Tag: অস্ত্র মামলা

  • অস্ত্র মামলা থেকে ইরফান সেলিমকে অব্যাহতি

    অস্ত্র মামলা থেকে ইরফান সেলিমকে অব্যাহতি

    ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড (বরখাস্ত) কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে অস্ত্র মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

    বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ অস্ত্র মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ইরফান সেলিমকে অব্যাহতি দেন।

    এর আগে গত ৫ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমামের আদালতে অস্ত্র ও মাদক মামলায় ইরফান সেলিমকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। তবে তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লাকে অভিযুক্ত করে পুলিশ এই দুই মামলায় চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দিয়েছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরফান সেলিমের পরিবার একটি রাজনৈতিক পরিবার হওয়ায় ওই অতিথি কক্ষে বিভিন্ন আগন্তুক অতিথি, রাজনৈতিক নেতাকর্মী তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসতেন। ইরফান সেলিম দীর্ঘ সময় বিদেশে থেকে পড়ালেখা করেছেন। তিনি ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কানাডায় বিবিএ পড়া শেষ করেছেন। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য এবং সমাজে তার সম্মান ক্ষুন্ন করাসহ সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য অসৎ উদ্দেশ্যে কে বা কারা মামলার জব্দকৃত পিস্তলটি অভিযুক্ত ইরফান সেলিমের অতিথি কক্ষে রেখেছেন। ইরফান সেলিমের এলাকায় তার বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র বহন বা প্রদর্শন তথা সন্ত্রাসী কার্যকলাপে অংশগ্রহণের কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

    প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, মামলার জব্দকৃত আলামত পিস্তলের বিষয়ে মামলার বাদী এজাহারে এবং জব্দ তালিকায় কার অস্ত্র এবং কার দেখানো মতে জব্দ হয়েছে তা উল্লেখ করেননি। অস্ত্র মামলার গোপনে ও প্রকাশ্য তদন্তে গৃহীত সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযুক্ত ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে অত্র মামলার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয় নাই। বিধায় ইরফান সেলিমকে মামলার দায় হতে অব্যাহতি দানের প্রার্থনা করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো।

  • অস্ত্র মামলায় পাপিয়া-সুমন দম্পতির ২৭ বছরের কারাদণ্ড

    অস্ত্র মামলায় পাপিয়া-সুমন দম্পতির ২৭ বছরের কারাদণ্ড

    নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ দম্পতির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা মামলায় ২৭ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন।

    রায়ের একটি ধারায় পাপিয়া ও তার স্বামী সুমনের ২০ বছর ও অন্য একটি ধারায় ৭ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে দুটি ধারার সাজা একসঙ্গে ভোগ করার কারণে তাদের ২০ বছরই কারাগারে থাকতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন বিচারক।

    দেশব্যাপী ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

    গ্রেফতার অন্যরা হলেন-পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)। তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, নগদ দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়।

    পরের দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে পাপিয়ার ফার্মগেটের বাসা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ২০টি পিস্তলের গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

    ওই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র আইনে একটি, বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি এবং বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।

    গত ২৯ জুন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান আদালতে তাদের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দাখিল করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • অস্ত্র মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে রাউজানের ত্রাস বিধান বড়ুয়া

    অস্ত্র মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে রাউজানের ত্রাস বিধান বড়ুয়া

    চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম রাউজান উপজেলার ত্রাস ও চট্টগ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী বিধান বড়ুয়া চট্টগ্রাম আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে।

    অস্ত্র মামলায় সাজা ঘোষণা হওয়ার এক মাস পর আজ বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস আরার আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন।

    তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট সমীর দাশগুপ্ত।

    তিনি বলেন, গত ৩০ আগষ্ট রাউজান থানার একটি অস্ত্র মামলায় বিধান বড়ুয়াকে ১৭ বছরের সাজা দিয়েছিলেন একই আদালত। তখন থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। আজ এক মাস পর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

    তিনি বলেন, ১৭ বছর সাজার মধ্যে অবৈধ অস্ত্র রাখার অপরাধে ১০ বছর এবং কার্তুজ রাখার অপরাধে সাত বছর সাজা প্রদান করে অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস আরা।

    আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৪ অক্টোবর রাত ৯টার সময় যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ক্যাডার বিধান বড়ুয়া বসতঘওে অভিযান চালায় রাউজান থানা পুলিশ। এসময় ওই ঘর থেকে অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়।

    এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন পূর্ব গুজরা তদন্তকেন্দ্রের এসআই মহসিন রেজা। ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। আট সাক্ষীর মধ্যে বাদীসহ সাতজনের সাক্ষী নেওয়ার পর আদালত রায় দেন।

    উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী বিধান বড়ুয়ার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় দুই ডজনের বেশি মামলা রয়েছে। ২০১১ সালে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয় আর এর পর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।

    এরপর ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের একটি মামলায় বিধান বড়–য়ার কারাদ- হয়। তবে গত বছর ৩ জুন কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান ভয়ংকর সন্ত্রাসী বিধান বড়–য়া।

    রাউজান উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী, এনডিপি ক্যাডার বিধান বড়ুয়া রাউজানের পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের বড়ুয়া পাড়ার আধার মানিক গ্রামের সুরত সিংহ বাড়ির মৃত হিমাংশু বড়ুয়ার ছেলে।

    ১৯৯১ সালে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর গঠিত রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) দুর্ধর্ষ ক্যাডার বিধান ছিলেন রাউজান ও আশপাশের এলাকার ত্রাস।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস

  • সম্রাটকে অভিযুক্ত করে অস্ত্র মামলায় র‌্যাবের চার্জশিট

    সম্রাটকে অভিযুক্ত করে অস্ত্র মামলায় র‌্যাবের চার্জশিট

    যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে অভিযুক্ত করে রাজধানীর রমনা থানায় অস্ত্র আইনে করা মামলায় চার্জশিট দিয়েছে র‌্যাব।

    আজ বুধবার ঢাকার মে‌ট্রোপ‌লিটন ম্যা‌জি‌স্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক এ চার্জশিট জমা দেন।

    ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই তাকে গ্রেফতার করা নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। পরে গত ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এসময় তার সঙ্গে আরমানকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

    পরে ৬ অক্টোবর দুপুরে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ে ঢুকে অভিযান শুরু করে। নিজ কার্যালয়ে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের জেল দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

    এছাড়াও গত ৭ অক্টোবর রমনা মডেল থানায় র‌্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে সম্রাটের নামে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। এর মধ্যে যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও মাদক মামলায় আসামি করা হয়েছে।

    এই দুই মামলায় গত ১৫ অক্টোবর আদালত সম্রাটকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠান। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ২৪ অক্টোবর তা‌কে কারাগারে পাঠা‌নো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে।