২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মোরশেদ আলম (৩৫) নামে এক জলদস্যুর মৃত্যু হয়েছে। র্যাব দাবী করছে বন্দুকযুদ্ধে তার মৃত্যু হয়।
র্যাব জানায়, বাঁশখালীতে ডাকাতির সময় ৩১ জেলেকে সাগরে ফেলে নির্মমভাবে হত্যায় অভিযুক্ত এবং এবং খুন, ডাকাতি, ও চাঁদাবাজিসহ দুই ডজনেরও অধিক মামলার আসামি কুখ্যাত ডাকাত সর্দার মোরশেদকে গ্রেফতার করতে গেলে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার বাণীগ্রাম লটমুণি পাহাড় এলাকায় বন্দুযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি থ্রি কোয়ার্টার গান, দুইটি ওয়ান শ্যুটার গান, ১৯ রাউন্ড গুলি ও ৩টি রামদা উদ্ধার করে র্যাব।
নিহত মোরশেদ আলম একই উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সিদ্দিক আহম্মদের ছেলে। নিহত মোরশেদ চাঞ্চল্যকর ৩১ জেলে হত্যা মামলা, প্রকাশ্য দিবালোকে বুজরুজ মেহের হত্যাসহ ৩টি খুনের মামলার আসামি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে খুনসহ ডাকাতি, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ দুই ডজনেরও অধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
বন্দুকযুদ্ধে কুখ্যাত ডাকাত সর্দার মোরশেদ নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মো. মাহমুদুল হাসান মামুন। তিনি বলেন, রবিবার ভোরে কুখ্যাত ডাকাত ও জলদস্যু মোরশেদ আলম (৩৫) এর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে র্যাবের একটি টিম বাঁশখালীর বাণীগ্রাম সংলগ্ন লটমুণি পাহাড়ে অভিযান চালায়।
এসময় র্যাব এর উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের নেতা মোরশেদের বাহিনী র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টাগুলি চালায়। এক পর্যায়ে ডাকাত দল পিছু হঠে পাহাড়ের ভেতরে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ মোরশেদের লাশ পড়ে থাকতে দেখে র্যাব সদস্যরা স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ডাকাত দলের ফেলে যাওয়া বিদেশী পিস্তল, বন্দুক ও গুলি উদ্ধার করেছে। এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান র্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ মার্চ কুতুবদিয়া থানার জাহাজখালীতে বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির চেষ্টা চালিয়েছে একদল জলদস্যু। এতে বাধা দিতে গিয়ে পানিতে ফেলে দিয়ে ৩১ জেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো যাকাত দলটি।
পরে এ ঘটনায় দায়েরকৃত একটি মামলায় অন্যতম আসামি ছিলেন বাঁশখালীর জলদস্যু ও ডাকাত সর্দার হিসেবে পরিচতি মোরশেদ আলম। এছাড়াও একই বছরের ২০ জুলাই চাম্বল বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি বুজুরুছ মেহের চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করেছিলো মোরশেদ বাহিনী।
পরে মোরশেদকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ পুলিশ গ্রেফতার করলেও ২০১৯ সালের ১০ মার্চ তিনি জামিনে মুক্তি পান।