Tag: অ্যালকোহল ডিটেক্টর

  • কুমিল্লা মহাসড়কে মাতাল চালক সনাক্তকরণে পুলিশের ‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর’

    কুমিল্লা মহাসড়কে মাতাল চালক সনাক্তকরণে পুলিশের ‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর’

    মাহফুজ বাবু : মদ বা নেশাজাতীয় কোন দ্রব্য বা পানীয় খেয়ে মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানো চালকদের সনাক্ত করতে বিশেষ একটি ডিভাইস নিয়ে মহাসড়কে অভিযান শুরু করেছে ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানা পুলিশ।

    শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) ঢাকা – চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঝাগুরজুলি আলেখারচর সহ বিভিন্ন পয়েন্টে খুব সহজে এবং তড়িৎ ফলাফল পেতে ‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর’ নামের ওই যন্ত্র দিয়ে অভিযান চালানো হয়।

    এসময় ট্রাক বাস সহ বিভিন্ন পরিবহনের চালকদের ডিটেক্টর দিয়ে পরিক্ষা করা হয়।

    জানা যায়, চীন থেকে আমদানি করা এ যন্ত্রটি সারাদেশের হাইওয়ে পুলিশের কাছেই দেয়া হয়েছে। যাতে দুর পাল্লার বাস-ট্রাক এবং ভারী যানবাহন চালানোর সময় অ্যালকোহল সেবী চালকদের সহজে পরীক্ষা করা যায়।

    শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে কুমিল্লা ঝাগুরজুলি আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ যন্ত্র নিয়ে অভিযানে নামে ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার এসআই টিপু রয়, এসআই জসিম ও সার্জেন্ট শাহআলম সহ সঙ্গীয় টিম।

    দুর্ঘটনা রোধে মহাসড়কে বিশেষ এ অভিযান সম্পর্কে ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশের এস আই টিপু রয় বলেন, ‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর দিয়ে মহাসড়কে অভিযানের খবর শুনে এরইমধ্যে অনেক চালক সচেতন হয়েছেন।

    শুক্রবার সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৪৫-৪৫ জন চালক কে পরিক্ষা করা হয়। এসময় অ্যালকোহল সেবী তেমন কাউকে সনাক্ত করা যায়নি।

    টিপু রয় বলেন অনেক মাদকসেবী ও চালক মাদকাসক্ত হয়ে গাড়ী চালানোর ফলে প্রায়ই নানা দুর্ঘটনা ঘটে সড়কে। এ অবস্থা রোধে এবং মাদকাসক্ত চালকদের চিহ্নিত করতে ‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর’ প্রযুক্তি সংযোজিত করা হয়েছে।

    ‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর’ যন্ত্রটি দেখতে অনেকটাই বড় মুঠোফোন বা ওয়ারলেস সেটের মতো। সামনের দিকে চিকন পাইপের মতো বের হওয়া একটি পাইপের মত অংশ আছে। মাদক পরীক্ষার অংশ হিসেবে এই যন্ত্রের সামনের পাইপ মুখে দিয়ে ফুঁ দিতে হয় চালকদের। ফু দেয়ার চার সেকেন্ডের মধ্যেই যন্ত্রের মনিটরে ভেসে ওঠে ফলাফল। চালক মদ্যপ হলে শতাংশ সহ ‘ইয়েস’ লেখা ওঠে। আর মদ্যপ না হলে শতাংশ হিসেবে ‘নো’।

    ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলমগীর হোসেন জানান, ফলাফল ‘হ্যাঁ’ হলে সে ক্ষেত্রে ওই চালকের নাম, গাড়ির নম্বর, লাইসেন্স নম্বর ও পরীক্ষাকারী পুলিশ কর্মকর্তার নাম, ব্যাজ নম্বর ও দায়িত্বরত ইউনিটের নাম যন্ত্রটিতে লিখে দিলে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই ওই চালক ও পুলিশ কর্মকর্তার সব তথ্যসহ একটি প্রিন্ট কপি বের হবে।

    যে কাগজ দিয়েই মোটরযান আইনের ১৪৪ ধারায় অভিযুক্ত চালকের বিরুদ্ধে মামলা ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। এছাড়াও স্পিডগান মিটার সহ আরো উন্নত প্রযুক্তি সংযোজিত হয়েছে হাইওয়ে পুলিশে।