Tag: আকবর আলি

  • বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফিরল আকবর বাহিনী

    বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফিরল আকবর বাহিনী

    বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ দলকে বরণ করে নেয়ার জন্য নানান আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অপেক্ষার পালা শেষ করে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে ঢাকায় পা রেখেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে পৌঁছেছেন বাংলাদেশ দলকে বহনকারী বিমানটি।

    এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে করে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে আকবর আলির দল।

    বিমানদবন্দরে তাদেরকে বরণ করে নেয়ার জন্য বিসিবির পাশাপাশি বিমানবন্দর, কাস্টমস কর্তৃপক্ষসহ অনেকেই অপেক্ষারত ছিলেন।

    জুনিয়র টাইগারদের বের হওয়ার পথে সংবাদকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে।

    বিমানবন্দর যুবাদেরকে ‘ওয়াটার স্যালুট’ দিয়ে প্রথমে বরণ করে নেয়া হয়। সেখানে ফুলেল সংবর্ধনাসহ কেক কাটা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।

    যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন প্রথমেই ফুল দিয়ে যুবাদের বরণ করে নেন। এছাড়া বিসিবির প্রধান নির্বাহি নিজামউদ্দিন চৌধুরি এবং খালেদ মাহমুদ সুজন, শেখ সোহেল, জালাল ইউনুসসহ বিসিবি পরিচালকরা উপস্থিত আছেন।

    বাংলাদেশ দলকে বিমানবন্দর থেকে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করেছে বিসিবি। যেখানে চ্যাম্পিয়ন লেখা বাসে আকবর-শরিফুলদের উল্লাসের ও ট্রফি হাতে ছবি বিরাজ করছে।

    একইভাবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামেও নেমেছে মানুষের ঢল। সেখানেও টাইগারদের অভ্যর্থনার মূল আয়োজন করা হবে। যুবাদের ছবি সম্বলিত ব্যানার ও আলোকসজ্জায় ঝলমলে এখন হোম অব ক্রিকেট।

    প্রসঙ্গত, গত রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ দল। উত্তেজনাকর ফাইনাল ম্যাচে ভারতকে ৩ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জয় করে জুনিয়র টাইগাররা। বিশ্বকাপজয়ী এই যুবাদের বরণ করে নিতে এখন মুখিয়ে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের শুভ্যানুধায়ীরা। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয় করায় সবার মাঝে উচ্ছ্বাসটা একটু বেশিই বিরাজ করেছে।

  • একমাত্র বোন হারানোর শোক নিয়ে বিশ্বকাপ জিতলেন আকবর দ্যা গ্রেট

    একমাত্র বোন হারানোর শোক নিয়ে বিশ্বকাপ জিতলেন আকবর দ্যা গ্রেট

    হাজার মাইল দূরে থেকে দেশের হয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে লড়াই করছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক আকবর আলী। পাহাড় সমান দায়িত্ব তার কাঁধে। এদিক ওদিক খেয়াল করার সময় তার নেই। একটাই সংকল্প- বিশ্বকাপ জিততে হবে।

    দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশ টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামে ১৮ জানুয়ারি। ২১ জানুয়ারি স্কটল্যান্ডকে উড়িয়ে দেয় আকবরের দল। টানা দুই জয়ে দল যখন উৎফুল্ল। ঠিক তখন দেশ থেকে বড় দুঃসংবাদ উড়ে গেল আকবরের জন্য।

    ২২ জানুয়ারি তার একমাত্র বোন খাদিজা খাতুন না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। যমজ সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান তিনি। স্বজন হারানোর বেদনা বুকে চাপা দিয়ে দুই দিন পরই পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামেন আকবর।

    শোককে শক্তিতে পরিণত করে ইতিহাস গড়েন তিনি। দেশকে প্রথমবারের মতো এনে দেন আইসিসির কোনো বিশ্বকাপ ইভেন্টের শিরোপা। তিনি নিজেকে আরো উচ্চতায় নিয়ে গেছেন ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে নায়কোচিত ইনিংস খেলে। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন আকবর দ্যা গ্রেট আকবর আলী।

  • অদম্য আকবরের বাবা-মায়ের খুশির কান্না

    অদম্য আকবরের বাবা-মায়ের খুশির কান্না

    ‘আমার ছেলে (আকবর আলি) জয় নিয়ে দেশে ফিরবে এই পণ করে খেলতে গিয়েছিল। ছেলে আমার অদম্য। ওর ইচ্ছে পূর্ণ হয়েছে। সঙ্গে আমরা একটা বিশ্বকাপ পেলাম।’ চোখের পানি ফেলতে ফেলতে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক আকবর আলির মা সাহিদা আক্তার।

    রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ জয়ের পর নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

    আকবরের মা সাহিদা আক্তার বলেন, ‘আকবর আমার দোয়া নিয়ে খেলতে গেছে। আল্লাহর রহমতে সে দেশের মুখ বিশ্বে উজ্জ্বল করেছে। তার এ জয় পুরো দেশবাসীর।’

    এদিকে, টিভির পর্দায় সারাক্ষণ তাকিয়ে থাকা আকবরের বাবা মোস্তফা হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমি কান্না থামাতে পারছি না। এ কান্না খুশির কান্না। আল্লাহ তার ওপর রহমত করেছেন বলেই আজ আকবর পুরো বিশ্বে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে।’

    এ সময় তিনি সবার কাছে তার ছেলের জন্য দোয়া চেয়ে বলেন, ‘আমার ছেলে স্বপ্ন দেখত, দেশের হয়ে খেলবে। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ওর ইচ্ছে ছিল জয় ছিনিয়ে আনবে। দৃঢ় মনোবলে সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে।’

    বাংলাদেশ দলের বিজয় নিশ্চিত হওয়ার আগ থেকেই আকবরের বাড়ি রংপুরের পশ্চিম জুম্মাপাড়ায় সংবাদকর্মীসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষীর ঢল নামে। পরে বিজয় আনন্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে বাড়িসহ পুরো এলাকা। জয় উৎসবে রংপুরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আনন্দ মিছিল এসে তার বাড়ির সামনে যুক্ত হয়।