Tag: আক্রান্ত

  • সীতাকুণ্ডে আরো একজন করোনায় আক্রান্ত, ১১ পরিবার লকডাউন

    সীতাকুণ্ডে আরো একজন করোনায় আক্রান্ত, ১১ পরিবার লকডাউন

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড : সীতাকুণ্ডে আরো একজন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে। উক্ত ব্যক্তির বয়স (৫০) বছর। সে একটি ওয়ার্কশপের নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কর্মরত বলে জানা গেছে।

    করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তিটি উপজেলার ১০ নং দক্ষিণ সলিমপুর ইউনিয়নের আবদুস সাত্তারের বাড়ির বাসিন্দা।

    গত ২২ এপ্রিল তিনি ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতলে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে আসলে আজ ২৯ এপ্রিল রাতে রিপোর্টে তার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ফজলে রাব্বি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    জানা যায়, রিপোর্ট দিয়ে আসার পর থেকে ঐ প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। এদিকে রাতে আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়, সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ হোসেন মোল্লা। ওই বাড়ির ১১ পরিবারকে লকডাউনে রাখা হয়।

    উল্লেখ যে, সীতাকুণ্ডে এ পর্যন্ত তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রামন ধরা পড়ে। তার একজন ইতোমধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাসায় ফিরে যায়।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষার জন্য বিআইটিআইডি ও চমেকে ৮ হাজার কিট!

    চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষার জন্য বিআইটিআইডি ও চমেকে ৮ হাজার কিট!

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : দেশে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল রূপ ধারণ করছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।

    আক্রান্তের সংখ্যায় থেমে নেই চট্টগ্রামও। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে ৬৭ জন।

    স্বস্তি বলতে, করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামে এলো ৮ হাজার কিট। এর মধ্যে চট্টগ্রামের করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রধান পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটে অবস্থিত বিআইটিআইডি পেলো ৫ হাজার কিট।

    এর আগে রাজধানীর রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (আইইডিসিআর) করোনাভাইরাসের কিটের জন্য চাহিদাপত্র দিয়েছিল চট্টগ্রামের ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)। এরপর ২৭ এপ্রিল বিআইটিআইডিতে এসে পৌঁছায় মোট পাঁচ হাজার কিট।

    এর আগে গত ১৬ এপ্রিল রাতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের গাড়িতে করে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য ১ হাজার ৯২০টি কিট এনে বিআইটিআইডিকে হস্তান্তর করা হয়েছিলো।

    এদিকে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রামের আরো একটি করোনা পরীক্ষাগার। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবেই হবে করোনা পরীক্ষা।

    তবে নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবটি এখনো চালু না হলেও তাদের হাতে পৌছে গেছে ৩ হাজার কিট। ল্যাবটি চালু হতে আরো এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

    গতকাল মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯ টার সময় চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা: সেখ ফজলে রাব্বি জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বিআইটিআইডিতে এখন পর্যন্ত ২৭৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৭ জন।

    শুধুমাত্র নগরীতেই করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ৪২ জন। তাছাড়া সাতকানিয়ার ১৫ জন, সীতাকুণ্ডের ২ জন, বোয়ালখালীর ২ জন, পটিয়ার ২ জন, আনোয়ারার ১ জন, চন্দনাইশের ১ জন, ফটিকছড়ির ১ জন, হাটহাজারীতে ১ জন ও মিরসরাইতে ২ জন এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছে।

    এর মধ্যে পাঁচজন ইতিমধ্যে মারা গেছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • নগরীতে নতুন ৬ জন করোনা আক্রান্তের পর লকডাউন হল ২০ কাঁচাঘর ও ৭ ভবন

    নগরীতে নতুন ৬ জন করোনা আক্রান্তের পর লকডাউন হল ২০ কাঁচাঘর ও ৭ ভবন

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষা শেষে চট্টগ্রাম নগরীতে নতুন করে ৬ জনের শরীরে করোনার অস্থিত্ব মিলেছে।

    চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি সোমবার রাতে এ তথ্য প্রকাশের পর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ২০টি কাঁচাঘর ও ৭টি ভবন লকডাউন করা হয়।

    কাঁচাঘর ও ভবন লকডাউন করার তথ্যটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের বিশেষ শাখা (সিটিএসবি)’র উপ-কমিশনার আব্দুল ওয়ারিশ।

    তিনি বলেন, নতুন করে শনাক্ত হওয়া ৬ জনের মধ্যে একজন র‌্যাব সদস্য ও একজন পুলিশ সদস্য রয়েছে। যারা আগে থেকেই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারাইন্টাইন এ ছিলেন তাদের কোন ঘর বা ভবন লকডাউন করা হয়নি।

    অন্য যারা করোনা আক্রান্তের খবর নিশ্চিত হওয়ার আগে বিভিন্ন জনের সংশ্পর্শে এসেছেন এমন ২৭টি কাঁচাঘর ও ভবন লকডাউন করা হয়েছে।

    এর মধ্যে নগরীর ইফিজেড থানাধীন দক্ষিণ হালিশহর এলাকায় ৫টি, চকবাজারে ১টি ও পাহাড়তলীতে একটি ভবন মিলে মোট ৭টি ভবন লকডাউন করা হয়। তাছাড়া নগরীর কর্ণফুলীতে ২০টি কাঁচাঘর লকলাউন করা হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

    এর আগে গতকাল সোমবার রাতে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানিয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায় ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে ১০০টি নমুনা পরীক্ষা করে চট্টগ্রামের ১১ জন ও লক্ষীপুরের একজনের দেহে করোনা ধরা পড়েছে। এর মধ্যে সাতকানিয়ার দুজনের দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ এসেছে।

    এদিন নগরীতে ৬ জন, মিরসরাইতে ১জন, হাটহাজারী বিএমএ লিংক রোডে একজন এবং বোয়ালখালীতে ১জনের দেহে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম জেলার বাইরে লক্ষীপুরের একজনের দেহে করোনা ধরা পড়ে।

    উল্লেখ্য : চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বিআইটিআইডিতে এখন পর্যন্ত ২৬৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৪ জন।

    শুধুমাত্র নগরীতেই করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ৩৯ জন। তাছাড়া সাতকানিয়ার ১৫ জন, সীতাকুণ্ডের ২ জন, বোয়ালখালীর ২ জন, পটিয়ার ২ জন, আনোয়ারার ১ জন, চন্দনাইশের ১ জন, ফটিকছড়ির ১ জন ও মিরসরাইতে ২ জন এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছে।

    এর মধ্যে পাঁচজন ইতিমধ্যে মারা গেছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি

  • নারায়ণগঞ্জে খানপুর ৩’শ শয্যা হাসপাতালে নতুন ৩জনসহ ৩০ স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত

    নারায়ণগঞ্জে খানপুর ৩’শ শয্যা হাসপাতালে নতুন ৩জনসহ ৩০ স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জেলা সংবাদ : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত ৬৯৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন দেশের হটস্পট নারায়ণগঞ্জে।

    এরমধ্যে নতুন করে আরো তিন স্বাস্থ্যকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ করোনা হাসপাতালে।

    খানপুর ৩’শ শয্যার এ হাসপাতালটিতে এ নিয়ে মোট ৩০ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

    হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ও আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. শামসুদ্দোহা সরকার সঞ্চয় সোমবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালটি নতুন করে আরো তিনজন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে গেছেন।

    ডা. শামসুদ্দোহা সরকার বলেন, এর আগে তত্ত্বাবধায়ক, ডাক্তারসহ ২৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে রয়েছেন। সব মিলিয়ে এখন করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩০।

    তিনি গণমাধ্যমে আরো বলেন, আমরা নতুন টিম ও বিকল্প ব্যবস্থায় হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম পুরোদমে চালু রেখেছি। বর্তমানে ৪৩ জন কোভিড-১৯ করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন।

    এর আগে সোমবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট আইইডিসিআর সূত্রে জানা গেছে হটস্পট নারায়ণগঞ্জে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৭৪ জনসহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯৯ জন।

    জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে জেলায় এ পর্যন্ত মোট ২২৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ৬৯৯ জন আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২৫ জন সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে ৪২ জন মৃত্যু বরণ করেছে বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্রে জানা গেছে।

    উল্লেখ্য : খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালকে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ করোনা হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি

  • কক্সবাজারে একদিনে ৬ জনের করোনা সনাক্ত, মোট আক্রান্ত ২০ জন

    কক্সবাজারে একদিনে ৬ জনের করোনা সনাক্ত, মোট আক্রান্ত ২০ জন

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর (পলিমারি চেইন রি-অ্যাকশন) ল্যাবে সোমবার ২৭ এপ্রিল ১২২ জনের স্যাম্পল টেস্টের মধ্যে ৬ জন পজেটিভ পাওয়া গেছে। বাকী ১১৬ জনের সব রিপোর্টই ‘নেগেটিভ’ পাওয়া গেছে।

    কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঢাকার আইইডিসিআর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই টেস্টের সমন্বিত ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

    এনিয়ে কক্সবাজারে মোট ২০ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হলো।

    সোমবার আক্রান্তের মধ্যে রামু ১ জন, উখিয়া ২ জন, মহেশখালী ১ জন, চকরিয়া ১ জন ও নাইক্ষ্যংছড়ির ১ জন রোগী রয়েছে।

    সোমবার পর্যন্ত কক্সবাজারে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মোট ২০ জন। তার মধ্যে মহেশখালীতে ৯ জন, টেকনাফে ৪ জন, সদর উপজেলায় ২ জন এবং চকরিয়াতে ২ জন, রামুতে ১ জন, উখিয়াতে ২ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/ইসলাম/আর এস পি

  • কক্সবাজারে ১০ দিন পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন করোনা আক্রান্ত রোগী

    কক্সবাজারে ১০ দিন পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন করোনা আক্রান্ত রোগী

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারে করোনা শনাক্তের ১০ দিন পর সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরলেন নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রুর তাবলীগ ফেরত বৃদ্ধ আবু ছিদ্দিক।

    আজ রবিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে নাইক্ষ্যংছি উপজেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিট থেকে অ্যাম্বুলেন্স করে নিজ বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন উজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তার সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন উপজেলা প্রশাসন।

    উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ওই করোনা পজেটিভ সনাক্ত বৃদ্ধ আবু ছিদ্দিক ঢাকা থেকে তবলীগ ফেরত হয়েছিল গত ৬ এপ্রিল। উপজেলা প্রশাসন খবর পাওয়ার সাথে সাথে হোম কোয়ারেন্টেইনে থাকার নির্দেশ দেন তাকে। ১৫ এপ্রিল নমুনা সংগ্রহ করে তাঁর। ১৬ এপ্রিল রিপোর্টে পজেটিভ আসে।

    ওই দিন তাকে হোম কোয়ারেন্টেইনে রেখে মোবাইলের মাধ্যমে চিকিৎসা দিলেও একদিন পর উর্ধতনের নির্দেশে রোগীকে রাখা হয় সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে।

    ন্যাশনাল গাইড লাইনের প্রটোকল অনুযায়ী চিকিৎসা পেয়ে এবং আইসোলেশন থেকে আজ (২৬ এপ্রিল) রবিবার সে মুটামুটি সুস্থ হয়ে বাড়ী ফেরার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    এর আগে আইসোলেশনে এক সাপ্তাহ ধরে অবস্থান করার পর গত ২৩ এপ্রিল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয় তার দ্বিতীয় বারের নমুনা।২৪ এপ্রিল ফলোআপ পরীক্ষায় ওই নমুনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

    ২৪ ঘণ্টা/ইসলাম মাহমুদ/আর এস পি

  • কক্সবাজারে করোনা আক্রান্ত প্রথম মহিলা চিকিৎসক

    কক্সবাজারে করোনা আক্রান্ত প্রথম মহিলা চিকিৎসক

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর (পলিমারি চেইন রি-অ্যাকশন) ল্যাবে রোববার (২৬ এপ্রিল) ৭১ জনের স্যাম্পল টেস্টের মধ্যে একজন পজেটিভ পাওয়া গেছে।

    তিনি টেকনাফের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়মিত একজন মহিলা চিকিৎসক। তিনি টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত জরুরি বিভাগ, আউটডোর, ভর্তিকৃত রোগীসহ হাসপাতালে সব জায়গায় রোগী দেখতেন।

    টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল জানান, করোনা ভাইরাস সনাক্ত হওয়া চিকিৎসা কক্সবাজারে হবে নাকি ঢাকা বা অন্য কোথাও হবে, সেটা পরে জানানো হবে। আপাতত তাকে আইসোলেটেড করে রাখা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, এই প্রথম কক্সবাজার জেলায় কোন চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলো। রোববার পর্যন্ত কক্সবাজারে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ জন। তারমধ্যে মহেশখালীতে ৮ জন, টেকনাফে ৪ জন, সদর উপজেলায় ২ জন এবং চকরিয়াতে একজন।

    রোববার স্যাম্পল টেস্টের বাকী ৭০ জনের সব রিপোর্টই ‘নেগেটিভ’ পাওয়া গেছে। গত ২৫ দিনে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ৮০৪ জনের স্যাম্পল টেস্ট করা হলো। তারমধ্যে ১৫ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়। বাকী ৭৮৯ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ পাওয়া যায়।

    ২৪ ঘণ্টা/ইসলাম মাহমুদ/আর এস পি

  • চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত, নমুনায় পজেটিভ ব্যবসায়ির

    চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত, নমুনায় পজেটিভ ব্যবসায়ির

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে এবার মরণঘাতী করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন জনতা ব্যাংকের সীতাকুণ্ড শাখার এক সহকারী ব্যবস্থাপক। তার বয়স ৪০।

    চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানা নয়াবাজার চুনা ফ্যাক্টরির মোড়ে তার বাসা। শনিবার (২৫ এপ্রিল) চট্টগ্রামের দুটি ল্যাবে মোট ১৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করে যে ২ জনের করোনা পজেটিভ আসে, তার মধ্যে তিনি একজন।

    এছাড়া একই দিনে আক্রান্ত অপর ব্যাক্তিটিও একই থানা এলাকার আগ্রাবাদ শান্তিবাগ আবাসিকের বাসিন্দা। বয়স ৩০। তিনি নগরীর কোতোয়ালী থানার তিন পুলের মাথায় ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর ব্যবসা করতেন বলে জানা গেছে।

    তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, গতকাল শনিবার রাতে চট্টগ্রামে যে দুজন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে দুজনই হালিশহর থানা এলাকার।

    এর মধ্যে একজন জনতা ব্যাংকের সীতাকুণ্ড শাখার সহকারি ব্যবস্থাপক। তিনি গত ৭ এপ্রিল সর্বশেষ কর্মস্থলে গিয়েছিলেন বলে পারিবারিক ভাবে জানানো হয়।

    অপর শনাক্ত ব্যাক্তিটি ব্যবসায়ি। নগরীর তিন পুলের মাথায় তার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর দোকান আছে। তিনিও গত ২৫ মার্চের পরে আর দোকান খুলেননি।

    শনিবার রাত ১১টার সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা.হাসান শাহরিয়ার কবির জানিয়েছেন শনিবার (২৫ এপ্রিল) চট্টগ্রামের দুটি ল্যাবে মোট ১৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

    এরমধ্যে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হলেও সেখানে সবকয়টি ফলাফল নেগেটিভি আসে।

    তবে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি)-এ ১৬৯টি নমুনায় দুজন করোনায় আক্রান্ত হয়।

    চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন সূত্রে জানা গেছে, ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি)-এ করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষা শুরু হয় গত ২৬ মার্চ। সেখানে গতকাল ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৪শ ২১ জনের নমুন পরীক্ষা হয়।

    এর মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৮৪ জনের । চট্টগ্রাম জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৬ জন। এর মধ্যে এক শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১২ জন।

    এছাড়া লক্ষ্মীপুরের ২৯ জন, নোয়াখালীর চারজন, বান্দরবানের তিনজন এবং ফেনীর দুজন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।

    এদিকে গতকাল ২৫ এপ্রিল থেকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু)র ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম দিনে ২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হলেও সেখানে সবকয়টি ফলাফল নেগেটিভি আসে।

    ২৪ ঘণ্টা/ রাজীব প্রিন্স

  • স্বামীবাগের ইসকন মন্দির লকডাউন, পুরোহিত সেবায়েতসহ ৩৬ জন করোনা আক্রান্ত

    স্বামীবাগের ইসকন মন্দির লকডাউন, পুরোহিত সেবায়েতসহ ৩৬ জন করোনা আক্রান্ত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। ঢাকা ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা আক্রমনের শিকার হয়েছেন রাজধানীর পুরান ঢাকার স্বামীবাগের ইসকন মন্দির।

    মন্দিরের পুরোহিত-সেবায়েতসহ একে একে এখন পর্যন্ত ৩৬ জনের শরীরে করোনার অস্থিত্ব মিলেছে।

    একজন সহকারী উপপরিদর্শক মন্দিরের নিরাপত্তার তত্ত্বাবধানে ছিলেন। নমুনা পরীক্ষায় তারও করোনা পজেটিভ এসেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। শনিবার রাত ৮ টায় গেন্ডারিয়া থানা পুলিশ মন্দিরটি লকডাউন করে দেয়।

    ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার শাহ্ ইফতেখারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, মন্দিরের ভেতরে অবস্থান করা কয়েকজনের সর্দি কাশি হলে মন্দিরের ভেতরে থাকা ৩৬ জন সকলের করোনা পরীক্ষা করায় মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রথম পরীক্ষায় সবারই করোনা পজিটিভ এসেছে। আগামী সোমবার দ্বিতীয় পরীক্ষা করানো হবে।

    গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজু মিয়া বলেন, ‘মন্দির লকডাউন। দাফতরিক ভাবে আমরা ৩১ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পেয়েছি। এছাড়া আরও প্রায় ৫০ জনের মতো লোককে কোয়ারেনটাইনে থাকতে বলা হয়েছে। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত মন্দিরে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।

    জানা যায়, এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে স্বামীবাগের ইসকন মন্দিরে এক ব্যক্তির করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এরপর ওই মন্দির থেকে একের পর এক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। এরপর আজ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে মন্দিরটি লকডাউন করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • এবার চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে করোনা আক্রান্ত চিকিৎসক

    এবার চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে করোনা আক্রান্ত চিকিৎসক

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গিয়ে দিন দিন বেড়েই চলেছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্তের সংখ্যা।

    এবার চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এক চিকিৎসক। আব্দুল বাসেত হাসান (৩৫) নামের এ চিকিৎসক ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। করোনা পরীক্ষায় তার পজেটিভ এসেছে।

    তথ্যটি ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজকে নিশ্চিত করেছেন ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী।

    করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকের বাড়ী চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় হলেও তিনি চাকরির সুবাধে ফটিকছড়ির নাজিরহাটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উত্তর পাশে কোয়াটারে বসবাস করতেন। গত এক সপ্তাহ ধরে আব্দুল বাসেত হাসান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিউটি (দায়িত্ব পালন) করেছিলেন।

    আজ ২২ এপ্রিল বুধবার চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি নানুপুর সাব-সেন্টার চিকিৎসক আব্দুল বাসেত হাসান (২৯)সহ ৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়।

    করোনা পজেটিভ বাকি দুজনই ৪২ বছর বয়সী। একজন নগরীর লালখান বাজার এলাকার মোরশেদ মঞ্জিলে এবং অন্যজন নগরীর বালুছড়া এলাকার ঈসা খান মঞ্জিলের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

    এ ছাড়াও লক্ষ্মীপুর সদরে ৩২ বছর বয়সী একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর। তিনি বলেন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৫ জন।

    এনিয়ে চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাড়ালো ৪৩ জন। এর মধ্যে এক শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/ এম জুনায়েদ/আর এস পি

  • লামায় প্রথম এক নারী করোনায় আক্তান্ত

    লামায় প্রথম এক নারী করোনায় আক্তান্ত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। লামা প্রতিনিধি : বান্দরবানের লামা উপজেলায় প্রথম বারের মত এক নারীর (৪৫) নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ এসেছে, অর্থাৎ তার শরীরের প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

    বুধবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদুল হক। তিনি জানান, গত ১৬ এপ্রিল ওই নারী ও তার স্বামীসহ আপশাপাশের ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করার পর পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

    মঙ্গলবার দিনগত রাত ১১টার দিকে পাওয়া তার নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে করোনা পজেটিভ এসেছে। বাকী ১৩ জনের রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু আক্রান্ত নারীর শরীরে কোন উপসর্গ দেখা যাচ্ছেনা। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।

    এক সপ্তাহ পর পরীক্ষার জন্য আবারো তার নমুনা সংগ্রহ করা হবে। পাশাপাশি তার আশপাশে সংস্পর্শে যারা আছেন তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

    আক্রান্ত নারী লামা সদর ইউনিয়নের মেরাখোলা গ্রামের পশ্চিম মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা। খবর পেয়ে রাতেই করোনা ভাইরাস আক্রান্ত নারীর বাড়িতে ছুঁটে যান- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদুল হক, থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন।

    এ বিষযে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ- জান্নাত রুমি বলেন, প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমন এড়াতে মেরাখোলা মুসলিম পাড়া ও আশপাশের এলাকাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রফিক সরকার/আর এস পি

  • করোনায় আক্রান্ত ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়ার আবেগঘন স্ট্যাটাস

    করোনায় আক্রান্ত ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়ার আবেগঘন স্ট্যাটাস

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জেলা সংবাদ || বিশ্বে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা। বাংলাদেশেও থেমে নেই। দেশে এখন করোনা হটস্পট নারায়নগঞ্জ।

    দেশের মধ্যে এখন আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ। সর্বশেষ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪ শতাধিক।

    সরকারি হিসাবমতে এখানে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। করোনার ছোবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে না সিভিল সার্জন, চিকিৎসক, পুলিশ, সাংবাদিক, ম্যাজিস্ট্রেট কেউই। মারা গেছেন ত্রাণ শাখার এক কর্মচারী।

    ইতিমধ্যে ১০ চিকিৎসকের পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছেন জেলা প্রশাসনের তিন ম্যাজিস্ট্রেট, তাদেরই একজন নারায়ণগঞ্জের ই-সেবা কেন্দ্রের সহকারী কমিশনার তানিয়া তাবাসসুম তমা।

    বর্তমানে তিনি, তার স্বামী, মা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তিনি ছাড়াও আক্রান্ত হয়েছেন আরো দুইজন সহকারী কমিশনার।

    নিজের ১ বছরের ছেলে ও ৩ বছরের মেয়েকে ঢাকায় মায়ের কাছে রেখে করোনা মোকাবেলায় কাজ করেছেন। তবুও প্রশাসনের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয়েছে তাদের নানা সময়।

    গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে হোম আইসোলেশনে থাকা এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার ফেসবুক আইডি থেকে কোভিড-১৯ যুদ্ধ ও জনসেবায়না না অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন তার টাইমলাইনে।

    স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন ‘ কোভিড ১৯ যুদ্ধ ও জনসেবায় প্রশাসন। করোনার ভয়াল থাবা এসে পড়তে দেরী নেই, সবাই প্রস্তুত হও, সরকারের নির্দেশ। সরকারের কর্মচারী তাই পিছপা হবার সুযোগ নেই।

    দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা আর দায়িত্ববোধই প্রশাসনের চাকরির ধর্ম। অগত্যা ১ বছরের তাইফ আর ৩ বছরের নামিরাকে মায়ের কাছে ঢাকায় রেখে নারায়ণগঞ্জে থাকতে শুরু করলাম।

    নিয়মিত অফিস, মোবাইল কোর্ট, গণসচেতনতা কার্যক্রম, জরুরী ত্রাণ কাজ, কন্ট্রোল রুম ডিউটি, প্রতিদিনের রিপোর্টসহ প্রেস ব্রিফিং তৈরী, বেসরকারি ত্রান সংগ্রহ কার্যক্রম যখন যেটা সামনে পড়েছে করেছি।

    ভাবছেন এতো বলছি কেন, এসব তো প্রশাসনের কাজই। হ্যা, সেজন্যই ফটোসেশন, ফেসবুক পোস্ট বাহুল্য এড়িয়ে চলেছি। আমি খুব নিভৃতচারী তাই কাজকে প্রাধান্য দিয়িছি আগে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ছাত্রী ছিলাম বলে জীবাণু নিয়ে কিছুটা অভিজ্ঞতা রাখি বলে দাবী করি। জীবাণু ভীতিটাও তাই সরিয়ে রেখে কাজ করতে পেরেছি বোধ হয়।

    সারাদিনের চেষ্টা ক্লান্তি শেষে যখন দেখতাম লোকজন কথা শুনছে না, একই ব্যক্তি নানা অজুহাতে ঘরের বাইরে আসছে, ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ে ত্রাণ চাইছে আর প্রশাসনের সকল কাজ নিয়েই, যত দোষ নন্দঘোষ অপপ্রচার তখন শুধু নতুন উদ্যম হাতরে খুজে বেড়াতাম।

    কিন্তু খারাপ লাগা ঘিরে ধরত যখন ভিডিও কলে সন্তানের মুখ আর প্রিয় স্বরগুলো শুনতে পেতাম। নিজের চেয়ে বেশি ভাবতাম পরিবারকে নিয়ে। জানেন কতো রাতে ঘুমাতে পারিনি।

    শারীরিক মানসিকভাবে কিছুটা দুর্বলও হয়ে পড়েছিলাম। তার মধ্যে সারা দেশে রি রি করে উঠলো প্রশাসন বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন নাকি পিপিই চোর।

    অথচ ডিসি স্যার নিজ উদ্যোগে আমাদের সেটা যোগাড় করে দিয়েছিলেন। পরে যতো বেসরকারি পিপিই পাওয়া গিয়েছিলো চিকিৎসকসহ অন্য সবাইকে দেওয়া হয়েছিলো জন স্বার্থে।

    যাইহোক নূন্যতম নিরাপত্তাটুকু নিয়েই কাজ চালিয়ে গিয়েছি, সকল প্রশাসন যোদ্ধারাও সারাদেশে তাই করছে। মুসলমান হিসেবে মৃত্যু ভয় মনে রাখিনি, প্রিয় নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রাণ বাঁচাতেই দৌড়ে বেড়িয়েছি।

    নিজ জেলা চাঁদপুর, কিন্তু কর্মস্থল দেশের সমৃদ্ধ একটি জেলা নারায়ণগঞ্জকে আজকে যখন লোকে বাংলাদেশের উহান বলছে তখন বুকটা মুচরে উঠে।

    আপনাদের সেবা করতে গিয়ে আজ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারি আক্রান্ত, ত্রাণ কাজের একজন পরিশ্রমী কর্মচারি মৃত্যুবরণ করেছেন।

    এখনও মনে পড়ছে শেষ যেদিন সন্ধ্যায় কাশিপুর, গোগনগর এলাকায় মোবাইল কোর্ট করছিলাম মাইকে চিৎকার করে বলছিলাম প্রিয় নারায়ণগঞ্জবাসী, এ জেলার অবস্থা আর কতো খারাপ হলে আপনারা সচেতন হবেন!

    আজ আমি, আমার পরিবার (স্বামী, মা), প্রশাসন পরিবার কোভিড ১৯ আক্রান্ত। আমাদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়ার পর আত্মীয়, বন্ধু বিশেষ করে বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন আমাকে যেভাবে সাহস যুগিয়ে যাচ্ছেন মনে হচ্ছে এ যাত্রায় বেঁচে গেলে আল্লাহ যেন দ্রুত আবার সুস্থ্য করে দেন, দেশের সেবা করার তৌফিক দেন।

    তাদের সকলের নাম বলতে গেলে তালিখাটি দীর্ঘ হয়ে পোস্টটি আরো বড় হয়ে যাবে।

    অসংখ্য ধন্যবাদ সকলকে। ভালো থাকুক নারায়ণগঞ্জ, ভালো থাকুক প্রিয় দেশ। সবাই আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।

    সাধারণ এ জীবনে বহু ঘাত প্রতিঘাত পার করেছি। সন্তান দুটো জন্ম দিতে গিয়ে দু দুবার মৃত্যুর মুখ থেকে আল্লাহ ফিরিয়ে দিয়েছেন ওদের ভাগ্যে। আবার যেন আমরা প্রিয় মুখগুলোর কাছে ফিরে যেতে পারি, আল্লাহ যেন সবাইকে তার রহমতের ছায়ায় রাখেন। আমিন।’

    ২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি