Tag: অস্ত্র উদ্ধার

  • বাঁশখালীতে ভোট কেন্দ্রের পাশের মাঠ থেকে বন্দুক উদ্ধার

    বাঁশখালীতে ভোট কেন্দ্রের পাশের মাঠ থেকে বন্দুক উদ্ধার

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের এক নম্বর ছেলবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশের একটি মাঠ থেকে বন্দুক উদ্ধার করেছে র‍্যাব।

    বুধবার (১৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রের পাশের লবন মাঠে পরিত্যক্ত অবস্থায় অস্ত্রটি পাওয়া যায়।

    র‍্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এক নম্বর ছেলবন কেন্দ্রের পাশের মাঠে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি বন্দুক ও কিছু লাঠিসোঁটা পাওয়া গেছে। কারা এসব অস্ত্র রেখেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

    বাঁশখালী উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে নির্বাচন চলছে। নির্বাচনে শান্তি বজায় রাখতে সকাল থেকেই র‍্যাব মাঠে কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

    আজ সকাল থেকেই চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ১৩ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলছে। এছাড়াও আনেয়ারার পরৈকোড়া, পটিয়ার ছনহারা, কর্ণফুলীর চর পাথরঘাটা, ফটিকছড়ির ভুজপুর ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল থেকেই বাঁশখালীর প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গেছে।

  • কোতোয়ালি থানার মামলার আসামি আকবরশাহতে গ্রেফতার,অস্ত্র উদ্ধার

    কোতোয়ালি থানার মামলার আসামি আকবরশাহতে গ্রেফতার,অস্ত্র উদ্ধার

    নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ বিজয় নগর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিদেশী পিস্তল,গুলি ও ককটেলসহ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

    গত ২৪ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা একটি মামলার আসামির অবস্থান শনাক্ত করার পর মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত পৌণে ১২টার সময় পুলিশ অভিযানটি পরিচালনা করে। এসময় দুজন গ্রেফতার হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার বাংগরা বাজার পূর্বধৈইর মো. আব্দুল খলিল মিয়া প্রকাশ খলিলুর রহমানের ছেলে মো. ওসমান মিয়া প্রকাশ উসমান (২৯) এবং ফেনী জেলার দাগনভুইঁয়া দক্ষিণ করিমপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন প্রকাশ কাজলের ছেলে মো. আরিফ (১৯)। বর্তমানে দুজনই নগরীর আকবরশাহ বিজয় নগর এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

    কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মহসীন অস্ত্রসহ দুজনকে গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আকবরশাহতে আসামির অবস্থান শনাক্ত হয়।

    মঙ্গলবার রাত ১২টার সময় আকবরশাহ থানা এলাকার বিজয় নগর এলাকা থেকে উসমান মিয়া ও মো.আরিফকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১ টি বিদেশী পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি, ১ টি ককটেল এবং ১১টি রামদা পাওয়া যায়।

    ওসি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং আকবরশাহ থানা এলাকায় অবৈধভাবে জমি দখলে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে।

    গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে উসমান মিয়ার বিরুদ্ধে নগরীর কোতোয়ালি, খুলশী ও আকবরশাহসহ বিভিন্ন থানায় অন্তত ১০টির অধিক মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে জানিয়ে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আকবরশাহ থানায় নতুন একটি এজাহার দায়ের করার কথা জানিয়েছেন ওসি মহসীন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • বোয়ালখালীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ২, অস্ত্র উদ্ধার

    বোয়ালখালীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ২, অস্ত্র উদ্ধার

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ২জনকে আটক করেছেন থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি বন্দুক, ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১টি রাম দা ও ২টি ছোরা উদ্ধার করা হয়।

    রবিবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার খরনদ্বীপ কেরানী বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    আটককৃতরা হলেন, চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার অলি মাষ্টার বাড়ীর মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে আব্দুল হালিম প্রকাশ লালা (২৮) ও পটিয়া উপজেলার হুলাইন গ্রামের অলী আহাম্মদের ছেলে কামরুদ্দিন সবুজ (৩০)।

    তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আবদুল করিম।

    তিনি বলেন, উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের কেরানী বাজার ফরফরিতলা ব্রীজের পূর্ব পার্শ্বে পাকা রাস্তার উত্তরে গাছ বাগানের ভিতর কয়েকজন ব্যক্তি ডাকাতির উদ্দেশ্য প্রস্তুতি নেওয়ার সংবাদে পুলিশ অভিযানে নামে। এসময় ঘটনাস্থল থাকা অন্যান্যরা পালিয়ে গেলেও পুলিশ ২জনকে আটক করতে সক্ষম হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • রাউজানে বিতান বড়ুয়া হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার

    রাউজানে বিতান বড়ুয়া হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:::চট্টগ্রামের রাউজানে হালদা নদীর ডিম সংগ্রহকারী বিতান বড়ুয়া (৩৭) হত্যা মামলার আসামী রাহুল বড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করেছে রাউজান থানা পুলিশ। এ সময় রাহুল বড়ুয়ার স্বীকারোক্তি মোতাবেক হাটহাজারীর মেখল ইউনিয়ন থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি বিদেশী অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (৫ ম) দুপুরে রাউজান থানায় সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেপায়েত উল্লাহ পিপিএম।

    তিনি জানান, ৪মে সোমবার খাগড়াছড়ি সদরের কুমিল্লা টিলা নামকস্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রাহুল বড়ুয়া রাউজান পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের অংকুরী ঘোনা এলাকার অনাদি বড়ুয়ার ছেলে। সে স্বীকার করেছে বালুর কন্ট্রাক্টরী ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বিতান বড়ুয়াকে নিজেই গুলি করে হত্যা করে।

    মঙ্গলবার বিকেলে তাকে চট্টগ্রাম আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    উল্লেখ্য গত ২৬ এপ্রিল রবিবার বিকেল ৪টায় রাউজান পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের অংকুরিঘোনা এলাকার সুমিনু কমপ্লেক্স নামে একটা বৃদ্ধাশ্রমের সামনে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন তার স্ত্রী জয়শ্রী বড়ুয়া বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/রানা

  • এবার একে ২২সহ বিপুল গুলি ও অস্ত্র উদ্ধার হল শিবির ক্যাডার সরোয়ারের বাড়িতে

    এবার একে ২২সহ বিপুল গুলি ও অস্ত্র উদ্ধার হল শিবির ক্যাডার সরোয়ারের বাড়িতে

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ : চট্টগ্রাম ডেস্ক : ঢাকা বিমান বন্দর থেকে গ্রেফতারের পর দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ আলীর সহযোগী মো. সরোয়ারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একে ২২ রাইফেলসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে বায়েজিদ থানা পুলিশ।

    পুলিশ জানায়, রবিবার ভোরে গ্রেফতার সরোয়ার প্রকাশ বাবলাকে সাথে নিয়ে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার খোন্দকারাবাদ কালু মুন্সীর বাড়ির আবদুল কাদেরের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়।

    বাড়ির উত্তর পাশে মাটির নিচে বিশেষ কৌশলে লুকানো একটি একে ২২ রাইফেল, ৩০ রাউন্ড গুলি, ২ টি এলজি ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া পুলিশ জানিয়েছে, কাতারে অবস্থান করা আরেক দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার ম্যাক্সন এবং যুবলীগ ক্যাডার একরামও সম্প্রতিকালে দেশে ফিরে এসেছে বলে তথ্য দিয়েছে গ্রেফতার সরওয়ার। পুলিশ তার দেওয়া তথ্যগুলো যাচাইবাছাই করছে বলে জানান। আরো খবর : শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের সেকেন্ড ইন কমান্ড সারোয়ার গ্রেফতার

    সরোয়ারের বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার। তিনি জানান, সরোয়ারের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের হচ্ছে।

    তিনি আরো জানান, সরোয়ার নগরীর বায়োজিদ বোস্তামী থানাধীন খোন্দকারপাড়ার আবদুল কাদেরের ছেলে। সরোয়ারের বিরোধ খুন সন্ত্রাস চাঁদাবাজিসহ অন্তত ১০/১২টি মামলা রয়েছে। শুনেছি দুই মাসে তার অপর সহযোগি শীর্ষ সন্ত্রাসী ম্যাক্সন এর সাথে মারামারির ঘটনায় কাতার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল।

    এর আগে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে কাতার থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এসে পৌঁছালে গোপন তথ্য মতে ডিএমপির পুলিশের একটি টিম ঢাকা বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে সরোয়ারকে গ্রেফতার করে।

    গ্রেফতারের পর বিষয়টি সিএমপির বায়েজিদ থানায় অবহিত করলে থানা পুলিশের একটি টিম ঢাকায় গিয়ে গ্রেফতার সরোয়ারকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসে। পরে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সরোয়ার তার বাড়িতে লুকিয়ে রাখা অস্ত্রের সন্ধান দিলে রবিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে সেগুলো উদ্ধার করা হয়।

    সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ১১ জুলাই নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি এলাকা থেকে একে-৪৭ রাইফেল, অন্যান্য অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী ম্যাক্সন ও সারোয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তারা আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে কাতারে চলে যায়।

  • বাঁশখালীতে বন্দুকযুদ্ধে ৩১ জেলে হত্যায় অভিযুক্ত জলদস্যু মোরশেদ নিহত

    বাঁশখালীতে বন্দুকযুদ্ধে ৩১ জেলে হত্যায় অভিযুক্ত জলদস্যু মোরশেদ নিহত

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মোরশেদ আলম (৩৫) নামে এক জলদস্যুর মৃত্যু হয়েছে। র‌্যাব দাবী করছে বন্দুকযুদ্ধে তার মৃত্যু হয়।

    র‌্যাব জানায়, বাঁশখালীতে ডাকাতির সময় ৩১ জেলেকে সাগরে ফেলে নির্মমভাবে হত্যায় অভিযুক্ত এবং এবং খুন, ডাকাতি, ও চাঁদাবাজিসহ দুই ডজনেরও অধিক মামলার আসামি কুখ্যাত ডাকাত সর্দার মোরশেদকে গ্রেফতার করতে গেলে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। সেখানে তার মৃত্যু হয়।

    আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার বাণীগ্রাম লটমুণি পাহাড় এলাকায় বন্দুযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি থ্রি কোয়ার্টার গান, দুইটি ওয়ান শ্যুটার গান, ১৯ রাউন্ড গুলি ও ৩টি রামদা উদ্ধার করে র‌্যাব।

    নিহত মোরশেদ আলম একই উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সিদ্দিক আহম্মদের ছেলে। নিহত মোরশেদ চাঞ্চল্যকর ৩১ জেলে হত্যা মামলা, প্রকাশ্য দিবালোকে বুজরুজ মেহের হত্যাসহ ৩টি খুনের মামলার আসামি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে খুনসহ ডাকাতি, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ দুই ডজনেরও অধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

    বন্দুকযুদ্ধে কুখ্যাত ডাকাত সর্দার মোরশেদ নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মো. মাহমুদুল হাসান মামুন। তিনি বলেন, রবিবার ভোরে কুখ্যাত ডাকাত ও জলদস্যু মোরশেদ আলম (৩৫) এর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে র‌্যাবের একটি টিম বাঁশখালীর বাণীগ্রাম সংলগ্ন লটমুণি পাহাড়ে অভিযান চালায়।

    এসময় র‌্যাব এর উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের নেতা মোরশেদের বাহিনী র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টাগুলি চালায়। এক পর্যায়ে ডাকাত দল পিছু হঠে পাহাড়ের ভেতরে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ মোরশেদের লাশ পড়ে থাকতে দেখে র‌্যাব সদস্যরা স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।

    ডাকাত দলের ফেলে যাওয়া বিদেশী পিস্তল, বন্দুক ও গুলি উদ্ধার করেছে। এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান র‌্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ।

    জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ মার্চ কুতুবদিয়া থানার জাহাজখালীতে বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির চেষ্টা চালিয়েছে একদল জলদস্যু। এতে বাধা দিতে গিয়ে পানিতে ফেলে দিয়ে ৩১ জেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো যাকাত দলটি।

    পরে এ ঘটনায় দায়েরকৃত একটি মামলায় অন্যতম আসামি ছিলেন বাঁশখালীর জলদস্যু ও ডাকাত সর্দার হিসেবে পরিচতি মোরশেদ আলম। এছাড়াও একই বছরের ২০ জুলাই চাম্বল বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি বুজুরুছ মেহের চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করেছিলো মোরশেদ বাহিনী।

    পরে মোরশেদকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ পুলিশ গ্রেফতার করলেও ২০১৯ সালের ১০ মার্চ তিনি জামিনে মুক্তি পান।

  • দুই জেলায় র‌্যাবের সাথে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী ও ইয়াবা কারবারির মৃত্যু

    দুই জেলায় র‌্যাবের সাথে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী ও ইয়াবা কারবারির মৃত্যু

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। ডেস্ক নিউজ : দেশের দুই জেলায় র‌্যাবের সাথে পৃথক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় কক্সবাজারের মাদক কারবারি মো. রুবেল (২২) ও পাবনার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী আমিন শেখ (৪০) এর মৃত্যু হয়েছে। পৃথক দুটি ঘটনায় এ সময় র‌্যাবের দুই সদস্য আহত এবং বিপুল দেশীয় অস্ত্র, গুলি, ইয়াবা ও ফেনসিডিল উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব।

    আমাদের কক্সবাজার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, টেকনাফে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মো. রুবেল (২২) নামে এক মাদক ও অস্ত্র কারবারি নিহত হয়েছেন। ২৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) ভোররাত ৩টার দিকে র‌্যাব-১৫, (সিপিসি-১) টেকনাফ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল টেকনাফ সদর ইউপির বড় হাবিবছড়া সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ এলাকায় ইয়াবার চালান খালাসের সংবাদ পেয়ে অবস্থান নেয়।

    কিছুক্ষণ পর র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেলে মাদক কারবারিরা তাদের উপর গুলি চালায়। এতে র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হলে র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার ইয়াবা, দেশীয় তৈরী একটি ওয়ান শুটারগান, ৩ রাউন্ড গুলি ও গুলির ২টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

    এসময় গুলিবিদ্ধ এক মাদক কারবারিকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

    নিহত রুবেল টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া জুম্মা পাড়া এলাকার মো. সিদ্দিকের ছেলে। সে মাদক ও অস্ত্র কারবারি এবং ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য ছিল বলে জানিয়েছে র‌্যাব। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১৫ এর টেকনাফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহাতাব। তিনি এই ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে পৃথক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান।

    এদিকে আমাদের পাবনা প্রতিনিধি জানিয়েছেন বুধবার ভোর ৪টার দিকে পাবনার সদর উপজেলার রাজাপুর এলাকায় র‌্যাবের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আমিন শেখ (৪০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

    র‌্যাবের দাবি, নিহত আমিন শেখ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলের সদস্য। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় তিনটি করে হত্যা ও অস্ত্র মামলাসহ ১১টি মামলা রয়েছে। নিহত আমিন উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের পয়দা গ্রামের এসকেন শেখের ছেলে।

    র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার আমিনুল কবির তরফদার তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উপজেলার রাজাপুর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে ভোররাত ৪টার দিকে অভিযানে যায় র‌্যাবের একটি অভিযানিক টিম।

    ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৩টি তাজা গুলি, একটি রাম দা, একটি চাপাতি ও ৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে ডাকাতদলের সদস্যরা। র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়ে।

    এক পর্যায়ে ডাকাত দল পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

  • বোয়ালখালীতে অস্ত্র কারখানা সন্ধানে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে র‌্যাবের অভিযান : অস্ত্র উদ্ধার

    বোয়ালখালীতে অস্ত্র কারখানা সন্ধানে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে র‌্যাবের অভিযান : অস্ত্র উদ্ধার

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : অস্ত্রের কারখানার সন্ধানে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বেলাল হোসেনের বাড়ী ঘেরাও করে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন র‌্যাব-৭।

    এসময় একটি ওয়ান শ্যুটার গান, ২টি বুলেট ও ওয়ান শ্যুটার গান ও পিস্তল তৈরির বেশকিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করে র‌্যাব। তবে অভিযানের সময় কাউকে আটক করতে পারেনি র‌্যাব সদস্যরা।

    র‌্যাব জানায় সারোয়াতলী ইউনিয়নের হোরারবাগ এলাকার চেয়ারম্যানের বাড়ীতে গোপন সূত্রে অস্ত্রের কারখানার সন্ধ্যান পেয়ে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে অভিযানে যায়।

    অভিযানের সময় চেযারম্যানের বাঁশের তৈরি অস্ত্রের কারখানাসহ পুরো বাড়ি ঘিরে রাখে র‌্যাবের বিপুল সংখ্যক সদস্য। বিকেল পর্যন্ত চলে এ অভিযান। তবে অভিযানের খবর আগে থেকে পেয়ে ওই বাড়ির সকল সদস্য কৌশলে পালিয়ে যায়।

    র‌্যাব-৭ এর অপারেশন অফিসার মাসকুর রহমান অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অভিযান সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারেন নি। তিনি বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে বলে জানান।

    এদিকে র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি কাজী মো. তারেক আজিজ সাংবাদিকদের বলেছেন- বোয়ালখালীর এক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ীতে অস্ত্রের কারখানা রয়েছে এমন অভিযোগের ভিক্তিতে র‌্যাব বাড়ীটি ঘেরাও করে অভিযান চালায়।

    সেখানে বাঁশের তৈরি একটি ঘরে অস্ত্রের কারখানা পাওয়া গেছে। সেখানে ১টি ওয়ান শ্যুটার গান ও ২টি বুলেটসহ ওয়ান শ্যুটার গান ও পিস্তল তৈরির বেশকিছু সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।

    তিনি বলেন, চেয়ারম্যান ও তার পরিবার এ অস্ত্রের কারখানার সাথে সম্পৃক্ত কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। এখন আপাতত অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

    উল্লেখ্য- ২০১৭ সালের ৫ মে নগরীর আমিন জুট মিল এলাকা থেকে চেয়ারম্যান বেলালের ভাই শ্রমিক লীগ নেতা মো. সাইফুদ্দিন ওরফে বাপ্পীকে অস্ত্রসহ আটক করেছিলো নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানা পুলিশ।

    পরে তাকে নিয়ে গ্রামের বাড়ী বোয়ালখালীতে চোরাই মোটর সাইকেল ও অস্ত্রের সন্ধানে অভিযানে গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশের কাছ থেকে বাপ্পীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

  • টেকনাফে ৮ লাখ ইয়াবা ও ৬টি অস্ত্র উদ্ধার, ৮ মাদককারবারি ও সন্ত্রাসী আটক

    টেকনাফে ৮ লাখ ইয়াবা ও ৬টি অস্ত্র উদ্ধার, ৮ মাদককারবারি ও সন্ত্রাসী আটক

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার প্রতিনিধি : টেকনাফের রঙ্গীখালীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও অস্ত্র-গুলিসহ তালিকাভূক্ত ৮ জন মাদক কারবারী এবং সন্ত্রাসীকে আটক করেছে র‌্যাব।

    ১৩ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ভোরে র‌্যাব-৭ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী এলাকায় অভিযান চালায়।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত ইয়াবা কারবারী ইয়ার মোহাম্মদের পুত্র নুর হাফেজ, দলিলুর রহমানের পুত্র ছৈয়দ আলম প্রকাশ কালু, ছৈয়দ হোসেনের পুত্র ছৈয়দ নুর, সব্বির আহমদের পুত্র মোহাম্মদ সোহেলকে আটক করা হয়।

    পরে আটককৃতদের স্বীকারোক্তিতে তাদের আস্তানায় তল্লাশী চালিয়ে ৮ লাখ ১০হাজার পিস ইয়াবা, ৬টি অস্ত্র ও ৭০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

    র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের অপারেশন অফিসার এএসপি মাশেকুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাদের কার্যক্রমের উপর নজর রাখার পর শুক্রবার ভোররাতে তাদের এসব অস্ত্র ও ইয়াবাসহ আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে থানায় সোর্পদ করার প্রস্তুতি চলছে।

    সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট চক্রের লোকজন আটকের খবরে জনমনে স্বস্থি দেখা দিলেও ফেরারী হয়ে থাকা অপর অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী উঠেছে। পাশাপাশি আটককৃতদের মদতদাতা কতিপয় জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি জানাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

    অপর দিকে ভোর রাতে র‌্যাব ১৫ এর একটি টহল টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাবিবছড়া গ্রামস্থ মেরিনড্রাইভ সড়কে ইয়াবা ক্রয় বিক্রয়কালে ৪ হাজার ৯৭০ পিস ইয়াবা সহ চার মাদক ব্যবসায়ী আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃতরা হচ্ছে হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকার মকতুল হোছেনের ছেলে কামাল হোসেন (২৯), আক্তার হোসেন (৩২), মো. নুর (২০), ও আবুল হোছেনের ছেলে আব্দুল মালেক (২৬)।

    র‌্যাবের সহকারী পরিচালক, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • পটিয়ায় ২টি অস্ত্র উদ্ধার, অস্ত্রের মালিক অধরা!

    পটিয়ায় ২টি অস্ত্র উদ্ধার, অস্ত্রের মালিক অধরা!

    পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ধলঘাট চন্দ্রকলা ব্রীজের পশ্চিম পার্শ্বের রাস্তা থেকে দেশীয় তৈরি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ব্রীজের পশ্চিম পার্শ্বে মুকুটনাইট ও পাচুরিয়া যাওয়ার পাকা রাস্তার উত্তর পাশের খালি জায়গায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে।

    পুলিশ জানায়, অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের খবর আগে থেকে জানতে পেরে অস্ত্র ব্যবসায়িরা পালিয়ে যাওয়াতে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। অভিযানে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১টি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও একটি এলজি ও ৪ রাউন্ড গুলি।

    পটিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার মো. খালেদ ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে অস্ত্র উদ্ধারের তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, এসব অস্ত্রের প্রকৃত মালিকদের গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

  • রাউজানের পাহাড়ে অস্ত্রের কারখানার সন্ধান : ডাকাত সর্দার আটক,অস্ত্র উদ্ধার

    রাউজানের পাহাড়ে অস্ত্রের কারখানার সন্ধান : ডাকাত সর্দার আটক,অস্ত্র উদ্ধার

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ঘেড়া সামশু টিলা নামক দুর্গম পাহাড়ে অস্ত্র কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। গোপন সূত্র ধরে আজ ২০ নভেম্বর বুধবার ভোরে অস্ত্র তৈরির কারখানাটিতে অভিযান পরিচালনা করে জেলা পুলিশের একটি টিম।

    অভিযানে ডাকাত সর্দার আলমগীরকে আটকের পাশাপাশি দেশিয় তৈরি অন্তত ২০টি অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

    পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর রাতে পূর্ব রাউজানের রাবার বাগান সংলগ্ন ঘোড়া সামশুু টিলা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে দুস্কৃতকারীরা। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে।

    এক পর্যায়ে দুস্কৃতিকারিরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে মোহাম্মদ আলমগীর নামে একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতার আলমগীরের নামে বিভিন্ন থানায় ১৭টি মামলা রয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

    রাউজান থানা সূত্রে জানা যায়, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কেপায়েত উল্লাহ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে দুস্কৃতিকারীদের হাতে আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় তৈরি ১০টি শর্টগান, ৬টি দেশীয় তৈরি পাইপ গান, তিনটি দেশীয় তৈরি এক নলা বন্দুক, ১টি গ্যাস গান সদৃশ অস্ত্র, পুরাতন ম্যাগজিন ১টি, ৭টি কার্তুজ, ৭টি কার্তুজের খোসাসহ অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

  • সীতাকুণ্ডে বন্দুকযুদ্ধে ডা.শাহ আলম খুনের মূল হোতা ডাকাত নজির নিহত

    সীতাকুণ্ডে বন্দুকযুদ্ধে ডা.শাহ আলম খুনের মূল হোতা ডাকাত নজির নিহত

    সীতাকুণ্ড থানার উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় র‍্যাব ৭ এর টহল দলের সাথে অস্ত্রধারী ডাকাতদলের গুলি বিনিময়ে চাঞ্চল্যকর ডা, শাহ আলম হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ডাকাত দলের প্রধান নজির আহমেদ সুমন প্রকাশ কালু (২৬) নিহত হয়েছেন।

    আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) ভোরে সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে এ বন্দুকযুদ্ধে ঘটনা ঘটেছে।

    বিষয়টি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে নিশ্চিত করেন র‍্যাব ৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. মাহমুদুল হাসান মামুন। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তলসহ দুটি অস্ত্র ও ২৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার উদ্ধার করে র‍্যাব ৭।

    উল্লেখ্য যে, গতকাল ২২ অক্টবর র‍্যাব ৭ ডা. শাহআলম হত্যার সাথে জড়িত লেগুনা চালক ওমর ফারুক (১৯)কে আটক করে। পরে সে আদালত ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রধান করে এবং হত্যার সাথে জড়িতদের সকলে নাম পরিচয় প্রকাশ করে। আরো খবর : ছিনতাইকারীদের বাধা দেয়ায় প্রাণ হারায় ডা.শাহ আলম

    র‍্যাব ৭ এর একজন কর্মকর্তা ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, গ্রেফতারকৃত ওমর ফারুকে দেয়া তথ্যের ভিক্তিতে এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ডাকাত দলের মূল হোতা নজির আহমেদ সুমন প্রকাশ কালুকে আটকে অভিযানে নামে র‍্যাব।

    সীতাকুণ্ডের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালাতে গেলে র‍্যাবের উপস্থিতি দেখে কালু ডাকাত তার সহযোগীরাদের নিয়ে র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আরো খবর : অজ্ঞাত লাশটি চিকিৎসক শাহ আলমের

    আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালালে ডাকাত দল পিছু হঠে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে কালু ডাকাতের গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এবং অস্ত্র পাওয়া যায়।

    সীতাকুন্ড মডেল থানার (এস আই) সাইফুল উদ্দিন শাওন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, ডাকাত নজিরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড মডেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। নিহত নজির ডাকাতের বুকে তিনটা গুলির চিহ্ন রয়েছে । নিহত নজির ডাকাত বাড়কুন্ড একালার আবুল হোসেন ছেলে বলে জানা গেছে।

    র‌্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী তারেক আজিজ বলেন, গত ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে কর্মস্থল সীতাকুণ্ড থেকে নগরীর চান্দগাঁও এলাকার বাসায় ফিরতে একটি লেগুনায় (জীপ) উঠেন সৌদি আরবের মদিনা ফেরৎ চিকিৎসক ডা. শাহ আলম। আরো খবর : কুমিরায় মহাসড়কের পাশ থেকে লাশ উদ্ধার

    ছিনতাইকারী চক্র লেগুনাটি রয়েল গেট এলাকায় পৌঁছালে ডাক্তার মোঃ শাহ আলমের কাছ থেকে টাকা পয়সা এবং মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।

    এসময় শাহ আলম বাধা দিলে ছিনতাইকারীদের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা মোঃ শাহ আলমকে ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যা করার পর তার লাশ রাস্তায় ফেলে দেয়। এর পর তারা লেগুনা নিয়ে সাগর পাড়ে চলে যায়।

    পরে ঘটনার তদন্ত শুরু করে গতকাল ২২ অক্টবর র‍্যাব ৭ ডা. শাহআলম হত্যার সাথে জড়িত লেগুনা চালক ওমর ফারুক (১৯)কে আটক করে।