Tag: আক্রান্ত

  • করোনা উপসর্গ নিয়ে না ফেরার দেশে সিএমপির আরো এক পুলিশ সদস্য

    করোনা উপসর্গ নিয়ে না ফেরার দেশে সিএমপির আরো এক পুলিশ সদস্য

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির একদিন পরেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের আরো এক সদস্য।

    আজ ২ জুন মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মারা যাওয়া পুলিশ সদস্যের নাম মর্তুজা আবদুল কাইয়ুম (৩৮)।

    তিনি সিএমপির সদরঘাট থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) পদে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি ফেনী জেলার পরশুরাম এলাকায়।

    নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) আবু বক্কর সিদ্দিক আরো এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ এর উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

    তিনি বলেন, এর আগেও গত ১৯ মে থেকে জ্বর-সর্দি নিয়ে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ছিলেন এএসআই মর্তুজা।

    গত ২৭ মে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ৩১ মে সে নিজ কর্মস্থল সদরঘাট থানায় আসেন। তখন তার একবার নমুনা পরীক্ষা করা হলে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ ফল আসে। আরো পড়ুন : করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেল সিএমপির পুলিশ কনেস্টেবল

    তবে সোমবার (১ জুন) সকাল ১১ টার দিকে তার শরীরে ফের করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাকে আবারো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও জনসংযোগ কমকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন,মৃত্যুর আগে এএসআই মর্তুজার শরীরে“কোভিড-১৯ এর উপসর্গ থাকায় মৃত্যুর পর তার ফের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে।

    সদরঘাট থানা সূত্রে জানা গেছে করোনা উপসর্গ নিয়ে তাদের থানার এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। বিকেলে সদরঘাট থানায় তার নামাযে জানাজা শেষে লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

    এর আগের দিন সোমবার সকাল ১১টার সময় প্রাণঘাতী করোনা উপসর্গ নিয়ে আরো এক পুলিশ সদস্য মৃত্যুবরণ করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি}‘র পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) কন্সটেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে সিএমপি সূত্রে জানা গেছে।

    সিএমপি সূত্রে জানা যায়, গতকাল ১ জুন সোমবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মোট ১৬৬ জন পুলিশ সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যে ৪৪ জন সুস্থ হয়ে পুনরায় কর্মস্থলে যোগ দিলেও দুঃখজনক হলেও সত্যি যে দুজন সদস্য আর বেঁচে নেই।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • কক্সবাজারে একদিনে করোনায় ৩ জনের মৃত্যু

    কক্সবাজারে একদিনে করোনায় ৩ জনের মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারে একদিনে পৃথকভাবে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক নারীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১জুন) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৃৃথকভাবে এসব রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে কক্সবাজার জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৬জন।

    মৃত্যু হওয়া রোগীরা হলেন- কক্সবাজার শহরের পূর্ব পাহাড়তলী ইছুলুর ঘোনা এলাকার মো: এছারুল করিম (৩৫), শহরের মধ্যম নুনিয়াছড়া এলাকার মোহাম্মদ করিম (৩০) ও টেকনাফ পৌরসভার ডেইলপাড়া এলাকার মোহাম্মদ কবিরের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫৫)।

    কক্সবাজার জেলা হাসপাতাল সূত্র জানায়, সোমবার (১জুন) ভোর ৫টার দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মারা যান মো: এছারুল করিম (৩৫), সে কক্সবাজার শহরের পূর্ব পাহাড়তলি ইছুলুরঘোনার বাসিন্দা। সেখানে ব্যবসা করতেন।

    তাদের পরিবারে ৩ সদস্য করোনায় আক্রান্ত। ইতিমধ্যে এক সদস্য সুস্থ হয়ে গেছেন। মো. এছারুল করিমের করোনা লক্ষণ দেখা দিলে তিনি স্যাম্পল জমা দেন। রবিবার (৩১ মে) তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রাতেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয় এবং সেখানেই তিনি আজ সোমবার আনুমানিক ভোর ৫টা নাগাদ মৃত্যুবরণ করেন।

    কক্সবাজার পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মধ্যম নুনিয়ারছড়ার তরুণ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ করিম (৩০) করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। সোমবার (১ জুন) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

    করোনার উপসর্গ নিয়ে দুই দিন আগে তাকে হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। ওই দিনই তার স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়। তবে এখনো রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি। মোহাম্মদ করিম মধ্যম নুনিয়াছড়া এলাকার শামসুল আলম প্রকাশ শামসু মাঝির ছেলে।

    একইভাবে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মনোয়ারা বেগম (৫৫) নামের এক নারী মারা গেছে। সে টেকনাফ পৌরসভার ডেইলপাড়া এলাকার মোহাম্মদ কবিরের স্ত্রী। একই দিন বেলা ১১টার দিকে তিনি মারা যান। এর তিনদিন আগে তার করোনার লক্ষণ দেখা দিলে রবিবার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।

    কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা: মাহবুবুর রহমান জানান, ‘কক্সবাজার জেলায় গত ৬১টি দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে ১৩জন মারা গেছে। আজকের তিনজন সহ মোট ১৬জন নারী পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ৭জন। মারা যাওয়া ১৬জনই করোনায় আক্রান্ত।

    মৃত্যু হওয়া রোগীদের মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ১১জন, রামু ১জন, টেকনাফে ২জন, উখিয়া ১জন ও চকরিয়া ১জন রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/ইসলাম মাহমুদ/রাজীব প্রিন্স

  • কক্সবাজার ল্যাবে চট্টগ্রামের ২জনসহ একদিনে নতুন করে ৯২ জনের করোনা শনাক্ত

    কক্সবাজার ল্যাবে চট্টগ্রামের ২জনসহ একদিনে নতুন করে ৯২ জনের করোনা শনাক্ত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ২৮৩ জন নমুনা পরীক্ষায় ৯৬ জন পজেটিভ এসেছে। এতে নতুন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ৯২ জন। অপর ৪ জন আক্রান্ত রোগীর ফলোআপ রিপোর্ট।

    নতুন শনাক্তের মধ্যে কক্সবাজার জেলার রয়েছে ৫ রোহিঙ্গা সহ ৯০ জন। এতে কক্সবাজার সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্ত রয়েছে। কক্সবাজার সদরে রয়েছে ৩৫ জন।

    এছাড়া রামু উপজেলার ২২ জন, উখিয়া উপজেলার ৭ জন, চকরিয়া উপজেলার ১৪ জন, টেকনাফ উপজেলার ৪ জন, পেকুয়া উপজেলার ২ জন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ১ জন এবং চাঁদগাঁও’র ১ জন রয়েছে।

    সোমবার সন্ধ্যায় এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া।

    গত ৬১ দিনে মোট ৭০৪৮ জন সন্দেহভাজন রোগীর করোনা ভাইরাস টেষ্ট করা হয় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে স্থাপিত ল্যাবে। তারমধ্যে ৮৭৩ জনের রিপোর্ট করোনা পজেটিভ পাওয়া গেল। এতে কক্সবাজার জেলার রয়েছে ৭৯৫ জন।

    এর মধ্যে মহেশখালীতে ৩২ জন, টেকনাফে ৩৬ জন, উখিয়ায় ১০৫ জন, রামু ৪৯ জন, চকরিয়ায় ১৭৩ জন, কক্সবাজার সদরে ৩২১ জন, কুতুবদিয়ায় ২ জন এবং পেকুয়ায় ৪১ জন রয়েছে। এর সাথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৩৫ জন রোহিঙ্গা।

    অন্যান্যরা কক্সবাজার জেলার নিকটবর্তী বান্দরবান জেলার বাসিন্দা এবং চট্টগ্রামের চাঁদগাঁও, সীতাকুঞ্জ, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ার বাসিন্দা।

    কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্য মতে, ইতিমধ্যে করোনায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন কক্সবাজার জেলায় মোট ১৪২ জন। আর মৃত্যু বরণ করেছেন ১২ জন।

    এর মধ্যে সদর উপজেলায় সুস্থ হয়েছেন ২২ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ১০ জন, রামু উপজেলায় সুস্থ ২ জন, মৃত্যু ১ জন, চকরিয়ায় সুস্থ ৭০ জন, মৃত্যু ১ জন, পেকুয়ায় সুস্থ ২১ জন, মহেশখালীতে ২জন, উখিয়া ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সুস্থ ৭ জন ও টেকনাফে সুস্থ ৮ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/ইসলাম মাহমুদ/রাজীব প্রিন্স

  • করোনা/শোকে জমাট হৃদয়,কেউ কারো মৃত্যু নিয়ে তেমন শোক করবে না-মু. সেলিম হক

    করোনা/শোকে জমাট হৃদয়,কেউ কারো মৃত্যু নিয়ে তেমন শোক করবে না-মু. সেলিম হক

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। মতামত ডেস্ক : এখন আগের মতো করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দেখিনা। এটা তেমন মনেও রাখতে পারিনা। এখন দেখি কেবল মৃত্যু আর সুস্হতার সংখ্যা। হয়তো কিছুদিন পর এ দৃশ্য হবে আজকের মৃত্যু সংখ্যা সেদিনের আক্রান্তের সংখ্যার মতোই।

    করোনার প্রথম দিকে মৃত্যু ছিল একজন কিংবা বেশি হলে দুইজন। এটা মানসিক ভাবে মেনে নিতে বড়ই খারাপ লাগতো। দিনে দিনে এ সংখ্যা বাড়তে থাকলো।

    ঘুরে ফিরে ২০ নিচে থাকতো। হঠাৎ ২৮জন। কেন জানি ভয় লাগেনি। ভাবছি এটা কি এরকম থাকবে, সামনে আরো বাড়বে। আজ ৪০ দাড়াঁলো।হয়তো সামনে দিনে সংখ্যাটা শতের উপর যাবে, হয়তো হাজারে।

    তিনমাসে-মোট মৃত্যু দাঁড়ালো ৬শ’র মতো। আগামী কয়েক মাসে দৃশ্যটা কেমন হবে? এক অজানা মাথামোটা প্রশ্ন।

    তখন আমরা আক্রান্তের সংখ্যা হিসেব করবো না। করবো মৃত আর সুস্হতা নিয়ে। কত মরে কত বাঁচে। জায়গা নেই মেডিকেলে। রাস্তায় লোক পড়ে থাকবে, কেউ কারো মৃত্যু নিয়ে তেমন শোক করবে না। সবার আশেপাশে কেবল লাশ আর লাশ।

    শোকে জমাট হবে সবার হৃদয়। বেদনাহীন জীবন আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়বো। গন্ধ পাবো না জীবনের চলার পথে। অসচেতনতার বড়ই মাশুল আমরা দিবো। না দিলে হবো পৃথিবীর সেরা ভাগ্যবান জাতি!?

    মুহাম্মদ সেলিমহক-সাংবাদিক, লেখক ও কলামিস্ট

  • চট্টগ্রাম বন্দরে করোনার ছোবল/ কর্মকর্তা-কর্মচারি ও পরিবারের ২৪ সদস্য একদিনেই আক্রান্ত

    চট্টগ্রাম বন্দরে করোনার ছোবল/ কর্মকর্তা-কর্মচারি ও পরিবারের ২৪ সদস্য একদিনেই আক্রান্ত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম বন্দর বাঁচলেই বাঁচবে দেশ, সচল থাকবে দেশের অর্থনীতি। সমৃদ্ধ হবে জাতীয় অর্থ ভাণ্ডার। গতি পাবে দেশের উন্নয়ন। অর্থনীতির চাকা ঘুরলে সাধিত হবে দেশের সামগ্রিক অগ্রগতি।

    সেই গুরুত্বপূর্ণ সেবা সংস্থাতেই এবার ছোবল মেড়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। ৩০ মে শনিবারে একদিনেই চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও তাদের পরিবারের ২৪ জনের শরীরে ধরা পড়েছে করোনার সংক্রমণ।

    শনিবার (৩০ মে) রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবের প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে এ তথ্য জানা যায়। এর তিনদিন আগে গত ২৭ মে বন্দর হাসপাতালের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়িছিল।

    একদিনে আক্রান্তদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ ও তিনজন নারী রয়েছে। বয়স ভিত্তিক হিসেবে পুরুষ যথাক্রমে ৬৮,৬৬,৬২,৫৯,৫৮,৫৭,৫৫,৫৪,৫১,৫০,৪৫,৪৫,৪৩,৪০,৪০,৩৭,৩১,৩১,২৬,২৫ ও ২৫ বছর। এবং ৬৫, ৫০ ও ৪৯ বছর বয়সী তিন নারী একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছে।

    চমেক হাসপাতাল সুত্র বলছে গতকাল ৩০ মে একদিনেই মোট ২৬০ জনের করোনা টেস্ট করার পর ১২০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১১১ জন এবং উপজেলায় ৯ জন।

    শনিবার (৩০ মে) রাতে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা: সেখ ফজলে রাব্বি জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে নতুন করে আরও ২৭৯ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে। এদের মধ্যে নগরীর ১৮০ জন এবং উপজেলায় ৯১ জন। এছাড়া ঠিকানা বিহীন ৮ জন।

    চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডির তিন দিনের পরীক্ষায় ৮১৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নগরে ৬৭ এবং উপজেলায় ৪৩ জন। ঠিকানা বিহীন পজিটিভ আছে ৬ জন।

    চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে (সিভাসু) ১৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নগরে ২ জন এবং উপজেলায় ৩৮ জন।

    ঠিকানা বিহীন পজিটিভ আছে ২ জন। এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে উপজেলায় ০১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ইতিমধ্যে ৭৫ জন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২১৭ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • চট্টগ্রামে ১৭ জনসহ সারাদেশে ১৯১ পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত

    চট্টগ্রামে ১৭ জনসহ সারাদেশে ১৯১ পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জাতীয় ডেস্ক : চট্টগ্রামে ১৪টি পোশাক কারখানার ১৭ জন শ্রমিকসহ সারাদেশের ৯০টি কারখানায় এখন পর্যন্ত ১৯১ জন পোষাক শ্রমিকের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

    এর মধ্যে বিজিএমইএর ১০৫ জন, বিকেএমইএ’র ৫৭ জন, ইপিজেডগুলোতে ১৪ জন ও অন্যান্য পোশাক কারখানায় ১৩ জন শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া বিটিএমএ সদস্য একটি টেক্সটাইল মিলসে দু’জন শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন।

    শিল্প পুলিশ ও পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

    এদিকে পোশাক মালিকদের বড় সংগঠন বিজিএমইএ’র উদ্যোগে পোশাক কারখানাগুলোয় করোনা আক্রন্তের তথ্য সংগ্রহ ও শ্রমিকদের চিকিৎসা দিতে কাজ কর‌ছে কয়েকটি টিম। তাদের সংগ্রহ করা তথ্য অনুযায়ী গত ২৮শে এপ্রিল দেশের পোশাক কারখানায় প্রথম একজনের করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়।

    সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত পোশাক কারখানায় এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১০৩ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৯ জন। বাকি ৮৪ জনের এখনো কোভিড-১৯ পজেটিভ রয়েছেন।

    শিল্প পুলিশের তথ্যমতে, দেশের ৯০টি কারখানার ১৯১ জন পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত কারখানার সংখ্যা ৪৬টি।

    এসব কারখানার ১০৫ জন শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত। অন্যদিকে বিকেএমইএ’র সদস্য ২১টি কারখানায় ৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর বাইরে ইপিজেডগুলোতে অবস্থিত ১০টি কারখানার ১৪ জন ও অন্যান্য ১২টি পোশাক কারখানার ১৩ জন শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া বিটিএমএ সদস্য একটি টেক্সটাইল মিলসে দু’জন শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন।

    শিল্প পুলিশের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সারাদেশের পোশাক কারখানার মধ্যে ঢাকার আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন। আশুলিয়ার ২৬টি কারখানার ৬১ জন শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন।

    এছাড়া নারায়ণগঞ্জে ২৩টি কারখানার ৬০ জন শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন। চট্টগ্রামে ১৪টি পোশাক কারখানার ১৭ জন শ্রমিক, ময়মনসিংহে তিনটি কারখানার চার জন শ্রমিক এবং খুলনায় একটি কারখানার একজন শ্রমিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • চট্টগ্রামে একদিনেই আক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২৭ সদস্য/এক ট্রাফিক পুলিশের পুরো পরিবারে করোনা বিষ!

    চট্টগ্রামে একদিনেই আক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২৭ সদস্য/এক ট্রাফিক পুলিশের পুরো পরিবারে করোনা বিষ!

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামে ভয়ানকভাবে থাবা বসিয়েছে প্রাণঘাতী করোনা। প্রায় প্রতিদিনই কয়েকশ নারী-পুরুষ নতুন করে শনাক্ত হচ্ছে। দেশের শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিতরাও করোনার গ্রাস থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।

    গতকাল ২৯ মে শুক্রবার চট্টগ্রামে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ২৭ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য করোনা আক্রান্ত হওয়ার তথ্য মিলেছে।

    চট্টগ্রামে প্রধান দুটি ল্যাব সীতাকুণ্ডের বিআইটিআইডি ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাব থেকে আসা একদিনের রিপোর্টে আক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সদস্য রয়েছেন ১১ জন। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশে ৫ জন সদস্যের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। 

    তাছাড়া চট্টগ্রাম র‌্যাপিড অ্যকশন ব্যাটেলিয়ন র‌্যাবের বিভিন্ন পদে কর্মরত ১০ সদস্য এবং সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার জিইসি সার্কেলে কর্মরত ৩৫ বছর বয়সী এক সদস্যও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

    এর আগে ২৮ মে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফলাফলেও চট্টগ্রামে একইদিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৮ জন সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

    এদিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি)র ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত মো. মহীবুল্লাহ নামে এক পুলিশ সদস্যের সপরিবার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

    আক্রান্ত ওই ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে তিনি এবং তার ছেলে করোনা আক্রান্ত হয়। গত তিনদিন আগে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে জানতে পারি আমার পরিবারের বাকি দু সদস্য স্ত্রী ও মেয়ের শরীরেও করোনার অস্থিত্ব মিলেছে।

    তিনি তাদের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করে বলেন, বর্তমানে তিনি এবং তার মেয়ে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন হাসপাতালে এবং ছেলে ও তার স্ত্রী নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন। তারা সবাই সুস্থ আছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • কক্সবাজার ল্যাবে ২৪ ঘন্টায় ৭১ জনের করোনা শনাক্ত

    কক্সবাজার ল্যাবে ২৪ ঘন্টায় ৭১ জনের করোনা শনাক্ত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষায করে ৭৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এতে নতুন আক্রান্ত হিসেবে আছে ৭১ জন।

    অপর ৪ জন আক্রান্ত রোগীর ফলোআপ রিপোর্ট। নতুন শনাক্তের মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্ত রয়েছে।

    নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কক্সবাজার সদরে রয়েছে ৫৪ জন। এছাড়া উখিয়া উপজেলার ৮ জন, চকরিয়া উপজেলার ১ জন, টেকনাফ উপজেলার ২ জন, রামু উপজেলার ১ জন, মহেশখালী উপজেলার ১ জন, লামার ২ জন, চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার ১ জন ও একজন রোহিঙ্গা রয়েছে।

    শুক্রবার বিকালে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া।

    গত ৫৮ দিনে মোট ৬৩০১ জন সন্দেহভাজন রোগীর করোনা ভাইরাস টেষ্ট করা হয় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে স্থাপিত ল্যাবে। তারমধ্যে ৬৮৯ জনের রিপোর্ট করোনা পজেটিভ পাওয়া গেল।

    এর মধ্যে মহেশখালীতে ৩১ জন, টেকনাফে ২০ জন, উখিয়ায় ৮৬ জন, রামু ২১ জন, চকরিয়ায় ১৫৬ জন, কক্সবাজার সদরে ২৩২ জন, কুতুবদিয়ায় ২ জন এবং পেকুয়ায় ৩৭ জন রয়েছে। এর সাথে যোগ হল ৩০ জন রোহিঙ্গা।

    অন্যান্যরা কক্সবাজার জেলার নিকটবর্তী বান্দরবান জেলার বাসিন্দা এবং চট্টগ্রামের সীতাকুঞ্জ, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ার বাসিন্দা। সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছে ১০০ জন, মারা গেছেন ১১ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/ইসলাম/রাজীব প্রিন্স

  • হাটহাজারীতে একদিনে করোনা শনাক্তের রেকর্ড/ আক্রান্ত ২৬ জনের ৭ জনই ব্যাংক কর্মকর্তা

    হাটহাজারীতে একদিনে করোনা শনাক্তের রেকর্ড/ আক্রান্ত ২৬ জনের ৭ জনই ব্যাংক কর্মকর্তা

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। হাটহাজারী প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে একদিনে সর্ব্বোচ্চ করোনা শনাক্তের রেকর্ডের দিনে আরেক রেকর্ড গড়ছে উপজেলা হাটহাজারী। এখানে নতুন করেেএকদিনে ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যা হাটহাজারী উপজেলায় একদিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্তের রেকর্ড। এ নিয়ে হাটহাজারীতে মোট ৮৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    ২৮ মে প্রেরিত নমুনার ফলাফলে নতুন করে করোনা শনাক্ত হওয়া ২৬ জনের মধ্যে ৭ জন হাটহাজারী সোনালী ব্যাংকে কর্মরত ব্যাংক কর্মকর্তা। জানা যায়, হাটহাজারী সোনালী ব্যাংক শাখার মোট ১৭জন ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী মধ্যে নতুন ৭জনসহ মোট ১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আক্রান্ত সবাই শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে।

    এছাড়াও একদিনে ২৬ জন আক্রান্তের বাকী ১৯ জনের মধ্যে উপজেলার ছিপাতলী ৬ নং ওয়ার্ডস্থ নেয়ামত আলী কোম্পানি বাড়িতে ২জন, হাটহাজারী পৌর এলাকার ফটিকা শাহজালাল পাড়া মাশা আল্লাহ বিল্ডিং এ ১ জন, শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া কবির আহমদ সই বাড়িতে ২জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।

    এছাড়া উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড কাসেম বালির বাড়িতে ১জন ও ২ নং ওয়ার্ড নজু মিয়া সারাং বাড়িতে ১ জন, দক্ষিণ বুড়িশ্চর মন্টু তালুকদার বাড়িতে ১ জন, চৌধুরীহাট শফী ড্রাইভার বাড়িতে ১ জন(চাকমা), হাটহাজারী কলেজ গেইট আবদুল হামিদ সওদাগর বাড়িতে ১ জন, পৌরসভার দেওয়ান নগর ৩ নং ওয়ার্ডে ১ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে।

    একইদিন উপজেলার মেখল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড বাচা মিয়া মাস্টারের বাড়িতে ১ জন, ফতেপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের নজমুল আহমদ বাড়িতে ১ জন, আমান বাজার সংলগ্ন চসিক ১ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডে একই পরিবারের ৫ জন ও নন্দিরহাটে ১ জনসহ মোট একদিনে ২৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে হাটহাজারী উপজেলায়।

    এদিকে একদিনে ২৬ জন করোনা শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে হাটহাজারী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, হাটহাজারী করোনার নতুন হট স্পট হতে চলছে। এই মহামারি মোকেবেলায় সচেতনতার বিকল্প নেই। তিনি সকলকে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।

    ২৪ ঘণ্টা/মো. পারভেজ/রাজীব প্রিন্স

  • আক্রান্ত ২ চিকিৎসককে বাঁচাতে প্লাজমা দিলেন করোনা জয়ী পুলিশ সদস্য/প্লাজমা দেবে করোনা জয়ী সাংবাদিক

    আক্রান্ত ২ চিকিৎসককে বাঁচাতে প্লাজমা দিলেন করোনা জয়ী পুলিশ সদস্য/প্লাজমা দেবে করোনা জয়ী সাংবাদিক

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রাণঘাতী করোনার কবল থেকে সদ্য মুক্ত হয়ে আক্রান্ত দুই চিকিৎসককে বাঁচাতে নিজের প্লাজমা দিলেন করোনা জয়ী পুলিশ সদস্য অরুন চাকমা।

    অন্যদিকে করোনাকে জয় করে সম্প্রতি ঘরে ফেরা সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শিল্পী আক্রান্তদের বাঁচাতে নিজের প্লাজমা দেবার ঘোষণা দিয়েছেন।

    জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের ট্রাফিক (উত্তর) বিভাগে কর্মরত পুলিশ সদস্য অরুন চাকমা গত ৩ মে সুস্থ হয়ে কর্মস্থলে ফিরে আসেন। ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনও শেষ হয়েছে সম্প্রতি।

    এরমধ্যেই বৃহস্পতিবার বিকেলে করোনা আক্রান্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. সমিরুল ইসলাম ও ডা. মোহিদকে করোনা মুক্ত করার লক্ষ্যে নিজের প্লাজমা দিয়ে আসেন।

    প্লাজমা দেয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আবু বকর সিদ্দিক। তিনি বলেন, এর আগেও মানুষের সেবা করতে আক্রান্ত হয়েছিলেন সিএমপির এ পুলিশ কনস্টেবল। করোনা মুক্ত হওয়ার পরও তিনি আক্রান্তদের বাঁচাতে নিজের প্লাজমা দিয়ে পুলিশকেও গৌরবের অংশ করলেন।

    সিএমপি সূত্রে জানা যায়, অরুণ চাকমার করোনা পজেটিভ আসলে গত ১৯ মার্চ রাতে তিনি নগরীর আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে ১৪দিন টানা ১৪ দিন চিকিৎসা শেষে গত ৩ মে হাসপাতাল কতৃপক্ষ তাঁকে ছাড়পত্র দেন।

    করোনা জয় করে ফেরা সিএমপির প্রথম পুলিশ সদস্য অরুন চাকমা
    করোনা জয় করে ফেরা সিএমপির প্রথম পুলিশ সদস্য অরুন চাকমা

    এর আগে প্রথম দফায় করোনা পরীক্ষায় পজেটিভ রিপোর্ট আসার পর চিকিৎসাধীন থাকার সময় আরো দুই দফা পরীক্ষা করানো হয়। পরপর দুইদফা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় চিকিৎসকরা তাকে ছাড়পত্র দেন। চিকিৎসা শেষে কর্মস্থলে ফিরেন চট্টগ্রাম মহানগর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল অরুণ চাকমা। তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।

    সিএমপির প্রথম করোনা জয়ী অরুণ চাকমা গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা যুদ্ধে আমরা পিছু হটতে চাই না। পুলিশ বাহিনীর একজন গর্বিত সদস্য হিসেবে আমি করোনা যুদ্ধে নিজেকে নিয়োজিত রাখতেই দুই চিকিৎসকের প্রাণ বাঁচাতে নিজের প্লাজমা দান করেছি।

    এদিকে গত বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে পোস্ট দিয়ে করোনা আক্রান্তদের নিজের প্লাজমা দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন চট্টগ্রামের প্রথম করোনা আক্রান্ত সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শিল্পী।

    তিনি করোনামুক্ত হয়ে গতকাল ২৮ মে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার সময় তার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক টাইমলাইনে প্লাজমা দেয়ার ঘোষণা দেন।করোনা মুক্ত সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শিল্পী

    তার ফেসবুকে তিনি শিরোনাম করেন, প্লাজমা (রক্ত) দিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীকে বাঁচাতে চাই…। পোস্টে তিনি লেখেন আমি একজন করোনা আক্রান্ত রোগী ছিলাম। পজেটিভ থেকে নেগেটিভ হয়েছি চিকিৎসার মাধ্যমে। হাসপাতাল থেকে এসে এখন বাসায় আইসোলেশনে আছি।

    সুস্থ হয়ে উঠা করোনা রোগীর রক্ত নিয়ে (গ্রুপ মিল রেখে) অন্য আক্রান্ত ব্যাক্তির শরীরে দেয়ার মাধ্যমে প্লাজমা পদ্ধতিতে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে সুস্থ্য করো যায়। ইতোমধ্যে দেশে প্লাজমা পদ্ধতিতে করোনা রোগীদের সুস্থ করার চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

    চট্টগ্রামেও একজন চিকিৎসককে প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়েছে। আমার রক্তের গ্রুপ (O+)। ইতোমধ্যে কয়েকজন আমার সাথে রক্ত নেয়ার বিষয়ে যোগাযোগ করেছেন। আমিও আমার রক্তের মাধ্যমে করোনা আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করতে চাই।

    তবে এ বিষয়ে আমার তেমন ধারণা নেই। আমার ১৪ দিন আইসোলেশন শেষে চিকিৎসকদের পরামর্শে আমি রক্ত দিতে পারবো ইনশআল্লাহ।

    সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শিল্পী চট্টগ্রাম থেকে পরিচালিত অনলাইন পোর্টাল পাঠক ডট নিউজের সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক বার্তা ইউএনবির চট্টগ্রাম প্রতিবেদক।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • চট্টগ্রামে নবজাতক শিশুর করোনা পজেটিভ/এটাই দেশের সবচেয়ে কম বয়সী করোনা রোগী

    চট্টগ্রামে নবজাতক শিশুর করোনা পজেটিভ/এটাই দেশের সবচেয়ে কম বয়সী করোনা রোগী

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৪ দিনের নবজাতক শিশু। বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী এ করোনা রোগীটিও চট্টগ্রামের।

    করোনায় আক্রান্ত মায়ের নবজাতক শিশুটি জন্ম নেওয়ার একদিন পরই নমুনা পরীক্ষা করা হয়। গতকাল ২৮ মে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবের ফলাফলে তার করোনা পজেটিভ আসে।

    তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবদুর রব। তিনি বলেন, বর্তমানে মা ও ৪ দিনের শিশু পুত্র দুজনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং সুস্থ আছেন।

    হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, প্রসব বেদনা নিয়ে গত ২৪ মে রবিবার ৩২ বছর বয়সী এক গর্ভবতী নারী চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। এর আগে গত ২০ মে ওই নারীর করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে।

    শুরুতে তিনি বাসায় আইসোলেশনে থাকলেও গত ২৪ মে তার প্রচণ্ড প্রসব বেদনা উঠলে তাকে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। করোনা আক্রান্ত ওই নারীকে সেদিনই অস্ত্রোপচার করলে তার একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন।

    জন্মদাতা মায়ের করোনা পজেটিভ থাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরদিন ওই শিশু পুত্রের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শিশুর জন্মের ৪ দিনের দিন গতকাল বৃহস্পতিবার চমেক ল্যাবের ফলাফলে শিশুটির শরীরেও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে।

    গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মে) রাতে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা: সেখ ফজলে রাব্বি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নগরে ১৩২ জন এবং উপজেলায় ০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    নতুন শনাক্তদের মধ্যে চারদিন বয়সী এক নবজাতক রয়েছে। গত ২৪ মে জেনারেল হাসপাতালে একজন করোনা রোগী শিশুটির জন্ম দেন। বৃহস্পতিবার চমেক ল্যাবে নবজাতকটির করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া পুলিশ সদস্য ১৬ জন এবং সোনালী ব্যাংক হাটহাজারী শাখায় কর্মরত ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ২৪২৯ জন। যার মধ্যে নগরে ২১৭০ জন এবং উপজেলায় ২৫৯ জন। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ইতিমধ্যে ৬৫ জন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ১৯৭ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • করোনা আক্রান্ত ভাইকে দেখতে গিয়ে করোনায় বোনের মৃত্যু/বোনের স্বামী-সন্তানরাও আক্রান্ত

    করোনা আক্রান্ত ভাইকে দেখতে গিয়ে করোনায় বোনের মৃত্যু/বোনের স্বামী-সন্তানরাও আক্রান্ত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। ঢাকা ডেস্ক : রাজধানী ঢাকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ভাইকে দেখতে গিয়ে সে প্রাণঘাতী অদৃশ্য ভাইরাস কেড়ে নিল বোনের জীবন। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বোনের স্বামী ও দুই সন্তান।

    বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। করোনায় মারা যাওয়া বোনের নাম নাজমুন নাহার। তিনি কুমিল্লার হোমনা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা।

    নাজমুন নাহারের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপ্তি চাকমা। তিনি বলেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নাজমুন নাহার ছুটিতে থাকাবস্থায় ঢাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

    তিনি ২০১০ সালে হোমনায় চাকরিতে যোগ দিয়ে প্রতিদিনই ঢাকা-হোমনায় আসা-যাওয়া করতেন। হোমনায় অফিস করে প্রায়দিনই ঢাকায় তার করোনা আক্রান্ত ভাইকে দেখতে যেতেন।

    সেখানে যাওয়া-আসা করতে গিয়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। তার সংসারে স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বর্তমানে তারা সবাই করোনায় আক্রান্ত। তবে নাজমুন নাহার বেশ কিছুদিন ছুটিতে ছিলেন।

    ওই কর্মকর্তার মৃত্যুতে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরী, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেহানা মজিদ, ভাইস চেয়ারম্যান মহসীন সরকার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আক্তার রীনাসতহ উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।

    এদিকে, কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭৮১ জনে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।

    সিভিল সার্জন বলেন, জেলায় নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন- কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুইজন এবং জেলার আদর্শ সদরে ছয়জন, হোমনায় দুইজন, বুড়িচংয়ে ২০ জন, লাকসামে ছয়জন, চান্দিনায় ১৭ জন, লালমাইয়ে দুইজন এবং মুরাদনগরে ১৫ জন। এ পর্যন্ত জেলায় সুস্থ হয়েছেন মোট ১০০ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স