Tag: আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু

  • আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’র কবর জিয়ারত করলেন মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী

    আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’র কবর জিয়ারত করলেন মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী

    মরহুম জননেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’র কবর জিয়ারত করলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আনোয়ারায় আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’র কবরে জিয়ারত করেন তিনি। এরপর সেখানেই জুম্মার নামাজ আদায় করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    এর আগে মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. রেজাউল করিম চৌধুরী আনোয়ারায় পৌছালে আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

    মরহুম জননেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’র কবর জিয়ারতের সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম.নাছির উদ্দিন, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আদনান ফারুক সহ চট্টগ্রাম মহানগর ও আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

     

  • বাবু বেঁচে থাকলে বর্তমান রাজনীতির যে সংস্কৃতি তা দেখতে হত না-নওফেল

    বাবু বেঁচে থাকলে বর্তমান রাজনীতির যে সংস্কৃতি তা দেখতে হত না-নওফেল

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ওয়ান ইলেভেনের পর দুঃসময়ে আস্থার সংকটে ভুগেছেন আওয়ামী লীগের অনেক বড় বড় নেতা। কিন্তু আস্থা হারাননি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু।

    এমনকি পঁচাত্তর পরবর্তী যখন অনেক নেতাই ক্ষমতার উচ্ছিষ্টের লোভে পড়েছেন ঠিক তখনও তিনি দলের অস্থিত্ব রক্ষায় নিজের সর্বস্ব দিয়ে দলকে সাজিয়ে নিয়েছেন। স্বাধীনতার পর ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে এম.পি, ১৯৭৮ থেকে আমৃত্যু চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ২০১১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েও দলকে আজ এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন।

    বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে নগরের কে বি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    স্মরণসভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল আরো বলেন, বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদের ত্যাগে আজ দল টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায়। তিনি অসময়ে চলে গেছেন। তিনি বেঁচে থাকলে তার প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী নেতৃত্ব আমাদের অনেক সংকট দুর হতো। আজকে শুধু নিজের দল ভারির যে রাজনীতি এবং যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি আজ আমরা দেখি তা দেখতে হত না।

    আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ওয়ান ইলেভেনের পরে যখন আমার বাবা প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরী গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন, প্রথম পর্যায়ে আমি ও আমার ছোট ভাই তখন লন্ডনে ছিলাম। সেখানে আইনজীবী ব্যারিস্টার মনোয়ারের নির্দেশে আমি বাবু চাচার বাসায় যায়।

    তিনিই তখন আমাকে অভয দিয়ে বলেছিলেন, এখন যে দুঃসময় দেখছো, এরচেয়ে কঠিন সময় আমরা পার করে এসেছি। এর চেয়েও কঠিন দুঃসময় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার উপর দিয়ে গেছে। এগুলো কিছুই না। যারা ক্ষমতায় এসেছে, বসেছে, তারা বেশীদিন টিকতে পারবে না।

    নওফেল বলেন, সেদিন তাঁর কথায় আমি আশ্বস্থ হয়েছিলাম, সাহস পেয়েছিলাম। তিনি আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলেছিলেন, তোমরা এখানে আছো, তোমাদের কোনো আর্থিক সহযোগিতার প্রয়োজন হলে অবশ্যই আমাকে জানাবে। তাঁর নাম্বার আমাকে দিয়েছিলেন।

    দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে আয়োজিত স্মরণসভা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রয়াত নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর জ্যৈষ্ঠপুত্র, কর্ণফুলী আসনের সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী।

    এছাড়াও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম প্রমুখ।

  • আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু বঙ্গবন্ধুর রক্তের সাথে বেঈমানি করেননি-তথ্যমন্ত্রী

    আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু বঙ্গবন্ধুর রক্তের সাথে বেঈমানি করেননি-তথ্যমন্ত্রী

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু কখনও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করেননি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ছিলেন। সমস্ত রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সকল লোভ-লালসাকে প্রত্যাখ্যান করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

    বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে নগরের কে বি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ যখন মহাবিপর্যয়ের মুখে তখন দলকে পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বাবু ভাই। তিনি চট্টগ্রামের মাটিতে আওয়ামী লীগের পতাকা উড্ডীন রেখেছেন। এছাড়াও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যেসকল নেতার অবদান রয়েছে তার মধ্যে বাবু ভাই ছিলেন একজন।

    আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন চক্রান্তকারীদের প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ সরকার টানা তৃতীয় মেয়াদে রাষ্ট্র ক্ষমতায় রয়েছে। আর তা সম্ভব হয়েছে বাবু ভাইদের মতো নেতাদের ত্যাগের বিনিময়ে। বাবু ভাই কর্মীদের নেতা ছিলেন, আন্দোলন সংগ্রামে তিনি ছিলেন সব সময় এগিয়ে। তিনি শেখ হাসিনার সাথে, আওয়ামী লীগের সাথে, বঙ্গবন্ধুর রক্তের সাথে কখনো বেঈমানি করেননি।

    দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে আয়োজিত স্মরণসভা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রয়াত নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর জ্যৈষ্ঠপুত্র, কর্ণফুলী আসনের সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী।

    এছাড়াও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম প্রমুখ।

  • আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মৃত্যুবার্ষিকীতে চাচার প্রতি নওফেলের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন

    আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মৃত্যুবার্ষিকীতে চাচার প্রতি নওফেলের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন

    আজ ৪ নভেম্বর বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী। তার শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন ছাড়াও আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের উদ্দ্যেগে দিনব্যাপী স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    এছাড়াও মরহুমের আনোয়ারা হাইলধরের গ্রামের বাড়িতে পরিবারের পক্ষ থেকেও খতমে কোরআন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ছাড়াও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে জানালেন প্রয়াত নেতার বড় ছেলে ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।

    এদিকে বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদকে স্মরণ করে ৪ নভেম্বরের প্রথম প্রহরে চাচার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন চট্টগ্রামের আরেক প্রয়াত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কান্ডারি এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ট আস্তাবাজন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ও এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর তৎকালীন বিভিন্ন রাজনৈতিক মঞ্চের কয়েকটি ছবিসহ রবিবার দিবাগত রাত ১২টা ৪৯ মিনিটে নওফেল তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রয়াত এ রাজনীতিবিদকে শ্রদ্ধা জানান।

    নওফেল তার ফেসবুক পেইজে বিনম্র শ্রদ্ধা… শিরোনামে লিখেছেন, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু চাচার ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী।

    তিনি লিখেছেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু চাচা মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ১৯৭২ সালে গঠিত গণপরিষদের সদস্য, স্বাধীনতার পর ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে এম.পি, ১৯৭৮ থেকে আমৃত্যু চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ২০১১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি, এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট ও পরবর্তীতে প্রশাসক, ওআইসি ভুক্ত দেশ সমূহের চেম্বারের প্রেসিডেন্ট, ১৯৮৯ সালে ৭৭ জাতি গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    চট্টগ্রাম মাটি ও মানুষের বন্ধু জননেতা মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু চাচার ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

    উল্লেখ্য : ২০১২ সালের অক্টোবর মাসে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি হন বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ। সেখানে প্রায় এক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০১২ সালে ৪ নভেম্বর ৭১ বছর বয়সে আখতারুজ্জামান চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন। ব্যক্তি জীবনে ৩ ছেলে ও ৩ কণ্যার জনক ছিলেন তিনি।

    বড় ছেলে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বর্তমানে আনোয়ারা-কর্ণফুলী আসনের সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। মেজ ছেলে আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) ইসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। ছোট ছেলে আসিফুজ্জামান চৌধুরী জিমিও একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

    তথ্যসূত্রে জানা যায়, ১৯৪৫ সালে আনোয়ারা হাইলধর গ্রামে আইনজীবী নুরুজ্জামান চৌধুরী ও খোরশেদা বেগমের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। পটিয়া হাইস্কুল থেকে ১৯৫৮ সালে ম্যাট্রিক পাস করে ঢাকা নটরডেম কলেজে ভর্তি হন ওই বছর। তখন দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সদস্য নির্বাচিত হন বাবু।

    ইন্টারমিডিয়েট ক্লাসে পড়ার সময় তিনি বৃত্তি পেয়ে আমেরিকার ইলিনয় ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে ভর্তি হন। পরে তিনি নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনে পড়ালেখা করেন। সেখান থেকে এসোসিয়েট ডিগ্রি নিয়ে ১৯৬৪ সালের ডিসেম্বরে দেশে ফিরেন। ১৯৬৫ সালে ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।

    ৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি আনোয়ারা ও পশ্চিম পটিয়া থেকে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য হন। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। ১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (এমপিএ) হিসেবে আখতারুজ্জামান চৌধুরী ১৯৭২ সালে গঠিত বাংলাদেশ গণপরিষদের সদস্য হন এবং বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নে ভূমিকা রাখেন। স্বাধীনতার পর ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ২০০৯ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

    স্বাধীনতার পূর্বে তিনি বাটালি রোডে রয়েল ইন্ডাস্ট্রি নামে একটি কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে আসিফ স্টিল মিল, জাভেদ স্টিল মিল, আসিফ সিনথেটিক, প্যান আম বনস্পতি, আফরোজা অয়েল মিল, বেঙ্গল সিনথেটিক প্রোডাক্ট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। ভ্যানগার্ড স্টিল মিল, সিনথেটিক রেজিন প্রোডাক্ট ক্রয় করে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে জামান শিল্পগোষ্ঠীর গোড়াপত্তন করেন। তিনি বিদেশি মালিকানাধীন আরামিট মিল কিনে নেন। তিনি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবিএল) এর উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।

    তিনি দু’দফায় চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ১৯৮৮ সালে তিনি দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠক এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ওআইসিভুক্ত দেশসমূহের চেম্বারের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

    ১৯৮৯ সালে তিনি ৭৭ জাতি গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।