Tag: আইজিপি

  • ৬৬০ থানায় একযোগে ৭ মার্চ উদযাপন করবে পুলিশ

    ৬৬০ থানায় একযোগে ৭ মার্চ উদযাপন করবে পুলিশ

    পুলিশের হাইওয়ে থানাসহ দেশের ৬৬০টি থানায় একযোগে, একসময়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন করবে বাংলাদেশ পুলিশ। সেখানে স্মরণ করা হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আলোচনা হবে, প্রীতিভোজ এবং মিষ্টি বিতরণও হবে।

    শুক্রবার (৫ মার্চ) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

    ড. বেনজীর বলেন, ‘গত মাসের ২৬ তারিখে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তি ও ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনের দিনটিতে দেশব্যাপী আনন্দ উদযাপন করবে পুলিশ। দিনটি দেশের ৬৬০টি থানায় বিকেল ৩টায় একযোগে উদযাপন করা হবে। দেশের সব থানার বাইরে আলোচনা সভা ও প্রীতিভোজের আয়োজন করা হবে, মিষ্টি বিতরণ করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাই এসব অনুষ্ঠানে যোগ দেবে। অনুষ্ঠানে পুলিশ সদস্য ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রশাসনসহ নেতৃবৃন্দ থাকবে।

    তিনি আরও বলেন, ‘আমি সবাইকে হাত ধুয়ে, মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ করছি।’

    এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সুপারিশ পায় বাংলাদেশ। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) এ সুপারিশ করেছে। তবে বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে বের হতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

    সাধারণত উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে যেসব দেশ তুলনামূলক দুর্বল, সেসব দেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৭১ সালে প্রথম স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা করা হয়। বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে পাঁচ বছর পর এলডিসি থেকে বের হয়ে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের কাতারে চলে যাবে বাংলাদেশ।

    আইজিপি বলেন, ‘২০০৮ সালের পর থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন এসেছে। দারিদ্র্য অনেক কমেছে, এখন মিউজিয়ামে যাওয়ার উপক্রম। আগে সবাই বলতো ইলেকট্রিসিটি কবে আসবে, এখন বলে কবে যাবে। দেশের এসব উন্নয়নকেই উদযাপন করবে পুলিশ।’

    ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো ৭ মার্চের ভাষণকে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ (বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।বাংলাদেশ পুলিশ প্রথমবারের মতো এই দিনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন করবে।

  • ‘পুলিশ ব্রুটালিটি’ নিয়ে আমরা সংবাদপত্রে খবর হতে চাই না: আইজিপি

    ‘পুলিশ ব্রুটালিটি’ নিয়ে আমরা সংবাদপত্রে খবর হতে চাই না: আইজিপি

    ‘সাংবাদিকদের কাছে আমরা গঠনমূলক সমালোচনা চাই, ক্রিয়েটিভ রিপোর্ট চাই না, বস্তুনিষ্ঠ ফ্যাক্ট নির্ভর রিপোর্ট চাই। রিপোর্টে আমরা কোন সাহিত্য রচনা প্রত্যাশা ক‌রি না।’

    ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে এগারোটায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২০ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

    ক্র্যাব সভাপতি আবুল খায়েরের সভাপতিত্বে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ক্র্যাব চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ‎র‌্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকু। সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যগণ এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

    সাংবাদিকদের ‘ওপেনিয়ন বিল্ডার’ আখ্যায়িত করে আইজিপি বলেন, সাংবাদিকদের ওপর সমাজের গতি প্রকৃতি নির্ভর করে। সাংবাদিকদের একটি রিপোর্ট মুহূর্তের মধ্যে মানুষের মনে গভীরভাবে রেখাপাত করতে পারে। সেজন্য আপনাদের কলমের ক্ষমতা মাথায় রাখতে হবে।

    সাংবাদিক এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য অর্থাৎ ল এনফোর্সমেন্ট প্র্যাকটিশনাররা একই প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। আপনারা আমাদের গঠনমূলক সমালোচনা করবেন।

    আইজিপি বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে সুসংহত করার জন্য বিগত দিনে যে আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে সেখানে রাজনীতিবিদ ও দেশের আপামর জনগণের সাথে সাংবাদিকরাও সমানতালে কাজ করেছেন। আমাদের স্বাধীনতা পূর্ব এবং স্বাধীনতা উত্তরকালে সাংবাদিকরা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা এবং গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

    আইজিপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘রূপকল্প- ২০৪১’ বাস্তবায়নের আর ২১ বছর বাকি রয়েছে। আমরা ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবো। উন্নত দেশের উপযোগী পুলিশ গড়তে আমরা কাজ শুরু ক‌রে‌ছি। আমরা পুলিশকে দুর্নীতিমুক্ত, মাদকমুক্ত করতে চাই। ‘পুলিশ ব্রুটালিটি’ নিয়ে আমরা সংবাদপত্রে খবর হতে চাই না।

    তিনি বলেন, আমরা ভালো কাজে আপনাদের উৎসাহ চাই, সহযোগিতা চাই। কোন পুলিশ সদস্য খারাপ কাজ করলে বস্তুনিষ্ঠ ফ্যাক্ট তুলে ধরুন। ওই সদস্যকে আমরা কোন ছাড় দিব না।

    আগামীতে দেশের প্রয়োজনে, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে, গণমানুষের প্রয়োজনে, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুবর্ণ সময় রেখে যাওয়ার লক্ষ্যে পুলিশ এবং সাংবাদিক হাতে হাত ধরে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আইজিপি।

    তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় ভিন্ন মত ও পথ থাকবে। কিন্তু জাতীয় অর্জন, রাষ্ট্র ও সমাজের ক্ষেত্রে ১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি হাত একসাথে থাকতে হবে।

    র‌্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুলিশ এবং সাংবাদিকতা উভয় পেশাই ঝুঁকিপূর্ণ। সাংবাদিকরা ঝুঁকি নিয়ে করোনাকালে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে তথ্য দিয়ে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন।

    তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সাথে ‎র‌্যাবের পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ পেশাগত সম্পর্ক আগামীতে আরও সুদৃঢ় হবে।

    সভাপতির বক্তব্যে ক্র্যাব সভাপতি আবুল খায়ের বলেন, পুলিশ মানবিকতার ঊর্ধ্বে উঠে করোনাকালে জনগণকে সেবা দিয়েছে। পুলিশের সাথে সাংবাদিকদের সৌহার্দ্যপূর্ণ পেশাগত সম্পর্ক রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।

  • পুলিশ বাহিনী মাদকমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ডোপ টেস্ট অভিযান অব্যাহত থাকবে: আইজিপি

    পুলিশ বাহিনী মাদকমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ডোপ টেস্ট অভিযান অব্যাহত থাকবে: আইজিপি

    পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশে মাদকসেবী ও গ্রহণকারী থাকবে না। পুলিশকে পরিচ্ছন্ন করতে চাই। পুলিশ বাহিনী মাদকমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ডোপ টেস্ট অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

    আজ দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অ্যাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ‘অপারেশন কন্ট্রোল অ্যান্ড মনিটরিং সেন্টার সহ কিশোর গ্যাং ডিজিটাল ডাটাবেজ ও হ্যালো আরএমপি অ্যাপ’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুলিশ প্রধান।

    এ সময় নগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • চট্টগ্রামে অস্ত্রাগার উদ্ধোধন করলেন আইজিপি

    চট্টগ্রামে অস্ত্রাগার উদ্ধোধন করলেন আইজিপি

    চট্টগ্রাম হালিশহর থানাধীন উত্তর হালিশহর পুলিশ ফাঁড়ি এবং মনসুরাবাদ পুলিশ লাইন্সের অস্ত্রাগার উদ্বোধন করা হয়েছে।

    শুক্রবার ফাঁড়ি ও অস্ত্রাগারের উদ্ধোধন করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

    এ সময় পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আমেনা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এস এম মোস্তাক আহমেদ খান, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. আমির জাফর ও উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) মো. ফারুক উল হক প্রমুখ।

    উদ্বোধনকালে ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, নবনির্মিত পুলিশ ফাঁড়ি উদ্বোধনের ফলে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির হবে।

    পাশাপাশি স্থানীয় জনসাধারণের পুলিশিং সেবা প্রাপ্তি আরও সহজতর ও গতিশীল হবে।
    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

     

  • মেজর সিনহা হত্যা দুই বাহিনীতে কোন প্রভাব ফেলবে না:সেনাপ্রধান-আইজিপি

    মেজর সিনহা হত্যা দুই বাহিনীতে কোন প্রভাব ফেলবে না:সেনাপ্রধান-আইজিপি

    টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা অফিসার সিনহা মো: রাশেদ হত্যা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান আজিজ আহমেদ।

    তিনি বলেছেন, এ ঘটনার তদন্ত টিম কাজ করছে তদন্তে যাদের নাম আসবে তাদের সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানান তিনি।

    বুধবার (৫ আগস্ট) দুপুরে সেনা বাহিনী প্রধান আজিজ আহমেদ ও পুলিশের আইজি বেনজির আহমেদ কক্সবাজারে যৌথ এক প্রেসব্রিফিং এ এই কথা বলেন।

    প্রেসবিফিং এ পুলিশের আইজি বেনজির আহমেদ বলেন, কক্সবাজারে সাবেক সেনা অফিসার খুনের ঘটনা দুই বাহিনীতে কোন ধরণের প্রভাব ফেলবে না।

    তিনি প্রশাসনের মাদক বিরোধী স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে বলেন- এলাকায় কারা মাদক ব্যবসা করে কারা মাদক পাচারে জড়িত আপনার জানেন। কারণ আপনারা এ এলাকার মানুষ। আপনারা তাদের চিহ্নিত করে দিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে পারেন।

    জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। যে ঘটনা ঘটেছে, অবশ্যই সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনী মর্মাহত। আমি আপনাদের মাধ্যমে যে মেসেজ দিতে চাই, তা হলো এটাকে আমরা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখতে চাই।

    সেনাপ্রধান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি ‘জয়েন্ট ইনকোয়ারি টিম’ (যৌথ তদন্ত দল) গঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের মাকে ফোন করে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। তার কথার ওপর সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর আস্থা আছে। যে যৌথ তদন্ত দল গঠিত রয়েছে, তার ওপরও দুটি বাহিনীই আস্থাশীল।

    জেনারেল আজিজ বলেন, আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, দুই বাহিনীর সম্পর্কে চিড় ধরে, এমন কিছু হবে না। এ ঘটনা নিয়ে যেন সেনাবাহিনী ও পুলিশের ভেতর অনাকাঙ্ক্ষিত চিড় ধরানোর মতো ঘটনা না ঘটে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকারও অনুরোধ করেছেন তিনি।

    পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ আধুনিক গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে আইনের শাসন আছে। সংবাদমাধ্যম সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করছে। বিচার বিভাগ মুক্ত। এ ঘটনা নিয়ে অনেকে উসকানিমূলক কথা বলার চেষ্টা করছেন। যারা উসকানি দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না।

    বেনজীর আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও আস্থার সম্পর্ক। মেজর (অব.) সিনহার মৃত্যুতে পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় হবে না। কমিটি প্রভাবমুক্ত পরিবেশে তদন্ত করবে। কমিটি যে সুপারিশ দেবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এর আগে আজ বুধবার (৫ আগষ্ট) দুপুর ১টা ২০ মিনিটে তাঁরা বিমানে তারা কক্সবাজার যান।

    দুই বাহিনীর প্রধান পরে কক্সবাজার সৈকতে অবস্থিত সেনাবাহিনীর রেস্টহাউস জলতরঙ্গতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হোন। এ সময় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মাদকমুক্ত পুলিশ গড়তে ‘জিরো টলারেন্স’ : আইজিপি

    মাদকমুক্ত পুলিশ গড়তে ‘জিরো টলারেন্স’ : আইজিপি

    ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত-মাদকমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করছেন। আমরা তার নির্দেশনা অনুযায়ী মাদকমুক্ত দেশ গড়তে বাংলাদেশ পুলিশকে মাদকমুক্ত-দুর্নীতিমুক্ত করতে শূন্য সহিষ্ণুতার (জিরো টলারেন্স) নীতিতে কাজ করছি। পুলিশের কোনো সদস্য মাদক গ্রহণ করবে না, মাদক ব্যবসায় জড়িত হবে না, মাদকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে না। পুলিশ হবে মাদকমুক্ত। আমরা বাংলাদেশকে মাদকমুক্ত করতে চাই।’

    শনিবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে পুলিশ কর্মকর্তা ও ফোর্সের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)।

    পুলিশপ্রধান বলেন, বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করছি। আমরা জনগণের সাথে জনগণের পুলিশ হয়ে থাকতে চাই। পুলিশকে শারীরিক শক্তি ব্যবহার না করে আইনি সক্ষমতা প্রয়োগ ও মানবিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

    বর্তমান করোনাকালে জনগণকে সুরক্ষা, আইনি ও নিরাপত্তা সেবা প্রদানে পুলিশের অনন্য অবদানের প্রসঙ্গ তুলে ধরে আইজিপি বলেন, গত তিন মাসে পুলিশ জনগণের কল্যাণে অভূতপূর্ব নজির স্থাপন করেছে। পুলিশ মানুষের বিশ্বাস, সম্মান ও আস্থা অর্জন করেছে। পুলিশকে তাদের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান দিয়েছে। মানুষকে ভালোবাসলে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায়।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত আধুনিক দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে কাজ করছেন। ২০৪১ আসতে মাত্র ২১ বছর বাকি রয়েছে। আমরা এ সময়ের মধ্যেই উন্নত দেশের উপযোগী পুলিশ বাহিনী গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।

    আইজিপি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে জীবন উৎসর্গকারী শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।

    অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজি, ঢাকায় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, ঊধ্বর্তন পুলিশ কর্মকর্তা এবং পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • দুর্নীতি করে বড়লোক হতে চাইলে পুলিশের চাকরি ছেড়ে ব্যবসা করুন:আইজিপি

    দুর্নীতি করে বড়লোক হতে চাইলে পুলিশের চাকরি ছেড়ে ব্যবসা করুন:আইজিপি

    বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘কোনো পুলিশ সদস্য অবৈধভাবে কোনো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন না। দুর্নীতির সাথে যুক্ত হয়ে কেউ যদি বড়লোক হতে চায়, তাহলে সে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা করুক, বড়লোক হোক, আমরা তাকে সাধুবাদ জানা‌ব। কিন্তু, পুলিশে থেকে কোনোভাবেই দুর্নীতির সাথে যুক্ত থাকা যা‌বে না।’

    রোববার সন্ধ্যায় সিএমপি, কেএমপি আরএমপি, বিএমপি, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল রেঞ্জ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, সিআইডি, র‍্যাব পিবিআই, রেলওয়ে, টুরিস্ট, হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ এবং পুলিশ স্টাফ কলেজ, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদার প্রধান এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এ তিনি কথা বলেন।

    সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায় পুলিশ সদর দফতর।

    আইজিপি বলেন, ‘আমরা বর্তমান প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে পুলিশি সেবা জনগণের কাছে নিয়ে যেতে চাই। পুলিশি সহায়তা পেতে জনগণকে এখন পুলিশের কাছে আসতে হয়। আমরা এমন একটি ব্যবস্থা চালু করতে চাই, যাতে জনগণকে পুলিশের কাছে আসতে না হয়, বরং পুলিশই জনগণের কাছে সেবা নিয়ে যাবে।’

    বিট পুলিশি়ংয়ের মাধ্যমে পুলিশকে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে ইউনিট প্রধানদের নির্দেশনা প্রদান করেন আইজিপি।

    তিনি বলেন, আমাদের দেশের প্রতিটি ইউনিয়নকে একেকটি বিটে ভাগ করে প্রতিটি বিটের দায়িত্বে একজন পুলিশ কর্মকর্তা‌কে নি‌য়োজিত করা হবে। তিনি নিয়মিত ওই ইউনিয়নের মানুষের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা ইত্যাদির খোঁজখবর করবেন, প্রতিনিয়ত তাদের সাথে যোগাযোগ রাখবেন, তাদের মতামত জানবেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সমস্যার সমাধান করবেন এবং কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদান করবেন।

    কনফারেন্সে বর্তমান করোনাকালে পুলিশের সেবার কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, করোনার সময় জনগণকে আমাদের কাছে আসতে হয়নি। আমরা জনগণের কাছে গিয়েছি, তাদের পাশে থেকেছি, তাদের করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে নিজেরা আক্রান্ত হয়েছি, জীবন বিলিয়ে দিয়েছি। তাদের বাসায় খাবার পৌঁছে দিয়েছি, যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছি, তাদের ধান কাটার ব্যবস্থা করেছি, করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির আপনজনরা যখন কাছে আসেনি তখন আমরা তার দাফন এবং সৎকারের ব্যবস্থা করেছি। এটা আমাদের দায়িত্ব ছিল না, কিন্তু আমরা মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে কাজটি করেছি।

    ‘একদিন করোনা থাকবে না, তখনও মানুষের আস্থা, ভালোবাসা ধরে রাখার জন্য আমাদের নিরন্তর প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে।’ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ ও মানুষের কল্যাণে একযোগে কাজ করতে হবে বলে সহকর্মীদের জানান আইজিপি।

    তিনি বলেন, ‘জনগণকে ভালোবাসতে হবে, তাদের পাশে থাকতে হবে, তাদের জন্য কাজ করতে হবে। দায়িত্ব পালনকালে নিপীড়ন-নির্যাতন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আইনি সক্ষমতাকে কাজে লাগাতে হবে। পুলিশকে সব ধরনের নির্যাতন থেকে বেরিয়ে এসে জনগণের পুলিশ হতে হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঈদে গ্রামের বাড়িতে যেতে দেওয়া হবে না: আইজিপি

    ঈদে গ্রামের বাড়িতে যেতে দেওয়া হবে না: আইজিপি

    বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ঈদ উপলক্ষে ও সরকার ঘোষিত বর্ধিত ছুটি উদযাপনের জন্য অনেকেই গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন। এটি কোনোভাবেই হতে দেওয়া যাবে না।

    তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনগণের সার্বিক কল্যাণের জন্য যে সকল নির্দেশনা দিয়েছেন, তা সকলকে যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। সাধারণ মানুষকে সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান তিনি।

    সংশ্লিষ্ট সকল পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়ে আইজিপি বলেন, সরকারের পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত যেন কোনোভাবেই ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকায় এবং ঢাকা থেকে ঢাকার বাইরে কেউ যেতে না পারে। একইভাবে প্রতিটি জেলা ও মহানগরীও জনস্বার্থে কঠোরভাবে এ বিষয়টি বাস্তবায়ন করবে।

    শপিংমল ও মার্কেটসমূহ যেন যথাযথ নিয়ম-কানুন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা হয়, সেটি নিশ্চিত করতেও বলেন তিনি।

    সকল ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধির যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে তিনি নির্দেশনা প্রদান করেন।

    রোববার (১৭ মে) সকাল ১১টা হতে দুপুর ১.৩০ পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী মাঠ পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার)।

    বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশের সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনা ও করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয় ওই অনলাইন সভায়।

    জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে পুলিশের যে সকল দেশপ্রেমিক বীর সদস্য আত্মোৎসর্গ করেছেন, তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ও তাদের মহান আত্মত্যাগের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে আলোচনা শুরু করেন আইজিপি।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে হাসি মুখে জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন এবং নিচ্ছেন। অনেক সদস্য ইতোমধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা আক্রান্ত দেশপ্রেমিক এ ত্যাগী পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসা ও কল্যাণের জন্য সম্ভবপর সকল উদ্যোগের কথা তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন।

    করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সাফল্য দেখিয়েছে- এমন সব দেশের পলিসি ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পলিসিসহ বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনার আলোকে পুলিশ সদস্যের জন্য একটি অত্যন্ত আধুনিক এসওপি (স্ট্যান্ডিং অপারেটিং প্রসেডিওর) তৈরি করে সেটি সকল ইউনিটে প্রেরণ করা হয়েছে। সেটি যথাযথভাবে অনুসরণের নির্দেশনা দেন আইজিপি।

    দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের যথাযথভাবে নিজ সুরক্ষা নিশ্চিত করার পরামর্শও দেন তিনি।

    আইজিপি আরও বলেন, দেশ ও মানুষের সেবা একটি বিরল সুযোগ। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থায়ীভাবে আসন করে নিতে আহবান জানান তিনি।

    পাশাপাশি, জনসেবার এ অভূতপূর্ব ধারা অব্যাহত রাখারও আহবান জানান।

    যে কোনো প্রকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, সব ধরনের পুলিশি সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিট পু‌লি‌শিং কার্যক্রম চালু কর‌া হবে। ইউ‌নিয়ন ও ওয়ার্ড ভি‌ত্তিক আইন-শৃঙ্খলা কার্যক্রমকে অ‌ধিকতর বেগবান ও ফলপ্রসূ করতে পর্যায়ক্রমে সকল ইউ‌নিয়ন ও ওয়া‌র্ড ভি‌ত্তিক পু‌লিশ কর্মকর্তা ম‌নোনীত করা হ‌বে। এতে, পু‌লিশের কাজের অ‌ধিকতর জবাব‌দি‌হিতাও নি‌শ্চিত হবে।

    প‌রিশেষে আই‌জি‌পি বলেন, পু‌লিশকে বর্তমানের মতো করে, সবসময় দাঁড়াতে হবে মানুষের পাশে।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • আইজিপি ব্যাজ পরানো হলো বেনজীর আহমেদকে

    আইজিপি ব্যাজ পরানো হলো বেনজীর আহমেদকে

    নবনিযুক্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদকে ব্যাজ পরানো হয়েছে।

    বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে আইজিপিকে ব্যাজ পরানো হয়।

    নতুন আইজিপিকে ব্যাজ পরিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন।

    এর মধ্য দিয়ে বেনজীর আহমেদ সদ্য বিদায়ী পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর স্থলাভিষিক্ত হলেন।

    এ সময় গণভবনে অন্যদের মধ্যে বিদায়ী আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন ও অপারেশন্স) ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, এসবির অতিরিক্ত আইজি মীর শহীদুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

    এদিকে গণভবনে ব্যাজ পরিধানের পর পরই ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে যান আইজিপি বেনজীর আহমেদ। সেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

  • নতুন আইজিপি বেনজীর আহমেদ

    নতুন আইজিপি বেনজীর আহমেদ

    ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ (আইজিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার প্রজ্ঞাপন নং:৮৮.০০.০০০০.০৯৪.১৯.০০১.১৯.৩৪১ মোতাবেক বুধবার (৮ এপ্রিল) তাকে ইন্সপেক্টর জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।

    আগামী ১৫ এপ্রিল ২০২০ তারিখ থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে। তিনি বর্তমান ইন্সপেক্টর জেনারেল বাংলাদেশ পুলিশ ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) এর স্থলাভিষিক্ত হবেন। সপ্তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ সালে তিনি সরাসরি বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে যোগদান করেন।

    একজন দক্ষ, পেশাদার, আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক পুলিশ অফিসার বেনজীর তার বর্ণাঢ্য চাকরি জীবনে র‌্যাবের মহাপরিচালক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ডিআইজি (প্রশাসন ও অপারেশন্স) ও ডিআইজি (ফিন্যান্স অ্যান্ড বাজেট) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি পুলিশ সুপার হিসেবে কিশোরগঞ্জ জেলায় দায়িত্ব পালন করেছেন।

    তিনি ২০১০-২০১৫ মেয়াদে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জনগণের সেবা প্রাপ্তির বিষয়টি আরও সহজতর ও গতিশীল করার লক্ষ্যে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে থানার সংখ্যা, জনবল ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের তদারকী বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। ফলে তার কর্মকালের প্রায় সূচনালগ্নেই তিনি ডিএমপিতে ৪ টি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, ৫ টি যুগ্ম কমিশনার, ৭ টি ডিসির পদসহ ৮ টি থানার জনবলের পদ সৃজন করেন।

    ডিএমপি কমিশনার হিসেবে তিনি ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজত বিরোধী আন্দোলন অত্যন্ত সাহসিকতা, বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করেন এবং ঢাকা শহর তথা দেশকে এক মারাত্মক বিপর্যয় থেকে মুক্ত করেন। এছাড়াও ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের রাজনৈতিক অগ্নিসন্ত্রাস ও বোমা সন্ত্রাস অত্যন্ত সাহসিকতা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দমন করেন। বিশেষ করে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চার মাস ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক বহুসংখ্যক ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাস, বোমা সন্ত্রাস ও পুলিশকে টার্গেট করে আক্রমন তিনি অত্যন্ত দক্ষতা, সাহসিকতা ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের মাধ্যমে দমন করেন।

    ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন। র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দৃঢ়তার সাথে দায়িত্বপালন করে তিনি সুন্দরবনকে দস্যু মুক্ত করেন। যা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বহু বছরের আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত ছিল। নারায়ণগঞ্জ জেলার ৭ হত্যা মামলাসহ কতিপয় ঘটনার ক্ষেত্রে যখন র‌্যাবের ভূমিকা ও ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ এবং র‌্যাব সদস্যদের মনোবল ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম তখন তিনি দৃঢ়তার সাথে সেই নাজুক পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন। সদস্যদের মনোবল চাঙ্গা করার পাশাপাশি জনসম্মুখে র‌্যাবের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

    তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও গুরুত্বপূর্র্ণ দায়িত্বপালন করেছেন। ড. বেনজীর আহমেদ উপমহাদেশের মধ্যে প্রথম যিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ডিপার্টমেন্ট অব পিস কিপিং অপারেশন্স এর অধীন মিশন ম্যানেজমেন্ট এন্ড সাপোর্ট সেকশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি কসোভো মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের কন্টিনজেন্ট কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন।

    বেনজীর আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি এলএলবি ও এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। লেখাপড়ার প্রতি তার ঐকান্তিক আকর্ষণের কারণেই সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ফ্যাকাল্টি থেকে ডক্টর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিবিএ) ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ একাডেমিতে পেশাগত বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে তিনি রেক্টর’স মেডেল প্রাপ্তির কৃতিত্ব অর্জন করেন। এছাড়াও চাকরি জীবনে তিনি বিভিন্ন সময়ে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রেকর্ড সংখ্যক সর্বোচ্চ ছয়বার বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-কে ভূষিত হয়েছেন। এই দূরদর্শী ও প্রজ্ঞাবান কর্মকর্তা বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন এর তিনবার সভাপতির পদ অলংকৃত করেছেন।

    তিনি ১৯৬৩ সালে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিবাহিত এবং তিন কন্যা সন্তানের জনক।

  • মুজিববর্ষ সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কাজ করছে পুলিশ:আইজিপি

    মুজিববর্ষ সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কাজ করছে পুলিশ:আইজিপি

    বাংলাদেশে পুলিশের ইন্সেপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, মুজিববর্ষ সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কাজ করছে পুলিশ। পুলিশের সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং জনগণের সঙ্গে পুলিশের ব্যবহার হবে মধুর ও আন্তরিক। ইতিমধ্যে অনেক অপরাধ ঠেকিয়ে দেয়া সম্ভব হয়েছে।

    সোমবার (৯ মার্চ) সকাল ১০টায় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে মডেল থানা ও পুলিশ ব্যারাক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

    আইজিপি বলেন, সংস্কার কার্যক্রম একটি চলমান প্রক্রিয়া। রাষ্ট্রের সক্ষমতার ওপর লক্ষ্য রেখে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জনগণের মধ্যে পুলিশ সম্পর্কে যে ভীতি রয়েছে, তা দূর করতে দেশের সব থানাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। থানায় কর্মরত কর্মকর্তা ও ফোর্সদের মানসিকতার পরিবর্তন করার চেষ্টা চলছে।

    তিনি আরও বলেন, দেশের থানাগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে থানায় কী ধরনের ব্যবহার করা হচ্ছে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। থানায় থানায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নারী-শিশু-বৃদ্ধ-প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা সার্ভিস ডেক্স করে নতুন করে সাজানো হচ্ছে।

    পুলিশের সংস্কার কার্যক্রমে জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশের সংখ্যা যুক্তিপর্যায়ে বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে আইজিপি বলেন, বর্তমানে দেশে সাড়ে ৮০০ জনের মধ্যে একজন করে পুলিশ, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম।

    সাইবারক্রাইম বিশ্বব্যাপী বড় সমস্যা মর্মে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে এ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জেলাপর্যায়ে সেল গঠন করা হয়েছে।

    আইজিপি ভবন উদ্বোধন শেষে নতুন একটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি গাড়ির চাবি তুলে দেন কোটচাঁদপুর থানার ওসি মাহবুবুল আলমের হাতে।

    এর আগে থানা চত্বরে একটি নারিকেলগাছের চারা রোপণ করেন এবং নবনির্মিত ভবন ঘুরে দেখেন তিনি। ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে কোটচাঁদপুর মডেল থানা ও পুলিশ ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনটিতে সব ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে।

    এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই এমপি, স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শফিকুল আজম খান চঞ্চল, আনোয়ারুল আজীম আনার, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানম, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান পিপিএমসহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’

    ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’

    বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, পুলিশ আগের চেয়ে অনেক বেশি জনবান্ধব হয়েছে।

    তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন চেয়েছিলেন পুলিশ বাহিনীকে সেভাবে গড়ে তোলার কাজ চলছে।

    ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে খেলাধূলাসহ পুলিশের বিভিন্ন কর্মে জনগণকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।

    সোমবার নরসিংদী জেলা পুলিশের বার্ষিক সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

    পুলিশপ্রধান বলেন, একটা সময় সাধারণ মানুষ থানায় বা পুলিশের কাছে যেতে ভীত ছিল, এখন সেই পরিবেশ আর নেই। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যে যেমন পুলিশ চেয়েছিলেন আমরা তেমন জনগণের পুলিশ হতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এরই অংশ হিসেবে প্রতিটি পুলিশকে সেবার মানসিকতা ও মানবিক পুলিশ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। সেবার আধুনিকায়নের সুবাদে গত বছর ৫৮ লাখ জনগণের কাছে ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করেছে, মুজিব শতবর্ষে সারাদেশের প্রতিটি থানা জনগণের আস্থায় পরিণত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

    সোমবার দিনব্যাপী নরসিংদীর সাহেপ্রতাবস্থ পুলিশ লাইনস্ মাঠে এই সমাবেশ ও ক্রীড়ানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিকালে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আইজিপি।

    নরসিংদীর পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান। এসময় ঢাকা বিভাগের সকল জেলার পুলিশ সুপারসহ নরসিংদীর বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও সুধী মহলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।