Tag: আইসিসি

  • শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটকে নিষিদ্ধ করলো আইসিসি

    শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটকে নিষিদ্ধ করলো আইসিসি

    শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে বড় দুঃসংবাদ। বোর্ডের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে লঙ্কান ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আইসিসি।

    বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আইসিসি বোর্ড আজ বৈঠকে বসে ঠিক করেছে যে, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট একটি সদস্য হিসেবে তার প্রতিশ্রুতির গুরুতর লঙ্ঘন করছে। বিশেষ করে, স্বায়ত্তশাসিতভাবে তার বিষয়গুলো পরিচালনা করার প্রয়োজনীয়তা এবং শাসন, প্রবিধান এবং প্রশাসনে কোনও সরকারি হস্তক্ষেপ নেই তা নিশ্চিত করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট।’

    যার ফলশ্রুতিতে লঙ্কান ক্রিকেটের সদস্যপদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। তারা আরও জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার শর্তগুলো আইসিসির বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তীতে যথাসময়ে জানাবে।

    এর আগে বিশ্বকাপে ভরাডুবির কারণে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের সকল সদস্যকে বরখাস্ত করেছিলেন দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী রোশান রানাসিংহে। এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের পুনরায় স্বপদে পুর্নবহাল করেছিলেন লঙ্কান আদালত।

    তবে দুইদিন পর সংসদে সরকারি দল ও বিরোধী দলের সর্বসম্মতিক্রমে বোর্ড সদস্যদের বরখাস্ত করার প্রস্তাব পাস করায়।

    বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ‘দুর্নীতিগ্রস্থ এসএলসি (শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড) ম্যানেজমেন্ট প্রত্যাহার’ নামে একটি বিল উত্থাপন করেন প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা। পরে উত্থাপন করা বিলে সম্মতি প্রদান করেন সরকারদলীয় নেতা নিমাল সিরিপালা ডি সিলভা। এরপর চূড়ান্ত প্রস্তাব পাস হয়।

    পরে এ বিষয়ে প্রেমাদাসা জানান, জনগণকে ক্রিকেট বোর্ডের প্রশাসনিক পর্যায়ে দুর্নীতি বিষয়ে সচেতন করা এবং লঙ্কান ক্রিকেটকে দুর্নীতিবাজদের কবল থেকে রক্ষা করাই এই প্রস্তাবের লক্ষ্য। আবেগী ভক্তদের জন্য খেলাকে বাঁচাতে সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রেমাদাসা।

    বিশ্বকাপে লঙ্কান ক্রিকেটারদের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে বোর্ডের কর্তাদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। পরে সমালোচনার মুখে পড়ে সেক্রেটারির পদ থেকে সরে দাঁড়ান মোহন ডি সিলভা। এর পরেই দিনই বোর্ডের সবাইকে পদত্যাগে বাধ্য করেন রোশান রানাসিংহে।

     

  • আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৩তম আসর শুরু আজ

    আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৩তম আসর শুরু আজ

    আজ থেকে শুরু বহু অপেক্ষার‍ আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। যে কোনবারের তুলনায় এবার আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে ঢের। ফরম্যাটের ভিন্নতা, ভারত-পাকিস্তান বৈরিতা, ওয়ানডের ক্রিকেটের গতিপথ নির্ধারণ সবমিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপ পেয়েছে ভিন্ন মাত্রা।

    ৪৮ ম্যাচ, ৪৬ দিন, দশ দেশ ট্রফি মাত্র একটা। উত্তরে ধর্মশালা, দক্ষিণে চেন্নাই। পূর্বের কলকাতা থেকে পশ্চিমের আহমেদাবাদ বিশ্বকাপের মঞ্চ তৈরি। অপেক্ষায় দশ ভেন্যু। শুরুটা শেষ থেকে, শেষ বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ডের লড়াই দিয়ে।

    ফাইনাল আর চির বৈরিতার ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথের ভেন্যুও এক আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। পাকিস্তান শেষ চারে টিকে থাকলে ফিরতে হবে কলকাতায়। ভারতের ক্ষেত্রে ভেন্যু হবে মুম্বাই। আর দুই দল সেমিতে মুখোমুখি হলে দেখা হবে সিটি অব জয়ে। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স সাক্ষী হবে সেই ম্যাচের।

    প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ মঞ্চে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতি। সেখান থেকে সেরা চার দল খেলবে সেমিফাইনালে। রিজার্ভ ডে থাকছে শুধু নক আউট পর্বে। বিশ্বকাপের রঙ হারিয়েছে বাছাই পর্বে, দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজর বিদায়ে। নেই নিয়মিত বিশ্বকাপ খেলা জিম্বাবুয়েও। বাছাই পর্বের চমক নেদারল্যান্ডস।

    হট ফেভারিট ভারত ও ইংল্যান্ড, কিন্তু স্পটলাইট থাকবে অস্ট্রেলিয়ার ওপর। হ্যাটট্রিক শিরোপাসহ ৫ বারের বিশ্বসেরা যে অজিরা। অবশ্য ঘরের মাঠের সুবিধা আর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে হট ফেভারিট ভারত। সাবেক ক্রিকেটার থেকে বিশেষজ্ঞরা তৃতীয় ট্রফি দেখছেন স্বাগতিকদের ঘরে।

    ১৪২ কোটি মানুষের দেশ ভারত, সঙ্গে দর্শকপ্রিয়তার তুঙ্গে বলেই যেকোনও বারের তুলনায় আগ্রহ, উত্তেজনা আর রোমাঞ্চ বাড়িয়েছে এবারের আসরে। সে তুলনায় অবশ্য বাড়েনি প্রাইজমানি। আগের আসরের সমান ১০ মিলিয়ন ডলার এবারও। টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ১১০ কোটি। যেখানে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৪০ কোটির বেশি। রানার্সআপ পাবে এর অর্ধেক।

    বিশ্বকাপ ডামাডোলে সমালোচনাও কম নয়। যেখানে আসর শুরুর এক বছর আগেই চূড়ান্ত সূচি ঘোষণা করে আয়োজকরা সেখানে ভারত প্রকাশ করেছে মাত্র ১০০ দিন আগে।

    একাধিকবার সূচি বদলেও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে আয়োজক বিসিসিআই। ৭ বছর পর ভারতে পা রেখেছে পাকিস্তান। সেখানেও ভিসা জটিলতা এড়াতে পারেনি। যে কারণে ম্যান ইন গ্রীনদের প্রস্তুতিতেও ছিলে ঘাটতি। অসন্তোষ ছিলে অনলাইন টিকিট বিক্রির প্রক্রিয়া নিয়ে। বিশ্বকাপ জুড়ে ভ্রমণ ক্লান্তি নিয়েও আলাদা করে ভাবতে হচ্ছে দলগুলোর কোচিং স্টাফদের।

    সবকিছুকে পাশ কাটিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের গতিপথ নির্ধারণ হতে পারে এবারের বিশ্বকাপে।

  • আইসিসির চোখে, বিশ্বকাপের যে পাঁচ ম্যাচ অবশ্যই দেখতে হবে

    আইসিসির চোখে, বিশ্বকাপের যে পাঁচ ম্যাচ অবশ্যই দেখতে হবে

    আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপের সূচি মঙ্গলবার (২৭ জুন) ঘোষণা করে আইসিসি। আর সূচি ঘোষণার পরপরই গ্রুপ পর্বের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বিশেষ নজর রাখতে বলেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক এই সংস্থাটি। এরমধ্যে জায়গা পেয়েছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের ম্যাচও।

    ওয়ানডে বিশ্বকাপের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ ভারত-পাকিস্তান মহারণ আহমেদাবাদ মাঠে গড়াবে! এদিকে বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমে। এদিকে গেলবারের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচে দেখা যেতে পারে রোমাঞ্চের ছড়াছড়ি।

    আইসিসির মতে বিশ্বকাপের যে পাঁচটি ম্যাচ অবশ্যই দেখতে হবে-

    ভারত-পাকিস্তান (আহমেদাবাদ, ১৫ অক্টোবর)

    ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড (আহমেদাবাদ, ৫ অক্টোবর)

    ভারত-অস্ট্রেলিয়া (চেন্নাই, ৮ অক্টোবর)

    অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা (লখনৌ, ১৩ অক্টোবর)

    বাংলাদেশ-আফগানিস্তান (ধর্মশালা, ৭ অক্টোবর)

  • আইসিসির দশক সেরা ওয়ানডে দলে সাকিব

    আইসিসির দশক সেরা ওয়ানডে দলে সাকিব

    বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির বিগত দশকের সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশ দলের তারকা ক্রিকেটার ও বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

    রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টার কিছুক্ষণ পর আইসিসি বিগত দশকের সেরা ওয়ানডে একাদশ প্রকাশ করে। একাদশে সাকিবই একমাত্র বাংলাদেশি। এছাড়া এশিয়া থেকে তিনি ছাড়া আছেন আরও ৪ জন ক্রিকেটার। ২০১৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী পাকিস্তানের কোনো ক্রিকেটার নেই একাদশে।

    ২০১১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়ে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স বিবেচনা করে এই একাদশ সাজিয়েছে আইসিসি। একাদশে অধিনায়কের মর্যাদা পেয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ২০১১ সালে ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো এই ক্রিকেটার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের ভূমিকায়ও রয়েছেন।

    ভারত থেকে আরও আছেন ওপেনার রোহিত শর্মা ও ওয়ান ডাউনে বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলি। রোহিতের সাথে ওপেনারের ভূমিকায় অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার। ওয়ার্নারের স্বদেশী মিচেল স্টার্কও আছেন একাদশটিতে। ব্যাটিং অর্ডারে সাকিবের অবস্থান পঞ্চম, তার আগে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স। ধোনি আছেন ছয় নম্বরে।

    সময়ের অন্যতম আরেক সেরা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস ব্যাটিং অর্ডারের সপ্তম স্থানে আছেন। স্টার্কের পাশাপাশি পেসার হিসেবে আছেন নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট ও শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা। স্পিনার হিসেবে আছেন ডি ভিলিয়ার্সের সতীর্থ ইমরান তাহির।

    একনজরে আইসিসির বাছাইকৃত দশক সেরা ওয়ানডে দল

    রোহিত শর্মা, ডেভিড ওয়ার্নার, বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স, সাকিব আল হাসান, মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), বেন স্টোকস, মিচেল স্টার্ক, ট্রেন্ট বোল্ট, ইমরান তাহির ও লাসিথ মালিঙ্গা।

  • আইসিসির নতুন চেয়ারম্যান গ্রেগ বারক্লে

    আইসিসির নতুন চেয়ারম্যান গ্রেগ বারক্লে

    আইসিসির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান গ্রেগ বারক্লে। চেয়ারম্যান নির্বাচনে ভোটিং হয়েছে দুইবার। প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ডের ভোট পাননি বারক্লে। তবে দ্বিতীয়বার প্রোটিয়াদের মাধ্যমেই কাঙ্ক্ষিত ১১টি ভোট পূরণ হয়েছে বারক্লের।

    স্বতন্ত্র নির্বাচনে জয়ী হওয়ার দৌড়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন পাকিস্তানের ইমরান খাজাকে। গত জুলাইয়ে শশাঙ্ক মনোহার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের পর আইসিসির অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন ইমরান খাজা। এবার তার কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেবেন গ্রেগ বারক্লের।

    ইমরান খাজা ও গ্রেগ বারক্লের মধ্যে হওয়া এ নির্বাচনের নিয়মে বলা ছিল, ১৬ ভোটের মধ্যে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ (১১ ভোট) পেলে জয়ীর খেতাব পাওয়া যাবে। যে কারণে প্রথম দফার ভোটে ১০-৬ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও বিজয়ী হননি বারক্লে। পরে দ্বিতীয় দফায় দক্ষিণ আফ্রিকার ভোট পেয়ে আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান।

    পেশাগতভাবে একজন আইনজীবী হলেও ২০১২ সাল থেকে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক পদে রয়েছেন গ্রেগ বারক্লে। সবশেষ কিউই বোর্ডের প্রধানও ছিলেন তিনি। তবে এখন স্বাধীনভাবে আইসিসির দায়িত্বগ্রহণ করায় নিউজিল্যান্ডের পদ ছাড়তে হবে তাকে। শশাঙ্ক মনোহারের পর আইসিসির দ্বিতীয় স্বাধীন চেয়ারম্যান বারক্লে।

    ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপের অন্যতম পরিচালক ছিলেন তিনি। এবার আরও অনেক বড় দায়িত্ব পেয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে বারক্লে বলেছেন, ‘আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া অনেক বড় সম্মানের বিষয়। আমার ওপর আস্থা রাখায় আইসিসির অন্যান্য পরিচালকদের ধন্যবাদ জানাই। আমি আশা করি আমরা সবাই একসঙ্গে মিলে ক্রিকেটকে আরও ভালো অবস্থানে নিতে পারব।’

    যাকে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন বারক্লে, সেই ইমরান খাজাকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি, ‘অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় ইমরান খাজাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। খেলাটির কঠিন সময়ে শক্ত হাতে হাল ধরেছেন তিনি। ভবিষ্যতেও তার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে যাবো।’

  • টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত

    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত

    মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়।

    সোমবার আইসিসির ভার্চুয়াল বোর্ড মিটিংয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করা ছোঁয়াচে ভাইরাস করোনার কারণে অলিম্পিক গেমসসহ বিভিন্ন টুর্নামেন্ট স্থগিত হয়ে যায়।

    তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত হওয়ায় সুবিধা হয়েছে ভারতীয় কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই)। আইপিএল আয়োজনে তাদের আর কোনো সমস্যা থাকল না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলেও ভারতের পরিবর্তে সংযুক্ত আরব আমিরতে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে আইপিএল অনুষ্ঠিত হতে পারে।

    আইপিএল না হলে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাতো ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড।

    গত বছর আইপিএলের ব্রান্ড ভেল্যু ছিল ৬.৭ বিলিয়ন। স্টার স্পোর্টস ২০২২ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের জন্য ২২০ মিলিয়ন ডলারে ভারতীয় ক্রিকেটের টিভি স্বত্ব কিনে নেয়। ২০২০ সাল পর্যন্ত তাদের টার্গেট ছিল ৪০০ মিলিয়ন ডলার উপার্জনের। আইপিএল না হলে মিডিয়ারাইটস থেকেও চুক্তি অনুসারে অর্থ পাবে না বিসিসিআই।

    প্রসঙ্গত, এবারের আইপিএল শুরু হওয়ার কথা ছিল ২৯ মার্চ। কিন্তু মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তা পিছিয়ে দেয়া হয়। বিসিসিআই চাচ্ছে সেপ্টেম্বর-নভেম্বরে আরব আমিরাতে আইপিএল আয়োজন করতে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বিশ্বকাপের সেরা একাশের নেতৃত্বে আকবর আলী

    বিশ্বকাপের সেরা একাশের নেতৃত্বে আকবর আলী

    ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ভারতকে ২৩ বল আগেই ৩ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।

    অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করা সেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে বিশ্ব একাদশ সাজিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

    বাংলাদেশকে শিরোপা জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন অধিনায়ক আকবর আলী। দৃঢ় মনোবল নিয়ে শক্ত হাতে দল সামলানোর পাশাপাশি ফাইনালে খেলেছেন ম্যাচ জেতানো ইনিংস, যা একইসাথে জিতিয়েছে শিরোপাও। সেই আকবরকেই বিশ্বকাপ একাদশের অধিনায়ক হিসেবে বাছাই করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

    আকবর ছাড়াও একাদশে রয়েছেন ৩ জন বাংলাদেশি ক্রিকেটার। আসরে দ্বিতীয় হওয়া ভারতেরও ৩ জন ক্রিকেটার রয়েছেন একাদশে। এছাড়া আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ২ জন করে এবং শ্রীলঙ্কা থেকে ১ জন ক্রিকেটার একাদশে ঠাই পেয়েছেন।

    আকবর ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে রয়েছেন সেমিফাইনালের নায়ক মাহমুদুল হাসান জয় ও তিনটি ম্যাচে অপরাজিত থাকা শাহাদাত হোসেন। আসরে ৬ জন ব্যাটসম্যানকে ডিসমিসালে পরিণত করা আকবরকে অধিনায়কত্বে পাশাপাশি উইকেটরক্ষক হিসেবেও দেখেছে আইসিসি।

    আইসিসির সেরা একাদশ: যশস্বী জাসওয়াল, ইবরাহিম জাদরান, রাভিন্দু রাসান্থা, মাহমুদুল হাসান জয়, শাহাদাত হোসেন, নিম ইয়ং, আকবর আলী (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), শফিকউল্লাহ ঘাফারি, রবি বিষ্ণই, কার্তিক ত্যাগি, জায়ডেন সিলস।

    দ্বাদশ খেলোয়াড়: আকিল কুমার

  • সাকিবের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে:মাশরাফি

    সাকিবের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে:মাশরাফি

    এক বছর ক্রিকেট মাঠে দেখা যাবে না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা তারকা সাকিব আল হাসানকে।

    ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব তিনবার পেয়েও আইসিসি কিংবা বিসিবিকে জানান নি এই অলরাউন্ডার। এ কারণে আইসিসি দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ অধিনায়ককে। যার মধ্যে আছে এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। টানা এক বছর বাংলাদেশ অধিনায়ক থাকবেন না ক্রিকেট মাঠে। এমন খবরে অন্য অনেকের মতো হতাশ বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

    প্রিয় সতীর্থদের জন্য মন পুড়ছে মাশরাফির। ওয়ানডে অধিনায়ক মঙ্গলবার রাতে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এনিয়ে লিখলেন আবেগঘন স্ট্যাটাস। যেখানে সতীর্থদের জন্য বিনিদ্র রাত কাটানোর কথাও বললেন ম্যাশ।

    ওয়ানডে অধিনায়ক লিখেছেন, ‘দীর্ঘ ১৩ বছরের সহযোদ্ধার আজকের ঘটনায় নিশ্চিতভাবেই কিছু বিনিদ্র রাত কাটবে আমার। তবে কিছুদিন পর এটা ভেবেও শান্তিতে ঘুমাতে পারব যে, তার নেতৃত্বেই ২০২৩ সালে আমরা বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলব। কারণ নামটি তো সাকিব আল হাসান…!!!’

    সব ধরণের ক্রিকেটে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ সাকিবের পাশে দাঁড়িয়েছেন তার আরেক সতীর্থ মুশফিকুর রহিমও। মাশরাফির মতো তারও বিশ্বাস আরও বেশি দাপট নিয়েই ফিরবেন প্রিয় সতীর্থ। মুশফিক তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘আমরা ১৮ বছর ধরে এক সঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলেছি। এটা খুবই দুঃখজনক তোমাকে (সাকিব) ছাড়া মাঠে নামতে হবে। আমি আশা করি, সাকিব বীরের মতো ফিরে আসবে। তোমার জন্য আমার এবং পুরো বাংলাদেশের সমর্থন থাকবে। শক্ত থাকো। ইনশা আল্লাহ।’

    সাকিব আল হাসানের নিজের কণ্ঠেও ফেরার প্রত্যয়। তিনি মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা শুনে মিরপুর বিসিবি কার্যালয়ে আসেন। বিমর্ষ এই মহাতারকা বলেন, ‘আমি শাস্তি মেনে নিয়েছি। সকল খেলোয়াড়ের মতো আমিও চাই ক্রিকেটটা দুর্নীতিমুক্ত থাকুক। তরুণদের উন্নয়নে আমি কাজ করব। আপনারা আমাকে যেভাবে সাপোর্ট দিয়েছেন, সেভাবে সাপোর্ট দিয়ে যাবেন, তাহলে আমি দ্রুত ক্রিকেটে ফিরে আসতে পারব।’

    সাকিবের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। এর চেয়ে বেশি মর্মান্তিক কিছু হতে পরে বলে আমার জানা নেই। কারণ আমি বহুবার বলেছি, দুজন খেলোয়াড়ের বিকল্প আমাদের নেই। একজন অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি, অন্যজন সাকিব। আমি মনে করি আমাদের সকলকে সাকিবের পাশে এখন থাকা উচিত। ওর এখন খুব খারাপ সময় যাচ্ছে। ভেঙে পড়ার কোনো কারণ নেই। ও অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের সঙ্গে সহযোগিতা করার কথা বলেছে। সেটা করে যাক এবং যেভাবে যখন যেভাবে সাপোর্ট করা দরকার বিসিবি ওর পাশে থাকবে।’

    গত দুই বছরে তিনবার একজন চিহ্নিত ক্রিকেট জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পান সাকিব। তখন সেই প্রস্তাব উড়িয়ে দেন তিনি। তবে জুয়াড়ির কাছ থেকে এই প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়ে তিনি আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু) কে জানাননি। এটাই তার বড় ভুল। আর সেই ভুলের ফাঁদে পড়েই আজ ক্রিকেট দুনিয়ায় নিষিদ্ধ হলেন সাকিব।

    বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্ছ সংস্থা আইসিসির কোড অব কনডাক্টে আছে-অনৈতিক প্রস্তাব লুকোনোও বড় অপরাধ। সেটিই করেছেন টাইগারদের অধিনায়ক। যার মাশুল দিয়ে এখন ক্রিকেটেরই বাইরে চলে গেলেন দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই তারকা!

  • সবার সমর্থন থাকলে আগের থেকে শক্তিশালী হয়ে ফিরব : সাকিব

    সবার সমর্থন থাকলে আগের থেকে শক্তিশালী হয়ে ফিরব : সাকিব

    বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জুয়াড়িদের কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাব পেয়ে প্রত্যাখ্যান করলেও বিষয়টি আইসিসি কিংবা বিসিবির কাছে বিষয়টি গোপন করায় তাকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

    তবে, দোষ স্বীকার করার কারণে, তার ১ বছরের শাস্তি স্থগিত করেছে আইসিসি। সাকিবকে যে শাস্তি দিয়েছে তা মেনে নিয়ে তিনি বলেছেন, সবার সমর্থন থাকলে এই সময়ের মধ্যে আগের থেকে শক্তিশালী হয়ে ফিরবেন।

    আইসিসির রায় ঘোষণার পর মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল ইসলাম পাপনের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে এসে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন সাকিব।

    তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইসিসির যে অবস্থান এবং সেজন্য আমার বিরুদ্ধে যে শাস্তি তা আমি মাথা পেতে নিচ্ছি। সবার সমর্থন থাকলে নিষেধাজ্ঞা শেষে আগের থেকে শক্তিশালী হয়ে ফিরব।

    সাকিব বলেন, আমার ভালোবাসার খেলাটি থেকে নিষিদ্ধ হওয়ায় আমি অত্যন্ত বিষণ্ণ। তবে (আইসিসিকে) রিপোর্ট না দেয়ায় আমার বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে সেটা আমি মেনে নিচ্ছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভূমিকা পালনের জন্য আইসিসির এসিইউ খেলোয়াড়দের ওপর আস্থা রাখে। কিন্তু আমি এক্ষেত্রে আমার দায়িত্ব পালন করতে পারিনি।

    তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটার এবং ফ্যানদের মতো আমিও চাই দুর্নীতিমুক্ত ক্রিকেট। আমি আইসিসির এসিইউ টিমের শিক্ষা প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে তাদের সহযোগিতা করতে চাই এবং আমি যে ভুলটি করেছি তা যেন আর কোনো তরুণ ক্রিকেটার না করেন সেটি নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করতে চাই।

    এর আগে সন্ধ্যায় জুয়াড়ির সঙ্গে কথোপকথন গোপন করার অপরাধে সাকিবের বিরুদ্ধে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রায় ঘোষণা করে আইসিসি। তবে ঘোষিত রায়ের এক বছরের শাস্তি স্থগিতও করা হয়েছে। একই অপরাধে না জড়ালে আগামী বছরের ২৯ অক্টোবর থেকে মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি।

    বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান একটি নয়, আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালার তিনটি আইন লঙ্ঘনের অপরাধে এ শাস্তি দিয়েছে আইসিসি।

  • দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ সাকিব

    দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ সাকিব

    অবশেষে গুঞ্জনটাই সত্যি হলো। জুয়াড়ির কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েও সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে না জানানোয় সাকিব আল হাসানকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।

    আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টে বলা আছে, বাজিকরদের কাছ থেকে ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেলে সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাতে হবে। না হয় আইসিসির দুর্নীতি দমন সংস্থা- আকসুকে অবহিত করতে হবে। সে খবর নিজে লুকিয়ে রাখলে সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে। সাকিব তার কোনোটাই করেননি।

    সাকিব মূলত এক বছর নিষিদ্ধ থাকবেন। পরবর্তী এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞায় থাকবেন। ওই এক বছরে সাকিব পুনরায় একই অভিযোগে অভিযুক্ত হলে সাকিবকে আবার শাস্তি দেবে আইসিসি।

    আজ থেকেই সাকিবের নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি। অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝপথে ফিরতে পারবেন সাকিব।

    আইসিসির ওয়েবসাইটে সাকিবের নিষেধাজ্ঞার এই সিদ্ধান্তটি জানানো হয়েছে। ম্যাচ ফিক্সিং-এর প্রস্তাব পাওয়ার পর সেটা গোপন করার অভিযোগে তাকে এই সাজা দেওয়া হয়েছে।

    আইসিসি বলছে, আগামী এক বছর তিনি খেলতে পারবেন না, কিন্তু তিনি যদি সাজার সব শর্ত মেনে চলেন তাহলে তিনি ২০২০ সালের ২৯শে অক্টোবর থেকে মাঠে ফিরে আসতে পারবেন।

    ২০১৮ সালে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ ও ২০১৮ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দুর্নীতির প্রস্তাব দেয়া হয় সাকিব আল হাসানকে।

    সাকিব সেটা যথাযথ কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ আইসিসির এ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে জানায়নি।

    ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে এবং ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ বনাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের একটি ম্যাচে সাকিব দুর্নীতির প্রস্তাব পান।

    আইসিসির বিবৃতি অনুযায়ী ২০২০ সালের ২৯শে অক্টোবর পর্যন্ত তার নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

    এরপর তার স্থগিত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে যেখানে সাকিবকে সন্তুষ্ট করতে হবে যে তিনি আর অপরাধের পুনরাবৃত্তি করবেন না।

    আইসিসির দেয়া বিবৃতিতে সাকিব আল হাসান বলেন, “আমি খুব দুঃখিত, আমার নিষেধাজ্ঞার জন্য। আমি খেলাটি ভালোবাসি, তবে আমার বিরুদ্ধে আনা দায় আমি মেনে নিয়েছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইসিসির যে অবস্থান সেখানে আমি আমার দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে পারিনি।”

    অ্যালেক্স মার্শাল, যিনি আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার, তিনি বলেন, ” সাকিব অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটার, সে অনেক প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন, এটা তার দায়িত্ব ছিল এই প্রস্তাবগুলো রিপোর্ট করা।”

    আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার আশা করছেন, সাকিব আর এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাবেন না এবং ভবিষ্যতে আইসিসির দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করবেন।

  • বিসিবি সাকিবের পাশে থাকবে : প্রধানমন্ত্রী

    বিসিবি সাকিবের পাশে থাকবে : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সাকিবকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। তার পাশে দাঁড়াবে। এখানে আমাদের পক্ষ থেকে হয়তো তেমন কিছুই করার নেই।’

    আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাকিবও এখানে একটা ভুল করেছে। সে হয়তো বিষয়টি আমলে নেয়নি, বুঝতে পারেনি। তার উচিত ছিল সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি আইসিসিকে জানানো। এখানে একটি ভুল হয়ে গেছে তার।’

    অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার জীবনে শুনিনি, ক্রিকেটাররা এভাবে আন্দোলনে যায়। বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে। আমরা যেভাবে ক্রিকেটকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি, বিশ্বের অনেক দেশও হয়তো এটা দেয়নি।’

    আজারবাইজানের বাকুতে গত ২৫ ও ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ন্যাম সম্মেলনে অংশ নিয়ে রোববার দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সফর নিয়েই আয়োজন করা হয় সংবাদ সম্মেলনের।

    ন্যাম সম্মেলনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি, আলজেরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট আবদেল কাদের বেনসালাহসহ ন্যামের সদস্য রাষ্ট্রের বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

    এ ছাড়া আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভবনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। বৈঠকে তাঁরা পারস্পরিক সুবিধার জন্য ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ক দৃঢ়করণে কাজ করবেন বলে সম্মতি দেন।

  • সাকিবের পাশে থাকব : ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

    সাকিবের পাশে থাকব : ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

    স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পরও তা আকসুর কাছে গোপন করায় সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

    বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সূত্রের বরাত দিয়ে বেশকিছু গণমাধ্যম জানায়, আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী জুয়াড়ির দেওয়া প্রস্তাব বোর্ড বা আইসিসির দুর্নীতি দমন সংস্থা আকসুকে না জানানোয় ১৮ মাস পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন সাকিব আল হাসান।

    তবে এখন পর্যন্ত আইসিসি, বিসিবি বা সাকিব আল হাসানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি বা মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

    এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

    তিনি বলেন, সাকিবের বিষয়টি নিয়ে আমরা ধোঁয়াশায় আছি। বোর্ডের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি, তাদেরও বিষয়টি জানা নেই। আইসিসি বিষয়টি তদন্ত করছে। তবে আজকেই বিষয়টি জানা যাবে। সাকিব যাতে অন্যায়ভাবে শাস্তির মুখে না পড়ে সেজন্য তার পাশে থাকব আমরা।