Tag: আইএসপিআর

  • নারীদের সঙ্গে অনৈতিক মেলামেশা, জেনারেল সারওয়ার্দীকে সেনা এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষণা: আইএসপিআর

    নারীদের সঙ্গে অনৈতিক মেলামেশা, জেনারেল সারওয়ার্দীকে সেনা এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষণা: আইএসপিআর

    একাধিক মেয়ের সঙ্গে মেলামেশা, সেনাবাহিনীর নিয়মবহির্ভুত কার্যকলাপ করাসহ নানা অভিযোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে সেনানিবাস ও সেনানিবাসের আওতাভুক্ত সকল স্থাপনায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর আগে তাকে সেনানিবাস ও সেনানিবাস আওতাভুক্ত এলাকায় অবাঞ্চিত (Persona non grata) ঘোষণা করা হয়েছে।

    রোববার (১৯ জুলাই) আইএসপিআর’র সহকারি পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    আইএসপিআর’র প্রদত্ত বিজ্ঞপ্তিটি নিচে তুলে ধরা হল :
    “সম্প্রতি বিএ-২০০৪ লে. জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, বীর বিক্রম, এনডিসি, পিএসসি, PNG (অবসরপ্রাপ্ত) বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে সেনানিবাসে প্রবেশ এবং সেনাবাহিনী সম্পর্কে মিথ্যাচার করেন যা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।

    উল্লেখ্য, তিনি লে. জেনারেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর এনডিসির কমান্ড্যান্ট থাকা অবস্থায় একাধিক নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি এনডিসিতে পরিচালিত বিভিন্ন কোর্সের সাথে বিদেশে ভ্রমণকালেও অনেক মেয়েকে নিয়ে চলাফেরা করেন এবং বিভিন্ন মাধ্যমে তার এই অশোভনীয় আচরণ এবং মেলামেশার ছবি কর্তৃপক্ষের গোচরীভূত হলে কর্তৃপক্ষ বিব্রত হয় এবং তাকে বিভিন্নভাবে উপদেশ দেয়া হয়।

    তিনি এলপিআর এ থাকাকালীন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে ১৬ আগস্ট ২০১৮ তারিখে প্রথম স্ত্রীকে তালাক প্রদান করেন এবং সেনা আইন বহির্ভূতভাবে মেসকিট (সামরিক পোশাক) পরে ২১ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত দ্বিতীয় স্ত্রীকে বিবাহ করেন। কিন্তু তিনি বিবাহের পূর্বে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ৩ নভেম্বর ২০১৮ থেকে একই বাসায় অনৈতিকভাবে অবস্থান করেন।

    এমনকি তিনি বিবাহের পূর্বে তাকে সাথে নিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপন, সাজেক রিসোর্ট, খাগড়াছড়ি’তে অবকাশ যাপন, বিভিন্ন সময় ভারত, থাইল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডে ভ্রমণ ও অবস্থান করেন, যার সচিত্র আলামত সামরিক ও অসামরিক পরিমণ্ডলে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। এছাড়াও তিনি যাকে বিয়ে করেন সে একজন বিতর্কিত নারী হিসেবে পরিচিত।

    লে. জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী (অবসরপ্রাপ্ত) এর এ ধরণের আচরণ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য অস্বস্তিকর ও বিব্রতকর।

    এ ধরণের ঘটনা সেনাবাহিনীতে কর্মরত অফিসার এবং অন্যান্য পদবীর মধ্যে নেতিবাচক উদাহরণ হিসেবে কাজ করে ও বিরূপ প্রভাব ফেলে।

    সামগ্রিক বিবেচনায়, গত ১০ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ উক্ত অফিসার’কে সেনানিবাস ও সেনানিবাস আওতাভুক্ত এলাকায় অবাঞ্চিত (Persona non grata) ঘোষণা করা হয়।

    উল্লেখ্য, সেনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক “অবাঞ্চিত ব্যক্তি’র জন্য সেনানিবাস ও সেনানিবাসের আওতাভুক্ত সকল স্থাপনা এবং সেনানিবাসের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা যেমনঃ সিএমএইচ এ চিকিৎসা সেবা, অফিসার্স ক্লাব, সিএসডি শপ ইত্যাদি’তে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনায় সশস্ত্র বাহিনীর ১০২০ জন আক্রান্ত, মারা গেছেন ১০ জন

    করোনায় সশস্ত্র বাহিনীর ১০২০ জন আক্রান্ত, মারা গেছেন ১০ জন

    বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত এক হাজার ২০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ৯২ জন পরিবারের সদস্য এবং সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেসামরিক ও অন্যান্য ২৫২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১০ জন।

    শনিবার (২৩ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আক্রান্তদের মধ্যে ৯৩৩ জন বিভিন্ন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন। ৪২১ জন সুস্থ হয়ে নিজ নিজ আবাসস্থলে ফিরেছেন। এছাড়া ভর্তি অন্য রোগীরা সুস্থ আছেন।

    আইএসপিআর আরও জানায়, কোভিড-১৯ এ মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক আটজন (অবসরপ্রাপ্ত) এবং দুজন কর্মরত সেনাসদস্য প্রত্যেকেই দীর্ঘদিন ধরে অনিরাময়যোগ্য বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন।

    এ পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর পিসিআর ল্যাবরেটরিতে সশস্ত্র বাহিনীর চার হাজার ৩৭৫ জন, ৭৭৪ জন পরিবারের সদস্য এবং বেসামরিকসহ অন্যান্য দুই হাজার ২৬১ জন সদস্যের মোট সাত হাজার ৪১০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রণীত সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগীদের সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষিত চিকিৎসক দ্বারা সার্বক্ষণিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কর্মরত সব সদস্য, তাদের পরিবার ও অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষার জন্য আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজিসহ (এএফআইপি) সব সিএমএইচে ১৩টি ‘আরটি-পিসিআর’ মেশিন প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। এছাড়া সব সিএমএইচে পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী (পিপিই), মাস্ক, গ্লাভস এবং প্রয়োজনীয় ওষুধসহ আনুষঙ্গিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদি মজুত আছে বলে জানায় আইএসপিআর।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনায় ৪ অবসরপ্রাপ্ত ও ২ কর্মরত সেনা সদস্যের মৃত্যু

    করোনায় ৪ অবসরপ্রাপ্ত ও ২ কর্মরত সেনা সদস্যের মৃত্যু

    করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ৪ অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও ২ কর্মরত সেনা সদস্য।

    সেইসাথে আক্রান্ত হয়েছেন কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত ৩৪৫ জন সামরিক ও সামরিক পরিবারের সদস্য।

    সোমবার (১১ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়।

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস (কোভিড -১৯) এর সংক্রমণ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই করোনা আক্রান্ত সশস্ত্র বাহিনী সদস্যদের চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে ঢাকা সিএমএইচসহ সকল সেনানিবাসের সিএমএইচসমূহে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

    জানানো হয়, ঢাকা সিএমএইচে মোট ৩৪৫ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। এ পর্যন্ত ৮৮ জন আক্রান্ত রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন। সেইসাথে ভর্তি অপর রোগীরাও সুস্থ আছেন।

    আইএসপিআর জানায় এরই মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৬ জন সেনা সদস্য মৃত্যুবরণ করেন। তারমধ্যে ৪ জনের বয়স ৭০ বছর ঊর্ধ্ব অবসরপ্রাপ্ত এবং ২ জন কর্মরত সেনা সদস্য, যারা প্রত্যেকেই অনিরাময়যোগ্য বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

    আইএসপিআর জানায়, করোনা পরীক্ষার জন্য আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) তে ৩ টি এবং অন্যান্য সেনানিবাসে অবস্থিত সিএমএইচে ১০ টি আরটি-পিসিআর মেশিন আছে।

    এএফআইপিতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ৩১৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলেও জানায় আইএসপিআর।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • নারায়ণগঞ্জ সম্পূর্ণ লকডাউন

    নারায়ণগঞ্জ সম্পূর্ণ লকডাউন

    পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা সম্পূর্ণ লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর। (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

    এতে বলা হয় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে ৮ এপ্রিল থেকে এই অবরুদ্ধ ঘোষণা কার্যকর করা হবে। তবে জরুরী পরিসেবা যেমন চিকিৎসা, খাদ্যদ্রব্য ইত্যাদি এর আওতাবহির্ভূত থাকবে।

    অসমামরিক প্রশাসন, সশস্ত্রবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে এ দায়িত্ব পালন করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

    এর আগে আজকেও নারায়ণগঞ্জে ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।

  • বিমান থেকে নেমেই যাত্রীরা সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে যাবেন

    বিমান থেকে নেমেই যাত্রীরা সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে যাবেন

    বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের বিমান থেকে নেমে ইমিগ্রেশন শেষের পরই সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।

    বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের বাংলাদেশে সংক্রমণ ও বিস্তৃতির সম্ভাব্যতা এবং প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দুটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পরিচালনা করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিমানবন্দর সংলগ্ন হাজি ক্যাম্প এবং উত্তরার দিয়াবাড়ী (সেক্টর-১৮) সংলগ্ন রাজউক এপার্টমেন্ট প্রকল্পে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এ দুইটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্বাচিত ব্যক্তিদের বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।

    হস্তান্তরের পর সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এ যাত্রীদের বিমানবন্দর থেকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে স্থানান্তর, ডিজিটাল ডাটা এন্ট্রি কার্যক্রম সম্পন্ন, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকাকালীন আহার, বাসস্থান, চিকিৎসা এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক সেবার ব্যবস্থা করা হবে।

    এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীকে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়/সংস্থা/অধিদপ্তর/বাহিনী প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।