Tag: অমর একুশে গ্রন্থমেলা

  • প্রবাসী কবি মান্না’র পাঁচটি বই অমর একুশে গ্রন্থমেলায়

    প্রবাসী কবি মান্না’র পাঁচটি বই অমর একুশে গ্রন্থমেলায়

    আরব আমিরাত প্রতিনিধি : আরব আমিরাত প্রবাসী কবি, মোহাম্মদ মনির উদ্দিন মান্নার পাঁচটি বই এখন অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। বইগুলো হলো ‘শেষ বিদায়’ ‘বিজয় থেকে বিজয়ে’ ‘তোমাকে হারিয়েছি কেন’ ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’ ও ‘লাল সবুজের পতাকা’। বইগুলো প্রকাশ করেছে নন্দিতা প্রকাশনা।

    জাতীয় কবিতা মঞ্চ, সংযুক্ত আরব আমিরাত কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলার মোহাম্মদ মনির উদ্দিন মান্না বলেন, ছোটবেলা থেকেই কবিতার প্রতি ছিল তার ভালোবাসা। তাছাড়া প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য তাকে সবসময় তাড়া করে বেড়াতো। সে থেকেই তার ইচ্ছে জাগে তিনি কবিতা লিখবেন এবং কবি হবেন। আজ তার পাঁচটি বই অমর একুশে গ্রন্থমেলায়।

    নিভৃতপ্রিয়, প্রচারবিমুখ প্রকৃতিপ্রেমী মনির উদ্দিন মান্না বলেন, বর্তমান সমাজে আলো ও কালো দুই দিকেরই সমান প্রতিফলন এবং তার চোখে দেখা প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য এসব নিয়েই তুলে ধরেছেন তার বইগুলোতে। তাই সমাজ ও প্রকৃতিবিষয়ক তার কর্মপরিধির এ বইগুলো পাঠকপ্রিয়তা পাবে এবং পাঠক সমাজ কিছুটা হলেও সমাজ, পরিবেশ ও প্রকৃতিকে ভালোবাসতে শেখার পাশাপাশি সচেতনও হতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।

    মনির উদ্দিন মান্নার বইগুলো পাওয়া যাবে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় নন্দিতা প্রকাশনা স্টলে। এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের প্রতিটি জেলার বইমেলায়ও পাওয়া যাবে নন্দিতা প্রকাশনার স্টলে।

  • বঙ্গবন্ধুরকে উৎসর্গ করে অমর একুশে গ্রন্থমেলা

    বঙ্গবন্ধুরকে উৎসর্গ করে অমর একুশে গ্রন্থমেলা

    চলতি বছরের অমর একুশে গ্রন্থমেলা আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করার পর মেলা সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

    এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ(মুজিববর্ষ) উপলক্ষে অমর একুশে গ্রন্থমেলা তাঁকেই উৎসর্গ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

    তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের চেতনার অংশ। সেই চেতনা এবং স্বপ্নকে প্রতিভাত করার জন্য আমরা জাতির পিতাকে এই গ্রন্থমেলা উৎসর্গ করলাম।’

    আজ বৃহস্পতিবার অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২০ নিয়ে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এ ঘোষণা দেন।

    হাবীবুল্লাহ সিরাজী জানান, আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি সৃজনশীলতার সমন্বয়ে এবারের মেলাটি চলবে। প্রতিদিন যে আলোচনা অনুষ্ঠান হবে, সেটা বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে।

    মহাপরিচালক বলেন, “এবারের বইমেলায় ‘আমার দেখা নয়া চীন’ গ্রন্থ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা নানা মাপে, নানা মাত্রে বঙ্গবন্ধুকে ধরার চেষ্টা করব।”

    হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুকে ভাবলে ভাবি ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত। কিন্তু উনি কত বড় মাপের লেখক ছিলেন, তা কেউ বলে না। সেটি বাংলা একাডেমি করবে।’

    বাংলা একাডেমির সদস্য সচিব জালাল উদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নামে এবারের বইমেলা উৎসর্গ করছি। এ ক্ষেত্রে বিশাল ব্যাপার হলো আমরা বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাচ্ছি। এবারের বইমেলা বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করে যেভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছে, ইতিহাসে তা আগে কখনো করা হয়নি।’

    ‘গত ১৩ জানুয়ারি লটারির ব্যবস্থার কাজ শেষ করেছি। গতকাল ২৯ তারিখে স্টল নির্মাণের কাজ শেষ। ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকাল ১১টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বই নিয়ে প্রবেশ করা যাবে। কালও করা যাবে। ২ তারিখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করার পর উন্মুক্ত করা হবে।’

    এ ছাড়া এবারের মেলায় ‘বঙ্গবন্ধু পাঠাগার স্থাপন’ করা হবে, যেখানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা অসংখ্য বই পাওয়া যাবে।

    সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে চার ভাগে ভাগ করা হবে বলে জানান জালাল উদ্দিন। সেগুলো হলো শিখর, সংগ্রাম, মুক্তি ও অর্জন।

    মেলায় প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য দুটি গেট থাকবে। এক্সিট গেট থাকবে একটি। নামাজ পড়ার জন্য ও টয়লেট ব্যবস্থাপনা থাকবে উন্নত। অন্যদিকে ব্রেস্ট ফিডিং ও হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা থাকবে। দুটি ফুড কোর্ট থাকবে উদ্যানের পশ্চিম ও পূর্ব কোণে। খাবারের মান এবং দাম ক্রেতার অনুকূলে থাকবে। এসব মান রক্ষা না করলে বাতিল করা হবে।

    জালাল উদ্দিন বলেন, করোনাভাইরাসের ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগ সচেতন থাকবে।

    অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এবারের বইমেলার পৃষ্ঠপোষকতা করছে বিকাশ ও ক্রসওয়াক।