Tag: আইইডিসিআর

  • খেজুরের কাঁচা রস খাওয়া যাবেনা: আইইডিসিআর

    খেজুরের কাঁচা রস খাওয়া যাবেনা: আইইডিসিআর

    বাদুড়ের মুখের নিঃসৃত লালা এমনকি তাদের মলমূত্র খেজুরের রসের সঙ্গে মিশে যায়। এ রস কাঁচা খেয়ে নিপাহ ভাইরাস সরাসরি মানুষের মধ্যে সংক্রমিত করে। এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যু ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই এখনই সংক্রমণ ঠেকানো না গেলে এ রোগ মহামারি রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। তাই খেজুরের কাঁচা রস খাওয়া নিষেধ করল সংস্থাটি।

    রোববার (১০) ডিসেম্বর রাজধানীর মহাখালীর রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) অডিটোরিয়াম ‘নিপাহ ভাইরাসের বিস্তার এবং ঝুঁকিবিষয়ক অবহিতকরণ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআর জানিয়েছে, গত এক বছরে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সবচেয়ে বেশি মানুষ। মৃত্যুর হার ৭১ শতাংশ। গত ৭ বছরে দেশে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৩৩৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ২৪০ জন। এ ছাড়া গত এক বছরে আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে প্রাণ গেছে ১০ জনের।

    আইইডিসিআরের তথ্য বলছে, ২০০৪ সালে দেশে প্রথম শনাক্ত হয় নিপাহ ভাইরাস। এরপর থেকেই শীতকালে বাড়তে থাকে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।

    আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন জানিয়েছেন, মানুষ যাতে কাঁচা রস না খায়- এই ব্যাপারে ব্যাপক প্রচারণা প্রয়োজন। রসের জন্য নিরাপত্তা দিলেও (বিক্রেতারা) আসলে কিন্তু রিয়েল নিরাপত্তা হয় না। বিশেষ করে অনলাইনে কাঁচা রস ক্রয় বন্ধসহ উৎসাহ কমাতে হবে।

    ওয়ান হেলথের ড. নীতিশ দেবনাথ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সবাইকে সচেতন করার কাজ করছি; কিন্তু সচেতনতা তৈরি হয়নি। নিপাহ ভাইরাস সাধারণত বাদুড় থেকে ছড়ায়; কিন্তু কমপ্লেক্স প্রক্রিয়াতেও সেটি ঘটতে পারে। যেমনটা প্রথম সংক্রমণের ক্ষেত্রে দেখেছি। বাদুড়ের খাওয়া ফল থেকে শূকর, আর শূকর থেকে মানুষে ছড়িয়েছে।

    নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। তাই দ্রুত শনাক্ত হলে বেঁচে যাবেন তা বলা কঠিন। আবার যারা বেঁচে যান, তারা পঙ্গুত্ব বরণ করছেন। প্রতিরোধ ছাড়া নিপাহ থেকে মুক্তির সুযোগ নেই। শীতে রস উৎসব বা বন্ধুবান্ধবদের খেজুরের রস খাচ্ছি। এটি বন্ধের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, নিপাহ রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করতে চায় না। কারণ সেবাদানকারীরও আক্রান্ত্রের ঝুঁকিতে থাকেন। এ অবস্থায় হাসপাতালগুলোর উচিত একটি ওয়ার্ড ডেডিকেটেড করা, যাতে রোগীকে আইসোলেটেড করা যায়।

    আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. শাহদাত হোসেন, পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা) ডা. আবুল হোসেন, মঈনুল হোসেন প্রমুখ।

    প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে দেশে প্রথম নিপাহ ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় মেহেরপুর জেলায়। এরপর ২০০২, ২০০৬ ও ২০১৬ সাল ছাড়া প্রতিবছরই রোগী শনাক্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ২০০৪ সালে। ওই বছর ৬৭ জন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

  • আইইডিসিআরে পজিটিভ, পুলিশ হাসপাতালে নেগেটিভ

    আইইডিসিআরে পজিটিভ, পুলিশ হাসপাতালে নেগেটিভ

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন আইইডিসিআরে কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) পজিটিভ হলেও পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে পরীক্ষার ফলাফলে তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

    রোববার (১৫ নভেম্বর) রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর একটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য মন্ত্রী মহোদয় ও সচিব স্যার গতকাল (শনিবার) করোনা পরীক্ষা করতে আইইডিসিআরে (রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান) নমুনা দেন। পরীক্ষায় দুজনেরই ফলাফল কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আরও নিশ্চিত হতে আজ (রোববার) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে দু’জনেই আবার নমুনা দেন। সন্ধ্যায় পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যায়, তাতে দুজনই নেগেটিভ হন। এখন তৃতীয় কোন স্থানে পরীক্ষা করা হবে কিনা সেটা মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে কথা বললে জানতে পারব।’

    জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, ‘দু’জনেই সুস্থ আছেন। শারীরিক কোন জটিলতা নেই। অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে তারা বাসায় আইসোলেশনে আছেন।’

    স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে এ পর্যন্ত ৬ হাজার ১৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২১ জন।

    স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৬টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৬০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ ছাড়া নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৪ হাজার তিনটি। এ পর্যন্ত দেশে মোট ২৫ লাখ ৪১ হাজার ১৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময় নতুন রোগী শনাক্ত হয় এক হাজার ৮৩৭ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩৩৩ জন।

  • করোনা পরীক্ষার নমুনা আর নেবে না আইইডিসিআর

    করোনা পরীক্ষার নমুনা আর নেবে না আইইডিসিআর

    করোনাভাইরাসে মানুষকে সচেতন করতে ও করোনা শনাক্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) আর নমুনা সংগ্রহ করবে না। প্রতিষ্ঠানটি গবেষণার কাজে মন দেবে।

    এখন থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতর নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয়ের কাজটি করবে।

    রোববার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। এমনটি জানিয়েছেন আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন। তিনি করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আইইডিসিআরের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন।

    তিনি বলেন, এখন থেকে আইইডিসিআর শুধু গবেষণার অংশ হিসেবে নমুনা সংগ্রহ করবে। রোগীর রোগ নির্ণয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ আইইডিসিআরের কাজের মধ্যে পড়ে না। আসলে আইইডিসিআর এপিডেমিওলজিক্যাল সার্ভিলেন্সের অংশ হিসেবে নমুনা সংগ্রহ করে। কমিউনিটি লেভেলে রোগ নির্ণয়ের জন্য যে নমুনা পরীক্ষা, তার দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদফতর নিয়ে নিয়েছে। তারা এখন থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে এবং আইইডিসিআরের বাইরে অন্য ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করবে।

    ডা. মুশতাক হোসেন জানান, নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে বিস্তারিত গবেষণার জন্য যে নমুনা সংগ্রহ করা প্রয়োজন, সেগুলোই শুধু করবে আইইডিসিআর।

    আইইডিসিআরসহ দেশের ৩১টি গবেষণাগারে কোভিড-১৯ শনাক্ত পরীক্ষা চলছিল। এখন আইইডিসিআর এই দায়িত্ব থেকে সরে গেল।

    রোববার নাগাদ দেশে যে ৮১ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয়, তার প্রায় ১৩ হাজারই পরীক্ষা করা হয় আইইডিসিআরের পরীক্ষাগারে।

    স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বিবিসিকে বলেন, সারা দেশে এই ভাইরাস সংক্রমণের পরিধি বেড়েছে এবং ভবিষ্যতে এটা আরও বাড়বে বলে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

    তিনি বলেন, আইইডিসিআর এখন থেকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও এর নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে গবেষণা কাজ পরিচালনা করবে।

    গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর চীনের উহানে কোভিড-১৯ ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশে এই রোগ প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় ভূমিকারেখে আসছে আইইডিসিআর।

    করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেয়ার আগেই বাংলাদেশে কারও এই ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে কি না, তা আইইডিসিআরের ল্যাবরেটরিতেই পরীক্ষা হয়। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত করে তারা।

    সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশে রোববার নাগাদ ৯ হাজার ৪৫৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭৭ জনের। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১ হাজার ৬৩ জন। যদিও একদিন আগে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১৭৭ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ১৩৯,মৃত্যু ৪

    দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ১৩৯,মৃত্যু ৪

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ : দেশে বিগত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরও ৪ জনের মুত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩৪। এছাড়া নতুন করে আরও ১৩৯ জন জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৬২১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলো বাংলাদেশে।

    রোববার (১২ এপ্রিল) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইন সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

    তিনি বলেন, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৯৬ জন পুরুষ ও ৩৯ জন নারী। ঢাকা শহরে নতুন করে ৬২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত চার জনের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে ২ জন, ৬০ বছর বয়সী একজন এবং ৭০ বছরের উপরে একজন। তিনজন পুরুষ ও একজন মহিলা।

    আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, আক্রান্ত ৬২১ জনের শতাংশ হিসেবে ঢাকা সিটিতে ৫০ শতাংশ, ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলায় ৩৫ শতাংশ। চট্টগ্রামে ৬ শতাংশ। বাকি অন্যান্য জেলা। নতুন করে তিনটি জেলায় লক্ষীপুর, লালমনিরহাট ও ঝালকাঠিতে করোনার রোগী পাওয়া গেছে।

    অনলাইন ব্রিফিংয়ে পরিচালনা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) সানিয়া তাহমিনা।

    তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ২৫১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকায় ৬৬১ জনের , ঢাকার বাইরে ৪৯০ জনের। একদিনে নমুনা সংগ্রহ বেড়েছে ৩৮৬ জনের। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছে ২০ হাজার ৫২৫ জন।

    দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

    করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্তের সংখ্যা গতকালের চেয়ে আজ বেড়েছে। মৃত্যুও বেড়েছে। গতকাল শনিবার (১১ এপ্রিল) করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৫৮ জন, মৃত্যু ছিল ৩ জন।

  • করোনা : দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৩,আক্রান্ত ৫৪

    করোনা : দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৩,আক্রান্ত ৫৪

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ : দেশে বিগত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মুত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২০। এছাড়া নতুন করে আরও ৫৪ জন জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২১৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলো বাংলাদেশে।

    বুধবান (০৮ এপ্রিল) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইন সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

    তিনি বলেন, সারাদেশে ৯৮৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৮১টি পরীক্ষা করে ৫৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    নতুন সংক্রমিত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রাজধানীতেই ৩৯ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

    বাকিরা ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলার। নতুন শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ৩৩ জন ও মহিলা ২১ জন।

    গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৬ জনকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে।

    এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৪১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও পাঁচ জন।

  • দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি, সর্বমোট ১২৩

    দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি, সর্বমোট ১২৩

    নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে নতুন করে আরো ৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে আইইডিসিআর। দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ২৯ জনের শরীরে করোনা সনাক্তের কথা জানান। নতুন ছয়জন সহ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৫ জনে। দেশে সর্বমোট আক্রান্ত ১২৩ জন।

    সোমবার (৬ এপ্রিল) আইডিসিআর অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।

    এ সময় আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো ৩৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে সর্বমোট করোনা রোগী শনাক্ত ১২৩ জন।

    এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নতুন করে ২৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত এবং ৪ জনের মারা যাওয়ার কথা জানান।

    এছাড়া নতুন করে আরো ২৯ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।

    বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এরপর দিনে দিনে সংক্রমণ বেড়েছে।

  • দেশে করোনা ভাইরাসে আরও একজনের মৃত্যু,নতুন আক্রান্ত ৩

    দেশে করোনা ভাইরাসে আরও একজনের মৃত্যু,নতুন আক্রান্ত ৩

    দেশে করোনাভাইরাসে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬জনে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন আরও ৩ ব্যক্তি। এ নিয়ে মোট সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে। ভাইরাসটি থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও একজন। ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ২৬ জন।

    বুধবার (১ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।

    বাংলাদেশে এই মুহূর্তে আইসোলেশনে রয়েছেন ৭৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৯ জনকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে।

    এ পর্যন্ত মোট ২৯৫ জনকে আইসোলেশনেও আওতায় আনা হয়েছে।

  • দেশে আরও দুই জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত

    দেশে আরও দুই জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত

    গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও দুই জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বমোট ৫১ জন।

    আজ মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) বিকাল ৩টার দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

    তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই কেউ এখন ঘরের বাইরে যাবো না। অত্যন্ত প্রয়োজন হলে মাস্ক ব্যবহার করে বাইরে যেতে হবে। কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।’

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্টের (পিপিই) কোনো অভাব হবে না। আমরা প্রতিদিনই পিপিই সংগ্রহ করছি। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। আমাদের কিট সংগ্রহের প্রক্রিয়াও অব্যাহত রয়েছে।’

  • দেশে আরও একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত,মোট আক্রান্ত ৪৯

    দেশে আরও একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত,মোট আক্রান্ত ৪৯

    বাংলাদেশে আরও একজনের শরীরে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।

    সোমবার (৩০ মার্চ) করোনা ভাইরাস নিয়ে অনলাইনে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

    তিনি জানান, এই নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৪৯ জনের শরীরে। এদের মধ্যে মারা গেছেন পাঁচজন এবং সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৯ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৪ জন।

    ব্রিফিংয়ে ফ্লোরা বলেন, গেল ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৫৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, যাদের পরীক্ষা শেষে একজনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ভাইরাস শনাক্ত হলো ৪৯ জনের শরীরে। তবে এই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন আরও চারজন। এদের মধ্যে তিনজনই ষাটোর্ধ্ব।

    তিনি বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা যাদের বাড়িতে থাকতে বলছি তারা অবশ্যই বাড়িতে থাকেন। যদি বের হতেই তবে মাস্ক পরে বের হন।

    তিনি আরও বলেন, নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য কয়েকটি টিম গঠন করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা গেলে আইইডিসিআরের হটলাইন কিংবা জেলা পর্যায়ের হট লাইনেও যোগাযোগ করার সুযোগ রয়েছে। সুতরাং আপনারা সরাসরি হাসপাতালে না গিয়ে হট লাইনে যোগাযোগ করুন। আমরা আবারও অনুরোধ করছি, আমাদের দেয়া পরামর্শগুলো মেনে চলার জন্য।

    এর মধ্যেই ৯২ হাজার টেস্ট কিট সংগ্রহ করা হয়েছে বলে এসময় জানায় সংস্থাটি। এছাড়া দেশের প্রায় সকল মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনার নমুনা সংগ্রহের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলেও জানায় সংস্থাটি।

    এদিকে, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩৩ হাজার ৯৬৬ জন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ২১ হাজার ৯৫৬ জনের শরীরে।

    আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৩১২ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৬৭৮ জন। এদের মধ্যে ৫ লাখ ৯ হাজার ৮৮৯ জনের অবস্থা স্থিতিশীল এবং ২৬ হাজার ৭৮৯ জনের অবস্থা গুরুতর।

    এখন পর্যন্ত এ ভাইরাস সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৪৭ জনের শরীরে। সেখানে মারা গেছেন ২ হাজার ৪৮৪ জন।

    আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ইতালিতে। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭ হাজার ৬৮৯ জন। সেখানে মারা গেছেন ১০ হাজার ৭৭৯ জন।

    ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৪৩৯ জন এবং মারা গেছেন ৩ হাজার ৩০০ জন।

  • দেশে নতুন করোনা আক্রান্ত নেই

    দেশে নতুন করোনা আক্রান্ত নেই

    বাংলাদেশে নতুন করে কারো দেহে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

    রোববার (২৯ মার্চ) দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরে রাজধানীর মহাখালী থেকে অনলাইনে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

    সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের কারো দেহে করোনা শনাক্ত হয়নি। যারা চিকিৎসাধীন ছিলেন তাদের মধ্যে ১৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখনও চিকিৎসাধীন ২৮ জন।

    এর আগে শনিবার (২৮ মার্চ) আইইডিসিআর জানায়, দেশে নতুন করে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি। এখন পর্যন্ত দেশে ৪৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচ জন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ১১ জন এবং চিকিৎসাধীন ৩২ জন।

    অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪০ জন। মারা গেছেন ৩০ হাজার ৮৭৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৪২ হাজার ১৮৩ জন।

    বর্তমানে ৪ লাখ ৯০ হাজার ৬৭৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৪১৭ জনের অবস্থা স্থিতিশীল এবং ২৫ হাজার ২০৭ জনের অবস্থা শঙ্কটাপন্ন।

  • দেশে করোনায় নতুন আক্রান্ত নেই, সুস্থ আরও ৪

    দেশে করোনায় নতুন আক্রান্ত নেই, সুস্থ আরও ৪

    বাংলাদেশে নতুন করে নভেল করোনাভাইরাসের কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও চারজন।

    শনিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

    গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কারও মৃত্যু বা আক্রান্তের তথ্য না আসায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮ এবং মৃতের সংখ্যা আগের মতই পাঁচজন আছে বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট- আইইডিসিআর।

    ফ্লোরা বলেন, নতুন করে কারো শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়নি। সুতরাং গতকাল পর্যন্ত যে ৪৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা বলা হয়েছিল সংখ্যাটা তাই আছে। এছাড়া আক্রান্তের মধ্যে আরও চারজন সুস্থ হয়েছেন। সবমিলিয়ে মোট ১৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হলেন।

    ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিন চীনের উহান শহরে প্রথমে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর সেখানে ভয়াবহ আকার ধারণ করে ভাইরাসটি।

    উহান থেকে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ইতোমধ্যে ১৯৮টির মতো দেশ ও অঞ্চলে ভয়াবহ আকার ধারণ করে ভাইরাসটি। এসব দেশ ও অঞ্চলে ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয় ২৭ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্তের সংখ্যাও প্রায় ছয় লাখ।

    গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানায় আইইডিসিআর। এরপর আরও ৪৮ জনের শরীরে করোনা পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে পাঁচজন মারা যায়।

    গত ২৪ ঘণ্টার দেশে নতুন করে আর কারো শরীরে করোনা শনাক্ত হয়নি বলে তথ্য জানানো হয় আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে।

    সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, এখন পর্যন্ত যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের মধ্যে নয়জন পুরুষ এবং ছয়জন নারী।

    সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪৭ জন।

    ঢাকার বাহিরে চট্টগ্রামেও করোনা পরীক্ষা করা যাবে বলে জানান ফ্লোরা।

  • সিদ্ধান্ত পরিবর্তন, বিকেলে ব্রিফিং করবে আইইডিসিআর

    সিদ্ধান্ত পরিবর্তন, বিকেলে ব্রিফিং করবে আইইডিসিআর

    আজ স্বাধীনতা দিবসের দিন (২৬ মার্চ) করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিং করবে না জানানোর এক ঘণ্টা না যেতেই সিদ্ধান্ত পাল্টেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।

    বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার পর আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানিয়েছিলেন, সংস্থাটি আজ নিয়মিত ব্রিফিং করবে না। তবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকেই তিনি আবার জানান, আজ ব্রিফিং হচ্ছে এবং তা হবে বিকেল সাড়ে ৩টায়।

    এর আগে গেল রোববারও (২২ মার্চ) সংস্থাটি জানায়, তারা ওইদিন ব্রিফিং করবে না। তবে ওইদিনও কিছুক্ষণ পরই সিদ্ধান্ত পাল্টায় তারা। পরবর্তীতে ব্রিফিংও করে।

    প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিয়মিত ব্রিফিং করে আসছে আইইডিসিআর। ব্রিফিংয়ে এ ভাইরাসে বিশ্ব ও বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য দেয় সরকারি এ সংস্থাটি। এছাড়া এ ভাইরাস নিয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে কীভাবে মুক্ত থাকা যায় সে বিষয়েও দিক-নির্দেশনা দিয়ে আসছে তারা।

    বুধবার সর্বশেষ ব্রিফিংয়ে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে মারা গেছেন পাঁচজন, সুস্থ হয়েছেন ৭ জন এবং চিকিৎসাধীন ২৭ জন।

    অন্যদিকে, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ২০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে এ ভাইরাস যাদের শরীরে শনাক্ত হয়েছে তাদের ১ লাখ ১৪ হাজার ২১৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এছাড়া ভাইরাসটি মোট শনাক্ত হয়েছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯০৫ জনের শরীরে।
    বর্তমানে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪৮৭ জনের শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে। চিকিৎসাধীন এসব মানুষের মধ্যে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৫ জনের অবস্থা স্থিতিশীল এবং ১৪ হাজার ৭৯২ জনের অবস্থা গুরুতর।

    ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ২৮৫ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ২৮৭ জন। দেশটিতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ জন এবং নতুন মৃতের সংখ্যা ছয়।

    ভাইরাসটিতে ইতালিতে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে মারা গেছেন ৭ হাজার ৫০৩ জন। এদের মধ্যে ৬৮৩ জন মারা গেছেন গেল ২৪ ঘণ্টায়। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪ হাজার ৩৮৬ জন।