Tag: আইসিইউ

  • চট্টগ্রামে ৩০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট উদ্বোধন করলেন ভুমিমন্ত্রী

    চট্টগ্রামে ৩০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট উদ্বোধন করলেন ভুমিমন্ত্রী

    সাধারণ মানুষের দানের ২০ কোটি টাকায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৩০ শয্যার আইসিইউ ইউনিটের উদ্বোধন করা হয়েছে।

    আজ শনিবার চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ৩০ শয্যার আন্তর্জাতিক মানের আইসিইউ ইউনিটের উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এম এ তাহের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী বলেন, বরাবরের ন্যায় মা ও শিশু হাসপাতালের প্রতি চট্টগ্রামবাসীর আন্তরিকতা অক্ষুন্ন রয়েছে। যখনই প্রয়োজন হয়েছে, নগরবাসী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। করোনার মতো সংকটময় মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই আইসিইউ ইউনিট।

    তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হাসপাতাল পরিচালনা করতে হবে সস্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিকভাবে। যাতে মানুষ এ হাসপাতালে সেবা পেয়ে উপকৃত হয় এবং সেবা নিতে বারবার এ হাসপাতালকেই বেছে নেয়। এসময় তিনি আরও বলেন, আইসিইউ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনায় কঠোর পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে যাতে, বাহকের মাধ্যমে জীবাণু প্রবেশ করতে না পারে।

    চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল সুত্র জানায়, ধনাঢ্যদের দানের ২০ কোটি টাকায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৩০ শয্যার আইসিইউ স্থাপন করা হয়। সিঙ্গাপুর ও ব্যাংককের আদলে আধুনিক যন্ত্রপাতির ওই ৩০ শয্যার আইসিইউতে আছে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা। ওই আইসিইউতে একই ছাদের নিচে সব ধরণের সেবার পাশাপাশি কম খরচে সাধারণ মানুষ সেবা পাবে।

    চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের আইসিইউ প্রধান অলক নন্দী জানান, ধনাঢ্য ব্যক্তিদের দানের টাকায় স্থাপিত এই আইসিইউ থেকে কম খরচে উন্নতমানের সেবা পাবেন গরিব রোগীরা। করোনা মহামারিতে পাশে থাকবে সাধারণ মানুষের। আইসিইউতে আছে ডায়ালাইসিস ও আলাদা আইসোলেশন আইসিইউ। এটি নির্মাণে খরচ হয়েছ ২০ কোটি টাকা।

    চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের জেনারেল সেক্রেটারি মো. রেজাউল করিম আজাদ বলেন, আমরা করোনার নতুন ধরন বিএফ সেভেন মোকাবিলায় প্রস্তুত। প্রয়োজন হলে আরও শয্যা বাড়াব। করোনায় শ্বাসকষ্টের রোগীদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আইসিইউ সেবা। আগামীর ভয়ংকর নতুন ধরন বিএফ.৭ মোকাবিলায় আছে আলাদা আইসোলেশন আইসিইউও।

    আইসিইউ ইনচার্জ ডা. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, সাধারণ মানুষ কম খরচে এক লাখ টাকার সেবা পাবে মাত্র ৮ হাজার টাকায়। উন্নত বিশ্বের আদলে এই আইসিইউ তৈরি করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর ও ব্যাংককের আদলে হয়েছে সবই।
    মহামারি করোনার ভয়াবহ সময়ে চট্টগ্রামে আইসিইউ বেডের জন্য স্বজনদের আহাজারি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অসহায়ত্ব দেখেছে চট্টগ্রামবাসী। এমনকি ছেলের জন্য আইসিইউ বেড ছেড়ে দিয়ে মা প্রভা পালের মৃত্যুর মর্মান্তিক ঘটনাও সেই সময় নাড়া দিয়েছিল নগরবাসীকে। সেই ভয়াবহতা ও সংকটময় মুহূর্ত থেকে শিক্ষা নিয়ে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের ৩০ শয্যার আইসিইউ বেড।

  • স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি বাবু আইসিইউতে

    স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি বাবু আইসিইউতে

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শফিউল বারী বাবুর স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া করা হয়েছে।

    সোমবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম।

    শফিউল বারী বাবুর সুস্থতা কামনা করে দোয়া চেয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল।

    রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, শফিউল বারী বাবু বেশ কিছুদিন যাবত অসুস্থ। সোমবার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।

    বাবুর অক্সিজেন লেভেল কমে গেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলীয় নেতারা তার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

    শায়রুল কবির বলেন, শফিউল বারী বাবুর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

    স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শফিউল বারী বাবুর চিকিৎসার নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছেন।’

    এদিকে বাবুর আশু সুস্থতা কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • খাগড়াছড়িতে আইসিইউ না থাকায় মানুষের মাঝে বাড়ছে উদ্বেগ

    খাগড়াছড়িতে আইসিইউ না থাকায় মানুষের মাঝে বাড়ছে উদ্বেগ

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : আট লাখের মানুষের জেলা খাগড়াছড়িতে নেই কোন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউ।

    আইসিইউ না থাকায় যে কোন মুর্মূষ রোগীকে বাধ্য হয়ে নিয়ে যেতে হয় শত কিশোমিটার দূরের চট্টগ্রাম অথবা ফেনী জেলাশহরে।

    করোনা মোকাবেলায় জেলা পর্যায়ে দ্রুত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) স্থাপনের দাবি জানিয়েছে জেলাবাসী।

    সিভিল সার্জন বলছেন আইসিইউ স্থাপন এখন সময়ের দাবি। একই অবস্থা বান্দরবার ও রাঙামাটি জেলাতেও।

    জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এর তথ্য অনুযায়ী, জেলায় দিন দিন বাড়ছে করোনার রোগী। করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে। তবে করোনা আক্রান্ত মুর্মূষ রোগীদের চিকিৎসা সেবার জন্য কোন আইসিইউ সুবিধা নেই। এতে করোনা আক্রান্তদের মাঝে উদ্বেগ বাড়ছে।

    জেলাসদর ও অন্যান্য হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, করোনা আক্রান্ত রোগীর অবনতি হলে বিভাগীয় শহর চট্টগ্রামে রেফার করা হয়। এতে পাড়ি হবে ১২০ কিলোমিটারের পাহাড়ি পথ। দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে আইসিইউ পর্যন্ত যাওয়ায় আগেই রোগীর প্রাণ হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। তবে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে আইসিইউ পাওয়ার কোন নিশ্চিয়তা নেই। তাই জেলায় দ্রুত সময়ে আইসিইউ স্থাপনের দাবি উঠেছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের পক্ষ থেকে।

    সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-এর খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সভাপতি ও সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. সুধীন কুমার চাকমা বলেন, এমনিতে খাগড়াছড়িতে চিকিৎক ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি অনেকদিন থেকেই প্রকট। তার ওপর এই করোনাকালে যদি অনাকাঙ্খিতভাবে কারো শারীরিক সমস্যা বেড়ে যায়, তাহলে তো চট্টগ্রাম ফেনী ছাড়া কোন উপায়ই নেই।

    তিনি মনে করেন, সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উপায়ে খাগড়াছড়িতে একটি আইসিইউ, পিসিআর ল্যাব স্থাপন এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার সমাধান সম্ভব।

    জেলায় আইসিইউ স্থাপন জরুরী বলে মনে করে জেলা সিভিল সার্জন নুপুর কান্তি দাশ জানান, ‘জেলায় যারা করোনায় মুমূর্ষ অবস্থা তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। আইসিইউ, ভেন্টিলেটর না থাকায় রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছে না। করোনার প্রকোপ যেভাবে বাড়ছে সেটি মোকাবেলায় জেলা সদর হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপন অত্যন্ত জরুরী।’

    খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী জানিয়েছেন, করোনার আঘাতের শুরু থেকেই পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ঘটাতে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। চলতি অর্থ বছরের মধ্যেই আমরা পুরো জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজাতে পারবো।

    তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে সব সমস্যার দ্রুত সমাধান সম্ভব।

    খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, অনেক দিনের সমস্যা তাই গভীরতাও অনেক বেশি। তবে আমাদের পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সম্মিলিতভাবে আমরা কাজ করছি। এই বছরের মধ্যেই একটি বড়ো পরিবর্তন সাধিত হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/প্রদীপ

  • সাহারা খাতুন আইসিইউতে ভর্তি

    সাহারা খাতুন আইসিইউতে ভর্তি

    হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।

    ৭৭ বছর বয়সী সাহারা খাতুন জ্বর, অ্যালার্জির সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা নিয়ে ২জুন রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন।

    তার ব্যক্তিগত সহকারী মজিবর রহমান জানান, ‘অনেক দিন ধরে উনি এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আজকে সকাল দশটার দিকে অবস্থার অবনতির দিকে গেলে ডাক্তাররা আইসিইউয়ে নিয়ে যান।’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়েছেন বলে আওয়ামী লীগের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা জানিয়েছেন।

    সাহারা খাতুন গত তিন মেয়াদ ধরে ঢাকা-১৮ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। ২০০৮ সালে মহাজোট ক্ষমতায় এলে প্রথমে তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়। পরে দেয়া হয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতালের ১২১টি আইসিইউ শয্যার ৮৬টিই খালি

    চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতালের ১২১টি আইসিইউ শয্যার ৮৬টিই খালি

    আলীউর রহমান:চট্টগ্রামে প্রশাসনের তালিকা করা ২০টি বেসরকারি হাসপাতালে ১ হাজার ৫৮৮টি শয্যা রয়েছে। তার মধ্যে অর্ধেক শয্যাই খালি।

    এ সংক্রান্ত সরকারি কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে এখন সব ব্যবস্থা গ্রহন করছি। বেসরকারি হাসপাতাল কয়টা সিট কেন খালি রাখছে সব তথ্য নেয়া হচ্ছে।

    তিনি বলেন, কাউকে হয়রানি করা নয়। আমরা চেষ্টা করেও বেসরকারি হাসপাতালে শত ভাগ করোনা রোগী চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারছি না।

    মিজান বলেন, হাসপাতালে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা হচ্ছে। এত কিছুর পরও করোনা রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।তারা আইসিইউতে চিকিৎসক নেই বলে সিট খালি রেখেছে। পার্কভিউ ও ম্যাক্স হাসপাতাল আইসিইউতে রোগী রেখেছে। আমরা তাদের বুঝিয়ে চিকিৎসা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। সব বেসরকারি হাসপাতালে সব মিলিয়ে ১২১টি আইসিইউ সিটের মধ্যে মাত্র ২৫টিতে রোগী ভর্তি আছে। বাকিগুলো খালি। আমরা চাইলে পুলিশ পাঠিয়ে ধরে এনে বাধ্য করতে পারি।’

    চট্টগ্রামে করোনা রোগী প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল শনিবার ২২২ জন এবং আজ রবিবার ২৬৯ জন নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত রোগীদের একটি অংশের আইসিইউ সেবা জরুরি হয়ে পড়ছে। কিন্তু চট্টগ্রামে আইসিইউ সেবার অপ্রতুলতার কারণে জটিল রোগী মারা যাচ্ছে। এ কারণে যাদের সামর্থ্য আছে তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ছুটে যাচ্ছে।

    করোনার চিকিৎসা নিয়ে স্বাচিপের গঠিত কমিটির সমন্বয়ক ডা. আনম মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার দায়িত্ব সরকার নিলেও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের দায়িত্ব সরকার নিচ্ছে না। তাই বেসরকারি চিকিৎসকরা সেবা দিতে রাজি হচ্ছে না।’

    জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘তারা সারা বছর ব্যবসা করছে। এই টাকা তো সরকারকে দেয়নি। জাতির এই জরুরি প্রয়োজনে তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। তাদের সুরক্ষার বিষয়টি সম্পর্কে একটি প্রস্তাব আমরা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পাঠিয়েছি। তারা চিকিৎসক সংকটসহ নানা টালবাহানা করে করোনা রোগীর চিকিৎসার দায় এড়াতে চাচ্ছেন।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • আইসিইউ শয্যা সংকটে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেল চবি শিক্ষিকা

    আইসিইউ শয্যা সংকটে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেল চবি শিক্ষিকা

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চবি প্রতিনিধি : হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা সংকটে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষিকা। তিনি কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

    শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

    মৃত ওই শিক্ষিকার নাম সাবরিনা ইসলাম সুইটি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও সাবেক পরিচালক ছিলেন।

    নিকটাত্মীয়দের থেকে জানা যায়, রাত ১০টার দিকে সাবরিনা ইসলাম সুইটির প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হয় এবং ক্রমান্বয়ে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। এরপরই মেট্রোপলিটন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু এ সময় আইসিইউর প্রয়োজন ছিল।

    কোথাও আইসিইউ শয্যা খালি ছিল না। রাত ২টা ৪৫ মিনিটে অবশেষে শ্বাসকষ্ট নিয়েই তিনি মারা যান।

    সাবরিনা ইসলাম সুইটির গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায়। সেখানেই তাকে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/মেহেদি/রাজীব প্রিন্স

  • স্ত্রীর জীবন বাঁচাতে আইসিইউ সিটের আঁকুতি/ মধ্যরাতে হাসপাতালে ছুটছেন কাউন্সিলর খোরশেদ

    স্ত্রীর জীবন বাঁচাতে আইসিইউ সিটের আঁকুতি/ মধ্যরাতে হাসপাতালে ছুটছেন কাউন্সিলর খোরশেদ

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নারায়ণগঞ্জ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খোন্দকার খোরশেদ। করোনার কথা শুনলেই যখন আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধবরা সরে যান, ঠিক তখনই করোনায় মৃত মরদেহের পাশে এসে দাড়ায় এ কাউন্সিলর।

    গত ৮ এপ্রিল থেকে কোভিড–১৯–এ মারা যাওয়া রোগী, করোনার উপসর্গ বা সন্দেহ করা হয় এমন রোগীর লাশ এবং কিছু ক্ষেত্রে যক্ষ্মাসহ অন্যান্য রোগে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের লাশও দাফন এবং সৎকার করে চলেছেন।কাউন্সিলর খোরশেদ

    তার নেতৃত্বে টিমের সদস্যরা এ পর্যন্ত ৬১ জনের মরদেহ দাফন করে। ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ উপাধি নিয়ে এই কাউন্সিলরের নামও ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। সেই ফেরিওয়ালাই এখন নিজেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার নমুনার পরীক্ষার ফলাফলে তার করোনা পজিটিভ আসে।

    একদিন আগে নমুনা পরীক্ষার পর মাত্র বারো ঘন্টা আগে খোরশেদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এই সময় তার আইসোলেশনে বিশ্রামে থাকার কথা।

    কিন্তু এর এক সপ্তাহ আগে গত ২৩ মে তার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনার শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। বর্তমানে লুনার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তিনি। এই অবস্থায়ও পাওয়া যাচ্ছে না কোনো হাসপাতালের আইসিইউ।

    গণমাধ্যম সূত্রে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ এবং সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের মাধ্যমে ‘বীর বাহাদুর’ খ্যাত এই কাউন্সিলর স্ত্রীর জীবন বাঁচাতে এখন মরিয়া হয়ে উঠেছেন। নিজের কথা না ভেবে করোনায় আক্রান্ত সহধর্মিনীর দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে মধ্যরাতে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি।

    জনপ্রিয় এবং বহুল আলোচিত কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন হাসপাতালে স্ত্রী লুনার জন্য আইসিইউ সিট পেতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

    পরে শনিবার মধ্যরাতে জেলার সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর এলাকায় সাজেদা হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছেছেন। যেখানে শুধুমাত্র করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে।

    তবে সেখান থেকে আইসিইউ পাওয়ার কোনো নিশ্চয়তা মেলেনি এখন পর্যন্ত। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাউন্সিলর খোরশেদের পরিচয় জানতে পেরে সকালের মধ্যে আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।কাউন্সিলর খোরশেদ

    করোনায় মৃত ব্যক্তিদের দাফনসহ আক্রান্তদের সহযোগিতায় এই কাউন্সিলরের গড়া ১৩ সদস্যের স্বেচ্ছাসেবক দল “টীম খোরশেদ থার্টিন” এর সার্বক্ষণিক সদস্য আশরাফুজ্জামান হীরা জানান, আইসিউ বেড-সম্পন্ন হাসপাতালে স্ত্রীকে দ্রুত ভর্তি করতে রাত সাড়ে দশটা থেকেই জেলা স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তারাসহ বিভিন্নজনকে ফোন দিয়ে কথা বলছেন খোরশেদ।

    স্ত্রীর শারীরক অবস্থার কথা সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে তাদেরকে অনুরোধও করেন খোরশেদ।

    খোরশেদ বলেন, ‘আইসিইউ পেতে হয়ত সকাল হয়ে যাবে। বাঁচা মরা তো আল্লাহর হাতে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে আমার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনার শ্বাসকষ্ট বাড়ার পাশাপাশি পুরো শরীর নিস্তেজ হয়ে গেছে। এছাড়া সে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে।

    এখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে লুনাকে। বিশেষ করে আমার করোনা পজিটিভ হওয়ার খবরে আরও ভেঙ্গে পড়েছে সে।’

    তিনি আরও জানান, শনিবার বিকালে লুনার অবস্থার অবনতি হলে তিনি আইসিইউর ব্যবস্থা করতে শুরু করেন। কিন্তু পাননি। নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকায়ও আইসিইউ পাননি। নারায়ণগঞ্জে শুধু সাজেদা হাসপাতালে চারটি আইসিইউ বেড আছে, তবে সেগুলোতে রোগী ভর্তি। অন্য কোথাও নেই। তাই নানা হাসপাতাল ঘুরে শেষ পর্যন্ত আবারো এ হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আইসিইউর জন্য অনুরোধ করেছি। তারা সকালে দেবে বলেছে। একটি আইসিইউ হলে হয়ত আমার স্ত্রীর শ্বাস নেওয়াটা স্বাভাবিকভাবে চলতো।

    সবাইকে দোয়া করার অনুরোধ জানিয়ে খোরশেদ বলেন, আমার তিন সন্তান। ওরা ভেঙ্গে পড়েছে। ওদের জন্য একটু দোয়া করবেন। আল্লাহ আমাদের সকলকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • করোনা চিকিৎসায় ১৫০ আইসিইউ প্রস্তত : ডা. ফ্লোরা

    করোনা চিকিৎসায় ১৫০ আইসিইউ প্রস্তত : ডা. ফ্লোরা

    দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য রাজধানীতে ১৫০টি নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

    বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সবশেষ পরিস্থিতি জানাতে মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলনকক্ষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

    মীরজাদী বলেন, রোজ এক হাজার করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষা করার সক্ষমতা রয়েছে আমাদের। প্রতিনিয়ত কিট আসছে দাতা সংস্থাগুলো থেকে।

    সেব্রিনা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআরের হটলাইনে কল এসেছে ৪ হাজার ২০৫টি। এর মধ্যে করোনা সংক্রান্ত ছিল ৪ হাজার ১৬৪টি। এ ছাড়া সর্বমোট ২৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তারা হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন। সব মিলিয়ে হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন ১৬ জন। ৪৩ জন আছেন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে।

    বাংলাদেশে নতুন করে আরও দুজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে নতুন করে আরও দুজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের দুজনই পুরুষ। তাদের মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে, একজন ইতালিফেরত।

    এর আগে সোমবার তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দুটি শিশু ও একজন নারী। সব মিলিয়ে এখন এই রোগে ১০ জন আক্রান্ত হলেন। এদের মধ্যে তিনজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাদের দুজন বাড়ি চলে গেছেন।