Tag: অর্থনীতি

  • অর্থনীতি পূন:রুদ্ধারে নতুন অর্থবছরের বাজেট ই হলো জেগে উঠার প্রাণ শক্তি-মেয়র

    অর্থনীতি পূন:রুদ্ধারে নতুন অর্থবছরের বাজেট ই হলো জেগে উঠার প্রাণ শক্তি-মেয়র

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, করোনা ভাইরাস কবলিত বৈশ্বিক মহামারিতে অর্থনীতির উপর যে ধ্বস নেমেছে তার প্রভাব বাংলাদেশে পড়লেও ভেঙ্গে পড়ার কোন কারন নাই।

    আমরা বাঙালি জাতির যেমনি জনশক্তিতে বলিয়ান তেমনিই রয়েছে মানসিক শক্তি ও সাহস। প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও মহামারি মোকাবেলায় রয়েছে অদ্যম্য হার না মানা ইচ্ছা শক্তি।

    তাই জীবন-জীবিকার চাকা সচল রাখতে ও অর্থনীতি পূন:রুদ্ধারে নতুন অর্থবছরের বাজেটই হলো জেগে উঠার প্রাণ শক্তি এবং প্রেরণা।

    এর উপমা হলো ৭১ এর নিরস্ত্র বাঙালির যুদ্ধ জয়ের কৃর্তিগাঁথার মতই। তাই আমাদের শুন্য থেকেই শুরু করতে হবে। নিজেদের দুই হাতকে কর্মের হাতিয়ারে পরিণত করতে হবে এবং এই হাতিয়ারই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অরাধ্য সোনার বাংলা বিনির্মানের অবলম্বন।

    আজ শুক্রবার বাদ জুমা রামপুর ওয়ার্ডস্থ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থার ৩শ অসহায় পরিবারের মাঝে ভোগ্যপন্য উপহার সামগ্রী তুলে দেয়ার সময় মেয়র এসব কথা বলেন।

    এসময় কাউন্সিলর এরশাদ উল্লাহ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজনীতিক বেলাল আহমেদ, আলহাজ্ব আবুল ফয়েজ, আবুল কাশেম, রায়হান ইউসুফ, সুমন দেবনাথ, এস এম মামুনুর রশীদ মামুন, আনিসুর রহমান, আমানত উল্লাহ, মাকসুদুর রহমান মাকসুদ, ইমরান আলি মাসুদ, আরেফিন সাকি ইভান, নিজাম উদ্দিন মিন্টু, মনিরুল্লা খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    মেয়র বলেন, ব্যক্তি ও সমাজিক উদ্যোগই বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলা করার অন্যতম পন্থা। শুধুমাত্র সরকারি সহায়তার উপর নির্ভশীল না হয়ে ব্যক্তি ও সামাজিক উদ্যোগে সেবামূলক কাজকে প্রসারিত করতে হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • দেশের অর্থনীতি সচল রাখা বন্দর শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান সুজনের

    দেশের অর্থনীতি সচল রাখা বন্দর শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান সুজনের

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : সরকার নির্ধারিত ছুটির দিনেও দেশের অর্থনীতি’র চাকা সচল রাখা বন্দর শ্রমিকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে তিনি আজ ৩০ মার্চ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট এ আহবান জানিয়েছেন।

    জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান এ উপদেষ্টা বিজ্ঞপ্তিতে বলেন বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের ৯০ শতাংশেরও বেশি কার্যক্রম সম্পন্ন হয় এই বন্দরের মাধ্যমে।

    দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে সরকার গত ২৬শে মার্চ থেকে ৪এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১০ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। ছুটির দিনগুলোতেও দেশের আমদানি রপ্তানি স্বাভাবিক এবং ভোগ্য পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নানামূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যা প্রশংসার দাবীদার।

    কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি যে বন্দরের অভ্যন্তরে যে সকল শ্রমিকগণ বিভিন্ন অপারেশনাল কাজ এবং জাহাজে উঠা নামার কাজে নিয়োজিত রয়েছে তাদের নিরাপত্তা সুরক্ষাটা অনেকাংশেই উপেক্ষিত।

    এ সকল শ্রমিকরা মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রিক উদ্বেগ এবং উৎকন্ঠা সত্বেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এখানে ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এতে করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে যারা প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা নিজেরাই মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যে রয়ে গিয়েছে।

    সুজন বলেন, বর্তমান দেশের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এতো বিপুল সংখ্যক শ্রমিকের স্বাস্থ্যের দায় দায়িত্ব কে নিবে তা সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলছে। এছাড়া যে সকল শ্রমিক বর্তমান সাধারণ ছুটিতে জীবনের মায়া ত্যাগ করে কাজে যোগদান করেছে তাদেরকে বিশেষ সুবিধা প্রদান করার জন্যও বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানান তিনি।

    তিনি আরো বলেন বন্দর কেন্দ্রিক দেশবাসীর উৎকন্ঠা সরজমিনে জানতে গত ২২শে মার্চ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য, প্রশাসন ও পরিকল্পনা মোঃ জাফর আলম এর সাথে স্বাক্ষাত করি ও বন্দরের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবহারকারী, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শ্রমিকদের কাজে যোগদানের পূর্বে মাস্ক, তরল সাবান অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কারসহ হ্যান্ড গ্লাভস পরিধান নিশ্চিত করার অনুরোধ করি।

    চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করার ঘোষণা প্রদান করলেও কার্যত তাদের সে ঘোষণা মাঠ পর্যায়ে কার্যকর হচ্ছে না। তাই অবিলম্বে বন্দরের অপারেশনাল কাজে নিয়োজিত সকল শ্রমিক ও স্টাফদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার্থে কাজে যোগদানের পূর্বে তরল সাবান দিয়ে হাত পরিস্কারকরণ, মাস্ক এবং হ্যান্ড গ্লাভস পরিধান করানোর আহবান জানান সুজন।

    এছাড়া বন্দরের সকল প্রবেশ পথে থার্মাল মিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যও বন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন আমরা আশা করি চট্টগ্রাম বন্দর দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেদের সুরক্ষার পাশাপশি চট্টগ্রামবাসীকেও সুরক্ষা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। বন্দরের নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে জনগনের এ দুর্যোগে মানুষের পাশে দাড়ানোর।

    তিনি করোনাভাইরাস থেকে নগরবাসীকে মুক্ত করার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে নগরবাসীর মাঝে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড ওয়াশ, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকরণ সরবরাহ করার আহবান জানান। এছাড়া করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিচালিত হাসপাতালে আইসুলেশন ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ জানান।

    তিনি আরো বলেন চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনৈতিকভাবে একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। করোনাভাইরাস কেন্দ্রিক দুর্যোগে রাষ্ট্রের পাশাপশি স্থানীয়ভাবে অসহায় মানুষদের নিকট আন্তরিকতার সাথে সাহায্যের হাত প্রসারিত করার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট বিনীত অনুরোধ জানান সুজন।

    ২৪ ঘন্টা/আর এস পি

  • অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ৩ গবেষক

    অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ৩ গবেষক

    এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল জিতলেন স্বামী-স্ত্রীসহ তিন মার্কিন গবেষক। যার মধ্যে অভিজিৎ ব্যানার্জি ভারতের বাঙালি বংশোদ্ভূত অর্থনীতিবিদ। বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচনে পরীক্ষামূলক পদ্ধতির জন্য এই স্বীকৃতি দেওয়া হয় তাদের।

    গার্ডিয়ান জানায়, ২০১৯ সালের অর্থনীতিতে এই পুরস্কারের জন্য ভারতীয় বংশোদ্ভূত অভিজিৎ ব্যানার্জি, তার স্ত্রী এসথের ডুফলো এবং মাইকেল ক্রেমারের নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে তিনটার পর এই তিন গবেষকের নাম ঘোষণা করা হয়।

    অর্থনীতিতে নোবেল প্রদানের ৫০ বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী এসথের ডুফলো। ৪৬ বছর বয়সী এই নারী অর্থনীতি সবচেয়ে কমবয়সী নোবেল বিজয়ীও।

    এসথের ও তার ৫৮ বছর বাঙালি বয়সী স্বামী অভিজিৎ দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) গবেষক। আরেকজন ৫৪ বছর বয়সী ক্রেমার হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক। যে সব বিষয়ে নোবেল পুরস্কার দেওয়া চালু হয় সেখানে অর্থনীতি ছিল না। পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালে অর্থনীতিকেও সেই তালিকায় ঢোকানো হয়।

    সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আলফ্রেড নোবেলের স্মরণে এই পুরস্কার প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়। পরের বছরেই প্রথমবারের মতো অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়। তবে পুরস্কারের বিষয়টি পরিচালনা করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স।