Tag: অলআউট

  • সন্ধ্যার আগেই অলআউট বাংলাদেশ

    সন্ধ্যার আগেই অলআউট বাংলাদেশ

    কলকাতার ইডেন গার্ডেনস স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রির টেস্টে সন্ধ্যার আগেই প্রথম ইনিংসে অল আউট হয়েছে বাংলাদেশ। মোহাম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা ও উমেশ যাদবের বোলিং তোপে টিকতেই পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট নেন ইশান্ত শর্মা।

    টেস্ট সিরিজে টস ভাগ্যটা যে বাংলাদেশের পক্ষেই কথা বলছে। তবে টস বাংলাদেশের পক্ষে গেলেও সুবিধা যেন ভারতেরই বেশি হচ্ছে। ইন্দোর টেস্টেও আগে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। একই পথে হেটেছে ঐতিহাসিক টেস্টেও। ব্যাট করতে নেমে ইমরুল কায়েসকে নিয়ে আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলেও ইমরুল প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন সাজঘরে। ১৫ বলে ৪ রান করা ইমরুল ইশান্ত শর্মার বলে বোল্ড হন। একটি রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেও দ্বিতীয় চেষ্টায় রক্ষা পাননি।

    সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক মুমিনুলও। তার মত মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিকুর রহিম শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন। ভারতের পেস আক্রমণের সামনে স্পেশালিষ্ট ব্যাটসম্যানরা মোকাবেলা করেছেন যথাক্রমে ৭, ২ ও ৪ বল!

    পেসাররা কতটা দাপট দেখাচ্ছেন, তা এ থেকে সহজেই অনুমান করে নেওয়া যেতে পারে। সেই দাপটকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছিলেন সাদমান। তবে দুঃসাহসের বলী হয়ে তাকেও ফিরতে হয় সাজঘরে। সাজঘরে ফেরার আগে ৫২ বলে করেছেন ২৯, চারই হাঁকিয়েছেন পাঁচটি।

    ৩৮ রানে পঞ্চম উইকেট হারানোর পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও হারায় দল। ২১ বলে ৬ রান করা রিয়াদ ফিরলে লিটন দাস দেখেশুনে খেলে যান। তবে মোহাম্মদ শামির বল হেলমেটে আঘাত করায় অস্বস্তি বোধ করছিলেন। লাঞ্চের আগে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন ২৪ রান করে। লিটনের বদলি হিসেবে নামের মিরাজ।

    তবে তিনিও বেশি সুবিধা করতে পারেননি। মাত্র ৮ রান করে ইশান্তের বলে দারুণ এক ক্যাচ ধরেন পুজারা। লিটন, সাদমানের পাশাপাশি ব্যাট ভালো কিছু করার ইঙ্গিত দেন নাঈম হাসান। ইশান্তের বলে বোল্ড আউট হন তিনি। আউট হওয়ার আগে ২৮ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১০৬ রানেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। ইশান্তের পাঁচটির পাশাপাশি তিনটি নেন শামি।

  • বাংলাদেশ ১৫০ রানে অলআউট

    বাংলাদেশ ১৫০ রানে অলআউট

    ইন্দোরে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশ দল। এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে যাত্রা আরম্ভ করা টাইগাররা তাদের প্রথম ইনিংসে ৫৮.৩ ওভারে মাত্র ১৫০ রানে অলআউট হয়ে গেছে।

    বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় হলকার স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ম্যাচে দলীয় ১২ রানের মাথায় জোড়া উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দল টেস্টের শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেনি। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলটি উমেশ যাদব লেন্থ ডেলিভারি দিয়েছিলেন। লাফিয়ে ওঠা বলটি ইমরুল খোঁচা মেরে নিজের বিপদ ডেকে আনেন। বল সরাসরি তৃতীয় স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা আজিঙ্কা রাহানের হাতে চলে গেলে ইমরুল মাত্র ৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ইশান্ত শর্মার করা পরের ওভারে ইমরুলের সমান ৬ রান করে সাদমান আলগা ড্রাইভ করেন। বল ব্যাটে লেগে সরাসরি ঋদ্ধিমান সাহার গ্লাভসে চলে গেলে সাদমানও ফিরে যান।

    এরপর ১৮ ওভারে মোহাম্মদ শামির করা লেগ মিডলে পিচ করা বল সামান্য একটু সুইং করে মোহাম্মদ মিঠুনের প্যাডে আঘাত হানে। ভারতীয় ফিল্ডাররা লেগ বিফোরের আবেদন করলে আম্পায়ার তাতে সাড়া দেন এবং ৩৬ বলে ১২ রান করে মিঠুন ফিরে যান।

    চতুর্থ উইকেটে ৬৮ রান যোগ করে অধিনায়ক হিসেবে অভিষিক্ত মুমিনুল হক এবং মুশফিকুর রহিম প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছেন। ৬৫ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কার মারে মুমিনুল ৩৪ রান করে অশ্বিনের করা অফ স্টাম্পের একটু বাইরে পিচ করা বল অযথাই ছেড়ে দিলে বোল্ড হয়ে অনেকটা আত্মহত্যাই যেন করে বসেন।

    মুমিনুলের আউটের পর উইকেটে এসেছিলেন রিয়াদ। ৩০ বল খেলে ১ চারে করেছেন ১০ রান। ৪৫তম ওভারের ওই প্রথম বলেই অশ্বিনের ঝুলিয়ে দেয়া বলে স্টাম্প অনেকটা ছেড়ে দিয়ে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে রিয়াদ ফিরলে সফরকারীরা বেশ বিপদে পড়ে যায়। অশ্বিনের বলে ক্যাচ স্লিপে থাকা আজিঙ্কা রাহানে ধরতে না পারায় ব্যক্তিগত ৭ রানে থাকা রিয়াদ তার ইনিংস টেনে নিতে ব্যর্থ হন।

    লাঞ্চের আগে উমেশ যাদবের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েও বিরাট কোহলি তা ধরতে না পারায় মুশফিক জীবন পেয়েছিলেন। লাঞ্চের পর যখন মি.ডিপেন্ডেবলের ব্যক্তিগত রান ১৫ তখন অশ্বিনের বলে স্লিপে তার ক্যাচ আজিঙ্কা রাহানে ফেলে দিলে আবারো বেঁচে যান মুশফিক।

    ব্যক্তিগত ৩৪ রানে অশ্বিনের বল তার গ্লাভসে লেগে ঋদ্ধিমান সাহার কাছে গেলেও তিনি তা গ্লাভসবন্দি করতে পারেননি। তারপরও তিনি ইনিংসটাকে লম্বা করতে পারেননি। মোহাম্মদ শামির দারুণ একটি বলে কাট করতে গিয়ে ব্যাটে বলে মুশফিক টাইমিং করতে না পারায় ১০৫ বলে ৪৩ রান করে বোল্ড হয়ে যান।

    মুশফিকের বিদায়ের পরের বলেই উইকেটে গিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। যদিও টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে রিভিউ নিলে তিনি বেঁচে যেতেন। চা বিরতির পর ইশান্ত শর্মার করা প্রথম বলেই স্লিপে থাকা বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২১ রান করা লিটন দাস।

    খানিক পর দৌড়ে দুই রান নিতে যান তাইজুল ইসলাম। বাউন্ডারি লাইন থেকে রবীন্দ্র জাদেজার দারুণ থ্রো গ্লাভসে জমা করে উইকেট ভেঙে দিলে তাইজুল মাত্র ১ রান করে রান আউট হয়ে ফেরেন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে এবাদত হোসেন ২ রান করে উমেশ যাদবের বলে বোল্ড হলে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয়।

    ভারতের পক্ষে মোহাম্মদ শামি ৩টি এবং ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন ২টি করে উইকেট পান।