Tag: আজারবাইজান

  • তিন দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

    তিন দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

    কপ-২৯ সম্মেলনে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মাদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্ট ডেনিস বেসিরোভিচের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

    মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতিসংঘের বার্ষিক জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে আজারবাইজানের দুই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

    প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    এছাড়া কপ-২৯ সম্মেলনে লিখটেনস্টাইনের প্রধানমন্ত্রী ড্যানিয়েল রিশ এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

    এর আগে সোমবার (১১ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় আজারবাইজানের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ঢাকা ছেড়ে যায়। জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ১১ থেকে ১৪ নভেম্বর আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় সফরে থাকবেন।

    কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনের অধ্যাপক ইউনূস বিভিন্ন ফোরামে বক্তব্য রাখবেন এবং সেখানে অংশগ্রহণকারী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ যে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, সেটিও তুলে ধরা হবে এই সম্মেলনে।

  • আজারবাইজান পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

    আজারবাইজান পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

    আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) যোগ দিতে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

    স্থানীয় সময় সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে তিনি বাকু পৌঁছান।

    এর আগে বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় আজারবাইজানের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ঢাকা ছেড়ে যায়।

    সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ১১ থেকে ১৪ নভেম্বর আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় সফরে থাকবেন।

    তিনি জানান, এই সফরে প্রধান উপদেষ্টা অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করবেন। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ বাকুতে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে- এসব বিষয় তিনি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরবেন।

    তিনি আরও বলেন, অধ্যাপক ইউনূস কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনের বিভিন্ন ফোরামে বক্তব্য রাখবেন এবং সেখানে অংশগ্রহণকারী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ যে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, সেটিও তুলে ধরা হবে এই সম্মেলনে।

    ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি ড. ইউনূসের দ্বিতীয় সফর। তার প্রথম সফর ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে, সেখানে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেন তিনি।

  • আজারবাইজানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

    আজারবাইজানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

    কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে আজারবাইজানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

    সোমবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।

    প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

    আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে এবার কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    শফিকুল আলম বলেন, জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ১১-১৪ নভেম্বর আজারবাইজানে সরকারি সফরে থাকবেন।

    তিনি জানান, এই সফরে প্রধান উপদেষ্টা অত্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটাবেন। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ বাকুতে নিজেদের দাবি-দাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে- এসব বিষয় তিনি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরবেন।

    তিনি আরও বলেন, অধ্যাপক ইউনূস কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনের বিভিন্ন ফোরামে বক্তব্য রাখবেন এবং সেখানে অংশগ্রহণকারী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

    বাংলাদেশ যে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, সেটিও তুলে ধরা হবে এই সম্মেলনে।

    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি ড. ইউনূসের দ্বিতীয় বিদেশ সফর। তার প্রথম সফর ছিল নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশন।

    এর আগে প্রধান উপদেষ্টা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেশের অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য একটি বিশেষ লাউঞ্জ উদ্ধোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, অভিবাসী শ্রমিকরা আমাদের মেহমান।

  • প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেছেন

    প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেছেন

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮তম নন-অ্যালাইনড মুভমেন্ট (ন্যাম) সম্মেলনে যোগ দিতে আজারবাইজানে চার দিনের সরকারি সফর শেষে রোববার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন।

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন, মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা বিমান বন্দরে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান।

    এর আগে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট আজ স্থানীয় সময় ৭টা ২০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

    প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট আজ স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ১০ মিনিটে বাকু হায়দার আলিয়েভ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

    আজারবাইজানের শিক্ষামন্ত্রী জাইহুন আজিজ ওগলু বেরামভ এবং আজারবাইজানের দায়িত্বপ্রাপ্ত তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দিকী বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

    ১২০টি উন্নয়নশীল দেশের জোট নিরপেক্ষ ফোরাম ন্যামের দুই দিনের সম্মেলনটি ২৬ অক্টোবর আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর কংগ্রেস সেন্টারে সমাপ্ত হয়।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে ন্যাম সম্মেলনে যোগ দেন।

    শুক্রবার বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাকু কংগ্রেস সেন্টারে ১৮তম ন্যাম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এছাড়া তিনি বাকু কংগ্রেস সেন্টারে সমসাময়িক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সমন্বিত ও পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিশ্চিতে ‘বান্দুং নীতিমালা’ সমুন্নত রাখার বিষয়ে এক সাধারণ আলোচনায় বক্তৃতা করেন।

    বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছি। এ কারণে আমাদের দেশ এবং এর বাইরেও অস্থিতিশীলতা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এই সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা কামনা করছি। মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার সাথে তাদের নিজভূমিতে স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়াই সংকটের একমাত্র সমাধান।’

    শনিবার অন্যান্য ন্যাম নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাকু কংগ্রেস সেন্টারের প্ল্যানারী হলে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

    এরপর প্রধানমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন, প্রতিনিধিদলের প্রধানদের সঙ্গে ওয়ার্কিং লাঞ্চন ও সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
    পরে সন্ধ্যায় তিনি হায়দার আলিয়েভ সেন্টারে আজারবাইজানের প্রেসিডিন্ট ইলহাম আলিয়েভের দেয়া সরকারি সংবর্ধনায় যোগ দেন।

    এছাড়া তিনি হিলটন বাকুতে একই সঙ্গে আজারবাইজানের দূত হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দেয়া নৈজভোজে অংশ নেন।

    ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি, আলজেরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট আবদেল কাদের বেনসালাহ ও ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী রিয়াদ আল মালকিসহ বেশ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সাথে বৈঠক করেন।

    গতকাল দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে সাংস্কৃতিক বিনিময়ে বাংলাদেশ ও আজারবাইজানের মধ্যে চুক্তি সাক্ষরিত হয়।

    পরে প্রবাসী বাংলাদেশীরা বাকুতে প্রধানমন্ত্রীর আবাসস্থল হোটেল হিলটন বাকুতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

  • ঢাকা-বাকু সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর

    ঢাকা-বাকু সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর

    বাংলাদেশ এবং আজারবাইজানের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারে আজ দু’দেশের মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আজারবাইজান প্রেসিডেন্ট ইলহাম এলিয়েভের মধ্যে এখানে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে অনুষ্ঠিত এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়।

    বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এবং আজারবাইজানের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী ড. আবুলফাস গারায়েভ স্ব স্ব দেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম এলিয়েভ চুক্তি স্বাক্ষরকালে উপস্থিত ছিলেন।

  • রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় নিজভূমিতে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান : প্রধানমন্ত্রী

    রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় নিজভূমিতে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান : প্রধানমন্ত্রী

    আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার সাথে তাদের নিজভূমিতে স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়াই সংকটের একমাত্রা সমাধান। এই সংকট কেবল বাংলাদেশে নয়, এর বাইরেও অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    প্রধানমন্ত্রী আজ বিকেলে বাকু কংগ্রেস সেন্টারে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৮তম শীর্ষ সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে সমসাময়িক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সমন্বিত ও পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিশ্চিতে ‘বান্দুং নীতিমালা’ সমুন্নত রাখা বিষয়ে এক সাধারণ আলোচনায় ভাষণে একথা বলেন।

    আর্থ-সামাজিক সাফল্য সত্ত্বেও বাংলাদেশ বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন ও রোহিঙ্গা সংকট এই দু’টি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট একটি রাজনৈতিক সংকট এবং এর মূল গভীরভাবে মিয়ানমারে প্রোথিত। তাই এর সমাধানও মিয়ানমারের অভ্যন্তরেই খুঁজতে হবে।’

    আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা সংকট কেবল বাংলাদেশে নয়, এর বাইরেও অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছি। এটির আমাদের দেশ এবং এর বাইরেও অস্থিতিশীলতা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এই সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা কামনা করছি।’

    এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় এক কোটির বেশি বাংলাদেশী নাগরিককে ভারত আশ্রয় দেয়ার কথা স্মরণ করেন।

    জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দায় খুবই নগণ্য হওয়া সত্ত্বেও দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাবে প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

    তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোকে তাই অবশ্যই জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের প্রতি পূর্ণ সম্মান জানাতে হবে।

  • ন্যাম সম্মেলন শুরু,যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

    ন্যাম সম্মেলন শুরু,যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

    আজারবাইজানের বাকু কংগ্রেস সেন্টারে ১৮তম ন্যাম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    ১২০টি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের অংশগ্রহণে দুদিনের এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ।

    আজ শুক্রবার সকালে শুরু হওয়া সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্য রাষ্ট্র নেতাদের সঙ্গে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হন।

    পরে সন্ধ্যায় হেয়দার আলিয়েভ সেন্টারে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন তিনি।

    আর আগামীকাল যোগ দেবেন সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে। এছাড়াও, প্রতিনিধিদলের প্রধানদের সঙ্গে ওয়ার্কিং লাঞ্চ ও সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চার দিনের সফরে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাতে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

    আজারবাইজানে চার দিনের সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী রবিবার (২৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় বাকু হেইদার আলিয়েব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।

    ন্যাম বিশ্বের ১২০টি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত একটি ফোরাম, যা বড় কোনও পাওয়ার ব্লকের সঙ্গে বা বিপক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে সংযুক্ত নয়। জাতিসংঘের পর এটি বিশ্বব্যাপী রাষ্ট্রগুলোর বৃহত্তম গ্রুপিং।

    ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু ও সাবেক যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসিপ ব্রোজ টিটোর উদ্যোগে ১৯৫৫ সালে বানডং সম্মেলনে সম্মত নীতিমালা প্রণয়নের পর ১৯৬১ সালে যুগোস্লাভিয়া বেলগ্রেডে ন্যামটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

    ভেনেজুয়েলার মারগারিটা দ্বীপে ২০১৬ সালে ১৭তম ন্যাম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো হলেন চলতি ন্যাম সম্মেলনের চেয়ারপারসন।

  • আজারবাইজানের পথে প্রধানমন্ত্রী

    আজারবাইজানের পথে প্রধানমন্ত্রী

    ১৮তম ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজারবাইজানের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল চারটায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

    ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে আজারবাইজানে রাজধানী বাকুর হায়দার আলিয়েভ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

    আগামীকাল বাকু কংগ্রেস সেন্টারে ১৮তম ন্যাম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন সরকারপ্রধান।

    পরে পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে প্রতিনিধি দলের প্রধানদের জন্য দেয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন।

    সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনায় অংশ নেবেন।

    এছাড়া সম্মেলনের ফাঁকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে। সফর শেষে আগামী রোববার দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী