Tag: আক্রান্ত

  • করোনা : বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত পৌণে ৪ লাখ, মৃত ১৬৫১৪ আশংকাজন ১২ হাজার

    করোনা : বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত পৌণে ৪ লাখ, মৃত ১৬৫১৪ আশংকাজন ১২ হাজার

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮৫৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ হাজার ৫১৪ জন।

    তাছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে ২ লাখ ৪৮ হাজার ২১৪ জনের অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও চিকিৎসাধিন ১২ হাজার ৬২ জনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। তবে আশার কথা হলো এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে ১ লাখ ২ হাজার ৬৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

    করোনা ভাইরাসের বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে পরিসংখ্যান ভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ডোমিটারস থেকে তথ্যটি জানা যায়।

    ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি লোক মারা গেছেন ইতালিতে। অতচ করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীন। ইতালিতে মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ৭৭ জনে দাড়িয়েছে। দেশটিতে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৬৩ হাজার ৯২৭ জনের শরীরে।

    উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্তের দিক থেকে এখনও শীর্ষে রয়েছে। চীনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১ হাজার ১৭১ জনে। এর মধ্যে প্রায় ৭৩ হাজার জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। নতুন করে সাত জন মারা যাওয়ায় দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ২৭৭ জন।

    বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৩৩ জনের শরীরে। এদের মধ্যে মারা গেছেন তিনজন।

    দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৯৬১; মারা গেছেন মোট ১১১ জন।যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা একদিনে ৮ হাজার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৭০৮ জনে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে পাঁচশ।

    যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা নিউ ইয়র্কে; সেখানে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। বিশ্বে যত করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে তার ৫ শতাংশই নিউইয়র্কে। রাজ্যটিতে মারা গেছেন ৯৮ জন।

    যুক্তরাজ্যেও মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩৫ হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪২৪ জন।

    স্পেনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০৬ জনে, দেশটিতে আক্রান্ত এখন ৩৩ হাজার ৮৯ জন। ইরানের মোট আক্রান্ত এখন ২৩ হাজার ৪৯ জন, মারা গেছেন ১ হাজার ৮১২ জন।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসাস সোমবার জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখে পৌঁছতে সময় লেগেছিল ৬৭ দিন, এক লাখ থেকে দুই লাখে যেতে সময় লাগে ১১ দিন। আর চার দিনেই রোগীর সংখ্যা দুই লাখ থেকে তিন লাখে পৌঁছে গেছে।

    এ পরিস্থিতি সামলাতে বিশ্বনেতাদের এক হয়ে কাজ করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।

    ২৪ ঘন্টা/ আর এস পি

  • আরব আমিরাতে এক বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত

    আরব আমিরাতে এক বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত

    সংযুক্ত আরব আমিরাতে এক বাংলাদেশিসহ আরও দুই বাসিন্দা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ জনে।

    শুক্রবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে গালফ নিউজ ও আল-আরাবিয়াহর খবরে এমন তথ্য জানিয়েছে।

    দুই রোগীর মধ্যে একজন ফিলিপিন্স থেকে এসেছেন। তার বয়স ৩৪। আর ৩৯ বছর বয়সী আরেকজন বাংলাদেশি।

    সম্প্রতি তারা চীনা করোনারোগীর সরাসরি সংস্পর্শে ছিলেন। তাদের দুজনের অবস্থায় স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে আরব আমিরাত।

    গত সপ্তাহে দেশটিতে তিন করোনাভাইরাস রোগী সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।

    স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ইন্টারন্যাশনাল স্বাস্থ্য রেগুলেশনসের প্রধান ডা. ফাতিমা আত্তার বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান বজায় রেখেই তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে ওঠার আগ পর্যন্ত তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

    আমিরাত জানায়, করোনাভাইরাস রোগীর সরাসরি সংস্পর্শে আসা প্রত্যেককেই পরীক্ষা করে দেখা হবে। এখানে করোনাভাইরাস মহামারী আকারে আসবে না।

  • আনোয়ারা উপজেলায় ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত হচ্ছে গবাদি পশু

    আনোয়ারা উপজেলায় ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত হচ্ছে গবাদি পশু

    চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে শত শত গবাদি পশু। বিরল এই রোগে আক্রান্ত হওয়ায় উপজেলার খামারীরা আতংকিত হয়ে পড়েছে।

    ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ নামে ভাইরাজ এই রোগটি দেশে নতুন হওয়ায় এর কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নাই বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা। রোগের সুনির্দিষ্ট ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা না থাকার ফলে উপজেলা জুড়েই প্রকোপ বিস্তার করেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

    উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানা যায়, ইতি মধ্যে প্রায় এক থেকে দেড়শ গুরু হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছে। এছাড়াও এপর্যন্ত আনোয়ারায় ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজে আনুমানিক দুইশর অধিক গরু আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ সূত্র।

    গ্রামের ক্ষুদ্র খামারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গরুর গায়ে প্রথমে গুটি গুটি দেখা যায় নতুবা কোন এক জায়গায় ফোলে যায় তার পর শরীর থেকে পানি বের হয়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়। এরপর দু-একদিনের মধ্যেই গরুর শরীরজুড়েই গুটির পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পেয়ে ক্ষত থেকে রক্ত ও পৌঁছ বের হয়। এ সময় গরুর শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা দেখা দেয় এবং গরু আহার ছেড়ে দেয়।

    অনেক সময় গরুর বুকের নিচে পানি জমে ক্ষত সৃষ্টি হয়। এছাড়া ক্ষতস্থান থেকে মাংস খসে খসে পড়ে। সঠিক সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা কিংবা রোগের লক্ষণ জানা না থাকায় বেশ কিছু গরুর অবস্থা অবনতির দিকে। গরুর অবস্থা বেগতিক দেখে উপজেলার খামারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে ।

    এ ব্যাপারে উপজেলা ভেটেনারি সার্জন ডা. নাইফা বেগম বলেন, সারা দেশে কম বেশি এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গবাদি পশু গুলো। আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসা দিচ্ছি এই নিয়ে খামারীদের হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই,কারণ ভাইরাজ জাতীয় রোগটি নতুন হলেও এর প্রভাব তেমন এতটা ক্ষতিকর না। যদিও ভাইরাজে আক্রান্ত গরু গুলো পুরোপুরি সুস্থ হতে দীর্ঘ সময় লাগবে।

    এটি একটি মৌসুমে রোগ বলে ধারণা করা হচ্ছে ঋতু পরিবর্তন হলে অবস্থা উন্নতি হবে। তারপরেও রোগটি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি এই জন্য উপসহকারি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

  • বিরল রোগে আক্রান্ত সীতাকুণ্ডের দুই ভাই-বোন

    বিরল রোগে আক্রান্ত সীতাকুণ্ডের দুই ভাই-বোন

    সুস্থ স্বাভাবিকভাবে সবার মতো বেড়ে উঠছিলো মিথিলা ও মারুফ নামে দুই ভাই-বোন। কিন্তু বয়স তের, ঠিক তখন থেকে তারা আক্রান্ত হয় বিরল এক রোগে। যে রোগ থেকে মুক্তি মেলেনি ১৫ বছরেও।

    মা-বাবা বলেছেন অজ্ঞাত রোগ। কেউ বলছে জেনেটিক, আবার কেউ বলছে অবশজনিত রোগ। তবে এ দুই ভাই বোন প্রকৃত পক্ষে কী রোগে আক্রান্ত হয়েছে তা এখনো বলতে পারছে না তাদের পরিবারের সদস্যরা।

    সীতাকুণ্ড উপজেলার উত্তর ছলিমপুর গ্রামের মঞ্জুর কাদের সাথে ১৯৮৯ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি কর্নেলহাটের বাসিন্দা মুক্তার বেগমের বিয়ে হয়। তাদের রয়েছে দুই মেয়ে, এক ছেলে । ১৯৯০ সালে ২৭ জানুয়ারি প্রথম মেয়ে মিথিলা কাদের ও ১৯৯৩ সালে ৩ মার্চ দ্বিতীয় ছেলে মঞ্জুর কাদেরের জন্ম হয়। জন্মের পর তারা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছিলো।

    যখন তারা সপ্তম শ্রেণিতে উঠে তখন থেকে এ রোগে আক্রান্ত হয়। তবে তৃতীয় মেয়ে ইসমত আরা ইতি ২১ বছর হলেও সুস্থ আছে। চিকিৎসকরা তাদের বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান তাদের মা মুক্তার বেগম।

    তিনি রোগ প্রসঙ্গে ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, প্রথমে পা দুইটিতে খিচুনি আসে, এরপর বাম হাত কাঁপতে থাকে তাদের। পরবর্তীতে হাত ও পায়ের আঙ্গুলগুলো বাঁকা হয়ে স্বাভাবিক চলাফেরা ও খাওয়া-দাওয়া করতে পারে না। একাধিক চিকিৎসক চিকিৎসা করলেও দীর্ঘ ১৫বছরেও কোন পরিবর্তন হয়নি। বরং দিনের পর দিন তাদের চলাফেরা ও খাওয়া-দাওয়া সংকুচিত হচ্ছে।

    তাদের বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে যাওয়ার কোন রাস্তা নেই। অন্য একজনের বাড়ির পাশে দিয়ে যেতে হয় তাদের ঘরে। জরাজীর্ণ একটি টিনের ঘরে তাদের বসবাস। ঘরের সামনে হুইল চেয়ারে বসে আছে মিথিলা ও মারুফ। কথা বলতে পারে না। ক্র্যাচ দিয়েও চলাফেরা করা খুবই কষ্টকর।

    মা মুক্তার বেগম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, তার স্বামী মঞ্জুর কাদের শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে ব্যবসা করত। এতে লোকসানে পড়লে পরবর্তীতে পোল্ট্রি ফার্মের ব্যবসায় জড়িত হয়। তাদের চিকিৎসায় ব্যবসার পুঁজি চলে যায়। এখন সে চট্টগ্রাম আদালতে আইনজীবীর সহকারি হিসাবে কাজ করছে।

    তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার দুই সন্তানকে বিভিন্ন চিকিৎসককে দেখানো হয়েছে। চট্টগ্রামের নার্ভ ও মেরুদন্ড বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. শওকত হোসেনকেও দেখানো হয়েছে। চিকিৎসকরা সঠিক রোগ নির্ণয় করতে পারেননি। তবে তারা বিদেশ নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন।

    কিন্তু তাদের এখন সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে। তাদের বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে অনেক টাকার দরকার, যা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাদের মুখে হাসি ফোটাতে এগিয়ে আসার জন্য বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে অসহায় পিতা মাতা।