Tag: অস্ত্র মামলায়

  • অস্ত্র মামলায় প্রতারক সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    অস্ত্র মামলায় প্রতারক সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    ডেস্ক নিউজ : রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার হোতা সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা একটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    সোমবার দুপুর ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন। এই আইনের অপর ধারায় সাহেদকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায়ে আদালত বলেছেন, উভয় ধারা একসঙ্গে কার্যকর হবে।

    অর্থপাচার, মাদক মামলাসহ সারা দেশে সাহেদের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা থাকলেও এই প্রথম তার বিরুদ্ধে কোনো মামলার রায় দিয়েছেন আদালত।

    রায় ঘোষণার আগে বেলা ১১ টার দিকে সাহেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে প্রথমে আদালতের গারদ খানায় রাখা হয়। পরে এজলাসে তোলা হয়। মামলায় ১৪ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১১ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

    গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে।

    এ ঘটনার পর পালিয়ে যান সাহেদ। ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনা হয়।

    করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১৬ জুলাই সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। এরপর ১৯ জুলাই তাকে নিয়ে উত্তরার বাসার সামনে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ।

    সেখানে সাহেদের নিজস্ব সাদা প্রাইভেটকারে পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ১০ বোতল ফেনসিডিল, একটি পিস্তল এবং একটি গুলি উদ্ধার করা হয়। এরপর উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করা হয়।

    গোয়েন্দা পুলিশ অস্ত্র মামলায় ৩০ জুলাই আদালতে সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। আর ২৭ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে সাহেদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেন আদালত।

    ২০ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। মামলাটির আট কার্যদিবসে বিচারিক কার্যক্রম শেষ করা হয়।

    আদালতে সাহেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন ১১ জন সাক্ষী। আর রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে চেয়েছেন সাহেদের বিরুদ্ধে সবোর্চ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। রাষ্ট্রপক্ষের দাবি, সাহেদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন তারা।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব