Tag: আইইডিসিআর

  • আইইডিসিআর আজ ব্রিফিং করবে না

    আইইডিসিআর আজ ব্রিফিং করবে না

    স্বাধীনতা দিবসের দিন (২৬ মার্চ) করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিং করবে না সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।

    বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকালে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

    করোনা ভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিয়মিত ব্রিফিং করে আসছে আইইডিসিআর। ব্রিফিংয়ে এ ভাইরাসে বিশ্ব ও বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য দেয় সরকারি এ সংস্থাটি। এছাড়া এ ভাইরাস নিয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে কীভাবে মুক্ত থাকা যায় সে বিষয়েও দিক-নির্দেশনা দিয়ে আসছে তারা।

    তবে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের দিন ব্রিফিংয়ে না আসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন।

    এদিকে বুধবার সর্বশেষ ব্রিফিংয়ে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে মারা গেছেন পাঁচজন, সুস্থ হয়েছেন ৭ জন এবং চিকিৎসাধীন ২৭ জন।

    অন্যদিকে, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ২০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে এ ভাইরাস যাদের শরীরে শনাক্ত হয়েছে তাদের ১ লাখ ১৪ হাজার ২১৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এছাড়া ভাইরাসটি মোট শনাক্ত হয়েছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯০৫ জনের শরীরে।

    বর্তমানে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪৮৭ জনের শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে। চিকিৎসাধীন এসব মানুষের মধ্যে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৫ জনের অবস্থা স্থিতিশীল এবং ১৪ হাজার ৭৯২ জনের অবস্থা গুরুতর।

    ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ২৮৫ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ২৮৭ জন। দেশটিতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ জন এবং নতুন মৃতের সংখ্যা ছয়।

    ভাইরাসটিতে ইতালিতে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে মারা গেছেন ৭ হাজার ৫০৩ জন। এদের মধ্যে ৬৮৩ জন মারা গেছেন গেল ২৪ ঘণ্টায়। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪ হাজার ৩৮৬ জন।

  • বাংলাদেশে করোনায় প্রথম এক জনের মৃত্যু,নতুন ৪জনসহ আক্রান্ত ১৪

    বাংলাদেশে করোনায় প্রথম এক জনের মৃত্যু,নতুন ৪জনসহ আক্রান্ত ১৪

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো একজনের মৃত্যু হয়েছে।

    বুধবার (১৮ মার্চ) বিকেলে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

    তিনি জানান, দেশে এখন পর্যন্ত ১৪ জনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন আক্রান্ত চারজনের একজন নারী ও তিনজন পুরুষ। আরো খবর : দেশে আরও এক করোনা রোগী শনাক্ত

    তিনি বলেন, যিনি মারা গেছেন, তার বয়স ৭০ বছরের ওপরে। তিনি হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)ছিলেন।

    ‘তিনি নানা শারিরীক জটিলতায় ভুগছিলেন। তার কিডনি রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ফুসফুসে সমস্যা এবং হার্টের অসুখ ছিল। হার্ট সমস্যার কারণে সম্প্রতি তার স্টেনটিং বা রিং পরানো হয়।’

    আজকের সংবাদ সম্মেলনে ফ্লোরা বলেন, ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজার ৩৪১ জনের পরীক্ষা হয়েছে। সন্দেহজনক ধরে আরো ১৬জনকে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ প্রথম তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।

  • করোনা চিকিৎসায় ১৫০ আইসিইউ প্রস্তত : ডা. ফ্লোরা

    করোনা চিকিৎসায় ১৫০ আইসিইউ প্রস্তত : ডা. ফ্লোরা

    দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য রাজধানীতে ১৫০টি নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

    বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সবশেষ পরিস্থিতি জানাতে মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলনকক্ষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

    মীরজাদী বলেন, রোজ এক হাজার করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষা করার সক্ষমতা রয়েছে আমাদের। প্রতিনিয়ত কিট আসছে দাতা সংস্থাগুলো থেকে।

    সেব্রিনা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআরের হটলাইনে কল এসেছে ৪ হাজার ২০৫টি। এর মধ্যে করোনা সংক্রান্ত ছিল ৪ হাজার ১৬৪টি। এ ছাড়া সর্বমোট ২৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তারা হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন। সব মিলিয়ে হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন ১৬ জন। ৪৩ জন আছেন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে।

    বাংলাদেশে নতুন করে আরও দুজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে নতুন করে আরও দুজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের দুজনই পুরুষ। তাদের মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে, একজন ইতালিফেরত।

    এর আগে সোমবার তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দুটি শিশু ও একজন নারী। সব মিলিয়ে এখন এই রোগে ১০ জন আক্রান্ত হলেন। এদের মধ্যে তিনজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাদের দুজন বাড়ি চলে গেছেন।

  • দেশে আরও দু’জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত

    দেশে আরও দু’জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত

    দেশে নতুন করে আরও দু’জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বেগী শনাক্ত করা হয়েছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।

    মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আইইডিসিআর’র পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ জনের নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে পরীক্ষা করার পর এ দুজনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

    ডা. ফ্লোরা জানান, নতুন করে যে দুজন আক্রান্ত হয়েছেন, তারা পুরুষ। একজন ইতালি থেকে আসা, আরেকজন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছেন। একজন ছিলেন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে, আরেকজন একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি একজন আক্রান্তের সংস্পর্শে থেকে সংক্রমিত হয়েছেন। দেশে এখন মোট ১৬ জন আইসোলেশনে আছেন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টইনে আছেন ৪৩ জন।

    এ নিয়ে দেশে মোট ১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত করা হল।

  • দেশে নতুন আরও তিন জন করোনা রোগী শনাক্ত

    দেশে নতুন আরও তিন জন করোনা রোগী শনাক্ত

    দেশে নতুন করে আরও তিন জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮।

    আজ সোমবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীর আইইডিসিআর-এর কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, ‘গতকাল নমুনা পরীক্ষার পর আরও তিন জনের মধ্যে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সর্বমোট আট জনের ভেতরে এখন করোনার উপস্থিতি রয়েছে। আগে করোনায় আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হয়েছিলেন এমন একজনের পরিবারের সদস্য হলেন আক্রান্ত নতুন তিন জন। এদের মধ্যে এক জন নারী ও দুজন শিশু রয়েছে।’

    মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘আমরা আবারও অনুরোধ করছি, যারা বাইরে থেকে আসছি, তারা যাতে পরিবারের কাছ থেকেও দূরত্ব বজায় রাখি। আমরা হোম কোয়ারেন্টিন করাটা নিশ্চিত করতে পারবো। কিন্তু, পরিবারের ক্ষেত্রে পরিবারেরও ভূমিকা নিতে হবে। যদি সেক্ষেত্রে পালন করা সম্ভব না হয়, তাহলে আমাদের প্রাতষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে।’

    ‘যে তিন জন নতুন শনাক্ত হয়েছে তাদের আমরা হাসপাতালে এনেছি। তাদের মধ্যে উপসর্গ মৃদু। তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো। কিন্তু, তাদের কাছ থেকে যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তাই তাদের আমরা আইসোলেশন ও পর্যবেক্ষণে রেখেছি’, যোগ করেন তিনি।

  • দেশে নতুন করোনা আক্রান্ত নেই

    দেশে নতুন করোনা আক্রান্ত নেই

    বাংলাদেশে নতুন করে কারও শরীরে করোনা ভাইরাসের (কভিড-১৯) উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। শুক্রবার (১৩ মার্চ) সকালে রাজধানীর মহাখালীতে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

    তিনি জানান, করোনা ভাইরাসের উপসর্গ আছেন এমন ১৮৭ জনের পরীক্ষা করে আগের তিনজন বাদে কারও শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনের পরীক্ষা করা হলে তাদের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।

    এদিকে সৌদি যেতে করোনামুক্ত এমন স্বাস্থ্য সনদের দরকার নেই বলেও জানান তিনি।

    ফ্লোরা বলেন, এখন পর্যন্ত করোনার জন্য খোলা হটলাইনে মোট ৪ হাজার ২১২টি কল এসেছে। তবে অভিযোগ রয়েছে নাম্বার ব্যস্ত পাওয়ার।

    করোনার উপসর্গ রয়েছে এমন কাউকে আইইডিআরে সরাসরি না গিয়ে আগে হট লাইনে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, কারও শরীরে যদি করোনা ভাইরাসের উপসর্গ থাকে এবং তিনি যদি সরাসরি সেখানে আসেন তবে সুস্থ কেউও আক্রান্ত হতে পারেন।

  • বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত ৩ জনের মধ্যে ২জন সুস্থ

    বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত ৩ জনের মধ্যে ২জন সুস্থ

    দেশে নতুন করে কারও শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এছাড়া আগের যেই তিনজন এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন মঙ্গলবার (১০ মার্চ) তাদের পুনঃপরীক্ষা করে দু’জনের ফল নেগেটিভ পাওয়া গেছে। তারা এখন সুস্থ। শিগগিরই তাদের ছাড়পত্র দেয়া হবে।

    বুধবার (১১ মার্চ) করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

    তিনি জানান, গেল ২৪ ঘণ্টায় করোনার জন্য চালু করা নম্বরে ৩ হাজার ২৩২টি কল এসেছে, যার মধ্যে ৩ হাজার ১৪৫টিই করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত। এখন পর্যন্ত ১৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে নতুন করে কারও শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

    তিনি আরও জানান, বর্তমানে ওই তিনজন চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং আটজন আইসোলেশনে রয়েছেন।

    সেব্রিনা বলেন, আগে যে তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল তাদের পুনঃপরীক্ষা করা হয়েছে এবং তাদের দু’জনের ফলাফল নেগেটিভ আছে।

  • করোনা সংক্রান্ত হটলাইন নাম্বার

    করোনা সংক্রান্ত হটলাইন নাম্বার

    দেশে তিনজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে আইইডিসিআর।

    রোববার (৮ মার্চ) দুপুরে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান।

    করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে তিনি বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে তাদের সঙ্গে দেশ কিংবা বিদেশ থেকে যোগাযোগের জন্য হটলাইন নন্বরও চালু রয়েছে।

    আইইডিসিআর সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহ, লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিলে সরাসরি জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সেক্ষেত্রে আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরে ফোন করলে বিদেশে কিংবা দেশের বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবে তারা।

    এ বিষয়ে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘যারা আক্রান্ত দেশ থেকে ভ্রমণ করে এসেছেন এবং যাদের মধ্যে করোনার লক্ষণ জ্বর. কাশি, গলাব্যথা বা শ্বাসকষ্টের উপসর্গ রয়েছে, তারা আমাদের হটলাইনে যোগাযোগ করবেন। অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে যাবেন। হটলাইন নম্বরগুলো হলো- ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯৩৭১১০০১১।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা যদি কোনো গণপরিবহনে আসেন, তাহলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকবে। এ কথাটা এজন্য বলছি, সন্দেহজনক তালিকায় যারা থাকেন, তাদের মধ্যে লক্ষণ ও উপসর্গগুলো রয়েছে। প্রথমে ধরে নিতে হয়, তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাস থাকতে পারে।’

    আইইডিসিআর মহাপরিচালক বলেন, ‘সেজন্য আমরা আক্রান্তদের অনুরোধ করব, আপনারা গণপরিবহন ব্যবহার না করে, আপনারা যদি মৃদু অসুস্থ থাকেন, তাহলে বাড়িতেই থাকুন। আমাদের সঙ্গে হটলাইনে যোগাযোগ করুন। আমাদের টিম আপনাদের বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে এসে পরীক্ষা করবে। এছাড়া বিদেশে অবস্থিত কোনো বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহ করলে আমাদের হটলাইনে তা ফোন করে বললে আমরা সেখানেও নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করব।’

    ৪৩টি দেশে স্থানীয় সংক্রমণের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়েছে জানিয়ে আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, ‘বাইরের দেশ থেকে আক্রান্ত রোগী আসার পর ওই রোগীর সংস্পর্শে এসে সেই দেশে যারা আক্রান্ত হয়, তাকে স্থানীয় সংক্রমণ বলা হয়। তিনি বিদেশে যাননি কিন্তু বিদেশ থেকে আসা আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়ে থাকেন, এরকম স্থানীয় সংক্রমণের ইতিহাস রয়েছে ৪৩টি দেশে। এই ৪৩টি দেশের মধ্যে ৩৩টি দেশে আমরা দেখতে পাচ্ছি নতুন রোগী রয়েছে। দশটি দেশে বেশ কিছুদিন ধরে নতুন করে আক্রান্ত হয়নি।’

    ইতালির মতো দেশেও বাড়িতে বসে চিকিৎসা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাড়িতে বসে চিকিৎসা করা সম্ভব। বাড়িতে যদি আইসোলেশন নিশ্চিত করতে পারে বাড়িতে চিকিৎসা করা সম্ভব। সুতরাং আমরা সাবধান হবো। আতঙ্কিত হবো না।’

  • বাংলাদেশে তিন করোনা রোগী শনাক্ত

    বাংলাদেশে তিন করোনা রোগী শনাক্ত

    চীনের উহান থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) ছড়িয়ে পড়ার আড়াই মাস পর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই ভাইরাসে তিনজন আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।

    রবিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে এসে আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা এতথ্য জানিয়ে বলেন, ‘আক্রান্তদের হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।’

    সেব্রিনা বলেন, ‘আক্রান্তদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। এদের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী একই পরিবারের।’

    আইইডিসিআর পরিচালক জানান, সম্প্রতি দুজন ইতালি প্রবাসী দেশে আসেন। তাদের একজনের মাধ্যমে পরিবারের নারী সদস্য আক্রান্ত হন।

    তিনি বলেন, আক্রান্ত তিনজন রোগীর অবস্থায়ই স্থিতিশীল। তারা ভালো আছেন। তবে আইসোলেশনে থাকবেন।

    তিনি বলেন, ‘এই প্রবাসীরা কোথায় কোথায় গিয়েছেন, কাদের কাদের সঙ্গে মিশেছেন খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। আক্রান্তদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।’

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীনের উহানে প্রথম নিউমোনিয়াসদৃশ এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। এরপর একে একে ১০২টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাসের সংক্রমিত রোগী সন্ধান মিলেছে।

  • অজানা রোগঃ ঠাকুরগাঁওয়ে আইইডিসিআর’র পরিদর্শন টিম

    অজানা রোগঃ ঠাকুরগাঁওয়ে আইইডিসিআর’র পরিদর্শন টিম

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃঅজানা রোগে দুই গৃহবধূর মৃত্যু আরো তিনজন অসুস্থ হয়ে আছেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায়।এঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছেন ঢাকা থেকে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল টিম।

    মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল টিম নিহতদের বাড়িতে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলেন এবং তথ্য সংগ্রহ করেন। সেই সাথে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা তিনজনের সাথেও কথা বলেছে টিমটি।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন,ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার, ঢাকা রোগতত্ত্ব বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ওমর কাইয়ুম, কাজী তাহমিনা করিম, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট কাজী মাসুম, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মনির উদ্দীন ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মো. আবুল কাশেম।

    ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান জানান, আজকে ঢাকা থেকে যে টিমটি এসেছে তারা ইতিমধ্যে চিকিৎসাধীন রোগীদের সাথে কথা বলেছে। তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। বর্তমানে ঘটনাস্থলে এসে এই টিমটি বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে। এরপর তারা এই তথ্য ও নমুনাগুলো ঢাকায় নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করবেন। পরীক্ষা শেষে রিপোর্ট দিলে বুঝা যাবে মৃত্যুর রহস্য।

    অজানা রোগে নিহতরা হলেন- বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সনগাঁও গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী মিনা (৩৫) ও একই পরিবারের হাজিরুল ইসলামের স্ত্রী পুশিনা (৩২)।

    অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন মৃত গিয়াস উদ্দীনের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৩৪), মফিজুল ইসলামের স্ত্রী আলিয়া (৩২) ও নিহত মিনা বেগমের মেয়ে তানজিনা।

    পরিবারের সদস্যরা জানান, শুক্রবার রাতে হঠাৎ করেই মারা যায় হাফিজুলের স্ত্রী মিনা। এরপর শনিবার রাতে হাজিরুলের স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বালিয়াডাঙ্গী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার পরে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হলে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনিও মারা যান। পরে পরিবারের আরও তিন সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

  • বিদেশ ফেরতদের বন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে : আইইডিসিআর

    বিদেশ ফেরতদের বন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে : আইইডিসিআর

    ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি করায় মারাত্মক করোনভাইরাস ছড়িয়ে পড়া থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে এখন থেকে দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে আগত সকল যাত্রীকে সম্পূর্ণ স্ক্যান করা হবে।

    এখন থেকে, আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত সকল যাত্রীদের স্ক্যান করব কারণ ভাইরাসটি এখন পর্যন্ত ২৫ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

    আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদি সাব্রিনা ফ্লোরা আজ তার কার্যালয়ে এক ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন, সুতরাং আরও সতর্কতা হিসাবে, এখন থেকে আমরা বিদেশ ফেরত সকল যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করব।

    ডা. ফ্লোরা পরিস্থিতি নিয়ে লোকজনকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য, সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

    আইইডিসিআর, দেশের রাষ্ট্র পরিচালিত রোগ পর্যবেক্ষণ শাখা, ২১ শে জানুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত চীন থেকে আগত ৮ হাজার ৩ শ’ ৯৬ জনকে স্ক্যান করেছে এবং তারা সকলেই নিরাপদ।

    ভাইরাস সম্পর্কে যে কোনও ধরণের বিভ্রান্তি সমাধান করতে এবং এই রোগের মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে রোগ নিরীক্ষণ শাখাটি ইতোমধ্যে চারটি হটলাইন নম্বর চালাচ্ছে -০১৯৩৭১১০০১১, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯২৭৭১১৭৮৪ এবং ০১৯২৭৭১১৭৮৫।

  • চীন থেকে ফেরা কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয়

    চীন থেকে ফেরা কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয়

    চীন থেকে বাংলাদেশে ফেরা ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, এদের মধ্যে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয় বলে জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

    আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআর-এর কার্যালয়ে এতথ্য জানিয়েছেন তিনি।

    মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘চীন থেকে দেশে ফেরা ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, এদের মধ্যে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয়।’

    এখন পর্যন্ত চীন থেকে আসা ৮ হাজার ৩৯৬ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে এ বিষয়ে আগের মতো সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলেন আইইডিসিআর পরিচালক।

    মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, দেশের সব স্থলবন্দরে স্ক্রিনিং মেশিন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে চীন থেকে আসা সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।