Tag: আইওএম

  • জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন করছে আইওএম

    জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন করছে আইওএম

    কক্সবাজার প্রতিনিধি:চলতি বছর মার্চ মাসের প্রথম দিকে বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার পরপরই চাহিদা বাড়ার কারণে হাত জীবাণুনাশক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যগত পণ্য দুষ্প্রাপ্য হয়ে ওঠে। এর ফলে বিশ্বের অন্যতম বড় শরণার্থী শিবিরের শহর কক্সবাজারের স্থানীয় বাজারগুলোতে এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়।

    স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত স্বাস্থ্যগত পণ্যের কার্যকারিতা নির্ধারণের জন্য বাজারের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার পর কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সাথে যুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম-জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের নির্দেশিকা মেনে স্থানীয়ভাবে হাত জীবাণুনাশক (হ্যান্ড স্যানিটাইজার) উৎপাদন করার সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করে।

    এরই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কাছ থেকে প্রায় ২০,০০০ লিটার হাত জীবাণুনাশক উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সংগ্রহ ও পরিবহণের প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়। আইওএম এবং এর সহযোগী সংস্থা প্রত্যাশী ও গ্রীন হোপ ২০০মিলিলিটারের প্রায় ১,০০,০০০ বোতল হাত জীবাণুনাশক উৎপাদন করবে।

    উৎপাদিত হাত জীবাণুনাশক স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ জনস্বার্থে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর ৫০,০০০ সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

    কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, “কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং আইওএম-এর সমন্বিতভাবে কোভিড-১৯ মোকাবেলা কার্যক্রমে এই যৌথ প্রচেষ্টা অন্যতম। স্থানীয়ভাবে হাত জীবাণুনাশক উৎপাদনের মাধ্যমে জেলার জনগোষ্ঠিদের মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণ রোধ হবে এবং আমাদের স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো আরো উন্নত হবে।“

    উৎপাদন কাজের জন্য স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং আইওএম ও এর সহযোগী সংস্থাদের মাধ্যমে পেশাদার ফার্মাসিস্টরা তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। নিয়োগকৃত অধিকাংশই কোভিড-১৯ এ লকডাউনের কারণে তাদের নিয়মিত জীবিকা ব্যবস্থা ব্যাহত হয় এবং তারা আর্থিকভাবে তারা চরম দুর্দশার মধ্যে ছিলেন। এই উৎপাদন কাজের মাধ্যমে তাদের আয়ের পথ আবার উন্মোচন হল।

    আইওএম-এর স্বাস্থ্য বিভাগ এই উৎপাদন কাজের মান নিয়ন্ত্রণ, পরীক্ষা এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম নিয়মিতভাবে মনিটরিং করছে।

    এই কার্যক্রমে নিয়োজিত উখিয়ার তাসলিমা আক্তার বলেন, “এই প্রথম আমি এ ধরণের প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ পেলাম। এটা আমার প্রথম চাকরিও। তাই আমি খুব খুশি এবং লকডাউন পরিস্থিতে আমি আমার পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করতে পারব বলে এখন নিশ্চিন্ত আছি।“

    আইওএম কক্সবাজার কার্যালয়ের ট্রানজিশন এন্ড রিকভারি ডিভিশনের প্রধান প্যাট্রিক শেরিগনন বলেন, “কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং আইওএম-এর সমন্বিত এই প্রকল্পটি কোভিড-১৯ মোকাবেলা কার্যক্রমে ভূমিকা রাখবে। স্থানীয়ভাবে হাত জীবাণুনাশক উৎপাদনের মাধ্যমে জেলার জনগোষ্ঠিদের মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণ রোধ হবে এবং আমাদের স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো আরো উন্নত হবে। নিয়মিতভাবে মাস্ক পরিধান করা, হাত ধোয়া এবং শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি আমাদের স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ জনস্বার্থে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর সদস্যদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ ঠেকানোই হাত জীবাণুনাশক উৎপাদনের উদ্দেশ্য।“

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • নানা কর্মসূচীতে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ১৯ পালিত

    নানা কর্মসূচীতে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ১৯ পালিত

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ।ডেস্ক : “আমরা একসাথে” এই স্লোগান নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য জায়গার মতো বুধবার কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন করেছে জাতিসংঘের অভিবাসন-বিষয়ক সংস্থা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।

    এ বছর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের বৈশ্বিক প্রতিপাদ্য ছিল ‘সামাজিক সহাবস্থান’ এবং বাংলাদেশে দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘দক্ষতা’ যা কক্সবাজারের মত অভিবাসী-প্রবণ এলাকার জন্য জরুরী। কক্সবাজার ২০১৭ সাল থেকে ৮৪০,০০০ এর বেশি রোহিঙ্গা মানুষদের আশ্রয় দিচ্ছে।

    আইওএম কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) কে দিবসটি উপলক্ষে নানা আয়োজনে সহায়তা করে। একটি বড় শোভাযাত্রার মাধ্যমে বুধবার দিনটি শুরু হয়। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন।আন্তর্জাতিক আইএমও

    কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, বিএমইটি, বিভিন্ন সরকারী দপ্তর, আইওএম এবং অন্যান্য উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসন অফিসের সামনে শেষ হয়।

    বুধবার সকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় যেখানে বক্তারা বাংলাদেশী অভিবাসীদের গুরুত্ব এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে রেমিটেন্সের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা।

    ১১,৭০০,০০০ বাংলাদেশী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী হিসেবে আছেন জানিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার বলেনঃ “নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসন এবং দক্ষতা বিকাশের পাশাপাশি রেমিট্যান্স বাড়াতে সর্বক্ষেত্রে দেশের মানুষকে সচেতন করতে হবে।

    এ বছর, ৬১৪,০০০ মানুষ বিদেশে গিয়েছে এবং তারা রেমিটেন্স-এর মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। আমাদের উচিত অভিবাসন মাইগ্রেশন সুবিধাগুলো কাজে লাগানো এবং দেশের মানুষকে সঠিক ও বৈধ উপায়ে অনুপ্রাণিত করা।“

    আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে উদযাপনে সহযোগীতা করায় কক্সবাজারবাসীকে ধনবাদ জানিয়ে আইওএম বাংলাদেশ মিশনের উপ-প্রধান ম্যানুয়েল পেরেইরা বলেনঃ “আজ আমাদের এই স্বীকৃতি দেওয়া উচিত যে অভিবাসন এমন এক উপকার যা সকলের পক্ষে কাজ করে।

    আজ আমরা অভিবাসীদের সাফল্য সহ অভিবাসনের ইতিবাচক দিকগুলি উদযাপন করছি। আমি সন্তুষ্ট যে আমরা যুবসমাজ সম্পর্কে, রেমিট্যান্স এবং সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা, সঠিক এবং নিরাপদ অভিবাসন পথ সম্পর্কে কথা বলছি এবং চিন্তা করছি।“

    সেমিনার শেষে প্রধান অতিথি এডিসি আশরাফুল দিবসটি উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।

    দিবসটি উপলক্ষে গত ১৭ ডিসেম্বর, কক্সবাজার সরকারী কলেজ এবং কক্সবাজার ডিসি কলেজে একটি রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশী অভিবাসী ইস্যু এবং রেমিটেন্সের গুরুত্ব সম্পর্কে তাদের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করে।

    নিরাপদে অভিবাসনে কক্সবাজারের লোকদের অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে, আইওএম গ্লোবাল মাইগ্রেশন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের (জিএমএফএফ) অংশ হিসাবে ১৮ টি চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী, চিত্র-প্রদর্শনী, তিন দিনব্যাপী আর্ট কর্মশালার আয়োজন করেছিল।

    দিবসটি উপলক্ষে সামাজিক সংহতির বাড়ানোর জন্য স্থানীয় ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের পারস্পরিক অংশগ্রহণে টেকনাফে একটি ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছে।

    ২০১৮ সালে, ১৫.৫ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স গ্রহণ করে বাংলাদেশ শীর্ষ দশটি রেমিট্যান্স গ্রহণকারী দেশের তালিকায় স্থান নেয়। ২০০০ সালে ৪ ডিসেম্বর, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ, বিশ্বজুড়ে অভিবাসীদের বিশালতা এবং ক্রমবর্ধমান সংখ্যার কথা বিবেচনা করে ১৮ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস হিসাবে ঘোষণা করে।

  • কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে মশক নিধন যন্ত্র ফগার মেশিন দিল আইওএম

    কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে মশক নিধন যন্ত্র ফগার মেশিন দিল আইওএম

    মশক নিধনের জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে ১২টি ফগার মেশিন দিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।

    কক্সবাজার অঞ্চলে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া বিস্তারের সম্ভাবনা নির্মূল কাজে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করতে ফগার মেশিনগুলো কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে।

    আইওএম-এর বাংলাদেশ মিশনের উপ-প্রধান ম্যানুয়েল পেরেইরা রোববার জেলার মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় উপস্থিত থেকে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনকে ফগার মেশিনগুলো হস্তান্তর করেন।

    জেলার আটটি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারবৃন্দ (ইউএনও) এবং আইওএমের প্রতিনিধিগণসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিগণও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

    কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এই সভা। হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইওএম-এর বাংলাদেশ মিশনের উপ-প্রধান ম্যানুয়েল পেরেইরা।

    হস্তান্তর অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আইওএমকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেনঃ “এই ধরণের সহযোগীতায় জেলার মানুষ উপকৃত হবে এবং মশক নিধনে আমাদের কর্মতৎপরতা আরো বাড়বে।”

    আইওএম-এর বাংলাদেশ মিশনের উপ-প্রধান ম্যানুয়েল পেরেইরা বলেনঃ “ কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষদের সহায়তার ক্ষেত্রে বদ্ধপরিকর আইওএম। আইওএম-এর এই অনুদান সামগ্রিক সহায়তা কর্মসুচীর একটি অংশ।”

    এই ১২টি ফগার মেশিনের মধ্যে আটটি ইউএনও অফিসকে দেওয়া হবে, দুটি কক্সবাজার পৌরসভার মেয়রের অফিসে, একটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এবং অন্য একটি জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে সংরক্ষণ করা হবে।

    ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এবং এধরণের মশাবাহিত রোগ বিস্তারের জন্য কক্সবাজার ঝুঁকিপূর্ণ ।

  • ইউএনও কাপ ২০১৯ বিজয়ী সোনারপাড়া বাছাই একাদশ

    ইউএনও কাপ ২০১৯ বিজয়ী সোনারপাড়া বাছাই একাদশ

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের আয়োজনে ‘ইউএনও ফুটবল কাপ ২০১৯’ বিজয়ী হয়েছে সোনারপাড়া বাছাই একাদশ।

    আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর সহযোগিতায় শুক্রবার বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় সফলভাবে শেষ হয়েছে এই আয়োজন।

    উখিয়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন থেকে ১০ টি দল এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিল। সর্বশেষ শুক্রবার ফাইনাল ম্যাচে সোনারপাড়া বাছাই একাদশ ১-০ গোলে পাতাবাড়ি শৈলেরঢেবা বাছাই একাদশকে পরাজিত করে ইউএনও কাপ ২০১৯ জিতল।

    উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এই ফুটবল প্রতিযোগিতা।

    ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ শরণার্থী জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়া উখিয়ার বাসিন্দাদের মধ্যে সামাজিক সংহতি এবং যুবসমাজকে নেতৃত্বদানে উৎসাহিত করতে সরকারের স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে। আইওএম-এর সহযোগী সংস্থা অ্যাকশন এইড বাংলাদেশও সহযোগীতা করে এই আয়োজনে।

    উখিয়ার ইউএনও মোঃ নিকারুজ্জামান সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টুর্নামেন্টের বিজয়ী এবং রানার আপ দলের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।

    সমাপনী অনুষ্ঠানে উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক হামিদুল হক চৌধুরী, রত্নপালং, হলদিপালং, রাজালং, পালংখালী ও জলিয়াপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ এবং সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    আইওএম ও এর সহযোগী সংস্থা অ্যাকশন এইড বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইউএনও মোঃ নিকারুজ্জামান বলেন: “সামাজিক সংহতি এবং যুবসমাজকে নেতৃত্বদানে উৎসাহিত করতে উপজেলা প্রশাসন সর্বদা সচেষ্ট এবং এমন আয়োজন ভবিষ্যতে আরো হবে।”

    উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দর্শকদের পাশাপাশি সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া ইউএনও কার্যালয়, আইওএম এবং অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের প্রতিনিধিবৃন্দ।

    বিজয়ী দলটি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সাথে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বলে জানান আয়োজকবৃন্দ।

    আইওএম বাংলাদেশে মিশনের উপ-প্রধান ম্যানুয়েল পেরেইরা বলেন: “আইওএম এই উদ্যোগে যোগ দিতে পেরে খুব আনন্দিত এবং এমন আরও আয়োজনের মাধ্যমে স্থানীয় যুবকদের সাথে থাকতে চায়। একটি বুদ্ধিমান শরীর ও একটি বুদ্ধিমান মন একটি সুস্থ এবং সংহতিশীল সম্প্রদায়ের স্তম্ভ এবং এই ফুটবল টুর্নামেন্টটি এমন সম্প্রদায়ে অবদান রাখার বাহন হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে।”

    এই টুর্নামেন্টটি উখিয়ার যুব সমাজের উৎসাহ দিয়েছে এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীরাও বিনোদিত হয়েছে। এ ধরণের আয়োজন আরও করা দরকার বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

    সোনারপাড়া বাছাই একাদশ-এর অধিনায়ক মাহমুদ রাশেদ বলেনঃ “বহুল প্রতীক্ষিত এই টুর্নামেন্টের জন্য উখিয়া ইউএনও কার্যালয়কে ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে আমরা কক্সবাজারের উখিয়া এবং টেকনাফে এ ধরণের আরও আয়োজন দেখতে চাই যার মাধ্যমে যুবসমাজের মধ্যে নেতৃত্বগুণ এর মত নানা সামাজিক গুণাবলির প্রসার ঘটবে।“

    এর আগে, গত ২৫ নভেম্বর কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, আইওএম এবং অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

  • কক্সবাজারে গ্লোবাল মাইগ্রেশন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করছে আইওএম

    কক্সবাজারে গ্লোবাল মাইগ্রেশন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করছে আইওএম

    ২৪ ঘন্টা ডেস্ক : কক্সবাজারে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী গ্লোবাল মাইগ্রেশন ফিল্ম ফেস্টিভাল (জিএমএফএফ)-এর আয়োজন করছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম )। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিবাসন-বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে এই আয়োজনে।

    জিএমএফএফ মূলত বিনোদনের পাশাপাশি অভিবাসনের প্রতিশ্রুতি ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে এবং অভিবাসীরা তাদের নিজ নিজ জনগোষ্ঠীর জন্য যে অবদান রাখছে তা অবহিত করার লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়। বিশ্বের ৯০টি দেশে অনুষ্ঠিত জিএমএফএফ বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া ৩০টিরও বেশি ডকুমেন্টারি এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেছে।

    কক্সবাজারে জিএমএফএফ আয়োজনের ১৮টি চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশি পরিচালক প্রসূন রহমানের চলচ্চিত্র ‘দ্য বার্থ ল্যান্ড’-যেখানে কক্সবাজারের এক গর্ভবতী মহিলার পরিচয় সংকটের গল্প চিত্রায়িত হয়েছে।

    আইওএম বাংলাদেশ মিশনের প্রধান গিওরগি গিগৌরি বলেনঃ “আমরা এই ডিসেম্বরে কক্সবাজারে জিএমএফএফ আয়োজন করতে পেরে রোমাঞ্চিত। এই আয়োজনটি অনন্য একটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব যার মাধ্যমে অভিবাসন ইস্যু নিয়ে এই শহরের গুরুত্ব গোটা বিশ্বে প্রথম সারিতে রাখবে। আমরা আশা করি দর্শকরা এই চারদিনের প্রদর্শনীতে আসবেন এবং চলচ্চিত্রগুলি উপভোগ করবেন।“

    চলচ্চিত্র প্রদর্শনীটি আগামী মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা ছয়টায় কক্সবাজারের বিয়াম ফাউন্ডেশনে অনুষ্ঠিত হবে।