবেশকে বিনষ্ট করার লক্ষ্যে বিএনপি গুজব সৃষ্টি করছে। জনমনে আতঙ্ক তৈরি করতে এই ধরণের আজগুবি কল্পকাহিনী প্রচার করছে।