Tag: অর্থমন্ত্রী

  • ‘পণ্যের ঘাটতি নেই, রমজানে দাম বাড়ালেই কঠোর ব্যবস্থা’

    ‘পণ্যের ঘাটতি নেই, রমজানে দাম বাড়ালেই কঠোর ব্যবস্থা’

    রমজানে প্রয়োজনীয় সব পণ্যের যথেষ্ট মজুত আছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কেউ দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    রোববার (২১ জানুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

    তিনি বলেন, দেশে রমজানকেন্দ্রিক পণ্যের কোনো সংকট নেই। কিছু মহল সিচুয়েশন ডেসট্রয় করে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে। তবে সরকার সচেষ্ট রয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, চিন্তার কোনো কারণ নেই, দরকার হলে সরকার কঠোর হবে। শাস্তি নেয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি।

    মৎস ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, পাঁচ মন্ত্রণালয়ের বৈঠক সরকারের সদিচ্ছার প্রকাশ। দেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে চায় সরকার। কী কী পদক্ষেপ নিতে পারি সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া, আর্থিক জরিমানা, ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিলের মত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    তিনি বলেন, বাজারে কোনো নিত্যপণ্যের ঘাটতি নেই তবে কিছু মধ্যসত্বভোগীদের কারসাজির কারনে মাঝে মাঝে সমস্যা হয়। সরকার এ বিষয়ে অচিরেই কঠোর পদক্ষেপ নেবে। সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে লাইসেন্স বা ছাড়পত্র বাতিলের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একটু ধৈর্য ধরতে হবে।

    অর্থমন্ত্রী বলেন, শুধু ডলারের উপর নির্ভর করে বসে নাই। ডলার সংকট মোকাবিলায় মাল্টি কারেন্সি ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন,গত বছেরের চেয়ে রমজানে প্রয়োজনীয় আটটি পণ্যের ১০-১৫ শতাংশ বেশি এলসি খোলা হয়েছে। ডলার সঙ্কট নেই বলেই গতবারের চেয়ে বেশি পণ্যের এলসি খোলা সম্ভব হয়েছে।

    এর আগে বিকেলে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে দেশের খোলা বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর কৌশল নির্ধারণ, মজুতদার ও সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধ এবং প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের উপায় বের করতে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআর চেয়ারম্যানসহ রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা।

  • আমরা ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করেছি : অর্থমন্ত্রী

    আমরা ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করেছি : অর্থমন্ত্রী

    অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমি দুই কোটি মানুষের চাকরির ব্যবস্থার জন্য বলেছিলাম। আমরা ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করেছি। এটা খারাপ না, আমাদের অর্জন ভালোই। আস্তে আস্তে আমাদের কর্মসংস্থান বাড়ছে এবং কর্মসংস্থানের পরিধিও বেড়ে গেছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

    শুক্রবার (২ জুন) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা ব‌লেন তিনি। বিকেল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি চাকরির ব্যাপারে যেসব কমিটমেন্ট বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাজেটে করেছি, আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে পারব, আমি সবগুলো দিয়েছি। আমরা মেইড ইন বাংলাদেশ কালচারটা জনপ্রিয় করার চেষ্টা করছি।

    এসময় অর্থমন্ত্রীর স‌ঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, বা‌ণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন‌শি, ‌শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থসচিব ফা‌তেমা ইয়াস‌মিন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।

    এর আগে বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। প্রস্তাবিত বা‌জে‌টের আকার ধরা হয় ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।

  • পুরো বাজেটটাই গরিবের জন্য : অর্থমন্ত্রী

    পুরো বাজেটটাই গরিবের জন্য : অর্থমন্ত্রী

    ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পুরোটাই গরিব মানুষের জন্য বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

    শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বাজেটোত্তর সাংবাদিক সম্মেলনে’ তিনি এ মন্তব্য করেন।

    আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আপনারাই আগে বলতেন এ দেশে মিডিল ইনকাম জনসংখ্যার হার বেশি, কিন্তু তারা ট্যাক্স দেয় না। এরা সবাই যদি ট্যাক্স দিতে তাহলে অন্যদের ভাগে কম ট্যাক্স দিতে হত। আমি মনে করি, এখন সময় এসেছে সবাইকে ট্যাক্স পেমেন্ট করতে হবে।

    অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি দুই কোটি মানুষের চাকরি ব্যবস্থার জন্য বলেছিলাম। আমরা ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষকে চাকরি দিয়েছি। এটা খারাপ না, আমাদের ভালোই অর্জন। আস্তে আস্তে আমাদের কর্মসংস্থান বাড়ছে এবং কর্মসংস্থানের পরিধিও বেড়ে গেছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

    তিনি বলেন, আমি চাকরির ব্যাপারে যেসব কমিটমেন্ট বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাজেটে করেছিলাম সেগুলো দিয়েছি। আমরা মেইড ইন বাংলাদেশ কালচারটা জনপ্রিয় করার চেষ্টা করছি। এ দেশে যা জিনিস তৈরি হবে, তা দিয়ে আমাদের প্রয়োজন মিটবে। এর মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

    সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রীর স‌ঙ্গে উপস্থিত আছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, বা‌জিণ‌্যমন্ত্রী টিপু মুন‌শি, ‌শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ সচিব ফা‌তেমা ইয়াস‌মিন প্রমুখ।

    এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। প্রস্তাবিত বা‌জে‌টে আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।

  • ঢাকায় জমি ও ফ্ল্যাট মালিকদের সবার কালো টাকা আছে : অর্থমন্ত্রী

    ঢাকায় জমি ও ফ্ল্যাট মালিকদের সবার কালো টাকা আছে : অর্থমন্ত্রী

    অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ঢাকায় যাদের জমি ও ফ্ল্যাট আছে তারা সবাই কালো টাকার মালিক।

    বুধবার (১৫ জুন) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক ও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় যাদের জায়গা-জমি-ফ্ল্যাট আছে তারা সবাই কালো টাকার মালিক। এজন্য সরকার দায়ী, আমাদের সিস্টেম দায়ী। যে জমি আজ গুলশান এলাকায় কেনা হবে সে জমি যে দামে রেজিস্ট্রেশন করবেন তারচেয়ে অনেক বেশি জমির প্রকৃত দাম। কিন্তু বেশি দামে তো রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন না। প্রত্যেকটা মৌজার জন্য দাম ঠিক করে দেওয়া আছে, এর বেশি দামে বিক্রি দেখানো যাবে না। সুতরাং কালো টাকা তো সেখানেই হয়ে আছে। কে কালো টাকার বাইরে আছে?

    মন্ত্রী বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে যে ফ্ল্যাট ২ কোটি টাকায় নিবন্ধিত হচ্ছে সেই ফ্ল্যাটের দাম ১০ কোটি টাকা। ফলে সরকার বাড়তি রেজিস্ট্রেশন ফি পাচ্ছে না। এখানে নিবন্ধনে উল্লেখিত মূল্যের বাইরের টাকা হয়ে গেল কালো টাকা। এগুলো সবাইকে বুঝতে হবে। বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে আলাপ-আলোচনা করলে সেটি বস্তুনিষ্ঠ হয়।

    মুস্তফা কামাল বলেন, যখন কালো টাকা দেশে নিয়ে আসার চেষ্টা করি তখন বলা হচ্ছে ‘কালো টাকা সাদা করা’কে প্রশ্রয় দিচ্ছি। আমি বার বার বলি এটা ‘অপ্রদর্শিত’ টাকা, এখানে লাজ-লজ্জার কিছু নেই। সরকার নিজেই এজন্য দায়ী। আমিও এক সময় দায়িত্বে ছিলাম, দাম বাড়ানো যায় কি না দেখেছি, কিন্তু পারিনি।

    তিনি বলেন, পাচার করা টাকা যখন আসবে, আমরা মনে করি তখন ওই টাকার একটি অংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হবে; বিভিন্ন শিল্পকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগ হবে। এই প্রত্যাশায় আমরা সেদিকে নজর দিচ্ছি।

    পাচার করা টাকা নিয়ে চাপে আছেন কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমি কোনোভাবে চাপে নেই। আমি যেটি বলেছি সেটি আমি করব। আমি অর্ধেক রাস্তা থেকে ফিরে আসি না। আমি যখন রেমিট্যান্সের ওপর প্রণোদনা দিয়েছি তখন অনেক সমালোচনা ছিল যে টাকা আসবে না, কিছু হবে না, টাকা পাচার হবে। কিন্তু এসেছে, শুধু আসেনি ঐতিহাসিক রেকর্ড হয়েছে। যেটা কখনোই সম্ভব হতো না সেরকম রেকর্ড আমরা করেছি।

  • দেশে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে

    দেশে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে

    আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে সর্বজনীন পেনশন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফাা কামাল এ ঘোষণা দেন।

    তিনি বলেন, ‘২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় আমি সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা দিচ্ছি যে, সরকার আগামী অর্থবছরে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

    মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে বয়স্ক জনগোষ্ঠির তুলনায় কর্মক্ষম জনগোষ্ঠির সংখ্যা অনেক বেশি, বিধায় একটি সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি চালু করাটা এখন সময়ের দাবি। সরকার বয়স্ক ও দুঃস্থ জনগোষ্ঠির জন্য টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনি নিশ্চিত করার জন্য ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা আইন,২০২২’ প্রণয়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে, যা চলতি বছরই বিল আকারে সংসদে তোলা হবে।

  • ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ

    ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ

    বৈশ্বিক মহামারি করোনা (কোভিড-১৯) পরবর্তী অর্থনৈতিক অভিঘাত সফলভাবে মোকাবলা করে চলমান উন্নয়ন বজায় রাখা ও উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য সামনে রেখে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট প্রস্তাব আজ সংসদে পেশ করা হয়েছে।

    অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম মুস্তফা কামাল আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন’ শ্লোগান সম্বলিত এ বাজেট পেশ করেন। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৯৯ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা।

    তিনি পাওয়ার পয়েন্টে প্রস্তাবিত বাজেটের গুরুত্বপূর্ণ দিক, সরকারের পদক্ষেপ এবং বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ প্রস্তাব তুলে ধরেন।

    প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যন্য সূত্র থেকে কর রাজস্ব ধরা হয়েছে ৬৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআর বহির্ভূত ১৮ হাজার কোটি টাকা, কর ব্যতিত প্রাপ্তি ৪৫ হাজার কোটি টাকা।

    সামগ্রিক বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে, যা জিডিপির ৫.৫ শতাংশ, চলতি বছরের বাজেটে ঘাটতি ছিল জিডিপির ৬.২ শতাংশ।

    এ ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক ঋণ থেকে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা আহরণ করার প্রস্তাব করা হয়। বৈদেশিক ঋণের মধ্যে ঋণ পরিশোধ খাতে ১৭ হাজার কোটি রাখা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ৩৫ হাজার কোটি টাকা, ব্যাংক বহির্ভূত উৎস থেকে ৪০ হাজার ১ কোটি টাকা, এবং অন্যান্য খাত থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা সংস্থানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

    প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া মূল্যস্ফীতি ৫.৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

    এর আগে আজ দুপুরে সংসদ ভবনের মন্ত্রিসভা কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের সভায় প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করা হয়। এরপরই রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ প্রস্তাবিত বাজেটে অনুস্বাক্ষর করেন।

    এছাড়াও, অর্থমন্ত্রী আজ ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫শ’ কোটি টাকার সংশোধিত বাজেট পেশ করেন। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেট ছিল ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।

    ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পর এটি হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের এ মেয়াদের চতুর্থ বাজেট। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালেরও চতুর্থ বাজেট। আর বাংলাদেশের ৫১তম বাজেট। বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দু’টি বাজেটের পর এবার অর্থমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ আকারে বাজেট পেশ করেন। বাজেট পেশের সময় এবার সরকার ও বিরোধী দলের সব সংসদ সদস্য অধিবেশনে যোগ দেন।

    অর্থমন্ত্রী বিকেল ৩টায় দিকে বাজেট বক্তৃতার শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদ, চার জাতীয় নেতা, মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ, অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, সম্ভ্রম হারানো ২ লাখ মা বোন এবং অন্যান্য শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া তিনি বৈশ্বিক মহামারি কোভিড- ১৯ আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারানো সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

    রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সংসদে প্রেসিডেন্ট বক্সে বসে বাজেট বক্তৃতা শোনেন এবং অধিবেশন কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন।

    বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, বিগত ১৩ অর্থ বছর ধরে দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতার সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির আঘাতে দেশে স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও অর্থননৈতিক অগ্রযাত্রাকে যেভাবে বাধাগ্রস্ত করছে তা থেকে দেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে জীবন ও জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সরকার দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে।

    অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় করোনা মহামারির ফলে আর্থিক ক্ষতি মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপের কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। পাশাপাশি করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি এবং রাশিয়া ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধাবস্থায় বৈশ্বিকভাবে বিভিন্ন খাতে যে অভিঘাত শুরু হয়েছে তা মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং কৌশল বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।

    প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক অবকাঠামো খাতে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৭.০৫ শতাংশ; এর মধ্যে মানবসম্পদ খাতে (শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাত) বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা। ভৌত অবকাঠামো খাতে প্রস্তাব করা হয়েছ ২ লাখ ৮৬০ কোটি টাকা বা ২৯.৬২ শতাংশ; যার মধ্যে সার্বিক কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ৮৬ হাজার ৭৯৮ কোটি; যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে ৭৯ হাজার ২৬ কোটি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২৬ হাজার ৬৫ কোটি টাকা। সাধারণ সেবা খাতে প্রস্তাব করা হয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ২০৮ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২২.৫৯ শতাংশ। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি), বিভিন্ন শিল্পে আর্থিক সহায়তা, ভর্তুকি, রাষ্ট্রায়ত্ত, বাণিজ্যিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের জন্য ব্যয় বাবদ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ৫৩ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৭.৮৪ শতাংশ; সুদ পরিশোধ বাবদ প্রস্তাব করা হয়েছে ৮০ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ১১.৮৫ শতাংশ; নিট ঋণদান ও অন্যান্য ব্যয় খাতে প্রস্তাব করা হয়েছে ৭ হাজার ৪১ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ১.০৪ শতাংশ।

    প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা, যোগাযোগ অবকাঠামো, ভৌত অবকাঠামো, আবাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, কৃষি, মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।

  • সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বাড়তেও পারে: অর্থমন্ত্রী

    সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বাড়তেও পারে: অর্থমন্ত্রী

    প্রান্তিক বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করেই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, লক্ষ্য করলাম সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার তুলনামূলকভাবে বেশি। এ কারণে সবাই এখানে চলে এসেছে। অর্থনীতির অন্য চালিকা শক্তিগুলো এতে সমস্যায় পড়েছে। মুনাফার হার কমানো হয়েছে, তবে প্রান্তিক পর্যায়ের বিনিয়োগকারীদের জন্য তাদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে হাত দেওয়া হয়নি।

    আজ বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা তিনটায় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    নতুন করে যে হার করা হয়েছে, তাতে সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, নিরুৎসাহিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এক কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের ব্যবস্থা করে রাখা আছে।

    সুদের হার কমানোর ফলে সরকারের সাশ্রয় হবে কত, এমন প্রশ্নের তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জবাব দেননি অর্থমন্ত্রী। তবে তিনি বলেন, আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বার্থ দেখেছি। মুনাফায় হার বাড়ানো, কমানো একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটা কখনো বাড়বে, কখনো কমবে। প্রয়োজনে বাড়তেও পারে আবার।

    গতকাল মঙ্গলবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ মুনাফার হার করা হয় ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ মুনাফার হার করা হয় সাড়ে ৯ শতাংশ।

    তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার করা হয় ১০ শতাংশ। আর এই সঞ্চয়পত্রে ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার করা হয় ৯ শতাংশ।

    অবসরভোগীদের জন্য নির্ধারিত পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফা ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে করা হয়েছে। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ থাকলে এই হার হবে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

    পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার কমিয়ে করা হয়েছে সাড়ে ১০ শতাংশ। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই হার সাড়ে ৯ শতাংশ।

    এন-কে

  • চোখের চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেলেন অর্থমন্ত্রী

    চোখের চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেলেন অর্থমন্ত্রী

    চোখের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল লন্ডনে গেছেন।

    বুধবার (১ জুলাই) বিকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    সূত্র জানায়, বাজেট অধিবেশনের আগেই অর্থমন্ত্রীর চোখের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল।

    কিন্তু বাজেট অধিবেশনের কারণে তিনি যেতে পারেননি। এখন বাজেট শেষ হওয়ায় তিনি লন্ডনে গেছেন।

    সূত্র আরও জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে নিয়মানুযায়ী অর্থমন্ত্রী লন্ডনে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। তারপর পূর্ব নির্ধারিত হাসপাতালে তিনি চোখের ফলোআপ চিকিৎসা করাবেন।

    লন্ডনে অর্থমন্ত্রীর পরিবার আগে থেকেই আছেন। তার মেয়ে সেখানে রয়েছেন। বুধবার অর্থমন্ত্রী একাই লন্ডনে গেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • অর্থমন্ত্রীর বড় ভাই করোনায় আক্রান্ত

    অর্থমন্ত্রীর বড় ভাই করোনায় আক্রান্ত

    প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বড় ভাই ও কুমিল্লার লালমাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হামিদ।

    সোমবার (১৫ জুন) রাতে তার করোনা শনাক্তের রিপোর্ট আসে। আজ (মঙ্গলবার) রাত ৮টার দিকে তার করোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার।

    তিনি জানান, গতরাতে তার বড় ভাইয়ের করোনা পজেটিভ আসে। তিনি সুস্থ আছেন। জ্বর ছাড়া তার শরীরে আর কোনো উপসর্গ নেই।

    জানা যায়, গত ১৪ জুন উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ারের সরকারি গাড়ি চালক আব্দুর রাজ্জাক করোনায় আক্রান্ত হন। পরদিন সকালে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ তাদের বাড়ির সাত সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রাতেই জানানো হয় আবদুল হামিদের করোনা পজিটিভ। এরপর থেকেই তিনি হোম আইসোলেশনে আছেন।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, করোনা সঙ্কটের শুরু থেকে অর্থমন্ত্রীর পক্ষে তার দুই ভাই কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলায় হতদরিদ্রদের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। ত্রাণ বিতরণের সময় অনেকের সংস্পর্শে আসায় হয়তো কোনোভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আবদুল হামিদ।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে লালমাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জয়াশীষ রায় বলেন, লালমাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হামিদ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে উপজেলায় ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

    তিনি বলেন, এ পর্যন্ত উপজেলায় ৩৪১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে রিপোর্ট এসেছে ২৮৮ জনের। এদের মধ্যে করোনা ১৭ জনের শনাক্ত হয়েছে। করোনায় মারা গেছেন দুইজন। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন দুইজন। বাকিরা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সব জল্পনা কল্পনার অবসান; অর্থমন্ত্রীই কুবির সমার্বতন বক্তা

    সব জল্পনা কল্পনার অবসান; অর্থমন্ত্রীই কুবির সমার্বতন বক্তা

    তাসফিক আব্দুল্লাহ : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রথম সমাবর্তনের বক্তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল মহলে নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে আসছেন আইসিসির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল এমপি। এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের।

    সাংবাদিকদের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারকালে এমনটাই নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার।

    এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, সমাবর্তনের বক্তা হিসেবে আসছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তাফা কামাল। উনাকে আমরা আনতে পারছি এজন্য আমরা খুবই গর্বিত। সম্প্রতি উনাকে গ্লোবাল ফিন্যান্স মিনিস্টার অব দ্য ওয়ার্ল্ডে ভূষিত করা হয়েছে। উনি হচ্ছেন বৈশ্বিক ব্যক্তিত্ব। উনাকে সমাবর্তনে আনতে পারা সৌভাগ্যের ব্যাপার।

    এছাড়াও তিনি বলেন, সমাবর্তনে মাননীয় রাষ্ট্রপতি আসবেন। তাই খুবই গুরুত্বসহকারে সকল কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। আমরা আশাবাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন খুব সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।

    উল্লেখ্য, আগামী ২৭ জানুয়ারি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। এ সমাবর্তনে দুই হাজার আটশত পঁয়ত্রিশ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।

  • রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তুরস্কের সহযোগিতা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী

    রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তুরস্কের সহযোগিতা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী

    অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বাংলদেশ থেকে রোহিঙ্গাদেরকে তাদের নিজ দেশ মায়ানমারে প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে তুরস্কের সহযোগিতা চেয়েছেন।

    আঙ্কারায় টার্কিস গ্রান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলির স্পিকার মুস্তফা সেনতপের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এ আহবান জানান।

    গতকাল বৈঠককালে কামাল বলেন, মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের শিকার হয়ে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশকে চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে যদিও মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশ তাদের কিছু সময়ের জন্য আশ্রয় দিয়েছিল।

    তিনি বলেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেয়া গোটা এলাকায় প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, সেখানে সামাজিক ও জলবায়ু পরিবর্তন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।এমনকি আর্থিক বিবেচনায় সম্পদের এবং আর্থিক ক্ষতি বাংলাদেশের জন্য বিরাট বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    তিনি বলেন, “রোহিঙ্গাদের অবশ্যই নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে এবং এটি আমাদের প্রধান দাবি।”

    মন্ত্রী বলেন, ঘন জনবসতিপূর্ণ দেশটিতে ১০ লাখের বেশী রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার ফলে বাংলাদেশের ওপর প্রবল চাপ তৈরি হয়েছে।

    মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নকে ভয়াবহ উল্লেখ করে সেনতপ বলেন, সমস্যার সমাধানে তুরস্ক বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

    অর্থমন্ত্রী বলেন, উদ্বাস্তু এবং রোহিঙ্গাদের নিজ নিজ দেশে আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েন এরদোগান এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত।

    অর্থমন্ত্রী সেনতপকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। তুরস্কের স্পিকার আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ গ্রহন করেন।