Tag: অসহায়

  • আমিরাতে অসহায় প্রবাসীদের পাশে দূতাবাস ও কনস্যুলেট

    আমিরাতে অসহায় প্রবাসীদের পাশে দূতাবাস ও কনস্যুলেট

    ওবায়দুল হক মানিক, আরব আমিরাত প্রতিনিধি:::করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিম্ন ও মধ্যবর্তী আয়ের অসহায় অভাবী প্রবাসীদের সংকটে আবুধাবির বাংলাদেশ দূতাবাস ও দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনসুলেটসহ এগিয়ে এসেছে প্রবাসী বিভিন্ন সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

    আবুধাবীতে বাংলাদেশ সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি, আওয়ামী যুবলীগ, বিএনপি, দুবাইয়ের বাংলাদেশ সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ দুবাই কেন্দ্রীয় কমিটি, দুবাইয়ের বিজনেস এসোসিয়েশন, দুবাই যুবলীগ, দুবাই আল্ আবির বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সমিতি সারজা, বিএনপি শারজা কমিটি, বাংলাদেশ সমিতি ফুজিরা, রাস আল খাইমার বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ আল আইন, আল আইন বিএনপিসহ অন্যান্য সংগঠন।

    আওয়ামীলীগ যুবলীগ ইউএই কেন্দ্রীয় কমিটি, বিএনপি ইউএই কেন্দ্রীয় কমিটিসহ আমিরাতের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অভাবী প্রবাসীদের বিশেষ করে লক ডাউনে থাকা প্রবাসীদের জন্য খাদ্য সহায়তাসহ নানা সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন।

    তবে অভাবী প্রবাসীদের সংখ্যার তুলনায় এসব সাহায্য-সহযোগিতা মোটেই যথেষ্ট নয়। আরো সাহায্য-সহযোগিতা দরকার। অভাবী প্রবাসীদের পাশে আমিরাতের প্রবাসী বড় বড় ব্যবসায়ীসহ সরকারের আরো সাহায্য সহযোগিতা দরকার বলে মনে করেন প্রবাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

    উল্লেখ্য যে আমিরাতে শুক্রবার (১৭এপ্রিল) পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৩০২ জন, সুস্থ হয়েছেন ১১৮৮ জন ও মোট মৃত্যু বরণ করেছেন ৩৭ জন।আক্রান্তের মাঝে অর্ধশতাধিক বাংলাদেশী আছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিন জন বাংলাদেশী করোনায় মারা গেছেন।

    তবে ইতিমধ্যে আমিরাতজুড়ে হার্ট অ্যাটাক/স্টোকসহ অন্যান্য রোগে বেশ কয়জন বাংলাদেশী রেমিটেন্স যোদ্ধা মারা গেছেন।

    এদিকে আমিরাতের বানিজ্যিক রাজধানী দুবাইতে জীবাণুনাশক স্প্রে করার সময় আরো ১সপ্তাহের জন্য বৃদ্ধি করা হল। অর্থাৎ দুবাইতে আগামী আরো এক সপ্তাহ পর্যন্ত(২৫ এপ্রিল পর্যন্ত,) সবাইকে ২৪ ঘন্টা ঘরে থাকতে হবে।

  • করোনা : অসহায় গরীব দুঃস্থদের খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছেন পতেঙ্গার ওসি উৎপল

    করোনা : অসহায় গরীব দুঃস্থদের খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছেন পতেঙ্গার ওসি উৎপল

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমনরোধে সরকারিভাবে ১০ দিনের সাধারণ ছুটিতে পুরো চট্টগ্রাম নগর এখন ফাঁকা। ফলে চরম বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে নগরীর অসহায়, গরীব দুঃস্থ ও খেটে খাওয়া দিনমজুররা।

    তাদের নিয়ে অনেকেই ভাবছে। কেউ ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যান্য স্যোসাল সাইটে শুধুমাত্র টাইমলাইনে স্ট্যাটাস দিয়ে ভাবছে আবার অসহায় কয়েকটি পরিবারের মাঝে ত্রাণ, মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করছে সামাজিক দু একটি সংগঠন।

    তেমনি মানব জীবন মানবিক হউক স্লোগান বুকে ধারণ করে নগরীর পতেঙ্গার বিভিন্ন এলাকার গরীব অসহায় দুঃখী ও খেটে খাওয়া দিনমজুর পরিবারগুলোর পাশে দাড়িয়েছে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি উৎপল বড়ুয়া ও তার টিম।

    গতকাল ২৬ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে পতেঙ্গা থানা মাইজপাড়া, পূর্ব কাটগড়সহ আশপাশ এলাকায় অসহায় দরিদ্র ও বস্তিবাসীর মাঝে নিজ উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন সিএমপির পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া। তাদের প্রত্যেককে চাল ও ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্য তুলে দেন তিনি।

    করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তিনি তার সাধ্যমতো তার থানা এলাকার অসহায় গরীব দিনমজুরদের খাদ্য,ওষুধ ও নিরাপত্তা প্রদানে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন ওসি।

    তাছাড়া করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেকে মুক্ত রেখে পরিবার ও সমাজকে বাঁচানোর আহ্বান জানিয়ে ওসি উৎপল বড়ুয়া বলেন, বাসায় থাকুন, সুস্হ থাকুন, নিরাপদ থাকুন।

    একই দিন রাত ১০টা ১০ মিনিটে ওসি তার ফেসবুক পেইজের টাইমলাইনে পতেঙ্গাবাসীর উদ্যোশে একটি স্ট্যাটাস দেন।করোনা পতেঙ্গা থানা পুলিশ

    সেখানে তিনি উল্লেখ করেন পতেঙ্গা এলাকার গরীব, অসহায়,দুস্থ এবং বয়োবৃদ্ধ, যাদের জরুরী প্রয়োজন মিটানোর সাধ্য নেই তাদের প্রতি অনুরোধ বিশেষ করে আপনাদের খাবার সংকট বা ঔষধের সংকটে থাকলে যোগাযোগের জন্য ওসির অফিসিয়াল নাম্বার, থানার কর্তব্যরত অফিসারের নাম্বার এবং থানার টিএন্ডটি নাম্বারটিও উল্লেখ করে দেন।

    বলা হয় টীম পতেঙ্গা থানা পৌছে যাবে আপনার বাসায়। মানব জীবন মানবিক হউক …. স্ট্যাটাসে যোগাযোগের জন্য ওসি, পতেঙ্গা মডেল থানা, সিএমপি : ০১৭১৩-৩৭৩২৭০, থানার কর্তব্যরত অফিসার নাম্বার ০১৭৬৯-৬৯৫৬৭৫ এবং থানার টিএন্ডটি নাম্বার ০৩১-২৫০০০২৬ দেওয়া হয়।

    ২৪ ঘন্টা/রাজীব প্রিন্স

  • অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষের পাশে চবির ব্যাংকিং বিভাগ

    অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষের পাশে চবির ব্যাংকিং বিভাগ

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় হতদরিদ্র, রিক্সা ও ভ্যান চালকদের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও করোনা সচেতনতায় পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী প্রদান করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

    দূরে থেকে পাশে দাঁড়াই, অনাহারীর আহার যোগাই’ এই শ্লোগানে করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলা করতে সমাজের অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাড়িয়েছে তারা।

    জানা যায়, খেটে খাওয়া মানুষদের সচেতনতা ও অর্থ উপার্জনের উৎসের অপ্রতুলতার দিকটি বিবেচনা করে এ উদ্যোগ নেয় ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ব্যাংকিং ফেলোজ ফর লিডারশীপ ডেভেলপমেন্ট (বিএফএলডি)।

    এরই অংশ হিসেবে নগররের ২নম্বর গেইট, জিইসি, লালখান বাজার, টাইগারপাস এলাকায় ২৫০ টি প্যাকেটে মোট ৬০০ কেজি চাল, ১২৫ কেজি ডাল, ৪০০ কেজি আলু, ৪০০ পাতা নাপা ট্যাবলেট, ৬০০ টি খাবার স্যালাইন, ৪০০ টি সাবান ও ৪০০ টি মাস্ক বিতরণ করা হয়।

    এর সঙ্গে কয়েকজন সমাজ সেবকের অর্থায়নে প্রতিটি পরিবারের জন্য ৩ কেজি চাল, আধা কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, প্রয়োজনীয় ওষুধ, স্যালাইন, ২টি জীবাণুনাশক সাবান, ২ টি মাস্ক ইত্যাদি সহযোগে ২৫০ প্যাকেট সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

    প্রজেক্ট সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রিফাত রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে জাতির ক্রান্তিলগ্নে মানবতার পাশে দাঁড়ানো উচিত। সে অনুভূতি থেকেই আমরা অসহায় মানুষদের পাশে দাড়িয়েছি।

    শুধু ব্যাংকিং বিভাগই নয় বৈশ্বিক এ বিপর্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দুস্থ মানবতার সাহায্যার্থে এগিয়ে আসা উচিত।

    ২৪ ঘন্টা/মেহেদি হাসান/আর এস পি

  • সেই ‘রাজকুমারের’ পাশে পুলিশ সুপার

    সেই ‘রাজকুমারের’ পাশে পুলিশ সুপার

    দিনাজপুরের বিরামপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক মেধাবী শিক্ষার্থী অসহায় রাজকুমারকে একটি পাকা দোকান ঘর ও নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেছেন পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন।

    শনিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে পৌর শহরের ঘাটপাড়ে তার হাতে অনুদানের টাকা তুলে দেন তিনি।

    উল্লেখ্য বিরামপুর পৌর শহরের ঘাটপাড় মহল্লার রাজ কুমার শীল ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৪০ তম ব্যাচের মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি ছাত্র থাকা অবস্থায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় ডাক্তারী পড়া শেষ করতে পারেননি।

    বর্তমানে তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ সংক্রান্ত সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছড়িয়ে পড়লে জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন পরিবারটিকে সহায়তার হাত বাড়ান।

    তারই প্রেক্ষিতে রাজকুমার শীলের বসত বাড়ীর সাথে একটি পাকা দোকান ঘর এবং দোকানের মালামাল ক্রয়ের জন্য ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন। পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে এমন সহায়তা পেয়ে পরিবারের লোকজন আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন রাজকুমার।

    এসময় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজেম উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) হাফিজুর রহমান, বিরামপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিথুন সরকার, বিরামপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান, স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও সুধীজন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।