Tag: অস্ত্র

  • বিএসএফের অস্ত্র ছিনতাই, ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

    বিএসএফের অস্ত্র ছিনতাই, ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

    ভারতীয় সিমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের অস্ত্র খোয়া যাওয়ার ঘটনায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বিএসএফ। মঙ্গলবার (১০ মে) ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।

    ভারতীয় বিএসএফ দাবি করছে, তাদের একটি অস্ত্র হারিয়ে গেছে। অস্ত্র উদ্ধারে বাংলাদেশ সিমান্তের বিজিবির সহযোগিতা চেয়েছে তারা।

    ভোমরা বন্দরের সহকারী কমিশনার আমির আল মামুন জানান, সকাল থেকেই সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। একটি ট্রাকও দেশে প্রবেশ করেনি। ভারতীয় বিএসএফ ভোমরা বন্দরের বিপরীতে ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তের গেট বন্ধ করে দিয়ে সেখানে অবস্থান করছে। তারা জানিয়েছে, তাদের অস্ত্র হারিয়ে গেছে। সেটি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

    তিনি বলেন, প্রতিদিন বন্দরে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়। যদি আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক না হয়, তবে দৈনিক আড়াই কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে সরকার। বর্তমানে ভারতীয় অংশে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।

    সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আল মাহমুদ জানান, বিএসএফ দাবি করেছে তাদের একটি অস্ত্র হারিয়ে গেছে। এ ধরনের একটা তথ্য আমাদের দিয়েছে। বর্তমানে বিএসএফ ওদের বর্ডারে অপারেশন চালাচ্ছে। আমাদের এখানেও অপারেশন চালানোর অনুরোধ করেছে। কিছু লোক বাংলাদেশ থেকে সেখানে গিয়েছে, এমন তথ্য তাদের কাছে থাকতে পারে। তবে আমাদের সেটি দেয়নি।

    তিনি আরও বলেন, আমাদের সীমান্ত এলাকায় অস্ত্রটি তল্লাশি করে দেখছি। ওপার থেকে ছিনিয়ে নিয়ে আমাদের বাংলাদেশের মধ্যেও চলে আসতে পারে। আমরা উভয় পক্ষ চেষ্টা করছি। তবে অস্ত্রটা যে বাংলাদেশের লোক নিয়েছে, এটা এখনো প্রমাণিত হয়নি।

  • ইরফানের বাসা থেকে অস্ত্র, মদ-বিয়ার ও ৪০টি ওয়া‌কিট‌কি উদ্ধার

    ইরফানের বাসা থেকে অস্ত্র, মদ-বিয়ার ও ৪০টি ওয়া‌কিট‌কি উদ্ধার

    ঢাকা-৭ আস‌নের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের বা‌ড়ি‌তে অভিযান চা‌লি‌য়ে আগ্নেয়াস্ত্র,মদ, বিয়ার ও ওয়া‌কিট‌কিসহ বিপুল প‌রিমান নিরাপত্তা সরঞ্জাম উদ্ধার ক‌রেছে র‌্যাব।

    সোমবার দুপুর ১টা থে‌কে সা‌ড়ে ৩টা পর্যন্ত চকবাজা‌রের ২৬ নম্বর দেবীদাস ঘাট লেনের বা‌ড়ি‌তে অভিযান চা‌লি‌য়ে সাংসদপুত্র মোহাম্মদ এরফান সে‌লিম‌কে আটক করা কা‌লে বা‌ড়ি তল্লা‌শি চা‌লি‌য়ে ওইসব দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যা‌জি‌স্ট্রেট স‌রোয়ার আলম।

    স‌রেজ‌মি‌নে দেখা গে‌ছে, চকবাজা‌রের ২৬ নম্বর দেবীদাস ঘাট লে‌নের ওই বা‌ড়ির চতুর্থ ও পঞ্চম তলাটি ডু‌প্লেক্স সি‌স্টে‌মে নির্মাণ করা হ‌য়ে‌ছে। ৪র্থ তলার উত্তর কর্ণা‌রের রুম‌টি‌তে বসবাস কর‌তেন এম‌পি পুত্র এরফান সে‌লিম।

    তার রু‌মের তোশকের নিচে ম্যাগ‌জিন ভ‌র্তি এক‌টি বি‌দেশী পিস্তল পাওয়া গে‌ছে। এছাড়া ৫ম তলায় পূর্ব পা‌শের কর্ন‌ারে ৫‌টি ওয়ারল্যাস এ‌বিএস সি‌স্টেম ও ৪০টি ওয়াকিট‌কি ‌সেট, এক‌টি হ্যান্ডকাপ, এক‌টি বন্দুক, বি‌দেশী ম‌দের বোতল ও বিয়ার মদ পাওয়া গে‌ছে।

    এসব সরঞ্জাম ও আগ্নেয়াস্ত্র ফ‌রেন‌সিক রি‌পো‌র্টের জন্য এখ‌নো যে অবস্থায় ছিল, তেমন‌টি রে‌খে দেয়া হয়‌নি ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যা‌জি‌স্ট্রেট স‌রোয়ার আলম।

    র‌্যাব জানায়, আটক এরফান মোহাম্মদ সে‌লিম ঢাকা দ‌ক্ষিণ সি‌টি কর‌পো‌রেশন (ডিএস‌সি‌সি) ৩০ নম্বর ওয়া‌র্ডের কাউ‌ন্সিলর ও নোয়‌াখালী -৪ আস‌নের সংসদ সদস্য একরামুল করীম চৌধুরীরর মে‌য়ের জামাতা। এ রি‌পোর্ট লেখা পর্যন্ত ( সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) অভিযান শেষ হ‌য়ে সংবাদ স‌ম্মেল‌নের প্রস্তু‌তি নেয়া হ‌চ্ছে ব‌লে জানা গে‌ছে।

    প্রসঙ্গত, রোববার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ধানমণ্ডিতে কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে ঢাকা -৭ আস‌নের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সে‌লি‌মের গাড়ির স‌ঙ্গে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ল্যফটেন্যান্ট ওয়া‌সিফ আহ‌মেদ খানের মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল। এরপরই গাড়ি থেকে এরফান সে‌লিমসহ তার লোকজন নেমে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নামের ওই কর্মকর্তাকে বেদম পিটিয়েছেন।

    রাত সোয়া ১০ টার দিকে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো গাড়ি ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল দুইই ধানমণ্ডি থানায় জব্দ করা হয়। সোমবার সকাল ৮টায় হত্যা‌চেষ্টার অভি‌যো‌গে ধানম‌ণ্ডি থানায় মামলা দা‌য়ের করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ রোহিঙ্গা নিহত:অস্ত্র,গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার

    টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ রোহিঙ্গা নিহত:অস্ত্র,গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার

    টেকনাফ প্রতিনিধি: কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের টেকনাফ থানাধীন শামলাপুর এলাকায় র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে।

    ১৪ জানুয়ারি দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

    জানা যায়, র‌্যাব -১৫ (সিপিসি-২) টেকনাফ ক্যাম্পের একটি চৌকষ আভিযানিক দল মাদকের চালান খালাসের সংবাদ পেয়ে অভিযানে গেলে মাদক কারবারী চক্রের স্বশস্ত্র সদস্যরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলিবর্ষণ করার কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে অস্ত্র, মাদক এবং ইয়াবাসহ গুলিবিদ্ধ দুইজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

    সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়।

    তাদের পকেটে থাকা পরিচয়পত্রের সূত্রধরে জানাযায়, নিহতরা কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের হোছাইন শরীফের পুত্র আবুল হাশিম (৩০) এবং শামসুল আলমের পুত্র মোঃ আইয়ুব (২৪) বলে সনাক্ত করা হয়। মৃতদেহ ২টি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

    র‌্যাবের পক্ষথেকে সত্যতা নিশ্চিত করে ল একটি বার্তা প্রেরণ করা হয়।

  • ডাকাতির পর পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিতেন ওরা ১১ জন

    ডাকাতির পর পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিতেন ওরা ১১ জন

    ওরা এগারো জন। দেশের স্বার্থে বড় কোন অসাধারণ কর্মযজ্ঞে এদের কোন ভুমিকা না থাকলেও এ ১১ জনের রয়েছে মানুষ থেকে সর্বস্ব লুটে নেওয়ার প্রতিভা। বাস ও ট্রেন যাত্রীদের নিঃস করে পথে বসিয়ে তার মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে পাহাড়ের গুহায় আত্মগোপনে থাকাটা ছিলো তাদেও কৌশল।

    চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাস, পাহাড়তলী ও জেলার সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, লাকসাম, ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লাসহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় সুযোগ বুঝে বাস ও ট্রেনযাত্রীদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যরা। যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও ল্যাপটপসহ দামী জিনিসপত্র লুট করে নিমিষেই পাহাড়ের গুহায় জাদুকরের মতোই হারিয়ে যায় এ ডাকাত চক্রটি।

    ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নানা অভিযানেও তাদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়ে উঠেনা। তবে গত ২ থেকে আড়াই মাস আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়া এ ডাকাতচক্রের কয়েকজন সদস্যের কাছ থেকে পুলিশ বেশ কিছু তথ্য পায়। তথ্যের ভিত্তিতে গত দুমাসে জামিনপ্রাপ্ত ডাকাত দলের সদস্যদের উপর পুলিশ নজরদারি বাড়ায়।

    আর পুলিশের নজরদারির জালে আটকা পড়ে চক্রের ১১ সদস্য। শনিবার ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার টাইগার পাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওরা ১১ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে দুইজন ‘গরীবের ডাক্তার’ খ্যাত সীতাকুণ্ডের আলোচিত চিকিৎসক শাহ আলম হত্যার আসামী।

    এসময় তাদের কাছ থেকে কাঠের বাটযুক্ত লোহার তৈরী দুটি দেশীয় এলজি, দুটি কার্তুজ, ২ টি কালো রংয়ের টিপ ছোরা, ১ টি লোহার তৈরী ছেনি, ৬ টি কাঠের বাটযুক্ত কিরিচ, ১ টি সাদা রংয়ের পিকআপ (ঢাকা মেট্রো-ঠ- ১১-২১৯১) ও ১টি সিলভার রংয়ের প্রাইভেট কার (চট্টমেট্রো-খ-১১-০১৫০) জব্দ করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সীতাকুণ্ড জলিল টেক্সটাইল কুতুব মেম্বার বাড়ির শো. শফির ছেলে মো. সালাউদ্দিন (২৪), ভোলা জেলার চরফ্যাশন গোর আলা মুক্ষি বাড়ির নুরনবী সিকদারের ছেলে মো. রাজু (১৯), কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম বাসন্ডা পশ্চিম পাড়ার মৃত মো. ফরিদের ছেলে ইসরাফিল হোসেন আলম (২২), নোয়াখালী জেলার সোনাইমুরি নাটোর শহরের মৃত আলী আহাম্মদের ছেলে মো. আকবর হোসেন (২২), জি বাড়িয়া নবীনগর জাফরপুর জব্বার পুলিশের বাড়ির মো. কামালের ছেলে মো. সেলিম (২৮), নোয়াখালী মাইজদি নালা নগরের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. টিটু (২৫), সীতাকুণ্ড উপজেলার ইমাম নগরের কাশেম মাস্টার বাড়ির ইব্রাহিমের ছেলে মো. ইয়াসিন (২৩), কুমিল্লা চান্দিনার জোয়ার হালাল বাড়ির মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মো. ফজর আলী (৩৫), নগরীর আকবর শাহ থানা মিরপুর আবাসিকের রাজা কমিশনারের ভাড়াটিয়া আব্দুল মালেকের ছেলে মো. সুমন (২৫), নোয়াখালি সুধারামপুর সুন্দরপুরের চেয়ারম্যান বাড়ির মো. মানিকের ছেলে মো. রহিম প্রকাশ হৃদয় (২২) ও কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোটের দাউদপুর মজুমদার বাড়ির মৃত আবুল কালামের ছেলে মো. পলাশ হোসেন (২৫)।

    শনিবার দুপরে নগরীর মোমিন রোডে মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য তুলে ধরেন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-দক্ষিণ) শাহ মো.আব্দুর রউফ, এসি কোতোয়ালি নোবেল চাকমা। এর আগে শনিবার সকালে নগরীর কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মোহসিন ওরা ১১ জনের গ্রেফতার তথ্যটি নিশ্চিত করলেও বিস্তারিত জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

    সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান বলেন, গ্রেফতারের পর ওরা ১১ জনই চট্টগ্রাম নগরীর সাগরিকায়, সীতাকুণ্ডের পন্থিছিলায়, মিরসরাই, ফেনীর মহিপালে, নোয়াখালী, লাকসাম ও কুমিল্লাসহ অন্তত দুশটি ডাকাতির ঘটনার কথা স্বীকার করেছে।

    তিনি বলেন, ডাকাতরা প্রতিদিন ভোরে প্রাইভেট কার ও পিকআপ ভ্যান নিয়ে নগরী ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতো। দোকান ও প্রতিষ্ঠান টার্গেট করতো। দোকান ভাঙার বিভিন্ন সরঞ্জাম সাথে নিয়ে রাতে টার্গেটকৃত দোকান বা প্রতিষ্ঠানের তালা কৌশলে ভেঙ্গে সব লুট করে পালিয়ে যেতো।

    এছাড়াও এ ডাকাত দলের সদস্যরা বাস বা ট্রেনের সময়সূচি টার্গেট করে পাহাড়ের কাছাকাছি অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অবস্তান করতো। সময় সুযোগ বুঝে ঝাপিয়ে পড়ে যাত্রীর সর্বস্ব লুটে নিয়ে আবার পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিতেন।

    পুলিশ কর্মকর্তা মেহেদী বলেন, আড়াই বছর জেল কেটেছে এদের দলনেতা মো. সালাউদ্দিন। সম্প্রতি সে জামিনে বেরিয়ে ফের ডাকাতি চক্রের লিড দিচ্ছে। কোতোয়ালি থানা পুলিশের বিচক্ষনতায় অস্ত্র ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যান এবং প্রাইভেটকারসহ এ চক্রের ১১জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

    কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মোহসিন জানান, সশস্ত্র ডাকাত দলটি ডাকাতির উদ্দ্যেশে পিকআপ ও একটি প্রাইভেটকার নিয়ে নগরীর টাইগারপাস এলাকার জসিমের চায়ের দোকানের সামনে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ খবরে দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার সময় অভিযানে যায় কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম। এসময় পুলিশের গাড়ি দেখে ডাকাতদল তাদের ব্যবহৃত গাড়িসহ পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে ঘেরাও করে গাড়িসহ তাদের গ্রেফতার করে।

    ওসি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা শুধু ডাকাতি নয় তারা ছিনতাই কাজেও খুব পারদর্শী। এরা প্রতিদিন ভোরে বাস ও ট্রেন যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনতাই করে থাকে। এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন নির্জন সড়কে অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের রিকশা ও সিএনজি আটকে তাদের দামী জিনিসপত্র হাতিয়ে নেন। এমনকি তাদের সাথে থাকা পাসপোর্ট ও ভিসাও হাতিয়ে নিয়ে পরবর্তীতে তা ফেরৎ নিতে বিকাশের মাধ্যমে টাকাও আদায় করেছে বলে অনেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছে।

    ওসি মো. মোহসিন বলেন, সম্প্রতি নগরীর টাইগারপাস মোড়ে প্রাইভেট কার ব্যবহার করে দুটি ছিনতাইয়ের ঘটনার সূত্র ধরে শনিবার মধ্যরাতে চক্রটির অবস্থান নিশ্চিত করে অভিযান চালিয়ে ১১ সদস্যকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।

    এদের মধ্যে সীতাকুণ্ড জলিল টেক্সটাইল কুতুব মেম্বার বাড়ির শো. শফির ছেলে মো. সালাউদ্দিন (২৪) ও নোয়াখালী মাইজদি নালা নগরের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. টিটু (২৫) সীতাকুণ্ডের আলোচিত ডা. শাহ আলম হত্যাকাণ্ডের আসামি। সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের বরাতে এ তথ্যটিও নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মোহসীন।

  • সম্রাটের অফিস থেকে অস্ত্র, মদ, ইয়াবা, ক্যাঙ্গারুর চামড়া উদ্ধার

    সম্রাটের অফিস থেকে অস্ত্র, মদ, ইয়াবা, ক্যাঙ্গারুর চামড়া উদ্ধার

    যুবলীগ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের কাকরাইলের অফিসে প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব। অভিযানে অস্ত্র, বিদেশি মদ, ইয়াবাসহ হরিণ ও ক্যাঙ্গারুর চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে।

    আজ রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে তার কাকরাইলের ভূঁইয়া ম্যানশনে অবস্থিত অফিসে অভিযান চালায় র‌্যাব।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে কাকরাইলে সম্রাটের কার্যালয়ে প্রবেশ করে র‌্যাব। এর কয়েক মিনিট পরে হেলমেট পরিয়ে সম্রাটকেও নেওয়া হয় তার কার্যালয়ে।

    প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এই অভিযানে এক হাজার ১৬০ পিস ইয়াবা, বেশ কিছু বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, দুটি ইলেকট্রিক শক মেশিন, একটি বিদেশি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।