Tag: আতিকুল ইসলাম

  • আন্তঃজেলা বাসগুলোকে আর ঢাকা মহানগরে ঢুকতে দেয়া হবে না : ডিএসসিসি মেয়র

    আন্তঃজেলা বাসগুলোকে আর ঢাকা মহানগরে ঢুকতে দেয়া হবে না : ডিএসসিসি মেয়র

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, বাস রুট রেশনালাইজেশন বাস্তবায়নের মাধ্যমে আন্তঃজেলা বাসগুলোকে আর ঢাকা মহানগরের মধ্যে ঢুকতে দেয়া হবে না।

    তিনি বলেন, ‘বাইরের বাসগুলোকে ঢাকা শহরের সীমান্তবর্তী এলাকায় নির্ধারিত আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে যাত্রী নামিয়ে বাসগুলো তাদের নির্ধারিত গন্তব্যে চলে যাবে। তারপর সেসব টার্মিনাল থেকে সিটি সার্ভিস বা এমআরটি বা সেবা প্রদানকারী বাহনের মাধ্যমে যাত্রীরা নিজ গন্তব্যে যাতায়ত করবেন। এতে ঢাকা শহরের উপর গাড়ির চাপ কিছুটা হলেও কমবে।’

    আজ নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনয়ন ও যানজট নিরসনে ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন’ কমিটির ১৩তম সভায় ডিএসসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।

    রাজধানীতে বর্তমানে চলাচলকারী বাসগুলোর ২৯১টি রুট থেকে কমিয়ে ৪২টি ক্লাস্টার রুটে নিয়ে আসা এবং ২ হাজার ৫০০ বাস মালিকের চলাচলকারী বাসগুলোকে সন্নিবেশ করে ২২টি কোম্পানী করার প্রাথমিক প্রস্তাবনা বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির কাছে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে, সেই রিপোর্ট পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করেছি। বর্তমানে ঢাকা শহরে ২৯১টি রুটে ২ হাজার ৫০০ বাস মালিকের বাস চলাচল করছে। সেগুলোকে সন্নিবেশ করে ৪২টি রুট এবং ২২টি কোম্পানী করার প্রাথমিক প্রস্তাবনা করা রয়েছে। এই প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন হলে বর্তমান বাস মালিকরা কোম্পানিগুলোর শেয়ারহোল্ডার হবেন।’

    আগামী ৮ ডিসেম্বর কমিটির পরবর্তী সভা আহ্বান করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মধ্যে কমিটির অংশীজনরা (কমিটির সদস্যগণ) ডিটিসিএ’র সহযোগিতায় নিজেদের মধ্যে বসে এই প্রতিবেদনের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রস্তাবিত ক্লাস্টার রুটগুলো আরও সুনির্দিষ্ট করবেন। সকলের সহযোগিতায় এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে ক্লাস্টার রুটগুলোকে চূড়ান্ত করতে পারলে তা এই কার্যক্রমের একটি বড় অগ্রগতি হবে।

    উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মহাখালী ও গাবতলী এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের শুধু সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল আছে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, টার্মিনালগুলোতে বাসগুলোর সংকুলান হয় না, ফলে বাসগুলোকে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার উপর রাখা হয়। এ কারণে বড় ধরণের যানজট সৃষ্টি হয়। এই বিষয়গুলো আজকের সভায় বিবেচনা করা হয়েছে। ডিটিসিএ নিযুক্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল স্থাপনের জন্য যে জায়গা প্রস্তাবনা করেছে তার একটি সম্পূর্ণ সমীক্ষা আগামী মার্চ মাসের মধ্যে শেষ করবে। তারপর পরবর্তী ধাপে কার্যক্রম নিয়ে যেতে পারব।

    বৈঠকে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে তার মতামত ব্যক্ত করেন।

    বৈঠকে কমিটির সদস্যদের মাঝে ডিএমপি পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. এহসানে এলাহী, রাজউক চেয়ারম্যান মো. সাঈদ নূর আলম, বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সদস্য সচিব ও ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দীন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমাল উদ্দিন আহমদ ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত মেয়র আতিকুল

    সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত মেয়র আতিকুল

    সস্ত্রীক করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

    সোমবার ডিএনসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    ডিএনসিসির জনসংযোগ বিভাগ থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মেয়র আতিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ডা. শায়লা শগুফতা ইসলাম অসুস্থ বোধ করায় রোববার সকালে কোভিড টেস্টের জন্য নমুনা দেন এবং রাতে টেস্টের ফল পাওয়া যায়। তারা দু’জনেই করোনা পজেটিভ হয়েছেন।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, মেয়রের এপিএস-২ রিশাদ মোর্শেদও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সবার রোগমুক্তির জন্য তারা নগরবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

    উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো ডিএনসিসির মেয়র নির্বাচিত হন আতিকুল ইসলাম। গত ১৩ মে ঢাকা তিনি ডিএনসিসির মেয়র হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • শপথ নিলেন আতিক-তাপস

    শপথ নিলেন আতিক-তাপস

    শপথ নিলেন রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত দুই মেয়র ও কাউন্সিলররা।

    বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রথমে দুই মেয়রকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই অনুষ্ঠানে ২ সিটির সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ১৭২ জন কাউন্সিলকে শপথ পাঠ করান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

    শপথ নিলেও আইনি জটিলতায় এখনই চেয়ারে বসতে পারছেন না মেয়ররা। আগামী মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে তাদের।

    প্রসঙ্গত গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত দুই মেয়র প্রার্থী বিজয়ী হন। এরপর গত ৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের নাম-ঠিকানাসহ গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

    স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ অনুযায়ী, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর মেয়র বা কাউন্সিলরদের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে সরকার বা সরকারের মনোনীত কর্তৃপক্ষ মেয়র ও সব কাউন্সিলরের শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করবে।

    এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস জয়ী হয়েছেন পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে; তিনি পেয়েছিলেন ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৫ ভোট, তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ইশরাক হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫১২ ভোট।

    ঢাকা উত্তরেও পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম; নৌকায় তার ৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১১ ভোটের বিপরীতে বিএনপির তাবিথ আউয়াল ধানের শীষে পেয়েছেন ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৬১ ভোট।

    দক্ষিণে ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ভোটারের মধ্যে মাত্র ২৯ শতাংশ ভোট দেন। অন্যদিকে উত্তরে ভোটের হার ছিল ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।

  • ঢাকা উত্তরে আতিকের জয়

    ঢাকা উত্তরে আতিকের জয়

    দক্ষিণের মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। প্রায় দেড় লাখ ভোটে তিনি হারিয়েছেন বিএনপি প্রার্থী তাবিথ আওয়ালকে।

    শনিবার দিবাগত রাতে সবগুলো কেন্দ্রের ‍ভোট গণনা শেষে তাকে বিজয়ী বলে ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম।

    আতিকুল ইসলামের প্রাপ্ত ভোট ৩ লাখ ৭০ হাজার ৬১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত তাবিথ আউয়াল ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ১২ হাজার ৫৭৭ ভোট।

    কারচুপির অভিযোগ তুলে এরই মধ্যে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। প্রতিবাদে রোববার ঢাকায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছে দলটি।

    শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ।

    ঢাকা উত্তর সিটিতে ভোটার ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৭ জন এবং নারী ভোটার ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৭০৬ জন।

    উত্তরে মেয়র পদে ভোটে লড়েন ৬ জন প্রার্থী। তারা হলেন: আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, বিএনপির তাবিথ আউয়াল, সিপিবির সাজেদুল হক, পিডিপির শাহীন খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফজলে বারী মাসউদ এবং এনপিপির আনিসুর রহমান দেওয়ান।

  • প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করলেন আতিক-তাপস

    প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করলেন আতিক-তাপস

    প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিপি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নূর তাপস।

    শনিবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে যান তারা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া উপহার দেন আতিকুল ও তাপস।

    এ সময় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে সবার ঢাকা গড়ার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন অতিকুল ইসলাম।

    ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে বিপুল ভোটে জয়ের পথে রয়েছেন আওয়ামী লীগের এই দুই মেয়র প্রার্থী।

    নির্বাচন কমিশন ষোষিত ফলাফল অনুযায়ী দক্ষিণ সিটিতে মেয়র পদে শেখ ফজলে নূর তাপস তার নিকটতম প্রার্থীদের থেকে ১ লাখ ৬৭ হাজার ২শ ৫৭ ভোটে এগিয়ে আছেন। মোট ১ হাজার ১৫০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯শ ৭৯ কেন্দ্রের ফলাফলে নৌকা প্রতীকের তাপস পেয়েছেন ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৩২ ভোট।

    আর উত্তর সিটিতে মোট ১ হাজার ৩১৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬১৯ কেন্দ্রের ফলাফলে মেয়র পদে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৯শ ৬৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের থেকে ৭৫ হাজার ৭শ ৭ ভোট বেশি পেয়ে এগিয়ে আছেন নৌকার মাঝি আতিকুল ইসলাম।

  • সবাই মিলে সবার ঢাকা গড়ার অঙ্গিকার আতিকুলের

    সবাই মিলে সবার ঢাকা গড়ার অঙ্গিকার আতিকুলের

    রাজধানী ঢাকাকে সুস্থ, সচল, আধুনিক ও স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।

    রোববার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা কালে আতিকুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।

    ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে আতিকুল ইসলাম জানান, বায়ু দূষণ রোধে চালু করা হবে ইলেক্ট্রিক্যাল বাস। এছাড়া, স্মার্ট বাসস্টপ নির্মাণ, বছরব্যাপী মশা নিধনে আইভিএম পদ্ধতি প্রয়োগ, টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা,জলাবদ্ধতা নিরসন, বাইসাইকেল লেনসহ ৩৮টি প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন তিনি।

    আওয়ামী লীগে মনোনিত মেয়র প্রার্থী বলেন, নির্বাচিত হলে মেয়রসহ সব কাউন্সিলরের প্রতি বছর সম্পদের হিসাব নেয়া হবে। তাদেরকে জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আসা হবে। জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে কাউন্সিলর ও মেয়রকে জনতার মুখোমুখি করা হবে।

    ইশতেহারে ঘোষিত অঙ্গীকার পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ৪০০ বছরের পুরানো শহর ঢাকা। ১১ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ আজ আলোয় উদ্ভাসিত। উন্নয়ন-অগ্রগতির মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলবে বাংলাদেশ।

    তিনি বলেন, ঢাকা নগরীর সার্বিক উন্নয়নে আমি কথা দিচ্ছি, আমাকে পুনরায় পূর্ণমেয়াদে নির্বাচিত করলে ঢাকাবাসির সার্বিক লক্ষ্য অর্জনে সাধ্যের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে তা পুরনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।

    আতিকুল ইসলাম বলেন, সব উন্নয়ন অগ্রগতির সঙ্গে সমন্বয় ঘটিয়ে ঢাকা শহরের প্রতিটি পাড়া-মহল্লার সমস্যার সমাধান করে আগামী দিনে গড়ে তুলবো সবার প্রিয় ঢাকা, যে ঢাকা আপনাদের সবার প্রাপ্য।

    ঢাকা উত্তর নগরবাসির প্রতি আহবান জানিয়ে মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি জানি শত সংকট, শত সীমাবদ্ধতা, নাগরিক যন্ত্রণাসহ নানাবিধ সমস্যা আছে এই ঢাকা উত্তর সিটিতে। এই ঢাকা আপনার, আমার ও সকলের। আমাদের একটু সচেতনতা ও কিঞ্চিৎ সহযোগিতা এই নগরীর প্রাপ্য।

    ঢাকা উত্তরে দৃশ্যমান আগামীতে পরিবর্তন আসবেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যদি সবাই একটু সচেতন, আন্তরিক ও উদ্যোগী হই, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত রাখি এবং শহর বিনির্মাণে অংশ নেই,তাহলে অবশ্যই ঢাকা উত্তর সিটির দৃশ্যমান বদলে যাবে।

    আতিকুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় স্বপ্নের ঢাকাকে বাস্তব করতে চলুন আমরা সবাই সামনের দিকে এক সাথে এগিয়ে যাই। আমরা সকলে মিলে মিশে সবার ঢাকা- একটি সুস্থ, সচল ও আধুনিক স্বপ্নের ঢাকা গড়ে তুলি। আমি নগরবাসীর সঙ্গে একত্রিত হয়ে আগামী দিনে ঢাকা নগরবাসির সার্বিক উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এটাই আমার অঙ্গীকার। ইশতেহারে আতিকুল ইসলাম ‘সচল ঢাকা’ শিরোনামে ১৩টি, ‘আধুনিক ঢাকা’ শিরোনামে ১২টিসহ মোট ৩৮টি অঙ্গীকার ঘোষনা করেন।

  • উত্তরে আতিক-তাবিথের মনোনয়ন বৈধ

    উত্তরে আতিক-তাবিথের মনোনয়ন বৈধ

    আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম এ তথ্য জানান।

    এদিকে ডিএনসিসি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী জিএম কামরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

    তিনি আরও বলেন, বাকি ৬ জন মেয়রপ্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। সকালে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে শুরু হয় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ।
    রাজধানীর আগারগাঁওয়ের স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে প্রথমে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

    আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। গত ৩১ ডিসেম্বর ছিল এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।

    এ সিটিতে মেয়র পদে ৭ জন, ২৫টি কাউন্সিলর পদের বিপরীতে ৪০৭ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলদের ২৫টি পদের বিপরীতে ১০২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

  • উত্তরে আতিকুল, দক্ষিণে তাপস আ’লীগের প্রার্থী

    উত্তরে আতিকুল, দক্ষিণে তাপস আ’লীগের প্রার্থী

    আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা উত্তরে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলাম। আর দক্ষিণে বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকনের পরিবর্তে প্রার্থী করা হয়েছে শেখ ফজলে নূর তাপসকে, যিনি ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য।

    রবিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া দুই সিটিতে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক।

    ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে গতকাল রাতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড বসলেও কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি।

    গতকাল বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমরা বিচার বিশ্লেষণ করছি, পর্যালোচনা করছি। নেত্রী নিজের সোর্স থেকেও খোঁজ নিচ্ছেন, গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে। সব কিছু বিচার বিশ্লেষণ করতে আমাদের একটু সময় লাগছে। রবিবার সকাল ১১টায় ধানমন্ডিতে সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে উভয় সিটির মেয়র ও কাউন্সিলর পদে যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তাদের নাম ঘোষণা করা হবে।’

    আজ রবিবার নাম ঘোষণা করার নির্ধারিত সময়ের আগেই আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে হাজির হন ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী আতিকুল ইসলাম ও দক্ষিণের শেখ ফজলে নূর তাপস।

    ধানমন্ডি কার্যালয়ে উপস্থিত আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানান, প্রার্থীদের নাম ঘোষণার আগেই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নেতাকর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে যান ফজলে নূর তাপস। পরে বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিশাল শোডাউন নিয়ে কার্যালয়ে হাজির হন উত্তরের বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলাম।

    এবারও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকন মনোনয়ন প্রত্যাশা করলেও নৌকার টিকিট পাননি। তার সঙ্গে এবার এই সিটিতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে আরও ছিলেন হাজী মো. সেলিম, আওয়ামী লীগের আইন সস্পাদক আইনজীবী নজিবুল্লাহ হিরু, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক মহাসচিব এমএ রশিদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাজী আবুল হাসনাত, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আশরাফ হোসেন সিদ্দিকী এবং শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখার উপদেষ্টা মো. নাজমুল হক। শেষ পর্যন্ত শেখ ফজলে নূর তাপসের হাতেই তুলে দেওয়া হয় নৌকার টিকিট।

    বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে ব্যারিস্টার তাপস এখন টানা তৃতীয় মেয়াদে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতৃত্বেও আছেন তিনি।

    অন্যদিকে আনিসুল হকের মৃত্যুর পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারির উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের চেয়ারে বসা গার্মেন্ট ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলাম এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন।

    আতিকুল ছাড়াও ঢাকা উত্তরে মেয়র হতে আরও ১১ জন মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন। তারা হলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ ওসমানী, ভাষানটেক থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইয়াদ আলী ফকির, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. জামাল ভূইয়া, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি মো. কুতুবউদ্দিন, আওয়ামী লীগের গ্রীস শাখার সহ-সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী মোল্লা, যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন মাহমুদ, আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য জেরিন সুলতানা কান্তা, হেলেন জাহাঙ্গীর, আদম তমিজি হক, যুবলীগ নেতা খায়রুল মজিদ, যুব মহিলা লীগ নেত্রী রেহানা ফরহাদ। শেষমেশ ঢাকা উত্তরে আতিকুলকে দলীয় মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ।