নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম):বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে রাউজানে আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনা উপসর্গ নিয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে এমন সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। অনেকেই শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে নগরীর এ হাসপাতাল থেকে ও হাসপাতালে ধর্ণা দিয়ে কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে আরেকটি মানবিক উদ্যোগ হাতে নিয়ে বাস্তবায়নের পথে হাঁটছেন রাউজানের তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় মুখ, উদীয়মান রাজনীতিবিদ, সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী।
সম্প্রতি রাউজানে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় একটি আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সাংসদপুত্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেয় উপজেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। তারই প্রেক্ষিতে মানবিকতার আরেকটি দৃষ্টান্ত গড়তে যাচ্ছেন তিনি।
নিজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণে সবার সহযোগিতা চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন ফারাজ করিম চৌধুরী।
স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “আমরা সকলেই মিলে বেসরকারিভাবে রাউজান ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে, আমি একটি পরিপূর্ণ আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। তবে এই কাজটি করার জন্য আপনাদের সকলের সহযোগিতা আমার প্রয়োজন। আপনারা আমাকে ছোট ছোট সহযোগিতা করবেন কি?”
রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র ২ ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, করোনাকালীন সময়ে রাউজানের সাংসদ ও সাংসদপুত্র জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন-রাত মানুষের কল্যানে কাজ করেছেন। যা সারাদেশে আলোচিত হয়েছে। এবার উপজেলায় একটি পূর্ণাঙ্গ আইসোলেশ সেন্টার গড়ে তোলার যে উদ্যোগ ফারাজ করিম চৌধুরী হাতে নিয়েছেন সেই মানবিক উদ্যোগে আমরা সর্বাত্নক সহযোগিতা করে যাবো। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে রাউজানের মানুষ একটি পূর্ণাঙ্গ আইসোলেশন সেন্টার পেতে যাচ্ছে। এমন মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করায় সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী ও সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরীর প্রতি আমরা রাউজানবাসী কৃতজ্ঞ।
উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি ও ক্রীড়া সংগঠক সুমন দে বলেন, সময়ের প্রেক্ষিতে উপজেলায় একটি পরিপূর্ণ আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণে যে উদ্যোগ ফারাজ করিম চৌধুরী নিয়েছেন সেটি রাউজানের ইতিহাসে মানবিকতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আসুন সবাই মিলে সাংসদপুত্রের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহযোগিতার হাত বাড়াই।
সাংসদপুত্রের আস্থাভাজন, সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের সভাপতি সাইদুল ইসলাম বলেন,
রাউজানের গণ মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়নে রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী ও তারই সুযোগ্য পুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী দিন-রাত যেভাবে কাজ করে চলেছেন তারই ধারাবাহিকতায় এবার
চট্রগ্রামের রাউজানে একটি পরিপূর্ণ আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছেন তরুণ প্রজন্মের আইডল ফারাজ করিম চৌধুরী। সবাই যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতার হাত বাড়ালে অতি দ্রুত সময়ে রাউজানবাসীর এই স্বপ্ন আলোর মুখ দেখবে। আসুন সবাই মিলে ফারাজ করিম চৌধুরীর প্রচেষ্টায় আইসোলেশন সেন্টার গড়ার কাজে সাধ্যমত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই।
সদ্য উদ্বোধনকৃত চসিকের ২৫০ শয্যার সিটি হল কোভিড আইসোলেশন সেন্টারে নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তার,নার্স ও অন্যান্য স্টাফদের ২ দিনের সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আজ ছিল এর প্রথম দিন। এই দিন প্রশিক্ষণার্থীদের পাশে থেকে বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ. ম নাছির উদ্দীন।
আজ সকালে সিটি হল কোভিড আইসোলেশন সেন্টারে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, করোনা সেবাদান কালে প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে নিজেকে সুরক্ষিত রেখে কিভাবে সেবা দেয়া যায়। নিজেকে সুরক্ষিত রেখে সেবা প্রদান করা গেলে দীর্ঘদিন সেবা দেওয়া সম্ভব বলে মেয়র মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, এই আইসোলেশন সেন্টারের সেবার উপর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য সেবার সুনাম জড়িত। তাই নগরবাসী যতবেশি সেবা পাবেন ততবেশি চসিকের সম্মান বৃদ্ধি পাবে। করোনা মহামারীর এই ঝুঁকি মোকাবেলায় যারা কাজ করবেন তাঁরা মানবসেবায় ও দেশের সেবায় একজন যোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন।
এই আইসোলেশন সেন্টারে নিয়োগপ্রাপ্ত যেসকল ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্টাফ রয়েছেন চাকুরী স্থায়ীকরণে তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে মেয়র উল্লেখ করেন। তাই সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থেকে সঠিকভাবে কর্তব্য পালন করার আহ্বান জানান। এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ হলে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি করানো হবে।
এ সময় চসিক কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, ডা. সুশান্ত বড়ুয়া, ডা. অনুরুদ্ধ ঘোষ জয়, ডা. মো. রবিউল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণ সচেতনতা অবলম্বন করে করোনা মোকাবেলা করা সম্ভব-মেয়র
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, নগরীতে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
এই সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবেলায় নগরবাসীকে আরো বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সিটি মেয়র বলেন, করোনার মতো মহামারী কালে আমাদের প্রধানমন্ত্রী জনগণের পাশে রয়েছেন। এই মহামারী দুর্যোগে কেউ যেন অনাহারে না থাকে, সেজন্য আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মাননমীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই কোন অসহায় ব্যক্তি যাতে অভুক্ত না থাকে সেদিক চিন্তা করে তাঁর প্রদত্ত উপহার সামগ্রী প্রতিদিন অসহায়দের হাতে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা যে- যেখানে কাজ করিনা কেন সর্বাগ্রে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।সচেতনতা অবলম্বন করে করোনা মোকাবেলা করা সম্ভব। মেয়র সকল শ্রেণি-পেশার মানুষদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর জন্য সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করেন।
মেয়র আজ রবিবার বিকালে বিভিন্ন সংগঠনের শ্রমিক কর্মচারীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন:চট্টগ্রাম ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের ২৫০শ্রমিক পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার তুলে দেয়ার সময় মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, আব্দুল নবী লেদু, সফিকুর রহমান, আবদুর সবুর, উৎপল বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সিটি হকার্স লীগ ও নিউমার্কেট দোকান কর্মচারী ইউনিয়ন :সিটি হকার্স লীগ ও নিউমার্কেট দেগাকান কর্মচারী ইউনিয়ন এর ৪শ পরিবারের মাঝে উপহার বিতরণের সময় মো. আজগর আলী, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. আলমগীর, মো. বগতিয়ারসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, সারা বিশ্বে করোনা মহামারি পরিস্থিতি এখনও বিপদজনক পর্যায়ে রয়েছে। যতদিন পর্যন্ত ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক আবিস্কৃত ও বাজারজাত হবে না করোনা পরিস্থিতির স্থায়ী নিরসন সম্ভব নয়।
তারপরও সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও করোনা বিস্তার প্রতিরোধ এবং আক্রান্ত রোগীদের সাধ্যমত চিকিৎসা প্রদানের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য নতুন অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্যখাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে ২৯ হাজার ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা মোট খাতওয়ারী বরাদ্দের ৭.৪ শতাংশ। এতে প্রতীয়মান হয় যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুরক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রয়াস অব্যাহত রেখেছেন এবং স্বাস্থ্যখাতকে আরো বেশি সেবামূলক ও কার্যক্ষম করার জন্য ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।
তিনি করোনাজনিত বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বলেন, দিন দিন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশতো বটেই বিশ্বেও করোনা সংক্রমণ সম্পর্কে কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশে করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রম কে নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই।
আজ বিকেলে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডস্থ সিটি কনভেনশন সেন্টারে চসিকের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা ও অর্থায়নে নির্মিত ২৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ও সমন্বিত উদ্যোগে সিটি মেয়র যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং আইসোলেশন সেন্টারটি প্রতিষ্ঠা করেছেন সেজন্য কৃতজ্ঞতা ও সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী। প্রায় ১ কোটি জনঅধ্যুষিত এই নগরীতে আজ পর্যন্ত ৪ হাজারেরও বেশি করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে এবং তা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা স্বীকার করতে দ্বীধা নেই যে, চট্টগ্রামে শনাক্ত রোগীদের জন্য যে পরিমাণ সেবাকেন্দ্র ও আইসোলেশন সেন্টার থাকা প্রয়োজন তা নেই। তাই আরো বেশি আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করার প্রয়োজন রয়েছে। এই উপলদ্ধী থেকে চট্টগ্রামের সিটি মেয়র নগরীতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ যে আইসোলেশন সেন্টারটি স্থাপন করেছেন এবং যা আজ উদ্বেধিত হলো তার সুফল অবশ্যই নগরবাসী পাবেন।
তিনি আরো বলেন, আজ করোনা পরিস্থিতির সবকিছুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মনিটরিং করছেন। তাই হতাশার কোন কারণ নেই। আমরা এও জানি যে, বাংলাদেশতো বটেই, উন্নত দেশগুলো এত চেষ্টা করেও এই পরিস্থিতি পুরোপুরি সামাল দিতে পারছে না। আজ দূর্বল ও সবল একাকার হয়ে গেছে। তাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রত্যেকে নিজের সুরক্ষা এবং অপরেরও সুরক্ষা নিশ্চিত করা। তাহলেই আমাদের ভয় কেটে যাবে এবং আমরা আবার সামাজিক সক্ষমতায় ফিরে যেতে পারবো।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জননেতা মোহাম্মদ নাসিম এর মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং করোনাকালে তাঁর মৃত্যুকে জাতির জন্য একটি ট্র্যাজেডি বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, আজকেই এই আইসোলেশন সেন্টারটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, স্বাস্থকর্মী ও জনবল নিয়ে আগামী দুই-এক দিনের মধ্যেই এখানে রোগী ভর্তি করা হবে। প্রথমত এই সেন্টারে মৃদু ও মাঝারী পর্যায়ের রোগাক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে। এদের মধ্যে যাদের অবস্থা গুরুতর হবে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল সহ যেখানে আইসিইউ ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা আছে সেখানে স্থানান্তর করা হবে।
তিনি দেশের করোনা পরিস্থিতি ও চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম উপস্থাপন করে বলেন, এব্যাপারে চলমান কার্যক্রমকে সন্তোষজনক বলার অবকাশ নেই। একথা সত্য যে, মৃদু ও মাঝারী পর্যায়ের রোগীরা ভালো হয়ে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে যান, তবে যাদের অবস্থা বিপজ্জনক ও গুরুতর তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের অপ্রতুলতা রয়েছে। তাই যতবেশি আইসোলেশন সেন্টারের সংখ্যা বাড়ানো যাবে ততই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে।
তিনি দু:খ প্রকাশ করে বলেন যে, মানুষের মধ্যে করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসা নিয়ে অবিশ্বাস এবং আস্থার অভাব রয়েছে। আমি জানি এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা লাগাতার পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, তবে এটাও ঠিক যে, কোন কোন চিকিৎসক ভীত হয়ে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন এবং কোভিড ও ননকোভিড রোগীদের হাসপাতাল ও চেম্বার থেকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এরফলে একাধিক হাসপাতালে গিয়ে গিয়ে ধর্না দেবার পরও ভর্তি হতে না পেরে মারা যাচ্ছেন। এই অবস্থাটি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।
তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের দাবী-দাওয়ার বিষয়ে আমি সচেতন। আমি এই বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে আগ্রহী। তবে তার আগে আপনাদের উপর যে অর্পিত দায়িত্ব রয়েছে কোন অযুহাতেই তাথেকে বিরত থাকবেন না।
তিনি বলেন, শুধু করোনায় নয়,যে কোনভাবেই মৃত্যু হতে পারে এবং তা অবধারিত। আমরা মারা যেতে পারি কিন্তু মনুষ্যত্ব মারা গেলে মানবজন্ম বৃথা এবং স্রষ্টার সেরা সৃষ্টির শ্রেষ্টত্ব বলতে আর কিছুই থাকবে না। তাই মৃত্যুভয়ে ভীত হয়ে কোন চিকিৎসক যদি রোগীর জীবন রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব পালন না করেন তা হলে স্রষ্টার কাছেই অপরাধী হয়ে থাকতে হবে। এ কারণে কী পেলাম, কী পেলাম না এই চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে পেশাগত দায়িত্ব ও শপথকে বড় করে দেখতে হবে।
মেয়র কনভেনশন সেন্টারের স্বত্বাধিকারী সীকম গ্রুপের চেয়ারম্যান আমিনুল হকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সিটি কনভেনশন হল আইসোলেশনের পরিচালক ডা. সুশান্ত বড়ুয়ার সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোস্তফা খালেদ আহমেদ, সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী, ১৫ আনসার ব্যাটেলিয়ানের ডাইরেক্টর এ এস এম আজিজ উদ্দীন, উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ফারুক। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, মো. এরশাদ উল্লাহ, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা জাবেদ, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, ডা. মোহাম্মদ আলী,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, আবু সাদাত মো. তৈয়ব, আনোয়ার জাহান, আইটি অফিসার ইকবাল হাসান, সেলিম রেজা, হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, সিকম গ্রুপের এস এম নাসির উদ্দীন আল মামুন, গোলাম কিবরিয়া, ওয়াহিদুল আলম, জোবায়ের আলম, হামিদুল্লাহ চৌধুরী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : সীকম গ্রুপের অত্যাধুনিক সেন্টারটিকে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই করোনা চিকিৎসার উপযোগী করে তুলেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
আগামীকাল শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় চসিকের এ আইসোলেশন কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এই উপলক্ষে আজ সন্ধ্যায় এর প্রস্তুতি পরিদর্শনে যান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
সরেজমিন দেখা গেছে, শয্যা, মেট্রেস, বিছানার চাদর, বালিশ, ঝুড়ি, গামলা ইত্যাদি সাজানো হয়ে গেছে। প্রতি আসনের সঙ্গে ওষুধপত্র রাখার ছোট্ট বাক্স দেওয়া হয়েছে। ৫০টি নতুন অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ আনুষঙ্গিক চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনা হয়েছে। প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে।
উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা আইসোলেশন কেন্দ্রটি আজ পরিদর্শণে গিয়ে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, কম ও মৃদু উপসর্গ আছে এমন রোগীদের চসিকের আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হবে। কারও যদি আইসিইউ সাপোর্ট দরকার হয় তবে অন্য সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে রেফার করা হবে।
প্রাথমিকভাবে এ আইসোলেশন সেন্টারের জন্য ৫০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার সংগ্রহ করা হয়েছে। যদি প্রয়োজন হয় আরও অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হবে। আগামী ১৫ জুন থেকে রোগী ভর্তি করা হবে।
তিনি বলেন শনিবার ১১টায় চসিকের ২৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারের জন্য নিয়োগ দেওয়া চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের নিয়ে আন্দরকিল্লার নগর ভবনের কেবি আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে জরুরি সভা করা হবে। দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি কিছু নির্দেশনা দেওয়া হবে এ সভায়।
আইসোলেশন কেন্দ্রের পরিদর্শণকালে রাজনীতিক বেলাল আহমেদ, মেয়রের একান্ত সহকারী রায়হান ইউসুফ, মামুনুর রশীদ মামুন, আনিসুর রহমান আনিস, মহসিন আলি বাদশা, লিটন, ইব্রাহিম, রিদুয়ান বাদশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : করোনা আইসোলেশন সেন্টার করতে গিয়ে নিজেই করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে আছেন স্পিকার্স কাউন্সিল এর সিইও ইমরান আহমেদ।
করোানা আইসোলেশন সেন্টার চট্টগ্রাম স্থাপনে যেই কয়জন উদ্যমী মানবিক যুবক এগিয়ে এসেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ইমরান আহমেদ।প্রতিষ্ঠিত তরুণ ব্যবসায়ী স্পিকার কাউন্সিলের পরিচালক।
আজ ১২ জুন রাতে ইমরান আহমেদ করোনা আক্রান্ত বলে জানান ইম্পেরিয়াল কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত ১০ জুন নগরীর ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে করোনা স্যাম্পল দেন তিনি।
ইচ্ছে করলে ঘরে বসে থাকতে পারতেন, আরাম-আয়েশে জীবন যাপন করতে পারতেন। তা না করে এ তরুন ব্যবসায়ী “করোনাকে ভয় নয় জয়” স্লোগান নিয়ে করোনা রোগীদের সেবা করার উদ্দেশ্যে আরো কয়েকজনসহ আইসোলেশন সেন্টার চট্টগ্রাম নির্মাণে এগিয়ে এলেন।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন ক্লিনিক এবং হাসপাতাল গুলো যখন রোগী ভর্তি করাচ্ছে না। এই হাসপাতাল থেকে ওই হাসপাতাল দৌড়াদৌড়ি করতে করতে রোগী অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যাচ্ছে ঠিক তখন তারা একটি কমিউনিটি সেন্টারকে ১০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণে ব্যস্ত।
করোানা আইসোলেশন সেন্টার চট্টগ্রাম স্থাপনে দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে নিজেই রোগী হয়ে গেলেন করোনা যোদ্ধা ইমরান আহমেদ। করোনা আইসোলেশন চট্টগ্রাম নির্মাণের অগ্রসেনানীকে আবারও করোনা রোগীর সেবায় চট্টগ্রামবাসী দেখতে চাই।
ইমরান আহমেদ বলেন, ইনশাআল্লাহ দ্রুত সুস্থ হয়ে আবারো চট্টগ্রামের মানুষের সেবায় নিয়জিত হবো। সবাই দোয়া করবেন।
২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন দেশের অর্থনৈতিক বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত চট্টগ্রামের ২টি ইপিজেড এখন করোনা সংক্রমণ উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে হাজার হাজার শ্রমিকের প্রাণ।
এসব ইপিজেডে কর্মরত শ্রমিকদের প্রাণ রক্ষার লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার সকালে নিজ উদ্দ্যেগে সিইপিজেড এবং কেইপিজেড এর মহাব্যবস্থাপকদ্বয়ের সাথে দীর্ঘক্ষণ টেলিফোনে আলোচনা করেন জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা খোরশেদ আলম সুজন।
এসময় ইপিজেডসমূহে আইসোলেশন সেন্টার এবং করোনা পরীক্ষাগার চালু করতে তিনি মহাব্যবস্থাপকদ্বয়ের কাছে বিনীত আহ্বান জানান। মঙ্গলবার বিকেলে খোরশেদ আলমের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে খোরশেদ আলম সুজন বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণে অর্থনৈতিক আঘাত থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের বাঁচাতে সর্বপ্রথম গার্মেন্টস সেক্টরে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী এ সিদ্ধান্তে দেশের রপ্তানিমূখী শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট মালিক এবং শ্রমিকসহ সকলের মাঝে স্বস্তি নেমে এসেছে। পরবর্তীতে সরকার দেশের রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ইপিজেডসমূহ চালু করার নির্দেশনা প্রদান করেছে।
অত্যন্ত গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে বেশীরভাগ প্রতিষ্টানেই স্বাস্থ্য বিধি না মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া সামাজিক দূরত্বও পুরোপুরি উপেক্ষিত হচ্ছে প্রতিষ্টানসমূহে।
এতে করে দেশের অর্থনৈতিক বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত ইপিজেডসমূহে করোনা সংক্রমণ উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাছাড়া কোন প্রতিষ্টানের কর্মী অসুস্থ হলে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে বাড়ীতে অবস্থানের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
অথচ একজন গার্মেন্টস কর্মী যে পরিবেশে দিনাতিপাত করে সে পরিবেশে এ পরিস্থিতিতে বাড়ীতে অবস্থান করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। তারপরও তাঁকে নিরূপায় হয়ে প্রতিষ্টানের নির্দেশনা মেনে বাড়ীতে অবস্থান করতে হচ্ছে।
ফলত দেখা যাচ্ছে যে ঐ গার্মেন্টস কর্মীর পরিবারসহ এলাকাবাসীরও সংক্রমিত হওয়ার আশংকা থেকে যাচ্ছে। বিশেষ করে নগরীর গার্মেন্টস অধ্যুষিত এলাকাসমূহ যেমন ৩৭,৩৮,৩৯,৪০ এবং ৪১নং ওয়ার্ডের প্রায় বাসা বাড়ীতে জ্বর, সর্দি, কাঁশিসহ বিভিন্ন রোগের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এতে করে ঐ সকল এলাকার অধিবাসীদের মাঝেও উদ্বেগ উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পড়ছে।
তিনি আরো বলেন সরকার প্রণোদনার একটি বিরাট অংশ গার্মেন্টস শিল্পের জন্য ব্যয় করছে অথচ করোনা পরিস্থিতিতে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধানতম খাত গার্মেন্টস শিল্পের মালিকদের রহস্যজনক নীরবতা আমাদেরকে হতবাক করছে।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্রতিষ্টান নানারকম সামাজিক দায়িত্ব পালন করলেও গার্মেন্টস মালিকরা কোন প্রকার সামাজিক দায়িত্ব পালন করেনাই। উপরন্তু যে শ্রমিকদের রক্ত, ঘামে তাদের এতো বিত্ত বৈভব, প্রতিপত্তি সে সকল শ্রমিকদের প্রতি মালিকদের এরকম নিষ্টুরতা আমাদেরকে ব্যথিত করেছে প্রতিনিয়ত।
তিনি অবিলম্বে গার্মেন্টস কর্মীদের জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আইসোলেশন সেন্টার এবং করোনা পরীক্ষাগার চালু করার উদাত্ত আহবান জানান।এছাড়া কোন গার্মেন্টস কর্মী আইসোলেশন থাকা অবস্থায় কোম্পানী প্রদত্ত বেতন ভাতা থেকে যেন বঞ্চিত না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য সিইপিজেড এবং কেইপিজেড এর মহাব্যবস্থাপকদ্বয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
তিনি কেইপিজেডে অবস্থিত নারী উন্নয়ন কেন্দ্রটি আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে প্রস্তুত করা যেতে পারে বলেও মত প্রকাশ করেন এবং মহাব্যবস্থাপকদ্বয়কে উপরোক্ত বিষয়ে দ্রুততার সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানান সুজন।
তিনি রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ কর্তৃপক্ষের কর্মকান্ড গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন যদি কর্তৃপক্ষ দ্রুততার সাথে উপরোক্ত বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হন তাহলে দেশের বৃহত্তম রপ্তানি কেন্দ্র সচল এবং নিরাপদ রাখার স্বার্থে নগরবাসীকে সাথে নিয়ে ইপিজেডসমূহে অবস্থান নিতে বাধ্য হবেন।
সিইপিজেড এর মহাব্যবস্থাপক মোঃ খুরশিদ আলম এবং কেইপিজেড এর মহাব্যবস্থাপক মসিউদ্দিন বিন মেজবাহ অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে সুজনের প্রস্তাবনার সাথে সহমত পোষন করেন। তারা বর্তমান পরিস্থিতিতে বাস্তবসম্মত প্রস্তাবনার জন্য সুজনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
মহাব্যবস্থাপকগণ নিজেরাও এর প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করতে সক্ষম হন এবং দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের অন্যতম গার্মেন্টস খাতকে নিরাপদ রাখতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আইসোলেশন সেন্টার চালুর উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
মহাব্যবস্থাপকদ্বয় সুজনের উত্থাপিত প্রস্তাবনাসমূহ লিখিত আকারে বেপজা কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করবেন বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও অর্থায়নে আগ্রাবাদস্থ সিটি কনভেনশন হলে প্রস্তুতকৃত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট করোনা আইসোলেশন সেন্টার আগামী ১৫ জুন চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন।
আজ অপরাহ্নে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইসোলেশন সেন্টারটি চালু করণের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় তিনি এই ঘোষণা দেন।
এই সময় তিনি বলেন, চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমন পরিস্থিতি উদ্বেগজনক মাত্রায় পৌছেছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করতে হবে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে চসিক আইসোলেশন সেন্টারের জন্য চিকিৎসক, নার্স, বয় নিয়োগসহ তাদের সুরক্ষা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম সংযোজনের প্রস্তুতি সুসম্পন্ন করেছে।
তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র লকডাউন দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে না। যে হারে সংক্রমনের হার বাড়ছে তা মোকাবেলায় আক্রান্তরা যাতে চিকিৎসা সেবা পান তা নিশ্চিত করতে আরো বেশি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। এ ছাড়াও করোনা সনাক্তের জন্য কোথায় সহজে নমুনা পরীক্ষা সম্ভব এবং চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত তথ্যাবলী মানুষ যেন অবগত হতে পারে সেই ব্যবস্থাও নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকেও উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, বিএমএ সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, আইটি অফিসার ইকবাল হাসান, জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য গবেষক ডা. সুশান্ত বড়ুয়া, মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. প্রীতি বড়ুয়া, ডা. মোহাম্মদ আলী, ডা. রবিউল করিম, ডা. নাসিম ভূইয়া, চসিক তত্ত্বাধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক ও আবু সাদাত মো. তৈয়ব প্রমুখ।
এ ছাড়া আজ বিকেলে সিটি মেয়র আগ্রবাদস্থ সিটি কনভেনশন হলের প্রস্তাবিত ২৫০ শয্যার করোনা আইসোলেশন সেন্টারও পরিদর্শন করেন।
প্রিন্স অব চিটাগং ও সিটি হল কনভেনশনে করোনা চিকিৎসার আইসোলেশন সেন্টারের প্রস্তুতি কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
আজ শুক্রবার বাদ জুমা প্রথমে প্রিন্স অব চিটাগং এবং পরে সিটি হল কনভেনশন সেন্টার পরিদর্শন করেন মেয়র।
পরিদর্শন শেষে সিটি মেয়র বলেন, কোভিড ১৯ মহামারী একটি সংক্রমণ রোগ,এই রোগ সীমান্ত বিবেচনা এবং দূর্বল,ক্ষমতাধর কিংবা উন্নত উন্নয়নশীল কাউকে আলাদা বিবেচনা করেনা। করোনা আমাদের সময়সীমাও বেঁধে দেয়নি-সুতরাং করোনার সাথে সহাবস্থানে চলার অভ্যাস রপ্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, সংক্রমণ যেহেতু পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেহেতু বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা সেবাদানের নতুন নতুন ক্ষেত্র স্থাপনের চেষ্টা করছি এবং সেই লক্ষ্যে প্রতিদিনই পদক্ষেপ নিচ্ছি। ইতোমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় অনুমোদন পাওয়া এবং চসিকের উদ্যোগে বেশ কিছু আইসোলেশন সেন্টার স্থাপিত হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সিটি হল কনভেনশন সেন্টারও প্রস্তুত হয়ে যাবে। এই হাসপাতালগুলো প্রস্তুত করে রোগী ভর্তি করানোর প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে আগামী দুই-এক দিনের মধ্যেই।
তিনি আরও বলেন, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ সম্পুর্ণ চসিকের ব্যবস্থাপনায় আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিটি হল ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমীনের ব্যক্তি উদ্যোগে প্রিন্স অব চিটাগং আইসোলেশন সেন্টার অতি শীঘ্রই নগরবাসীর সেবা দিতে প্রস্তুত হবে। চট্টগ্রামের গুরুত্ব বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখানে যা প্রয়োজন তা করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এই লক্ষে আমরা কাজ করছি। অকারণে ঘর থেকে বের না হওয়া, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সংক্রমণ অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হবে।
আমিনুল ইসলাম আমীন বলেন, করোনা মোকাবিলায় সরকারের সাথে আমরাও পাশে থাকতে চাই। দেশের প্রতি দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে আমাদেও নেত্রীর নির্দেশে আমরা দেশমাতৃকা রক্ষায় করোনা রোগীর চিকিৎসায় সিটি মেয়রের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সেবায় অংশগ্রহণ করতে চাই।
আইসোলেশন সেন্টার দুটি পরিদর্শনকালে কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য মোঃ বেলাল আহমেদ, আজাদ তালুকদার,চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা হেলাল আহমেদ,মামুনুর রশীদ মামুন ওয়াহিদুল আলম শিমুল,সুমন দেবনাথ সহিদুল ইসলাম মিন্টু, জাবেদুল আলম সুমন, মাইন উদ্দিন, তাজ উদ্দিন,প্রিন্স অব চিটাগং আইসোলেশনের উদ্যোক্তা সাজ্জাদ হোসেন, মহরম হোসেন, জাওইদ চৌধুরী, শাদ শাহরিয়ার, জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
২৪ ঘণ্টা/এম আর
আনোয়ারা(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি সেন্টার ছেড়ে দিলেন লাবিবা কনভেনশন হল কর্তৃপক্ষ।
করোনা পজিটিভ ব্যক্তি সুস্থ আছেন কিন্তু বাড়িতে সুষ্ঠু আইসোলেশনের ব্যবস্থা নেই তাদেরকে আইসোলেশনে রাখার জন্য লাবিবা কনভেনশন হলকে নির্বাচন করেছে আনোয়ারা উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন ) দুপুরে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমদের নেতৃত্বে সহকারী কমিশনার ভূমি তানভীর হোসেন চৌধুরী এবং আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ দুলাল মাহমুদকে সাথে নিয়ে কনভেনশন হলটি পরিদর্শন করেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন লাবিবা কনভেনশন হলের মালিক হাসানুর রশিদ রিপন।
করোনা রোগীদের সেবায় কমিউনিটি সেন্টার ছেড়ে দেয়ায় লাবিবা কনভেনশন হল কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন উপজেলা প্রশাসন।
এম জুনায়েদ, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি:::ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাটে দুইটি আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়েদুল আরেফিন।
রবিবার ( ১৯ এপ্রিল) সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় তিনি আগামী দু’একদিনের মধ্যে সাংসদ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী আইসোলেশন সেন্টারগুলো পরিদর্শন করবেন বলেও জানান।
ফটিকছড়ির সাংসদ ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর নির্দেশে চিকিৎসক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্য তৈরী হচ্ছে এ দু’টি অাইসোলেশন সেন্টার।
চিকিৎসকদের জন্য ফটিকছড়ির নাজিরহাটের মাউন্ট রয়েল অাবাসিক হোটেল ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্য হৃদয় অাবাসিক হোটেলকে অাইসোলেশন সেন্টার হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সায়েদুল অারেফিন জানান, মাননীয় সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী মহোদয়ের নির্দেশে অাপদকালীন সময়ের জন্য ফটিকছড়িতে চিকিৎসক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্য দু’টি অাইসোলেশন সেন্টার তৈরী করা হচ্ছে। দু’একদিনের মধ্যে তৈরি কাজ শেষ হবে।