চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ থানার উত্তর কাট্টলী এলাকার একটি ভবনের ফ্ল্যাটে আগুনে একই পরিবারের সাতজনসহ মোট নয়জন দগ্ধ হয়েছেন।
গতকাল রোববার রাত ১২টার দিকে উত্তর কাট্টলীর মুরাদ চৌধুরী বাড়ির মরিয়ম ভবনের ষষ্ঠ তলার ফ্ল্যাটে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এ তথ্য জানিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই দগ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন শিশু রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মরিয়ম ভবনে ভাড়া থাকতেন শিপিং করপোরেশনে চাকরিজীবী মিজানুর রহমান। এ দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী ছোট দুই শিশু সন্তান, মা এবং ভাইবোনও দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সঙ্গে থাকা দুজন সাবলেটও দগ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। শিশু ছেলেটির বয়স পাঁচ বছর ও মেয়েটির বয়স দেড় বছর। তাদের মা ফেনীর একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। করোনাকালীনে ছুটিতে তিনি তাদের সঙ্গে ছিলেন।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন মিজানুর রহমান (৪২), সাইফুর রহমান (১৯), বিবি সুলতানা (৩৬), মানহা (২), মাহের (৭), পেয়ারা বেগম (৬০), রিয়াজ (২২), জাহান (২১) ও সুমাইয়া (১৮)।
চমেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে মিজানুরের শরীরের শতকরা ৪৮ ভাগ, সাইফুরের ২২, সুলতানার ২০, মানহার ২০, মাহেরের ৫, পেয়ারার ৬০, রিয়াজের ১৮, জাহানের ১২ ও সুমাইয়ার ১৫ ভাগ পুড়ে গেছে।
চমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস খালেদ বলেন, দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ছয়জনের শ্বাসনালি পোড়া রয়েছে। তাঁদের অবস্থা সংকটাপন্ন। হাসপাতাল থেকে তাদের চিকিৎসার জন্য সব ধরনের সাহায্য করা হচ্ছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানো হতে পারে।
আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন বলেন, আগুনে এক পরিবারের সাতজনসহ মোট নয়জন দগ্ধ হয়েছে। কীভাবে আগুনের ঘটনা ঘটেছে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুন লেগেছে বলে মনে হচ্ছে। ভবনের প্রতিটি রুমে আগুনের চিহ্ন রয়েছে।
২৪ ঘণ্টা/রিহাম